পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪১৯৫. সুওয়াইদ ইবনু নু’মান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (সুওয়াইদ ইবনু নু’মান) খাইবার অভিযানের বছর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। [তিনি বলেন] যখন আমরা খাইবারের নীচু এলাকায় ‘সাহ্বা’ নামক স্থানে পৌঁছলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসরের সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি পাথেয় পরিবেশন করতে হুকুম দিলেন। কিন্তু ছাতু ব্যতীত আর কিছুই দেয়া গেল না। তিনি ছাতু গুলতে বললেন। ছাতু গুলা হলো। তখন তিনিও খেলেন, আমরাও খেলাম। তারপর তিনি মাগরিবের সালাতের জন্য উঠে পড়লেন এবং কুল্লি করলেন। আমরাও কুল্লি করলাম। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন আর সেজন্য নতুনভাবে ‘উযূ করলেন না। [২০৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৭৮)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ النُّعْمَانِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَامَ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ وَهِيَ مِنْ أَدْنَى خَيْبَرَ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَعَا بِالأَزْوَادِ فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيْقِ فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِّيَ فَأَكَلَ وَأَكَلْنَا ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ.

عبد الله بن مسلمة عن مالك عن يحيى بن سعيد عن بشير بن يسار ان سويد بن النعمان اخبره انه خرج مع النبي صلى الله عليه وسلم عام خيبر حتى اذا كنا بالصهباء وهي من ادنى خيبر صلى العصر ثم دعا بالازواد فلم يوت الا بالسويق فامر به فثري فاكل واكلنا ثم قام الى المغرب فمضمض ومضمضنا ثم صلى ولم يتوضا.


Narrated Suwaid bin An-Nu`man:

I went out in the company of the Prophet (ﷺ) in the year of Khaibar, and when we reached As Sahba' which is the lower part of Khaibar, the Prophet (ﷺ) offered the `Asr prayer and then asked the people to collect the journey food. Nothing was brought but Sawiq which the Prophet (ﷺ) ordered to be moistened with water, and then he ate it and we also ate it. Then he got up to offer the Maghrib prayer. He washed his mouth, and we too washed our mouths, and then he offered the prayer without repeating his abulution.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪১৯৬. সালামাহ ইবনু আকওয়া‘ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে খাইবার অভিযানে বেরোলাম। আমরা রাতের বেলা চলছিলাম, তখন দলের এক ব্যক্তি ‘আমির (রাঃ)-কে বলল, হে ‘আমির! তোমার সমর সঙ্গীত থেকে আমাদেরকে কিছু শোনাবে না কি? ‘আমির (রাঃ) ছিলেন একজন কবি। তখন তিনি সওয়ারী থেকে নামলেন এবং সঙ্গীতের তালে তালে কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে চললেন। তিনি গাইলেনঃ

হে আল্লাহ! তুমি না হলে আমরা হিদায়াত লাভ করতাম না,

সাদাকা দিতাম না আর সালাত আদায় করতাম না।

তাই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন, যতদিন আপনার প্রতি সমর্পিত হয়ে থাকব।

আমাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন এবং শত্রুর মুকাবালায় আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন।

আমাদেরকে যখন (কুফরের দিকে) ডাকা হয় আমরা তখন তা প্রত্যাখ্যান করি।

আর এ কারণে তারা চীৎকার করে আমাদের বিরুদ্ধে লোক-লস্কর জমা করে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ সঙ্গীতের গায়ক কে? তাঁরা বললেন, ‘আমির ইবনুল আকওয়া‘। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন। কাফেলার একজন বললঃ হে আল্লাহর নবী! তার (শাহাদাত) নিশ্চিত হয়ে গেল। (হায়) আমাদেরকে যদি তার নিকট হতে আরো উপকার লাভের সুযোগ দিতেন! অতঃপর আমরা খাইবারে পৌঁছলাম এবং তাদেরকে অবরোধ করলাম। এক সময় আমরা ভীষণ ক্ষুধায় আক্রান্ত হলাম। কিন্তু পরেই মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলেন। বিজয়ের দিন সন্ধ্যায় মুসলিমগণ (রান্নার জন্য) অনেক আগুন জ্বালালেন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ এ সব কিসের আগুন? তোমরা কী রান্না করছ? তারা জানালেন, মাংস। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসের মাংস? লোকেরা বললেন, গৃহপালিত গাধার মাংস। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এগুলি ঢেলে দাও এবং ডেকচিগুলো ভেঙ্গে ফেল। একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গোশ্তগুলো ঢেলে দিয়ে যদি পাত্রগুলো ধুয়ে নেই? তিনি বললেন, তাও করতে পার। এরপর যখন সবাই যুদ্ধের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িলে গেলেন, আর ‘আমির ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ)-এর তলোয়ারটা ছিল ছোট, তা দিয়ে তিনি জনৈক ইয়াহূদীর পায়ের গোছায় আঘাত করলে তরবারির তীক্ষ্ণ ভাগ ঘুরে এসে তাঁর নিজের হাঁটুতে লেগে যায়। এতে তিনি মারা যান। সালামাহ ইবনুল আকওয়া‘ (রাঃ) বলেনঃ তারপর লোকেরা খাইবার থেকে ফিরতে শুরু করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখে আমার হাত ধরে বললেন, কী খবর? আমি বললামঃ আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। লোকজন ধারণা করছে, (নিজ আঘাতে মারা যাওয়ায়) ‘আমির (রাঃ)-এর ‘আমল নষ্ট হয়ে গেছে। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ কথা যে বলেছে সে মিথ্যা বলেছে। বরং ‘আমিরের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দু’টি আঙ্গুল একত্রিত করে দেখালেন। অবশ্যই সে একজন সচেষ্ট ব্যক্তি ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী। তাঁর মত গুণের অধিকারী আরাব খুব কমই আছে। আমাদের নিকট হাতিম কুতাইবাহর মাধ্যমে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৭৯)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ عَنْ يَزِيْدَ بْنِ أَبِيْ عُبَيْدٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى خَيْبَرَ فَسِرْنَا لَيْلًا فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرٍ يَا عَامِرُ أَلَا تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلًا شَاعِرًا فَنَزَلَ يَحْدُوْ بِالْقَوْمِ يَقُوْلُ :
اللهُمَّ لَوْلَا أَنْـتَ مَا اهْتَدَيْنـَا وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَـا
فَاغْفِرْ فِدَاءً لَـكَ مَا أَبْقَيْـنَا وَأَلْقِيَنْ سَكِيْنَـةً عَلَـيْـنَا
وَثَبِّتْ الْأَقْـدَامَ إِنْ لَاقَـيْـنَا إِنَّا إِذَا صِيْحَ بِنَـا أَبَـيْنَـا
وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوْا عَلَيْنَا
فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ هَذَا السَّائِقُ قَالُوْا عَامِرُ بْنُ الْأَكْوَعِ قَالَ يَرْحَمُهُ اللهُ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ وَجَبَتْ يَا نَبِيَّ اللهِ لَوْلَا أَمْتَعْتَنَا بِهِ فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَاصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيْدَةٌ ثُمَّ إِنَّ اللهَ تَعَالَى فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ مَسَاءَ الْيَوْمِ الَّذِيْ فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ أَوْقَدُوْا نِيْرَانًا كَثِيْرَةً فَقَالَ النَّبِيُّ مَا هَذِهِ النِّيرَانُ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُوْقِدُوْنَ قَالُوْا عَلَى لَحْمٍ قَالَ عَلَى أَيِّ لَحْمٍ قَالُوْا لَحْمِ حُمُرِ الإِنْسِيَّةِ قَالَ النَّبِيُّ أَهْرِيْقُوْهَا وَاكْسِرُوْهَا فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَوْ نُهَرِيْقُهَا وَنَغْسِلُهَا قَالَ أَوْ ذَاكَ فَلَمَّا تَصَافَّ الْقَوْمُ كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ قَصِيْرًا فَتَنَاوَلَ بِهِ سَاقَ يَهُوْدِيٍّ لِيَضْرِبَهُ وَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ فَأَصَابَ عَيْنَ رُكْبَةِ عَامِرٍ فَمَاتَ مِنْهُ قَالَ فَلَمَّا قَفَلُوْا قَالَ سَلَمَةُ رَآنِيْ رَسُوْلُ اللهِ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِيْ قَالَ مَا لَكَ قُلْتُ لَهُ فَدَاكَ أَبِيْ وَأُمِّيْ زَعَمُوْا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ قَالَ النَّبِيُّ كَذَبَ مَنْ قَالَهُ إِنَّ لَهُ لَأَجْرَيْنِ وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشَى بِهَا مِثْلَهُ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ قَالَ نَشَأَ بِهَا.

عبد الله بن مسلمة حدثنا حاتم بن اسماعيل عن يزيد بن ابي عبيد عن سلمة بن الاكوع رضي الله عنه قال خرجنا مع النبي صلى الله عليه وسلم الى خيبر فسرنا ليلا فقال رجل من القوم لعامر يا عامر الا تسمعنا من هنيهاتك وكان عامر رجلا شاعرا فنزل يحدو بالقوم يقول : اللهم لولا انـت ما اهتدينـا ولا تصدقنا ولا صلينـا فاغفر فداء لـك ما ابقيـنا والقين سكينـة علـيـنا وثبت الاقـدام ان لاقـيـنا انا اذا صيح بنـا ابـينـا وبالصياح عولوا علينا فقال رسول الله من هذا الساىق قالوا عامر بن الاكوع قال يرحمه الله قال رجل من القوم وجبت يا نبي الله لولا امتعتنا به فاتينا خيبر فحاصرناهم حتى اصابتنا مخمصة شديدة ثم ان الله تعالى فتحها عليهم فلما امسى الناس مساء اليوم الذي فتحت عليهم اوقدوا نيرانا كثيرة فقال النبي ما هذه النيران على اي شيء توقدون قالوا على لحم قال على اي لحم قالوا لحم حمر الانسية قال النبي اهريقوها واكسروها فقال رجل يا رسول الله او نهريقها ونغسلها قال او ذاك فلما تصاف القوم كان سيف عامر قصيرا فتناول به ساق يهودي ليضربه ويرجع ذباب سيفه فاصاب عين ركبة عامر فمات منه قال فلما قفلوا قال سلمة راني رسول الله وهو اخذ بيدي قال ما لك قلت له فداك ابي وامي زعموا ان عامرا حبط عمله قال النبي كذب من قاله ان له لاجرين وجمع بين اصبعيه انه لجاهد مجاهد قل عربي مشى بها مثله حدثنا قتيبة حدثنا حاتم قال نشا بها.


Narrated Salama bin Al-Akwa`:

We went out to Khaibar in the company of the Prophet. While we were proceeding at night, a man from the group said to 'Amir, "O 'Amir! Won't you let us hear your poetry?" 'Amir was a poet, so he got down and started reciting for the people poetry that kept pace with the camels' footsteps, saying:-- "O Allah! Without You we Would not have been guided On the right path Neither would be have given In charity, nor would We have prayed. So please forgive us, what we have committed (i.e. our defects); let all of us Be sacrificed for Your Cause And send Sakina (i.e. calmness) Upon us to make our feet firm When we meet our enemy, and If they will call us towards An unjust thing, We will refuse. The infidels have made a hue and Cry to ask others' help Against us." The Prophet (ﷺ) on that, asked, "Who is that (camel) driver (reciting poetry)?" The people said, "He is 'Amir bin Al-Akwa`." Then the Prophet (ﷺ) said, "May Allah bestow His Mercy on him." A man amongst the people said, "O Allah's Prophet! has (martyrdom) been granted to him. Would that you let us enjoy his company longer." Then we reached and besieged Khaibar till we were afflicted with severe hunger. Then Allah helped the Muslims conquer it (i.e. Khaibar). In the evening of the day of the conquest of the city, the Muslims made huge fires. The Prophet (ﷺ) said, "What are these fires? For cooking what, are you making the fire?" The people replied, "(For cooking) meat." He asked, "What kind of meat?" They (i.e. people) said, "The meat of donkeys." The Prophet (ﷺ) said, "Throw away the meat and break the pots!" Some man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall we throw away the meat and wash the pots instead?" He said, "(Yes, you can do) that too." So when the army files were arranged in rows (for the clash), 'Amir's sword was short and he aimed at the leg of a Jew to strike it, but the sharp blade of the sword returned to him and injured his own knee, and that caused him to die. When they returned from the battle, Allah's Messenger (ﷺ) saw me (in a sad mood). He took my hand and said, "What is bothering you?" I replied, "Let my father and mother be sacrificed for you! The people say that the deeds of 'Amir are lost." The Prophet (ﷺ) said, "Whoever says so, is mistaken, for 'Amir has got a double reward." The Prophet raised two fingers and added, "He (i.e. Amir) was a persevering struggler in the Cause of Allah and there are few 'Arabs who achieved the like of (good deeds) 'Amir had done."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪১৯৭. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিকালে খাইবারে পৌঁছলেন। আর তিনি (কোন অভিযানে) কোন গোত্রের এলাকায় রাত্রিকালে গিয়ে পৌঁছলে, সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাদের উপর আক্রমণ চালাতেন না। সকাল হলে ইয়াহূদীরা তাদের কৃষি সরঞ্জাম ও টুকরি নিয়ে বাইরে আসল, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেল, তখন তারা (ভয়ে) বলতে লাগল, মুহাম্মাদ, আল্লাহর কসম, মুহাম্মাদ তার দলবল নিয়ে এসে পড়েছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খাইবার ধ্বংস হয়েছে। আমরা যখনই কোন গোত্রের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হই তখন সেই সতর্ক করা গোত্রের সকাল হয় মন্দভাবে। [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮০)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيْلِ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى خَيْبَرَ لَيْلًا وَكَانَ إِذَا أَتَى قَوْمًا بِلَيْلٍ لَمْ يُغِرْ بِهِمْ حَتَّى يُصْبِحَ فَلَمَّا أَصْبَحَ خَرَجَتْ الْيَهُوْدُ بِمَسَاحِيْهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوْا مُحَمَّدٌ وَاللهِ مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيْسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِيْنَ.

عبد الله بن يوسف اخبرنا مالك عن حميد الطويل عن انس رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اتى خيبر ليلا وكان اذا اتى قوما بليل لم يغر بهم حتى يصبح فلما اصبح خرجت اليهود بمساحيهم ومكاتلهم فلما راوه قالوا محمد والله محمد والخميس فقال النبي صلى الله عليه وسلم خربت خيبر انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين.


Narrated Anas:

Allah's Messenger (ﷺ) reached Khaibar at night and it was his habit that, whenever he reached the enemy at night, he will not attack them till it was morning. When it was morning, the Jews came out with their spades and baskets, and when they saw him(i.e. the Prophet (ﷺ) ), they said, "Muhammad! By Allah! Muhammad and his army!" The Prophet (ﷺ) said, "Khaibar is destroyed, for whenever we approach a (hostile) nation (to fight), then evil will be the morning for those who have been warned."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪১৯৮. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খুব সকালে খাইবারে গিয়ে পৌঁছলাম। তখন সেখানকার লোকেরা কৃষির সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। তারা যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেল তখন বলল, মুহাম্মাদ, আল্লাহর কসম, মুহাম্মাদ তার দলবল নিয়ে এসে পড়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহু আকবার) ধ্বনি উচ্চারণ করে বললেন, খাইবার ধ্বংস হয়েছে। আমরা যখনই কোন গোত্রের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হই, তখন সেই সতর্ক করা গোত্রের সকাল হয় মন্দভাবে। [আনাস (রাঃ) বলেন] এ যুদ্ধে আমরা গাধার মাংস লাভ করেছিলাম (আর তা পাক করা হচ্ছিল)। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন। কারণ তা নাপাক। [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮১)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيْرِيْنَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَبَّحْنَا خَيْبَرَ بُكْرَةً فَخَرَجَ أَهْلُهَا بِالْمَسَاحِيْ فَلَمَّا بَصُرُوْا بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوْا مُحَمَّدٌ وَاللهِ مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيْسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اللهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِيْنَ فَأَصَبْنَا مِنْ لُحُوْمِ الْحُمُرِ فَنَادَى مُنَادِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُوْمِ الْحُمُرِ فَإِنَّهَا رِجْسٌ.

اخبرنا صدقة بن الفضل اخبرنا ابن عيينة حدثنا ايوب عن محمد بن سيرين عن انس بن مالك رضي الله عنه قال صبحنا خيبر بكرة فخرج اهلها بالمساحي فلما بصروا بالنبي صلى الله عليه وسلم قالوا محمد والله محمد والخميس فقال النبي صلى الله عليه وسلم الله اكبر خربت خيبر انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين فاصبنا من لحوم الحمر فنادى منادي النبي صلى الله عليه وسلم ان الله ورسوله ينهيانكم عن لحوم الحمر فانها رجس.


Narrated Anas bin Malik:
We reached Khaibar early in the morning and the inhabitants of Khaibar came out carrying their spades, and when they saw the Prophet (ﷺ) they said, "Muhammad! By Allah! Muhammad and his army!" The Prophet (ﷺ) said, "Allahu-Akbar! Khaibar is destroyed, for whenever we approach a (hostile) nation (to fight) then evil will be the morning for those who have been warned." We then got the meat of donkeys (and intended to eat it), but an announcement was made by the announcer of the Prophet, "Allah and His Apostle forbid you to eat the meat of donkeys as it is an impure thing."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪১৯৯. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একজন আগন্তুক এসে বলল, (গানীমাতের) গাধাগুলো খেয়ে ফেলা হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ রইলেন। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার এসে বলল, গাধাগুলো খেয়ে ফেলা হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখনো চুপ থাকলেন। লোকটি তৃতীয়বার এসে বলল, গাধাগুলো খতম করে দেয়া হচ্ছে। তখন তিনি একজন ঘোষণাকারীকে হুকুম দিলেন। সে লোকজনের সামনে গিয়ে ঘোষণা দিলঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে গৃহপালিত গাধার গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছেন। তখন ডেকচিগুলো উল্টে দেয়া হল। অথচ ডেকচিগুলোতে গোশ্ত তখন টগবগ করে ফুটছিল। [৩৭১০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮২)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَهُ جَاءٍ فَقَالَ أُكِلَتْ الْحُمُرُ فَسَكَتَ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ أُكِلَتْ الْحُمُرُ فَسَكَتَ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ أُفْنِيَتْ الْحُمُرُ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى فِي النَّاسِ إِنَّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُوْمِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ فَأُكْفِئَتْ الْقُدُوْرُ وَإِنَّهَا لَتَفُوْرُ بِاللَّحْمِ.

عبد الله بن عبد الوهاب حدثنا عبد الوهاب حدثنا ايوب عن محمد عن انس بن مالك رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم جاءه جاء فقال اكلت الحمر فسكت ثم اتاه الثانية فقال اكلت الحمر فسكت ثم اتاه الثالثة فقال افنيت الحمر فامر مناديا فنادى في الناس ان الله ورسوله ينهيانكم عن لحوم الحمر الاهلية فاكفىت القدور وانها لتفور باللحم.


Narrated Anas bin Malik:

Someone came to Allah's Messenger (ﷺ)s and said, "The donkeys have been eaten (by the Muslims)." The Prophet kept quiet. Then the man came again and said, "The donkeys have been eaten." The Prophet (ﷺ) kept quiet. The man came to him the third time and said, "The donkeys have been consumed." On that the Prophet (ﷺ) ordered an announcer to announce to the people, "Allah and His Apostle forbid you to eat the meat of donkeys." Then the cooking pots were upset while the meat was still boiling in them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের নিকটে সকালে কিছু অন্ধকার থাকতেই ফজরের সালাত আদায় করলেন। তারপর আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করে বললেন, খাইবার ধ্বংস হয়েছে। আমরা যখনই কোন গোত্রের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হই তখনই সতর্ক করা গোত্রের সকালটি হয় মন্দরূপে। এ সময়ে খাইবারের অধিবাসীরা অলি-গলিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে আরম্ভ করল। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যকার যোদ্ধাদেরকে হত্যা করলেন। আর শিশু ও নারীদেরকে বন্দী করলেন। বন্দীদের মধ্যে ছিলেন সফিয়্যাহ। প্রথমে তিনি দাহ্ইয়াতুল কালবীর অংশে এবং পরে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অংশে বণ্টিত হন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুক্তিদানকে (বিবাহের) মাহর হিসেবে গণ্য করেন। ‘আবদুল ‘আযীয ইবনু সুহাইব (রহ.) সাবিত (রহ.)-কে বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! আপনি কি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর [সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর] মোহর কী ধার্য করেছিলেন? তখন সাবিত (রহ.) ‘হ্যাঁ’ বুঝানোর জন্য মাথা নাড়লেন। [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৩)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ قَرِيْبًا مِنْ خَيْبَرَ بِغَلَسٍ ثُمَّ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِيْنَ فَخَرَجُوْا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ فَقَتَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُقَاتِلَةَ وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَكَانَ فِي السَّبْيِ صَفِيَّةُ فَصَارَتْ إِلَى دَحْيَةَ الْكَلْبِيِّ ثُمَّ صَارَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا فَقَالَ عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ صُهَيْبٍ لِثَابِتٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ آنْتَ قُلْتَ لِأَنَسٍ مَا أَصْدَقَهَا فَحَرَّكَ ثَابِتٌ رَأْسَهُ تَصْدِيْقًا لَهُ.

سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن ثابت عن انس رضي الله عنه قال صلى النبي صلى الله عليه وسلم الصبح قريبا من خيبر بغلس ثم قال الله اكبر خربت خيبر انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين فخرجوا يسعون في السكك فقتل النبي صلى الله عليه وسلم المقاتلة وسبى الذرية وكان في السبي صفية فصارت الى دحية الكلبي ثم صارت الى النبي صلى الله عليه وسلم فجعل عتقها صداقها فقال عبد العزيز بن صهيب لثابت يا ابا محمد انت قلت لانس ما اصدقها فحرك ثابت راسه تصديقا له.


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) offered the Fajr Prayer near Khaibar when it was still dark and then said, "Allahu-Akbar! Khaibar is destroyed, for whenever we approach a (hostile) nation (to fight), then evil will be the morning for those who have been warned." Then the inhabitants of Khaibar came out running on the roads. The Prophet (ﷺ) had their warriors killed, their offspring and woman taken as captives. Safiya was amongst the captives, She first came in the share of Dahya Alkali but later on she belonged to the Prophet . The Prophet (ﷺ) made her manumission as her 'Mahr'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০১. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যা (রাঃ)-কে বন্দী করেছিলেন। পরে তিনি তাঁকে আযাদ করে বিয়ে করেছিলেন। সাবিত (রহ.) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মোহর কত নির্দিষ্ট করেছিলেন? আনাস (রাঃ) বললেনঃ স্বয়ং সাফিয়্যা (রাঃ)-কেই মোহর ধার্য করেছিলেন এবং তাঁকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৪)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيْزِ بْنِ صُهَيْبٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ سَبَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَفِيَّةَ فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَقَالَ ثَابِتٌ لِأَنَسٍ مَا أَصْدَقَهَا قَالَ أَصْدَقَهَا نَفْسَهَا فَأَعْتَقَهَا.

ادم حدثنا شعبة عن عبد العزيز بن صهيب قال سمعت انس بن مالك رضي الله عنه يقول سبى النبي صلى الله عليه وسلم صفية فاعتقها وتزوجها فقال ثابت لانس ما اصدقها قال اصدقها نفسها فاعتقها.


Narrated `Abdul `Aziz bin Suhaib:

Anas bin Malik said, "The Prophet (ﷺ) took Safiya as a captive. He manumitted her and married her." Thabit asked Anas, "What did he give her as Mahr (i.e. marriage gift)?" Anas replied. "Her Mahr was herself, for he manumitted her."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০২. আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাইবার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা রাবী বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাইবারের দিকে যাত্রা করলেন, তখন সাথী লোকজন একটি উপত্যকায় পৌঁছে এই বলে উচ্চস্বরে তাকবীর দিতে শুরু করল-আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। (আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতীত কোন প্রকৃত ইলাহ নেই)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা নিজেদের প্রতি দয়া কর। কারণ তোমরা এমন কোন সত্তাকে ডাকছ না যিনি বধির বা অনুপস্থিত। বরং তোমরা তো ডাকছ সেই সত্তাকে যিনি শ্রবণকারী ও অতি নিকটে অবস্থানকারী, যিনি তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। [আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন] আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাওয়ারীর পেছনে ছিলাম। তিনি আমাকে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে শুনে বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! আমি বললাম, আমি উপস্থিত হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি কথা শিখিয়ে দেব কি যা জান্নাতের ভান্ডারসমূহের মধ্যে একটি ভান্ডার? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হল ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। [২৯৯২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৭)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيْ عُثْمَانَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَمَّا غَزَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ أَوْ قَالَ لَمَّا تَوَجَّهَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَشْرَفَ النَّاسُ عَلَى وَادٍ فَرَفَعُوْا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّكْبِيْرِ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ارْبَعُوْا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِنَّكُمْ لَا تَدْعُوْنَ أَصَمَّ وَلَا غَائِبًا إِنَّكُمْ تَدْعُوْنَ سَمِيْعًا قَرِيْبًا وَهُوَ مَعَكُمْ وَأَنَا خَلْفَ دَابَّةِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَنِيْ وَأَنَا أَقُوْلُ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ فَقَالَ لِيْ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى كَلِمَةٍ مِنْ كَنْزٍ مِنْ كُنُوْزِ الْجَنَّةِ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ فَدَاكَ أَبِيْ وَأُمِّيْ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ.

موسى بن اسماعيل حدثنا عبد الواحد عن عاصم عن ابي عثمان عن ابي موسى الاشعري رضي الله عنه قال لما غزا رسول الله صلى الله عليه وسلم خيبر او قال لما توجه رسول الله صلى الله عليه وسلم اشرف الناس على واد فرفعوا اصواتهم بالتكبير الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اربعوا على انفسكم انكم لا تدعون اصم ولا غاىبا انكم تدعون سميعا قريبا وهو معكم وانا خلف دابة رسول الله صلى الله عليه وسلم فسمعني وانا اقول لا حول ولا قوة الا بالله فقال لي يا عبد الله بن قيس قلت لبيك يا رسول الله قال الا ادلك على كلمة من كنز من كنوز الجنة قلت بلى يا رسول الله فداك ابي وامي قال لا حول ولا قوة الا بالله.


Narrated Abu Musa Al-Ash`ari:

When Allah's Messenger (ﷺ) fought the battle of Khaibar, or when Allah's Messenger (ﷺ) went towards it, (whenever) the people, (passed over a high place overlooking a valley, they raised their voices saying, "Allahu-Akbar! Allahu-Akbar! None has the right to be worshipped except Allah." On that Allah's Apostle said (to them), "Lower your voices, for you are not calling a deaf or an absent one, but you are calling a Hearer Who is near and is with you." I was behind the riding animal of Allah's Messenger (ﷺ) and he heard me saying. "There Is neither might, nor power but with Allah," On that he said to me, "O `Abdullah bin Qais!" I said, "Labbaik. O Allah's Messenger (ﷺ)!" He said, "Shall I tell you a sentence which is one of the treasures of Paradise" I said, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)! Let my father and mother be sacrificed for your sake." He said, "It is: There is neither might nor power but with Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৩. সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। (খাইবারের যুদ্ধে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুশরিকরা মুখোমুখী হলেন। পরস্পরের মধ্যে তুমুল লড়াই হল। (দিনের শেষে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সেনা ছাউনিতে ফিরে আসলেন আর অন্যপক্ষও তাদের ছাউনিতে ফিরে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যিনি তার তরবারি থেকে একাকী কিংবা দলবদ্ধ কোন শত্রু সৈন্যকেই রেহাই দেননি। বরং পিছু ধাওয়া করে তাকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেছেন। তাদের কেউ বললেন, অমুক ব্যক্তি আজ যা করেছে আমাদের মধ্যে আর অন্য কেউ তা করতে সক্ষম হয়নি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিন্তু সে তো জাহান্নামী। সাহাবীগণের একজন বললেন, (ব্যাপারটা দেখার জন্য) আমি তার সঙ্গী হব। সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) বলেন, পরে তিনি ঐ লোকটির সঙ্গে বের হলেন, লোকটি থামলে তিনিও থামতেন, লোকটি দ্রুত চললে তিনিও দ্রুত চলতেন। বর্ণনাকারী বলেন, এক সময়ে লোকটি ভীষণভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হল এবং (যন্ত্রণার চোটে) শীঘ্র মৃত্যু কামনা করল। তাই সে তার তরবারির গোড়ার অংশ মাটিতে রেখে এর ধারালো দিক বুকের মাঝে রাখল। এরপর সে তরবারির উপর নিজেকে জোরে চেপে ধরে আত্মহত্যা করল। তখন লোকটি (অনুসরণকারী সাহাবী) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ব্যাপার কী? তিনি বললেন, একটু আগে আপনি যে লোকটির কথা বলেছিলেন যে, লোকটি জাহান্নামী, তাতে লোকেরা আশ্চর্যান্বিত হয়েছিল। তখন আমি তাদেরকে বলেছিলাম, আমি লোকটির পিছু নিয়ে দেখব। কাজেই আমি ব্যাপারটির খোঁজে বেরিয়ে পড়ি। এক সময় লোকটি মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হল এবং শীঘ্র মৃত্যু কামনা করল, তাই সে তার তরবারির হাতলের দিক মাটিতে বসিয়ে এর তীক্ষ্ণ ভাগ নিজের বুকের মাঝে রাখল। এরপর নিজেকে তার উপর জোরে চেপে ধরে আত্মহত্যা করল। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অনেক সময় মানুষ জান্নাতীদের মত ‘আমল করতে থাকে, যা দেখে অন্যরা তাকে জান্নাতীই মনে করে। অথচ সে জাহান্নামী। আবার অনেক সময় মানুষ জাহান্নামীদের মতো ‘আমল করতে থাকে যা দেখে লোকজনও সেরূপই মনে করে থাকে, অথচ সে জান্নাতী। [২৯০২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৫)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْتَقَى هُوَ وَالْمُشْرِكُوْنَ فَاقْتَتَلُوْا فَلَمَّا مَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَسْكَرِهِ وَمَالَ الْآخَرُوْنَ إِلَى عَسْكَرِهِمْ وَفِيْ أَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ لَا يَدَعُ لَهُمْ شَاذَّةً وَلَا فَاذَّةً إِلَّا اتَّبَعَهَا يَضْرِبُهَا بِسَيْفِهِ فَقِيْلَ مَا أَجْزَأَ مِنَّا الْيَوْمَ أَحَدٌ كَمَا أَجْزَأَ فُلَانٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَا إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا صَاحِبُهُ قَالَ فَخَرَجَ مَعَهُ كُلَّمَا وَقَفَ وَقَفَ مَعَهُ وَإِذَا أَسْرَعَ أَسْرَعَ مَعَهُ قَالَ فَجُرِحَ الرَّجُلُ جُرْحًا شَدِيْدًا فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ فَوَضَعَ سَيْفَهُ بِالأَرْضِ وَذُبَابَهُ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ ثُمَّ تَحَامَلَ عَلَى سَيْفِهِ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَخَرَجَ الرَّجُلُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ قَالَ وَمَا ذَاكَ قَالَ الرَّجُلُ الَّذِيْ ذَكَرْتَ آنِفًا أَنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَأَعْظَمَ النَّاسُ ذَلِكَ فَقُلْتُ أَنَا لَكُمْ بِهِ فَخَرَجْتُ فِيْ طَلَبِهِ ثُمَّ جُرِحَ جُرْحًا شَدِيْدًا فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ فَوَضَعَ نَصْلَ سَيْفِهِ فِي الْأَرْضِ وَذُبَابَهُ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ ثُمَّ تَحَامَلَ عَلَيْهِ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ عِنْدَ ذَلِكَ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فِيْمَا يَبْدُوْ لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ النَّارِ فِيْمَا يَبْدُوْ لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ.

قتيبة حدثنا يعقوب عن ابي حازم عن سهل بن سعد الساعدي رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم التقى هو والمشركون فاقتتلوا فلما مال رسول الله صلى الله عليه وسلم الى عسكره ومال الاخرون الى عسكرهم وفي اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم رجل لا يدع لهم شاذة ولا فاذة الا اتبعها يضربها بسيفه فقيل ما اجزا منا اليوم احد كما اجزا فلان فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اما انه من اهل النار فقال رجل من القوم انا صاحبه قال فخرج معه كلما وقف وقف معه واذا اسرع اسرع معه قال فجرح الرجل جرحا شديدا فاستعجل الموت فوضع سيفه بالارض وذبابه بين ثدييه ثم تحامل على سيفه فقتل نفسه فخرج الرجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اشهد انك رسول الله قال وما ذاك قال الرجل الذي ذكرت انفا انه من اهل النار فاعظم الناس ذلك فقلت انا لكم به فخرجت في طلبه ثم جرح جرحا شديدا فاستعجل الموت فوضع نصل سيفه في الارض وذبابه بين ثدييه ثم تحامل عليه فقتل نفسه فقال رسول الله عند ذلك ان الرجل ليعمل عمل اهل الجنة فيما يبدو للناس وهو من اهل النار وان الرجل ليعمل عمل اهل النار فيما يبدو للناس وهو من اهل الجنة.


Narrated Sahl bin Sa`d As Saidi:

Allah's Messenger (ﷺ) (and his army) encountered the pagans and the two armies.,, fought and then Allah's Apostle returned to his army camps and the others (i.e. the enemy) returned to their army camps. Amongst the companions of the Prophet (ﷺ) there was a man who could not help pursuing any single isolated pagan to strike him with his sword. Somebody said, "None has benefited the Muslims today more than so-and-so." On that Allah's Messenger (ﷺ) said, "He is from the people of the Hell-Fire certainly." A man amongst the people (i.e. Muslims) said, "I will accompany him (to know the fact)." So he went along with him, and whenever he stopped he stopped with him, and whenever he hastened, he hastened with him. The (brave) man then got wounded severely, and seeking to die at once, he planted his sword into the ground and put its point against his chest in between his breasts, and then threw himself on it and committed suicide. On that the person (who was accompanying the deceased all the time) came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "I testify that you are the Messenger of Allah." The Prophet (ﷺ) said, "Why is that (what makes you say so)?" He said "It is concerning the man whom you have already mentioned as one of the dwellers of the Hell-Fire. The people were surprised by your statement, and I said to them, "I will try to find out the truth about him for you." So I went out after him and he was then inflicted with a severe wound and because of that, he hurried to bring death upon himself by planting the handle of his sword into the ground and directing its tip towards his chest between his breasts, and then he threw himself over it and committed suicide." Allah's Messenger (ﷺ) then said, "A man may do what seem to the people as the deeds of the dwellers of Paradise but he is from the dwellers of the Hell-Fire and another may do what seem to the people as the deeds of the dwellers of the Hell- Fire, but he is from the dwellers of Paradise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাইবার যুদ্ধে গিয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাঁর সঙ্গীদের মধ্য থেকে মুসলিম হওয়ার দাবীদার এক ব্যক্তি সম্পর্কে বললেন, লোকটি জাহান্নামী। এরপর যুদ্ধ আরম্ভ হলে লোকটি ভীষণভাবে যুদ্ধ চালিয়ে গেল, এমন কি তার দেহ বিক্ষত হয়ে গেল। এতে কারো কারো [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বাণীর উপর] সন্দেহ সৃষ্টি হল। অতঃপর লোকটি আঘাতের যন্ত্রণায় অসহ্য হয়ে তূণীরের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে সেখান থেকে তীর বের করে আনল। আর তীরটি নিজের বক্ষদেশে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করল। তা দেখে কতিপয় মুসলিম দ্রুত ছুটে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ আপনার কথাকে সত্য প্রমাণিত করেছেন। ঐ লোকটি নিজেই নিজের বক্ষে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। তখন তিনি বললেন, হে অমুক! দাঁড়াও এবং ঘোষণা দাও যে, মু’মিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অবশ্য আল্লাহ ফাসিক ব্যক্তি দ্বারাও দ্বীনের সাহায্য করে থাকেন। মা‘মার (রহ.) যুহরী (রহ.) থেকে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনায় শু‘আয়ব (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। [২৮৯৮, ৩০৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৬)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ سَعِيْدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ شَهِدْنَا خَيْبَرَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِرَجُلٍ مِمَّنْ مَعَهُ يَدَّعِي الإِسْلَامَ هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَلَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ قَاتَلَ الرَّجُلُ أَشَدَّ الْقِتَالِ حَتَّى كَثُرَتْ بِهِ الْجِرَاحَةُ فَكَادَ بَعْضُ النَّاسِ يَرْتَابُ فَوَجَدَ الرَّجُلُ أَلَمَ الْجِرَاحَةِ فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى كِنَانَتِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهَا أَسْهُمًا فَنَحَرَ بِهَا نَفْسَهُ فَاشْتَدَّ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَدَّقَ اللهُ حَدِيْثَكَ انْتَحَرَ فُلَانٌ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَقَالَ قُمْ يَا فُلَانُ فَأَذِّنْ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ إِنَّ اللهَ يُؤَيِّدُ الدِّيْنَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ تَابَعَهُ مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ

ابو اليمان اخبرنا شعيب عن الزهري قال اخبرني سعيد بن المسيب ان ابا هريرة رضي الله عنه قال شهدنا خيبر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لرجل ممن معه يدعي الاسلام هذا من اهل النار فلما حضر القتال قاتل الرجل اشد القتال حتى كثرت به الجراحة فكاد بعض الناس يرتاب فوجد الرجل الم الجراحة فاهوى بيده الى كنانته فاستخرج منها اسهما فنحر بها نفسه فاشتد رجال من المسلمين فقالوا يا رسول الله صدق الله حديثك انتحر فلان فقتل نفسه فقال قم يا فلان فاذن انه لا يدخل الجنة الا مومن ان الله يويد الدين بالرجل الفاجر تابعه معمر عن الزهري


Narrated Abu Huraira:

We witnessed (the battle of) Khaibar. Allah's Messenger (ﷺ) said about one of those who were with him and who claimed to be a Muslim. "This (man) is from the dwellers of the Hell-Fire." When the battle started, that fellow fought so violently and bravely that he received plenty of wounds. Some of the people were about to doubt (the Prophet's statement), but the man, feeling the pain of his wounds, put his hand into his quiver and took out of it, some arrows with which he slaughtered himself (i.e. committed suicide). Then some men amongst the Muslims came hurriedly and said, "O Allah's Apostle! Allah has made your statement true so-and-so has committed suicide. "The Prophet (ﷺ) said, "O so-and-so! Get up and make an announcement that none but a believer will enter Paradise and that Allah may support the religion with an unchaste (evil) wicked man.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে খাইবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম ......। (‘আবদুল্লাহ) ইবনু মুবারাক হাদীসটি ইউনুস-‘যুহরী-সা‘ঈদ [ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহ.)] সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। সালিহ (রহ.) যুহরী (রহ.) থেকে ইবনু মুবারাক (রাঃ)-এর মতোই বর্ণনা করেছেন। আর যুবাইদী (রহ.) হাদীসটি যুহরী, ‘আবদুর রহমান ইবনু কা‘ব, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহ.) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে খাইবারে অংশগ্রহণকারী জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। (যুবাইদী আরো বলেন) যুহরী (রহ.) এ হাদীসটিকে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ এবং সা‘ঈদ (ইবনুল মুসাইয়্যাব) (রহ.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। [৩০৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৬)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

وَقَالَ شَبِيْبٌ عَنْ يُوْنُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ شَهِدْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يُوْنُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَابَعَهُ صَالِحٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ الزُّبَيْدِيُّ أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ كَعْبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ مَنْ شَهِدَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ وَسَعِيْدٌ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

وقال شبيب عن يونس عن ابن شهاب اخبرني ابن المسيب وعبد الرحمن بن عبد الله بن كعب ان ابا هريرة قال شهدنا مع النبي صلى الله عليه وسلم حنينا وقال ابن المبارك عن يونس عن الزهري عن سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم تابعه صالح عن الزهري وقال الزبيدي اخبرني الزهري ان عبد الرحمن بن كعب اخبره ان عبيد الله بن كعب قال اخبرني من شهد مع النبي صلى الله عليه وسلم خيبر قال الزهري واخبرني عبيد الله بن عبد الله وسعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم .

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৬. ইয়াযীদ ইবনু আবূ ‘উবায়দ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালামাহ (ইবনু আকওয়া) (রাঃ)-এর পায়ের নলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ মুসলিম! এ আঘাতটি কিসের? তিনি বললেন, এ আঘাত আমি খাইবার যুদ্ধে পেয়েছিলাম। লোকজন বলাবলি করল, সালামাহ মারা যাবে। আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম। তিনি ক্ষতটিতে তিনবার ফুঁ দিলেন। ফলে আজ পর্যন্ত এতে কোন ব্যথা অনুভব করিনি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৮)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ أَبِيْ عُبَيْدٍ قَالَ رَأَيْتُ أَثَرَ ضَرْبَةٍ فِيْ سَاقِ سَلَمَةَ فَقُلْتُ يَا أَبَا مُسْلِمٍ مَا هَذِهِ الضَّرْبَةُ فَقَالَ هَذِهِ ضَرْبَةٌ أَصَابَتْنِيْ يَوْمَ خَيْبَرَ فَقَالَ النَّاسُ أُصِيْبَ سَلَمَةُ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَنَفَثَ فِيْهِ ثَلَاثَ نَفَثَاتٍ فَمَا اشْتَكَيْتُهَا حَتَّى السَّاعَةِ.

المكي بن ابراهيم حدثنا يزيد بن ابي عبيد قال رايت اثر ضربة في ساق سلمة فقلت يا ابا مسلم ما هذه الضربة فقال هذه ضربة اصابتني يوم خيبر فقال الناس اصيب سلمة فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم فنفث فيه ثلاث نفثات فما اشتكيتها حتى الساعة.


Narrated Yazid bin Abi Ubaid:

I saw the trace of a wound in Salama's leg. I said to him, "O Abu Muslim! What is this wound?" He said, "This was inflicted on me on the day of Khaibar and the people said, 'Salama has been wounded.' Then I went to the Prophet (ﷺ) and he puffed his saliva in it (i.e. the wound) thrice., and since then I have not had any pain in it till this hour."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৭. সাহল (ইবনু সা‘দ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুশরিকরা মুখোমুখী হলেন। তাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হল। (শেষে) সকলেই আপন আপন সেনা ছাউনীতে ফিরে গেল। মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি ছিল, যে মুশরিকদের কোন একাকী কিংবা দলবদ্ধ কোন শত্রুকেই রেহাই দেয়নি বরং তাড়িয়ে নিয়ে তরবারি দ্বারা হত্যা করেছে। তখন বলা হল! হে আল্লাহর রাসূল! অমুক লোক আজ যতটা ‘আমল করেছে অন্য কেউ ততটা করতে পারেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে ব্যক্তি জাহান্নামী। তারা বলল, তা হলে আমাদের মধ্যে আর কে জান্নাতী হবে যদি এ ব্যক্তিই জাহান্নামী হয়? তখন কাফেলার মধ্য থেকে একজন বলল, অবশ্যই আমি তাকে অনুসরণ করে দেখব (তিনি বলেন) লোকটির দ্রুত গতিতে বা ধীর গতিতে আমি তার সঙ্গে থাকতাম। শেষে, লোকটি আঘাতপ্রাপ্ত হলে যন্ত্রণার চোটে সে দ্রুত মৃত্যু কামনা করে তার তরবারির বাঁট মাটিতে রাখলো এবং ধারালো দিক নিজের বুকের মাঝে রেখে এর উপর সজোরে চেপে ধরে আত্মহত্যা করল। তখন (অনুসরণকারী) সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার? তিনি তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সব ঘটনা জানালেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কেউ কেউ জান্নাতবাসীদের মতো ‘আমল করতে থাকে আর লোকজন তাকে তেমনই মনে করে থাকে অথচ সে জাহান্নামী। আবার কেউ কেউ জাহান্নামীর মতো ‘আমল করে থাকে আর লোকজনও তাকে তাই মনে করে অথচ সে জান্নাতী। [২৮৯৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮৯)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ سَهْلٍ قَالَ الْتَقَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَالْمُشْرِكُوْنَ فِيْ بَعْضِ مَغَازِيْهِ فَاقْتَتَلُوْا فَمَالَ كُلُّ قَوْمٍ إِلَى عَسْكَرِهِمْ وَفِي الْمُسْلِمِيْنَ رَجُلٌ لَا يَدَعُ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ شَاذَّةً وَلَا فَاذَّةً إِلَّا اتَّبَعَهَا فَضَرَبَهَا بِسَيْفِهِ فَقِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا أَجْزَأَ أَحَدٌ مَا أَجْزَأَ فُلَانٌ فَقَالَ إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَقَالُوْا أَيُّنَا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِنْ كَانَ هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لَأَتَّبِعَنَّهُ فَإِذَا أَسْرَعَ وَأَبْطَأَ كُنْتُ مَعَهُ حَتَّى جُرِحَ فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ فَوَضَعَ نِصَابَ سَيْفِهِ بِالأَرْضِ وَذُبَابَهُ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ ثُمَّ تَحَامَلَ عَلَيْهِ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَجَاءَ الرَّجُلُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ فَقَالَ وَمَا ذَاكَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فِيْمَا يَبْدُوْ لِلنَّاسِ وَإِنَّهُ لَمِنْ أَهْلِ النَّارِ وَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فِيْمَا يَبْدُوْ لِلنَّاسِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ.

عبد الله بن مسلمة حدثنا ابن ابي حازم عن ابيه عن سهل قال التقى النبي صلى الله عليه وسلم والمشركون في بعض مغازيه فاقتتلوا فمال كل قوم الى عسكرهم وفي المسلمين رجل لا يدع من المشركين شاذة ولا فاذة الا اتبعها فضربها بسيفه فقيل يا رسول الله ما اجزا احد ما اجزا فلان فقال انه من اهل النار فقالوا اينا من اهل الجنة ان كان هذا من اهل النار فقال رجل من القوم لاتبعنه فاذا اسرع وابطا كنت معه حتى جرح فاستعجل الموت فوضع نصاب سيفه بالارض وذبابه بين ثدييه ثم تحامل عليه فقتل نفسه فجاء الرجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال اشهد انك رسول الله فقال وما ذاك فاخبره فقال ان الرجل ليعمل بعمل اهل الجنة فيما يبدو للناس وانه لمن اهل النار ويعمل بعمل اهل النار فيما يبدو للناس وهو من اهل الجنة.


Narrated Sahl:

During one of his Ghazawat, the Prophet (ﷺ) encountered the pagans, and the two armies fought, and then each of them returned to their army camps. Amongst the (army of the) Muslims there was a man who would follow every pagan separated from the army and strike him with his sword. It was said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! None has fought so satisfactorily as so-and-so (namely, that brave Muslim). "The Prophet said, "He is from the dwellers of the Hell-Fire." The people said, "Who amongst us will be of the dwellers of Paradise if this (man) is from the dwellers of the Hell-Fire?" Then a man from amongst the people said, "I will follow him and accompany him in his fast and slow movements." The (brave) man got wounded, and wanting to die at once, he put the handle of his sword on the ground and its tip in between his breasts, and then threw himself over it, committing suicide. Then the man (who had watched the deceased) returned to the Prophet (ﷺ) and said, "I testify that you are Apostle of Allah." The Prophet (ﷺ) said, "What is this?" The man told him the whole story. The Prophet (ﷺ) said, "A man may do what may seem to the people as the deeds of the dwellers of Paradise, but he is of the dwellers of the Hell-Fire and a man may do what may seem to the people as the deeds of the dwellers of the Hell-Fire, but he is from the dwellers of Paradise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৮. আবূ ‘ইমরান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক জুমু‘আহর দিনে আনাস (রাঃ) লোকজনের দিকে তাকিয়ে দেখলেন তাদের (মাথায়) তায়ালিসাহ[1] চাদর। তখন তিনি বললেন, এ মুহূর্তে এদেরকে খাইবারের ইয়াহূদীদের মতো দেখাচ্ছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯০

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيْدٍ الْخُزَاعِيُّ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيْعِ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ قَالَ نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَرَأَى طَيَالِسَةً فَقَالَ كَأَنَّهُمْ السَّاعَةَ يَهُوْدُ خَيْبَرَ

محمد بن سعيد الخزاعي حدثنا زياد بن الربيع عن ابي عمران قال نظر انس الى الناس يوم الجمعة فراى طيالسة فقال كانهم الساعة يهود خيبر


Narrated Abu `Imran:

Anas looked at the people wearing Tailsans (i.e. a special kind of head covering worn by Jews in old days). On that Anas said, "At this moment they (i.e. those people) look like the Jews of Khaibar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ‘ইমরান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২০৯. সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, চক্ষু রোগ হওয়ায় ‘আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর থেকে খাইবার অভিযানে পেছনে পড়ে গিয়েছিলেন। [নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা থেকে রওয়ানা হয়ে এসে পড়লে] ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি পেছনে বসে থাকব। সুতরাং তিনি গিয়ে তাঁর সঙ্গে মিলিত হলেন। [সালামাহ (রাঃ) বলেন] খাইবার বিজিত হওয়ার আগের রাতে তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, আগামীকাল সকালে আমি এমন ব্যক্তির হাতে পতাকা তুলে দেব অথবা তিনি বলেছেন, আগামীকাল সকালে এমন এক ব্যক্তি পতাকা গ্রহণ করবে যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালবাসেন। আর তার হাতেই খাইবার বিজিত হবে। কাজেই আমরা সবাই সেটি কামনা করছিলাম। তখন বলা হল, এই তো ‘আলী। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পতাকা প্রদান করলেন এবং তাঁর হাতেই খাইবার বিজিত হল। [২৯৭৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯১)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ عَنْ يَزِيْدَ بْنِ أَبِيْ عُبَيْدٍ عَنْ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ تَخَلَّفَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ خَيْبَرَ وَكَانَ رَمِدًا فَقَالَ أَنَا أَتَخَلَّفُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَحِقَ بِهِ فَلَمَّا بِتْنَا اللَّيْلَةَ الَّتِيْ فُتِحَتْ قَالَ لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا أَوْ لَيَأْخُذَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلٌ يُحِبُّهُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ يُفْتَحُ عَلَيْهِ فَنَحْنُ نَرْجُوْهَا فَقِيْلَ هَذَا عَلِيٌّ فَأَعْطَاهُ فَفُتِحَ عَلَيْهِ.

عبد الله بن مسلمة حدثنا حاتم عن يزيد بن ابي عبيد عن سلمة رضي الله عنه قال كان علي بن ابي طالب رضي الله عنه تخلف عن النبي صلى الله عليه وسلم في خيبر وكان رمدا فقال انا اتخلف عن النبي صلى الله عليه وسلم فلحق به فلما بتنا الليلة التي فتحت قال لاعطين الراية غدا او لياخذن الراية غدا رجل يحبه الله ورسوله يفتح عليه فنحن نرجوها فقيل هذا علي فاعطاه ففتح عليه.


Narrated Salama:

`Ali remained behind the Prophet (ﷺ) during the Ghazwa of Khaibar as he was suffering from eye trouble. He then said, "(How can) I remain behind the Prophet (ﷺ) ," and followed him. So when he slept on the night of the conquest of Khaibar, the Prophet (ﷺ) said, "I will give the flag tomorrow, or tomorrow the flag will be taken by a man who is loved by Allah and His Apostle , and (Khaibar) will be conquered through him, (with Allah's help)" While every one of us was hopeful to have the flag, it was said, "Here is `Ali" and the Prophet (ﷺ) gave him the flag and Khaibar was conquered through him (with Allah's Help).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২১০. সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। খাইবারের যুদ্ধে একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আগামীকাল সকালে আমি এমন এক লোকের হাতে ঝান্ডা তুলে দেব যার হাতে আল্লাহ খাইবারে বিজয় দান করবেন যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে ভালবাসে এবং যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালবাসেন। সাহল (রাঃ) বলেন, মুসলিমগণ এ জল্পনায় রাত কাটালো যে, তাদের মধ্যে কাকে দেয়া হবে এ ঝান্ডা। সকালে সবাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন, আর প্রত্যেকেই তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) কোথায়? সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তো চক্ষুরোগে আক্রান্ত। তিনি বললেন, তার কাছে লোক পাঠাও। সে মতে তাঁকে আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উভয় চোখে থুথু লাগিয়ে তার জন্য দু‘আ করলেন। ফলে চোখ এমন ভাল হয়ে গেল যেন কখনো চোখে কোন রোগই ছিল না। এরপর তিনি তার হাতে ঝান্ডা প্রদান করলেন। তখন ‘আলী (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা আমাদের মতো (মুসলিম) না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বর্তমান অবস্থায়ই তাদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হাজির হও, এরপর তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের প্রতি আহবান করো, আল্লাহর অধিকার প্রদানে তাদের প্রতি যে দায়িত্ব বর্তায় সে সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত কর। কারণ আল্লাহর কসম! তোমার দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ যদি মাত্র একজন মানুষকেও হিদায়াত দেন তাহলে তা তোমার জন্য লাল রঙের (মূল্যবান) উটের[1] মালিক হওয়ার চেয়ে উত্তম। [২৯৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯২)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ لَأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللهُ عَلَى يَدَيْهِ يُحِبُّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَيُحِبُّهُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ قَالَ فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوْكُوْنَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كُلُّهُمْ يَرْجُوْ أَنْ يُعْطَاهَا فَقَالَ أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ فَقِيْلَ هُوَ يَا رَسُوْلَ اللهِ يَشْتَكِيْ عَيْنَيْهِ قَالَ فَأَرْسَلُوْا إِلَيْهِ فَأُتِيَ بِهِ فَبَصَقَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ فَبَرَأَ حَتَّى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ فَقَالَ عَلِيٌّ يَا رَسُوْلَ اللهِ أُقَاتِلُهُمْ حَتَّى يَكُوْنُوْا مِثْلَنَا فَقَالَ انْفُذْ عَلَى رِسْلِكَ حَتَّى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلَامِ وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللهِ فِيْهِ فَوَاللهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُوْنَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ.

قتيبة بن سعيد حدثنا يعقوب بن عبد الرحمن عن ابي حازم قال اخبرني سهل بن سعد رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يوم خيبر لاعطين هذه الراية غدا رجلا يفتح الله على يديه يحب الله ورسوله ويحبه الله ورسوله قال فبات الناس يدوكون ليلتهم ايهم يعطاها فلما اصبح الناس غدوا على رسول الله صلى الله عليه وسلم كلهم يرجو ان يعطاها فقال اين علي بن ابي طالب فقيل هو يا رسول الله يشتكي عينيه قال فارسلوا اليه فاتي به فبصق رسول الله صلى الله عليه وسلم في عينيه ودعا له فبرا حتى كان لم يكن به وجع فاعطاه الراية فقال علي يا رسول الله اقاتلهم حتى يكونوا مثلنا فقال انفذ على رسلك حتى تنزل بساحتهم ثم ادعهم الى الاسلام واخبرهم بما يجب عليهم من حق الله فيه فوالله لان يهدي الله بك رجلا واحدا خير لك من ان يكون لك حمر النعم.


Narrated Sahl bin Sa`d:

On the day of Khaibar, Allah's Messenger (ﷺ) said, "Tomorrow I will give this flag to a man through whose hands Allah will give us victory. He loves Allah and His Apostle, and he is loved by Allah and His Apostle." The people remained that night, wondering as to who would be given it. In the morning the people went to Allah's Messenger (ﷺ) and everyone of them was hopeful to receive it (i.e. the flag). The Prophet said, "Where is `Ali bin Abi Talib?" It was said, "He is suffering from eye trouble O Allah's Apostle." He said, "Send for him." `Ali was brought and Allah's Messenger (ﷺ) spat in his eye and invoked good upon him. So `Ali was cured as if he never had any trouble. Then the Prophet (ﷺ) gave him the flag. `Ali said "O Allah's Messenger (ﷺ)! I will fight with them till they become like us." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Proceed and do not hurry. When you enter their territory, call them to embrace Islam and inform them of Allah's Rights which they should observe, for by Allah, even if a single man is led on the right path (of Islam) by Allah through you, then that will be better for you than the nice red camels.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২১১. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাইবারে এসে পৌঁছলাম। এরপর যখন আল্লাহ তাঁকে খাইবার দূর্গের বিজয় দান করলেন তখন তাঁর কাছে (ইয়াহূদী দলপতি) হুয়াঈ ইবনু আখতাবের কন্যা সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর সৌন্দর্যের ব্যাপারে আলোচনা করা হল। তার স্বামী (এ যুদ্ধে) নিহত হয়। সে ছিল নববধূ। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিজের জন্য মনোনীত করেন এবং তাকে সঙ্গে করে (খাইবার থেকে) যাত্রা করেন। এরপর আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছলাম তখন সফিয়্যাহ (রাঃ) তাঁর মাসিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে বাসর করলেন। তারপর একটি ছোট দস্তরখানে (খেজুর-ঘি ও ছাতু মিশ্রিত) হায়স নামক খানা সাজিয়ে আমাকে বললেন, তোমার আশেপাশে যারা আছে সবাইকে ডাক। আর এটিই ছিল সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে বিয়ের ওয়ালীমা। তারপর আমরা মদিনার দিকে রওয়ানা হলাম, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সাওয়ারীর পেছনে সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর জন্য একটি চাদর বিছাতে দেখেছি। এরপর তিনি তাঁর সাওয়ারীর ওপর হাঁটুদ্বয় মেলে বসতেন এবং সফিয়্যাহ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাঁটুর উপর পা রেখে সাওয়ারীতে উঠতেন। [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯৩)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ح و حَدَّثَنِيْ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ يَعْقُوْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ عَنْ عَمْرٍو مَوْلَى الْمُطَّلِبِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَدِمْنَا خَيْبَرَ فَلَمَّا فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ الْحِصْنَ ذُكِرَ لَهُ جَمَالُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ وَقَدْ قُتِلَ زَوْجُهَا وَكَانَتْ عَرُوْسًا فَاصْطَفَاهَا النَّبِيُّ لِنَفْسِهِ فَخَرَجَ بِهَا حَتَّى بَلَغْنَا سَدَّ الصَّهْبَاءِ حَلَّتْ فَبَنَى بِهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِيْ نِطَعٍ صَغِيْرٍ ثُمَّ قَالَ لِيْ آذِنْ مَنْ حَوْلَكَ فَكَانَتْ تِلْكَ وَلِيْمَتَهُ عَلَى صَفِيَّةَ ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِيْنَةِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُحَوِّيْ لَهَا وَرَاءَهُ بِعَبَاءَةٍ ثُمَّ يَجْلِسُ عِنْدَ بَعِيْرِهِ فَيَضَعُ رُكْبَتَهُ وَتَضَعُ صَفِيَّةُ رِجْلَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ حَتَّى تَرْكَبَ.

عبد الغفار بن داود حدثنا يعقوب بن عبد الرحمن ح و حدثني احمد حدثنا ابن وهب قال اخبرني يعقوب بن عبد الرحمن الزهري عن عمرو مولى المطلب عن انس بن مالك رضي الله عنه قال قدمنا خيبر فلما فتح الله عليه الحصن ذكر له جمال صفية بنت حيي بن اخطب وقد قتل زوجها وكانت عروسا فاصطفاها النبي لنفسه فخرج بها حتى بلغنا سد الصهباء حلت فبنى بها رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صنع حيسا في نطع صغير ثم قال لي اذن من حولك فكانت تلك وليمته على صفية ثم خرجنا الى المدينة فرايت النبي صلى الله عليه وسلم يحوي لها وراءه بعباءة ثم يجلس عند بعيره فيضع ركبته وتضع صفية رجلها على ركبته حتى تركب.


Narrated Anas bin Malik:

We arrived at Khaibar, and when Allah helped His Apostle to open the fort, the beauty of Safiya bint Huyai bin Akhtaq whose husband had been killed while she was a bride, was mentioned to Allah's Apostle. The Prophet (ﷺ) selected her for himself, and set out with her, and when we reached a place called Sidd-as-Sahba,' Safiya became clean from her menses then Allah's Messenger (ﷺ) married her. Hais (i.e. an 'Arabian dish) was prepared on a small leather mat. Then the Prophet (ﷺ) said to me, "I invite the people around you." So that was the marriage banquet of the Prophet (ﷺ) and Safiya. Then we proceeded towards Medina, and I saw the Prophet, making for her a kind of cushion with his cloak behind him (on his camel). He then sat beside his camel and put his knee for Safiya to put her foot on, in order to ride (on the camel).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২১২. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার থেকে ফেরার পথে সফিয়্যাহ (রাঃ) বিন্তে হুয়াঈ-এর কাছে তিনদিন অবস্থান করে তার সঙ্গে বাসর যাপন করেছেন। আর (রাঃ) ছিলেন তাদের একজন যাদের জন্য পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।[1] [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯৪)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَخِيْ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ يَحْيَى عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيْلِ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقَامَ عَلَى صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ بِطَرِيْقِ خَيْبَرَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى أَعْرَسَ بِهَا وَكَانَتْ فِيْمَنْ ضُرِبَ عَلَيْهَا الْحِجَابُ.

اسماعيل قال حدثني اخي عن سليمان عن يحيى عن حميد الطويل سمع انس بن مالك رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم اقام على صفية بنت حيي بطريق خيبر ثلاثة ايام حتى اعرس بها وكانت فيمن ضرب عليها الحجاب.


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) stayed with Safiya bint Huyai for three days on the way of Khaibar where he consummated his marriage with her. Safiya was amongst those who were ordered to use a veil.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২১৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার ও মদিনার মাঝে একস্থানে তিনদিন অবস্থান করেছিলেন যাতে তিনি সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে বাসর করেছেন। আমি মুসলিমদেরকে ওয়ালীমার জন্য দাওয়াত দিলাম। অবশ্য এ ওয়ালীমাতে মাংসও ছিল না, রুটিও ছিল না। কেবল এতটুকু ছিল যে, তিনি বিলাল (রাঃ)-কে দস্তরখান বিছাতে বললেন। তা বিছানো হল। এরপর তাতে কিছু খেজুর, পনির ও ঘি রাখা হল। এ অবস্থা দেখে মুসলিমগণ পরস্পর বলাবলি করতে লাগল যে, তিনি [সফিয়্যাহ (রাঃ)] কি উম্মাহাতুল মু’মিনীনের একজন, না ক্রীতদাসীদের একজন? তাঁরা (আরো) বললেন, যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য পর্দার ব্যবস্থা করেন তাহলে তিনি উম্মাহাতুল মু’মিনীনেরই একজন বোঝা যাবে। আর পর্দার ব্যবস্থা না করলে তিনি দাসীদের অন্তর্ভুক্ত। এরপর যখন তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] রওয়ানা হলেন তখন তিনি নিজের পেছনে সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর জন্য বসার জায়গা করে দিয়ে পর্দা খাটিয়ে দিলেন। [৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯৫)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِيْ كَثِيْرٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ حُمَيْدٌ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ أَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ خَيْبَرَ وَالْمَدِيْنَةِ ثَلَاثَ لَيَالٍ يُبْنَى عَلَيْهِ بِصَفِيَّةَ فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِيْنَ إِلَى وَلِيْمَتِهِ وَمَا كَانَ فِيْهَا مِنْ خُبْزٍ وَلَا لَحْمٍ وَمَا كَانَ فِيْهَا إِلَّا أَنْ أَمَرَ بِلَالًا بِالأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ فَأَلْقَى عَلَيْهَا التَّمْرَ وَالأَقِطَ وَالسَّمْنَ فَقَالَ الْمُسْلِمُوْنَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِيْنَ أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِيْنُهُ قَالُوْا إِنْ حَجَبَهَا فَهِيَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِيْنَ وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا فَهِيَ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِيْنُهُ فَلَمَّا ارْتَحَلَ وَطَّأَ لَهَا خَلْفَهُ وَمَدَّ الْحِجَابَ.

سعيد بن ابي مريم اخبرنا محمد بن جعفر بن ابي كثير قال اخبرني حميد انه سمع انسا رضي الله عنه يقول اقام النبي صلى الله عليه وسلم بين خيبر والمدينة ثلاث ليال يبنى عليه بصفية فدعوت المسلمين الى وليمته وما كان فيها من خبز ولا لحم وما كان فيها الا ان امر بلالا بالانطاع فبسطت فالقى عليها التمر والاقط والسمن فقال المسلمون احدى امهات المومنين او ما ملكت يمينه قالوا ان حجبها فهي احدى امهات المومنين وان لم يحجبها فهي مما ملكت يمينه فلما ارتحل وطا لها خلفه ومد الحجاب.


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) stayed for three rights between Khaibar and Medina and was married to Safiya. I invited the Muslim to h s marriage banquet and there wa neither meat nor bread in that banquet but the Prophet ordered Bilal to spread the leather mats on which dates, dried yogurt and butter were put. The Muslims said amongst themselves, "Will she (i.e. Safiya) be one of the mothers of the believers, (i.e. one of the wives of the Prophet (ﷺ) ) or just (a lady captive) of what his right-hand possesses" Some of them said, "If the Prophet (ﷺ) makes her observe the veil, then she will be one of the mothers of the believers (i.e. one of the Prophet's wives), and if he does not make her observe the veil, then she will be his lady slave." So when he departed, he made a place for her behind him (on his and made her observe the veil.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৯. খাইবার -এর যুদ্ধ।

৪২১৪. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাইবারের দূর্গ অবরোধ করে রাখলাম, এমন সময় এক লোক একটি থলে ছুঁড়ে ফেলল। তাতে ছিল চর্বি। আমি সেটি নেয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে গেলাম, হঠাৎ পেছনে ফিরে চেয়ে দেখি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এতে আমি লজ্জিত হয়ে গেলাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯৬)

بَاب غَزْوَةِ خَيْبَرَ

أَبُو الْوَلِيْدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ح و حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَهْبٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مُحَاصِرِيْ خَيْبَرَ فَرَمَى إِنْسَانٌ بِجِرَابٍ فِيْهِ شَحْمٌ فَنَزَوْتُ لِآخُذَهُ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَحْيَيْتُ.

ابو الوليد حدثنا شعبة ح و حدثني عبد الله بن محمد حدثنا وهب حدثنا شعبة عن حميد بن هلال عن عبد الله بن مغفل رضي الله عنه قال كنا محاصري خيبر فرمى انسان بجراب فيه شحم فنزوت لاخذه فالتفت فاذا النبي صلى الله عليه وسلم فاستحييت.


Narrated `Abdullah bin Mughaffal:

While we were besieging Khaibar, a person threw a leather container containing some fat and I ran to take it. Suddenly I looked behind, and behold! The Prophet (ﷺ) was there. So I felt shy (to take it then).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »