পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০১। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (ইফতার না করে) লাগাতার রোযা পালন করো না। সাহাবীরা বললেন, আপনি তো (ইফতার না করে) লাগাতার রোযা পালন করেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের মতো নই। আমি এভাবে রাত যাপন করি যে, আমার প্রভু আমাকে পানাহার করান। কিন্তু তাঁরা লাগাতার রোযা পালন করা থেকে বিরত হল না। ফলে তাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই দিন অথবা (বর্ণনাকারী বলেছিলেন) দু’রাত লাগাতার রোযা পালন করেন। এরপর তারা (ঈদের) চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি চাঁদ (আরও কয়েক দিন) দেরী করে উদিত হত, তাহলে আমিও (লাগাতার রোযা পালন করে) তোমাদের রোযার সময়কে দীর্ঘায়িত করতাম, যেন তিনি তাঁদের কাজকে পছন্দ করলেন না।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُوَاصِلُوا ‏"‏‏.‏ قَالُوا إِنَّكَ تُوَاصِلُ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ، إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي ‏"‏‏.‏ فَلَمْ يَنْتَهُوا عَنِ الْوِصَالِ ـ قَالَ ـ فَوَاصَلَ بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَيْنِ أَوْ لَيْلَتَيْنِ، ثُمَّ رَأَوُا الْهِلاَلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ تَأَخَّرَ الْهِلاَلُ لَزِدْتُكُمْ ‏"‏‏.‏ كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد، حدثنا هشام، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تواصلوا ‏"‏‏.‏ قالوا انك تواصل‏.‏ قال ‏"‏ اني لست مثلكم، اني ابيت يطعمني ربي ويسقيني ‏"‏‏.‏ فلم ينتهوا عن الوصال ـ قال ـ فواصل بهم النبي صلى الله عليه وسلم يومين او ليلتين، ثم راوا الهلال فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لو تاخر الهلال لزدتكم ‏"‏‏.‏ كالمنكل لهم‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said (to his companions), "Do not fast Al-Wisal." They said, "But you fast Al-Wisail." He said, "I am not like you, for at night my Lord feeds me and makes me drink." But the people did not give up Al-Wisal, so the Prophet (ﷺ) fasted Al-Wisal with them for two days or two nights, and then they saw the crescent whereupon the Prophet (ﷺ) said, "If the crescent had delayed, I would have continued fasting (because of you)," as if he wanted to vanquish them completely (because they had refused to give up Al Wisal).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah

পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০২। উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) ... ইবরাহীম তায়মী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, একবার আলী (রাঃ) পাকা ইটে নির্মিত একটি মিম্বরে আরোহণ করে আমাদের খুতবা পাঠ করলেন। তাঁর সঙ্গে একটি তরবারী ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলন্ত ছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহীফাতে লিপিবদ্ধ আছে এ ছাড়া অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। তারপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, "আয়র" (পর্বত) থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মদিনা হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে বিবেচিত হবে।

যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করবে তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতাকুল ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসস্পাত। আর আল্লাহ তাঁআলা তার ফরয ও নফল কোন ইবাদতই কবুল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলিমের নিরাপত্তা একই পর্যায়ের। একজন-নিম্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিও (অন্য কাউকে) নিরাপত্তা দান করতে পারবে। যদি কোন ব্যাক্তি অপর একজন মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লংঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের লানত (অভিসস্পাত)। আল্লাহ তা’আলা তার ফরয ও নফল কোন ইবাদতই কবুল করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কোন ব্যাক্তি তার (আযাদকারী) মনিবের অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে নিজের (গোলাম থাকাকালীন সময়ের) মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ তা’আলা তার ফরয, নফল কোন ইবাদতই গ্রহণ করবেন না।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، خَطَبَنَا عَلِيٌّ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى مِنْبَرٍ مِنْ آجُرٍّ، وَعَلَيْهِ سَيْفٌ فِيهِ صَحِيفَةٌ مُعَلَّقَةٌ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا عِنْدَنَا مِنْ كِتَابٍ يُقْرَأُ إِلاَّ كِتَابُ اللَّهِ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ‏.‏ فَنَشَرَهَا فَإِذَا فِيهَا أَسْنَانُ الإِبِلِ وَإِذَا فِيهَا ‏"‏ الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ عَيْرٍ إِلَى كَذَا، فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ‏"‏‏.‏ وَإِذَا فِيهِ ‏"‏ ذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ، فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ‏"‏‏.‏ وَإِذَا فِيهَا ‏"‏ مَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ‏"‏‏.‏

حدثنا عمر بن حفص بن غياث، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، حدثني ابراهيم التيمي، حدثني ابي قال، خطبنا علي ـ رضى الله عنه ـ على منبر من اجر، وعليه سيف فيه صحيفة معلقة فقال والله ما عندنا من كتاب يقرا الا كتاب الله وما في هذه الصحيفة‏.‏ فنشرها فاذا فيها اسنان الابل واذا فيها ‏"‏ المدينة حرم من عير الى كذا، فمن احدث فيها حدثا فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين، لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا ‏"‏‏.‏ واذا فيه ‏"‏ ذمة المسلمين واحدة يسعى بها ادناهم، فمن اخفر مسلما فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين، لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا ‏"‏‏.‏ واذا فيها ‏"‏ من والى قوما بغير اذن مواليه فعليه لعنة الله والملاىكة والناس اجمعين لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا ‏"‏‏.‏


Narrated Ibrahim At Taimi's father:

`Ali addressed us while he was standing on a brick pulpit and carrying a sword from which was hanging a scroll He said "By Allah, we have no book to read except Allah's Book and whatever is on this scroll," And then he unrolled it, and behold, in it was written what sort of camels were to be given as blood money, and there was also written in it: 'Medina is a sanctuary form 'Air (mountain) to such and such place so whoever innovates in it an heresy or commits a sin therein, he will incur the curse of Allah, the angels, and all the people and Allah will not accept his compulsory or optional good deeds.' There was also written in it: 'The asylum (pledge of protection) granted by any Muslims is one and the same, (even a Muslim of the lowest status is to be secured and respected by all the other Muslims, and whoever betrays a Muslim in this respect (by violating the pledge) will incur the curse of Allah, the angels, and all the people, and Allah will not accept his compulsory or optional good deeds.' There was also written in it: 'Whoever (freed slave) befriends (takes as masters) other than his real masters (manumitters) without their permission will incur the curse of Allah, the angels, and all the people, and Allah will not accept his compulsory or optional good deeds. '


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah

পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০৩। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে একটি কাজ করলেন এবং তাতে তিনি অবকাশ দিলেন। তবে কিছু লোক এর থেকে বিরত রইল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌছল। তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠ করলেন, তারপর বললেন, লোকদের কি হল যে, তারা এমন কাজ থেকে বিরত থাকে যা আমি নিজে করি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহ সম্পর্কে তাদের থেকে অধিক জানি এবং আমি তাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ ـ رَضِيَ الله عنها ـ صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا تَرَخَّصَ وَتَنَزَّهَ عَنْهُ قَوْمٌ، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَتَنَزَّهُونَ عَنِ الشَّىْءِ أَصْنَعُهُ، فَوَاللَّهِ إِنِّي أَعْلَمُهُمْ بِاللَّهِ، وَأَشَدُّهُمْ لَهُ خَشْيَةً ‏"‏‏.‏

حدثنا عمر بن حفص، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، حدثنا مسلم، عن مسروق، قال قالت عاىشة ـ رضي الله عنها ـ صنع النبي صلى الله عليه وسلم شيىا ترخص وتنزه عنه قوم، فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فحمد الله ثم قال ‏ "‏ ما بال اقوام يتنزهون عن الشىء اصنعه، فوالله اني اعلمهم بالله، واشدهم له خشية ‏"‏‏.‏


Narrated `Aisha:

The Prophet (ﷺ) did something as it was allowed from the religious point of view but some people refrained from it. When the Prophet (ﷺ) heard of that, he, after glorifying and praising Allah, said, "Why do some people refrain from doing something which I do? By Allah, I know Allah more than they."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah

পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০৪। মুহাম্মাদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুইজন অতি ভাল লোক ধ্বংসের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিলেন। তারা হলেন আবূ বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ)। বনী তামীমের প্রতিনিধি দল যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসল, তখন তাদের একজন [উমর (রাঃ)] আকরা ইবনু হাবিস হানযালী নামে বনী মুজাশে গোত্রের ভ্রাতা জনৈক ব্যাক্তির দিকে ইশারা করলেন, অপরজন [আবূ বকর (রাঃ)] অন্য আর একজনের প্রতি ইশারা করলেন। এতে আবূ বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, আপনার ইচ্ছা হল আমার বিরোধিতা করা। উমর (রাঃ) বললেন, আমি আপনার বিরোধিতার ইচ্ছা করিনি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে তাঁদের দু’জনেরই আওয়াজ বুলন্দ হয়ে যায়। ফলে (নিন্নোক্ত আয়াতটি) নাযিল হয়ঃ হে মুমিনগগ! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উচু করবে না (৪৯ঃ ২)। ইবনু আবূ মুলায়কা বলেনঃ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এরপরে উমর (রাঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কোন কথা বলতেন, তখন গোপন বিষয়ের আলাপকারীর ন্যায় চুপেচুপে বলতেন, এমন কি তা শোনা যেত না, যতক্ষন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে পুনরায় জিজ্ঞাসা না করতেন। এ হাদীসের রাবী ইবনু যুবায়র তার পিতা অর্থাৎ নানা আবূ বকর (রাঃ) থেকে উল্লেখ করেননি।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَادَ الْخَيِّرَانِ أَنْ يَهْلِكَا أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، لَمَّا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفْدُ بَنِي تَمِيمٍ، أَشَارَ أَحَدُهُمَا بِالأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ أَخِي بَنِي مُجَاشِعٍ، وَأَشَارَ الآخَرُ بِغَيْرِهِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ إِنَّمَا أَرَدْتَ خِلاَفِي‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ‏.‏ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏عَظِيمٌ‏)‏‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَكَانَ عُمَرُ بَعْدُ ـ وَلَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ عَنْ أَبِيهِ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ ـ إِذَا حَدَّثَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ حَدَّثَهُ كَأَخِي السِّرَارِ، لَمْ يُسْمِعْهُ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ‏.‏

حدثنا محمد بن مقاتل، اخبرنا وكيع، عن نافع بن عمر، عن ابن ابي مليكة، قال كاد الخيران ان يهلكا ابو بكر، وعمر، لما قدم على النبي صلى الله عليه وسلم وفد بني تميم، اشار احدهما بالاقرع بن حابس الحنظلي اخي بني مجاشع، واشار الاخر بغيره، فقال ابو بكر لعمر انما اردت خلافي‏.‏ فقال عمر ما اردت خلافك‏.‏ فارتفعت اصواتهما عند النبي صلى الله عليه وسلم فنزلت ‏(‏يا ايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم‏)‏ الى قوله ‏(‏عظيم‏)‏‏.‏ قال ابن ابي مليكة قال ابن الزبير فكان عمر بعد ـ ولم يذكر ذلك عن ابيه يعني ابا بكر ـ اذا حدث النبي صلى الله عليه وسلم بحديث حدثه كاخي السرار، لم يسمعه حتى يستفهمه‏.‏


Narrated Ibn Abi Mulaika:

Once the two righteous men, i.e., Abu Bakr and `Umar were on the verge of destruction (and that was because): When the delegate of Bani Tamim came to the Prophet, one of them (either Abu Bakr or `Umar) recommended Al-Aqra' bin H`Abis at-Tamimi Al-Hanzali, the brother of Bani Majashi (to be appointed as their chief), while the other recommended somebody else. Abu Bakr said to `Umar, "You intended only to oppose me." `Umar said, "I did not intend to oppose you!" Then their voices grew louder in front of the Prophet (ﷺ) whereupon there was revealed: 'O you who believe! Do not raise your voices above the voice of the Prophet..a great reward.' (49.2-3) Ibn Az-Zubair said, 'Thence forward when `Umar talked to the Prophet, he would talk like one who whispered a secret and would even fail to make the Prophet (ﷺ) hear him, in which case the Prophet (ﷺ) would ask him (to repeat his words).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah

পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০৫। ইসমাঈল (রহঃ) ... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অসুস্থতার সময় বললেন, তোমরা আবূ বকরকে বল, লোকদের নিয়ে যেন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম যে, আবূ বকর (রাঃ) যদি আপনার স্থানে দাঁড়ান তাহলে কান্নার কারনে মানুষকে তার আওয়াজ শুনতে পারবেন না। সুতরাং আপনি উমর (রাঃ) কে নির্দেশ দিন, তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি পুনরায় বললেনঃ তোমরা আবূ বকরকে বল, যেন তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি হাফসা (রাঃ) কে বললাম, তুমি বল যে, আবূ বকর আপনার জায়গায় দাঁড়ালে কান্নার কারনে লোকদের তার আওয়াজ শোনাতে পারবেন না। সুতরাং আপনি উমর (রাঃ) কে নির্দেশ দিন। তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। হাফসা (রাঃ) তাই করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তো ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর (বিভ্রান্তকারিণী) মহিলাদের ন্যায়। আবূ বকরকে বল, তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। হাফসা (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) কে বললেন, আমি আপনার কাছ থেকে কখনই ভাল কিছু পাওয়ার মত নই।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي مَرَضِهِ ‏"‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ قُلْتُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّكُنَّ لأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ لأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا‏.‏

حدثنا اسماعيل، حدثني مالك، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة ام المومنين، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال في مرضه ‏"‏ مروا ابا بكر يصلي بالناس ‏"‏‏.‏ قالت عاىشة قلت ان ابا بكر اذا قام في مقامك لم يسمع الناس من البكاء، فمر عمر فليصل‏.‏ فقال ‏"‏ مروا ابا بكر فليصل بالناس ‏"‏‏.‏ فقالت عاىشة فقلت لحفصة قولي ان ابا بكر اذا قام في مقامك لم يسمع الناس من البكاء، فمر عمر فليصل بالناس، ففعلت حفصة‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انكن لانتن صواحب يوسف، مروا ابا بكر فليصل للناس ‏"‏‏.‏ قالت حفصة لعاىشة ما كنت لاصيب منك خيرا‏.‏


Narrated `Aisha:

(the mother of believers) Allah's Messenger (ﷺ) during his fatal ailment said, "Order Abu Bakr to lead the people in prayer." I said, "If Abu Bakr stood at your place (in prayers, the people will not be able to hear him because of his weeping, so order `Umar to lead the people in prayer." He again said, "Order Abu Bakr to lead the people in prayer " Then I said to Hafsa, "Will you say (to the Prophet), 'If Abu Bakr stood at your place, the people will not be able to hear him be cause of his weeping, so order `Umar to lead the people in prayer?" Hafsa did so, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said, "You are like the companions of Joseph (See Qur'an, 12:30-32). Order Abu Bakr to lead the people in prayer." Hafsa then said to me, "I have never received any good from you!"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah

পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০৬। আদম (রহঃ) ... সাহল ইবনু সা’দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উওয়ায়মির (রাঃ) আসিম ইবনু আদীর কাছে এসে বলল, আচ্ছা বলুন তো, যদি কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য কাউকে পায় এবং তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে এর জন্য (কিসাস হিসাবে) আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? হে আসিম! আপনি আমার জন্য এ বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি জিজ্ঞাসা করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এহেন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করাকে অপছন্দ করলেন এবং দূষণীয় মনে করলেন। আসিম (রাঃ) ফিরে এসে তাকে জানাল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টিকে খারাপ মনে করেছেন। উওয়ায়মির (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি নিজেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যাব। তারপর তিনি আসলেন। আসিম (রাঃ) চলে যাওয়ার পরেই আল্লাহ তা’আলা কুরআন নাযিল করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা কুরআনের আয়াত নাযিল করেছেন।

তিনি তাদের দু’জনকেই (সে ও তার স্ত্রী) ডাকলেন। তারা উপস্থিত হল এবং লি’আন করল। তারপর উওয়ায়মির (রাঃ) বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি তাকে আটকিয়ে রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছি, এ বলে তিনি তার সাথে বিবাহ বন্ধনকে ছিন্ন করলেন। অবশ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে বলেননি। পরে লিআন কারীদের মাঝে (বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার) এ প্রথাই প্রচলিত হয়ে পড়ে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মহিলাটি সম্পর্কে) বললেনঃ একে লক্ষ্য রেখ, যদি সে খাটো ওয়াহারার (এক জাতীয় পোকা) ন্যায় লালচে সন্তান প্রসব করে, তাহলে আমি মনে করব উওয়ায়মির মিথ্যাই বলেছে। আর যদি সে কাল চোখবিশিষ্ট ও অপেক্ষাকৃত বৃহৎ নিতম্বধারী সন্তান প্রসব করে, তাহলে মনে করব উওয়ায়মির তার সম্পর্কে সত্যই বলেছে। পরে সে অবাঞ্ছিত সন্তানই প্রসব করে।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ جَاءَ عُوَيْمِرٌ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَيَقْتُلُهُ، أَتَقْتُلُونَهُ بِهِ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَكَرِهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ وَعَابَ، فَرَجَعَ عَاصِمٌ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَرِهَ الْمَسَائِلَ فَقَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللَّهِ لآتِيَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَجَاءَ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى الْقُرْآنَ خَلْفَ عَاصِمٍ فَقَالَ لَهُ ‏"‏ قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكُمْ قُرْآنًا ‏"‏‏.‏ فَدَعَا بِهِمَا فَتَقَدَّمَا فَتَلاَعَنَا، ثُمَّ قَالَ عُوَيْمِرٌ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ أَمْسَكْتُهَا‏.‏ فَفَارَقَهَا وَلَمْ يَأْمُرْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِفِرَاقِهَا، فَجَرَتِ السُّنَّةُ فِي الْمُتَلاَعِنَيْنِ‏.‏ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انْظُرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَحْمَرَ قَصِيرًا مِثْلَ وَحَرَةٍ فَلاَ أُرَاهُ إِلاَّ قَدْ كَذَبَ، وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْحَمَ أَعْيَنَ ذَا أَلْيَتَيْنِ فَلاَ أَحْسِبُ إِلاَّ قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا ‏"‏‏.‏ فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى الأَمْرِ الْمَكْرُوهِ‏.‏

حدثنا ادم، حدثنا ابن ابي ذىب، حدثنا الزهري، عن سهل بن سعد الساعدي، قال جاء عويمر الى عاصم بن عدي فقال ارايت رجلا وجد مع امراته رجلا فيقتله، اتقتلونه به سل لي يا عاصم رسول الله صلى الله عليه وسلم فساله فكره النبي صلى الله عليه وسلم المساىل وعاب، فرجع عاصم فاخبره ان النبي صلى الله عليه وسلم كره المساىل فقال عويمر والله لاتين النبي صلى الله عليه وسلم، فجاء وقد انزل الله تعالى القران خلف عاصم فقال له ‏"‏ قد انزل الله فيكم قرانا ‏"‏‏.‏ فدعا بهما فتقدما فتلاعنا، ثم قال عويمر كذبت عليها يا رسول الله، ان امسكتها‏.‏ ففارقها ولم يامره النبي صلى الله عليه وسلم بفراقها، فجرت السنة في المتلاعنين‏.‏ وقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انظروها فان جاءت به احمر قصيرا مثل وحرة فلا اراه الا قد كذب، وان جاءت به اسحم اعين ذا اليتين فلا احسب الا قد صدق عليها ‏"‏‏.‏ فجاءت به على الامر المكروه‏.‏


Narrated Sahl bin Sa`d As-Sa`idi:

'Uwaimir Al-`Ajlani came to `Asim bin `Adi and said, "If a man found another man with his wife and killed him, would you sentence the husband to death (in Qisas,) i.e., equality in punishment)? O `Asim! Please ask Allah's Messenger (ﷺ) about this matter on my behalf." `Asim asked the Prophet (ﷺ) but the Prophet disliked the question and disapproved of it. `Asim returned and informed 'Uwaimir that the Prophet disliked that type of question. 'Uwaimir said, "By Allah, I will go (personally) to the Prophet." 'Uwaimir came to the Prophet (ﷺ) when Allah had already revealed Qur'anic Verses (in that respect), after `Asim had left (the Prophet (ﷺ) ). So the Prophet (ﷺ) said to 'Uwaimir, "Allah has revealed Qur'anic Verses regarding you and your wife." The Prophet (ﷺ) then called for them, and they came and carried out the order of Lian. Then 'Uwaimir said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Now if I kept her with me, I would be accused of telling a lie." So 'Uwaimir divorced her although the Prophet (ﷺ) did not order him to do so. Later on this practice of divorcing became the tradition of couples involved in a case of Li'an. The Prophet (ﷺ) said (to the people). "Wait for her! If she delivers a red short (small) child like a Wahra (a short red animal). then I will be of the opinion that he ('Uwaimir) has told a lie but if she delivered a black big-eyed one with big buttocks, then I will be of the opinion that he has told the truth about her." 'Ultimately she gave birth to a child that proved the accusation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah

পরিচ্ছেদঃ ৩০৭৯. দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়িবাড়ি করা এবং বিদ্আত অপছন্দীয়। কেননা, আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না ....... (৪ঃ ১৭১)।

৬৮০৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মালিক ইবনু আওস নাযরী (রহঃ) আমাকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অবশ্য মুহাম্মাদ ইবনু জুবায়র ইবনু মুতঈম এ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন। পরে আমি মালিকের নিকট যাই এবং তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বলেন, উমর (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে তার নিকটে উপস্থিত হলাম। এমন সময় তার দাররক্ষক ইয়ারফা এসে বলল, উসমান, আবদুর রহমান, যুবাইর এবং সা’দ (রাঃ) আসতে চাচ্ছেন। আপনার পক্ষ থেকে অনুমতি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

তারপর তাঁরা প্রবেশ করলেন এবং সালাম দিয়ে আসন গ্রহণ করলেন। দাররক্ষক (পুনরায় এসে) বলল, আলী এবং আব্বাসের ব্যাপারে আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি তাদের উভয়কে অনুমতি দিলেন। আব্বাস (রাঃ) এসে বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আমার ও সীমালংঘননকারীর মাঝে ফায়সালা করে দিন। এবং তারা পরস্পরে গালমন্দ করলেন। তখন দলটি বললেন, উসমান ও তার সঙ্গীরা, হে আমীরুল মুমিনীন! এ দু’জনের মাঝে ফায়সালা করে দিয়ে একজনকে অপরজন থেকে শান্তি দিন।

উমর (রাঃ) বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমি আপনাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি যার নামে আসমান ও যমীন স্বস্থানে বিদ্যমান, আপনারা কি এ কথা জানেন যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ আমাদের সস্পদ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন হয় না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবে গণ্য হয়? এ কথা দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছিলেন। (আগত) দলের সকলেই বললেন, হ্যাঁ তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর উমর (রাঃ) আলী ও আব্বাস (রাঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আপনাদের দু’জনকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেছিলেন? তাঁরা দু’জনেই বললেনঃ হ্যাঁ।

উমর (রাঃ) বললেন, আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা’আলা এই সম্পদের একাংশ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন, অপর কারো জন্য দেওয়া হয়নি। এ মর্মে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ ইহুদীদের কাছ থেকে তার রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়া কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি (৫৯ঃ ৬)। সুতরাং এ সম্পদ একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। তারপর আল্লাহর কসম! তিনি আপনাদেরকে বাদ দিয়ে এককভাবে নিজের জন্য তা সষ্ণিত করে রাখেননি কিংবা এককভাবে আপনাদেরকেও দিয়ে দেননি। বরং তিনি আপনাদের সকলকেই তা থেকে প্রদান করেছেন এবং সকলের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে তা থেকে এই পরিমান সস্পদ অবশিষ্ট রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সস্পদ থেকে তার পরিবার-পরিজনের জন্য তাদের বছরের খরচ দিতেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকত তা আল্লাহর মাল যে পথে ব্যয় হয় সে পথে ব্যয়ের জন্য রেখে দিতেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় এরূপ করতেন। আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি এ সম্পর্কে অজ্ঞাত আছেন? সকলেই বললেন, হ্যাঁ। তারপর আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি এ সম্পর্কে জানেন? তারা দু’জনেই বললেন, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ওফাত দান করলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্থলাভিষিক্ত। অতএব তিনি সে সম্পদ অধিগ্রহণ করলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে খাতে এ সম্পদ খরচ করতেন তিনিও হুবহু সেভাবেই খরচ করতেন। আপনারা তখন ছিলেন। তারপর আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আপনারা দু’জন তখনও মনে করতেন যে আবূ বকর (রাঃ) এ ব্যাপারে এরূপ ছিলেন। আল্লাহ জানেন তিনি এ ব্যাপারে সত্যবাদী, সৎপরায়ণ, ন্যায়নিষ্ঠ ও হকের অনুসারী ছিলেন।

তারপর আল্লাহ তাআ’লা আবূ বকর (রাঃ) কেও ওফাত দিলেন। তখন আমি বললাম, এখন আমি আবূ বকর ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং দু’বছর আমি তা আমার তত্ত্বাবধানে রাখলাম এবং আবূ বকর (রাঃ) ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা যে খাতে ব্যয় করতেন, আমিও অনুরূপ করতে লাগলাম। তারপর আপনারা দু’জন আমার কাছে এলেন। আপনাদের দু’জনের একই কথা ছিল, দাবিও ছিল অভিন্ন। আপনি এসেছিলেন স্বীয় ভ্রাতুষ্পুত্র থেকে নিজের অংশ আদায় করে নেওয়ার দাবি নিয়ে, আর ইনি (আলী) এসেছিলেন তাঁর স্ত্রীর পৈতৃক সুত্রে প্রাপ্ত অংশ আদায় করে নেওয়ার দাবি নিয়ে। আমি বললাম, যদি আপনারা চান তাহলে আমি আপনাদেরকে তা দিয়ে দিতে পারি, তবে এ শর্তে যে, আপনারা আল্লাহর নামে এই অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন যে, এ সস্পদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) যে ভাবে ব্যয় করতেন এবং আমি এর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর যেভাবে তা ব্যয় করেছি, আপনারাও অনুরূপভাবে ব্যায় করবেন। তখন আপনারা দু’জনে বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের হাতে অর্পণ করুন। ফলে আমি তা আপনাদের কাছে সোপর্দ করে দিয়েছিলাম।

আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি সেই শর্তের উপর এদের কাছে সে সম্পদ দিয়ে দেইনি? সকলেই বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি ঐ শর্তে আপনাদেরকে সে সস্পদ দিয়ে দেইনি? তারা দু’জন বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ আপনারা কি আমার কাছ থেকে এর ভিন্ন কোন মিমাংসা পেতে চান? সে সত্তার কসম করে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ ও যমীন স্বস্থানে বিদ্যমান, কিয়ামতের পুর্বে আমি এ ব্যাপারে নতুন কোন মিমাংসা করব না। যদি আপনারা এর তত্ত্বাবধানে অক্ষম হন, তাহলে তা আমার নিকট দিয়ে দিন। আপনাদের দু’জনের স্থলে আমি একাই এর তত্ত্বাবধায়ের জন্য যথেষ্ট।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلاَّ الْحَقَّ}

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ النَّصْرِيُّ، وَكَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ ذَلِكَ فَدَخَلْتُ عَلَى مَالِكٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ أَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ فَدَخَلُوا فَسَلَّمُوا وَجَلَسُوا‏.‏ فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ‏.‏ فَأَذِنَ لَهُمَا‏.‏ قَالَ الْعَبَّاسُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ الظَّالِمِ‏.‏ اسْتَبَّا‏.‏ فَقَالَ الرَّهْطُ عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الآخَرِ‏.‏ فَقَالَ اتَّئِدُوا أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏ يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفْسَهُ‏.‏ قَالَ الرَّهْطُ قَدْ قَالَ ذَلِكَ‏.‏ فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ‏.‏ قَالاَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَإِنِّي مُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَالِ بِشَىْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ، فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ ‏(‏مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ‏)‏ الآيَةَ، فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ، وَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ، حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ حَيَاتَهُ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ فَقَالُوا نَعَمْ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ أَنْشُدُكُمَا اللَّهَ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ‏.‏ ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَبَضَهَا أَبُو بَكْرٍ فَعَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَأَنْتُمَا حِينَئِذٍ ـ وَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ ـ تَزْعُمَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ فِيهَا كَذَا، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ فِيهَا صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ‏.‏ فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا عَلَى كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ، وَأَتَانِي هَذَا يَسْأَلُنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا، عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ تَعْمَلاَنِ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبِمَا عَمِلَ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ وَبِمَا عَمِلْتُ فِيهَا مُنْذُ وَلِيتُهَا، وَإِلاَّ فَلاَ تُكَلِّمَانِي فِيهَا‏.‏ فَقُلْتُمَا ادْفَعْهَا إِلَيْنَا بِذَلِكَ‏.‏ فَدَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ قَالَ الرَّهْطُ نَعَمْ‏.‏ فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ‏.‏ قَالاَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ فَوَالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَادْفَعَاهَا إِلَىَّ، فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا‏.‏

حدثنا عبد الله بن يوسف، حدثنا الليث، حدثني عقيل، عن ابن شهاب، قال اخبرني مالك بن اوس النصري، وكان، محمد بن جبير بن مطعم ذكر لي ذكرا من ذلك فدخلت على مالك فسالته فقال انطلقت حتى ادخل على عمر اتاه حاجبه يرفا فقال هل لك في عثمان وعبد الرحمن والزبير وسعد يستاذنون‏.‏ قال نعم‏.‏ فدخلوا فسلموا وجلسوا‏.‏ فقال هل لك في علي وعباس‏.‏ فاذن لهما‏.‏ قال العباس يا امير المومنين اقض بيني وبين الظالم‏.‏ استبا‏.‏ فقال الرهط عثمان واصحابه يا امير المومنين اقض بينهما وارح احدهما من الاخر‏.‏ فقال اتىدوا انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض، هل تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا نورث ما تركنا صدقة ‏"‏‏.‏ يريد رسول الله صلى الله عليه وسلم نفسه‏.‏ قال الرهط قد قال ذلك‏.‏ فاقبل عمر على علي وعباس فقال انشدكما بالله هل تعلمان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ذلك‏.‏ قالا نعم‏.‏ قال عمر فاني محدثكم عن هذا الامر، ان الله كان خص رسوله صلى الله عليه وسلم في هذا المال بشىء لم يعطه احدا غيره، فان الله يقول ‏(‏ما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم‏)‏ الاية، فكانت هذه خالصة لرسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم والله ما احتازها دونكم ولا استاثر بها عليكم، وقد اعطاكموها وبثها فيكم، حتى بقي منها هذا المال، وكان النبي صلى الله عليه وسلم ينفق على اهله نفقة سنتهم من هذا المال، ثم ياخذ ما بقي فيجعله مجعل مال الله، فعمل النبي صلى الله عليه وسلم بذلك حياته، انشدكم بالله هل تعلمون ذلك فقالوا نعم‏.‏ ثم قال لعلي وعباس انشدكما الله هل تعلمان ذلك قالا نعم‏.‏ ثم توفى الله نبيه صلى الله عليه وسلم فقال ابو بكر انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقبضها ابو بكر فعمل فيها بما عمل فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم، وانتما حينىذ ـ واقبل على علي وعباس ـ تزعمان ان ابا بكر فيها كذا، والله يعلم انه فيها صادق بار راشد تابع للحق، ثم توفى الله ابا بكر فقلت انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم وابي بكر‏.‏ فقبضتها سنتين اعمل فيها بما عمل به رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر، ثم جىتماني وكلمتكما على كلمة واحدة وامركما جميع، جىتني تسالني نصيبك من ابن اخيك، واتاني هذا يسالني نصيب امراته من ابيها فقلت ان شىتما دفعتها اليكما، على ان عليكما عهد الله وميثاقه تعملان فيها بما عمل به رسول الله صلى الله عليه وسلم وبما عمل فيها ابو بكر وبما عملت فيها منذ وليتها، والا فلا تكلماني فيها‏.‏ فقلتما ادفعها الينا بذلك‏.‏ فدفعتها اليكما بذلك، انشدكم بالله هل دفعتها اليهما بذلك قال الرهط نعم‏.‏ فاقبل على علي وعباس فقال انشدكما بالله هل دفعتها اليكما بذلك‏.‏ قالا نعم‏.‏ قال افتلتمسان مني قضاء غير ذلك فوالذي باذنه تقوم السماء والارض لا اقضي فيها قضاء غير ذلك حتى تقوم الساعة، فان عجزتما عنها فادفعاها الى، فانا اكفيكماها‏.‏


Narrated Malik bin Aus An-Nasri:

I proceeded till I entered upon `Umar (and while I was sitting there), his gate-keeper Yarfa came to him and said, " `Uthman, `Abdur-Rahman, Az-Zubair and Sa`d ask your permission to come in." `Umar allowed them. So they entered, greeted, and sat down. (After a while the gatekeeper came) and said, "Shall I admit `Ali and `Abbas?'' `Umar allowed them to enter. Al-`Abbas said "O Chief of the believers! Judge between me and the oppressor (`Ali)." Then there was a dispute (regarding the property of Bani Nadir) between them (`Abbas and `Ali). `Uthman and his companions said, "O Chief of the Believers! Judge between them and relieve one from the other." `Umar said, "Be patient! beseech you by Allah, with Whose permission the Heaven and the Earth Exist! Do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Our property is not to be inherited, and whatever we leave is to be given in charity,' and by this Allah's Messenger (ﷺ) meant himself?" On that the group said, "He verily said so." `Umar then faced `Ali and `Abbas and said, "I beseech you both by Allah, do you both know that Allah's Messenger (ﷺ) said so?" They both replied, "Yes". `Umar then said, "Now I am talking to you about this matter (in detail) . Allah favored Allah's Messenger (ﷺ) with some of this wealth which He did not give to anybody else, as Allah said: 'What Allah bestowed as Fai (Booty on His Apostle for which you made no expedition... ' (59.6) So that property was totally meant for Allah's Messenger (ﷺ), yet he did not collect it and ignore you, nor did he withhold it with your exclusion, but he gave it to you and distributed it among you till this much of it was left behind, and the Prophet, used to spend of this as the yearly expenditures of his family and then take what remained of it and spent it as he did with (other) Allah's wealth. The Prophet (ﷺ) did so during all his lifetime, and I beseech you by Allah, do you know that?" They replied, "Yes." `Umar then addressed `Ali and `Abbas, saying, "I beseech you both by Allah, do you know that?" Both of them replied, "Yes." `Umar added, "Then Allah took His Apostle unto Him. Abu Bakr then said 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ)' and took over all the Prophet's property and disposed of it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) used to do, and you were present then." Then he turned to `Ali and `Abbas and said, "You both claim that Abu Bakr did so-and-so in managing the property, but Allah knows that Abu Bakr was honest, righteous, intelligent, and a follower of what is right in managing it. Then Allah took Abu Bakr unto Him, 'I said: I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr.' So I took over the property for two years and managed it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ), and Abu Bakr used to do. Then you both (`Ali and `Abbas) came to me and asked for the same thing! (O `Abbas! You came to me to ask me for your share from nephew's property; and this (`Ali) came to me asking for his wives share from her father's property, and I said to you both, 'If you wish, I will place it in your custody on condition that you both will manage it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr did and as I have been doing since I took charge of managing it; otherwise, do not speak to me anymore about it.' Then you both said, 'Give it to us on that (condition).' So I gave it to you on that condition. Now I beseech you by Allah, did I not give it to them on that condition?" The group (whom he had been addressing) replied, "Yes." `Umar then addressed `Abbas and `Ali saying, "I beseech you both by Allah, didn't I give you all that property on that condition?" They said, "Yes." `Umar then said, "Are you now seeking a verdict from me other than that? By Him with Whose Permission the Heaven and the Earth exists I will not give any verdict other than that till the Hour is established; and if you both are unable to manage this property, then you can hand it back to me, and I will be sufficient for it on your behalf."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة) 85/ Holding Fast To The Qur'An And Sunnah
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে