পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى : (إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُوْنَ.ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُوْنَ).
মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আপনিও মরণশীল আর তারাও মরণশীল। অতঃপর কিয়ামতের দিনে তোমরা উভয় দলই নিজ নিজ মোকাদ্দমা স্বীয় রবের সামনে পেশ করবে। (সূরাহ আয্-যুমার ৩৯/৩০-৩১)
৪৪২৮. ইউনুস (রহ.) ... যুহরী ও ‘উরওয়াহ (রহ.) সূত্রে বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে ‘আয়িশাহ! আমি খাইবারে (বিষযুক্ত) যে খাবার খেয়েছিলাম আমি সর্বদা তার যন্ত্রণা অনুভব করছি। আর এখন মনে হচ্ছে সে বিষক্রিয়ার ফলে আমার শিরাগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
وَقَالَ يُوْنُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ فِيْ مَرَضِهِ الَّذِيْ مَاتَ فِيْهِ يَا عَائِشَةُ مَا أَزَالُ أَجِدُ أَلَمَ الطَّعَامِ الَّذِيْ أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ فَهَذَا أَوَانُ وَجَدْتُ انْقِطَاعَ أَبْهَرِيْ مِنْ ذَلِكَ السُّمِّ.
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) in his ailment in which he died, used to say, "O `Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪২৯. উম্মুল ফযল বিনতে হারিস [1] (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাগরিবের সালাতে সূরাহ وَالْمُرْسَلَاتِ عُرْفًا পাঠ করতে শুনেছি। তারপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রূহ কবজ করা পর্যন্ত তিনি আমাদের নিয়ে আর কোন সালাত আদায় করেননি। [৭৬৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৩)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِالْمُرْسَلَاتِ عُرْفًا ثُمَّ مَا صَلَّى لَنَا بَعْدَهَا حَتَّى قَبَضَهُ اللهُ.
Narrated Um Al-Fadl bint Al-Harith:
I heard the Prophet (ﷺ) reciting Surat-al-Mursalat `Urfan (77) in the Maghrib prayer, and after that prayer he did not lead us in any prayer till he died.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩০. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে তাঁর কাছে বসাতেন।[1] এতে ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) তাঁকে বললেন, আমাদেরও তো ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর বয়সী ছেলেপুলে আছে! তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, সে কেমন মর্যাদার লোক তা তো আপনারাও জানেন। এরপর ’উমার (রাঃ) ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُএই আয়াতের মর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি বললেন, এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের খবর। তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, এ ত্থেকে তুমি যা (অর্থ) বুঝেছ আমিও তাই বুঝেছি। [৩৬২৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৪)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ بِشْرٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُدْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ إِنَّ لَنَا أَبْنَاءً مِثْلَهُ فَقَالَ إِنَّهُ مِنْ حَيْثُ تَعْلَمُ فَسَأَلَ عُمَرُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ (إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ) فَقَالَ أَجَلُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَعْلَمَهُ إِيَّاهُ فَقَالَ مَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَعْلَمُ.
Narrated Ibn `Abbas:
`Umar bin Al-Khattab used to let Ibn `Abbas sit beside him, so `AbdurRahman bin `Auf said to `Umar, "We have sons similar to him." `Umar replied, "(I respect him) because of his status that you know." `Umar then asked Ibn `Abbas about the meaning of this Holy Verse:-- "When comes the help of Allah and the conquest of Mecca . . ." (110.1) Ibn `Abbas replied, "That indicated the death of Allah's Messenger (ﷺ) which Allah informed him of." `Umar said, "I do not understand of it except what you understand."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩১. সা‘ঈদ ইবনু জুবাইর (রহ.) থেকে বণিত, তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, বৃহস্পতিবার! বৃহস্পতিবারের ঘটনা কী? নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ-জ্বালা প্রবল হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার কাছে এসো, আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দিয়ে যাই যাতে তোমরা এরপর কখনও বিভ্রান্ত না হও। তখন তারা পরস্পর মতভেদ করতে থাকে। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সান্নিধ্যে মতভেদ করা শোভনীয় নয়। এরপর কিছু সংখ্যক লোক বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবস্থা কেমন? তিনি কি বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন? তোমরা তাঁর কাছে থেকে বিষয়টি জেনে নাও। এতে তারা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ব্যাপারটি আবার উত্থাপন করল। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও, তোমরা যে কাজের দিকে আমাকে ডাকছ তার চেয়ে আমি ভাল অবস্থায় অবস্থান আছি। আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের তিনটি ওয়াসীয়াত করলেন- (১) আরব উপদ্বীপ[1] থেকে মুশরিকদের বহিষ্কার করে দিবে, (২) দূতদের সেরূপ সমাদর করবে যেমন আমি করতাম এবং তৃতীয়টি বলা থেকে তিনি চুপ থাকলেন অথবা বর্ণনাকারী বলেন, তৃতীয়টি আমি ভুলে গেছি। [১১৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৫)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَحْوَلِ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَوْمُ الْخَمِيْسِ وَمَا يَوْمُ الْخَمِيْسِ اشْتَدَّ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعُهُ فَقَالَ ائْتُوْنِيْ أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَنْ تَضِلُّوْا بَعْدَهُ أَبَدًا فَتَنَازَعُوْا وَلَا يَنْبَغِيْ عِنْدَ نَبِيٍّ تَنَازُعٌ فَقَالُوْا مَا شَأْنُهُ أَهَجَرَ اسْتَفْهِمُوْهُ فَذَهَبُوْا يَرُدُّوْنَ عَلَيْهِ فَقَالَ دَعُوْنِيْ فَالَّذِيْ أَنَا فِيْهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُوْنِيْ إِلَيْهِ وَأَوْصَاهُمْ بِثَلَاثٍ قَالَ أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِيْنَ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ وَأَجِيْزُوا الْوَفْدَ بِنَحْوِ مَا كُنْتُ أُجِيْزُهُمْ وَسَكَتَ عَنْ الثَّالِثَةِ أَوْ قَالَ فَنَسِيْتُهَا.
Narrated Ibn `Abbas:
Thursday! And how great that Thursday was! The ailment of Allah's Messenger (ﷺ) became worse (on Thursday) and he said, fetch me something so that I may write to you something after which you will never go astray." The people (present there) differed in this matter, and it was not right to differ before a prophet. Some said, "What is wrong with him ? (Do you think ) he is delirious (seriously ill)? Ask him ( to understand his state )." So they went to the Prophet (ﷺ) and asked him again. The Prophet (ﷺ) said, "Leave me, for my present state is better than what you call me for." Then he ordered them to do three things. He said, "Turn the pagans out of the 'Arabian Peninsula; respect and give gifts to the foreign delegations as you have seen me dealing with them." (Sa`id bin Jubair, the sub-narrator said that Ibn `Abbas kept quiet as rewards the third order, or he said, "I forgot it.")
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩২. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের সময় যখন ঘনিয়ে এলো এবং ঘরে ছিল লোকের সমাবেশ, তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা এসো, আমি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দেই, যেন তোমরা পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট না হয়ে যাও। তখন তাদের মধ্যকার কিছুলোক বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ-যন্ত্রণা কঠিন হয়ে গেছে, আর তোমাদের কাছে তো কুরআন মওজুদ আছে। আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারের লোকজনের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয় এবং তারা পরস্পর বাক-বিতন্ডা করতে থাকেন। তাদের কেউ বললেন, তোমরা তার নিকট যাও, তিনি তোমাদের জন্য কিছু লিখে দিবেন। যাতে তোমরা তাঁর পরে কোন বিভ্রান্তিতে না পড়। আবার কেউ বললেন অন্য কথা। বাক-বিতন্ডা ও মতভেদ যখন চরমে পৌঁছল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা উঠে চলে যাও। ‘উবাইদুল্লাহ (রহ.) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেন, এ ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের (রাঃ) জন্য কিছু লিখে দেয়ার ব্যাপারে তাদের মতবিরোধ ও চেঁচামেচিই মূলত প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। [১১৪; মুসলিম ২৫/৫, হাঃ ১৬৩৭, আহমাদ ৪৪৩২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৬)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا حُضِرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي الْبَيْتِ رِجَالٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَلُمُّوْا أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَا تَضِلُّوْا بَعْدَهُ فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ غَلَبَهُ الْوَجَعُ وَعِنْدَكُمْ الْقُرْآنُ حَسْبُنَا كِتَابُ اللهِ فَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْبَيْتِ وَاخْتَصَمُوْا فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُوْلُ قَرِّبُوْا يَكْتُبُ لَكُمْ كِتَابًا لَا تَضِلُّوْا بَعْدَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُوْلُ غَيْرَ ذَلِكَ فَلَمَّا أَكْثَرُوا اللَّغْوَ وَالِاخْتِلَافَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قُوْمُوْا قَالَ عُبَيْدُ اللهِ فَكَانَ يَقُوْلُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ الرَّزِيَّةَ كُلَّ الرَّزِيَّةِ مَا حَالَ بَيْنَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُمْ ذَلِكَ الْكِتَابَ لِاخْتِلَافِهِمْ وَلَغَطِهِمْ.
Narrated Ubaidullah bin `Abdullah:
Ibn `Abbas said, "When Allah's Messenger (ﷺ) was on his deathbed and there were some men in the house, he said, 'Come near, I will write for you something after which you will not go astray.' Some of them ( i.e. his companions) said, 'Allah's Messenger (ﷺ) is seriously ill and you have the (Holy) Qur'an. Allah's Book is sufficient for us.' So the people in the house differed and started disputing. Some of them said, 'Give him writing material so that he may write for you something after which you will not go astray.' while the others said the other way round. So when their talk and differences increased, Allah's Apostle said, "Get up." Ibn `Abbas used to say, "No doubt, it was very unfortunate (a great disaster) that Allah's Messenger (ﷺ) was prevented from writing for them that writing because of their differences and noise."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৩-৪৪৩৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু-রোগকালে ফাতিমাহ (রাঃ)-কে ডেকে আনলেন এবং চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন ফাতেমাহ (রাঃ) কেঁদে ফেললেন; এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় তাঁকে ডেকে চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন হাসলেন। আমরা এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগে আক্রান্ত আছেন এ রোগেই তাঁর ইন্তিকাল হবে এ কথাই তিনি গোপনে আমাকে বলেছেন। তখন আমি কাঁদলাম। আবার তিনি আমাকে চুপে চুপে বললেন, তাঁর পরিজনের মধ্যে সর্বপ্রথম আমিই তাঁর সঙ্গে মিলিত হব, তখন আমি হাসলাম। [৩৬২৩, ৩৬২৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৭)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ جَمِيْلٍ اللَّخْمِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام فِيْ شَكْوَاهُ الَّذِيْ قُبِضَ فِيْهِ فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَبَكَتْ ثُمَّ دَعَاهَا فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَضَحِكَتْ فَسَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ سَارَّنِي النَّبِيُّ أَنَّهُ يُقْبَضُ فِيْ وَجَعِهِ الَّذِيْ تُوُفِّيَ فِيْهِ فَبَكَيْتُ ثُمَّ سَارَّنِيْ فَأَخْبَرَنِيْ أَنِّيْ أَوَّلُ أَهْلِهِ يَتْبَعُهُ فَضَحِكْتُ.
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) called Fatima during his fatal illness and told her something secretly and she wept. Then he called her again and told her something secretly, and she started laughing. When we asked her about that, she said, "The Prophet (ﷺ) first told me secretly that he would expire in that disease in which he died, so I wept; then he told me secretly that I would be the first of his family to follow him, so I laughed ( at that time).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৩-৪৪৩৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু-রোগকালে ফাতিমাহ (রাঃ)-কে ডেকে আনলেন এবং চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন ফাতেমাহ (রাঃ) কেঁদে ফেললেন; এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় তাঁকে ডেকে চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন হাসলেন। আমরা এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগে আক্রান্ত আছেন এ রোগেই তাঁর ইন্তিকাল হবে এ কথাই তিনি গোপনে আমাকে বলেছেন। তখন আমি কাঁদলাম। আবার তিনি আমাকে চুপে চুপে বললেন, তাঁর পরিজনের মধ্যে সর্বপ্রথম আমিই তাঁর সঙ্গে মিলিত হব, তখন আমি হাসলাম। [৩৬২৩, ৩৬২৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৭)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ جَمِيْلٍ اللَّخْمِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام فِيْ شَكْوَاهُ الَّذِيْ قُبِضَ فِيْهِ فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَبَكَتْ ثُمَّ دَعَاهَا فَسَارَّهَا بِشَيْءٍ فَضَحِكَتْ فَسَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ سَارَّنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يُقْبَضُ فِيْ وَجَعِهِ الَّذِيْ تُوُفِّيَ فِيْهِ فَبَكَيْتُ ثُمَّ سَارَّنِيْ فَأَخْبَرَنِيْ أَنِّيْ أَوَّلُ أَهْلِهِ يَتْبَعُهُ فَضَحِكْتُ.
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) called Fatima during his fatal illness and told her something secretly and she wept. Then he called her again and told her something secretly, and she started laughing. When we asked her about that, she said, "The Prophet (ﷺ) first told me secretly that he would expire in that disease in which he died, so I wept; then he told me secretly that I would be the first of his family to follow him, so I laughed ( at that time).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এ কথা শুনেছিলাম যে, কোন নবী মারা যান না যতক্ষণ না তাঁকে বলা হয় দুনিয়া বা আখিরাতের একটি বেছে নিতে। যে রোগে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন সে রোগে আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যন্ত্রণায় কাতর অবস্থায় বলতে শুনেছি, তাঁদের সঙ্গে যাঁদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা নি‘য়ামাত প্রদান করেছেন- [তাঁরা হলেন- নবী (আঃ)-গণ, সিদ্দীকগণ এবং শাহীদগণ] (সূরাহ আন-নিসা ৪/৬৯)। তখন আমি ধারণা করলাম যে, তাঁকেও একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে। [৪৪৩৬, ৪৪৩৭, ৪৪৬৩, ৪৫৮৬, ৬৩৪৮, ৬৫০৯; মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ ২৪৪৪, আহমাদ ২৬৪৭৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৮)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَسْمَعُ أَنَّهُ لَا يَمُوْتُ نَبِيٌّ حَتَّى يُخَيَّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ فِيْ مَرَضِهِ الَّذِيْ مَاتَ فِيْهِ وَأَخَذَتْهُ بُحَّةٌ يَقُوْلُ (مَعَ الَّذِيْنَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ) الْآيَةَ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ خُيِّرَ.
Narrated `Aisha:
Used to hear (from the Prophet) that no Prophet dies till he is given the option to select either the worldly life or the life of the Hereafter. I heard the Prophet (ﷺ) in his fatal disease, with his voice becoming hoarse, saying, "In the company of those on whom is the grace of Allah ..( to the end of the Verse )." (4.69) Thereupon I thought that the Prophet (ﷺ) had been given the option.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৬. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু-রোগে আক্রান্ত হন, তখন তিনি বলছিলেন, فِي الرَّفِيْقِ الْأَعْلَى অর্থাৎ উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই)। [৪৪৩৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮৯)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَرَضَ الَّذِيْ مَاتَ فِيْهِ جَعَلَ يَقُوْلُ فِي الرَّفِيْقِ الْأَعْلَى
Narrated `Aisha:
When the Prophet (ﷺ) fell ill in his fatal illness, he started saying, "With the highest companion."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৭. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থাবস্থায় বলতেন, জান্নাতে তাঁর স্থান দেখানো ব্যতীত কোন নবী (আঃ)-এর প্রাণ কখনো কবজ করা হয়নি। তারপর তাঁকে জীবন বা মৃত্যু একটি গ্রহণ করতে বলা হয়। এরপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাঁর মাথা ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর উরুতে রাখাবস্থায় তাঁর জান কবজের সময় উপস্থিত হল তখন তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলেন। এরপর যখন তিনি সংজ্ঞা ফিরে পেলেন তখন তিনি ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই)। অনন্তর আমি বললাম, তিনি আর আমাদের মাঝে থাকতে চাচ্ছেন না। এরপর আমি উপলব্ধি করলাম যে, এটা হচ্ছে ঐ কথা যা তিনি আমাদের কাছে সুস্থাবস্থায় বর্ণনা করতেন। [৪৪৩৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯০)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ إِنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَحِيْحٌ يَقُوْلُ إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُحَيَّا أَوْ يُخَيَّرَ فَلَمَّا اشْتَكَى وَحَضَرَهُ الْقَبْضُ وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِ عَائِشَةَ غُشِيَ عَلَيْهِ فَلَمَّا أَفَاقَ شَخَصَ بَصَرُهُ نَحْوَ سَقْفِ الْبَيْتِ ثُمَّ قَالَ اللهُمَّ فِي الرَّفِيْقِ الْأَعْلَى فَقُلْتُ إِذًا لَا يُجَاوِرُنَا فَعَرَفْتُ أَنَّهُ حَدِيْثُهُ الَّذِيْ كَانَ يُحَدِّثُنَا وَهُوَ صَحِيْحٌ.
Narrated Aisha:
When Allah 's Apostle was in good health, he used to say, "Never does a prophet die unless he is shown his place in Paradise ( before his death ), and then he is made alive or given option." When the Prophet became ill and his last moments came while his head was on my thigh, he became unconscious, and when he came to his senses, he looked towards the roof of the house and then said, "O Allah! (Please let me be) with the highest companion." Thereupon I said, "Hence he is not going to stay with us? " Then I came to know that his state was the confirmation of the narration he used to mention to us while he was in good health.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৮. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন। তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় রেখেছিলাম এবং ‘আবদুর রহমানের হাতে তাজা মিসওয়াকের ডাল ছিল যা দিয়ে সে দাঁত পরিষ্কার করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। আমি মিসওয়াকটি নিলাম এবং তা চিবিয়ে নরম করলাম। তারপর তা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দিলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দিয়ে দাঁত মর্দন করলেন। আমি তাঁকে এর পূর্বে এত সুন্দরভাবে মিসওয়াক করতে আর কখনও দেখিনি। এ থেকে অবসর হয়েই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উভয় হাত অথবা আঙ্গুল উপরে উঠিয়ে তিনবার বললেন, উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই) তারপর তিনি ইন্তিকাল করলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলতেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুক ও থুতনির মাঝে ইন্তিকাল করেন। [৮৯০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯১)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
হতে পারে (الرَّفِيْقِ الْأَعْلَى) কথা দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটা বুঝিয়েছেন, যা সূরা আন-নিসার ঊনসত্তরতম আয়াতে এসেছে, যাতে বলা হয়েছে, “যাদের ওপর আল্লাহ তাঁর নি'আমত প্রদান করেছেন, নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ এবং সালেহগণ"। অথবা হতে পারে আল্লাহ তা'আলাই উদ্দেশ্য। অর্থাৎ তিনি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
হাদীসের শিক্ষা
১. কাঁচা গাছের ডাল দিয়েও মিসওয়াক করা যাবে।
২. মিসওয়াককে উপযোগী করে নেয়াতে সমস্যা নেই।
৩. অন্যের মিসওয়াক যদি পরিচ্ছন্ন করা হয় ও পরিষ্কার করে নেয়া হয়, তবে তা দিয়ে মিসওয়াক করাতে দোষ নেই; এর মাধ্যমে মিসওয়াকের গুরুত্ব প্রকাশ পেল। তবে ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তা করা যাবে না।
৪. ইশারা-ইঙ্গিতে যা বুঝা যাবে তা অনুসারে কাজ করা জায়েয। বিশেষ করে যখন কথা বলার মতো অবস্থা থাকবে না।
৫. নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক মিসওয়াকের প্রতি ঐকান্তিক ভালোবাসা।
৬. নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৃঢ় মনোবল ও বিপদাপদে সহিষ্ণুতা এতই উঁচু পর্যায়ের ছিল যে, মৃত্যুর কষ্টের সময়েও তিনি মিসওয়াক ও দো'আর কথা ভুলেননি।
৭. মহান আল্লাহ সকল সৃষ্টির উপরে রয়েছেন এটার প্রমাণ।
৮. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহার ফযীলত ও শ্রেষ্ঠত্ব। নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তার সুন্দর ভালোবাসার জীবন; যার প্রমাণ হচ্ছে তাঁরই দিনে, তাঁরই ঘরে রাসূলের মৃত্যু হওয়া এবং তাঁরই ঘাড় ও গলদেশের মধ্যে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ পর্যন্ত ধারণ করে রাখা।
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَفَّانُ عَنْ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ دَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِيْ بَكْرٍ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِيْ وَمَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سِوَاكٌ رَطْبٌ يَسْتَنُّ بِهِ فَأَبَدَّهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَصَرَهُ فَأَخَذْتُ السِّوَاكَ فَقَصَمْتُهُ وَنَفَضْتُهُ وَطَيَّبْتُهُ ثُمَّ دَفَعْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَنَّ بِهِ فَمَا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَنَّ اسْتِنَانًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ فَمَا عَدَا أَنْ فَرَغَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَهُ أَوْ إِصْبَعَهُ ثُمَّ قَالَ فِي الرَّفِيْقِ الْأَعْلَى ثَلَاثًا ثُمَّ قَضَى وَكَانَتْ تَقُوْلُ مَاتَ بَيْنَ حَاقِنَتِيْ وَذَاقِنَتِي.
Narrated Aisha:
`Abdur-Rahman bin Abu Bakr entered upon the Prophet (ﷺ) while I was supporting the Prophet (ﷺ) on my chest. `AbdurRahman had a fresh Siwak then and he was cleaning his teeth with it. Allah's Messenger (ﷺ) looked at it, so I took the Siwak, cut it (chewed it with my teeth), shook it and made it soft (with water), and then gave it to the Prophet (ﷺ) who cleaned his teeth with it. I had never seen Allah's Messenger (ﷺ) cleaning his teeth in a better way. After finishing the brushing of his teeth, he lifted his hand or his finger and said thrice, "O Allah! Let me be with the highest companions," and then died. `Aisha used to say, "He died while his head was resting between my chest and chin."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৩৯. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন তিনি আশ্রয় প্রার্থনার দুই সূরাহ (ফালাক ও নাস) পাঠ করে নিজ দেহে ফুঁক দিতেন এবং স্বীয় হাত দ্বারা শরীর মাসাহ করতেন। এরপর যখন মৃত্যু-রোগে আক্রান্ত হলেন, তখন আমি আশ্রয় প্রার্থনার সূরাহ দু’টি দিয়ে তাঁর শরীরে ফুঁ দিতাম, যা দিয়ে তিনি ফুঁ দিতেন। আর আমি তাঁর হাত দ্বারা তাঁর শরীর মাসাহ করিয়ে দিতাম। [৫০১৬, ৫৭৩৫, ৫৭৫১; মুসলিম ৩৯/২, হাঃ ২১৯২, আহমাদ ২৬২৪৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯২)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
حِبَّانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُوْنُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِيْ تُوُفِّيَ فِيْهِ طَفِقْتُ أَنْفِثُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِيْ كَانَ يَنْفِثُ وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْهُ.
Narrated Aisha:
Whenever Allah's Messenger (ﷺ) became ill, he used to recite the Muawidhatan (i.e. the last two surahs of the Qur'an) and blow his breath over himself (after their recitation ) and rubbed his hands over his body. So when he was afflicted with his fatal illness. I started reciting the Muawidhatan and blowing my breath over him as he used to do and then I rubbed the hand of the Prophet (ﷺ) over his body.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪০. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পূর্বে যখন তাঁর পিঠ আমার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় ছিল, তখন আমি কান ঝুঁকিয়ে দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন এবং মহান বন্ধুর সঙ্গে আমাকে মিলিত করুন। [৫৬৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৩)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ مُخْتَارٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْغَتْ إِلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَمُوْتَ وَهُوَ مُسْنِدٌ إِلَيَّ ظَهْرَهُ يَقُوْلُ اللهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَأَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ.
Narrated `Aisha:
I heard the Prophet (ﷺ) and listened to him before his death while he was leaning his back on me and saying, "O Allah! Forgive me, and bestow Your Mercy on me, and let me meet the (highest) companions (of the Hereafter)."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪১. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সেই রোগাবস্থায় যাত্থেকে তিনি আর সেরে উঠেননি- বলেন, ইয়াহূদীদের প্রতি আল্লাহ লা’নত করেছেন। তারা তাদের নবীদের (নবীদের) কবরগুলোকে সিজদার জায়গা করে নিয়েছে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) মন্তব্য করেন, তা না হলে তবে তাঁর কবরকেও সিজদার জায়গা বানানোর আশঙ্কা ছিল। [৪৩৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৪)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ هِلَالٍ الْوَزَّانِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ مَرَضِهِ الَّذِيْ لَمْ يَقُمْ مِنْهُ لَعَنَ اللهُ الْيَهُوْدَ اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَوْلَا ذَلِكَ لَأُبْرِزَ قَبْرُهُ خَشِيَ أَنْ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا.
Narrated `Urwa bin Az-Zubair:
`Aisha said, "The Prophet (ﷺ) said during his fatal illness, "Allah cursed the Jews for they took the graves of their prophets as places for worship." `Aisha added, "Had it not been for that (statement of the Prophet ) his grave would have been made conspicuous. But he was afraid that it might be taken as a place for worship."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪২. নবী সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ প্রবল হল ও ব্যথা বেড়ে গেল, তখন তিনি আমার ঘরে সেবা-শুশ্রূষা পাওয়ার ব্যাপারে তাঁর স্ত্রীগণের নিকট অনুমতি চাইলেন। তাঁরা অনুমতি দিলেন। তারপর তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘর থেকে বের হয়ে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও অপর একজন সাহাবীর মাঝে যমীনের উপর পা হিঁচড়ে চলতে লাগলেন। ‘উবাইদুল্লাহ (রহ.) বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে ‘আয়িশাহ কথিত ব্যক্তি সম্পর্কে জানালাম, তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি কি সেই অন্য ব্যক্তিকে জান যার নাম ‘আয়িশাহ (রাঃ) উল্লেখ করেননি? আমি বললাম, না। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি হলেন ‘আলী (রাঃ)। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর ব্যথা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, তোমরা এমন সাত মশক যার মুখ এখনও খোলা হয়নি, তা থেকে আমার শরীরে পানি ঢেলে দাও। যেন আমি (সুস্থ হয়ে) লোকদের নাসীহাত দিতে পারি। এরপর আমরা তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী হাফসাহ (রাঃ)-এর একটি বড় গামলায় বসালাম। তারপর আমরা উক্ত মশক হতে তাঁর উপর ততক্ষণ পর্যন্ত পানি ঢালতে লাগলাম যতক্ষণ না তিনি তাঁর হাত দ্বারা আমাদের ইশারা করে জানালেন যে, তোমরা তোমাদের কাজ পুরা করেছ। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তারপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে জামা‘আতে সালাত আদায় করলেন এবং তাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। [১৯৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৫)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
سَعِيْدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُوْدٍ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِيْ بَيْتِيْ فَأَذِنَّ لَهُ فَخَرَجَ وَهُوَ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلَاهُ فِي الْأَرْضِ بَيْنَ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ قَالَ عُبَيْدُ اللهِ فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللهِ بِالَّذِيْ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ لِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ هَلْ تَدْرِيْ مَنْ الرَّجُلُ الآخَرُ الَّذِيْ لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ وَكَانَتْ عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تُحَدِّثُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَخَلَ بَيْتِيْ وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ قَالَ هَرِيْقُوْا عَلَيَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ لَمْ تُحْلَلْ أَوْكِيَتُهُنَّ لَعَلِّيْ أَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ فَأَجْلَسْنَاهُ فِيْ مِخْضَبٍ لِحَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ طَفِقْنَا نَصُبُّ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْقِرَبِ حَتَّى طَفِقَ يُشِيْرُ إِلَيْنَا بِيَدِهِ أَنْ قَدْ فَعَلْتُنَّ قَالَتْ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَصَلَّى بِهِمْ وَخَطَبَهُمْ.
Narrated Aisha:
(the wife of the Prophet) "When the ailment of Allah's Messenger (ﷺ) became aggravated, he requested his wives to permit him to be (treated) nursed in my house, and they gave him permission. He came out (to my house), walking between two men with his feet dragging on the ground, between `Abbas bin `Abdul--Muttalib and another man" 'Ubaidullah said, "I told `Abdullah of what `Aisha had said, `Abdullah bin `Abbas said to me, 'Do you know who is the other man whom `Aisha did not name?' I said, 'No.' Ibn `Abbas said, 'It was `Ali bin Abu Talib." `Aisha, the wife of the Prophet (ﷺ) used to narrate saying, "When Allah's Messenger (ﷺ) entered my house and his disease became aggravated, he said, " Pour on me the water of seven water skins, the mouths of which have not been untied, so that I may give advice to the people.' So we let him sit in a big basin belonging to Hafsa, the wife of the Prophet (ﷺ) and then started to pour water on him from these water skins till he started pointing to us with his hands intending to say, 'You have done your job." `Aisha added, "Then he went out to the people and led them in prayer and preached to them."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪৩-৪৪৪৪. ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ (রহ.) আমাকে জানালেন যে, ‘আয়িশাহ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ-যাতনায় অস্থির হতেন তখন তিনি তাঁর কালো চাদর দিয়ে নিজ মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতেন। আবার যখন জ্বরের উষ্ণতা কমত তখন মুখমণ্ডল থেকে চাদর সরিয়ে ফেলতেন। রাবী বলেন, এরূপ অবস্থায়ও তিনি বলতেন, ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লা‘নত, তারা তাদের নবীদের (নবীদের) কবরকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। তাদের কৃতকর্ম থেকে সতর্ক করা হয়েছে। [৪৩৫, ৪৩৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৫)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
و أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَائِشَةَ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ قَالَا لَمَّا نَزَلَ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيْصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ وَهُوَ كَذَلِكَ يَقُوْلُ لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوْا.
`Aisha and `Abdullah bin `Abbas said, "When Allah's Messenger (ﷺ) became ill seriously, he started covering his face with his woolen sheet, and when he felt short of breath, he removed it from his face and said, 'That is so! Allah's curse be on the Jews and the Christians, as they took the graves of their prophets as (places of worship),' intending to warn (the Muslims) of what they had done."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪৩-৪৪৪৪. ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ (রহ.) আমাকে জানালেন যে, ‘আয়িশাহ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ-যাতনায় অস্থির হতেন তখন তিনি তাঁর কালো চাদর দিয়ে নিজ মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতেন। আবার যখন জ্বরের উষ্ণতা কমত তখন মুখমণ্ডল থেকে চাদর সরিয়ে ফেলতেন। রাবী বলেন, এরূপ অবস্থায়ও তিনি বলতেন, ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লা‘নত, তারা তাদের নবীদের (নবীদের) কবরকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। তাদের কৃতকর্ম থেকে সতর্ক করা হয়েছে। [৪৩৫, ৪৩৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৫)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
و أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَائِشَةَ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ قَالَا لَمَّا نَزَلَ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيْصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ وَهُوَ كَذَلِكَ يَقُوْلُ لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوْا.
`Aisha and `Abdullah bin `Abbas said, "When Allah's Messenger (ﷺ) became ill seriously, he started covering his face with his woolen sheet, and when he felt short of breath, he removed it from his face and said, 'That is so! Allah's curse be on the Jews and the Christians, as they took the graves of their prophets as (places of worship),' intending to warn (the Muslims) of what they had done."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪৫. ‘উবাইদুল্লাহ (রহ.) বলেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি আবূ বকর (রাঃ)-এর ইমামতের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বারবার আপত্তি করেছি। আর আমার তাঁর কাছে বারবার আপত্তি করার কারণ ছিল এই, আমার অন্তরে এ কথা আসেনি যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরে তাঁর স্থলে কেউ দাঁড়ালে লোকেরা তাকে পছন্দ করবে। বরং আমি মনে করতাম যে, কেউ তাঁর স্থলে দাঁড়ালে লোকেরা তাঁর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করবে, তাই আমি ইচ্ছা করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দায়িত্ব আবূ বকর (রাঃ)-এর পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রদান করুন। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, এ হাদীস ইবনু ‘উমার, আবূ মূসা ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। [১৯৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৫)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ رَاجَعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ ذَلِكَ وَمَا حَمَلَنِيْ عَلَى كَثْرَةِ مُرَاجَعَتِهِ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ فِيْ قَلْبِيْ أَنْ يُحِبَّ النَّاسُ بَعْدَهُ رَجُلًا قَامَ مَقَامَهُ أَبَدًا وَلَا كُنْتُ أُرَى أَنَّهُ لَنْ يَقُوْمَ أَحَدٌ مَقَامَهُ إِلَّا تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ فَأَرَدْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُوْلُ اللهِ عَنْ أَبِيْ بَكْرٍ رَوَاهُ ابْنُ عُمَرَ وَأَبُوْ مُوْسَى وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
`Aisha added, "I argued with Allah's Messenger (ﷺ) repeatedly about that matter (i.e. his order that Abu Bakr should lead the people in prayer in his place when he was ill), and what made me argue so much, was, that it never occurred to my mind that after the Prophet, the people would ever love a man who had taken his place, and I felt that anybody standing in his place, would be a bad omen to the people, so I wanted Allah's Messenger (ﷺ) to give up the idea of choosing Abu Bakr (to lead the people in prayer).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪৬. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করার সময় আমার বুক ও থুতনির মাঝে ছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (মৃত্যু-যন্ত্রণার) পর আমি আর কারো জন্য মৃত্যু-যন্ত্রণাকে খারাপ মনে করি না। [৮৯০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৬)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَاتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّهُ لَبَيْنَ حَاقِنَتِيْ وَذَاقِنَتِيْ فَلَا أَكْرَهُ شِدَّةَ الْمَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) died while he was between my chest and chin, so I never dislike the death agony for anyone after the Prophet.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৪৭. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ হতে বের হয়ে আসেন যখন তিনি মৃত্যুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তখন সাহাবীগণ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবুল হাসান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজ কেমন আছেন? তিনি বললেন, আল্-হাম্দুলিল্লাহ, তিনি কিছুটা সুস্থ। তখন ‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) তাঁর হাত ধরে তাঁকে বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি তিন দিন পরে হবে লাঠির দাস।[1] আল্লাহর শপথ! আমি মনে করি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রোগে অচিরেই ইনতিকাল করবেন। কারণ, আমি আবদুল মুত্তালিবের বংশের অনেকের মৃত্যুকালীন অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছি। চল যাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করি যে, তিনি (নেতৃত্বের) দায়িত্ব কার উপর ন্যস্ত করে যাচ্ছেন। যদি আমাদের মধ্যে থাকে তো তা আমরা জানব। আর যদি আমাদের ব্যতীত অন্যদের উপর ন্যস্ত করে যান, তাহলে তাও আমরা জানতে পারব এবং তিনি অসীয়াত করে যাবেন। তখন ‘আলী (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! যদি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমরা জিজ্ঞেস করি আর তিনি আমাদের নিষেধ করে দেন, তবে তারপরে লোকেরা আর আমাদের তা প্রদান করবে না। আল্লাহর কসম! আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করব না। [৬২৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৭)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ أَبِيْ حَمْزَةَ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّ وَكَانَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَحَدَ الثَلَاثَةِ الَّذِيْنَ تِيْبَ عَلَيْهِمْ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِيْ طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُوْلِ اللهِ فِيْ وَجَعِهِ الَّذِيْ تُوُفِّيَ فِيْهِ فَقَالَ النَّاسُ يَا أَبَا حَسَنٍ كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللهِ بَارِئًا فَأَخَذَ بِيَدِهِ عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ لَهُ أَنْتَ وَاللهِ بَعْدَ ثَلَاثٍ عَبْدُ الْعَصَا وَإِنِّيْ وَاللهِ لَأَرَى رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَوْفَ يُتَوَفَّى مِنْ وَجَعِهِ هَذَا إِنِّيْ لَأَعْرِفُ وُجُوْهَ بَنِيْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عِنْدَ الْمَوْتِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلْنَسْأَلْهُ فِيْمَنْ هَذَا الْأَمْرُ إِنْ كَانَ فِيْنَا عَلِمْنَا ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ فِيْ غَيْرِنَا عَلِمْنَاهُ فَأَوْصَى بِنَا فَقَالَ عَلِيٌّ إِنَّا وَاللهِ لَئِنْ سَأَلْنَاهَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَمَنَعَنَاهَا لَا يُعْطِيْنَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ وَإِنِّيْ وَاللهِ لَا أَسْأَلُهَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Abdullah bin `Abbas:
`Ali bin Abu Talib came out of the house of Allah's Messenger (ﷺ) during his fatal illness. The people asked, "O Abu Hasan (i.e. `Ali)! How is the health of Allah's Messenger (ﷺ) this morning?" `Ali replied, "He has recovered with the Grace of Allah." `Abbas bin `Abdul Muttalib held him by the hand and said to him, "In three days you, by Allah, will be ruled (by somebody else ), And by Allah, I feel that Allah's Apostle will die from this ailment of his, for I know how the faces of the offspring of `Abdul Muttalib look at the time of their death. So let us go to Allah's Messenger (ﷺ) and ask him who will take over the Caliphate. If it is given to us we will know as to it, and if it is given to somebody else, we will inform him so that he may tell the new ruler to take care of us." `Ali said, "By Allah, if we asked Allah's Apostle for it (i.e. the Caliphate) and he denied it us, the people will never give it to us after that. And by Allah, I will not ask Allah's Messenger (ﷺ) for it."