পরিচ্ছেদঃ ৬৪/০০. পরিচ্ছেদ নাই।

৪০৭৫. সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আহত হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন। উত্তরে তিনি বলেছেন, আল্লাহর শপথ! আমি ভালভাবেই জানি কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জখম ধুয়ে দিচ্ছিলেন এবং কে পানি ঢালছিলেন আর কী দিয়ে তার চিকিৎসা করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ) তা ধুয়ে দিচ্ছিলেন এবং ‘আলী (রাঃ) ঢালে করে পানি এনে ঢালছিলেন। ফাতিমাহ (রাঃ) যখন দেখলেন যে, পানি রক্ত পড়া বন্ধ না করে কেবল তা বৃদ্ধি করছে, তখন তিনি এক টুকরা চাটাই নিয়ে তা পুড়িয়ে লাগিয়ে দিলেন। তখন রক্ত বন্ধ হয়ে গেল। সেদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান দিকের একটি দাঁত ভেঙ্গে [1] গিয়েছিল, চেহারা জখম হয়েছিল এবং লৌহ শিরস্ত্রাণ ভেঙ্গে মস্তকে বিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। [২৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৭৩)

بَاب

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ وَهُوَ يُسْأَلُ عَنْ جُرْحِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَمَا وَاللهِ إِنِّيْ لَأَعْرِفُ مَنْ كَانَ يَغْسِلُ جُرْحَ رَسُوْلِ اللهِ وَمَنْ كَانَ يَسْكُبُ الْمَاءَ وَبِمَا دُوْوِيَ قَالَ كَانَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَام بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَغْسِلُهُ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ يَسْكُبُ الْمَاءَ بِالْمِجَنِّ فَلَمَّا رَأَتْ فَاطِمَةُ أَنَّ الْمَاءَ لَا يَزِيْدُ الدَّمَ إِلَّا كَثْرَةً أَخَذَتْ قِطْعَةً مِنْ حَصِيْرٍ فَأَحْرَقَتْهَا وَأَلْصَقَتْهَا فَاسْتَمْسَكَ الدَّمُ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَئِذٍ وَجُرِحَ وَجْهُهُ وَكُسِرَتْ الْبَيْضَةُ عَلَى رَأْسِهِ.

قتيبة بن سعيد حدثنا يعقوب عن ابي حازم انه سمع سهل بن سعد وهو يسال عن جرح رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اما والله اني لاعرف من كان يغسل جرح رسول الله ومن كان يسكب الماء وبما دووي قال كانت فاطمة عليها السلام بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم تغسله وعلي بن ابي طالب يسكب الماء بالمجن فلما رات فاطمة ان الماء لا يزيد الدم الا كثرة اخذت قطعة من حصير فاحرقتها والصقتها فاستمسك الدم وكسرت رباعيته يومىذ وجرح وجهه وكسرت البيضة على راسه.


Narrated Abu Hazim:

That he heard Sahl bin Sa`d being asked about the wounds of Allah's Messenger (ﷺ) saying, "By Allah, I know who washed the wounds of Allah's Messenger (ﷺ) and who poured water (for washing them), and with what he was treated." Sahl added, "Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) used to wash the wounds, and `Ali bin Abi Talib used to pour water from a shield. When Fatima saw that the water aggravated the bleeding, she took a piece of a mat, burnt it, and inserted its ashes into the wound so that the blood was congealed (and bleeding stopped). His canine tooth got broken on that day, and face was wounded, and his helmet was broken on his head."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/০০. পরিচ্ছেদ নাই।

৪০৭৬. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর গযব অত্যন্ত ভয়াবহ ঐ ব্যক্তির জন্য, যাকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হত্যা করেছেন[1] এবং আল্লাহর গযব অত্যন্ত ভয়াবহ ঐ ব্যক্তির জন্যও যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারাকে রক্তাক্ত করেছে। [৪০৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৭৪)

بَاب

عَمْرُوْ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ اشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ نَبِيٌّ وَاشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلَى مَنْ دَمَّى وَجْهَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم .

عمرو بن علي حدثنا ابو عاصم حدثنا ابن جريج عن عمرو بن دينار عن عكرمة عن ابن عباس قال اشتد غضب الله على من قتله نبي واشتد غضب الله على من دمى وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم .


Narrated Ibn `Abbas:

Allah's Wrath gets severe on a person killed by a prophet, and Allah's Wrath became severe on him who had caused the face of Allah's Messenger (ﷺ) to bleed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে