পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮০. হিশামের পিতা [‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)] হতে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের বছর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কা অভিমুখে) রওয়ানা করেছেন। এ সংবাদ কুরাইশদের কাছে পৌঁছলে আবূ সুফ্ইয়ান ইবনু হার্ব, হাকীম ইবনু হিযাম এবং বুদাইল ইবনু ওয়ারকা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংবাদ জানার জন্য। রাতের বেলা সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে (মক্কার অদূরে) মাররুয জাহরান নামক স্থান পর্যন্ত এসে পৌঁছলে তারা আরাফার ময়দানে প্রজ্জ্বলিত আলোর মতো অসংখ্য আগুন দেখতে পেল। আবূ সুফ্ইয়ান বলে উঠল, ঠিক আরাফাহর ময়দানে প্রজ্জ্বলিত আলোর মতো এ সব কিসের আলো? বুদাইল ইবনু ওয়ারকা উত্তর করল, এগুলো ‘আমর গোত্রের (চুলার) আলো। আবূ সুফ্ইয়ান বলল, ‘আমর গোত্রের লোক সংখ্যা এর চেয়ে অনেক কম। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কয়েকজন প্রহরী তাদেরকে দেখে ফেলল এবং কাছে গিয়ে তাদেরকে পাকড়াও করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে এল। এ সময় আবূ সুফ্ইয়ান ইসলাম গ্রহণ করল। এরপর তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন (সেনাবাহিনী সহ) রওয়ানা হলেন তখন ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, আবূ সুফ্ইয়ানকে পথের একটি সংকীর্ণ জায়গায় দাঁড় করাবে, যেন সে মুসলিমদের পুরো সেনাদলটি দেখতে পায়। তাই ‘আব্বাস (রাঃ) তাকে যথাস্থানে থামিয়ে রাখলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আগমনকারী বিভিন্ন গোত্রের লোকজন আলাদা আলাদাভাবে খন্ড দলে আবূ সুফ্ইয়ানের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করতে লাগল। (প্রথমে) একটি দল অতিক্রম করে গেল। আবূ সুফ্ইয়ান বললেন, হে ‘আব্বাস (রাঃ), এরা কারা? ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এরা গিফার গোত্রের লোক। আবূ সুফ্ইয়ান বললেন, আমার এবং গিফার গোত্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ-বিগ্রহ ছিল না। এরপর জুহাইনা গোত্রের লোকেরা অতিক্রম করে গেলেন, আবূ সুফ্ইয়ান অনুরূপ বললেন। তারপর সা‘দ ইবনু হুযাইম গোত্র অতিক্রম করল, তখনো আবূ সুফ্ইয়ান অনুরূপ বললেন। তারপর সুলাইম গোত্র অতিক্রম করলেও আবূ সুফ্ইয়ান অনুরূপ বললেন। অবশেষে একটি বিরাট বাহিনী তার সামনে এল যে, এত বিরাট বাহিনী এ সময় তিনি আর দেখেননি। তাই জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? ‘আব্বাস (রাঃ) উত্তর দিলেন, এরাই আনসারবৃন্দ। সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) তাঁদের দলপতি। তাঁর হাতেই রয়েছে তাঁদের পতাকা। সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) বললেন, হে আবূ সুফ্ইয়ান! আজকের দিন রক্তপাতের দিন, আজকের দিন কা‘বার অভ্যন্তরে রক্তপাত হালাল হওয়ার দিন। আবূ সুফ্ইয়ান বললেন, হে ‘আব্বাস! আজ হারাম ও তার অধিবাসীদের প্রতি তোমাদের করুণা প্রদর্শনেরও কত উত্তম দিন। তারপর আরেকটি দল আসল। এটি ছিল সবচেয়ে ছোট দল। আর এদের মধ্যেই ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ। যুবায়র ইবনুল আওয়াম (রাঃ)-এর হাতে ছিল নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পতাকা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আবূ সুফ্ইয়ানের সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন আবূ সুফ্ইয়ান বললেন, সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ কী বলছে আপনি তা কি জানেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কী বলেছে? আবূ সুফ্ইয়ান বললেন, সে এ রকম এ রকম বলেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সা‘দ ঠিক বলেনি বরং আজ এমন একটি দিন যে দিন আল্লাহ কা‘বাকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আজকের দিনে কা‘বাকে গিলাফে আচ্ছাদিত করা হবে। বর্ণনাকারী বলেন, (মক্কা্য়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজুন নামক স্থানে তাঁর পতাকা স্থাপনের নির্দেশ দেন। বর্ণনাকারী উরওয়া নাফি‘ ইবনু যুবায়র ইবনু মুত্ঈম ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যুবায়র ইবনু আওয়াম (রাঃ)-কে (মক্কা বিজয়ের পর একদা) বললেন, হে আবূ ‘আবদুল্লাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে এ জায়গায়ই পতাকা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ‘উরওয়াহ (রাঃ) আরো বলেন, সে দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালিদ ইবনু ওয়ালীদকে মক্কার উঁচু এলাকা কাদার দিক থেকে প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুদার দিক দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। সেদিন খালিদ ইবনু ওয়ালীদের অশ্বারোহী সৈন্যদের মধ্য থেকে হুবায়শ ইবনুল আশআর এবং কুরয ইবনু জাবির ফিহরী (রাঃ)-এ দু’জন শহীদ হয়েছিলেন। [২৯৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৪৯)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ لَمَّا سَارَ رَسُوْلُ اللهِ عَامَ الْفَتْحِ فَبَلَغَ ذَلِكَ قُرَيْشًا خَرَجَ أَبُوْ سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ وَحَكِيْمُ بْنُ حِزَامٍ وَبُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ يَلْتَمِسُوْنَ الْخَبَرَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلُوْا يَسِيْرُوْنَ حَتَّى أَتَوْا مَرَّ الظَّهْرَانِ فَإِذَا هُمْ بِنِيْرَانٍ كَأَنَّهَا نِيْرَانُ عَرَفَةَ فَقَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ مَا هَذِهِ لَكَأَنَّهَا نِيْرَانُ عَرَفَةَ فَقَالَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ نِيْرَانُ بَنِيْ عَمْرٍو فَقَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ عَمْرٌو أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ فَرَآهُمْ نَاسٌ مِنْ حَرَسِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَدْرَكُوْهُمْ فَأَخَذُوْهُمْ فَأَتَوْا بِهِمْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمَ أَبُوْ سُفْيَانَ فَلَمَّا سَارَ قَالَ لِلْعَبَّاسِ احْبِسْ أَبَا سُفْيَانَ عِنْدَ حَطْمِ الْخَيْلِ حَتَّى يَنْظُرَ إِلَى الْمُسْلِمِيْنَ فَحَبَسَهُ الْعَبَّاسُ فَجَعَلَتْ الْقَبَائِلُ تَمُرُّ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَمُرُّ كَتِيْبَةً كَتِيْبَةً عَلَى أَبِيْ سُفْيَانَ فَمَرَّتْ كَتِيْبَةٌ قَالَ يَا عَبَّاسُ مَنْ هَذِهِ قَالَ هَذِهِ غِفَارُ قَالَ مَا لِيْ وَلِغِفَارَ ثُمَّ مَرَّتْ جُهَيْنَةُ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ مَرَّتْ سَعْدُ بْنُ هُذَيْمٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ وَمَرَّتْ سُلَيْمُ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى أَقْبَلَتْ كَتِيْبَةٌ لَمْ يَرَ مِثْلَهَا قَالَ مَنْ هَذِهِ قَالَ هَؤُلَاءِ الْأَنْصَارُ عَلَيْهِمْ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ مَعَهُ الرَّايَةُ فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ يَا أَبَا سُفْيَانَ الْيَوْمَ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ الْيَوْمَ تُسْتَحَلُّ الْكَعْبَةُ فَقَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ يَا عَبَّاسُ حَبَّذَا يَوْمُ الذِّمَارِ ثُمَّ جَاءَتْ كَتِيْبَةٌ وَهِيَ أَقَلُّ الْكَتَائِبِ فِيْهِمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ وَرَايَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَعَ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ فَلَمَّا مَرَّ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِأَبِيْ سُفْيَانَ قَالَ أَلَمْ تَعْلَمْ مَا قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ قَالَ مَا قَالَ قَالَ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ كَذَبَ سَعْدٌ وَلَكِنْ هَذَا يَوْمٌ يُعَظِّمُ اللهُ فِيْهِ الْكَعْبَةَ وَيَوْمٌ تُكْسَى فِيْهِ الْكَعْبَةُ قَالَ وَأَمَرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُرْكَزَ رَايَتُهُ بِالْحَجُوْنِ قَالَ عُرْوَةُ وَأَخْبَرَنِيْ نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ قَالَ سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ يَقُوْلُ لِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ يَا أَبَا عَبْدِ اللهِ هَا هُنَا أَمَرَكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَرْكُزَ الرَّايَةَ قَالَ وَأَمَرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيْدِ أَنْ يَدْخُلَ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ مِنْ كَدَاءٍ وَدَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ كُدَا فَقُتِلَ مِنْ خَيْلِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيْدِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَوْمَئِذٍ رَجُلَانِ حُبَيْشُ بْنُ الْأَشْعَرِ وَكُرْزُ بْنُ جابِرٍ الْفِهْرِيُّ.

عبيد بن اسماعيل حدثنا ابو اسامة عن هشام عن ابيه قال لما سار رسول الله عام الفتح فبلغ ذلك قريشا خرج ابو سفيان بن حرب وحكيم بن حزام وبديل بن ورقاء يلتمسون الخبر عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فاقبلوا يسيرون حتى اتوا مر الظهران فاذا هم بنيران كانها نيران عرفة فقال ابو سفيان ما هذه لكانها نيران عرفة فقال بديل بن ورقاء نيران بني عمرو فقال ابو سفيان عمرو اقل من ذلك فراهم ناس من حرس رسول الله صلى الله عليه وسلم فادركوهم فاخذوهم فاتوا بهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فاسلم ابو سفيان فلما سار قال للعباس احبس ابا سفيان عند حطم الخيل حتى ينظر الى المسلمين فحبسه العباس فجعلت القباىل تمر مع النبي صلى الله عليه وسلم تمر كتيبة كتيبة على ابي سفيان فمرت كتيبة قال يا عباس من هذه قال هذه غفار قال ما لي ولغفار ثم مرت جهينة قال مثل ذلك ثم مرت سعد بن هذيم فقال مثل ذلك ومرت سليم فقال مثل ذلك حتى اقبلت كتيبة لم ير مثلها قال من هذه قال هولاء الانصار عليهم سعد بن عبادة معه الراية فقال سعد بن عبادة يا ابا سفيان اليوم يوم الملحمة اليوم تستحل الكعبة فقال ابو سفيان يا عباس حبذا يوم الذمار ثم جاءت كتيبة وهي اقل الكتاىب فيهم رسول الله صلى الله عليه وسلم واصحابه وراية النبي صلى الله عليه وسلم مع الزبير بن العوام فلما مر رسول الله صلى الله عليه وسلم بابي سفيان قال الم تعلم ما قال سعد بن عبادة قال ما قال قال كذا وكذا فقال كذب سعد ولكن هذا يوم يعظم الله فيه الكعبة ويوم تكسى فيه الكعبة قال وامر رسول الله صلى الله عليه وسلم ان تركز رايته بالحجون قال عروة واخبرني نافع بن جبير بن مطعم قال سمعت العباس يقول للزبير بن العوام يا ابا عبد الله ها هنا امرك رسول الله صلى الله عليه وسلم ان تركز الراية قال وامر رسول الله صلى الله عليه وسلم يومىذ خالد بن الوليد ان يدخل من اعلى مكة من كداء ودخل النبي صلى الله عليه وسلم من كدا فقتل من خيل خالد بن الوليد رضي الله عنه يومىذ رجلان حبيش بن الاشعر وكرز بن جابر الفهري.


Narrated Hisham's father:

When Allah's Messenger (ﷺ) set out (towards Mecca) during the year of the Conquest (of Mecca) and this news reached (the infidels of Quraish), Abu Sufyan, Hakim bin Hizam and Budail bin Warqa came out to gather information about Allah's Messenger (ﷺ) , They proceeded on their way till they reached a place called Marr-az-Zahran (which is near Mecca). Behold! There they saw many fires as if they were the fires of `Arafat. Abu Sufyan said, "What is this? It looked like the fires of `Arafat." Budail bin Warqa' said, "Banu `Amr are less in number than that." Some of the guards of Allah's Messenger (ﷺ) saw them and took them over, caught them and brought them to Allah's Messenger (ﷺ). Abu Sufyan embraced Islam. When the Prophet (ﷺ) proceeded, he said to Al-Abbas, "Keep Abu Sufyan standing at the top of the mountain so that he would look at the Muslims. So Al-`Abbas kept him standing (at that place) and the tribes with the Prophet (ﷺ) started passing in front of Abu Sufyan in military batches. A batch passed and Abu Sufyan said, "O `Abbas Who are these?" `Abbas said, "They are (Banu) Ghifar." Abu Sufyan said, I have got nothing to do with Ghifar." Then (a batch of the tribe of) Juhaina passed by and he said similarly as above. Then (a batch of the tribe of) Sa`d bin Huzaim passed by and he said similarly as above. then (Banu) Sulaim passed by and he said similarly as above. Then came a batch, the like of which Abu Sufyan had not seen. He said, "Who are these?" `Abbas said, "They are the Ansar headed by Sa`d bin Ubada, the one holding the flag." Sa`d bin Ubada said, "O Abu Sufyan! Today is the day of a great battle and today (what is prohibited in) the Ka`ba will be permissible." Abu Sufyan said., "O `Abbas! How excellent the day of destruction is! "Then came another batch (of warriors) which was the smallest of all the batches, and in it there was Allah's Messenger (ﷺ) and his companions and the flag of the Prophet (ﷺ) was carried by Az-Zubair bin Al Awwam. When Allah's Messenger (ﷺ) passed by Abu Sufyan, the latter said, (to the Prophet), "Do you know what Sa`d bin 'Ubada said?" The Prophet (ﷺ) said, "What did he say?" Abu Sufyan said, "He said so-and-so." The Prophet (ﷺ) said, "Sa`d told a lie, but today Allah will give superiority to the Ka`ba and today the Ka`ba will be covered with a (cloth) covering." Allah's Messenger (ﷺ) ordered that his flag be fixed at Al-Hajun. Narrated `Urwa: Nafi` bin Jubair bin Mut`im said, "I heard Al-Abbas saying to Az-Zubair bin Al- `Awwam, 'O Abu `Abdullah ! Did Allah's Messenger (ﷺ) order you to fix the flag here?' " Allah's Messenger (ﷺ) ordered Khalid bin Al-Walid to enter Mecca from its upper part from Ka'da while the Prophet (ﷺ) himself entered from Kuda. Two men from the cavalry of Khalid bin Al-Wahd named Hubaish bin Al-Ash'ar and Kurz bin Jabir Al-Fihri were martyred on that day.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮১. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর উটনীর উপর দেখেছি, তিনি ‘তারজী’ অর্থাৎ পূর্ণ তাজভীদ সহকারে সূরাহ আল-ফাত্হ তিলাওয়াত করছেন। বর্ণনাকারী মু‘আবিয়াহ ইবনু কুররাহ (রহ.) বলেন, যদি আমার চারপাশে লোকজন জমায়েত হওয়ার আশঙ্কা না থাকত, তা হলে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তিলাওয়াত বর্ণনা করতে যেভাবে তারজী করেছিলেন আমিও ঠিক সে রকমে তারজী করে তিলাওয়াত করতাম। [৪৮৩৫, ৫০৩৪, ৫০৪৭, ৭৫৪০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫০)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

أَبُو الْوَلِيْدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُغَفَّلٍ يَقُوْلُ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَى نَاقَتِهِ وَهُوَ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْفَتْحِ يُرَجِّعُ وَقَالَ لَوْلَا أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ حَوْلِيْ لَرَجَّعْتُ كَمَا رَجَّعَ.

ابو الوليد حدثنا شعبة عن معاوية بن قرة قال سمعت عبد الله بن مغفل يقول رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم فتح مكة على ناقته وهو يقرا سورة الفتح يرجع وقال لولا ان يجتمع الناس حولي لرجعت كما رجع.


Narrated `Abdullah bin Mughaffal:

I saw Allah's Messenger (ﷺ) on the day of the Conquest of Mecca over his she-camel, reciting Surat-al-Fath in a vibrant quivering tone. (The sub-narrator, Mu'awiya added, "Were I not afraid that the people may gather around me, I would recite in vibrant quivering tone as he (i.e. `Abdullah bin Mughaffal) did, imitating Allah's Messenger (ﷺ).")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮২. উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি মক্কা বিজয়ের কালে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আগামীকাল আপনি কোথায় অবস্থান করবেন? নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আকীল কি আমাদের জন্য কোন বাড়ি অবশিষ্ট রেখে গেছে? [১৫৮৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫১)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِيْ حَفْصَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ زَمَنَ الْفَتْحِ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيْلٌ مِنْ مَنْزِلٍ؟

سليمان بن عبد الرحمن حدثنا سعدان بن يحيى حدثنا محمد بن ابي حفصة عن الزهري عن علي بن حسين عن عمرو بن عثمان عن اسامة بن زيد انه قال زمن الفتح يا رسول الله اين تنزل غدا قال النبي صلى الله عليه وسلم وهل ترك لنا عقيل من منزل؟


Narrated `Amr bin `Uthman:

Usama bin Zaid said during the Conquest (of Mecca), "O Allah's Messenger (ﷺ)! Where will we encamp tomorrow?" The Prophet (ﷺ) said, "But has `Aqil left for us any house to lodge in?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮৩. এরপর তিনি বললেন, মুমিন ব্যক্তি কাফিরের ওয়ারিশ হয় না, আর কাফিরও মু’মিন ব্যক্তির ওয়ারিশ হয় না।[1] (পরবর্তীকালে) যুহরী (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আবূ তালিবের ওয়ারিশ কে হয়েছিল? তিনি বলেছেন, আকীল এবং তালিব তার ওয়ারিশ হয়েছিল। মা‘মার (রহ.) যুহরী (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আপনি আগামীকাল কোথায় অবস্থান করবেন কথাটি (উসামাহ ইবনু যায়িদ) রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার হাজ্জের সফরে জিজ্ঞেস করেছিলেন। কিন্তু ইউনুস (রহ.) তাঁর হাদীসে মক্কা বিজয়ের সময় বা হাজ্জের সফর কোনটিরই উল্লেখ করেননি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫১)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

ثُمَّ قَالَ لَا يَرِثُ الْمُؤْمِنُ الْكَافِرَ وَلَا يَرِثُ الْكَافِرُ الْمُؤْمِنَ قِيْلَ لِلزُّهْرِيِّ وَمَنْ وَرِثَ أَبَا طَالِبٍ قَالَ وَرِثَهُ عَقِيْلٌ وَطَالِبٌ قَالَ مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا فِيْ حَجَّتِهِ وَلَمْ يَقُلْ يُوْنُسُ حَجَّتِهِ وَلَا زَمَنَ الْفَتْحِ.

ثم قال لا يرث المومن الكافر ولا يرث الكافر المومن قيل للزهري ومن ورث ابا طالب قال ورثه عقيل وطالب قال معمر عن الزهري اين تنزل غدا في حجته ولم يقل يونس حجته ولا زمن الفتح.


He then added, "No believer will inherit an infidel's property, and no infidel will inherit the property of a believer." Az- Zuhri was asked, "Who inherited Abu Talib?" Az-Zuhri replied, "Ail and Talib inherited him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (মক্কা বিজয়ের পূর্বে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আমাদেরকে বিজয় দান করলে ইনশাআল্লাহ ‘খাইফ’ হবে আমাদের অবস্থানস্থল, যেখানে কাফিররা কুফরীর উপর পরস্পরে শপথ গ্রহণ করেছিল।[1] [১৫৮৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫২)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

أَبُو الْيَمَانِ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْزِلُنَا إِنْ شَاءَ اللهُ إِذَا فَتَحَ اللهُ الْخَيْفُ حَيْثُ تَقَاسَمُوْا عَلَى الْكُفْرِ.

