পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
رَوَاهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
এ বিষয়ে ‘আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
৩১৪৩. হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু চাইলাম। তখন তিনি আমাকে দিলেন। আমি আবার চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন। অতঃপর আমাকে বললেন, হে হাকীম, এ সকল মাল সবুজ শ্যামল ও সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা লোভহীন অন্তরে গ্রহণ করে, তার তাতে বরকত দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি তা লোভনীয় অন্তরে গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বারকাত দেয়া হয় না। তার উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মত, যে আহার করে কিন্তু পেট পূর্ণ হয় না। আর উপরের হাত নীচের হাত থেকে উত্তম। হাকীম (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সে মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন আপনার পর আমি দুনিয়া হতে বিদায় নেয়া পর্যন্ত আর কারো মাল আকাঙ্ক্ষা করব না।’ পরে আবূ বকর (রাঃ) হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)-কে ভাতা নেয়ার জন্য ডাকতেন কিন্তু তিনি কোন কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করতেন। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) তাঁকে ভাতা দানের উদ্দেশে ডাকলেন কিন্তু তিনি তাঁর নিকট থেকেও কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, ‘হে মুসলিমগণ। আমি হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)-কে তার জন্য সে প্রাপ্য দিতে চেয়েছি যা আল্লাহ্ তা‘আলা তার জন্য সম্পদ হতে অংশ রেখেছেন। আর সে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। এভাবে হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরে আর কারো কাছ হতে আমৃত্যু কিছুই গ্রহণ করেননি। (১৪৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১৯)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ حَكِيْمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ قَالَ لِيْ يَا حَكِيْمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُوْرِكَ لَهُ فِيْهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيْهِ وَكَانَ كَالَّذِيْ يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى قَالَ حَكِيْمٌ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَالَّذِيْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا فَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ يَدْعُوْ حَكِيْمًا لِّيُعْطِيَهُ الْعَطَاءَ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَهُ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِيْنَ إِنِّيْ أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِيْ قَسَمَ اللهُ لَهُ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ فَيَأْبَى أَنْ يَأْخُذَهُ فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيْمٌ أَحَدًا مِنْ النَّاسِ شَيْئًا بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تُوُفِّيَ
Narrated `Urwa bin Az-Zubair:
Hakim bin Hizam said, "I asked Allah's Messenger (ﷺ) for something, and he gave me. I asked him again, and he gave me, and said to me. 'O Hakim! This wealth is like green sweet (i.e. fruit), and if one takes it without greed, then one is blessed in it, and if one takes it with greediness, then one is not blessed in it, and will be like the one who eats without satisfaction. And an upper (i.e. giving) hand is better than a lower (i.e. taking) hand,' I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! By Him Who has sent you with the Truth. I will not ask anyone for anything after you till I leave this world." So, when Abu Bakr during his Caliphate, called Hakim to give him (some money), Hakim refused to accept anything from him. Once `Umar called him (during his Caliphate) in order to give him something, but Hakim refused to accept it, whereupon `Umar said, "O Muslims! I give him (i.e. Hakim) his right which Allah has assigned to him) from this Fai '(booty), but he refuses to take it." So Hakim never took anything from anybody after the Prophet (ﷺ) till he died.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৪৪. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! জাহিলী যুগে আমার উপর একদিনের ই‘তিকাফ (মানৎ) ছিল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে তা পূরণ করার আদেশ করেন। নাফি‘ (রহ.) বলেন, ‘উমার (রাঃ) হুনাইনের যুদ্ধের বন্দীর নিকট হতে দু’টি দাসী লাভ করেন। তখন তিনি তাদেরকে মক্কায় একটি গৃহে রেখে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনাইনের বন্দীদেরকে সৌজন্যমূলক মুক্ত করার আদেশ করলেন। তারা মুক্ত হয়ে অলি-গলিতে ছুটতে লাগল। ‘উমার (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বললেন, দেখ তো ব্যাপার কী? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বন্দীদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তবে তুমি গিয়ে সে দাসী দু’জনকে মুক্ত করে দাও। নাফি‘ (রহ.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিয়েররানা হতে ‘উমরাহ করেন নি। যদি তিনি ‘উমরাহ করতেন তবে তা ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে লুকানো থাকতো না। আর জারীর ইবনু হাযিম (রহ.) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করতেন যে, (উমর (রাঃ) দাসী দু’টি খুমুস হতে পেয়েছিলেন। মা‘আমার (রহ.)....ইবনু ‘উমার (রাঃ) নিকট হতে নযরের কথা উল্লেখ করেন, কিন্তু তিনি একদিনের কথা বলেননি। (২০৩২) (মুসলিম ২৭/৭ হাঃ ১৬৫৬, আহমাদ ৬৪২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২০)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهُ كَانَ عَلَيَّ اعْتِكَافُ يَوْمٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَمَرَهُ أَنْ يَفِيَ بِهِ قَالَ وَأَصَابَ عُمَرُ جَارِيَتَيْنِ مِنْ سَبْيِ حُنَيْنٍ فَوَضَعَهُمَا فِيْ بَعْضِ بُيُوْتِ مَكَّةَ قَالَ فَمَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سَبْيِ حُنَيْنٍ فَجَعَلُوْا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ فَقَالَ عُمَرُ يَا عَبْدَ اللهِ انْظُرْ مَا هَذَا فَقَالَ مَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّبْيِ قَالَ اذْهَبْ فَأَرْسِلْ الْجَارِيَتَيْنِ قَالَ نَافِعٌ وَلَمْ يَعْتَمِرْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْجِعْرَانَةِ وَلَوْ اعْتَمَرَ لَمْ يَخْفَ عَلَى عَبْدِ اللهِ وَزَادَ جَرِيْرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ مِنْ الْخُمُسِ وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ فِي النَّذْرِ وَلَمْ يَقُلْ يَوْمٍ
Narrated Nafi`:
`Umar bin Al-Khattab said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I vowed to observe I`tikaf for one day during the Prelslamic period." The Prophet (ﷺ) ordered him to fulfill his vow. `Umar gained two lady captives from the war prisoners of Hunain and he left them in some of the houses at Mecca. When Allah's Messenger (ﷺ) freed the captives of Hunain without ransom, they came out walking in the streets. `Umar said (to his son), "O `Abdullah! See what is the matter." `Abdullah replied, "Allah's Messenger (ﷺ) has freed the captives without ransom." He said (to him), "Go and set free those two slave girls." (Nafi` added:) Allah's Apostle did not perform the `Umra from Al-Jarana, and if he had performed the `Umra, it would not have been hidden from `Abdullah.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৪৫. ‘আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক দলকে দিলেন আর অন্য দলকে দিলেন না। তারা যেন এতে মনোক্ষুণ্ণ হলেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন লোকদের দেই, যাদের সম্পর্কে বিগড়ে যাওয়া কিংবা ধৈর্যচ্যুত হবার আশঙ্কা করি। আর অন্যদল যাদের অন্তরে আল্লাহ্ তা‘আলা যে কল্যাণ ও মুখাপেক্ষীহীনতা দান করেছেন, তার উপর ছেড়ে দেই। আর ‘আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) তাদের মধ্যে। ‘আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সম্পর্কে যা বলেছেন, তার স্থলে যদি আমাকে লাল বর্ণের উট দেয়া হত তাতে আমি এতখানি আনন্দিত হতাম না। আর আবূ আসিম (রহ.) জারীর (রহ.) হতে হাদীসটি এতটুকু বেশি বর্ণনা করেছেন যে, হাসান (রহ.) বলেন, আমাকে ‘আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু মালামাল অথবা বন্দী আনা হয়, তখন তিনি তা বণ্টন করেন। (৯২৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২১)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا جَرِيْرُ بْنُ حَازِمٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ تَغْلِبَ قَالَ أَعْطَى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَوْمًا وَمَنَعَ آخَرِيْنَ فَكَأَنَّهُمْ عَتَبُوْا عَلَيْهِ فَقَالَ إِنِّيْ أُعْطِيْ قَوْمًا أَخَافُ ظَلَعَهُمْ وَجَزَعَهُمْ وَأَكِلُ أَقْوَامًا إِلَى مَا جَعَلَ اللهُ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مِنْ الْخَيْرِ وَالْغِنَى مِنْهُمْ عَمْرُوْ بْنُ تَغْلِبَ فَقَالَ عَمْرُوْ بْنُ تَغْلِبَ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِيْ بِكَلِمَةِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حُمْرَ النَّعَمِ
وَزَادَ أَبُوْ عَاصِمٍ عَنْ جَرِيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُوْلُ حَدَّثَنَا عَمْرُوْ بْنُ تَغْلِبَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِمَالٍ أَوْ بِسَبْيٍ فَقَسَمَهُ بِهَذَا
Narrated `Amr bin Taghlib:
Allah's Messenger (ﷺ) gave (gifts) to some people to the exclusion of some others. The latter seemed to be displeased by that. The Prophet (ﷺ) said, "I give to some people, lest they should deviate from True Faith or lose patience, while I refer other people to the goodness and contentment which Allah has put in their hearts, and `Amr bin Taghlib is amongst them." `Amr bin Taghlib said, "The statement of Allah's Apostle is dearer to me than red camels." Narrated Al-Hasan: `Amr bin Taghlib told us that Allah's Messenger (ﷺ) got some property or some war prisoners and he distributed them in the above way (i.e. giving to some people to the exclusion of others) .
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৪৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি কুরায়শদের দেই তাদের মনোস্তুষ্টির জন্য। কেননা তারা জাহিলিয়্যাতের নিকটবর্তী।’ (৩১৪৭, ৩৫২৮, ৩৭৭৮, ৩৭৯৩, ৪৩৩১, ৪৩৩২, ৪৩৩৩, ৪৩৩৪, ৪৩৩৭, ৫৮৬০, ৬৭৬২, ৭৪৪১) (মুসলিম ১২/৪৬ হাঃ ১০৫৯, আহমাদ ১৩৯১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২২)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيْدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنِّيْ أُعْطِيْ قُرَيْشًا أَتَأَلَّفُهُمْ لِأَنَّهُمْ حَدِيْثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "I give to Quraish people in order to let them adhere to Islam, for they are near to their life of Ignorance (i.e. they have newly embraced Islam and it is still not strong in their hearts."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৪৭. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, যখন আল্লাহ্ তা‘আলা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাওয়াযিন গোত্রের মাল থেকে যা দান করার তা দান করলেন। আর তিনি কুরাইশ গোত্রের লোকদের একশ’ করে উট দিতে লাগলেন। তখন আনসারদের হতে কিছু সংখ্যক লোক বলতে লাগল, আল্লাহ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ক্ষমা করুন। তিনি কুরায়শদেরকে দিচ্ছেন, আমাদেরকে দিচ্ছে না। অথচ আমাদের তলোয়ার থেকে এখনও তাদের রক্ত ঝরছে। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাদের কথা পৌঁছান হল। তখন তিনি আনসারদের ডেকে পাঠালেন এবং চর্ম নির্মিত একটি তাঁবুতে তাদের একত্রিত করলেন আর তাঁদের সঙ্গে তাঁদের ব্যতীত আর কাউকে ডাকলেন না। যখন তাঁরা সকলে একত্রিত হলেন, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের নিকট এলেন এবং বললেন, ‘আমার নিকট তোমাদের ব্যাপারে যে কথা পৌঁছেছে তা কী?’ তাঁদের মধ্যে বয়স্ক লোকেরা তাঁকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্য থেকে বয়স্করা কিছুই বলেননি। আমাদের কতিপয় তরুণরা বলেছেঃ আল্লাহ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ক্ষমা করুন। তিনি আনসারদের না দিয়ে কুরায়শদের দিচ্ছেন; অথচ আমাদের তরবারি হতে এখনও তাদের রক্ত ঝরছে।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন লোকদের দিচ্ছি, যাদের কুফরীর যুগ মাত্র শেষ হয়েছে। তোমরা কি এতে খুশী নও যে, লোকেরা দুনিয়াবী সম্পদ নিয়ে ফিরবে, আর তোমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিয়ে মনযিলে ফিরবে আর আল্লাহর কসম, তোমরা যা নিয়ে মনযিলে ফিরবে, তা তারা যা নিয়ে ফিরবে, তার চেয়ে উত্তম।’ তখন আনসারগণ বললেন, ‘হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এতেই সন্তুষ্ট।’ অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমার পরে তোমরা তোমাদের উপর অন্যদের খুব প্রাধান্য দেখতে পাবে। তখন তোমরা ধৈর্য অবলম্বন করবে, যে পর্যন্ত না তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হাউযে কাওসারে মিলিত হবে।’ আনাস (রাঃ) বলেন, কিন্তু আমরা ধৈর্যধারণ করতে পারিনি। (৩১৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২৩)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ نَاسًا مِنْ الأَنْصَارِ قَالُوْا لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَمْوَالِ هَوَازِنَ مَا أَفَاءَ فَطَفِقَ يُعْطِيْ رِجَالًا مِنْ قُرَيْشٍ الْمِائَةَ مِنْ الْإِبِلِ فَقَالُوْا يَغْفِرُ اللهُ لِرَسُوْلِ اللهِ يُعْطِيْ قُرَيْشًا وَيَدَعُنَا وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ قَالَ أَنَسٌ فَحُدِّثَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِمَقَالَتِهِمْ فَأَرْسَلَ إِلَى الأَنْصَارِ فَجَمَعَهُمْ فِيْ قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ وَلَمْ يَدْعُ مَعَهُمْ أَحَدًا غَيْرَهُمْ فَلَمَّا اجْتَمَعُوْا جَاءَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا كَانَ حَدِيْثٌ بَلَغَنِيْ عَنْكُمْ قَالَ لَهُ فُقَهَاؤُهُمْ أَمَّا ذَوُوْ آرَائِنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ فَلَمْ يَقُوْلُوْا شَيْئًا وَأَمَّا أُنَاسٌ مِنَّا حَدِيْثَةٌ أَسْنَانُهُمْ فَقَالُوْا يَغْفِرُ اللهُ لِرَسُوْلِ اللهِ يُعْطِيْ قُرَيْشًا وَيَتْرُكُ الأَنْصَارَ وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّيْ أُعْطِيْ رِجَالًا حَدِيْثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالأَمْوَالِ وَتَرْجِعُوْا إِلَى رِحَالِكُمْ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَاللهِ مَا تَنْقَلِبُوْنَ بِهِ خَيْرٌ مِمَّا يَنْقَلِبُوْنَ بِهِ قَالُوْا بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ قَدْ رَضِيْنَا فَقَالَ لَهُمْ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِيْ أَثَرَةً شَدِيْدَةً فَاصْبِرُوْا حَتَّى تَلْقَوْا اللهَ وَرَسُوْلَهُ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْحَوْضِ قَالَ أَنَسٌ فَلَمْ نَصْبِرْ
Narrated Anas bin Malik:
When Allah favored His Apostle with the properties of Hawazin tribe as Fai (booty), he started giving to some Quarries men even up to one-hundred camels each, whereupon some Ansari men said about Allah's Messenger (ﷺ), "May Allah forgive His Apostle! He is giving to (men of) Quraish and leaves us, in spite of the fact that our swords are still dropping blood (of the infidels)" When Allah's Messenger (ﷺ) was informed of what they had said, he called the Ansar and gathered them in a leather tent and did not call anybody else along, with them. When they gathered, Allah's Messenger (ﷺ) came to them and said, "What is the statement which, I have been informed, and that which you have said?" The learned ones among them replied," O Allah's Messenger (ﷺ)! The wise ones amongst us did not say anything, but the youngsters amongst us said, 'May Allah forgive His Apostle; he gives the Quarish and leaves the Ansar, in spite of the fact that our swords are still dribbling (wet) with the blood of the infidels.' " Allah's Messenger (ﷺ) replied, I give to such people as are still close to the period of Infidelity (i.e. they have recently embraced Islam and Faith is still weak in their hearts). Won't you be pleased to see people go with fortune, while you return with Allah's Messenger (ﷺ) to your houses? By Allah, what you will return with, is better than what they are returning with." The Ansar replied, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ), we are satisfied' Then the Prophet (ﷺ) said to them." You will find after me, others being preferred to you. Then be patient till you meet Allah and meet His Apostle at Al-Kauthar (i.e. a fount in Paradise)." (Anas added:) But we did not remain patient.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৪৮. জুবাইর ইবনু মুত‘ঈম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন, আর তখন তাঁর সাথে আরো লোক ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়ন হতে আসছিলেন। বেদুঈন লোকেরা তাঁর নিকট গনীমতের মাল নেয়ার জন্য তাঁকে আঁকড়ে ধরল। এমনকি তারা তাঁকে একটি বাবলা গাছের সাথে ঠেকিয়ে দিল এবং কাঁটা তাঁর চাদর আটকে ধরল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থামলেন। অতঃপর বললেন, ‘আমার চাদরটি দাও। আমার নিকট যদি এ সকল কাঁটাদার বুনো গাছের পরিমাণ পশু থাকত, তবে সেগুলো তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দিতাম। অতঃপরও আমাকে তোমরা কখনো কৃপণ, মিথ্যাচারী এবং কাপুরুষ পাবে না।’ (২৮২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২৪)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جُبَيْرٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ النَّاسُ مُقْبِلًا مِنْ حُنَيْنٍ عَلِقَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم الأَعْرَابُ يَسْأَلُوْنَهُ حَتَّى اضْطَرُّوْهُ إِلَى سَمُرَةٍ فَخَطِفَتْ رِدَاءَهُ فَوَقَفَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَعْطُونِيْ رِدَائِيْ فَلَوْ كَانَ عَدَدُ هَذِهِ الْعِضَاهِ نَعَمًا لَقَسَمْتُهُ بَيْنَكُمْ ثُمَّ لَا تَجِدُونِيْ بَخِيْلًا وَلَا كَذُوْبًا وَلَا جَبَانًا
Narrated Jubair bin Mut`im:
That while he was with Allah's Messenger (ﷺ) who was accompanied by the people on their way back from Hunain, the bedouins started begging things of Allah's Messenger (ﷺ) so much so that they forced him to go under a Samura tree where his loose outer garment was snatched away. On that, Allah's Messenger (ﷺ) stood up and said to them, "Return my garment to me. If I had as many camels as these trees, I would have distributed them amongst you; and you will not find me a miser or a liar or a coward."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৪৯. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে পথে চলছিলাম। তখন তিনি নাজরানে প্রস্তুত মোটা পাড়ের চাদর পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। এক বেদুঈন তাঁকে পেয়ে খুব জোরে টেনে দিল। অবশেষে আমি দেখলাম, জোরে টানার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্কন্ধে চাদরের পাড়ের দাগ বসে গেছে। অতঃপর বেদুঈন বলল, ‘আল্লাহর যে সম্পদ আপনার নিকট আছে তা হতে আমাকে কিছু দেয়ার আদেশ দিন।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলেন, আর তাকে কিছু দেয়ার আদেশ দিলেন। (৫৮০৯, ৬০৮৮) (মুসলিম ১২/৪৪ হাঃ ১০৫৭, আহমাদ ১২৫৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২৫)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كُنْتُ أَمْشِيْ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ بُرْدٌ نَجْرَانِيٌّ غَلِيْظُ الْحَاشِيَةِ فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِيٌّ فَجَذَبَهُ جَذْبَةً شَدِيْدَةً حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى صَفْحَةِ عَاتِقِ النَّبِيِّ قَدْ أَثَّرَتْ بِهِ حَاشِيَةُ الرِّدَاءِ مِنْ شِدَّةِ جَذْبَتِهِ ثُمَّ قَالَ مُرْ لِيْ مِنْ مَالِ اللهِ الَّذِيْ عِنْدَكَ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ فَضَحِكَ ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِعَطَاءٍ
Narrated Anas bin Malik:
While I was walking with the Prophet (ﷺ) who was wearing a Najrani outer garment with a thick hem, a bedouin came upon the Prophet (ﷺ) and pulled his garment so violently that I could recognize the impress of the hem of the garment on his shoulder, caused by the violence of his pull. Then the bedouin said, "Order for me something from Allah's Fortune which you have." The Prophet (ﷺ) turned to him and smiled, and ordered that a gift be given to him.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৫০. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনাইনের দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কোন লোককে বণ্টনে অন্যদের উপর অগ্রাধিকার দেন। তিনি আকরা‘ ইবনু হাবিছকে একশ’ উট দিলেন। উয়াইনাকেও এ পরিমাণ দেন। উচ্চবংশীয় আরব ব্যক্তিদের দিলেন এবং বণ্টনে তাদের অতিরিক্ত দিলেন। এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহর কসম! এতে সুবিচার করা হয়নি। অথবা সে বলল, এতে আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টির প্রতি খেয়াল রাখা হয়নি। (রাবী বলেন) তখন আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবশ্যই এ কথা জানিয়ে দিব। তখন আমি তাঁর নিকট এলাম এবং তাঁকে একথা জানিয়ে দিলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি সুবিচার না করেন, তবে কে সুবিচার করবে? আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ)-এর প্রতি রহম করুন, তাঁকে এর চেয়েও অধিক কষ্ট দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি সবর করেছেন।’ (৩৪০৫, ৪৩৩৫, ৪৩৩৬, ৬০৫৯, ৬১০০, ৬২৯১, ৬৩৩৬) (মুসলিম ১২/৩৯ হাঃ ১০৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২৬)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ آثَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أُنَاسًا فِي الْقِسْمَةِ فَأَعْطَى الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ مِائَةً مِنْ الْإِبِلِ وَأَعْطَى عُيَيْنَةَ مِثْلَ ذَلِكَ وَأَعْطَى أُنَاسًا مِنْ أَشْرَافِ الْعَرَبِ فَآثَرَهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْقِسْمَةِ قَالَ رَجُلٌ وَاللهِ إِنَّ هَذِهِ الْقِسْمَةَ مَا عُدِلَ فِيْهَا وَمَا أُرِيْدَ بِهَا وَجْهُ اللهِ فَقُلْتُ وَاللهِ لَاخْبِرَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ فَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ يَعْدِلْ اللهُ وَرَسُوْلُهُ رَحِمَ اللهُ مُوسَى قَدْ أُوْذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ
Narrated `Abdullah:
On the day (of the battle) of Hunain, Allah's Messenger (ﷺ) favored some people in the distribution of the booty (to the exclusion of others); he gave Al-Aqra' bin H`Abis one-hundred camels and he gave 'Uyaina the same amount, and also gave to some of the eminent Arabs, giving them preference in this regard. Then a person came and said, "By Allah, in this distribution justice has not been observed, nor has Allah's Pleasure been aimed at." I said (to him), "By Allah, I will inform the Prophet (of what you have said), "I went and informed him, and he said, "If Allah and His Apostle did not act justly, who else would act justly. May Allah be merciful to Moses, for he was harmed with more than this, yet he kept patient."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৫১. আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নিজের মাথায় সে জমি থেকে খেজুর দানা বহন করে আনতাম, যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র (রাঃ)-কে দান করেছিলেন। যে জমিটি আমার ঘর থেকে এক ‘ফারসাখে’র দু’তৃতীয়াংশ দূরে অবস্থিত ছিল। আর আবূ যামরাহ (রহ.)...হিশামের পিতা ‘উরওয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবাইর (রাঃ)-কে বানূ নাযীর গোত্রের সম্পত্তি হতে এক টুকরা ভূমি দিয়েছিলেন। (৫২২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২৭)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا مَحْمُوْدُ بْنُ غَيْلَانَ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبِيْ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِيْ بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَتْ كُنْتُ أَنْقُلُ النَّوَى مِنْ أَرْضِ الزُّبَيْرِ الَّتِيْ أَقْطَعَهُ رَسُوْلُ اللهِ عَلَى رَأْسِيْ وَهِيَ مِنِّيْ عَلَى ثُلُثَيْ فَرْسَخٍ وَقَالَ أَبُوْ ضَمْرَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَ الزُّبَيْرَ أَرْضًا مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيْرِ
Narrated Asma bint Abu Bakr:
I used to carry the date stones on my head from the land of Az-Zubair which Allah's Messenger (ﷺ) had given to him, and it was at a distance of 2/3 of a Farsakh from my house. Narrated Hisham's father: The Prophet (ﷺ) gave Az-Zubair a piece of land from the property of Bani An- Nadir (gained as war booty).
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের দিকে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চাইতেন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস বা তদ্রূপ মাল থেকে দান করতেন।
৩১৫২. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদেরকে হিজায এলাকা থেকে নির্বাসিত করেন। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার জয় করেন, তখন তিনিও ইয়াহূদীদের সেখান হতে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। আর সে যমীন বিজিত হবার পর আল্লাহ্, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুসলিমগণের অধিকারে এসে গিয়েছিল। তখন ইয়াহূদীরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিবেদন করল, যেন তিনি তাদেরকে এখানে এ শর্তে থাকার অনুমতি দেন যে, তারা কৃষি কাজ করবে এবং তাদের জন্য অর্ধেক ফসল থাকবে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, যতদিন আমাদের ইচ্ছা তোমাদের এ শর্তে থাকার অনুমতি দিলাম। তারা এভাবে থেকে গেল। অবশেষে ‘উমার (রাঃ) তাঁর শাসনকালে তাদের তায়মা বা আরীহা নামক স্থানের দিকে নির্বাসিত করেন। (২২৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯২৮)
بَابُ مَا كَانَ النَّبِيُّ يُعْطِي الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوْبُهُمْ وَغَيْرَهُمْ مِنْ الْخُمُسِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنِيْ أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قَالَ أَخْبَرَنِيْ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَجْلَى الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا ظَهَرَ عَلَى أَهْلِ خَيْبَرَ أَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ الْيَهُوْدَ مِنْهَا وَكَانَتْ الأَرْضُ لَمَّا ظَهَرَ عَلَيْهَا لِلْيَهُوْدِ وَلِلرَّسُوْلِ وَلِلْمُسْلِمِيْنَ فَسَأَلَ الْيَهُوْدُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتْرُكَهُمْ عَلَى أَنْ يَكْفُوْا الْعَمَلَ وَلَهُمْ نِصْفُ الثَّمَرِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نُقِرُّكُمْ عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا فَأُقِرُّوْا حَتَّى أَجْلَاهُمْ عُمَرُ فِيْ إِمَارَتِهِ إِلَى تَيْمَاءَ وَأَرِيْحَا
Narrated Ibn `Umar:
`Umar bin Al-Khattab expelled all the Jews and Christians from the land of Hijaz. Allah's Messenger (ﷺ) after conquering Khaibar, thought of expelling the Jews from the land which, after he conquered it belonged to Allah, Allah's Messenger (ﷺ) and the Muslims. But the Jews requested Allah's Messenger (ﷺ) to leave them there on the condition that they would do the labor and get half of the fruits (the land would yield). Allah's Messenger (ﷺ) said, "We shall keep you on these terms as long as we wish." Thus they stayed till the time of `Umar's Caliphate when he expelled them to Taima and Ariha.