পরিচ্ছেদঃ ১২/৪. দূর্গ অবরোধ ও শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় সালাত।

وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ إِنْ كَانَ تَهَيَّأَ الْفَتْحُ وَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى الصَّلاَةِ صَلَّوْا إِيمَاءً كُلُّ امْرِئٍ لِنَفْسِهِ فَإِنْ لَمْ يَقْدِرُوا عَلَى الإِيْمَاءِ أَخَّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى يَنْكَشِفَ الْقِتَالُ أَوْ يَأْمَنُوا فَيُصَلُّوا رَكْعَتَيْنِ فَإِنْ لَمْ يَقْدِرُوا صَلَّوْا رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ فَإِنْ لَمْ يَقْدِرُوا لاَ يُجْزِئُهُمْ التَّكْبِيرُ وَيُؤَخِّرُوهَا حَتَّى يَأْمَنُوا وَبِهِ قَالَ مَكْحُولٌ وَقَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ حَضَرْتُ عِنْدَ مُنَاهَضَةِ حِصْنِ تُسْتَرَ عِنْدَ إِضَاءَةِ الْفَجْرِ وَاشْتَدَّ اشْتِعَالُ الْقِتَالِ فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى الصَّلاَةِ فَلَمْ نُصَلِّ إِلاَّ بَعْدَ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ فَصَلَّيْنَاهَا وَنَحْنُ مَعَ أَبِي مُوسَى فَفُتِحَ لَنَا وَقَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَمَا يَسُرُّنِي بِتِلْكَ الصَّلاَةِ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا.

ইমাম আওযায়ী (রহ.) বলেন, যদি অবস্থা এমন হয় যে, বিজয় আসন্ন কিন্তু শত্রুদের ভয়ে সৈন্যদের (জামা’আতে) সালাত আদায় করা সম্ভব নয়, তাহলে সবাই একাকী ইঙ্গিতে সালাত আদায় করবে। আর যদি ইঙ্গিতে আদায় করতে না পার তবে সালাত বিলম্বিত করবে। যে পর্যন্ত না যুদ্ধ শেষ হয় বা তারা নিরাপদ হয়। অতঃপর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করবে। যদি (দু’ রাকা’আত) আদায় করতে সক্ষম না হয় তাহলে একটি রুকূ’ ও দু’টি সিজদা্‌ (এক রাক’আত) আদায় করবে। তাও সম্ভব না হলে শুধু তাক্‌বীর বলে সালাত শেষ করা জায়িয হবে না বরং নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করবে। মাকহুল ও (রহ.) এ মত পোষণ করতেন। আনাস ইব্‌নু মালিক (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, (একটি যুদ্ধে) ভোরবেলা ভুস্‌তার দুর্গের উপর আক্রমণ চলছিলো এবং যুদ্ধ প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে, ফলে সৈন্যদের সালাত আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সূর্য উঠার বেশ পরে আমরা সালাত আদায় করেছিলাম। আর আমরা তখন আবূ মূসা (রাযি.)-এর সাথে ছিলাম, পরে সে দূর্গ আমরা জয় করেছিলাম। আনাস ইব্‌নু মালিক (রাযি.) বলেন, সে সালাতের বিনিময়ে দুনিয়া ও তার সব কিছুতেও আমাকে খুশী করতে পারবে না।


৯৪৫. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধের দিন ’উমার (রাযি.) কুরাইশ গোত্রের কাফিরদের মন্দ বলতে বলতে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সূর্য প্রায় ডুবে যাচ্ছে, অথচ ’আসরের সালাত আদায় করতে পারিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমিও তা এখনও আদায় করতে পারিনি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মদিনার বুতহান উপত্যকায় নেমে উযূ করলেন এবং সূর্যাস্তের পর ’আসর সালাত আদায় করলেন, অতঃপর মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। (৫৯৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৯৮)

 

بَاب الصَّلاَةِ عِنْدَ مُنَاهَضَةِ الْحُصُونِ وَلِقَاءِ الْعَدُوِّ

يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ الْبُخَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُبَارَكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ جَاءَ عُمَرُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ فَجَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ وَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا صَلَّيْتُ الْعَصْرَ حَتَّى كَادَتْ الشَّمْسُ أَنْ تَغِيبَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا وَاللهِ مَا صَلَّيْتُهَا بَعْدُ قَالَ فَنَزَلَ إِلَى بُطْحَانَ فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَ مَا غَابَتْ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ بَعْدَهَا.

يحيى بن جعفر البخاري قال حدثنا وكيع عن علي بن مبارك عن يحيى بن ابي كثير عن ابي سلمة عن جابر بن عبد الله قال جاء عمر يوم الخندق فجعل يسب كفار قريش ويقول يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ما صليت العصر حتى كادت الشمس ان تغيب فقال النبي صلى الله عليه وسلم وانا والله ما صليتها بعد قال فنزل الى بطحان فتوضا وصلى العصر بعد ما غابت الشمس ثم صلى المغرب بعدها.


Narrated Jabir bin `Abdullah:

On the day of the Khandaq `Umar came, cursing the disbelievers of Quraish and said, "O Allah's Apostle! I have not offered the `Asr prayer and the sun has set." The Prophet (ﷺ) replied, "By Allah! I too, have not offered the prayer yet. "The Prophet (ﷺ) then went to Buthan, performed ablution and performed the `Asr prayer after the sun had set and then offered the Maghrib prayer after it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
১২/ খাওফ (শত্রুভীতির অবস্থায় সালাত) (كتاب صلاة الخوف) 12/ Fear Prayer