পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৩৭. হাবাশাহ্য় হিজরাত।
وَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيْتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لَابَتَيْنِ فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قِبَلَ الْمَدِيْنَةِ وَرَجَعَ عَامَّةُ مَنْ كَانَ هَاجَرَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ إِلَى الْمَدِيْنَةِ فِيْهِ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى وَأَسْمَاءَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের হিজরা্তের স্থান আমাকে (স্বপ্নে) দেখান হয়েছে। যেখানে রয়েছে অনেক বৃক্ষ আর সে স্থানটি ছিল দুই পাহাড়ের মাঝখানে। তখন হিজরতকারীগণ মদিনা্য় হিজরত করলেন এবং যারা এর আগে হাবশাহ্য় হিজরত করেছিলেন তারাও মদিনা্য় ফিরে আসলেন। এ সম্পর্কে আবূ মূসা ও আসমা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীস বর্ণিত আছে।
৩৮৭২. ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আদী ইবনু খিয়ার (রহ.) ‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়রকে বলেন যে, মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ এবং ‘আবদুর রহমান ইবনু আসওয়াদ ইবনু ‘আবদ ইয়াগুস (রাঃ) উভয়ই তাকে বলেন, তুমি তোমার মামা ‘উসমান (রাঃ)-এর সাথে তার (বৈপিত্রেয়) ভাই ওয়ালীদ ইবনু ‘উকবাহ সম্পর্কে কোন আলাপ-আলোচনা করছ না কেন? জনগণ তার বিরুদ্ধে শক্তভাবে সমালোচনা করছে। ‘উবাইদুল্লাহ বলেন, ‘উসমান (রাঃ) যখন সালাতের জন্য মসজিদে আসছিলেন তখন আমি তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম এবং তাঁকে লক্ষ্য করে বললাম, আপনার সাথে আমার কথা বলার দরকার আছে এবং তা আপনার কল্যাণের জন্যই। তিনি বললেন, ওহে, আমি তোমা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তখন ফিরে আসলাম এবং যখন সালাত শেষ করলাম, তখন মিসওয়ার ও ইবনু ‘আবদ ইয়াগুস (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে বসলাম এবং ‘উসমান (রাঃ)-কে আমি যা বলেছি এবং তিনি যে উত্তর দিয়েছেন তা দু’জনকে শুনালাম। তারা বললেন, তোমার উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল তা তুমি আদায় করেছ। আমি তাদের নিকট উপবিষ্টই আছি এ সময়‘উসমান (রাঃ)-এর পক্ষ হতে একজন দূত আমাকে ডেকে নেয়ার জন্য আসলেন। তারা দু’জন আমাকে বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। আমি চললাম এবং ‘উসমান (রাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী উপদেশ যা তুমি কিছুক্ষণ আগে বলতে চেয়েছিলে? তখন আমি কালিমা শাহাদাত পাঠ করে বললাম, আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর আপনি ঐ দলেরই অন্তর্ভুক্ত যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন, আপনি তাঁর উপর ঈমান এনেছেন, এবং প্রথম দু’ হিজরতে আপনি অংশ নিয়েছেন, আপনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গ লাভ করেছেন এবং তাঁর স্বভাব-চরিত্র চক্ষে দেখেছেন। জন সাধারণ ওয়ালিদ ইবনু ‘উকবাহ্ সম্পর্কে অনেক সমালোচনা করছে, আপনার কর্তব্য তাঁর উপর দন্ড জারি করা। ‘উসমান (রাঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পেয়েছ? আমি বললাম না, পাইনি। তবে তাঁর বিষয় আমার নিকট এমন ভাবে পৌঁছেছে যেমন ভাবে কুমারী মেয়েদের নিকট পর্দার সংবাদ পৌঁছে থাকে। ‘উবাইদুল্লাহ (রহ.) বলেন, ‘উসমান (রাঃ) কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আমিও ছিলাম। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যা সহ প্রেরণ করা হয়েছিল আমি তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি। ইসলামের প্রথম যুগের দু’ হিজরতে অংশ গ্রহণ করেছি যেমন তুমি বলছ। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গ লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর অবাধ্যতা করিনি। তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। এমতাবস্থায় তাঁর ওফাত হয়ে যায়। তারপর আল্লাহ্ তা‘আলা আবূ বকর (রাঃ) কে খালীফাহ নিযুক্ত করলেন। আল্লাহর কসম, আমি তাঁরও নাফরমানী করিনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) খালীফাহ মনোনীত হলেন। আল্লাহর কসম, আমি তাঁরও অবাধ্য হইনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। তিনিও মৃত্যুপ্রাপ্ত হলেন। এবং তারপর আমাকে খলীফা নিযুক্ত করা হল। আমার উপর তাদের বাধ্য থাকার যে রূপ হক ছিল তোমাদের উপর তাদের ন্যায় আমার প্রতি বাধ্য থাকার কি কোন কর্তব নেই? ‘উবাইদুল্লাহ বললেন, হাঁ। অবশ্যই হক আছে। ‘উসমান (রাঃ) বললেন, তাহলে এসব কথাবার্তা কী, তোমাদের পক্ষ হতে আমার নিকট আসছে? আর ওয়ালীদ ইবনু ‘উকবাহর ব্যাপারে তুমি যা বললে, সে ব্যাপারে আমি অতি সত্বর সঠিক পদক্ষেপ নিব ইন্শাআল্লাহ্। অতঃপর তিনি ওয়ালীদকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করার রায় প্রদান করলেন এবং তা বাস্তবায়িত করার জন্য ‘‘আলী (রাঃ)-কে আদেশ করলেন। সেকালে অপরাধীদেরকে শাস্তি প্রদানের দায়িত্বে ‘আলী (রাঃ) নিযুক্ত ছিলেন। ইউনুস এবং যুহরীর ভাতিজা যুহরী সূত্রে যে বর্ণনা করেন তাতে রয়েছে; ‘তোমাদের উপর আমার কি অধিকার নেই যেমন অধিকার ছিল তাদের জন্য।’ (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯০)
আবূ ‘আব্দুল্লাহ বলেন, অতঃপর ওয়ালীদকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করা হলো এবং ‘আলী (রাঃ)-কে নির্দেশ করা হলো তাকে বেত্রাঘাত করার। এবং তিনি তাকে বেত্রাঘাত করেছিলেন। (৩৬৯৬)
আবূ ‘আব্দুল্লাহ বলেন, بَلَاءٌ مِنْ رَبِّكُمْ ‘‘তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে শক্ত পরীক্ষা স্বরূপ।’’ (আল-বাকারাহঃ ৪৯) অন্যস্থানে الْبَلَاءُ শব্দ الاِبْتِلَاءُ ও التَّمْحِيْصُ অর্থে এসেছে। যথা بَلَوْتُهُ وَمَحَّصْتُهُ তার ভিতরের জিনিস উদ্ঘাটন করেছি। يَبْلُوْ পরীক্ষা করা অর্থে এসেছে, যথা مُبْتَلِيكُمْ ‘‘তিনি তোমাদের পরীক্ষা করবেন।’’ (আল-বাকারাহঃ ২৪৯) আর بَلَاءٌ عَظِيْمٌ অর্থাৎ বড় নি‘মাত। এখানে أَبْلَيْتُهُ আমি তাকে নি‘মাত দান করেছি।’’ এ অর্থে এসেছে। আর পূর্বের আয়াতে ابْتَلَيْتُهُ ‘‘আমি তাকে পরীক্ষা করেছি।’’ এর অর্থে এসেছে।
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجُعْفِيُّ حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوْثَ قَالَا لَهُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ خَالَكَ عُثْمَانَ فِيْ أَخِيْهِ الْوَلِيْدِ بْنِ عُقْبَةَ وَكَانَ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيْمَا فَعَلَ بِهِ قَالَ عُبَيْدُ اللهِ فَانْتَصَبْتُ لِعُثْمَانَ حِيْنَ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ لِيْ إِلَيْكَ حَاجَةً وَهِيَ نَصِيْحَةٌ فَقَالَ أَيُّهَا الْمَرْءُ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْكَ فَانْصَرَفْتُ فَلَمَّا قَضَيْتُ الصَّلَاةَ جَلَسْتُ إِلَى الْمِسْوَرِ وَإِلَى ابْنِ عَبْدِ يَغُوْثَ فَحَدَّثْتُهُمَا بِالَّذِيْ قُلْتُ لِعُثْمَانَ وَقَالَ لِيْ فَقَالَا قَدْ قَضَيْتَ الَّذِيْ كَانَ عَلَيْكَ فَبَيْنَمَا أَنَا جَالِسٌ مَعَهُمَا إِذْ جَاءَنِيْ رَسُوْلُ عُثْمَانَ فَقَالَا لِيْ قَدْ ابْتَلَاكَ اللهُ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَا نَصِيْحَتُكَ الَّتِيْ ذَكَرْتَ آنِفًا قَالَ فَتَشَهَّدْتُ ثُمَّ قُلْتُ إِنَّ اللهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ وَكُنْتَ مِمَّنْ اسْتَجَابَ لِلهِ وَرَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم وَآمَنْتَ بِهِ وَهَاجَرْتَ الْهِجْرَتَيْنِ الْأُوْلَيَيْنِ وَصَحِبْتَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيْ شَأْنِ الْوَلِيْدِ بْنِ عُقْبَةَ فَحَقٌّ عَلَيْكَ أَنْ تُقِيْمَ عَلَيْهِ الْحَدَّ فَقَالَ لِيْ يَا ابْنَ أَخِيْ آدْرَكْتَ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ قُلْتُ لَا وَلَكِنْ قَدْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا خَلَصَ إِلَى الْعَذْرَاءِ فِيْ سِتْرِهَا قَالَ فَتَشَهَّدَ عُثْمَانُ فَقَالَ إِنَّ اللهَ قَدْ بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ وَكُنْتُ مِمَّنْ اسْتَجَابَ لِلهِ وَرَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ مُحَمَّدٌ وَهَاجَرْتُ الْهِجْرَتَيْنِ الْأُوْلَيَيْنِ كَمَا قُلْتَ وَصَحِبْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبَايَعْتُهُ وَاللهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلَا غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ ثُمَّ اسْتَخْلَفَ اللهُ أَبَا بَكْرٍ فَوَاللهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلَا غَشَشْتُهُ ثُمَّ اسْتُخْلِفَ عُمَرُ فَوَاللهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلَا غَشَشْتُهُ ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ أَفَلَيْسَ لِيْ عَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِيْ كَانَ لَهُمْ عَلَيَّ قَالَ بَلَى قَالَ فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيْثُ الَّتِيْ تَبْلُغُنِيْ عَنْكُمْ فَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الْوَلِيْدِ بْنِ عُقْبَةَ فَسَنَأْخُذُ فِيْهِ إِنْ شَاءَ اللهُ بِالْحَقِّ قَالَ فَجَلَدَ الْوَلِيْدَ أَرْبَعِيْنَ جَلْدَةً وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يَجْلِدَهُ وَكَانَ هُوَ يَجْلِدُهُ وَقَالَ يُونُسُ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَفَلَيْسَ لِيْ عَلَيْكُمْ مِنْ الْحَقِّ مِثْلُ الَّذِيْ كَانَ لَهُمْ
قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ بَلَآءٌ مِّنْ رِّبِّكُمْ (البقرة : 49) مَا ابْتُلِيْتُمْ بِهِ مِنْ شِدَّةٍ وَفِيْ مَوْضِعٍ الْبَلَاءُ الِابْتِلَاءُ وَالتَّمْحِيْصُ مَنْ بَلَوْتُهُ وَمَحَّصْتُهُ أَيْ اسْتَخْرَجْتُ مَا عِنْدَهُ يَبْلُوْ يَخْتَبِرُ مُبْتَلِيْكُمْ (البقرة : 249) مُخْتَبِرُكُمْ وَأَمَّا قَوْلُهُ بَلَآءٌ عَظِيْمٌ النِّعَمُ وَهِيَ مِنْ أَبْلَيْتُهُ وَتِلْكَ مِنْ ابْتَلَيْتُهُ
Narrated 'Ubaidullah bin `Adi bin Al-Khiyar:
That Al-Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin 'Abu Yaghuth had said to him, "What prevents you from speaking to your uncle `Uthman regarding his brother Al-Walid bin `Uqba?" The people were speaking against the latter for what he had done. 'Ubaidullah said, "So I kept waiting for `Uthman, and when he went out for the prayer, I said to him, 'I have got something to say to you as a piece of advice.' `Uthman said, 'O man! I seek Refuge with Allah from you. So I went away. When I finished my prayer, I sat with Al-Miswar and Ibn 'Abu Yaghutb and talked to both of them of what I had said to `Uthman and what he had said to me. They said, 'You have done your duty.' So while I was sitting with them. `Uthman's Messenger came to me. They said, 'Allah has put you to trial." I set out and when I reached `Uthman, he said, 'What is your advice which you mentioned a while ago?' I recited Tashahhud and added, 'Allah has sent Muhammad and has revealed the Holy Book (i.e. Qur'an) to him. You (O `Uthman!) were amongst those who responded to the call of Allah and His Apostle and had faith in him. And you took part in the first two migrations (to Ethiopia and to Medina), and you enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and learned his traditions and advice. Now the people are talking much about Al-Walid bin `Uqba and so it is your duty to impose on him the legal punishment.' `Uthman then said to me, 'O my nephew! Did you ever meet Allah's Messenger (ﷺ) ?' I said, 'No, but his knowledge has reached me as it has reached the virgin in her seclusion.' `Uthman then recited Tashahhud and said, 'No doubt, Allah has sent Muhammad with the Truth and has revealed to him His Holy Book (i.e. Qur'an) and I was amongst those who responded to the call of Allah and His Apostle and I had faith in Muhammad's Mission, and I had performed the first two migrations as you have said, and I enjoyed the company of Allah's Messenger (ﷺ) and gave the pledge of allegiance to him. By Allah, I never disobeyed him and never cheated him till Allah caused him to die. Then Allah made Abu Bakr Caliph, and by Allah, I was never disobedient to him, nor did I cheat him. Then `Umar became Caliph, and by Allah, I was never disobedient to him, nor did I cheat him. Then I became Caliph. Have I not then the same rights over you as they had over me?' I replied in the affirmative. `Uthman further said, 'The what are these talks which are reaching me from you? As for what you ha mentioned about Al-Walid bin 'Uqb; Allah willing, I shall give him the leg; punishment justly. Then `Uthman ordered that Al-Walid be flogged fort lashes. He ordered `Ali to flog him an he himself flogged him as well."
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৩৭. হাবাশাহ্য় হিজরাত।
৩৮৭৩. ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন উম্মু হাবীবাহ ও উম্মু সালামাহ (রাঃ) তাঁর সাথে আলোচনা করলেন যে তাঁরা হাবাশায় খ্রিস্টানদের একটি গির্জা দেখে এসেছেন। সে গির্জায় নানা ধরনের চিত্র অঙ্কিত রয়েছে। তাঁরা দু’জন এসব কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উল্লেখ করলেন। তখন তিনি বললেন, তাদের কোন নেক্কার লোক মারা গেলে তার কবরের উপর মাসজিদ তৈরি করত এবং এসব ছবি অঙ্কিত করে রাখত, এরাই কিয়ামতের দিনে আল্লাহ্ সর্ব নিকৃষ্ট সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হবে। (৪২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯১)
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ أُمَّ، حَبِيبَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ ذَكَرَتَا كَنِيسَةً رَأَيْنَهَا بِالْحَبَشَةِ، فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَذَكَرَتَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِيكَ الصُّوَرَ، أُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ".
Narrated `Aisha:
Um Habiba and Um Salama mentioned a church they had seen in Ethiopia and in the church there were pictures. When they told the Prophet (ﷺ) of this, he said, "Those people are such that if a pious man amongst them died, they build a place of worship over his grave and paint these pictures in it. Those people will be Allah's worst creatures on the Day of Resurrection . "
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৩৭. হাবাশাহ্য় হিজরাত।
৩৮৭৪. উম্মু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখন হাবাশা হতে মদিনা্য় আসলাম তখন আমি ছোট্ট বালিকা ছিলাম। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে একটি চাদর পরিয়ে দিলেন যাতে ডোরা কাটা ছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম& ঐ ডোরাগুলির উপর হাত বুলাতে লাগলেন, এবং বলতে ছিলেন সানাহ-সানাহ। হুমায়দী (রহ.) বলেন, অর্থাৎ সুন্দর সুন্দর। (৩০৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯২)
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيْدٍ السَّعِيْدِيُّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أُمِّ خَالِدٍ بِنْتِ خَالِدٍ قَالَتْ قَدِمْتُ مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ وَأَنَا جُوَيْرِيَةٌ فَكَسَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمِيْصَةً لَهَا أَعْلَامٌ فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ الأَعْلَامَ بِيَدِهِ وَيَقُوْلُ سَنَاهْ سَنَاهْ قَالَ الْحُمَيْدِيُّ يَعْنِيْ حَسَنٌ حَسَنٌ
Narrated Um Khalid bint Khalid:
When I came from Ethiopia (to Medina), I was a young girl. Allah's Messenger (ﷺ) made me wear a sheet having marks on it. Allah's Messenger (ﷺ) was rubbing those marks with his hands saying, "Sanah! Sanah!" (i.e. good, good).
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৩৭. হাবাশাহ্য় হিজরাত।
৩৮৭৫. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সালাতে রত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমরা সালাম করতাম, তিনিও আমাদের সালামের উত্তর দিতেন। যখন আমরা নাজাশীর কাছ থেকে ফিরে এলাম, তখন সালাতে রত অবস্থায় তাঁকে সালাম করলাম, কিন্তু তিনি সালামের জবাব দিলেন না। আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা আপনাকে সালাম করতাম এবং আপনিও সালামের উত্তর দিতেন। কিন্তু আজ আপনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না? তিনি বললেন, সালাতের মধ্যে আল্লাহর দিকে একাগ্রতা থাকে। রাবী বলেন, আমি ইবরাহীম নাখয়ীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কী করেন? তিনি বললেন, আমি মনে মনে জবাব দিয়ে দেই। (১১৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯৩)
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّيْ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّا كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَيْكَ فَتَرُدُّ عَلَيْنَا قَالَ إِنَّ فِي الصَّلَاةِ شُغْلًا فَقُلْتُ لِإِبْرَاهِيْمَ كَيْفَ تَصْنَعُ أَنْتَ قَالَ أَرُدُّ فِيْ نَفْسِي
Narrated `Abdullah:
We used to greet the Prophet (ﷺ) while he used to be in prayers, and he used to reply to our greetings. But when we came back from Najashi (the King of Ethiopia) we greeted him (while he was praying) and he did not reply to us. We said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We used to greet you in the past and you used to reply to us." He said, "Verily The Mind is occupied and busy with more important matter during the prayer." (So one cannot return One's greetings.)
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৩৭. হাবাশাহ্য় হিজরাত।
৩৮৭৬. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আবির্ভাবের খবর এসে পৌঁছল। তখন আমরা ইয়ামানে ছিলাম। আমরা একটি নৌকায় আরোহণ করলাম। কিন্তু আমাদের নৌকা হাবাশায় নাজাশীর নিকট নিয়ে গেল। সেখানে জা‘ফর ইবনু আবূ তালিবের (রাঃ) সাথে সাক্ষাৎ হল। আমরা তাঁর সাথে থাকতে লাগলাম। কিছুদিন পর আমরা সেখান হতে রওয়ানা হলাম। এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার বিজয় করলেন তখন আমরা তাঁর সাথে মিলিত হলাম। আমাদেরকে দেখে তিনি বললেন, হে নৌকার আরোহীরা! তোমরা দু’টি হিজরত লাভ করেছ। (৩১৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯৪)
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ فَرَكِبْنَا سَفِيْنَةً فَأَلْقَتْنَا سَفِيْنَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِيْ طَالِبٍ فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَكُمْ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ السَّفِيْنَةِ هِجْرَتَانِ
Narrated Abu Musa:
We received the news of the departure of the Prophet (to Medina) while we were in Yemen. So we went on board a ship but our ship took us away to An-Najashi (the Negus) in Ethiopia. There we met Ja`far bin Abi Talib and stayed with him till we came (to Medina) by the time when the Prophet (ﷺ) had conquered Khaibar. The Prophet (ﷺ) said, "O you people of the ship! You will have (the reward of) two migrations."