পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

60/1. بَابُ خَلْقِ آدَمَ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِ وَذُرِّيَّتِهِ

৬০/১. অধ্যায় : আদম (আঃ) ও তাঁর সন্তানাদির সৃষ্টি।

صَلْصٰلٍ طِيْنٌ خُلِطَ بِرَمْلٍ فَصَلْصَلَ كَمَا يُصَلْصِلُ الْفَخَّارُ وَيُقَالُ مُنْتِنٌ يُرِيْدُوْنَ بِهِ صَلَّ كَمَا يُقَالُ صَرَّ الْبَابُ وَصَرْصَرَ عِنْدَ الإِغْلَاقِ مِثْلُ كَبْكَبْتُهُ يَعْنِيْ كَبَبْتُهُ  فَمَرَّتْ بِهِ اسْتَمَرَّ بِهَا الْحَمْلُ فَأَتَمَّتُ أَنْ لَّا تَسْجُدَ أَنْ تَسْجُدَ

صَلْصَالٍ বালি মিশ্রিত শুকনো মাটি যা শব্দ করে যেমন আগুনে পোড়া মাটি শব্দ করে। আরো বলা হয় তা হল দুর্গন্ধময় মাটি। আরবরা এ দিয়ে صَلْ অর্থ নিয়ে থাকে, যেমন তারা দরজা বন্ধ করার শব্দের ক্ষেত্রে صَرَّ الْبَابُ  এবং صَرْصَرَ শব্দদ্বয় ব্যবহার করে থাকে। অনুরূপ كَبْكَبْتُهُ  এর অর্থ كَبَبْتُهُ নিয়ে থাকে। فَمَرَّتْ بِهِ  তার গর্ভ স্থিতি লাভ করল এবং এর মেয়াদ পূর্ণ করল। أَنْ لَا تَسْجُدَ এর لَا শব্দটি অতিরিক্ত। أَنْ تَسْجُدَ অর্থ সিজদা করতে।

وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَآئِكَةِ إِنِّيْ جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيْفَةً  (البقرة : 30)

স্মরণ করুন, যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতামন্ডলীকে বললেন, আমি পৃথিবীতে খলীফা সৃষ্টি করছি- (আল-বাকারাহ ৩০)।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ (الطارق : 4) إِلَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ فِيْ كَبَدٍ (البلد : 4)  فِيْ شِدَّةِ خَلْقٍ وَرِيَاشًا (الأعراف : 26) الْمَالُ وَقَالَ غَيْرُهُ الرِّيَاشُ وَالرِّيْشُ وَاحِدٌ وَهُوَ مَا ظَهَرَ مِنْ اللِّبَاسِ مَا تُمْنُوْنَ (الواقعة : 58)  النُّطْفَةُ فِيْ أَرْحَامِ النِّسَاءِ

ইবনু ’আব্বাস (রা.) বলেন, لَمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ এর অর্থ কিন্তু তার ওপর রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক। فِيْ كَبَدٍ সৃষ্টিগত ক্লেশের মধ্যে وَرِيَاشًا এর অর্থ সম্পদ। ইবনু ’আব্বাস (রা.) ব্যতীত অন্যরা বলেন, الرِّيَاشُ এবং الرِّيشُ উভয়ের একই অর্থ। আর তা হল পরিচ্ছদের বাহ্যিক দিক। مَا تُمْنُوْنَ স্ত্রীলোকদের জরায়ুতে পতিত বীর্য।

وَقَالَ مُجَاهِدٌ إِنَّه” عَلٰى رَجْعِهِ لَقٰدِرٌ (الطارق : 4)   النُّطْفَةُ فِي الْإِحْلِيْلِ كُلُّ شَيْءٍ خَلَقَهُ فَهُوَ شَفْعٌ السَّمَاءُ شَفْعٌ وَالْوَتْرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيْٓ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ (التين : 4)   فِيْ أَحْسَنِ خَلْقٍ أَسْفَلَ سَافِلِيْنَ (التين : 5) إِلَّا مَنْ آمَنَ خُسْرٍ (العصر : 2) ضَلَالٍ ثُمَّ اسْتَثْنَى إِلَّا مَنْ آمَنَ لَازِبٍ (الصفات : )  لَازِمٌ وَنُنْشِئُكُمْ (الواقعة : 61)  فِيْ أَيِّ خَلْقٍ نَشَاءُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ (البقرة : 30)  نُعَظِّمُكَ

আর মুজাহিদ (র.) (আল্লাহর বাণী) إِنَّهُ عَلَى رَجْعِهِ لَقَادِرٌ এর অর্থ বলেছেন, পুরুষের লিঙ্গে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ সক্ষম। আল্লাহ সকল বস্তুকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আকাশেরও জোড়া আছে, কিন্তু আল্লাহ বেজোড়। فِيْ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ উত্তম অবয়ববে। যারা ঈমান এনেছে তারা ব্যতীত সকলেই হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে। خُسْرٍ পথভ্রষ্ট। অতঃপর اسْتَثْنَى করে আল্লাহ বলেন, কিন্তু যারা ঈমান এনেছে, তারা ব্যতীত। لَازِبٍ অর্থ আঠালো। نُنْشِئُكُمْ অর্থ যে কোন আকৃতিতে আমি ইচ্ছা করি তোমাদেরকে সৃষ্টি করব। نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ অর্থ আমরা প্রশংসার সঙ্গে আপনার মহিমা বর্ণনা করব।

وَقَالَ أَبُوْ الْعَالِيَةِ فَتَلَقّٰىٓ اٰدَمُ مِنْ رَبِّهٰ كَلِمٰتٍ (البقرة : 37) فَهُوَ قَوْلُهُ رَبَّنَا ظَلَمْنَآ أَنْفُسَنَا (الأعراف : 23)  فَأَزَلَّهُمَا (البقرة : 36)  فَاسْتَزَلَّهُمَا  يَتَسَنَّهْ (البقرة : 259)  يَتَغَيَّرْ اٰسِنٌ (الأعراف : 23)  مُتَغَيِّرٌ وَالْمَسْنُوْنُ الْمُتَغَيِّرُ حَمَإٍ (الحجرات : 26)  جَمْعُ حَمْأَةٍ وَهُوَ الطِّينُ الْمُتَغَيِّرُ يَخْصِفَانِ أَخْذُ الْخِصَافِ مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ يُؤَلِّفَانِ الْوَرَقَ وَيَخْصِفَانِ بَعْضَهُ إِلَى بَعْضٍ سَوْاٰتُهُمَا كِنَايَةٌ عَنْ فَرْجَيْهِمَا وَمَتَاعٌ إِلٰى حِيْنٍ (الأعراف :24) هَا هُنَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ الْحِيْنُ عِنْدَ الْعَرَبِ مِنْ سَاعَةٍ إِلَى مَا لَا يُحْصَى عَدَدُهُ وَقَبِيْلُهُ (الأعراف : 27) جِيْلُهُ الَّذِيْ هُوَ مِنْهُمْ

আর আবুল ’আলিয়াহ (রহ.) বলেন, অতঃপর আদম (আঃ) যা শিক্ষা করলেন, তা হলো তাঁর উক্তি; ’’হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নফসের উপর যুলুম করেছি’’। তিনি আরো বলেন, فَأَزَلَّهُمَا শয়তান তাদের উভয়কে পদস্খলিত করল। يَتَسَنَّهْ পরিবর্তিত হবে। آسِنٌ পরিবর্তনশীল। الْمَسْنُوْنُ যা পরিবর্তিত। حَمَاءٌ শব্দটি حَمْأَةٌ  শব্দের বহুবচন। যার অর্থ গলিত কাদা মাটি। يَخْصِفَانِ তারা উভয়ে (আদম ও হাওয়া) জান্নাতের পাতাগুলো জোড়া দিতে লাগলেন। (জোড়া দিয়ে নিজেদের লজ্জাস্থান আবৃত করতে শুরু করলেন।) سَوْآتُهُمَا দ্বারা তাদের উভয়ের লজ্জাস্থানের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। আর مَتَاعٌ إِلَى حِيْنٍ এর অর্থ এখানে কিয়ামতের দিন অবধি। আর আরববাসীগণ الْحِيْنُ শব্দ দ্বারা কিছু সময় হতে অগণিত সময়কে বুঝিয়ে থাকেন। قَبِيْلُهُ এর অর্থ তার ঐ প্রজন্ম ও সমাজ যার একজন সে।


৩৩২৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দেহের দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফেরেশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কারণ সেটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। অতঃপর আদম (আঃ) (ফেরেশতাদের) বললেন, ’’আস্সালামু ’আলাইকুম’’। ফেরেশতামন্ডলী তার উত্তরে ’’আস-সালামু ’আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ বললেন। ফেরেশতারা সালামের জওয়াবে ’’ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আঃ)-এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপে এসেছে। (৬২২৭, মুসলিম ৫১/১১ হাঃ ২৮৪১, আহমাদ ৮১৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৮৮)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَلَقَ اللهُ آدَمَ وَطُوْلُهُ سِتُّوْنَ ذِرَاعًا ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُوْلَئِكَ مِنْ الْمَلَائِكَةِ فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّوْنَكَ فَتِلْكَ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوْا السَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ فَزَادُوْهُ وَرَحْمَةُ اللهِ فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُوْرَةِ آدَمَ فَلَمْ يَزَلْ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ

حدثني عبد الله بن محمد حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن همام عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال خلق الله ادم وطوله ستون ذراعا ثم قال اذهب فسلم على اولىك من الملاىكة فاستمع ما يحيونك فتلك تحيتك وتحية ذريتك فقال السلام عليكم فقالوا السلام عليك ورحمة الله فزادوه ورحمة الله فكل من يدخل الجنة على صورة ادم فلم يزل الخلق ينقص حتى الان


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah created Adam, making him 60 cubits tall. When He created him, He said to him, "Go and greet that group of angels, and listen to their reply, for it will be your greeting (salutation) and the greeting (salutations of your offspring." So, Adam said (to the angels), As-Salamu Alaikum (i.e. Peace be upon you). The angels said, "As-salamu Alaika wa Rahmatu-l-lahi" (i.e. Peace and Allah's Mercy be upon you). Thus the angels added to Adam's salutation the expression, 'Wa Rahmatu-l-lahi,' Any person who will enter Paradise will resemble Adam (in appearance and figure). People have been decreasing in stature since Adam's creation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩২৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চন্দ্রের মত উজ্জ্বল। অতঃপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তিমান উজ্জ্বল তারকার ন্যায়। তারা পেশাব করবে না, পায়খানা করবে না। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেষ্মাও বের হবে না। তাদের চিরুণী হবে স্বর্ণের তৈরী। তাদের ঘাম হবে মিস্কের মত সুগন্ধযুক্ত। তাদের ধনুচি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাষ্ঠের। বড় চক্ষু বিশিষ্টা হুরগণ হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি পিতা আদম (আঃ)-এর আকৃতিতে হবেন। উচ্চতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। (৩২৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৮৯)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ عَلَى صُوْرَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ عَلَى أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً لَا يَبُوْلُوْنَ وَلَا يَتَغَوَّطُوْنَ وَلَا يَتْفِلُوْنَ وَلَا يَمْتَخِطُوْنَ أَمْشَاطُهُمْ الذَّهَبُ وَرَشْحُهُمْ الْمِسْكُ وَمَجَامِرُهُمْ الأَلُوَّةُ الأَنْجُوْجُ عُوْدُ الطِّيبِ وَأَزْوَاجُهُمْ الْحُوْرُ الْعِيْنُ عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ عَلَى صُوْرَةِ أَبِيْهِمْ آدَمَ سِتُّوْنَ ذِرَاعًا فِي السَّمَاءِ

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا جرير عن عمارة عن ابي زرعة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اول زمرة يدخلون الجنة على صورة القمر ليلة البدر ثم الذين يلونهم على اشد كوكب دري في السماء اضاءة لا يبولون ولا يتغوطون ولا يتفلون ولا يمتخطون امشاطهم الذهب ورشحهم المسك ومجامرهم الالوة الانجوج عود الطيب وازواجهم الحور العين على خلق رجل واحد على صورة ابيهم ادم ستون ذراعا في السماء


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "The first group of people who will enter Paradise, will be glittering like the full moon and those who will follow them, will glitter like the most brilliant star in the sky. They will not urinate, relieve nature, spit, or have any nasal secretions. Their combs will be of gold, and their sweat will smell like musk. The aloes-wood will be used in their centers. Their wives will be houris. All of them will look alike and will resemble their father Adam (in stature), sixty cubits tall."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩২৮. উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ সত্য প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে কি তাদের উপর গোসল ফরজ হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। যখন সে বীর্য দেখতে পায়। এ কথা শুনে উম্মু সালামাহ (রাঃ) হাসলেন এবং বললেন, মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা না হলে সন্তান তার মত কিভাবে হয়। (১৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯০)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ اللهَ لَا يَسْتَحْيِيْ مِنْ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ الْغَسْلُ إِذَا احْتَلَمَتْ قَالَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ فَضَحِكَتْ أُمُّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ تَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَبِمَ يُشْبِهُ الْوَلَدُ

حدثنا مسدد حدثنا يحيى عن هشام بن عروة عن ابيه عن زينب بنت ابي سلمة عن ام سلمة ان ام سليم قالت يا رسول الله ان الله لا يستحيي من الحق فهل على المراة الغسل اذا احتلمت قال نعم اذا رات الماء فضحكت ام سلمة فقالت تحتلم المراة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فبم يشبه الولد


Narrated Zainab bint Abi Salama:

Um Salama said, "Um Sulaim said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Allah does not refrain from saying the truth! Is it obligatory for a woman to take a bath after she gets nocturnal discharge?' He said, 'Yes, if she notices the water (i.e. discharge).' Um Salama smiled and said, 'Does a woman get discharge?' Allah's Apostle said. 'Then why does a child resemble (its mother)?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩২৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালামের নিকট রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মদিনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন তিনি তাঁর নিকট আসলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে চাই যার উত্তর নবী ব্যতীত আর কেউ জানে না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কী? আর সর্বপ্রথম খাবার কী, যা জান্নাতবাসী খাবে? আর কী কারণে সন্তান তার পিতার মত হয়? আর কী কারণে (কোন কোন সময়) তার মামাদের মত হয়? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই মাত্র জিবরাঈল (আঃ) আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। রাবী বলেন, তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, সে তো ফেরেশতাগণের মধ্যে ইয়াহূদীদের শত্রু। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন হলো আগুন যা মানুষকে পূর্ব হতে পশ্চিম দিকে তাড়িয়ে নিয়ে একত্রিত করবে। আর প্রথম খাবার যা জান্নাতবাসীরা খাবেন তা হলো মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ। আর সন্তান সদৃশ হবার ব্যাপার এই যে পুরুষ যখন তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করে তখন যদি পুরুষের বীর্য প্রথমে স্খলিত হয় তবে সন্তান তার সদৃশ হবে আর যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের পূর্বে স্খলিত হয় তখন সন্তান তার সদৃশ হয়। তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহূদীরা অপবাদ ও কুৎসা রটনাকারী সম্প্রদায়। আপনি তাদেরকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করার পূর্বে তারা যদি আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয় জেনে ফেলে, তাহলে তারা আপনার কছে আমার কুৎসা রটনা করবে। অতঃপর ইয়াহূদীরা এলো এবং ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম কেমন লোক? তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি এবং সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তির পুত্র। তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির পুত্র। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি ‘আবদুল্লাহ ইসলাম গ্রহণ করে, এতে তোমাদের অভিমত কী হবে? তারা বলল, এর থেকে আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুক। এমন সময় ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদের সামনে বের হয়ে আসলেন এবং তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। তখন তারা বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ লোক এবং সবচেয়ে খারাপ লোকের সন্তান এবং তারা তাঁর গীবত ও কুৎসা রটনায় লেগে গেল। (৩৯১১, ৩৯৩৮, ৪৪৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯১)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ أَخْبَرَنَا الْفَزَارِيُّ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ بَلَغَ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَلَامٍ مَقْدَمُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّيْ سَائِلُكَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ قَالَ مَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَمِنْ أَيِّ شَيْءٍ يَنْزِعُ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيْهِ وَمِنْ أَيِّ شَيْءٍ يَنْزِعُ إِلَى أَخْوَالِهِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَبَّرَنِيْ بِهِنَّ آنِفًا جِبْرِيْلُ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ ذَاكَ عَدُوُّ الْيَهُوْدِ مِنْ الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنْ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ حُوْتٍ وَأَمَّا الشَّبَهُ فِي الْوَلَدِ فَإِنَّ الرَّجُلَ إِذَا غَشِيَ الْمَرْأَةَ فَسَبَقَهَا مَاؤُهُ كَانَ الشَّبَهُ لَهُ وَإِذَا سَبَقَ مَاؤُهَا كَانَ الشَّبَهُ لَهَا قَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ الْيَهُوْدَ قَوْمٌ بُهُتٌ إِنْ عَلِمُوْا بِإِسْلَامِيْ قَبْلَ أَنْ تَسْأَلَهُمْ بَهَتُوْنِيْ عِنْدَكَ فَجَاءَتْ الْيَهُوْدُ وَدَخَلَ عَبْدُ اللهِ الْبَيْتَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ رَجُلٍ فِيكُمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ قَالُوْا أَعْلَمُنَا وَابْنُ أَعْلَمِنَا وَأَخْبَرُنَا وَابْنُ أَخْيَرِنَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللهِ قَالُوْا أَعَاذَهُ اللهُ مِنْ ذَلِكَ فَخَرَجَ عَبْدُ اللهِ إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ فَقَالُوْا شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا وَوَقَعُوْا فِيْهِ

حدثنا محمد بن سلام اخبرنا الفزاري عن حميد عن انس قال بلغ عبد الله بن سلام مقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة فاتاه فقال اني ساىلك عن ثلاث لا يعلمهن الا نبي قال ما اول اشراط الساعة وما اول طعام ياكله اهل الجنة ومن اي شيء ينزع الولد الى ابيه ومن اي شيء ينزع الى اخواله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خبرني بهن انفا جبريل قال فقال عبد الله ذاك عدو اليهود من الملاىكة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اما اول اشراط الساعة فنار تحشر الناس من المشرق الى المغرب واما اول طعام ياكله اهل الجنة فزيادة كبد حوت واما الشبه في الولد فان الرجل اذا غشي المراة فسبقها ماوه كان الشبه له واذا سبق ماوها كان الشبه لها قال اشهد انك رسول الله ثم قال يا رسول الله ان اليهود قوم بهت ان علموا باسلامي قبل ان تسالهم بهتوني عندك فجاءت اليهود ودخل عبد الله البيت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اي رجل فيكم عبد الله بن سلام قالوا اعلمنا وابن اعلمنا واخبرنا وابن اخيرنا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم افرايتم ان اسلم عبد الله قالوا اعاذه الله من ذلك فخرج عبد الله اليهم فقال اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا رسول الله فقالوا شرنا وابن شرنا ووقعوا فيه


Narrated Anas:

When `Abdullah bin Salam heard the arrival of the Prophet (ﷺ) at Medina, he came to him and said, "I am going to ask you about three things which nobody knows except a prophet: What is the first portent of the Hour? What will be the first meal taken by the people of Paradise? Why does a child resemble its father, and why does it resemble its maternal uncle" Allah's Messenger (ﷺ) said, "Gabriel has just now told me of their answers." `Abdullah said, "He (i.e. Gabriel), from amongst all the angels, is the enemy of the Jews." Allah's Messenger (ﷺ) said, "The first portent of the Hour will be a fire that will bring together the people from the east to the west; the first meal of the people of Paradise will be Extra-lobe (caudate lobe) of fish-liver. As for the resemblance of the child to its parents: If a man has sexual intercourse with his wife and gets discharge first, the child will resemble the father, and if the woman gets discharge first, the child will resemble her." On that `Abdullah bin Salam said, "I testify that you are the Messenger of Allah." `Abdullah bin Salam further said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The Jews are liars, and if they should come to know about my conversion to Islam before you ask them (about me), they would tell a lie about me." The Jews came to Allah's Messenger (ﷺ) and `Abdullah went inside the house. Allah's Apostle asked (the Jews), "What kind of man is `Abdullah bin Salam amongst you?" They replied, "He is the most learned person amongst us, and the best amongst us, and the son of the best amongst us." Allah's Messenger (ﷺ) said, "What do you think if he embraces Islam (will you do as he does)?" The Jews said, "May Allah save him from it." Then `Abdullah bin Salam came out in front of them saying, "I testify that None has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is the Apostle of Allah." Thereupon they said, "He is the evilest among us, and the son of the evilest amongst us," and continued talking badly of him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একইভাবে বর্ণিত আছে। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈল যদি না হত তবে মাংস দুর্গন্ধময় হতো না। আর যদি হাওয়া (আঃ) না হতেন তাহলে কোন নারীই স্বামীর খিয়ানত করত না।* (৫১৮৪, ৫১৮৬) (মুসলিম ১৭/১৯ হাঃ ১৪৭০, আহমাদ ৮০৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯২)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ يَعْنِيْ لَوْلَا بَنُوْ إِسْرَائِيْلَ لَمْ يَخْنَزْ اللَّحْمُ وَلَوْلَا حَوَّاءُ لَمْ تَخُنَّ أُنْثَى زَوْجَهَا

حدثنا بشر بن محمد اخبرنا عبد الله اخبرنا معمر عن همام عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه يعني لولا بنو اسراىيل لم يخنز اللحم ولولا حواء لم تخن انثى زوجها


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "But for the Israelis, meat would not decay and but for Eve, wives would never betray their husbands."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নারীদেরকে উত্তম নাসীহাত প্রদান করবে। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে তা ভেঙ্গে যাবে আর যদি ছেড়ে দাও, তাহলে সব সময় তা বাঁকাই থাকবে। কাজেই নারীদেরকে নাসীহাত করতে থাক। (৫১৮৪, ৫১৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৩)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُوْ كُرَيْبٍ وَمُوْسَى بْنُ حِزَامٍ قَالَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ مَيْسَرَةَ الأَشْجَعِيِّ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَوْصُوْا بِالنِّسَاءِ فَإِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلَاهُ فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيْمُهُ كَسَرْتَهُ وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ فَاسْتَوْصُوْا بِالنِّسَاءِ

حدثنا ابو كريب وموسى بن حزام قالا حدثنا حسين بن علي عن زاىدة عن ميسرة الاشجعي عن ابي حازم عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم استوصوا بالنساء فان المراة خلقت من ضلع وان اعوج شيء في الضلع اعلاه فان ذهبت تقيمه كسرته وان تركته لم يزل اعوج فاستوصوا بالنساء


Narrated Abu Huraira:

Allah 's Apostle said, "Treat women nicely, for a women is created from a rib, and the most curved portion of the rib is its upper portion, so, if you should try to straighten it, it will break, but if you leave it as it is, it will remain crooked. So treat women nicely."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩২. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। সত্যবাদী-সত্যনিষ্ঠ হিসাবে স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান স্বীয় মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা রাখা হয়। অতঃপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা আলাকারূপে পরিণত হয়। অতঃপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা গোশ্তের টুকরার রূপ লাভ করে। অতঃপর আল্লাহ তার নিকট চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়ে লিখে দেন। অুঃপর  তার ‘ধামল, তার মৃত্যু, তার রুজী এবং সে সৎ কিংবা অসৎ তা লিখা হয়। অতঃপর তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়। এক ব্যক্তি একজন জাহান্নামীর ‘আমলের মত ‘আমল করতে থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে এক হাতের তফাৎ রয়ে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের ‘আমলের মত ‘আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের ‘আমলের মত ‘আমল করতে থাকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান রয়ে যায়। এমন সময় তার ভাগ্য লিখন অগ্রগামী হয়।। তখন সে জাহান্নামবাসীদের ‘আমলের অনুরূপ ‘আমল করে থাকে এবং ফলে সে জাহান্নামে প্রবিষ্ট হয়। (৩২০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৪)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ حَدَّثَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ فِيْ بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُوْنُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُوْنُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ إِلَيْهِ مَلَكًا بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيُكْتَبُ عَمَلُهُ وَأَجَلُهُ وَرِزْقُهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيْدٌ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيْهِ الرُّوْحُ فَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُ النَّارَ

حدثنا عمر بن حفص حدثنا ابي حدثنا الاعمش حدثنا زيد بن وهب حدثنا عبد الله حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق ان احدكم يجمع في بطن امه اربعين يوما ثم يكون علقة مثل ذلك ثم يكون مضغة مثل ذلك ثم يبعث الله اليه ملكا باربع كلمات فيكتب عمله واجله ورزقه وشقي او سعيد ثم ينفخ فيه الروح فان الرجل ليعمل بعمل اهل النار حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل الجنة فيدخل الجنة وان الرجل ليعمل بعمل اهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل النار فيدخل النار


Narrated `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ), the true and truly inspired said, "(as regards your creation), every one of you is collected in the womb of his mother for the first forty days, and then he becomes a clot for another forty days, and then a piece of flesh for another forty days. Then Allah sends an angel to write four items: He writes his deeds, time of his death, means of his livelihood, and whether he will be wretched or blessed (in religion). Then the soul is breathed into his body. So a man may do deeds characteristic of the people of the (Hell) Fire, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and so he starts doing deeds characteristic of the people of Paradise and enters Paradise. Similarly, a person may do deeds characteristic of the people of Paradise, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and he starts doing deeds of the people of the (Hell) Fire and enters the (Hell) Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ মাতৃগর্ভে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। (সন্তান জন্মের সূচনায়) সে ফেরেশতা বলেন, হে রব! এ তো বীর্য। হে রব! এ তো আলাকা। হে রব! এ তো গোশ্তের খন্ড। অতঃপর আল্লাহ যদি তাকে সৃষ্টি করতে চান তাহলে ফেরেশতা বলেন, হে রব! সন্তানটি ছেলে হবে, না মেয়ে হবে? হে রব! সে কি পাপিষ্ঠ হবে, না নেককার হবে? তার রিয্ক কী পরিমাণ হবে, তার আয়ুষ্কাল কত হবে? এভাবে তার মাতৃগর্ভে সব কিছুই লিখে দেয়া হয়। (৩১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৫)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُوْ النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ وَكَّلَ فِي الرَّحِمِ مَلَكًا فَيَقُوْلُ يَا رَبِّ نُطْفَةٌ يَا رَبِّ عَلَقَةٌ يَا رَبِّ مُضْغَةٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْلُقَهَا قَالَ يَا رَبِّ أَذَكَرٌ يَا رَبِّ أُنْثَى يَا رَبِّ شَقِيٌّ أَمْ سَعِيْدٌ فَمَا الرِّزْقُ فَمَا الأَجَلُ فَيُكْتَبُ كَذَلِكَ فِيْ بَطْنِ أُمِّهِ

حدثنا ابو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن عبيد الله بن ابي بكر بن انس عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان الله وكل في الرحم ملكا فيقول يا رب نطفة يا رب علقة يا رب مضغة فاذا اراد ان يخلقها قال يا رب اذكر يا رب انثى يا رب شقي ام سعيد فما الرزق فما الاجل فيكتب كذلك في بطن امه


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah has appointed an angel in the womb, and the angel says, 'O Lord! A drop of discharge (i.e. of semen), O Lord! a clot, O Lord! a piece of flesh.' And then, if Allah wishes to complete the child's creation, the angel will say. 'O Lord! A male or a female? O Lord! wretched or blessed (in religion)? What will his livelihood be? What will his age be?' The angel writes all this while the child is in the womb of its mother."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩৪. আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে সহজ আযাব ভোগকারীকে জিজ্ঞেস করবেন, যদি পৃথিবীর ধন-সম্পদ তোমার হয়ে যায়, তবে তুমি কি আযাবের বিনিময়ে তা দিয়ে দিবে? সে উত্তর দিবে, হাঁ। তখন আল্লাহ বলবেন, যখন তুমি আদম (আঃ)-এর পৃষ্ঠে ছিলে, তখন আমি তোমার নিকট এর থেকেও সহজ একটি জিনিস চেয়েছিলাম। সেটা হল, তুমি আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি তা না মেনে শির্ক করতে লাগলে। (৬৫৩৮, ৬৫৫৭) (মুসলিম ৫০/১০ হাঃ ২৮০৫, আহমাদ ১২৩১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৬)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ أَنَسٍ يَرْفَعُهُ إِنَّ اللهَ يَقُوْلُ لِأَهْوَنِ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا لَوْ أَنَّ لَكَ مَا فِي الأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ كُنْتَ تَفْتَدِيْ بِهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَقَدْ سَأَلْتُكَ مَا هُوَ أَهْوَنُ مِنْ هَذَا وَأَنْتَ فِيْ صُلْبِ آدَمَ أَنْ لَا تُشْرِكَ بِيْ فَأَبَيْتَ إِلَّا الشِّرْكَ

حدثنا قيس بن حفص حدثنا خالد بن الحارث حدثنا شعبة عن ابي عمران الجوني عن انس يرفعه ان الله يقول لاهون اهل النار عذابا لو ان لك ما في الارض من شيء كنت تفتدي به قال نعم قال فقد سالتك ما هو اهون من هذا وانت في صلب ادم ان لا تشرك بي فابيت الا الشرك


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah will say to that person of the (Hell) Fire who will receive the least punishment, 'If you had everything on the earth, would you give it as a ransom to free yourself (i.e. save yourself from this Fire)?' He will say, 'Yes.' Then Allah will say, 'While you were in the backbone of Adam, I asked you much less than this, i.e. not to worship others besides Me, but you insisted on worshipping others besides me.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩৫. ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে, তার এ খুনের পাপের অংশ আদম (আঃ)-এর প্রথম ছেলের (কাবিলের) উপর বর্তায়। কারণ সেই সর্বপ্রথম হত্যার প্রচলন ঘটায়। (৬৮৬৭, ৬৩২১) (মুসলিম ২৮/৭ হাঃ ১৬৭৭, আহমাদ ৩৬৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৭)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلَّا كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ

حدثنا عمر بن حفص بن غياث حدثنا ابي حدثنا الاعمش قال حدثني عبد الله بن مرة عن مسروق عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقتل نفس ظلما الا كان على ابن ادم الاول كفل من دمها لانه اول من سن القتل


Narrated `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whenever a person is murdered unjustly, there is a share from the burden of the crime on the first son of Adam for he was the first to start the tradition of murdering."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে