পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/১২. পরিচ্ছেদ নাই।

(سَيَقُوْلُ السُّفَهَآءُ مِنَ النَّاسِ مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمْ الَّتِيْ كَانُوْا عَلَيْهَا قُلْ لِّـلّٰهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَآءُ إِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ)

‘‘অচিরেই নির্বোধ লোকেরা বলবেঃ কিসে ফিরিয়ে দিল তাদের সে কিবলা থেকে, যে কিবলা তারা এ যাবৎ অনুসরণ করে আসছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪২)


৪৪৮৬. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা্তে ষোল অথবা সতের মাস যাবৎ বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেন। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর দিকে তার কিবলা হওয়াকে পছন্দ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসর এর সালাত (কা‘বার দিকে মুখ করে) আদায় করেন এবং লোকেরাও তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। এরপর তাঁর সঙ্গে সালাত আদায়কারী একজন বের হন এবং তিনি একটি মসজিদের লোকেদের পার্শ্ব দিয়ে গেলেন তখন তারা রুকু অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মক্কার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছি। এ কথা শোনার পর তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন, সে অবস্থায় বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে গেলেন। আর যারা কিবলা বাইতুল্লাহর দিকে পরিবর্তনের পূর্বে বাইতুল মাকদাসের দিকে সালাত আদায় অবস্থায় মারা গিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা কী বলব তা আমাদের জানা ছিল না। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন- ‘‘আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু’’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৪৩)। [৪০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩১)

 

بَاب

أَبُوْ نُعَيْمٍ سَمِعَ زُهَيْرًا عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ تَكُوْنَ قِبْلَتُهُ قِبَلَ الْبَيْتِ وَأَنَّهُ صَلَّى أَوْ صَلَّاهَا صَلَاةَ الْعَصْرِ وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ صَلَّى مَعَهُ فَمَرَّ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ وَهُمْ رَاكِعُوْنَ قَالَ أَشْهَدُ بِاللهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ مَكَّةَ فَدَارُوْا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ وَكَانَ الَّذِيْ مَاتَ عَلَى الْقِبْلَةِ قَبْلَ أَنْ تُحَوَّلَ قِبَلَ الْبَيْتِ رِجَالٌ قُتِلُوْا لَمْ نَدْرِ مَا نَقُوْلُ فِيْهِمْ فَأَنْزَلَ اللهُ (وَمَا كَانَ اللهُ لِيُضِيْعَ إِيْمَانَكُمْ إِنَّ اللهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ)

ابو نعيم سمع زهيرا عن ابي اسحاق عن البراء رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الى بيت المقدس ستة عشر شهرا او سبعة عشر شهرا وكان يعجبه ان تكون قبلته قبل البيت وانه صلى او صلاها صلاة العصر وصلى معه قوم فخرج رجل ممن كان صلى معه فمر على اهل المسجد وهم راكعون قال اشهد بالله لقد صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم قبل مكة فداروا كما هم قبل البيت وكان الذي مات على القبلة قبل ان تحول قبل البيت رجال قتلوا لم ندر ما نقول فيهم فانزل الله (وما كان الله ليضيع ايمانكم ان الله بالناس لرءوف رحيم)


Narrated Al-Bara:

The Prophet (ﷺ) prayed facing Bait-ulMaqdis (i.e. Jerusalem) for sixteen or seventeen months but he wished that his Qibla would be the Ka`ba (at Mecca). (So Allah Revealed (2.144) and he offered `Asr prayers(in his Mosque facing Ka`ba at Mecca) and some people prayed with him. A man from among those who had prayed with him, went out and passed by some people offering prayer in another mosque, and they were in the state of bowing. He said, "I, (swearing by Allah,) testify that I have prayed with the Prophet (ﷺ) facing Mecca." Hearing that, they turned their faces to the Ka`ba while they were still bowing. Some men had died before the Qibla was changed towards the Ka`ba. They had been killed and we did not know what to say about them (i.e. whether their prayers towards Jerusalem were accepted or not). So Allah revealed:-- "And Allah would never make your faith (i.e. prayer) to be lost (i.e. your prayers offered (towards Jerusalem). Truly Allah is Full of Pity, Most Merciful towards mankind." (2.143)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير) 65/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet (pbuh)