পরিচ্ছেদঃ ১০/১৫৬. সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদিগণের দিকে ঘুরে বসবেন।
৮৪৫. সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করতেন, তখন আমাদের দিকে মুখ ফিরাতেন। (১১৪৩, ১৩৮৬, ২০৮৫, ২৭৯১, ৩২৩৬, ৩৩৫৪, ৩৩৫৪, ৩৬৭৪, ৬০৯৬, ৭০৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮০৫)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। সালাম ফিরানোর পর ইমামের জন্য মুসাল্লিগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসা ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি উত্তম কাজ। তাই সালাম ফিরানোর পর তিনবার
"أَسْتَغْفِرُ اللهَ".
অর্থ:“ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি”।
পাঠ করার পর এই জিকিরটি পাঠ করা উচিত:
"اَللَّهُمََّ أَنْتَ السََّّلاَمُ وَمِنْكَ السََّّلامُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلالِ وَالاِكْرَامِ".
অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি প্রশান্তি দাতা, আর আপনার কাছেই রয়েছে সকল প্রকারের শান্তি, আপনি অধিকতর কল্যাণময়, হে মর্যাদাবান এবং মহানুভব মহিমান্বিত”।
(দেখতে পারা যায় সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৫ - (৫৯১) ।
অতঃপর ইমামের জন্য মুসাল্লিগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসা উচিত।
২। ইসলাম ধর্মের পণ্ডিতগণের মধ্যে থেকে কতকগুলি পণ্ডিত বলেছেন যে, ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর ইমামের জন্য মুসাল্লিগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসা ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি উত্তম কাজ। তাই সালাম ফিরানোর পর মুসাল্লিগণকে পিছনে রেখে মেহরাবে ইমামের জন্য বসে থাকার বিষয়টি ইসলামের শিক্ষা সম্মত কাজ নয় বরং তা ঘৃণিত ও অপছন্দনীয় কাজ। তাই সালাম ফিরানোর পর ইমামের জন্য মুসাল্লিগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসাই হলো ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি উত্তম কাজ।
৩। জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার সময় ইমাম মুসাল্লিগণকে পিছনে রেখে নামাজ পড়ার বিষয়টি ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি বিধান। সুতরাং জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই বিধানটির প্রতি আমল করার কাজ শেষ হয়ে যায়। তাই নামাজের সালাম ফিরানোর পর ইমামের জন্য মুসাল্লিগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসার নিয়মটিই হলো ইসলামের শিক্ষা সম্মত নিয়ম। যাতে মুসাল্লিগণ তাদের প্রয়োজন মোতাবেক ইসলাম ধর্মের বিষয়ে অথবা জাগতিক বিষয়ে ইমামকে সহজে কোনো প্রশ্ন করতে পারে।
بَاب يَسْتَقْبِلُ الْإِمَامُ النَّاسَ إِذَا سَلَّمَ.
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ.
Narrated Samura bin Jundub:
The Prophet (ﷺ) used to face us on completion of the prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১০/১৫৬. সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদিগণের দিকে ঘুরে বসবেন।
৮৪৬. যায়দ ইবনু খালিদ জুহানী (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে বৃষ্টি হবার পর হুদায়বিয়াতে আমাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেনঃ তোমরা কি জান, তোমাদের পরাক্রমশালী ও মহিমাময় প্রতিপালক কি বলেছেন? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই বেশি জানেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (রব) বলেন, আমার বান্দাদের মধ্য কেউ আমার প্রতি মু’মিন হয়ে গেল এবং কেউ কাফির। যে বলেছে, আল্লাহর করুণা ও রহমতে আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি, সে হল আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী। আর যে বলেছে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে আমার প্রতি অবিশ্বাসী হয়েছে এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী হয়েছে। (১০৩৮, ৪১৪৭, ৭৫০৩; মুসলিম ১/৩২ হাঃ ৭১, আহমাদ ১৭০৬০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮০৬)
بَاب يَسْتَقْبِلُ الْإِمَامُ النَّاسَ إِذَا سَلَّمَ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُ قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الصُّبْحِ بِالْحُدَيْبِيَةِ عَلَى إِثْرِ سَمَاءٍ كَانَتْ مِنَ اللَّيْلَةِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ ". قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ " أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ، فَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ فَذَلِكَ مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ بِالْكَوْكَبِ، وَأَمَّا مَنْ قَالَ بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا فَذَلِكَ كَافِرٌ بِي وَمُؤْمِنٌ بِالْكَوْكَبِ ".
Narrated Zaid bin Khalid Al-Juhani:
The Prophet (ﷺ) led us in the Fajr prayer at Hudaibiya after a rainy night. On completion of the prayer, he faced the people and said, "Do you know what your Lord has said (revealed)?" The people replied, "Allah and His Apostle know better." He said, "Allah has said, 'In this morning some of my slaves remained as true believers and some became non-believers; whoever said that the rain was due to the Blessings and the Mercy of Allah had belief in Me and he disbelieves in the stars, and whoever said that it rained because of a particular star had no belief in Me but believes in that star.' "
পরিচ্ছেদঃ ১০/১৫৬. সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদিগণের দিকে ঘুরে বসবেন।
৮৪৭. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্ধরাত পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করলেন। এরপর তিনি আমাদের সামনে বের হয়ে এলেন। সালাত শেষে তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, লোকেরা সালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতের অপেক্ষায় থাকবে ততক্ষণ তোমরা যেন সালাতে রত থাকবে। (৫৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৯৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮০৭)
بَاب يَسْتَقْبِلُ الْإِمَامُ النَّاسَ إِذَا سَلَّمَ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، سَمِعَ يَزِيدَ، قَالَ أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَخَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا، فَلَمَّا صَلَّى أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ " إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا وَرَقَدُوا، وَإِنَّكُمْ لَنْ تَزَالُوا فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلاَةَ ".
Narrated Anas bin Malik:
Once the Prophet (ﷺ) delayed the `Isha' prayer until midnight and then came to us. Having prayed he faced us and said, "The people had prayed and slept but you were in the prayer as long as you were waiting for it."