পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيْهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنْ الْمُسْلِمِيْنَ وَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعِدُ النَّاسَ أَنْ يُعْطِيَهُمْ مِنْ الْفَيْءِ وَالْأَنْفَالِ مِنْ الْخُمُسِ وَمَا أَعْطَى الْأَنْصَارَ وَمَا أَعْطَى جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ تَمْرَ خَيْبَرَ
এর প্রমাণঃ হাওয়াযিন, তাদের গোত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করছিল, তারই কারণে মুসলিমদের নিকট থেকে তাদের সে দাবী আদায় করিয়ে নেন। ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে ফায় ও গনীমত-এর অংশ নিকট হতে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন।’ ‘আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন’ এবং ‘যা তিনি খায়বারের খেজুর হতে জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে দান করেছেন।’
৩১৩১-৩১৩২. ‘উরওয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁকে মারওয়ান ইবনু হাকাম ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) রিওয়ায়াত করেছেন যে, যখন হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল মুসলিম হয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল যে, তাদের মালামাল ও বন্দী উভয়ই ফেরত দেয়া হোক। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, আমার নিকট সত্য কথা অধিকতর প্রিয়। তোমরা দু’য়ের মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ কর। বন্দী, নয় মালামাল। আর আমি তো তাদের (হাওয়াযিন গোত্রের) প্রতীক্ষা করেছিলাম আর তায়েফ হতে ফেরার সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ দিন থেকে অধিক সময় তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে যখন তাদের নিকট স্পষ্ট হলো যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’টোর মধ্যে যে কোন একটিই ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, আমরা আমাদের বন্দীদের ফেরত লাভই পছন্দ করি। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের সামনে দাঁড়ালেন। প্রথমে তিনি আল্লাহ তা‘আলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের এ সব ভাই তাওবা করে আমার নিকট এসেছে। আর আমি উচিত মনে করছি যে, তাদের বন্দীদের ফেরত দিব। যে ব্যক্তি সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে চায়, সে যেন তা করে আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি চায় যে, তার অংশ বহাল থাকুক, সে যেন অপেক্ষা করে (কিংবা) আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে প্রথম যে গনীমতের মাল দান করেছেন, আমি তাকে তা হতে তা দিয়ে দিব, তাও করতে পারে। উপস্থিত লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সন্তুষ্টচিত্তে তা গ্রহণ করলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি সঠিক জানতে পারিনি, তোমাদের মধ্যে কে এতে সম্মতি দিয়েছে, আর কে দেয়নি। কাজেই, তোমরা ফিরে যাও এবং নিজ নিজ প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাকে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও। লোকেরা চলে গেল। আর তাদের প্রতিনিধিরা নিজেদের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফেরত এল এবং তাঁকে জানাল যে, তারা সন্তুষ্টচিত্তে সম্মতি দিয়েছে। হাওয়াযিনের বন্দীগণ সম্পর্কিত বিবরণ আমাদের নিকট এ রকমই পৌঁছেছে। (২৩০৭, ২৩০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯০৮)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ وَزَعَمَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ وَمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِيْنَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِيْنَ فَسَأَلُوْهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ الْحَدِيْثِ إِلَيَّ أَصْدَقُهُ فَاخْتَارُوْا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا السَّبْيَ وَإِمَّا الْمَالَ وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ وَقَدْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْتَظَرَ آخِرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً حِيْنَ قَفَلَ مِنْ الطَّائِفِ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلَّا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ قَالُوْا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا فَقَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْلِمِيْنَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلَاءِ قَدْ جَاءُوْنَا تَائِبِيْنَ وَإِنِّيْ قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُطَيِّبَ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُوْنَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا لَا نَدْرِيْ مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِيْ ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ فَارْجِعُوْا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ ثُمَّ رَجَعُوْا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوْهُ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوْا وَأَذِنُوْا فَهَذَا الَّذِيْ بَلَغَنَا عَنْ سَبْيِ هَوَازِنَ
Narrated Marwan bin Al-Hakim and Miswar bin Makhrama:
When the Hawazin delegation came to Allah's Messenger (ﷺ) after they had embraced Islam and requested him to return their properties and war prisoners to them, Allah's Messenger (ﷺ) said, "To me the best talk is the truest, so you may choose either of two things; the war prisoners or the wealth, for I have delayed their distribution." Allah's Messenger (ﷺ) had waited for them for over ten days when he returned from Ta'if. So, when those people came to know that Allah's Messenger (ﷺ) was not going to return to them except one of the two things the said, "We choose our war Prisoners 'Allah's Messenger (ﷺ) stood up amongst the Muslims, and after glorifying Allah as He deserved, he said, "Now then, these brothers of yours have come to us with repentance, and I see it logical that I should return their captives to them, so whoever of you likes to do that as a favor then he can do it, and whoever amongst you likes to stick to his share, let him give up his prisoners and we will compensate him from the very first Fai' (i.e. war booty received without fight) which Allah will give us." On that, all the people said. 'O Allah's Messenger (ﷺ)s We have agreed willingly to do so (return the captives)" Then Allah's Messenger (ﷺ) said to them "I do not know who amongst you has agreed to this and who has not. You should return and let your leaders inform me of your agreement." The people returned and their leaders spoke to them, and then came to Allah's Apostle and said, "All the people have agreed willingly to do so and have given the permission to return the war prisoners (without Compensation)" (Az-Zuhri, the sub-narrator states) This is what has been related to us about the captives of Hawazin.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩১-৩১৩২. ‘উরওয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁকে মারওয়ান ইবনু হাকাম ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) রিওয়ায়াত করেছেন যে, যখন হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল মুসলিম হয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল যে, তাদের মালামাল ও বন্দী উভয়ই ফেরত দেয়া হোক। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, আমার নিকট সত্য কথা অধিকতর প্রিয়। তোমরা দু’য়ের মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ কর। বন্দী, নয় মালামাল। আর আমি তো তাদের (হাওয়াযিন গোত্রের) প্রতীক্ষা করেছিলাম আর তায়েফ হতে ফেরার সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ দিন থেকে অধিক সময় তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে যখন তাদের নিকট স্পষ্ট হলো যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’টোর মধ্যে যে কোন একটিই ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, আমরা আমাদের বন্দীদের ফেরত লাভই পছন্দ করি। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের সামনে দাঁড়ালেন। প্রথমে তিনি আল্লাহ তা‘আলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের এ সব ভাই তাওবা করে আমার নিকট এসেছে। আর আমি উচিত মনে করছি যে, তাদের বন্দীদের ফেরত দিব। যে ব্যক্তি সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে চায়, সে যেন তা করে আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি চায় যে, তার অংশ বহাল থাকুক, সে যেন অপেক্ষা করে (কিংবা) আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে প্রথম যে গনীমতের মাল দান করেছেন, আমি তাকে তা হতে তা দিয়ে দিব, তাও করতে পারে। উপস্থিত লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সন্তুষ্টচিত্তে তা গ্রহণ করলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি সঠিক জানতে পারিনি, তোমাদের মধ্যে কে এতে সম্মতি দিয়েছে, আর কে দেয়নি। কাজেই, তোমরা ফিরে যাও এবং নিজ নিজ প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাকে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও। লোকেরা চলে গেল। আর তাদের প্রতিনিধিরা নিজেদের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফেরত এল এবং তাঁকে জানাল যে, তারা সন্তুষ্টচিত্তে সম্মতি দিয়েছে। হাওয়াযিনের বন্দীগণ সম্পর্কিত বিবরণ আমাদের নিকট এ রকমই পৌঁছেছে। (২৩০৭, ২৩০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯০৮)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ وَزَعَمَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ وَمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِيْنَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِيْنَ فَسَأَلُوْهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ الْحَدِيْثِ إِلَيَّ أَصْدَقُهُ فَاخْتَارُوْا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا السَّبْيَ وَإِمَّا الْمَالَ وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ وَقَدْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْتَظَرَ آخِرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً حِيْنَ قَفَلَ مِنْ الطَّائِفِ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلَّا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ قَالُوْا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا فَقَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْلِمِيْنَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلَاءِ قَدْ جَاءُوْنَا تَائِبِيْنَ وَإِنِّيْ قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُطَيِّبَ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُوْنَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ إِنَّا لَا نَدْرِيْ مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِيْ ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ فَارْجِعُوْا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ ثُمَّ رَجَعُوْا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوْهُ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوْا وَأَذِنُوْا فَهَذَا الَّذِيْ بَلَغَنَا عَنْ سَبْيِ هَوَازِنَ
Narrated Marwan bin Al-Hakim and Miswar bin Makhrama:
When the Hawazin delegation came to Allah's Messenger (ﷺ) after they had embraced Islam and requested him to return their properties and war prisoners to them, Allah's Messenger (ﷺ) said, "To me the best talk is the truest, so you may choose either of two things; the war prisoners or the wealth, for I have delayed their distribution." Allah's Messenger (ﷺ) had waited for them for over ten days when he returned from Ta'if. So, when those people came to know that Allah's Messenger (ﷺ) was not going to return to them except one of the two things the said, "We choose our war Prisoners 'Allah's Messenger (ﷺ) stood up amongst the Muslims, and after glorifying Allah as He deserved, he said, "Now then, these brothers of yours have come to us with repentance, and I see it logical that I should return their captives to them, so whoever of you likes to do that as a favor then he can do it, and whoever amongst you likes to stick to his share, let him give up his prisoners and we will compensate him from the very first Fai' (i.e. war booty received without fight) which Allah will give us." On that, all the people said. 'O Allah's Messenger (ﷺ)s We have agreed willingly to do so (return the captives)" Then Allah's Messenger (ﷺ) said to them "I do not know who amongst you has agreed to this and who has not. You should return and let your leaders inform me of your agreement." The people returned and their leaders spoke to them, and then came to Allah's Apostle and said, "All the people have agreed willingly to do so and have given the permission to return the war prisoners (without Compensation)" (Az-Zuhri, the sub-narrator states) This is what has been related to us about the captives of Hawazin.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩৩. যাহদাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবূ মূসা (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম, এ সময় মুরগীর (মাংস) সম্বন্ধে আলোচনা উঠল। তথায় তাইমুল্লাহ গোত্রের এমন লাল বর্ণের এক ব্যক্তিও উপস্থিত ছিল, যেন সে মাওয়ালী (রোমক ক্রীতদাস)-দের একজন। তাকে খাওযার জন্য ডাকলেন। তখন সে বলল, আমি মুরগীকে এমন বস্তু খেতে দেখেছি, যাতে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি শপথ করেছি যে, তা খাব না। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, আস, আমি তোমাকে এ সম্পর্কে হাদীস শুনাচ্ছি। আমি কয়েকজন আশ‘আরী ব্যক্তির পক্ষে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সাওয়ারী চাইতে যাই। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সাওয়ারী দিব না এবং আমার নিকট তোমাদের দেয়ার মত কোন সাওয়ারীও নেই। এ সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গনীমতের কয়েকটি উট আনা হলো। তখন তিনি আমাদের খোঁজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশ‘আরী লোকেরা কোথায়? অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঁচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন। যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা দিলাম বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের কল্যাণ হবে না। আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি কি তা ভুলে গিয়েছেন? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আর আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইন্শাআল্লাহ্ কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি কল্যাণকর মনে করি, তখন সেই কল্যাণকর কাজটি আমি করি এবং কাফ্ফারা দিয়ে শপথ হতে মুক্ত হই। (৪৩৮৫, ৪৪১৫, ৫৫১৭, ৫৫১৮, ৬৬২৩, ৬৬৪৯, ৬৬৭৮, ৬৬৮০, ৬৭১৮, ৬৭১৯, ৬৭২১, ৭৫৫৫) (মুসলিম ২৬/৩ হাঃ ১৬৩৯, আহমাদ ১৯৫৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯০৯)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ أَبِيْ قِلَابَةَ قَالَ وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عَاصِمٍ الْكُلَيْبِيُّ وَأَنَا لِحَدِيْثِ الْقَاسِمِ أَحْفَظُ عَنْ زَهْدَمٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِيْ مُوسَى فَأُتِيَ ذِكْرُ دَجَاجَةً وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِيْ تَيْمِ اللهِ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مِنْ الْمَوَالِيْ فَدَعَاهُ لِلطَّعَامِ فَقَالَ إِنِّيْ رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ فَحَلَفْتُ لَا آكُلُ فَقَالَ هَلُمَّ فَلْأُحَدِّثْكُمْ عَنْ ذَاكَ إِنِّيْ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِيْ نَفَرٍ مِنْ الأَشْعَرِيِّيْنَ نَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ وَاللهِ لَا أَحْمِلُكُمْ وَمَا عِنْدِيْ مَا أَحْمِلُكُمْ وَأُتِيَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِنَهْبِ إِبِلٍ فَسَأَلَ عَنَّا فَقَالَ أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّوْنَ فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قُلْنَا مَا صَنَعْنَا لَا يُبَارَكُ لَنَا فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا إِنَّا سَأَلْنَاكَ أَنْ تَحْمِلَنَا فَحَلَفْتَ أَنْ لَا تَحْمِلَنَا أَفَنَسِيْتَ قَالَ لَسْتُ أَنَا حَمَلْتُكُمْ وَلَكِنَّ اللهَ حَمَلَكُمْ وَإِنِّيْ وَاللهِ إِنْ شَاءَ اللهُ لَا أَحْلِفُ عَلَى يَمِيْنٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِيْ هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا
Narrated Zahdam:
Once we were in the house of Abu Musa who presented a meal containing cooked chicken. A man from the tribe of Bani Taim Allah with red complexion as if he were from the Byzantine war prisoners, was present. Abu Musa invited him to share the meal but he (apologised) saying. "I saw chickens eating dirty things and so I have had a strong aversion to eating them, and have taken an oath that I will not eat chickens." Abu Musa said, "Come along, I will tell you about this matter (i.e. how to cancel one's oath). I went to the Prophet (ﷺ) in the company of a group of Al-Ashariyin, asked him to provide us with means of conveyance. He said, 'By Allah, I will not provide you with any means of conveyance and I have nothing to make you ride on.' Then some camels as booty were brought to Allah's Messenger (ﷺ) and he asked for us saying. 'Where are the group of Al-Ash`ariyun?' Then he ordered that we should be given five camels with white humps. When we set out we said, 'What have we done? We will never be blessed (with what we have been given).' So, we returned to the Prophet (ﷺ) and said, 'We asked you to provide us with means of conveyance, but you took an oath that you would not provide us with any means of conveyance. Did you forget (your oath when you gave us the camels)? He replied. 'I have not provided you with means of conveyance, but Allah has provided you with it, and by Allah, Allah willing, if ever I take an oath to do something, and later on I find that it is more beneficial to do something different, I will do the thing which is better, and give expiation for my oath."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদের দিকে একটি সেনাদল পাঠালেন, যাদের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। এ যুদ্ধে গনীমত হিসেবে তাঁরা বহু উট লাভ করেন। তাঁদের প্রত্যেকের ভাগে এগারোটি কিংবা বারটি করে উট পড়েছিল এবং তাঁদেরকে পুরস্কার হিসেবে আরো একটি করে উট দেয়া হয়। (৪৩৩৮) (মুসলিম ৩২/১২ হাঃ ১৭৪৯, আহমাদ ৪৫৭৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১০)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ سَرِيَّةً فِيْهَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ قِبَلَ نَجْدٍ فَغَنِمُوْا إِبِلًا كَثِيْرَةً فَكَانَتْ سِهَامُهُمْ اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيْرًا أَوْ أَحَدَ عَشَرَ بَعِيْرًا وَنُفِّلُوْا بَعِيْرًا بَعِيْرًا
Narrated Nafi` from Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) sent a Sariya towards Najd, and `Abdullah bin `Umar was in the Sariya. They gained a great number of camels as war booty. The share of each one of them was twelve or eleven camels, and they were given an extra camel each.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩৫. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত কোন কোন সেনা দলে কোন কোন ব্যক্তিকে সাধারণ সৈন্যদের প্রাপ্য অংশের চেয়ে অতিরিক্ত দান করতেন। (মুসলিম ৩২/১২ হাঃ ১৭৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১১)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ مِنْ السَّرَايَا لِأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً سِوَى قِسْمِ عَامَّةِ الْجَيْشِ
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) used to give extra share to some of the members of the Sariya he used to send, in addition to the shares they shared with the army in general.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩৬. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইয়ামানে থাকতেই আমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হিজরত করার খবর পৌঁছে। তখন আমরাও তাঁর নিকট হিজরত করার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম। আমি এবং আমার আরো দু’ভাই এর মধ্যে ছিলাম। আমি ছিলাম সবচেয়ে ছোট। তাদের একজন হলেন আবূ বুরদাহ, অন্যজন আবূ রুহ্ম। রাবী হয়ত বলেছেন, আমার গোত্রের আরোও কতিপয় লোকের মধ্যে; কিংবা বলেছেন, আমার গোত্রের তিপ্পান্ন বা বায়ান্ন জন লোকের মধ্যে। অতঃপর আমরা একটি নৌযানে উঠলাম। ঘটনাক্রমে আমাদেরকে নৌযানটি হাবশার নাজ্জাশী বাদশাহর দিকে নিয়ে যায়। সেখানে আমরা জা‘ফর ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে মিলিত হই। জা‘ফর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন এবং এখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আপনারাও আমাদের সঙ্গে এখানে থাকুন। তখন আমরা তাঁর সঙ্গে থেকে গেলাম। অবশেষে আমরা সকলে একত্রে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলাম। এমন সময় আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছলাম, যখন তিনি খায়বার বিজয় করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য অংশ নির্ধারণ করলেন। (বর্ণণাকারী বলেন), কিংবা তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরও তা হতে দিয়েছেন। আমাদের ছাড়া খায়বার বিজয়ে অনুপস্থিত কাউকেই তা হতে অংশ দেননি, জা‘ফর (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণের সঙ্গে আমাদের এ নৌযাত্রীদের মধ্যে বণ্টন করেছেন। (৩৮৭৬, ৪২৩০, ৪২৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১২)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوسَى قَالَ بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِيْنَ إِلَيْهِ أَنَا وَأَخَوَانِ لِيْ أَنَا أَصْغَرُهُمْ أَحَدُهُمَا أَبُوْ بُرْدَةَ وَالْآخَرُ أَبُوْ رُهْمٍ إِمَّا قَالَ فِيْ بِضْعٍ وَإِمَّا قَالَ فِيْ ثَلَاثَةٍ وَخَمْسِيْنَ أَوْ اثْنَيْنِ وَخَمْسِيْنَ رَجُلًا مِنْ قَوْمِيْ فَرَكِبْنَا سَفِيْنَةً فَأَلْقَتْنَا سَفِيْنَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ وَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِيْ طَالِبٍ وَأَصْحَابَهُ عِنْدَهُ فَقَالَ جَعْفَرٌ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنَا هَاهُنَا وَأَمَرَنَا بِالْإِقَامَةِ فَأَقِيْمُوْا مَعَنَا فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيْعًا فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَأَسْهَمَ لَنَا أَوْ قَالَ فَأَعْطَانَا مِنْهَا وَمَا قَسَمَ لِأَحَدٍ غَابَ عَنْ فَتْحِ خَيْبَرَ مِنْهَا شَيْئًا إِلَّا لِمَنْ شَهِدَ مَعَهُ إِلَّا أَصْحَابَ سَفِيْنَتِنَا مَعَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ قَسَمَ لَهُمْ مَعَهُمْ
Narrated Abu Musa:
We got the news of the migration of the Prophet (ﷺ) while we were in Yemen, so we set out migrating to him. We were, I and my two brothers, I being the youngest, and one of my brothers was Abu Burda and the other was Abu Ruhm. We were over fifty (or fifty-three or fifty two) men from our people. We got on board a ship which took us to An-Najashi in Ethiopia, and there we found Ja`far bin Abu Talib and his companions with An-Najaishi. Ja`far said (to us), "Allah's Messenger (ﷺ) has sent us here and ordered us to stay here, so you too, stay with us." We stayed with him till we all left (Ethiopia) and met the Prophet (ﷺ) at the time when he had conquered Khaibar. He gave us a share from its booty (or gave us from its booty). He gave only to those who had taken part in the Ghazwa with him. but he did not give any share to any person who had not participated in Khaibar's conquest except the people of our ship, besides Ja`far and his companions, whom he gave a share as he did them (i.e. the people of the ship).
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩৭. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে, তবে আমি তোমাকে (দুইহাত মিলিয়ে) এ পরিমাণ ও এ পরিমাণ দান করব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যু অবধি তা এলো না। অতঃপর যখন বাহরাইনের মাল এল, তখন আবূ বকর (রাঃ) ঘোষণাকারীকে এ ঘোষণা দেয়ার আদেশ করলেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যার কোন ঋণ বা ওয়াদা আছে, সে যেন আমার নিকট আসে। অতঃপর আমি তাঁর নিকট গিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এত এত ও এত দেয়ার কথা বলেছেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) তিনবার আঁজলা ভরে দান করেন। সুফ্ইয়ান (রাঃ) তাঁর দুই হাত একত্র করে আঁজলা করে আমাদের বললেন, ইবনু মুনকাদির এরূপই বলেছেন। জাবির (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি (জাবির) আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট এলাম এবং তাঁর নিকট চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তাঁর নিকট এলাম। তখনও তিনি আমাকে দিলেন না আবার আমি তাঁর নিকট তৃতীয়বার এসে বললাম, আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। আবার আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। এখন আমাকে আপনি দেবেন, না হয় আমার সঙ্গে কৃপণতা করবেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তুমি আমাকে বলছ, ‘কৃপণতা করবেন?’ আমি যতবারই তোমাকে দিতে অস্বীকার করি না কেন, আমার ইচ্ছা ছিল যে, আমি তোমাকে দেই।
সুফ্ইয়ান (রহ.) বলেন, ‘আমর (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলী (রহ.) সূত্রে জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, (তিনি বলেন) আবূ বকর (রাঃ) আমাকে এক আঁজলা দিয়ে বললেন, এটা গুণে নাও। আমি গণনা করে দেখলাম, পাঁচ শত। তখন তিনি বললেন, এ রকম আরও দু’বার নিয়ে নাও। আর ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনায় আছে যে, [আবূ বকর (রাঃ) বলেছেন], ‘কৃপণতার চেয়ে বড় রোগ কী হতে পারে?’ (২২৯৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১৩)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابِرًا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ قَدْ جَاءَنِيْ مَالُ الْبَحْرَيْنِ لَقَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا فَلَمْ يَجِئْ حَتَّى قُبِضَ النَّبِيُّ فَلَمَّا جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أَمَرَ أَبُوْ بَكْرٍ مُنَادِيًا فَنَادَى مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَيْنٌ أَوْ عِدَةٌ فَلْيَأْتِنَا فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِيْ كَذَا وَكَذَا فَحَثَا لِيْ ثَلَاثًا وَجَعَلَ سُفْيَانُ يَحْثُوْ بِكَفَّيْهِ جَمِيْعًا ثُمَّ قَالَ لَنَا هَكَذَا قَالَ لَنَا ابْنُ الْمُنْكَدِرِ وَقَالَ مَرَّةً فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ فَسَأَلْتُ فَلَمْ يُعْطِنِيْ ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَلَمْ يُعْطِنِيْ ثُمَّ أَتَيْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقُلْتُ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِيْ ثُمَّ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِيْ ثُمَّ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِيْ فَإِمَّا أَنْ تُعْطِيَنِيْ وَإِمَّا أَنْ تَبْخَلَ عَنِّيْ قَالَ قُلْتَ تَبْخَلُ عَنِّيْ مَا مَنَعْتُكَ مِنْ مَرَّةٍ إِلَّا وَأَنَا أُرِيْدُ أَنْ أُعْطِيَكَ
قَالَ سُفْيَانُ وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ جَابِرٍ فَحَثَا لِيْ حَثْيَةً وَقَالَ عُدَّهَا فَوَجَدْتُهَا خَمْسَ مِائَةٍ قَالَ فَخُذْ مِثْلَهَا مَرَّتَيْنِ وَقَالَ يَعْنِيْ ابْنَ الْمُنْكَدِرِ وَأَيُّ دَاءٍ أَدْوَأُ مِنْ الْبُخْلِ
Narrated Jabir:
Allah's Messenger (ﷺ) said (to me), "If the property of Bahrain had come to us, I would have given you so much and so much." But the Bahrain property did not come till the Prophet (ﷺ) had died. When the Bahrain property came. Abu Bakr ordered somebody to announce, "Any person who has money claim on Allah's Messenger (ﷺ) or whom Allah's Messenger (ﷺ) had promised something, should come to us." So, I went to him and said, "Allah's Messenger (ﷺ) had promised to give me so much an so much." Abu Bakr scooped up money with both hands thrice for me." (The sub-narrator Sufyan illustrated this action by scooping up with both hands and said, "Ibn Munkadir, another sub-narrator, used to illustrate it in this way.") Narrated Jabir: Once I went to Abu Bakr and asked for the money but he did not give me, and I went to him again, but he did not give me, so I went to him for the third time and said, "I asked you, but you did not give me; then I asked you (for the second time) and you did not give me; then I asked you (for the third time) but you did not give me. You should either give me or allow yourself to be considered a miser regarding my case." Abu Bakr said, "You tell me that I am a miser with regard to you. But really, whenever I rejected your request, I had the inclination to give you." (In another narration Jabir added:) So, Abu Bakr scooped up money with both hands for me and asked me to count it. I found out that It was five hundred. Abu Bakr told me to take twice that amount.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমদের প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশে।
৩১৩৮. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জি‘য়রানা নামক জায়গায় গানীমাতের মাল বণ্টন করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি বলল, ইনসাফ করুন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে তুমি হবে হতভাগা।’ (মুসলিম ১২/৪৭ হাঃ ১০৬৩, আহমাদ ১৪৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১৪)
بَابُ مَنْ قَالَ وَمِنْ الدَّلِيْلِ عَلَى أَنَّ الْخُمُسَ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِيْنَ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا عَمْرُوْ بْنُ دِيْنَارٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ بَيْنَمَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُ غَنِيْمَةً بِالْجِعْرَانَةِ إِذْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ اعْدِلْ فَقَالَ لَهُ لَقَدْ شَقِيْتُ إِنْ لَمْ أَعْدِلْ
Narrated Jabir bin `Abdullah:
While Allah's Messenger (ﷺ) was distributing the booty at Al-Ja'rana, somebody said to him "Be just (in your distribution)." The Prophet (ﷺ) replied, "Verily I would be miserable if I did not act justly."