ابو اليمان حدثنا شعيب حدثنا ابو الزناد عن عبد الرحمن عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم منزلنا ان شاء الله اذا فتح الله الخيف حيث تقاسموا على الكفر.


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "If Allah makes us victorious, our encamping place will be Al-Khaif, the place where the infidels took an oath to be loyal to Heathenism (by boycotting Banu Hashim, the Prophet's folk).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনাইনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে বললেন, বানী কিনানার খায়ফ নামক স্থানই হবে আমাদের আগামীকালের অবস্থানস্থল, যেখানে কাফিররা কুফরের উপর পরস্পর শপথ গ্রহণ করেছিল। [১৫৮৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫৩)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ أَرَادَ حُنَيْنًا مَنْزِلُنَا غَدًا إِنْ شَاءَ اللهُ بِخَيْفِ بَنِيْ كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوْا عَلَى الْكُفْرِ.

موسى بن اسماعيل حدثنا ابراهيم بن سعد اخبرنا ابن شهاب عن ابي سلمة عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم حين اراد حنينا منزلنا غدا ان شاء الله بخيف بني كنانة حيث تقاسموا على الكفر.


Narrated Abu Huraira:

When Allah's Messenger (ﷺ) intended to carry on the Ghazwa of Hunain, he said, "Tomorrow, if Allah wished, our encamping) plaice will be Khaif Bani Kinana where (the infidels) took an oath to be loyal to Heathenism."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথায় লোহার টুপি পরিহিত অবস্থায় মক্কা্য় প্রবেশ করেছেন। তিনি সবেমাত্র টুপি খুলেছেন এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, ইবনু খাতাল কা‘বার গিলাফ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে হত্যা কর।[1] ইমাম মালিক (রহ.) বলেছেন, আমাদের ধারণামতে সেদিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় ছিলেন না। তবে আল্লাহ আমাদের চেয়ে ভাল জানেন। [১৮৪৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫৪)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ اقْتُلْهُ قَالَ مَالِكٌ وَلَمْ يَكُنْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ يَوْمَئِذٍ مُحْرِمًا.

يحيى بن قزعة حدثنا مالك عن ابن شهاب عن انس بن مالك رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم دخل مكة يوم الفتح وعلى راسه المغفر فلما نزعه جاء رجل فقال ابن خطل متعلق باستار الكعبة فقال اقتله قال مالك ولم يكن النبي صلى الله عليه وسلم فيما نرى والله اعلم يومىذ محرما.


Narrated Anas bin Malik:

On the day of the Conquest, the Prophet (ﷺ) entered Mecca, wearing a helmet on his head. When he took it off, a man came and said, "Ibn Khatal is clinging to the curtain of the Ka`ba." The Prophet (ﷺ) said, "Kill him." (Malik a sub-narrator said, "On that day the Prophet (ﷺ) was not in a state of Ihram as it appeared to us, and Allah knows better.")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮৭. ‘আবদুল্লাহ [ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা্য় প্রবেশ করলেন, তখন বাইতুল্লাহর চারপাশ ঘিরে তিনশত ষাটটি প্রতিমা স্থাপিত ছিল। তিনি হাতে একটি লাঠি নিয়ে প্রতিমাগুলোকে আঘাত করতে থাকলেন আর বলতে থাকলেন, হাক এসেছে, বাতিল অপসৃত হয়েছে। হাক এসেছে, বাতিলের উদ্ভব বা পুনরুত্থান আর ঘটবে না। [২৪৭৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫৫)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ ابْنِ أَبِيْ نَجِيْحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ أَبِيْ مَعْمَرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْبَيْتِ سِتُّوْنَ وَثَلَاثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعُنُهَا بِعُوْدٍ فِيْ يَدِهِ وَيَقُوْلُ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيْدُ.

صدقة بن الفضل اخبرنا ابن عيينة عن ابن ابي نجيح عن مجاهد عن ابي معمر عن عبد الله رضي الله عنه قال دخل النبي صلى الله عليه وسلم مكة يوم الفتح وحول البيت ستون وثلاث ماىة نصب فجعل يطعنها بعود في يده ويقول جاء الحق وزهق الباطل جاء الحق وما يبدى الباطل وما يعيد.


Narrated `Abdullah:

When the Prophet (ﷺ) entered Mecca on the day of the Conquest, there were 360 idols around the Ka`ba. The Prophet (ﷺ) started striking them with a stick he had in his hand and was saying, "Truth has come and Falsehood will neither start nor will it reappear.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৯. মক্কাহ বিজয়ের দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় ঝান্ডা স্থাপন করেছিলেন।

৪২৮৮. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা্য় আগমন করার পর তৎক্ষণাৎ বাইতুল্লাহর ভিতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রইলেন, কেননা সে সময় বাইতুল্লাহর ভিতরে অনেক প্রতিমা স্থাপিত ছিল। প্রতিমাগুলো বের করে ফেলা হল। তখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আঃ)-এর মূর্তিও বেরিয়ে আসল। তাদের উভয়ের হাতে ছিল মুশরিকদের ভাগ্য নির্ণয়ের কয়েকটি তীর। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। তারা অবশ্যই জানত যে, ইব্রাহীম (আঃ) ও ইসমাঈল (আঃ) কক্ষনো তীর দিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করেননি। এরপর তিনি বাইতুল্লাহর ভিতরে প্রবেশ করলেন। আর প্রত্যেক কোণায় কোণায় গিয়ে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিলেন এবং বেরিয়ে আসলেন। আর সেখানে সালাত আদায় করেননি। মা‘মার (রহ.) আইয়ুব (রহ.) সূত্রে এবং ওয়াহায়ব (রহ.) আইয়ুব (রহ.)-এর মাধ্যমে ‘ইকরামাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। [৩৯৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫৬)

بَاب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ

إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ أَبَى أَنْ يَدْخُلَ الْبَيْتَ وَفِيْهِ الْآلِهَةُ فَأَمَرَ بِهَا فَأُخْرِجَتْ فَأُخْرِجَ صُوْرَةُ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ فِيْ أَيْدِيْهِمَا مِنَ الْأَزْلَامِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاتَلَهُمْ اللهُ لَقَدْ عَلِمُوْا مَا اسْتَقْسَمَا بِهَا قَطُّ ثُمَّ دَخَلَ الْبَيْتَ فَكَبَّرَ فِيْ نَوَاحِي الْبَيْتِ وَخَرَجَ وَلَمْ يُصَلِّ فِيْهِ تَابَعَهُ مَعْمَرٌ عَنْ أَيُّوْبَ وَقَالَ وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

اسحاق حدثنا عبد الصمد قال حدثني ابي حدثنا ايوب عن عكرمة عن ابن عباس رضي الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لما قدم مكة ابى ان يدخل البيت وفيه الالهة فامر بها فاخرجت فاخرج صورة ابراهيم واسماعيل في ايديهما من الازلام فقال النبي صلى الله عليه وسلم قاتلهم الله لقد علموا ما استقسما بها قط ثم دخل البيت فكبر في نواحي البيت وخرج ولم يصل فيه تابعه معمر عن ايوب وقال وهيب حدثنا ايوب عن عكرمة عن النبي صلى الله عليه وسلم .


Narrated Ibn `Abbas:

When Allah's Messenger (ﷺ) arrived in Mecca, he refused to enter the Ka`ba while there were idols in it. So he ordered that they be taken out. The pictures of the (Prophets) Abraham and Ishmael, holding arrows of divination in their hands, were carried out. The Prophet (ﷺ) said, "May Allah ruin them (i.e. the infidels) for they knew very well that they (i.e. Abraham and Ishmael) never drew lots by these (divination arrows). Then the Prophet (ﷺ) entered the Ka`ba and said. "Allahu Akbar" in all its directions and came out and not offer any prayer therein.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে