পরিচ্ছেদঃ ২৩/৯৬. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর ক্ববর সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে।

قَوْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ (فَأَقْبَرَهُ) أَقْبَرْتُ الرَّجُلَ أُقْبِرُهُ إِذَا جَعَلْتَ لَهُ قَبْرًا وَقَبَرْتُهُ دَفَنْتُهُ (كِفَاتًا) يَكُونُونَ فِيهَا أَحْيَاءً وَيُدْفَنُونَ فِيهَا أَمْوَاتًا

(আল্লাহ্‌র বাণী)(فَأَقْبَرَهُ)  ‘‘তাকে কবরস্থ করলেন’’- (আবাসাঃ ২১)। أَقْبَرْتُ الرَّجُلَ অর্থাৎ যখন তুমি কারোর জন্য কবর তৈরি করবে। قَبَرْتُهُ  অর্থাৎ دَفَنْتُهُ কবরস্থ করা (كِفَاتًا) ^ অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় ভূপৃষ্ঠে কবরে ও মৃত্যুর পর এর মধ্যে সমাহিত হবে।


১৩৮৯. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগশয্যায় (স্ত্রীগণের নিকট অবস্থানের) পালার সময় কাল জানতে চাইতেন। আমার অবস্থান আজ কোথায় হবে? আগামীকাল কোথায় হবে? ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর পালা বিলম্বিত হচ্ছে বলে ধারণা করেই এ প্রশ্ন করতেন। [‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেন] যে দিন আমার পালা আসলো, সেদিন আল্লাহ্ তাঁকে আমার কণ্ঠদেশ ও বক্ষের মাঝে (হেলান দেয়া অবস্থায়) রূহ্ কবয করলেন [1] এবং আমার ঘরে তাঁকে দাফন করা হয়। (৮৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩০৬)

بَاب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ عَنْ هِشَامٍ ح و حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ يَحْيَى بْنُ أَبِي زَكَرِيَّاءَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيَتَعَذَّرُ فِي مَرَضِهِ أَيْنَ أَنَا الْيَوْمَ أَيْنَ أَنَا غَدًا اسْتِبْطَاءً لِيَوْمِ عَائِشَةَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمِي قَبَضَهُ اللهُ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي وَدُفِنَ فِي بَيْتِي

حدثنا اسماعيل حدثني سليمان عن هشام ح و حدثني محمد بن حرب حدثنا ابو مروان يحيى بن ابي زكرياء عن هشام عن عروة عن عاىشة قالت ان كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليتعذر في مرضه اين انا اليوم اين انا غدا استبطاء ليوم عاىشة فلما كان يومي قبضه الله بين سحري ونحري ودفن في بيتي


Narrated `Aisha:

During his sickness, Allah's Messenger (ﷺ) was asking repeatedly, "Where am I today? Where will I be tomorrow?" And I was waiting for the day of my turn (impatiently). Then, when my turn came, Allah took his soul away (in my lap) between my chest and arms and he was buried in my house.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
২৩/ জানাযা (كتاب الجنائز) 23/ Funerals (Al-Janaa'iz)

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৯৬. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর ক্ববর সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে।

১৩৯০. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তিম রোগশয্যায় বলেন, ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কারণ, তারা তাদের নবীগণের কবরকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছে। (রাবী ‘উরওয়াহ বলেন) এরূপ আশঙ্কা না থাকলে রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কবরকে (ঘরের বেষ্টনীতে সংরক্ষিত না রেখে) খোলা রাখা হতো। কিন্তু তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আশংকা করেন বা আশঙ্কা করা হয় যে, পরবর্তীতে একে মসজিদে পরিণত করা হবে। রাবী হিলাল (রহ.) বলেন, ‘উরওয়া আমাকে (আবূ আমর) কুনিয়াতে ভূষিত করেন আর তখন পর্যন্ত আমি কোন সন্তানের পিতা হইনি।  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩০৭)

সুফইয়ান তাম্মার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কবর উটের কুজের ন্যায় (উঁচু) দেখেছেন।  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩০৮)

‘উরওয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ওয়ালীদ ইবনু আবদুল মালিক-এর শাসনামলে যখন (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রাওযার) বেষ্টনী দেয়াল ধসে পড়ে, তখন তাঁরা সংস্কার করতে আরম্ভ করলে একটি পা প্রকাশ পায়, তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কদম মুবারক বলে ধারণা করার কারণে লোকেরা খুব ঘাবড়ে যায়। সনাক্ত করার মত কাউকে তারা পায়নি। অবশেষে ‘উরওয়াহ (রাঃ) তাদের বললেন, আল্লাহ্‌র কসম এ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পা নয় বরং এতো ‘উমার (রাঃ)-এর পা। (৪৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩০৯)

بَاب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ هِلاَلٍ هُوَ الْوَزَّانُ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي لَمْ يَقُمْ مِنْهُ لَعَنَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ لَوْلاَ ذَلِكَ أُبْرِزَ قَبْرُهُ غَيْرَ أَنَّهُ خَشِيَ أَوْ خُشِيَ أَنَّ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا وَعَنْ هِلاَلٍ قَالَ كَنَّانِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يُولَدْ لِي حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ سُفْيَانَ التَّمَّارِ أَنَّهُ
حَدَّثَهُ أَنَّهُ رَأَى قَبْرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُسَنَّمًا حَدَّثَنَا فَرْوَةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ لَمَّا سَقَطَ عَلَيْهِمْ الْحَائِطُ فِي زَمَانِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَخَذُوا فِي بِنَائِهِ فَبَدَتْ لَهُمْ قَدَمٌ فَفَزِعُوا وَظَنُّوا أَنَّهَا قَدَمُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَا وَجَدُوا أَحَدًا يَعْلَمُ ذَلِكَ حَتَّى قَالَ لَهُمْ عُرْوَةُ لاَ وَاللهِ مَا هِيَ قَدَمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا هِيَ إِلاَّ قَدَمُ عُمَرَ

حدثنا موسى بن اسماعيل حدثنا ابو عوانة عن هلال هو الوزان عن عروة عن عاىشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في مرضه الذي لم يقم منه لعن الله اليهود والنصارى اتخذوا قبور انبياىهم مساجد لولا ذلك ابرز قبره غير انه خشي او خشي ان يتخذ مسجدا وعن هلال قال كناني عروة بن الزبير ولم يولد لي حدثنا محمد بن مقاتل اخبرنا عبد الله اخبرنا ابو بكر بن عياش عن سفيان التمار انه حدثه انه راى قبر النبي صلى الله عليه وسلم مسنما حدثنا فروة حدثنا علي بن مسهر عن هشام بن عروة عن ابيه لما سقط عليهم الحاىط في زمان الوليد بن عبد الملك اخذوا في بناىه فبدت لهم قدم ففزعوا وظنوا انها قدم النبي صلى الله عليه وسلم فما وجدوا احدا يعلم ذلك حتى قال لهم عروة لا والله ما هي قدم النبي صلى الله عليه وسلم ما هي الا قدم عمر


Narrated `Aisha:

Allah's Messenger (ﷺ) in his fatal illness said, "Allah cursed the Jews and the Christians, for they built the places of worship at the graves of their prophets." And if that had not been the case, then the Prophet's grave would have been made prominent before the people. So (the Prophet (ﷺ) ) was afraid, or the people were afraid that his grave might be taken as a place for worship.

Narrated Abu Bakr bin `Aiyash:

Sufyan at-Tammar told me that he had seen the grave of the Prophet (ﷺ) elevated and convex.

Narrated `Urwa:

When the wall fell on them (i.e. graves) during the caliphate of Al-Walid bin `Abdul Malik, the people started repairing it, and a foot appeared to them. The people got scared and thought that it was the foot of the Prophet. No one could be found who could tell them about it till I (`Urwa) said to them, "By Allah, this is not the foot of the Prophet (ﷺ) but it is the foot of `Umar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
২৩/ জানাযা (كتاب الجنائز) 23/ Funerals (Al-Janaa'iz)

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৯৬. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর ক্ববর সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে।

১৩৯১. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ)-কে অসিয়্যত করেছিলেন, আমাকে তাঁদের (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর দু’ সাহাবী) পাশে দাফন করবে না। বরং আমাকে আমার সঙ্গিনীদের সাথে বাকী‘তে দাফন করবে যাতে আমি চিরকালের জন্য প্রশংসিত হতে না থাকি। (৭৩২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০১ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩০৯)

بَاب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ

وَعَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَوْصَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ لاَ تَدْفِنِّي مَعَهُمْ وَادْفِنِّي مَعَ صَوَاحِبِي بِالْبَقِيعِ لاَ أُزَكَّى بِهِ أَبَدًا

وعن هشام عن ابيه عن عاىشة انها اوصت عبد الله بن الزبير لا تدفني معهم وادفني مع صواحبي بالبقيع لا ازكى به ابدا


Aisha narrated that she made a will to `Abdullah bin Zubair, "Do not bury me with them (the Prophet (ﷺ) and his two companions) but bury me with my companions (wives of the Prophet (p.b.u.h) ) in Al-Baqi as I would not like to be looked upon as better than I really am (by being buried near the Prophet)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
২৩/ জানাযা (كتاب الجنائز) 23/ Funerals (Al-Janaa'iz)

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৯৬. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর ক্ববর সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে।

১৩৯২. ’আমর ইবনু মায়মুন আওদী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উমার (রাঃ)-কে দেখলাম তিনি নিজের ছেলে ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, তুমি উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট গিয়ে বল, ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আপনাকে সালাম বলেছেন। অতঃপর আমাকে আমার দু’জন সাথী (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর)-এর পাশে দাফন করতে তিনি রাযী আছেন কি না? ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বললেন, আমি পূর্ব হতেই নিজের জন্য এর আশা পোষণ করতাম, কিন্তু আজ ’উমার (রাঃ)-কে নিজের উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) ফিরে এলে ’উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কি বার্তা নিয়ে এলে? তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! তিনি [আয়িশা (রাযি.)] আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন। ’উমার (রাঃ) বললেন, সেখানে শয্যা লাভই ছিল আমার নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মৃত্যুর পর আমাকে বহন করে [আয়িশাহ (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত করে] তাঁকে সালাম জানিয়ে বলবে, ’উমার ইবনু খাত্তাব (পুনরায়) আপনার অনুমতি চাইছেন। তিনি অনুমতি দিলে, আমাকে সেখানে দাফন করবে। অন্যথায় আমাকে মুসলিমদের কবরস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।[1] অতঃপর ’উমার (রাঃ) বলেন, এ কয়েকজন ব্যক্তি যাঁদের উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা অন্য কাউকে আমি এ খিলাফতের (দায়িত্ব পালনে) অধিক যোগ্য বলে মনে করি না। তাই আমার পর তাঁরা (তাঁদের মধ্য হতে) যাঁকে খালীফা মনোনীত করবেন তিনি খালীফা হবেন।

তোমরা সকলেই তাঁর আদেশ মেনে চলবে, তাঁর আনুগত্য করবে। এ বলে তিনি ’উসমান, ’আলী, তালহা, যুবাইর, ’আবদুর রাহমান ইবনু আওফ ও সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করলেন। এ সময়ে এক আনসারী যুবক ’উমার (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহ্ প্রদত্ত সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি ইসলামের ছায়াতলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন যা আপনিও জানেন। অতঃপর আপনাকে খলীফা নিযুক্ত করা হয় এবং আপনি ন্যায়বিচার করেছেন। সর্বোপরি আপনি শাহাদাত লাভ করছেন। ’উমার (রাঃ) বললেন, হে ভাতিজা! যদি তা আমার জন্য লাভ লোকসানের না হয়ে বরাবর হয়, তবে কতই না ভাল হবে। (তিনি বললেন) আমার পরবর্তী খলীফাকে ওয়াসিয়্যাত করে যাচ্ছি, তিনি যেন প্রথম দিকের মুহাজিরদের ব্যাপারে যত্নবান হন, তাঁদের হক আদায় করে চলেন, যেন তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন। আমি তাঁকে আনসারদের সাথেও সদাচারের উপদেশ দেই, যারা ঈমান ও মাদ্বীনাকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন, যেন তাঁদের মধ্যকার সৎকর্মপরায়ণদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় এবং তাঁদের মধ্যকার (লঘু) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সর্বশেষে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দায়িত্বভুক্ত (সর্বস্তরের মু’মিনদের সম্পর্কে) সতর্ক করে দিচ্ছি যেন মু’মিনদের সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করা হয়, তাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা হয় এবং সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব তাদের উপর অর্পণ করা না হয়। (৩০৫২, ৩১৬২, ৩৭০০, ৪৮৮৮, ৭২০৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩১০)

بَاب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الأَوْدِيِّ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ اذْهَبْ إِلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ فَقُلْ يَقْرَأُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ثُمَّ سَلْهَا أَنْ أُدْفَنَ مَعَ صَاحِبَيَّ قَالَتْ كُنْتُ أُرِيدُهُ لِنَفْسِي فَلأ وثِرَنَّهُ الْيَوْمَ عَلَى نَفْسِي فَلَمَّا أَقْبَلَ قَالَ لَهُ مَا لَدَيْكَ قَالَ أَذِنَتْ لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ مَا كَانَ شَيْءٌ أَهَمَّ إِلَيَّ مِنْ ذَلِكَ الْمَضْجَعِ فَإِذَا قُبِضْتُ فَاحْمِلُونِي ثُمَّ سَلِّمُوا ثُمَّ قُلْ يَسْتَأْذِنُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَإِنْ أَذِنَتْ لِي فَادْفِنُونِي وَإِلاَّ فَرُدُّونِي إِلَى مَقَابِرِ الْمُسْلِمِينَ إِنِّي لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا أَحَقَّ بِهَذَا الأَمْرِ مِنْ هَؤُلاَءِ النَّفَرِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ فَمَنْ اسْتَخْلَفُوا بَعْدِي فَهُوَ الْخَلِيفَةُ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا فَسَمَّى عُثْمَانَ وَعَلِيًّا وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ وَعَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ عَوْفٍ وَسَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَوَلَجَ عَلَيْهِ شَابٌّ مِنْ الأَنْصَارِ فَقَالَ أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِبُشْرَى اللهِ كَانَ لَكَ مِنْ الْقَدَمِ فِي الإِسْلاَمِ مَا قَدْ عَلِمْتَ ثُمَّ اسْتُخْلِفْتَ فَعَدَلْتَ ثُمَّ الشَّهَادَةُ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ فَقَالَ لَيْتَنِي يَا ابْنَ أَخِي وَذَلِكَ كَفَافًا لاَ عَلَيَّ وَلاَ لِي أُوصِي الْخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِي بِالْمُهَاجِرِينَ الأَوَّلِينَ خَيْرًا أَنْ يَعْرِفَ لَهُمْ حَقَّهُمْ وَأَنْ يَحْفَظَ لَهُمْ حُرْمَتَهُمْ وَأُوصِيهِ بِالأَنْصَارِ خَيْرًا (الَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالإِيمَانَ) أَنْ يُقْبَلَ مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَيُعْفَى عَنْ مُسِيئِهِمْ وَأُوصِيهِ بِذِمَّةِ اللهِ وَذِمَّةِ رَسُولِهِ أَنْ يُوفَى لَهُمْ بِعَهْدِهِمْ وَأَنْ يُقَاتَلَ مِنْ وَرَائِهِمْ وَأَنْ لاَ يُكَلَّفُوا فَوْقَ طَاقَتِهِمْ

حدثنا قتيبة حدثنا جرير بن عبد الحميد حدثنا حصين بن عبد الرحمن عن عمرو بن ميمون الاودي قال رايت عمر بن الخطاب قال يا عبد الله بن عمر اذهب الى ام المومنين عاىشة فقل يقرا عمر بن الخطاب عليك السلام ثم سلها ان ادفن مع صاحبي قالت كنت اريده لنفسي فلا وثرنه اليوم على نفسي فلما اقبل قال له ما لديك قال اذنت لك يا امير المومنين قال ما كان شيء اهم الي من ذلك المضجع فاذا قبضت فاحملوني ثم سلموا ثم قل يستاذن عمر بن الخطاب فان اذنت لي فادفنوني والا فردوني الى مقابر المسلمين اني لا اعلم احدا احق بهذا الامر من هولاء النفر الذين توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو عنهم راض فمن استخلفوا بعدي فهو الخليفة فاسمعوا له واطيعوا فسمى عثمان وعليا وطلحة والزبير وعبد الرحمن بن عوف وسعد بن ابي وقاص وولج عليه شاب من الانصار فقال ابشر يا امير المومنين ببشرى الله كان لك من القدم في الاسلام ما قد علمت ثم استخلفت فعدلت ثم الشهادة بعد هذا كله فقال ليتني يا ابن اخي وذلك كفافا لا علي ولا لي اوصي الخليفة من بعدي بالمهاجرين الاولين خيرا ان يعرف لهم حقهم وان يحفظ لهم حرمتهم واوصيه بالانصار خيرا (الذين تبوءوا الدار والايمان) ان يقبل من محسنهم ويعفى عن مسيىهم واوصيه بذمة الله وذمة رسوله ان يوفى لهم بعهدهم وان يقاتل من وراىهم وان لا يكلفوا فوق طاقتهم


Narrated `Amr bin Maimun Al-Audi:

I saw `Umar bin Al-Khattab (when he was stabbed) saying, "O `Abdullah bin `Umar! Go to the mother of the believers Aisha and say, `Umar bin Al-Khattab sends his greetings to you,' and request her to allow me to be buried with my companions." (So, Ibn `Umar conveyed the message to `Aisha.) She said, "I had the idea of having this place for myself but today I prefer him (`Umar) to myself (and allow him to be buried there)." When `Abdullah bin `Umar returned, `Umar asked him, "What (news) do you have?" He replied, "O chief of the believers! She has allowed you (to be buried there)." On that `Umar said, "Nothing was more important to me than to be buried in that (sacred) place. So, when I expire, carry me there and pay my greetings to her (`Aisha ) and say, `Umar bin Al-Khattab asks permission; and if she gives permission, then bury me (there) and if she does not, then take me to the graveyard of the Muslims. I do not think any person has more right for the caliphate than those with whom Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) was always pleased till his death. And whoever is chosen by the people after me will be the caliph, and you people must listen to him and obey him," and then he mentioned the name of `Uthman, `Ali, Talha, Az-Zubair, `Abdur-Rahman bin `Auf and Sa`d bin Abi Waqqas. By this time a young man from Ansar came and said, "O chief of the believers! Be happy with Allah's glad tidings. The grade which you have in Islam is known to you, then you became the caliph and you ruled with justice and then you have been awarded martyrdom after all this." `Umar replied, "O son of my brother! Would that all that privileges will counterbalance (my short comings), so that I neither lose nor gain anything. I recommend my successor to be good to the early emigrants and realize their rights and to protect their honor and sacred things. And I also recommend him to be good to the Ansar who before them, had homes (in Medina) and had adopted the Faith. He should accept the good of the righteous among them and should excuse their wrongdoers. I recommend him to abide by the rules and regulations concerning the Dhimmis (protectees) of Allah and His Apostle, to fulfill their contracts completely and fight for them and not to tax (overburden) them beyond their capabilities."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
২৩/ জানাযা (كتاب الجنائز) 23/ Funerals (Al-Janaa'iz)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে