পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ بَادِئَ الرَّأْيِ (هود : 27) مَا ظَهَرَ لَنَا أَقْلِعِي (هود : 44) أَمْسِكِيْ وَفَارَ التَّنُّوْرُ (هود : 40) نَبَعَ الْمَاءُ وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الأَرْضِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْجُوْدِيُّ (هود : 44) جَبَلٌ بِالْجَزِيْرَةِ دَأْبٌ (المؤمن : 31) مِثْلُ حَالٌ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِيْ তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّوْرُ পানি সবেগে উত্থিত হল। আর ‘ইকরিমাহ (রহ.) বলেন, التَّنُّوْرُ অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْجُوْدِيُّ জর্জিয়ার একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা।
قَوْلِ اللهِ تَعَالَى إِنَّآ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهٰ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَّأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ (نوح : 1) إِلَى آخِرِ السُّوْرَةِ وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوْحٍ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهٰ يٰقَوْمِ إِنْ كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُمْ مَّقَامِيْ وَتَذْكِيْرِيْ بِاٰيٰتِ اللهِ إِلَى قَوْلِهِ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ (يونس : 71-72)
মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’’(নূহঃ ১) ........... সূরার শেষ পর্যন্ত। ‘‘আর তাদেরকে শুনিয়ে দাও নূহের অবস্থা-যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, যদি তোমাদের মাঝে আমার অবস্থিতি এবং আল্লাহর আয়াতসমূহের মাধ্যমে নসীহাত করা ভারী বলে মনে হয়ে থাকে . . . . . . . আমি আনুগত্য অবলম্বন করি।’’ (ইউনুসঃ ৭১-৭২)
৩৩৩৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা জনসমাবেশে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন, অতঃপর দাজ্জালের উল্লেখ করে বললেন, আমি তোমাদেরকে তার নিকট হতে সাবধান করছি আর প্রত্যেক নবীই নিজ নিজ সম্প্রদায়কে এ দাজ্জাল হতে সাবধান করে দিয়েছেন। নূহ (আঃ)-ও নিজ সম্প্রদায়কে দাজ্জাল হতে সাবধান করেছেন। কিন্তু আমি তোমাদেরকে তার সম্বন্ধে এমন একটা কথা বলছি, যা কোন নবী তাঁর সম্প্রদায়কে বলেননি। তা হলো তোমরা জেনে রেখ, নিশ্চয়ই দাজ্জাল এক চক্ষু বিশিষ্ট, আর আল্লাহ এক চক্ষু বিশিষ্ট নন। (৩০৫৭) (মুসলিম ২৮/৭ হাঃ ৩৯৩২, আহমাদ ৩৬৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৮)
بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَالِمٌ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنِّيْ لَانْذِرُكُمُوْهُ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ لَقَدْ أَنْذَرَ نُوْحٌ قَوْمَهُ وَلَكِنِّيْ أَقُوْلُ لَكُمْ فِيْهِ قَوْلًا لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ تَعْلَمُوْنَ أَنَّهُ أَعْوَرُ وَأَنَّ اللهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ
Narrated Ibn `Umar:
Once Allah's Messenger (ﷺ) stood amongst the people, glorified and praised Allah as He deserved and then mentioned the Dajjal saying, "l warn you against him (i.e. the Dajjal) and there was no prophet but warned his nation against him. No doubt, Noah warned his nation against him but I tell you about him something of which no prophet told his nation before me. You should know that he is one-eyed, and Allah is not one-eyed."
পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।
৩৩৩৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন একটি কথা বলে দেব না, যা কোন নবীই তাঁর সম্প্রদায়কে বলেননি? তা হলো, নিশ্চয়ই সে হবে এক চোখওয়ালা, সে সঙ্গে করে হুবহু জান্নাত এবং জাহান্নাম নিয়ে আসবে।[১] অতএব যাকে সে বলবে যে, এটি জান্নাত প্রকৃতপক্ষে সেটি হবে জাহান্নাম। আর আমি তার সম্পর্কে তোমাদের নিকট তেমনি সাবধান করছি, যেমনি নূহ (আঃ) তার সম্প্রদায়কে সে সম্পর্কে সাবধান করেছেন। (৩০৫৭) (মুসলিম ৫২/২০ হাঃ ২৯৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৯)
بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلَا أُحَدِّثُكُمْ حَدِيْثًا عَنْ الدَّجَّالِ مَا حَدَّثَ بِهِ نَبِيٌّ قَوْمَهُ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّهُ يَجِيءُ مَعَهُ بِمِثَالِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَالَّتِيْ يَقُوْلُ إِنَّهَا الْجَنَّةُ هِيَ النَّارُ وَإِنِّيْ أُنْذِرُكُمْ كَمَا أَنْذَرَ بِهِ نُوْحٌ قَوْمَهُ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Shall I not tell you about the Dajjal a story of which no prophet told his nation? The Dajjall is one-eyed and will bring with him what will resemble Hell and Paradise, and what he will call Paradise will be actually Hell; so I warn you (against him) as Noah warned his nation against him."
পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।
৩৩৩৯. আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (কিয়ামতের দিন) নূহ এবং তাঁর উম্মাত (আল্লাহর নিকটে) হাযির হবেন। তখন আল্লাহ তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি (আমার বাণী) পৌঁছিয়েছ? তিনি বলবেন, হ্যাঁ, হে আমার রব! তখন আল্লাহ তাঁর উম্মাতকে জিজ্ঞেস করবেন, নূহ কি তোমাদের নিকট আমার বাণী পৌঁছিয়েছেন। তারা বলবে, না, আমাদের নিকট কোন নবীই আসেননি। তখন আল্লাহ নূহকে বলবেন, তোমার জন্য সাক্ষ্য দিবে কে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মাত। [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন] তখন আমরা সাক্ষ্য দিব। নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছেন। আর এটিই হল মহান আল্লাহর বাণীঃ আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী উম্মাত করেছি, যেন তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী হও- (আল-বাকারাহঃ ১৪৩)। الوسط অর্থ ন্যায়পরায়ণ। (৪৪৮৭, ৭৩৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০০)
بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ
حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَجِيءُ نُوْحٌ وَأُمَّتُهُ فَيَقُوْلُ اللهُ تَعَالَى هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُوْلُ نَعَمْ أَيْ رَبِّ فَيَقُوْلُ لِأُمَّتِهِ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُوْلُوْنَ لَا مَا جَاءَنَا مِنْ نَبِيٍّ فَيَقُوْلُ لِنُوْحٍ مَنْ يَشْهَدُ لَكَ فَيَقُوْلُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ فَنَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ وَهُوَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ وَكَذٰلِكَ جَعَلْنٰكُمْ أُمَّةً وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ (البقرة : 143) وَالْوَسَطُ الْعَدْلُ
Narrated Abu Sa`id:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Noah and his nation will come (on the Day of Resurrection and Allah will ask (Noah), "Did you convey (the Message)?' He will reply, 'Yes, O my Lord!' Then Allah will ask Noah's nation, 'Did Noah convey My Message to you?' They will reply, 'No, no prophet came to us.' Then Allah will ask Noah, 'Who will stand a witness for you?' He will reply, 'Muhammad and his followers (will stand witness for me).' So, I and my followers will stand as witnesses for him (that he conveyed Allah's Message)." That is, (the interpretation) of the Statement of Allah: "Thus we have made you a just and the best nation that you might be witnesses Over mankind .." (2.143)
পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।
৩৩৪০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক খানার দা’ওয়াতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর সামনে (রান্না করা) ছাগলের বাহু আনা হল, এটা তাঁর নিকট পছন্দনীয় ছিল। তিনি সেখান হতে এক খন্ড খেলেন এবং বললেন, আমি কিয়ামতের দিন সমগ্র মানব জাতির সরদার হব। তোমরা কি জান? আল্লাহ কিভাবে (কিয়ামতের দিন) একই সমতলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে একত্র করবেন? যেন একজন দর্শক তাদের সবাইকে দেখতে পায় এবং একজন আহবানকারীর আহবান সবার নিকট পৌঁছায়। সূর্য তাদের অতি নিকটে এসে যাবে। তখন কোন কোন মানুষ বলবে, তোমরা কি লক্ষ্য করনি, তোমরা কী অবস্থায় আছ এবং কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছ। তোমরা কি এমন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে না, যিনি তোমাদের জন্য তোমাদের রবের নিকট সুপারিশ করবেন? তখন কিছু লোক বলবে, তোমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) আছেন। তখন সকলে তাঁর নিকট যাবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি সমস্ত মানব জাতির পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার পক্ষ হতে রূহ আপনার মধ্যে ফুঁকেছেন। তিনি ফেরেশতাদেরকে (আপনার সম্মানের) নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সকলে আপনাকে সিজদাও করেছেন এবং তিনি আপনাকে জান্নাতে বসবাস করতে দিয়েছেন। আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? আপনি দেখেন না, আমরা কী অবস্থায় আছি এবং কী কষ্টের সম্মুখীন হয়েছি। তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়েছেন এর পূর্বে এমন রাগান্বিত হননি আর পরেও এমন রাগান্বিত হবেন না। আর তিনি আমাকে বৃক্ষটি হতে নিষেধ করেছিলেন। তখন আমি ভুল করেছি। এখন আমি নিজের চিন্তায়ই ব্যস্ত। তোমরা আমাকে ছাড়া অন্যের নিকট যাও। তোমরা নূহের নিকট চলে যাও। তখন তারা নূহ (আঃ)-এর নিকট আসবে এবং বলবে, হে নূহ! পৃথিবীবাসীদের নিকট আপনিই প্রথম রাসূল এবং আল্লাহ আপনার নাম রেখেছেন কৃতজ্ঞ বান্দা। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না, আমরা কী ভয়াবহ অবস্থায় পড়ে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কতই না দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়ে আছি? আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়ে আছেন, যা ইতোপূর্বে হন নাই এবং এমন রাগান্বিত পরেও হবেন না। এখন আমি নিজের চিন্তায়ই ব্যস্ত। তোমরা নবী [মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট চলে যাও। তখন তারা আমার নিকট আসবে আর আমি আরশের নীচে সিজদায় পড়ে যাব। তখন বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা উঠান এবং সুপারিশ করুন। আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে আর আপনি যা চান, আপনাকে তাই দেয়া হবে। মুহাম্মাদ ইবনু ‘উবাইদ (রহ.) বলেন, হাদীসের সকল অংশ মুখস্থ করতে পারিনি। (৩৩৬১, ৪৭১২) (মুসলিম ১/৮৪ হাঃ ১৯৪ আহমাদ ৯২২৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০১)
بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ
حَدَّثَنِيْ إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ حَيَّانَ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ دَعْوَةٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً وَقَالَ أَنَا سَيِّدُ الْقَوْمِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَلْ تَدْرُوْنَ بِمَ يَجْمَعُ اللهُ الأَوَّلِيْنَ وَالْآخِرِيْنَ فِيْ صَعِيْدٍ وَاحِدٍ فَيُبْصِرُهُمْ النَّاظِرُ وَيُسْمِعُهُمْ الدَّاعِيْ وَتَدْنُوْ مِنْهُمْ الشَّمْسُ فَيَقُوْلُ بَعْضُ النَّاسِ أَلَا تَرَوْنَ إِلَى مَا أَنْتُمْ فِيْهِ إِلَى مَا بَلَغَكُمْ أَلَا تَنْظُرُوْنَ إِلَى مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُوْلُ بَعْضُ النَّاسِ أَبُوكُمْ آدَمُ فَيَأْتُوْنَهُ فَيَقُوْلُوْنَ يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُوْ الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوْحِهِ وَأَمَرَ الْمَلَائِكَةَ فَسَجَدُوْا لَكَ وَأَسْكَنَكَ الْجَنَّةَ أَلَا تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيْهِ وَمَا بَلَغَنَا فَيَقُوْلُ رَبِّيْ غَضِبَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَنَهَانِيْ عَنْ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ نَفْسِيْ نَفْسِيْ اذْهَبُوْا إِلَى غَيْرِيْ اذْهَبُوْا إِلَى نُوْحٍ فَيَأْتُوْنَ نُوْحًا فَيَقُوْلُوْنَ يَا نُوْحُ أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَسَمَّاكَ اللهُ عَبْدًا شَكُوْرًا أَمَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيْهِ أَلَا تَرَى إِلَى مَا بَلَغَنَا أَلَا تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ فَيَقُوْلُ رَبِّيْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ نَفْسِيْ نَفْسِيْ ائْتُوْا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيَأْتُوْنِيْ فَأَسْجُدُ تَحْتَ الْعَرْشِ فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ وَسَلْ تُعْطَهْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ لَا أَحْفَظُ سَائِرَهُ
Narrated Abu Huraira:
We were in the company of the Prophet (ﷺ) at a banquet and a cooked (mutton) forearm was set before him, and he used to like it. He ate a morsel of it and said, "I will be the chief of all the people on the Day of Resurrection. Do you know how Allah will gather all the first and the last (people) in one level place where an observer will be able to see (all) of them and they will be able to hear the announcer, and the sun will come near to them. Some People will say: Don't you see, in what condition you are and the state to which you have reached? Why don't you look for a person who can intercede for you with your Lord? Some people will say: Appeal to your father, Adam.' They will go to him and say: 'O Adam! You are the father of all mankind, and Allah created you with His Own Hands, and ordered the angels to prostrate for you, and made you live in Paradise. Will you not intercede for us with your Lord? Don't you see in what (miserable) state we are, and to what condition we have reached?' On that Adam will reply, 'My Lord is so angry as He has never been before and will never be in the future; (besides), He forbade me (to eat from) the tree, but I disobeyed (Him), (I am worried about) myself! Myself! Go to somebody else; go to Noah.' They will go to Noah and say; 'O Noah! You are the first amongst the messengers of Allah to the people of the earth, and Allah named you a thankful slave. Don't you see in what a (miserable) state we are and to what condition we have reached? Will you not intercede for us with your Lord? Noah will reply: 'Today my Lord has become so angry as he had never been before and will never be in the future Myself! Myself! Go to the Prophet (Muhammad). The people will come to me, and I will prostrate myself underneath Allah's Throne. Then I will be addressed: 'O Muhammad! Raise your head; intercede, for your intercession will be accepted, and ask (for anything). for you will be given. "
পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।
৩৩৪১. ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল ক্বারীদের ক্বিরাআতের মত فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ তিলাওয়াত করেছেন। (৩৩৪৫, ৩৩৭৬, ৪৮৬৯, ৪৮৭০, ৪৮৭১, ৪৮৭২, ৪৮৭৩, ৪৮৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০২)
بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ أَخْبَرَنَا أَبُوْ أَحْمَدَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيْدَ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ (القمر) مِثْلَ قِرَاءَةِ الْعَامَّةِ
Narrated `Abdullah:
Allah's Messenger (ﷺ) recited the following Verse) in the usual tone: 'Fahal-Min-Muddalkir.' (54.15)