পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৯. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘ঋণ পরিশোধ ও অসীয়াত পূরণ করার পর (মৃতের সম্পত্তি বণ্টন করতে হবে)’’ (আন-নিসা ১১) এর ব্যাখ্যা।

وَيُذْكَرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلمe قَضَى بِالدَّيْنِ قَبْلَ الْوَصِيَّةِ.

وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ )إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمٰنَاتِ إِلٰٓى أَهْلِهَا(( النساء : 58) فَأَدَاءُ الأَمَانَةِ أَحَقُّ مِنْ تَطَوُّعِ الْوَصِيَّةِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لا صَدَقَةَ إِلَّا عَنْ ظَهْرِ غِنًى وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَا يُوصِي الْعَبْدُ إِلَّا بِإِذْنِ أَهْلِهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْعَبْدُ رَاعٍ فِيْ مَالِ سَيِّدِهِ

উল্লেখ রয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসীয়াতের পূর্বে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন।

মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’আল্লাহ্ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তার হক্দারের নিকট ফিরিয়ে দিবে’’- (আন-নিসা ৫৮)। কাজেই নফল অসীয়াত পূরণ করার আগে আমানত আদায়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ স্বচ্ছলতা ব্যতীত সাদাকা নাই। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, গোলাম তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত অসীয়াত করবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, গোলাম তার মালিকের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী।


২৭৫০. হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আমি সওয়াল করলাম, তিনি আমাকে দান করলেন। আবার সওয়াল করলাম, তিনি আমাকে দান করলেন। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, ’হে হাকীম! এই ধন সম্পদ সবুজ-শ্যামল, মধুর। যে ব্যক্তি দানশীলতার মনোভাব নিয়ে তা গ্রহণ করবে, তাতে তার বরকত হবে। আর যে ব্যক্তি প্রতীক্ষা কাতর অন্তরে তা গ্রহণ করবে, তাতে তার বরকত হবে না। সে ঐ ব্যক্তির মত যে খায়; কিন্তু তৃপ্ত হয় না। উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ হাকীম (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আপনার পরে আমি দুনিয়া থেকে বিদায়ের আগে আর কারো কাছে কিছু চাইব না। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) কিছু দান করার জন্য হাকীমকে আহবান করেন, কিন্তু হাকীম (রাঃ) তাঁর নিকট হতে কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। অতঃপর ’উমার (রাঃ)-ও হাকীম (রাঃ)-কে কিছু দান করার জন্য ডেকে পাঠান, কিন্তু তাঁর কাছ থেকেও কিছু গ্রহণ করতে তিনি অস্বীকার করেন। তখন ’উমার (রাঃ) বলেন, হে মুসলিম সমাজ! আমি আল্লাহ্ প্রদত্ত গনীমতের মাল থেকে প্রাপ্য তাঁর অংশ তাঁর সামনে পেশ করেছি, কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন; হাকীম (রাঃ) তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরে আর কারো নিকট কিছু চাননি। (১৪৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬০)

بَابُ تَأْوِيْلِ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى مِنْمبَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِيْ بِهَا أَوْ دَيْنٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ حَكِيْمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ قَالَ لِيْ يَا حَكِيْمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُوْرِكَ لَهُ فِيْهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيْهِ وَكَانَ كَالَّذِيْ يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى قَالَ حَكِيْمٌ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَالَّذِيْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا فَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ يَدْعُوْ حَكِيْمًا لِيُعْطِيَهُ الْعَطَاءَ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَهُ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَهُ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِيْنَ إِنِّيْ أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِيْ قَسَمَ اللهُ لَهُ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ فَيَأْبَى أَنْ يَأْخُذَهُ فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيْمٌ أَحَدًا مِنْ النَّاسِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تُوُفِّيَ رَحِمَهُ اللهُ

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا الاوزاعي عن الزهري عن سعيد بن المسيب وعروة بن الزبير ان حكيم بن حزام قال سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاعطاني ثم سالته فاعطاني ثم قال لي يا حكيم ان هذا المال خضر حلو فمن اخذه بسخاوة نفس بورك له فيه ومن اخذه باشراف نفس لم يبارك له فيه وكان كالذي ياكل ولا يشبع واليد العليا خير من اليد السفلى قال حكيم فقلت يا رسول الله والذي بعثك بالحق لا ارزا احدا بعدك شيىا حتى افارق الدنيا فكان ابو بكر يدعو حكيما ليعطيه العطاء فيابى ان يقبل منه شيىا ثم ان عمر دعاه ليعطيه فيابى ان يقبله فقال يا معشر المسلمين اني اعرض عليه حقه الذي قسم الله له من هذا الفيء فيابى ان ياخذه فلم يرزا حكيم احدا من الناس بعد النبي صلى الله عليه وسلم حتى توفي رحمه الله


Narrated `Urwa bin Az-Zubair:

Hakim bin Hizam said, "I asked Allah's Messenger (ﷺ) for something, and he gave me, and I asked him again and he gave me and said, 'O Hakim! This wealth is green and sweet (i.e. as tempting as fruits), and whoever takes it without greed then he is blessed in it, and whoever takes it with greediness, he is not blessed in it and he is like one who eats and never gets satisfied. The upper (i.e. giving) hand is better than the lower (i.e. taking) hand." Hakim added, "I said, O Allah's Messenger (ﷺ)! By Him Who has sent you with the Truth I will never demand anything from anybody after you till I die." Afterwards Abu Bakr used to call Hakim to give him something but he refused to accept anything from him. Then `Umar called him to give him (something) but he refused. Then `Umar said, "O Muslims! I offered to him (i.e. Hakim) his share which Allah has ordained for him from this booty and he refuses to take it." Thus Hakim did not ask anybody for anything after the Prophet, till he died--may Allah bestow His mercy upon him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৫৫/ ওয়াসিয়াত (كتاب الوصايا) 55/ Wills and Testaments (Wasaayaa)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৯. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘ঋণ পরিশোধ ও অসীয়াত পূরণ করার পর (মৃতের সম্পত্তি বণ্টন করতে হবে)’’ (আন-নিসা ১১) এর ব্যাখ্যা।

২৭৫১. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। শাসক হলেন দায়িত্ববান, তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্ববান এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের সম্পদের দায়িত্ববান, তার সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। গোলাম তার মালিকের ধন-সম্পদের দায়িত্ববান, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। রাবী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেন যে, পুত্র তার পিতার সম্পদের দায়িত্ববান। (৮৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬১)

بَابُ تَأْوِيْلِ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى مِنْمبَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِيْ بِهَا أَوْ دَيْنٍ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ السَّخْتِيَانِيُّ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ سَالِمٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِيْ أَهْلِهِ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْمَرْأَةُ فِيْ بَيْتِ زَوْجِهَا رَاعِيَةٌ وَمَسْئُوْلَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا وَالْخَادِمُ فِيْ مَالِ سَيِّدِهِ رَاعٍ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنْ قَدْ قَالَ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِيْ مَالِ أَبِيْهِ

حدثنا بشر بن محمد السختياني اخبرنا عبد الله اخبرنا يونس عن الزهري قال اخبرني سالم عن ابن عمر رضي الله عنهما قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كلكم راع ومسىول عن رعيته والامام راع ومسىول عن رعيته والرجل راع في اهله ومسىول عن رعيته والمراة في بيت زوجها راعية ومسىولة عن رعيتها والخادم في مال سيده راع ومسىول عن رعيته قال وحسبت ان قد قال والرجل راع في مال ابيه


Narrated Ibn `Umar:

I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "All of you are guardians and responsible for your charges: the Ruler (i.e. Imam) is a guardian and responsible for his subjects; and a man is a guardian of his family and is responsible for his charges; and a lady is a guardian in the house of her husband and is responsible for her charge; and a servant is a guardian of the property of his master and is responsible for his charge." I think he also said, "And a man is a guardian of the property of his father."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৫৫/ ওয়াসিয়াত (كتاب الوصايا) 55/ Wills and Testaments (Wasaayaa)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে