পরিচ্ছেদঃ ৩/২৪ হাত ও মাথার ইঙ্গিতে ফাতাওয়ার জওয়াব দান

৮৪. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। হাজ্জের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসিত হলেন। কোন একজন বললঃ আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বেই যবেহ (কুরবানী) করে ফেলেছি। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেন, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বললেনঃ কোন অসুবিধে নেই। আর এক ব্যক্তি বললঃ আমি যবেহ করার পূর্বে মাথা মুন্ডন করে ফেলেছি। তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলেনঃ কোন ক্ষতি নেই। (১৭২১, ১৭২২, ১৭২৩, ১৭৩৪, ৬৬৬৬ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪)

باب مَنْ أَجَابَ الْفُتْيَا بِإِشَارَةِ الْيَدِ وَالرَّأْسِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَ ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ، فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ قَالَ وَلاَ حَرَجَ‏.‏ قَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ‏.‏ فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ وَلاَ حَرَجَ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، قال حدثنا وهيب، قال حدثنا ايوب، عن عكرمة، عن ابن عباس، ان النبي صلى الله عليه وسلم سىل في حجته فقال ذبحت قبل ان ارمي، فاوما بيده قال ولا حرج‏.‏ قال حلقت قبل ان اذبح‏.‏ فاوما بيده ولا حرج‏.‏

(24) Chapter: Whoever gave a religious verdict by beckoning or by nodding


Narrated Ibn `Abbas:

Somebody said to the Prophet (ﷺ) (during his last Hajj), "I did the slaughtering before doing the Rami.' The Prophet (ﷺ) beckoned with his hand and said, "There is no harm in that." Then another person said. "I got my head shaved before offering the sacrifice." The Prophet (ﷺ) beckoned with his hand saying, "There is no harm in that."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৩/ আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) (كتاب العلم) 3/ Knowledge

পরিচ্ছেদঃ ৩/২৪ হাত ও মাথার ইঙ্গিতে ফাতাওয়ার জওয়াব দান

৮৫. আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (শেষ যামানায়) ‘ইল্ম উঠিয়ে নেয়া হবে, অজ্ঞতা ও ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে এবং ‘হার্জ’ বেড়ে যাবে। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! ‘হার্জ’ কী? তিনি হাত দ্বারা ইঙ্গিত করে বললেনঃ ‘এ রকম’। যেন তিনি এর দ্বারা ‘হত্যা বুঝিয়েছিলেন। (১০৩৬, ১৪১২, ৩৬০৮, ৪৬৩৫, ৬০৩৭, ৬৫০৬, ৬৯৩৫, ৭০৬১, ৭১১৫, ৭১২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৫)

باب مَنْ أَجَابَ الْفُتْيَا بِإِشَارَةِ الْيَدِ وَالرَّأْسِ

حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ سَالِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يُقْبَضُ الْعِلْمُ، وَيَظْهَرُ الْجَهْلُ وَالْفِتَنُ، وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ ‏"‏‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْهَرْجُ فَقَالَ هَكَذَا بِيَدِهِ، فَحَرَّفَهَا، كَأَنَّهُ يُرِيدُ الْقَتْلَ‏.‏

حدثنا المكي بن ابراهيم، قال اخبرنا حنظلة بن ابي سفيان، عن سالم، قال سمعت ابا هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يقبض العلم، ويظهر الجهل والفتن، ويكثر الهرج ‏"‏‏.‏ قيل يا رسول الله وما الهرج فقال هكذا بيده، فحرفها، كانه يريد القتل‏.‏

(24) Chapter: Whoever gave a religious verdict by beckoning or by nodding


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "(Religious) knowledge will be taken away (by the death of religious scholars) ignorance (in religion) and afflictions will appear; and Harj will increase." It was asked, "What is Harj, O Allah's Messenger (ﷺ)?" He replied by beckoning with his hand indicating "killing."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৩/ আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) (كتاب العلم) 3/ Knowledge

পরিচ্ছেদঃ ৩/২৪ হাত ও মাথার ইঙ্গিতে ফাতাওয়ার জওয়াব দান

৮৬. আসমা (রাযি.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ (রাযি.)-র নিকট আসলাম, তিনি তখন সালাত রত ছিলেন। আমি বললাম, ’মানুষের কী হয়েছে?’ তিনি আকাশের দিকে ইঙ্গিত করলেন (সূর্য গ্রহণ লেগেছে)। তখন সকল লোক (সালাতুল কুসূফ এর জন্য) দাঁড়িয়ে রয়েছে। ’আয়িশাহ (রাযি.) বললেন, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, এটা কি কোন নিদর্শন? তিনি মাথা দিয়ে ইঙ্গিত করলেন, ’হ্যাঁ।’ অতঃপর আমি (সালাতে) দাঁড়িয়ে গেলাম। এমনকি (দীর্ঘতার কারণে) আমার জ্ঞান হারিয়ে ফেলার উপক্রম হল। তাই আমি মাথায় পানি ঢালতে আরম্ভ করলাম। পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর হাম্দ ও সানা পাঠ করলেন। অতঃপর বললেনঃ যা কিছু আমাকে ইতোপূর্বে দেখানো হয়নি, তা আমি আমার এ স্থানেই দেখতে পেয়েছি। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নামও। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা আমার নিকট ওয়াহী প্রেরণ করলেন, ’দাজ্জালের ন্যায় (কঠিন) পরীক্ষা অথবা তার কাছাকাছি বিপদ দিয়ে তোমাদেরকে কবরে পরীক্ষায় ফেলা হবে।’

ফাতিমাহ (রাযি.) বলেন, আসমা (রাযি.) مثل (অনুরূপ) শব্দ বলেছিলেন, قريب (কাছাকাছি) শব্দ, তা ঠিক আমার স্মরণ নেই। (কবরের মধ্যে) বলা হবে, ’এ ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি কী জান?’ তখন মু’মিন ব্যক্তি বা মু’কিন (বিশ্বাসী) ব্যক্তি [ফাতিমাহ (রাযি.) বলেন] আসমা (রাযি.) এর কোন্ শব্দটি বলেছিলেন আমি জানিনা], বলবে, ’তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , তিনি আল্লাহর রাসূল। আমাদের নিকট মু’জিযা ও হিদায়াত নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তা গ্রহণ করেছিলাম এবং তাঁর ইততিবা’ করেছিলাম। তিনি মুহাম্মাদ।’ তিনবার এরূপ বলবে। তখন তাকে বলা হবে, আরামে ঘুমিয়ে থাক, আমরা জানতে পারলাম যে, তুমি (দুনিয়ায়) তাঁর উপর বিশ্বাসী ছিলে। আর মুনাফিক অথবা মুরতাব (সন্দেহ পোষণকারী) ফাতিমাহ বলেন, আসমা কোনটি বলেছিলেন, আমি ঠিক মনে করতে পারছি না- বলবে, আমি কিছুই জানি না। মানুষকে (তাঁর সম্পর্কে) যা বলতে শুনেছি, আমিও তাই বলেছি। (১৮৪, ৯২২, ১০৫৩, ১০৫৪, ১০৬১, ১২৩৫, ১৩৭৩, ২৫১৯, ২৫২০, ৭২৮৭; মুসলিম ১০/২ হাঃ ৯০৫, আহমাদ ২৬৯৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৬)

باب مَنْ أَجَابَ الْفُتْيَا بِإِشَارَةِ الْيَدِ وَالرَّأْسِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ وَهِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ فَأَشَارَتْ إِلَى السَّمَاءِ، فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ، فَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ‏.‏ قُلْتُ آيَةٌ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا، أَىْ نَعَمْ، فَقُمْتُ حَتَّى تَجَلاَّنِي الْغَشْىُ، فَجَعَلْتُ أَصُبُّ عَلَى رَأْسِي الْمَاءَ، فَحَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ مَا مِنْ شَىْءٍ لَمْ أَكُنْ أُرِيتُهُ إِلاَّ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي حَتَّى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ، فَأُوحِيَ إِلَىَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي قُبُورِكُمْ، مِثْلَ ـ أَوْ قَرِيبًا لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ ـ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، يُقَالُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ ـ أَوِ الْمُوقِنُ لاَ أَدْرِي بِأَيِّهِمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ ـ فَيَقُولُ هُوَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى، فَأَجَبْنَا وَاتَّبَعْنَا، هُوَ مُحَمَّدٌ‏.‏ ثَلاَثًا، فَيُقَالُ نَمْ صَالِحًا، قَدْ عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُوقِنًا بِهِ، وَأَمَّا الْمُنَافِقُ ـ أَوِ الْمُرْتَابُ لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ ـ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي، سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ ‏"‏‏.

حدثنا موسى بن اسماعيل، قال حدثنا وهيب، قال حدثنا هشام، عن فاطمة، عن اسماء، قالت اتيت عاىشة وهي تصلي فقلت ما شان الناس فاشارت الى السماء، فاذا الناس قيام، فقالت سبحان الله‏.‏ قلت اية فاشارت براسها، اى نعم، فقمت حتى تجلاني الغشى، فجعلت اصب على راسي الماء، فحمد الله عز وجل النبي صلى الله عليه وسلم واثنى عليه، ثم قال ‏ "‏ ما من شىء لم اكن اريته الا رايته في مقامي حتى الجنة والنار، فاوحي الى انكم تفتنون في قبوركم، مثل ـ او قريبا لا ادري اى ذلك قالت اسماء ـ من فتنة المسيح الدجال، يقال ما علمك بهذا الرجل فاما المومن ـ او الموقن لا ادري بايهما قالت اسماء ـ فيقول هو محمد رسول الله جاءنا بالبينات والهدى، فاجبنا واتبعنا، هو محمد‏.‏ ثلاثا، فيقال نم صالحا، قد علمنا ان كنت لموقنا به، واما المنافق ـ او المرتاب لا ادري اى ذلك قالت اسماء ـ فيقول لا ادري، سمعت الناس يقولون شيىا فقلته ‏"‏‏.

(24) Chapter: Whoever gave a religious verdict by beckoning or by nodding


Narrated Asma':

I came to `Aisha while she was praying, and said to her, "What has happened to the people?" She pointed out towards the sky. (I looked towards the mosque), and saw the people offering the prayer. Aisha said, "Subhan Allah." I said to her, "Is there a sign?" She nodded with her head meaning, "Yes." I, too, then stood (for the prayer of eclipse) till I became (nearly) unconscious and later on I poured water on my head. After the prayer, the Prophet (ﷺ) praised and glorified Allah and then said, "Just now at this place I have seen what I have never seen before, including Paradise and Hell. No doubt it has been inspired to me that you will be put to trials in your graves and these trials will be like the trials of Masih-ad-Dajjal or nearly like it (the sub narrator is not sure which expression Asma' used). You will be asked, 'What do you know about this man (the Prophet (ﷺ) Muhammad)?' Then the faithful believer (or Asma' said a similar word) will reply, 'He is Muhammad Allah's Messenger (ﷺ) who had come to us with clear evidences and guidance and so we accepted his teachings and followed him. And he is Muhammad.' And he will repeat it thrice. Then the angels will say to him, 'Sleep in peace as we have come to know that you were a faithful believer.' On the other hand, a hypocrite or a doubtful person will reply, 'I do not know, but I heard the people saying something and so I said it.' (the same). "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৩/ আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) (كتاب العلم) 3/ Knowledge
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে