পরিচ্ছেদঃ ৬০/৪০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

وَوَهَبْنَا لِدَاو”دَ سُلَيْمَانَ نِعْمَ الْعَبْدُ إِنَّه” أَوَّابٌ (ص : 30)

আর আমি দাঊদকে দান করলাম সুলাইমান। সে ছিল অতি উত্তম বান্দা। তিনি তো ছিলেন অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী। (সোয়াদ ৩০)

الرَّاجِعُ الْمُنِيْبُ وَقَوْلِهِ وَهَبْ لِيْ مُلْكًا لَا يَنْبَغِيْ لِأَحَدٍ مِّنْ بَعْدِيْ (ص : 35) وَقَوْلِهِ وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّيَاطِيْنُ عَلٰى مُلْكِ سُلَيْمَانَ (البقرة : 102) وَلِسُلَيْمٰنَ الرِّيْحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌوَرَوَاحُهَا شَهْرٌ (سبأ : 12) وَأَسَلْنَا لَهُ عَيْنَ الْقِطْرِ (سبأ : 12) أَذَبْنَا لَهُ عَيْنَ الْحَدِيْدِ وَمِنَ الْجِنِّ مَنْ يَّعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ إِلَى قَوْلِهِ مِنْ مَّحَارِيْبَ (سبأ : 12)  قَالَ مُجَاهِدٌ بُنْيَانٌ مَا دُوْنَ الْقُصُوْرِ وَتَمَاثِيْلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ (سبأ : 12)  كَالْحِيَاضِ لِلْإِبِلِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَالْجَوْبَةِ مِنْ الأَرْضِ وَقُدُوْرٍ رَاسِيَاتٍ اعْمَلُوْا آلَ دَاوُدَ شُكْرًا وَقَلِيْلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُوْرُ (سبأ : 12) فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلٰى مَوْتِهٰ إِلَّا دَآبَّةُ الأَرْضِ الأَرَضَةُ تَأْكُلُ مِنْسَأَتَهُ عَصَاهُ فَلَمَّا خَرَّ إِلَى قَوْلِهِ فِي الْعَذَابِ الْمُهِيْنِ  (سبأ : 13-14) حُبَّ الْخَيْرِ عَنْ ذِكْرِ رَبِّي (ص : 32)  فَطَفِقَ مَسْحًا بِالسُّوقِ (ص : 33) وَالأَعْنَاقِ يَمْسَحُ أَعْرَافَ الْخَيْلِ وَعَرَاقِيْبَهَا الْأَصْفَادُ الْوَثَاقُ قَالَ مُجَاهِدٌ الصَّافِنَاتُ صَفَنَ الْفَرَسُ رَفَعَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ حَتَّى تَكُوْنَ عَلَى طَرَفِ الْحَافِرِ الْجِيَادُ السِّرَاعُ جَسَدًا شَيْطَانًا رُخَآءً طَيِّبَةً حَيْثُ أَصَابَ حَيْثُ شَاءَ فَامْنُنْ أَعْطِ بِغَيْرِ حِسَابٍ بِغَيْرِ حَرَجٍ

أَوَّابٌ অর্থ গোনাহ হতে ফিরে যে আল্লাহ্ অভিমুখী হয়। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনি প্রার্থনা করলেনঃ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে যেন না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা তা অনুসরণ করল যা শয়তানরা আবৃত্তি করত সুলাইমানের রাজত্বকালে- (আল-বাকারাহ ১০২) মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি বায়ুকে সুলায়মানের অধীন করে দিলাম যা সকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য বিগলিত তামার এক প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছিলাম। أَسَلْنَا অর্থ বিগলিত করে দিলাম عَيْنَ الْقِطْرِ অর্থ লোহার প্রসবণ-আর কতক জ্বিন তাঁর রবের নির্দেশে তার সামনে কাজ করতো। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করে, তাকে জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব। জ্বিনেরা সুলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ তৈরি করত। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مَحَارِيْبَ অর্থ বড় বড় দালানের তুলনায় ছোট ইমারত-ভাস্কর্য শিল্প প্রস্তুত করতো, আর হাউজ সদৃশ বৃহদাকার রান্না করার পাত্র তৈরি করতো- যেমন উটের জন্য হাওম থাকে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, যেমন যমীনে গর্ত থাকে। আর তৈরি বিশাল বিশাল ডেকচি যা সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত। হে দাউদের পরিবার! আমার কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তোমরা কাজ কর। আর আমার বান্দাগণের মধ্যে অল্পই শুকুর গুযারী করে- (সাবা ১২-১৩)। إِلَّا دَابَّةُ الأرْضِ কেবল মাটির পোকা অর্থাৎ উই পোকা যা তার (সুলায়মানের) লাঠি খেতেছিল। مِنْسَأَتَهُ তার লাঠি। যখন সে (সুলায়মান) পড়ে গেল....লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তিতে- (সাবা ১৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ সম্পদের মোহে আমার রবের স্মরণ থেকে-আয়াতাংশে عن অর্থ فَطَفِقَ مَسْحًا - من অর্থ তিনি (সুলায়মান আ) ঘোড়াগুলোর গর্দানসমূহ ও তাদের হাঁটুর নলাসমূহ কাটতে লাগলেন। الأَصْفَادُ অর্থ, শৃক্মখলসমূহ। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الصَّافِنَاتُ অর্থ, দৌড়ের জন্য প্রস্তুত ঘোড়াসমূহ। এ অর্থ صَفَنَ الْفَرَسُ  হতে গৃহীত। ঘোড়া যখন দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এক পা উঠিয়ে অন্য পায়ের খুরার উপর দাঁড়িয়ে যায়, তখন এ বাক্য বলা হয়। الْجِيَادُ অর্থ দ্রুতগামী, جَسَدًا  শয়তান رُخَاءً -উত্তম حَيْثُ أَصَابَ যেখানে ইচ্ছা فَامْنُنْ দান কর بِغَيْرِ حِسَابٍ নির্দ্বিধায়। (সদ ৩১-৩৮)


৩৪২৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ্ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে ধরলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম, যাতে তোমরা সবাই স্বচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলায়মান (আঃ)-এর এ দু‘আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে যেন না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। অতঃপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দিলাম। জ্বিন কিংবা মানুষের অত্যন্ত পিশাচ ব্যক্তিকে ইফ্রীত বলা হয়। ইফ্রীত ও ইফ্রীয়াতুন যিব্নীয়াতুন-এর মত এক বচন, যার বহু বচন যাবানিয়াতুন। (৪৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮০)

 

بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ عِفْرِيْتًا مِنْ الْجِنِّ تَفَلَّتَ الْبَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلَاتِيْ فَأَمْكَنَنِي اللهُ مِنْهُ فَأَخَذْتُهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ عَلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تَنْظُرُوْا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِيْ سُلَيْمَانَ رَبِّ هَبْ لِيْ مُلْكًا لَّا يَنْبَغِيْ لِأَحَدٍ مِّنْم بَعْدِيْ (ص : 35) فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا عِفْرِيْتٌ مُتَمَرِّدٌ مِنْ إِنْسٍ أَوْ جَانٍّ مِثْلُ زِبْنِيَةٍ جَمَاعَتُهَا الزَّبَانِيَةُ

حدثني محمد بن بشار حدثنا محمد بن جعفر حدثنا شعبة عن محمد بن زياد عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ان عفريتا من الجن تفلت البارحة ليقطع علي صلاتي فامكنني الله منه فاخذته فاردت ان اربطه على سارية من سواري المسجد حتى تنظروا اليه كلكم فذكرت دعوة اخي سليمان رب هب لي ملكا لا ينبغي لاحد منم بعدي (ص : 35) فرددته خاسىا عفريت متمرد من انس او جان مثل زبنية جماعتها الزبانية


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "A strong demon from the Jinns came to me yesterday suddenly, so as to spoil my prayer, but Allah enabled me to overpower him, and so I caught him and intended to tie him to one of the pillars of the Mosque so that all of you might see him, but I remembered the invocation of my brother Solomon: 'And grant me a kingdom such as shall not belong to any other after me.' (38.35) so I let him go cursed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৪০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

৩৪২৪. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সুলায়মান ইবনু দাঊদ (আঃ) বলেছিলেন, আজ রাতে আমি আমার সত্তর জন স্ত্রীর নিকট যাব। প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে অশ্বারোহী যোদ্ধা গর্ভধারণ করবে। এরা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। তখন তাঁর সাথী বললেন, ইন্শা আল্লাহ্। কিন্তু তিনি মুখে তা বললেন না। অতঃপর একজন স্ত্রী ছাড়া কেউ গর্ভধারণ করলেন না। সে যাও এক (পুত্র) সন্তান প্রসব করলেন যার এক অঙ্গ ছিল না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি যদি ‘ইন্শা আল্লাহ্’ মুখে বলতেন, তাহলে আল্লাহর পথে জিহাদ করতো। শু‘আয়ব এবং ইবনু আবূ যিনাদ (রহ.) এখানে নব্বই জন স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন আর এটাই সঠিক। (২৮১৯, মুসলিম ২৭/৫ হাঃ ১৬৫৪, আহমাদ ৭১৪) আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮১)

بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مُغِيْرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ لَاطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى سَبْعِيْنَ امْرَأَةً تَحْمِلُ كُلُّ امْرَأَةٍ فَارِسًا يُجَاهِدُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ إِنْ شَاءَ اللهُ فَلَمْ يَقُلْ وَلَمْ تَحْمِلْ شَيْئًا إِلَّا وَاحِدًا سَاقِطًا أَحَدُ شِقَّيْهِ فَقَالَ النَّبِيُّ لَوْ قَالَهَا لَجَاهَدُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ قَالَ شُعَيْبٌ وَابْنُ أَبِي الزِّنَادِ تِسْعِيْنَ وَهُوَ أَصَحُّ

حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مغيرة بن عبد الرحمن عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال قال سليمان بن داود لاطوفن الليلة على سبعين امراة تحمل كل امراة فارسا يجاهد في سبيل الله فقال له صاحبه ان شاء الله فلم يقل ولم تحمل شيىا الا واحدا ساقطا احد شقيه فقال النبي لو قالها لجاهدوا في سبيل الله قال شعيب وابن ابي الزناد تسعين وهو اصح


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Solomon (the son of) David said, 'Tonight I will sleep with seventy ladies each of whom will conceive a child who will be a knight fighting for "Allah's Cause.' His companion said, 'If Allah will.' But Solomon did not say so; therefore none of those women got pregnant except one who gave birth to a half child." The Prophet (ﷺ) further said, "If the Prophet (ﷺ) Solomon had said it (i.e. 'If Allah will') he would have begotten children who would have fought in Allah's Cause." Shuaib and Ibn Abi Az-Zinad said, "Ninety (women) is more correct (than seventy).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৪০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

৩৪২৫. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সর্বপ্রথম কোন্ মাসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আকসা। আমি বললাম, এ দু’য়ের নির্মাণের মাঝখানে কত তফাৎ? তিনি বললেন, চল্লিশ (বছরের)[১] (অতঃপর তিনি বললেন,) যেখানেই তোমার সালাতের সময় হবে, সেখানেই তুমি সালাত আদায় করে নিবে। কারণ, পৃথিবীটাই তোমার জন্য মাসজিদ। (৩৩৬৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮২)

بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنِيْ عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلَ قَالَ الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ قُلْتُ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ الْمَسْجِدُ الأَقْصَى قُلْتُ كَمْ كَانَ بَيْنَهُمَا قَالَ أَرْبَعُوْنَ ثُمَّ قَالَ حَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فَصَلِّ وَالأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ

حدثني عمر بن حفص حدثنا ابي حدثنا الاعمش حدثنا ابراهيم التيمي عن ابيه عن ابي ذر قال قلت يا رسول الله اي مسجد وضع اول قال المسجد الحرام قلت ثم اي قال ثم المسجد الاقصى قلت كم كان بينهما قال اربعون ثم قال حيثما ادركتك الصلاة فصل والارض لك مسجد


Narrated Abu Dhaar:

I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Which mosque was built first?" He replied, "Al-Masjid-ul-Haram." I asked, "Which (was built) next?" He replied, "Al-Masjid-ul-Aqs-a (i.e. Jerusalem)." I asked, "What was the period in between them?" He replied, "Forty (years)." He then added, "Wherever the time for the prayer comes upon you, perform the prayer, for all the earth is a place of worshipping for you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৪০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

৩৪২৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, আমার ও অন্যান্য মানুষের দৃষ্টান্ত হলো এমন যেমন কোন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালাল এবং তাতে পতঙ্গ এবং পোকামাকড় ঝাঁকে ঝাঁকে পড়তে লাগল। (৬৪৮৩, মুসলিম ৪৩/৬ হাঃ ২২৮৪, আহমাদ ৮১২৩) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮৩ প্রথমাংশ)

بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ مَثَلِيْ وَمَثَلُ النَّاسِ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَجَعَلَ الْفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ تَقَعُ فِي النَّارِ

حدثنا ابو اليمان اخبرنا شعيب حدثنا ابو الزناد عن عبد الرحمن حدثه انه سمع ابا هريرة انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول مثلي ومثل الناس كمثل رجل استوقد نارا فجعل الفراش وهذه الدواب تقع في النار


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "My example and the example o the people is like that of a person who lit a fire and let the moths, butterflies and these insects fall in it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৪০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

৩৪২৭. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দু’জন মহিলা ছিল। তাদের সাথে দু’টি সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলে নিয়ে গেল। সঙ্গের একজন মহিলা বললো, ’’তোমার ছেলেটিই বাঘে নিয়ে গেছে।’’ অন্য মহিলাটি বললো, ’’না, বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে।’’ অতঃপর উভয় মহিলাই দাঊদ (আঃ)-এর নিকট এ বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচারপ্রার্থী হলো। তখন তিনি ছেলেটির বিষয়ে বয়স্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন। অতঃপর তারা উভয়ে বেরিয়ে দাউদ (আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (আঃ)-এর নিকট দিয়ে যেতে লাগল এবং তারা দু’জনে তাঁকে ব্যাপারটি জানালেন। তখন তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমার নিকট একখানা ছোরা নিয়ে আস। আমি ছেলেটিকে দু’ টুকরা করে তাদের দু’জনের মধ্যে ভাগ করে দেই। এ কথা শুনে অল্প বয়স্কা মহিলাটি বলে উঠলো, তা করবেন না, আল্লাহ্ আপনার উপর রহম করুন, ছেলেটি তারই। তখন তিনি ছেলেটি সম্পর্কে অল্প বয়স্কা মহিলাটির অনুকূলে রায় দিলেন।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! ছোরা অর্থে السِّكِّينِ শব্দটি আমি ঐ দিনই শুনেছি। তা না হলে আমরা তো ছোরাকে الْمُدْيَةُ ই বলতাম। (৬৭৬৯, মুসলিম ৩০/১০ হাঃ ১৭২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮৩)

بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

وَقَالَ كَانَتْ امْرَأَتَانِ مَعَهُمَا ابْنَاهُمَا جَاءَ الذِّئْبُ فَذَهَبَ بِابْنِ إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ صَاحِبَتُهَا إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ وَقَالَتْ الْأُخْرَى إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ فَتَحَاكَمَتَا إِلَى دَاوُدَ فَقَضَى بِهِ لِلْكُبْرَى فَخَرَجَتَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ فَأَخْبَرَتَاهُ فَقَالَ ائْتُوْنِيْ بِالسِّكِّينِ أَشُقُّهُ بَيْنَهُمَا فَقَالَتْ الصُّغْرَى لَا تَفْعَلْ يَرْحَمُكَ اللهُ هُوَ ابْنُهَا فَقَضَى بِهِ لِلصُّغْرَى
قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ وَاللهِ إِنْ سَمِعْتُ بِالسِّكِّينِ إِلَّا يَوْمَئِذٍ وَمَا كُنَّا نَقُوْلُ إِلَّا الْمُدْيَةُ

وقال كانت امراتان معهما ابناهما جاء الذىب فذهب بابن احداهما فقالت صاحبتها انما ذهب بابنك وقالت الاخرى انما ذهب بابنك فتحاكمتا الى داود فقضى به للكبرى فخرجتا على سليمان بن داود فاخبرتاه فقال اىتوني بالسكين اشقه بينهما فقالت الصغرى لا تفعل يرحمك الله هو ابنها فقضى به للصغرى قال ابو هريرة والله ان سمعت بالسكين الا يومىذ وما كنا نقول الا المدية


He also said, "There were two women, each of whom had a child with her. A wolf came and took away the child of one of them, whereupon the other said, 'It has taken your child.' The first said, 'But it has taken your child.' So they both carried the case before David who judged that the living child be given to the elder lady. So both of them went to Solomon bin David and informed him (of the case). He said, 'Bring me a knife so as to cut the child into two pieces and distribute it between them.' The younger lady said, 'May Allah be merciful to you! Don't do that, for it is her (i.e. the other lady's) child.' So he gave the child to the younger lady."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে