পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
وَهِيَ غَزْوَةُ مُحَارِبِ خَصَفَةَ مِنْ بَنِيْ ثَعْلَبَةَ مِنْ غَطَفَانَ فَنَزَلَ نَخْلًا وَهِيَ بَعْدَ خَيْبَرَ لِأَنَّ أَبَا مُوْسَى جَاءَ بَعْدَ خَيْبَرَ.
গাতফানের শাখা গোত্র বনু সালাবার অন্তর্ভুক্ত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সঙ্গে এ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাখলা নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ হয়েছিল। কেননা আবূ মূসা (রাঃ) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে) এসেছিলেন।
৪১২৫. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তম যুদ্ধ তথা যাতুর রিকার যুদ্ধে তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যূকারাদ[1]-এর যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। [৪১২৬, ৪১২৭, ৪১৩০, ৪১৩৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِيْ كَثِيْرٍ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِأَصْحَابِهِ فِي الْخَوْفِ فِيْ غَزْوَةِ السَّابِعَةِ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْخَوْفَ بِذِيْ قَرَدٍ
Narrated Jabir bin Abdullah (ra):
The Prophet (ﷺ) led his Companions in the Fear Prayer in the seventh Ghazwa i.e. the Ghazwa of Dhat-ur-Riqa. Ibn Abbas said, "The Prophet (ﷺ) offered the Fear Prayer at a place called Dhi-Qarad."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১২৬. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মুহারিব ও সালাবা গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীবর্গকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। [৪১২৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
وَقَالَ بَكْرُ بْنُ سَوَادَةَ حَدَّثَنِيْ زِيَادُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى أَنَّ جَابِرًا حَدَّثَهُمْ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِهِمْ يَوْمَ مُحَارِبٍ وَثَعْلَبَةَ
Jabir said that the Prophet (ﷺ) led the people in the Fear Prayer on the day of Muharib and Tha'laba (i.e. the day of the battle of Dhat-ur-Riqa').
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১২৭. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাখলা নামক স্থান থেকে যাতুর রিকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে গাতফান গোত্রের একটি দলের সম্মুখীন হন। কিন্তু সেখানে কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। উভয় পক্ষ পরস্পর ভীতি প্রদর্শন করেছিল মাত্র। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’রাক‘আত সালাতুল খাওফ আদায় করেন। ইয়াযীদ (রহ.) সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করে বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যূকারাদ-এর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। [৪১২৫; মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ سَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ كَيْسَانَ سَمِعْتُ جَابِرًا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى ذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ فَلَقِيَ جَمْعًا مِنْ غَطَفَانَ فَلَمْ يَكُنْ قِتَالٌ وَأَخَافَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَصَلَّى النَّبِيُّ رَكْعَتَيْ الْخَوْفِ وَقَالَ يَزِيْدُ عَنْ سَلَمَةَ غَزَوْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْقَرَدِ.
Jabir added:
"The Prophet (ﷺ) set out for the battle of Dhat-ur-Riqa' at a place called Nakhl and he met a group of people from Ghatafan, but there was no clash (between them); the people were afraid of each other and the Prophet (ﷺ) offered the two raka'at of the Fear prayer."
Narrated Salama: "I fought in the company of the Prophet (ﷺ) on the day of al-Qarad."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১২৮. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন যুদ্ধে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা ছিলাম ছয়জন। আমাদের কাছে ছিল মাত্র একটি উট। পালাক্রমে আমরা এর পিঠে চড়তাম। (হেঁটে হেঁটে) আমাদের পা ফেটে যায়। আমার পা দু’খানাও ফেটে গেল, নখগুলো খসে পড়ল। এ কারণে আমরা পায়ে নেকড়া জড়িয়ে নিলাম। এ জন্য একে যাতুর রিকা‘ যুদ্ধ বলা হয়। কেননা এ যুদ্ধে আমরা আমাদের পায়ে নেকড়া দিয়ে পট্টি বেঁধেছিলাম। আবূ মূসা (রাঃ) উক্ত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীকালে তিনি এ ঘটনা বর্ণনা করাকে অপছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমি এভাবে বর্ণনা করাকে ভাল মনে করি না। সম্ভবত তিনি তার কোন ‘আমল প্রকাশ করাকে অপছন্দ করতেন। [মুসলিম ৩২/৫০, হাঃ ১৮১৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২১)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةٍ وَنَحْنُ سِتَّةُ نَفَرٍ بَيْنَنَا بَعِيْرٌ نَعْتَقِبُهُ فَنَقِبَتْ أَقْدَامُنَا وَنَقِبَتْ قَدَمَايَ وَسَقَطَتْ أَظْفَارِيْ وَكُنَّا نَلُفُّ عَلَى أَرْجُلِنَا الْخِرَقَ فَسُمِّيَتْ غَزْوَةَ ذَاتِ الرِّقَاعِ لِمَا كُنَّا نَعْصِبُ مِنَ الْخِرَقِ عَلَى أَرْجُلِنَا وَحَدَّثَ أَبُوْ مُوْسَى بِهَذَا ثُمَّ كَرِهَ ذَاكَ قَالَ مَا كُنْتُ أَصْنَعُ بِأَنْ أَذْكُرَهُ كَأَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يَكُوْنَ شَيْءٌ مِنْ عَمَلِهِ أَفْشَاهُ.
Narrated Abu Burda:
Abu Musa said, "We went out in the company of the Prophet (ﷺ) for a Ghazwa and we were six persons having one camel which we rode in rotation. So, (due to excessive walking) our feet became thin and my feet became thin and my nail dropped, and we used to wrap our feet with the pieces of cloth, and for this reason, the Ghazwa was named Dhat-ur-Riqa as we wrapped our feet with rags." When Abu- Musa narrated this (Hadith), he felt regretful to do so and said, as if he disliked to have disclosed a good deed of his.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১২৯. সালিহ ইবনু খাওয়াত এমন একজন সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যিনি যাতুর রিকা‘র যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। তিনি বলেছেন, একদল লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কাতারে দাঁড়ালেন এবং অপর দলটি থাকলেন শত্রুর সম্মুখীন। এরপর তিনি তার সঙ্গে দাঁড়ানো দলটি নিয়ে এক রাক‘আত সালাত আদায় করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। মুক্তাদীগণ তাদের সালাত পূর্ণ করে ফিরে গেলেন এবং শত্রুর সম্মুখে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালেন। এরপর দ্বিতীয় দলটি এলে তিনি তাদেরকে নিয়ে অবশিষ্ট রাক‘আত আদায় করে স্থির হয়ে বসে থাকলেন। এরপর মুক্তাদীগণ তাদের নিজেদের সালাত সম্পূর্ণ করলে তিনি তাদেরকে নিয়ে সালাম ফিরালেন। [মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২২)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ يَزِيْدَ بْنِ رُوْمَانَ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَمَّنْ شَهِدَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَّى صَلَاةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ وِجَاهَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّتِيْ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوْا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوْا فَصَفُّوْا وِجَاهَ الْعَدُوِّ وَجَاءَتْ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمْ الرَّكْعَةَ الَّتِيْ بَقِيَتْ مِنْ صَلَاتِهِ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا وَأَتَمُّوْا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ
Narrated Salih bin Khawwat:
Concerning those who witnessed the Fear Prayer that was performed in the battle of Dhat-ur-Riqa' in the company of Allah's Messenger (ﷺ); One batch lined up behind him while another batch (lined up) facing the enemy. The Prophet (ﷺ) led the batch that was with him in one rak`a, and he stayed in the standing posture while that batch completed their (two rak`at) prayer by themselves and went away, lining in the face of the enemy, while the other batch came and he (i.e. the Prophet) offered his remaining rak`a with them, and then, kept on sitting till they completed their prayer by themselves, and he then finished his prayer with Taslim along with them.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩০. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমরা নাখলা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। এরপর জাবির (রাঃ) সালাতুল খাওফের কথা উল্লেখ করেন। এ হাদীসের ব্যাপারে ইমাম মালিক (রহ.) বলেছেন, সালাতুল খাওফ সম্পর্কে আমি যত হাদীস শুনেছি এর মধ্যে এ হাদীসটিই সবচেয়ে উত্তম। [৪১২৫]
লায়স (রহ.) ....... কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাযওয়ায়ে বনু আনমারে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন।
এই বর্ণনায় মু‘আয (রাঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২২)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ بِنَخْلٍ فَذَكَرَ صَلَاةَ الْخَوْفِ قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِيْ صَلَاةِ الْخَوْفِ.
تابعه الليث عن هشام عن زيد بن أسلم أن القاسم بن محمد حدثه صلى النبي صلى الله عليه وسلم في غزوة بني أنمار
Narrated Ibn Az-Zubair:
Jabir said, "We were with the Prophet (ﷺ) at Nakhl," and then he mentioned the Fear prayer. Narrated Al-Qasim bin Muhammad: The Prophet (ﷺ) offered the Fear prayer in the Ghazwa of Banu Anmar.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩১. সাহল ইবনু আবূ হাসমাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (সালাতুল খাওফে) ইমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন। একদল থাকবেন তাঁর সঙ্গে এবং অন্যদল শত্রুদের মুখোমুখী হয়ে তাদের মুকাবালায় দাঁড়িয়ে থাকবেন। তখন ইমাম তাঁর পেছনের একদল নিয়ে এক রাক‘আত সালাত আদায় করবেন। এরপর সালাতরত দলটি নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে রুকূ ও দু’ সিজদাসহ আরো এক রাক‘আত সালাত আদায় করে ঐ দলের স্থানে গিয়ে দাঁড়াবেন। এরপর তারা এলে ইমাম তাদের নিয়ে এক রাক‘আত সালাত আদায় করবেন। এভাবে ইমামের দু’রাক‘আত সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে। আর পিছনের লোকেরা রুকূ সিজদা্সহ আরো এক রাক‘আত সালাত আদায় করবেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৩)
সাহল ইবনু আবূ হাসমা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একইভাবে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৪)
সাহল (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসটির ন্যায় বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৪১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৫)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ الْقَطَّانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِيْ حَثْمَةَ قَالَ يَقُوْمُ الإِمَامُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ مِنْ قِبَلِ الْعَدُوِّ وُجُوْهُهُمْ إِلَى الْعَدُوِّ فَيُصَلِّيْ بِالَّذِيْنَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ يَقُوْمُوْنَ فَيَرْكَعُوْنَ لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً وَيَسْجُدُوْنَ سَجْدَتَيْنِ فِيْ مَكَانِهِمْ ثُمَّ يَذْهَبُ هَؤُلَاءِ إِلَى مَقَامِ أُوْلَئِكَ فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً فَلَهُ ثِنْتَانِ ثُمَّ يَرْكَعُوْنَ وَيَسْجُدُوْنَ سَجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِيْ حَثْمَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ يَحْيَى سَمِعَ الْقَاسِمَ أَخْبَرَنِيْ صَالِحُ بْنُ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلٍ حَدَّثَهُ قَوْلَهُ تَابَعَهُ اللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَدَّثَهُ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةِ بَنِيْ أَنْمَارٍ.
Narrated Sahl bin Abi Hathma:
(describing the Fear prayer): The Imam stands up facing the Qibla and one batch of them (i.e. the army) (out of the two) prays along with him and the other batch faces the enemy. The Imam offers one rak`a with the first batch they themselves stand up alone and offer one bowing and two prostrations while they are still in their place, and then go away to relieve the second batch, and the second batch comes (and takes the place of the first batch in the prayer behind the Imam) and he offers the second rak`a with them. So he completes his two-rak`at and then the second batch bows and prostrates two prostrations (i.e. complete their second rak`a and thus all complete their prayer).
(This hadith has also been narrated through two other chain by Sahl b. Abi Hathma)
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে নাজ্দ এলাকায় যুদ্ধ করেছি। এ যুদ্ধে আমরা শত্রুদের মুকাবালা করেছিলাম এবং তাদের সম্মুখে কাতারে দাঁড়িয়েছিলাম। [৯৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৬)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ سَالِمٌ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ غَزَوْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ فَصَافَفْنَا لَهُمْ.
Narrated Ibn `Umar:
I took part in a Ghazwa towards Najd along with Allah's Messenger (ﷺ) and we clashed with the enemy, and we lined up for them.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩৩. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সঙ্গে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন। অন্যদরকে রেখেছেন শত্রুর মুকাবালায়। তারপর সালাতরত দলটি এক রাক‘আত আদায় করে তাঁরা শত্রুর মুকাবালায় নিজ সাথীদের স্থানে চলে গেলেন। অতঃপর অন্য দলটি আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে নিয়ে এক রাক‘আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। এরপর তাঁরা তাদের বাকী আরেক রাক‘আত আদায় করলেন এবং শত্রুর মুকাবালায় গিয়ে দাঁড়ালেন। এবার আগের দলটি এসে তাদের বাকী রাক‘আতটি পূর্ণ করলেন। [৯৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৭)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ وَالطَّائِفَةُ الْأُخْرَى مُوَاجِهَةُ الْعَدُوِّ ثُمَّ انْصَرَفُوْا فَقَامُوْا فِيْ مَقَامِ أَصْحَابِهِمْ أُوْلَئِكَ فَجَاءَ أُوْلَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ ثُمَّ قَامَ هَؤُلَاءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ وَقَامَ هَؤُلَاءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) led the Fear-prayer with one of the two batches of the army while the other (batch) faced the enemy. Then the first batch went away and took places of their companions (i.e. second batch) and the second batch came and he led his second rak`a with them. Then he (i.e. the Prophet: finished his prayer with Taslim and then each of the two batches got up and completed their remaining one rak`a.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩৪. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাজ্দ এলাকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। [২৯১০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৮)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
أَبُو الْيَمَانِ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِيْ سِنَانٌ وَأَبُوْ سَلَمَةَ أَنَّ جَابِرًا أَخْبَرَ أَنَّهُ غَزَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ.
Narrated Sinan and Abu Salama:
Jabir mentioned that he had participated in a Ghazwa towards Najd in the company of Allah's Messenger (ﷺ) .
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩৫. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাজ্দ এলাকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাবর্তন করলে তিনিও তাঁর সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করলেন। পথিমধ্যে কাঁটা গাছ ভরা এক উপত্যকায় মধ্যাহ্নের সময় তাঁদের ভীষণ গরম অনুভূত হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানেই অবতরণ করলেন। লোকজন ছায়াদার বৃক্ষের খোঁজে কাঁটাবনের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল। এদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাবলা গাছের নিচে অবস্থান করে তরবারিখানা গাছে ঝুলিয়ে রাখলেন। জাবির (রাঃ) বলেন, সবেমাত্র আমরা নিদ্রা গিয়েছি। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ডাকতে লাগলেন। আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে এক বেদুঈন বসা ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম, এমতাবস্থায় সে আমার তরবারিখানা হস্তগত করে কোষমুক্ত অবস্থায় তা আমার উপর উঁচিয়ে ধরলে আমি জেগে যাই। তখন সে আমাকে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে? আমি বললাম, আল্লাহ। দেখ না, এ-ই তো সে বসা আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন প্রকার শাস্তি দিলেন না। [২৯১০; মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৮)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَخِيْ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِيْ عَتِيْقٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِيْ سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّهُ غَزَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ فَلَمَّا قَفَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَفَلَ مَعَهُ فَأَدْرَكَتْهُمْ الْقَائِلَةُ فِيْ وَادٍ كَثِيْرِ الْعِضَاهِ فَنَزَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الْعِضَاهِ يَسْتَظِلُّوْنَ بِالشَّجَرِ وَنَزَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ سَمُرَةٍ فَعَلَّقَ بِهَا سَيْفَهُ قَالَ جَابِرٌ فَنِمْنَا نَوْمَةً ثُمَّ إِذَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوْنَا فَجِئْنَاهُ فَإِذَا عِنْدَهُ أَعْرَابِيٌّ جَالِسٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا اخْتَرَطَ سَيْفِيْ وَأَنَا نَائِمٌ فَاسْتَيْقَظْتُ وَهُوَ فِيْ يَدِهِ صَلْتًا فَقَالَ لِيْ مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّيْ قُلْتُ اللهُ فَهَا هُوَ ذَا جَالِسٌ ثُمَّ لَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
Narrated Jabir bin `Abdullah:
That he fought in a Ghazwa towards Najd along with Allah's Messenger (ﷺ) and when Allah's Messenger (ﷺ) returned, he too, returned along with him. The time of the afternoon nap overtook them when they were in a valley full of thorny trees. Allah's Messenger (ﷺ) dismounted and the people dispersed amongst the thorny trees, seeking the shade of the trees. Allah's Messenger (ﷺ) took shelter under a Samura tree and hung his sword on it. We slept for a while when Allah's Messenger (ﷺ) suddenly called us, and we went to him, to find a bedouin sitting with him. Allah's Messenger (ﷺ) said, "This (bedouin) took my sword out of its sheath while I was asleep. When I woke up, the naked sword was in his hand and he said to me, 'Who can save you from me?, I replied, 'Allah.' Now here he is sitting." Allah's Messenger (ﷺ) did not punish him (for that).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩৬. (অপর এক সানাদে) আবান (রহ.) ...... জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যাতুর রিকা‘র যুদ্ধে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা একটি ছায়াদার বৃক্ষের কাছে গিয়ে পৌঁছলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আমরা তা ছেড়ে দিলাম। এমন সময় এক মুশরিক ব্যক্তি এসে গাছের সঙ্গে লটকানো নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারিখানা হাতে নিয়ে তা তাঁর উপর উঁচিয়ে ধরে বলল, তুমি আমাকে ভয় পাও কি? তিনি বললেন, না। এরপর সে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করবে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ তাকে ধমক দিলেন। এরপর সালাত আরম্ভ হলে তিনি সাহাবীদের একটি দলকে নিয়ে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। তারা এখান থেকে সরে গেলে অপর দলটি নিয়ে তিনি আরো দু’রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। এভাবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হ’ল চার রাক‘আত এবং সাহাবীদের হ’ল দু’রাক‘আত সালাত। (অন্য এক সূত্রে) মুসাদ্দাদ (রহ.) ......... আবূ বিশর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি যে লোকটি তলোয়ার উঁচু করেছিল তার নাম হল গাওরাস ইবনু হারিস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অভিযানে খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। [২৯১০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৮)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
وَقَالَ أَبَانُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِيْ كَثِيْرٍ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَاتِ الرِّقَاعِ فَإِذَا أَتَيْنَا عَلَى شَجَرَةٍ ظَلِيْلَةٍ تَرَكْنَاهَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ وَسَيْفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُعَلَّقٌ بِالشَّجَرَةِ فَاخْتَرَطَهُ فَقَالَ تَخَافُنِيْ قَالَ لَا قَالَ فَمَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّيْ قَالَ اللهُ فَتَهَدَّدَهُ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأُقِيْمَتْ الصَّلَاةُ فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ تَأَخَّرُوْا وَصَلَّى بِالطَّائِفَةِ الْأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعٌ وَلِلْقَوْمِ رَكْعَتَانِ وَقَالَ مُسَدَّدٌ عَنْ أَبِيْ عَوَانَةَ عَنْ أَبِيْ بِشْرٍ اسْمُ الرَّجُلِ غَوْرَثُ بْنُ الْحَارِثِ وَقَاتَلَ فِيْهَا مُحَارِبَ خَصَفَةَ
(through another group of narrators) Jabir said:
"We were in the company of the Prophet (during the battle of) Dhat-ur-Riqa', and we came across a shady tree and we left it for the Prophet (to take rest under its shade). A man from the pagans came while the Prophet's sword was hanging on the tree. He took it out of its sheath secretly and said (to the Prophet (ﷺ) ), 'Are you afraid of me?' The Prophet (ﷺ) said, 'No.' He said, 'Who can save you from me?' The Prophet (ﷺ) said, Allah.' The companions of the Prophet (ﷺ) threatened him, then the Iqama for the prayer was announced and the Prophet (ﷺ) offered a two rak`at Fear prayer with one of the two batches, and that batch went aside and he offered two rak`a-t with the other batch. So the Prophet (ﷺ) offered four rak`at but the people offered two rak`at only." (The subnarrator) Abu Bishr added, "The man was Ghaurath bin Al-Harith and the battle was waged against Muharib Khasafa."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
৪১৩৭. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নাখল নামক স্থানে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি এ সময় সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাতুল খাওফ আদায় করেছি। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) খায়বার যুদ্ধের সময় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসেছিলেন। [৪১২৫; মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৮)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ بِنَخْلٍ فَصَلَّى الْخَوْفَ وَقَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ نَجْدٍ صَلَاةَ الْخَوْفِ وَإِنَّمَا جَاءَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيَّامَ خَيْبَرَ.
Jabir added, "We were with the Prophet (ﷺ) at Nakhl and he offered the Fear prayer." Abu Huraira said, "I offered the Fear prayer with the Prophet (ﷺ) during the Ghazwa (i.e. the battle) of Najd." Abu Huraira came to the Prophet (ﷺ) during the day of Khaibar.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَذَلِكَ سَنَةَ سِتٍّ وَقَالَ مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ كَانَ حَدِيْثُ الإِفْكِ فِيْ غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيْعِ
ইবনু ইসহাক (রহ.) বলেছেন, এ যুদ্ধ ৬ষ্ঠ হিজরী সনে সংঘটিত হয়েছিল। মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রহ.) বলেছেন, ৪র্থ হিজরী সনে। নুমান ইবনু রাশিদ (রহ.) যুহরী (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মুরাইসীর যুদ্ধে ইফ্কের ঘটনা ঘটেছিল।
৪১৩৮. ইবনু মুহাইরীয (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)-কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বানূ মুসতালিকের যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে আসক্তি জাগে এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন অবস্থা আমাদের জন্য কষ্টকর অনুভূত হয়। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করতে মনস্থ করলাম। তখন আমরা পরস্পর বলাবলি করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে আছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ওটা না করলে তোমাদের কী ক্ষতি? ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই। [২২২৯; মুসলিম ত্বলাক (তালাক)/২১, হাঃ ১৪৩৮, আহমাদ ১১৮৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৯)
بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ رَبِيْعَةَ بْنِ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيْزٍ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيْدٍ الْخُدْرِيَّ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْعَزْلِ قَالَ أَبُوْ سَعِيْدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ وَقُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوْا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ.
Narrated Ibn Muhairiz:
I entered the Mosque and saw Abu Sa`id Al-Khudri and sat beside him and asked him about Al-Azl (i.e. coitus interruptus). Abu Sa`id said, "We went out with Allah's Messenger (ﷺ) for the Ghazwa of Banu Al-Mustaliq and we received captives from among the Arab captives and we desired women and celibacy became hard on us and we loved to do coitus interruptus. So when we intended to do coitus interrupt us, we said, 'How can we do coitus interruptus before asking Allah's Messenger (ﷺ) who is present among us?" We asked (him) about it and he said, 'It is better for you not to do so, for if any soul (till the Day of Resurrection) is predestined to exist, it will exist."