সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ)
১১০০

পরিচ্ছেদঃ ১৩. কুমারী মেয়েকে বিয়ে করা

১১০০। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক মহিলাকে বিয়ে করে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে গেলাম। তিনি বললেনঃ হে জাবির! তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ কুমারী মেয়ে না বিধবা মেয়ে?

আমি বললাম, না, বরং বিধবা। তিনি বললেনঃ কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তার সাথে তুমিও আনন্দ করতে পারতে এবং তোমার সাথে সেও আমোদ-প্রমোদ করতে পারত। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মৃত্যুর সময় আবদুল্লাহ (আমার পিতা) সাতটি অথবা নয়টি মেয়ে রেখে গেছেন। এজন্য এমন মহিলাকে এনেছি যেন সে তাদের দেখাশোনা করতে পারে। আমার জন্য তখন তিনি দু’আ করলেন।

— সহীহ, ইরওয়া (১৭৮), বুখারী, মুসলিম

উবাই ইবনু কাব ও কাব ইবনু উজরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي تَزْوِيجِ الأَبْكَارِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَتَزَوَّجْتَ يَا جَابِرُ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ بِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ لاَ بَلْ ثَيِّبًا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ هَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ مَاتَ وَتَرَكَ سَبْعَ بَنَاتٍ أَوْ تِسْعًا فَجِئْتُ بِمَنْ يَقُومُ عَلَيْهِنَّ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا لِي ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا حماد بن زيد عن عمرو بن دينار عن جابر بن عبد الله قال تزوجت امراة فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم فقال اتزوجت يا جابر فقلت نعم فقال بكرا ام ثيبا فقلت لا بل ثيبا فقال هلا جارية تلاعبها وتلاعبك فقلت يا رسول الله ان عبد الله مات وترك سبع بنات او تسعا فجىت بمن يقوم عليهن قال فدعا لي قال وفي الباب عن ابى بن كعب وكعب بن عجرة قال ابو عيسى حديث جابر بن عبد الله حديث حسن صحيح


Jabir bin Abdullah narrated:
"I married a woman and went to the Prophet, he said: 'O Jabir! Have you married?' I said: 'Yes.' He said: 'A virgin or a matron?' I said: 'A matron.' He said: 'Why didn't you marry a young girl, so that you may play with her and she with you?' I said: 'O Messenger of Allah! Abdullah (his father) died and left behind seven - or nine - daughter, so I have brought someone who can look after them.'" (He said:) "So he supplicated for me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০১

পরিচ্ছেদঃ ১৪. অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হয় না

১১০১। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে না।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮১)

আইশা, ইবনু আব্বাস, আবু হুরাইরা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر اخبرنا شريك بن عبد الله عن ابي اسحاق ح وحدثنا قتيبة حدثنا ابو عوانة عن ابي اسحاق ح وحدثنا محمد بن بشار حدثنا عبد الرحمن بن مهدي عن اسراىيل عن ابي اسحاق ح وحدثنا عبد الله بن ابي زياد حدثنا زيد بن حباب عن يونس بن ابي اسحاق عن ابي اسحاق عن ابي بردة عن ابي موسى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي قال وفي الباب عن عاىشة وابن عباس وابي هريرة وعمران بن حصين وانس


Abu Musa narrated that :
the Messenger of Allah said: "There is no marriage except with a Wali."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০২

পরিচ্ছেদঃ ১৪. অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হয় না

১১০২। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলা বিয়ে করলেতার বিয়ে বাতিল,তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। কিন্তু তার সাথে তার স্বামী সহবাস করলে তবে সে তার লজ্জাস্থান হালাল মনে করে সংগত হওয়ার কারণে তার নিকট মোহরের অধিকারী হবে। যদি অভিভাবকগণ বিবাদ করে তাহলে যে ব্যক্তির কোন অভিভাবক নেই তার ওয়ালী হবে দেশের শাসক।

— সহীহ, ইরওয়া (১৮৪০)

আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন। ইবনু জুরাইজ (রাহঃ) হতে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ, ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব ও সুফিয়ান সাওরীসহ একদল হাফিজ মুহাদিস এরকমই বর্ণনা করেছেন। আবু ঈসা বলেন, আবু মূসা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত (১১০১ নং) হাদীসের সনদে মতের অমিল আছে। উপরোক্ত হাদীসটি ইসরাঈল, শারীক, আবু আওয়ানা, যুহাইর, কাইস ইবনুর রাবী প্রমুখ আবূ ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আসবাত ইবনু মুহাম্মাদ ও যাইদ ইবনু হুবাব-ইউনুস ইবনু আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আবু উবাইদা আল হাদ্দাদ ইউনুস ইবনু আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ সনদের মধ্যে আবৃ ইসহাকের উল্লেখ নেই। এ সূত্রেও ইউনুস ইবনু আবূ ইসহাক-আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মুসা হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এরকমই বর্ণিত আছে। শুবা ও সাওরী-আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেনঃ “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে সম্পাদন হয় না”।

সুফিয়ানের কতক অনুসারী তার সুত্রে আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তা সঠিক নয়। আমি মনে করি আবু ইসহাক আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা (রাঃ)-এর সূত্রে যারা বর্ণনা করেছেন যে, “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হয় না” তাদের বর্ণনাটি অনেক বেশি সহীহ। কারণ, তারা আবু ইসহাকের নিকট বিভিন্ন সময় এ হাদীস শুনেছেন। এ হাদীসটি আবু ইসহাকের নিকট হতে যারা বর্ণনা করেছেন তাদের তুলনায় শুবা ও সুফিয়ান সাওরী বেশি স্মরণশক্তির অধিকারী ও নির্ভরযোগ্য হলেও তাদের সবার বর্ণনাই আমার মতে বেশি সহীহ ও পরস্পর সংগতিপুর্ণ।

উক্ত হাদীস আবু ইসহাকের নিকট একই বৈঠকে শুবা ও সাওরী শুনেছেন এবং এ কথার প্রমাণ আছে মাহমূদ ইবনু গাইলানের বর্ণনায়। তিনি বলেন, আবু দাউদ বলেছেন যে, শুবা বলেছেন, আবু ইসহাকের নিকট আমি সুফিয়ান সাওরকে প্রশ্ন করতে শুনেছিঃ আপনি কি আবু বুরদা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হয় না”? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। অতএব, উপরোক্ত বর্ণনা প্রমাণ করে যে, এই হাদীসটি একই সময়ে শুবা ও সাওরী শুনেছেন। ইসরাঈল আবু ইসহাকের নিকট হতে রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে খুবই বিশ্বস্ত। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না বলেন, আবদুর রাহমান ইবনু মাহদীকে আমি বলতে শুনেছিঃ ইসরাঈলের উপর যে সময় হতে আমি নির্ভর করেছি আমি সে সময় হতে বঞ্চিত হয়েছি সাওয়ারীর বরাতে বর্ণিত আবু ইসহাকের হাদীসমূহ হতে। কেননা, তিনি পূর্ণভাবে আবু ইসহাকের রিওয়ায়াতগুলি বর্ণনা করতেন। আমার মতে অত্র অনুচ্ছেদে আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস “অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে ঠিক হয়না" হাদীসটি হাসান।

আলোচ্য হাদিসটি ইবনু জুরাইজ-সুলাইমান ইবনু মুসা হতে, তিনি যুহরী হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। উপরোক্ত হাদীসটি হাজ্জাজ ইবনু আরতাত ও জাফর ইবনু রাবীআ-যুহরী হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় হিশাম ইবনু উরওয়া-উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ সনদেও বর্ণিত আছে। এই শেষোক্ত সনদ প্রসঙ্গে কোন কোন হাদীস বিশারদ সামালোচনা করেছেন।

ইবনু জুরাইজ বলেন, এক সময় আমি এ হাদীস প্রসঙ্গে যুহরীর সাথে দেখা করে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি এটাকে অস্বীকার করেন। এ কারণেই উপরোক্ত সনদসূত্রটিকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। ইবনু মাঈন বলেন, উক্ত কথাটি ইবনু জুরাইজের বরাতে শুধুমাত্র ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীমই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইবনু জুরাইজ হতে ইসমাঈলের কিছু শ্রুতি খুব একটা প্রমাণিত নয়। তবে তিনি আবদুল মাজীদ ইবনু আবদুল আযীয ইবনু আবূ রাওয়াদের পাণ্ডুলিপির সাথে পাণ্ডুলিপিকে মিলিয়ে সংশোধন করে নেন। অন্যথায় ইসমাঈল ইবনু জুরাইজ হতে তিনি কিছুই শুনেননি। ইবনু জুরাইজের বরাতে ইসমাঈলের বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহকে ইয়াহইয়া (রাহঃ) দুর্বল বলেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবীদের মধ্যে উমার ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবনু আবু তালিব, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস, আবু হুরাইরা (রাঃ) ও অন্যরা “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না” এ হাদীস অনুযায়ী মত দিয়েছেন।

একদল ফিকহবিদ তাবিঈ বলেছেন, অভিভাবকগণের বিনা অনুমতিতে কোন মহিলা বিয়েকরতে পারে না (করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে)। এদের মধ্যে আছেন সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব, হাসান বাসরী, শুরাইহ, ইবরাহীম নাখঈ, উমার ইবনু আবদুল আযীয ও অন্যরা। এই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, আওযাঈ, মালিক, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও।

باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَإِنْ دَخَلَ بِهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا فَإِنِ اشْتَجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لاَ وَلِيَّ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي مُوسَى حَدِيثٌ فِيهِ اخْتِلاَفٌ رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ وَشَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبُو عَوَانَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ وَقَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى أَبُو عُبَيْدَةَ الْحَدَّادُ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيْضًا ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُ أَصْحَابِ سُفْيَانَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى ‏.‏ وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ وَرِوَايَةُ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ عِنْدِي أَصَحُّ لأَنَّ سَمَاعَهُمْ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ فِي أَوْقَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ وَإِنْ كَانَ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ أَحْفَظَ وَأَثْبَتَ مِنْ جَمِيعِ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ فَإِنَّ رِوَايَةَ هَؤُلاَءِ عِنْدِي أَشْبَهُ لأَنَّ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيَّ سَمِعَا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ ‏.‏
وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ، يَسْأَلُ أَبَا إِسْحَاقَ أَسَمِعْتَ أَبَا بُرْدَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى أَنَّ سَمَاعَ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ ‏.‏ وَإِسْرَائِيلُ هُوَ ثِقَةٌ ثَبْتٌ فِي أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُثَنَّى يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَا فَاتَنِي مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الَّذِي فَاتَنِي إِلاَّ لَمَّا اتَّكَلْتُ بِهِ عَلَى إِسْرَائِيلَ لأَنَّهُ كَانَ يَأْتِي بِهِ أَتَمَّ ‏.‏ - وَحَدِيثُ عَائِشَةَ فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ حَدِيثٌ عِنْدِي حَسَنٌ ‏.‏ رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَاهُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ وَجَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُهُ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ ثُمَّ لَقِيتُ الزُّهْرِيَّ فَسَأَلْتُهُ فَأَنْكَرَهُ ‏.‏ فَضَعَّفُوا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَجْلِ هَذَا ‏.‏ وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ أَنَّهُ قَالَ لَمْ يَذْكُرْ هَذَا الْحَرْفَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ إِلاَّ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَسَمَاعُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ لَيْسَ بِذَاكَ إِنَّمَا صَحَّحَ كُتُبَهُ عَلَى كُتُبِ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ مَا سَمِعَ مِنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَضَعَّفَ يَحْيَى رِوَايَةَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ‏.‏ - وَالْعَمَلُ فِي هَذَا الْبَابِ عَلَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ ‏.‏ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَغَيْرُهُمْ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ أَنَّهُمْ قَالُوا لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏.‏ مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَالْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَشُرَيْحٌ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَغَيْرُهُمْ وَبِهَذَا يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالأَوْزَاعِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَمَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر حدثنا سفيان بن عيينة عن ابن جريج عن سليمان بن موسى عن الزهري عن عروة عن عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ايما امراة نكحت بغير اذن وليها فنكاحها باطل فنكاحها باطل فنكاحها باطل فان دخل بها فلها المهر بما استحل من فرجها فان اشتجروا فالسلطان ولي من لا ولي له قال ابو عيسى هذا حديث حسن وقد روى يحيى بن سعيد الانصاري ويحيى بن ايوب وسفيان الثوري وغير واحد من الحفاظ عن ابن جريج نحو هذا قال ابو عيسى وحديث ابي موسى حديث فيه اختلاف رواه اسراىيل وشريك بن عبد الله وابو عوانة وزهير بن معاوية وقيس بن الربيع عن ابي اسحاق عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم وروى اسباط بن محمد وزيد بن حباب عن يونس بن ابي اسحاق عن ابي اسحاق عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم وروى ابو عبيدة الحداد عن يونس بن ابي اسحاق عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ولم يذكر فيه عن ابي اسحاق وقد روي عن يونس بن ابي اسحاق عن ابي بردة عن النبي صلى الله عليه وسلم ايضا وروى شعبة والثوري عن ابي اسحاق عن ابي بردة عن النبي صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي وقد ذكر بعض اصحاب سفيان عن سفيان عن ابي اسحاق عن ابي بردة عن ابي موسى ولا يصح ورواية هولاء الذين رووا عن ابي اسحاق عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي عندي اصح لان سماعهم من ابي اسحاق في اوقات مختلفة وان كان شعبة والثوري احفظ واثبت من جميع هولاء الذين رووا عن ابي اسحاق هذا الحديث فان رواية هولاء عندي اشبه لان شعبة والثوري سمعا هذا الحديث من ابي اسحاق في مجلس واحد ومما يدل على ذلك ما حدثنا محمود بن غيلان قال حدثنا ابو داود قال انبانا شعبة قال سمعت سفيان الثوري يسال ابا اسحاق اسمعت ابا بردة يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي فقال نعم فدل هذا الحديث على ان سماع شعبة والثوري هذا الحديث في وقت واحد واسراىيل هو ثقة ثبت في ابي اسحاق سمعت محمد بن المثنى يقول سمعت عبد الرحمن بن مهدي يقول ما فاتني من حديث الثوري عن ابي اسحاق الذي فاتني الا لما اتكلت به على اسراىيل لانه كان ياتي به اتم وحديث عاىشة في هذا الباب عن النبي صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي حديث عندي حسن رواه ابن جريج عن سليمان بن موسى عن الزهري عن عروة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم ورواه الحجاج بن ارطاة وجعفر بن ربيعة عن الزهري عن عروة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم وروي عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله وقد تكلم بعض اصحاب الحديث في حديث الزهري عن عروة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ابن جريج ثم لقيت الزهري فسالته فانكره فضعفوا هذا الحديث من اجل هذا وذكر عن يحيى بن معين انه قال لم يذكر هذا الحرف عن ابن جريج الا اسماعيل بن ابراهيم قال يحيى بن معين وسماع اسماعيل بن ابراهيم عن ابن جريج ليس بذاك انما صحح كتبه على كتب عبد المجيد بن عبد العزيز بن ابي رواد ما سمع من ابن جريج وضعف يحيى رواية اسماعيل بن ابراهيم عن ابن جريج والعمل في هذا الباب على حديث النبي صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي عند اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم عمر بن الخطاب وعلي بن ابي طالب وعبد الله بن عباس وابو هريرة وغيرهم وهكذا روي عن بعض فقهاء التابعين انهم قالوا لا نكاح الا بولي منهم سعيد بن المسيب والحسن البصري وشريح وابراهيم النخعي وعمر بن عبد العزيز وغيرهم وبهذا يقول سفيان الثوري والاوزاعي وعبد الله بن المبارك ومالك والشافعي واحمد واسحاق


Aishah narrated that:
The Messenger of Allah said: "Whichever woman married without the permission of her Wali her marriage is invalid, her marriage is invalid, her marriage is invalid. If he entered into her, then the Mahr is for her in lieu of what he enjoyed from her private part. If they disagree, then the Sultan is the Wali for one who has no Wali."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সাক্ষী ব্যাতিত বিয়ে হতে পারে না

১১০৩৷ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যেসব নারী সাক্ষী ছাড়া নিজেদেরকে বিয়ে দেয় তারা ব্যভিচারিনী, যেনাকারিনী।

যঈফ, ইরওয়া (১৮৬২)

ইউসুফ ইবনু হাম্মাদ বলেন, আবদুল আলা এ হাদীসটি কিতাবুত তাফসীরে মারফু (রাসূলের কথা) হিসেবে এবং কিতাবুত তালাকে মাওকুফ (ইবনু আব্বাসের কথা) হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ الْمَعْنِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْبَغَايَا اللاَّتِي يُنْكِحْنَ أَنْفُسَهُنَّ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ رَفَعَ عَبْدُ الأَعْلَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي التَّفْسِيرِ وَأَوْقَفَهُ فِي كِتَابِ الطَّلاَقِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

حدثنا يوسف بن حماد المعني البصري حدثنا عبد الاعلى عن سعيد عن قتادة عن جابر بن زيد عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم قال البغايا اللاتي ينكحن انفسهن بغير بينة قال يوسف بن حماد رفع عبد الاعلى هذا الحديث في التفسير واوقفه في كتاب الطلاق ولم يرفعه


Ibn Abbas narrated that :
the Prophet said: "The adulteresses are the ones who marry themselves without Bayyinah (proof)."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সাক্ষী ব্যাতিত বিয়ে হতে পারে না

১১০৪। কুতাইবা-গুনদার মুহাম্মাদ ইবনু জাফর হতে তিনি সাঈদ ইবনু আবী আরুবার সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রে এটা মারফু হিসেবে বর্ণনা করেন নাই।

আর এটাই অধিক সহীহ। দেখুন পূর্বের হাদীস

আবূ ঈসা বলেন, এটি একটি অরক্ষিত হাদীস। আবদুল আলা ব্যতীত অন্য কেউ এটাকে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেননি। আব্দুল আ’লা-এর সূত্রে সাঈদ হতে এ হাদীসটি মাওকুফ হিসাবেও বর্ণিত হয়েছে। সঠিক কথা হল, হাদীসের উল্লেখিত কথাগুলো (সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে হয় না) ইবনু আব্বাসের। একাধিক রাবী এটাকে সাঈদ ইবনু আবী আরূবা হতেও মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ অনুচ্ছেদে ইমরান ইবনু হুসাইন, আনাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও তাবিঈগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তারা সবাই বলেছেন, সাক্ষীর হাযিরা ব্যতীত বিয়ে হয় না। পূর্বকালের আলিমদের কেউই এ ব্যাপারে মতপার্থক্য করেননি। মুতাআখরীন আলিমগণ এ বিষয়ে মতভেদ করেছেন। তাদের মতদ্বৈততা হয়েছেঃ একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়ার পর অন্য একজন হাযির হয়ে সাক্ষ্য দিলে বিয়ে বৈধ হবে কি না এ বিষয় নিয়ে। কুফার বেশীরভাগ আলিম ও অন্যান্যের মতে, একই সময়ে দু’জন সাক্ষীর হাযিরা ছাড়া বিয়ের আকদ অনুষ্ঠান জায়িয নয়। মদীনার একদল আলিমের মতেঃ একজন সাক্ষী চলে যাবার পর আর একজন সাক্ষী হাযির হলে বিয়ে জায়িয হবে, যদি তারা এর ঘোষণা দিয়ে থাকে। ইমাম মালিকেরও এই মত। মদীনাবাসীদের বর্ণনামতে ইসহাকেরও এই মত। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সাক্ষ্যেও বিয়ের অনুষ্ঠান জায়িয।

باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ مَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ مَرْفُوعًا ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ سَعِيدٍ هَذَا الْحَدِيثُ مَوْقُوفًا وَالصَّحِيحُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ هَكَذَا رَوَى أَصْحَابُ قَتَادَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ نَحْوَ هَذَا مَوْقُوفًا ‏.‏ وَفِي هَذَا الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِشُهُودٍ ‏.‏ لَمْ يَخْتَلِفُوا فِي ذَلِكَ مَنْ مَضَى مِنْهُمْ إِلاَّ قَوْمًا مِنَ الْمُتَأَخِّرِينَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَإِنَّمَا اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا إِذَا شَهِدَ وَاحِدٌ بَعْدَ وَاحِدٍ فَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ لاَ يَجُوزُ النِّكَاحُ حَتَّى يَشْهَدَ الشَّاهِدَانِ مَعًا عِنْدَ عُقْدَةِ النِّكَاحِ ‏.‏ وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ إِذَا أُشْهِدَ وَاحِدٌ بَعْدَ وَاحِدٍ فَإِنَّهُ جَائِزٌ إِذَا أَعْلَنُوا ذَلِكَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَغَيْرِهِ ‏.‏ هَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ فِيمَا حَكَى عَنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ يَجُوزُ شَهَادَةُ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ فِي النِّكَاحِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا غندر محمد بن جعفر عن سعيد بن ابي عروبة نحوه ولم يرفعه وهذا اصح قال ابو عيسى هذا حديث غير محفوظ لا نعلم احدا رفعه الا ما روي عن عبد الاعلى عن سعيد عن قتادة مرفوعا وروي عن عبد الاعلى عن سعيد هذا الحديث موقوفا والصحيح ما روي عن ابن عباس قوله لا نكاح الا ببينة هكذا روى اصحاب قتادة عن قتادة عن جابر بن زيد عن ابن عباس لا نكاح الا ببينة وهكذا روى غير واحد عن سعيد بن ابي عروبة نحو هذا موقوفا وفي هذا الباب عن عمران بن حصين وانس وابي هريرة والعمل على هذا عند اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ومن بعدهم من التابعين وغيرهم قالوا لا نكاح الا بشهود لم يختلفوا في ذلك من مضى منهم الا قوما من المتاخرين من اهل العلم وانما اختلف اهل العلم في هذا اذا شهد واحد بعد واحد فقال اكثر اهل العلم من اهل الكوفة وغيرهم لا يجوز النكاح حتى يشهد الشاهدان معا عند عقدة النكاح وقد راى بعض اهل المدينة اذا اشهد واحد بعد واحد فانه جاىز اذا اعلنوا ذلك وهو قول مالك بن انس وغيره هكذا قال اسحاق فيما حكى عن اهل المدينة وقال بعض اهل العلم يجوز شهادة رجل وامراتين في النكاح وهو قول احمد واسحاق


(Another chain) from Sa'eed bin Abi Arubah, with similar (narration), :
And he did not narrate it in Marfu form, and this is more correct.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৫

পরিচ্ছেদঃ ১৭. বিয়ের খুতবা প্রসঙ্গে

১১০৫ ৷ আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমাদেরকে নামাযের তাশাহহুদ এবং (বিয়ে ইত্যাদি) প্রয়োজনের তাশাহহুদও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ নামাযের তাশাহহুদ হচ্ছে, “সমস্ত সম্মান, ইবাদাত ও পবিত্রতা আল্লাহ তা’আলার জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ ও প্রাচুর্যও। আমাদের ও আল্লাহ তা’আলার নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল"।

আর প্রয়োজনের (হাজাতের) তাশাহহুদ হলঃ “সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য। তার নিকটই আমরা সাহায্য চাই এবং তার নিকটই ক্ষমা চাই। আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের মন্দ কাজসমূহ হতে আশ্রয় চাই। যে লোককে তিনি হিদায়াত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না, আর যাকে তিনি গুমরাহ করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও তার রাসূল"। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আরো তিনটি আয়াত পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী আবসার বলেন, এ তিনটি আয়াত সুফিয়ান সাওরী উল্লেখ করেছেনঃ

১. “হে ঈমানদারগণ! বাস্তবিকই তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর এবং তোমরা মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত মুসলিম (অনুগত) না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না” (সূরাঃ আলে-ইমরান— ১০২)।

২. হে জনগণ! ভয় কর তোমাদের প্রভুকে। তিনি একটি প্রাণ হতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার জোড়াও তৈরী করেছেন তা হতেই। তিনি অসংখ্য পুরুষ ও স্ত্রীলোক তাদের উভয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তোমরা ভয় কর আল্লাহ তা’আলাকে, তোমরা যার দোহাই দিয়ে নিজ নিজ অধিকার দাবি কর একে অপরের নিকট এবং বিরত থাক আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট করা হতে। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের কাজের পর্যবেক্ষণ করছেন" (সূরাঃ নিসা- ১)।

৩. “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর এবং সত্য কথা বল। তোমাদের কাজ-কর্ম আল্লাহ সংশোধন করে দিবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। যে লোক আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে, সে লোক বড় রকমের সাফল্য পেল" (সূরাঃ আহ্যাব- ৭০,৭১)।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৯২)

আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন। আমাশ বর্ণনা করেছেন আবু ইসহাক হতে, তিনি আল আহওয়াস হতে তিনি আব্দুল্লাহ হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে। আর শুবা বর্ণনা করেছেনঃ আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু উবাইদাহ হতে তিনি আব্দুল্লাহ হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে। উভয় সূত্রই সহীহ। সুফিয়ান সাওরী এবং অন্যান্য কিছু আলিম বলেছেন, খুতবা পাঠ ছাড়াও বিয়ে শুদ্ধ হবে।

باب مَا جَاءَ فِي خُطْبَةِ النِّكَاحِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ فِي الصَّلاَةِ وَالتَّشَهُّدَ فِي الْحَاجَةِ قَالَ ‏"‏ التَّشَهُّدُ فِي الصَّلاَةِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏"‏ ‏.‏ وَالتَّشَهُّدُ فِي الْحَاجَةِ ‏"‏ إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا وَسَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا فَمَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلاَ هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏"‏ ‏.‏ وَيَقْرَأُ ثَلاَثَ آيَاتٍ ‏.‏ قَالَ عَبْثَرٌ فَفَسَّرَهُ لَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ ‏:‏ ‏(‏اتَّقوا الله حقَّ تقاتهِ ولا تموتنَّ إلاَّ وأنتمْ مسلمونَ‏)‏‏.‏ ‏(‏اتّقوا الله الَّذي تساءلونَ بهِ والأرحامَ إنَّ اللهَ كانَ عليكُم رقيباً‏)‏‏.‏ ‏(‏اتَّقوا الله وقولوا قولاً سديداً‏)‏‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ حَدِيثٌ حَسَنٌ رَوَاهُ الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَكِلاَ الْحَدِيثَيْنِ صَحِيحٌ لأَنَّ إِسْرَائِيلَ جَمَعَهُمَا فَقَالَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ وَأَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنَّ النِّكَاحَ جَائِزٌ بِغَيْرِ خُطْبَةٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا عبثر بن القاسم عن الاعمش عن ابي اسحاق عن ابي الاحوص عن عبد الله قال علمنا رسول الله صلى الله عليه وسلم التشهد في الصلاة والتشهد في الحاجة قال التشهد في الصلاة التحيات لله والصلوات والطيبات السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله والتشهد في الحاجة ان الحمد لله نستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور انفسنا وسيىات اعمالنا فمن يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له واشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله ويقرا ثلاث ايات قال عبثر ففسره لنا سفيان الثوري اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن الا وانتم مسلمون اتقوا الله الذي تساءلون به والارحام ان الله كان عليكم رقيبا اتقوا الله وقولوا قولا سديدا قال وفي الباب عن عدي بن حاتم قال ابو عيسى حديث عبد الله حديث حسن رواه الاعمش عن ابي اسحاق عن ابي الاحوص عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم ورواه شعبة عن ابي اسحاق عن ابي عبيدة عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم وكلا الحديثين صحيح لان اسراىيل جمعهما فقال عن ابي اسحاق عن ابي الاحوص وابي عبيدة عن عبد الله بن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم وقد قال بعض اهل العلم ان النكاح جاىز بغير خطبة وهو قول سفيان الثوري وغيره من اهل العلم


Abdullah bin Mas'ud narrated:
"The Messenger of Allah taught us the Tashah-hud for Salat and the Tashah-hud for Al-Hajjah." He said: "The Tashah-hud for Salat is: (At-Tahiyyatulilah, was-walawtu wat-tayyibatu. As-Salamu alaika ayyuhan-Nabiyyu wa rahmatullilahi wa barakatuhu, As-Salamu alina wa ala ibadillahis-salihin. Ashahadu an la ilaha illallah, wa ashhadu anna Muhammadan abduha wa Raduluh.) 'All greetings, prayers, and pure words are for Allah. Peace be upon you O Prophet, and Allah's mercy and His blessings. Peace be upon us and all of the righteous worshippers of Allah. I testify that none has the right to be worshiped but Allah. and I testify that Muhammad is His slave and His Messenger."And the Tashah-hud for Al-Hajjah is: 'Indeed all praise is due to Allah, we seek His aid, and we seek His forgiveness, and we seek refuge with Allah from the evils of our souls and the mischief of our deeds. (Innal-Hamdlillahi nasta'inuhu, wa nastaghfirhu, wa na'udhu billahi min sharuri anfusina, wa sayy'ita a'malina, man yahdihi, sala mudilla lahu, wa manyudlil, fala Hadiya lahu, wa ashadu an la ilaha illallah wa ashadu anna Muhammadan abduhu wa Rasuluh) 'Whoever He guides - meaning Allah - then here is none to lead him astray, and whomever He misleads, then there is no guide for him. I testify that none has the right to be worshipped but Allah, and I testify that Muhammad is His worshipper and Messenger.'" He said: "And he recited three Ayat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৬

পরিচ্ছেদঃ ১৭. বিয়ের খুতবা প্রসঙ্গে

১১০৬। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেসব খুতবায় (বক্তৃতায়) তাশাহহুদ পাঠ করা হয় না তা কাটা হাতের সমতুল্য।

— সহীহ, আল আজবিতুন নাফিয়াহ (৪৮), তামামুল মিন্নাহ তাহকীক ছানী

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي خُطْبَةِ النِّكَاحِ

حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كُلُّ خُطْبَةٍ لَيْسَ فِيهَا تَشَهُّدٌ فَهِيَ كَالْيَدِ الْجَذْمَاءِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ [صَحِيحٌ] غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا ابو هشام الرفاعي حدثنا محمد بن فضيل عن عاصم بن كليب عن ابيه عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل خطبة ليس فيها تشهد فهي كاليد الجذماء قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب


Abu Hurairah narrated that:
The Messenger of Allah said: "Every Khutbah that does not have the Tashah-hud in it, then it is like a severed hand."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৭

পরিচ্ছেদঃ ১৮. বিয়ের ব্যাপারে কুমারী (বিকর) ও অকুমারীর (সায়্যিব) অনুমতি নেয়া

১১০৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রাপ্তবয়স্কা (সায়্যিব) নারীকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। নীরবতাই তার অনুমতি। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৭১), বুখারী ও মুসলিম

উমার, ইবনু আব্বাস, আইশা ও উরস ইবনু উমাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেছেন। তাদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কা (সায়্যিব) নারীকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। তার পিতা যদি তার প্রকাশ্য অনুমতি ব্যতীত তাকে বিয়ে দেয় এবং সে মেয়ে যদি এ বিয়ে পছন্দ না করে তাহলে সকল আলিমের মত অনুযায়ী তা বাতিল বলে গণ্য বিষয়ে আলিমদের মধ্যে মত পার্থক্য আছে। যদি প্রাপ্তবয়স্কা কুমারী মেয়েকে তার পিতা তার অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয় এবং এ বিয়ে যদি সে অপছন্দ করে, তবে কুফার বেশিরভাগ আলিমের মতে বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে।

মদীনার একদল আলিমের মতে, যদি পিতা তাকে বিয়ে দেয় এবং তা যদি সে পছন্দ না করে তবুও এ বিয়ে জায়িয হবে। এই মত দিয়েছেন ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক।

باب مَا جَاءَ فِي اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تُنْكَحُ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَإِذْنُهَا الصُّمُوتُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَالْعُرْسِ بْنِ عَمِيرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الثَّيِّبَ لاَ تُزَوَّجُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَإِنْ زَوَّجَهَا الأَبُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَسْتَأْمِرَهَا فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَزْوِيجِ الأَبْكَارِ إِذَا زَوَّجَهُنَّ الآبَاءُ فَرَأَى أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الأَبَ إِذَا زَوَّجَ الْبِكْرَ وَهِيَ بَالِغَةٌ بِغَيْرِ أَمْرِهَا فَلَمْ تَرْضَ بِتَزْوِيجِ الأَبِ فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ تَزْوِيجُ الأَبِ عَلَى الْبِكْرِ جَائِزٌ وَإِنْ كَرِهَتْ ذَلِكَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن منصور اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا الاوزاعي عن يحيى بن ابي كثير عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تنكح الثيب حتى تستامر ولا تنكح البكر حتى تستاذن واذنها الصموت قال وفي الباب عن عمر وابن عباس وعاىشة والعرس بن عميرة قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح والعمل على هذا عند اهل العلم ان الثيب لا تزوج حتى تستامر وان زوجها الاب من غير ان يستامرها فكرهت ذلك فالنكاح مفسوخ عند عامة اهل العلم واختلف اهل العلم في تزويج الابكار اذا زوجهن الاباء فراى اكثر اهل العلم من اهل الكوفة وغيرهم ان الاب اذا زوج البكر وهي بالغة بغير امرها فلم ترض بتزويج الاب فالنكاح مفسوخ وقال بعض اهل المدينة تزويج الاب على البكر جاىز وان كرهت ذلك وهو قول مالك بن انس والشافعي واحمد واسحاق


Abu Hurairah narrated that:
The Prophet said: "A matron should not be given in marriage until she is consulted, and a virgin should not be given in marriage until her permission is sought, and her silence is her permission."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৮

পরিচ্ছেদঃ ১৮. বিয়ের ব্যাপারে কুমারী (বিকর) ও অকুমারীর (সায়্যিব) অনুমতি নেয়া

১১০৮। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিজের (বিয়ের) ব্যাপারে প্রাপ্তবয়স্কা নারী (আয়্যিম) তার অভিভাবক হতে বেশি কর্তৃত্বশীল। কুমারীর (বিকর, বিয়ের) ব্যাপারে তার মতামত নেয়া আবশ্যক। তার নীরবতাই তার সম্মতি।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৭০) মুসলিম

এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ইমাম মালিকের সূত্রে শুবা ও সাওরী বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে একদল লোক বলেছেন, অভিভাবকের অনুপস্থিতিতেও বিয়ে জায়িয। কিন্তু এ হাদীসে তাদের জন্য দলীল নেই। কেননা, একাধিকসূত্রে ইবনু আব্বাসের নিকট হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না।” ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা যাবার পর এ ফাতাওয়াই দিয়েছেন যে, অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না। “বয়স্কা (আয়্যিম) নারী তার বিয়ের ব্যাপারে তার অভিভাবকের চেয়ে বেশি কর্তৃত্বশীল", বেশিরভাগ আলিমের মতে এ হাদীসের তাৎপর্য হলঃ বয়স্কা মহিলার অভিভাবক তার মতামত এবং সম্মতি না নিয়ে তাকে বিয়ে দিতে পারে না, যদি দেয় তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে, খিযামের কন্যা খানাসার হাদীসের ভিত্তিতে। তিনি বয়স্কা ছিলেন। তার বাবা তাকে বিয়ে দিলে তিনি তা অপছন্দ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এ বিয়ে বাতিল করে দেন।

باب مَا جَاءَ فِي اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏ وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا احْتَجُّوا بِهِ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏"‏ وَهَكَذَا أَفْتَى بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‏.‏ وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا ‏"‏ ‏.‏ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْوَلِيَّ لاَ يُزَوِّجُهَا إِلاَّ بِرِضَاهَا وَأَمْرِهَا فَإِنْ زَوَّجَهَا فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ عَلَى حَدِيثِ خَنْسَاءَ بِنْتِ خِذَامٍ حَيْثُ زَوَّجَهَا أَبُوهَا وَهِيَ ثَيِّبٌ فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَرَدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِكَاحَهُ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا مالك بن انس عن عبد الله بن الفضل عن نافع بن جبير بن مطعم عن ابن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الايم احق بنفسها من وليها والبكر تستاذن في نفسها واذنها صماتها هذا حديث حسن صحيح وقد روى شعبة وسفيان الثوري هذا الحديث عن مالك بن انس وقد احتج بعض الناس في اجازة النكاح بغير ولي بهذا الحديث وليس في هذا الحديث ما احتجوا به لانه قد روي من غير وجه عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي وهكذا افتى به ابن عباس بعد النبي صلى الله عليه وسلم فقال لا نكاح الا بولي وانما معنى قول النبي صلى الله عليه وسلم الايم احق بنفسها من وليها عند اكثر اهل العلم ان الولي لا يزوجها الا برضاها وامرها فان زوجها فالنكاح مفسوخ على حديث خنساء بنت خذام حيث زوجها ابوها وهي ثيب فكرهت ذلك فرد النبي صلى الله عليه وسلم نكاحه


Ibn Abbas narrated that:
The Messenger of Allah said: "The matron has more right to herself than her Wali, and the virgin is to give permission for herself, and her silence is her permission."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১০৯

পরিচ্ছেদঃ ১৯. জোরপূর্বক ইয়াতীম মেয়েকে বিয়ে দেওয়া

১১০৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াতীম কুমারীর (বিয়ের) ব্যাপারে তার নিজের মত নিতে হবে। সে চুপ থাকলে তবে এটাই তার সম্মতিগণ্য হয়ে যাবে। সে সরাসরি অস্বীকার করলে তবে তার উপর জোর খাটানো যাবে না।

- হাসান সহীহ, ইরওয়া (১৮৩৪), সহীহ আবু দাউদ (১৮২৫)

আবু মূসা, আইশা ও ইবনু উমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান বলেছেন। আলিমদের মধ্যে ইয়াতীম মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে মতবিরোধ আছে।

একদল আলিমের মতানুযায়ী ইয়াতীম মেয়েকে বিয়ে দিলে সে বালেগ না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত থাকবে। বালেগ হওয়ার পর সে চাইলে এ বিয়ে বহাল রাখতে পারে অথবা নাকচও করে দিতে পারে। এই মত দিয়েছেন একদল তাবিঈ ও অপরাপর আলিম।

আর একদল আলিম বলেছেন, বালেগ না হওয়া পর্যন্ত ইয়াতীম মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না। কেননা, বিয়ের ক্ষেত্রে ইখতিয়ার জায়িয নেই। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ ও অপরাপর আলিম।

আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, নয় বছরে পদার্পণ করার পর ইয়াতীম বালিকাকে বিয়ে দেয়া হলে এবং সে এতে রাজী থাকলে তা জায়িয হবে। বিয়ে বহাল রাখা বা ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষেত্রে বালেগ হওয়ার পর তার কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। আইশা (রাঃ)-এর বিষয়কে তারা দলীল হিসাবে নিয়েছেন। আইশা (রাঃ)-কে নিয়ে তার নয় বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাসর যাপন করেছেন। আইশা (রাঃ) বলেছেন, কোন বালিকা নয় বছরে পদার্পণ করলে সে মহিলা বলে গণ্য হবে।

باب مَا جَاءَ فِي إِكْرَاهِ الْيَتِيمَةِ عَلَى التَّزْوِيجِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْيَتِيمَةُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ صَمَتَتْ فَهُوَ إِذْنُهَا وَإِنْ أَبَتْ فَلاَ جَوَازَ عَلَيْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَزْوِيجِ الْيَتِيمَةِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْيَتِيمَةَ إِذَا زُوِّجَتْ فَالنِّكَاحُ مَوْقُوفٌ حَتَّى تَبْلُغَ فَإِذَا بَلَغَتْ فَلَهَا الْخِيَارُ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ أَوْ فَسْخِهِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يَجُوزُ نِكَاحُ الْيَتِيمَةِ حَتَّى تَبْلُغَ ‏.‏ وَلاَ يَجُوزُ الْخِيَارُ فِي النِّكَاحِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا بَلَغَتِ الْيَتِيمَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَزُوِّجَتْ فَرَضِيَتْ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَلاَ خِيَارَ لَهَا إِذَا أَدْرَكَتْ ‏.‏ وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ ‏.‏ وَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِيَ امْرَأَةٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا عبد العزيز بن محمد عن محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اليتيمة تستامر في نفسها فان صمتت فهو اذنها وان ابت فلا جواز عليها قال وفي الباب عن ابي موسى وابن عمر وعاىشة قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن واختلف اهل العلم في تزويج اليتيمة فراى بعض اهل العلم ان اليتيمة اذا زوجت فالنكاح موقوف حتى تبلغ فاذا بلغت فلها الخيار في اجازة النكاح او فسخه وهو قول بعض التابعين وغيرهم وقال بعضهم لا يجوز نكاح اليتيمة حتى تبلغ ولا يجوز الخيار في النكاح وهو قول سفيان الثوري والشافعي وغيرهما من اهل العلم وقال احمد واسحاق اذا بلغت اليتيمة تسع سنين فزوجت فرضيت فالنكاح جاىز ولا خيار لها اذا ادركت واحتجا بحديث عاىشة ان النبي صلى الله عليه وسلم بنى بها وهي بنت تسع سنين وقد قالت عاىشة اذا بلغت الجارية تسع سنين فهي امراة


Abu Hurairah narrated that:
The Messenger of Allah said: "An orphan is to be consulted about herself, then if she is silent that is her permission, and if she refuses, then do not authorize it (the marriage) for her" (meaning: when she attains the age of puberty and refuses it.)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১০

পরিচ্ছেদঃ ২০. দুই অভিভাবক পৃথক বিয়ে দিলে

১১১০। সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (সম-পর্যায়ের) দুইজন অভিভাবক কোন মেয়েকে (ভিন্ন দুই ব্যক্তির নিকট) বিয়ে দিলে প্রথম জনের বিয়ে বহাল হবে। কোন ব্যক্তি (একই মাল) দু’জন খরিদ্দারের নিকট বিক্রয় করলে তা প্রথম খরিদ্দারই পাবে।

যঈফ, ইরওয়া (১৮৫৩) বেচা কেনার হাদীস

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কোন মতদ্বৈততা আছে বলে আমাদের জানা নেই। এক অভিভাবক অপর অভিভাবকের আগে কনেকে বিয়ে দিলে প্রথম অভিভাবকের বিয়ে বহাল হবে এবং দ্বিতীয় অভিভাবকের দেয়া বিয়ে বাতিল বলে বিবেচিত হবে। আর যদি দুইজন অভিভাবক একই সময় (দুইজনের কাছে) বিয়ে দেয় তবে উভয়ের প্রদত্ত বিয়ে বাতিল বলে বিবেচিত হবে। সুফিয়ান সাওরী, আহমাদ ও ইসহাক এই মত দিয়েছেন।

باب مَا جَاءَ فِي الْوَلِيَّيْنِ يُزَوِّجَانِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ زَوَّجَهَا وَلِيَّانِ فَهِيَ لِلأَوَّلِ مِنْهُمَا وَمَنْ بَاعَ بَيْعًا مِنْ رَجُلَيْنِ فَهُوَ لِلأَوَّلِ مِنْهُمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ نَعْلَمُ بَيْنَهُمْ فِي ذَلِكَ اخْتِلاَفًا إِذَا زَوَّجَ أَحَدُ الْوَلِيَّيْنِ قَبْلَ الآخَرِ فَنِكَاحُ الأَوَّلِ جَائِزٌ وَنِكَاحُ الآخَرِ مَفْسُوخٌ وَإِذَا زَوَّجَا جَمِيعًا فَنِكَاحُهُمَا جَمِيعًا مَفْسُوخٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا غندر حدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن الحسن عن سمرة بن جندب ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ايما امراة زوجها وليان فهي للاول منهما ومن باع بيعا من رجلين فهو للاول منهما قال ابو عيسى هذا حديث حسن والعمل على هذا عند اهل العلم لا نعلم بينهم في ذلك اختلافا اذا زوج احد الوليين قبل الاخر فنكاح الاول جاىز ونكاح الاخر مفسوخ واذا زوجا جميعا فنكاحهما جميعا مفسوخ وهو قول الثوري واحمد واسحاق


Samurah bin Jundab narrated that:
The Messenger of Allah said: "Whichever woman is given in marriage by two Wali, then her case is in accordance with the first of them, and whoever sells something to two men, then it is for the first of them."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১১

পরিচ্ছেদঃ ২১. মনিবের বিনা অনুমতিতে গোলামের বিয়ে

১১১১। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন গোলাম তার মনিবের বিনা অনুমতিতে বিয়ে করলে সে ব্যভিচারী। – হাসান, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৯)

ইবনু উমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন। ইবনু উমার (রাঃ) হতে আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীলের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে, কিন্তু তা সহীহ নয়। জাবিরের সূত্রটিই সহীহ।

এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও তাবিঈগণ আমল করেছেন। তাদের মতে, কোন গোলাম মনিবের বিনা অনুমতিতে বিয়ে করলে তা জারিয হবে না। এই মত দিয়েছেন আহমাদ, ইসহাক ও অন্যরাও। এতে কোন মতভেদ নেই।

باب مَا جَاءَ فِي نِكَاحِ الْعَبْدِ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَيُّمَا عَبْدٍ تَزَوَّجَ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ فَهُوَ عَاهِرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَلاَ يَصِحُّ وَالصَّحِيحُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ نِكَاحَ الْعَبْدِ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ لاَ يَجُوزُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَغَيْرِهِمَا ‏بِلَا اخْتِلَافٍ.

حدثنا علي بن حجر اخبرنا الوليد بن مسلم عن زهير بن محمد عن عبد الله بن محمد بن عقيل عن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ايما عبد تزوج بغير اذن سيده فهو عاهر قال وفي الباب عن ابن عمر قال ابو عيسى حديث جابر حديث حسن وروى بعضهم هذا الحديث عن عبد الله بن محمد بن عقيل عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم ولا يصح والصحيح عن عبد الله بن محمد بن عقيل عن جابر والعمل على هذا عند اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم ان نكاح العبد بغير اذن سيده لا يجوز وهو قول احمد واسحاق وغيرهما بلا اختلاف


Jabir bin Abdullah narrated that:
The Prophet said: "Whichever slave gets married without the permission of his owner, then he is a fornicator."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১২

পরিচ্ছেদঃ ২১. মনিবের বিনা অনুমতিতে গোলামের বিয়ে

১১১২। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন গোলাম তার মনিবের বিনা অনুমতিতে বিয়ে করলে সে যিনাকারী বলে গণ্য হবে।

– হাসান, দেখুন পূর্বের হাদীস

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي نِكَاحِ الْعَبْدِ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَيُّمَا عَبْدٍ تَزَوَّجَ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ فَهُوَ عَاهِرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا سعيد بن يحيى بن سعيد الاموي حدثنا ابي حدثنا ابن جريج عن عبد الله بن محمد بن عقيل عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ايما عبد تزوج بغير اذن سيده فهو عاهر قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح


(Another chain) Jabir bin Abdullah narrated that:
Abdullah narrated that the Prophet said: "Whichever slave gets married without the permission of his owner, then he is a fornicator."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৩

পরিচ্ছেদঃ ২২. মহিলাদের মোহরের বর্ণনা

১১১৩। আবদুল্লাহ ইবনু আমির ইবনু রাবীআ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, ফাযারা গোত্রের এক মহিলা একজোড়া জুতার বদলে বিয়ে করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি একজোড়া জুতার বদলে তোমার জিন্দেগী ও সম্পদ সপে দিতে রাজী হয়ে গেলে? সে বলল, হ্যাঁ। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিয়ে অনুমোদন করলেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৮৮৮)

এ অনুচ্ছেদে উমার, আবূ হুরাইরা, সাহল ইবনু সাদ, আবূ সাঈদ, আনাস, আইশা, জাবির ও আবূ হাদরাদ আল-আসলামী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আমির ইবনু রাবীয়া (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

মোহরের পরিমাণ নিয়ে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল আছে। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, যে পরিমাণ মোহরে উভয়ে রাজী হবে ততটুকুই মোহর হবে। মালিক ইবনু আনাস বলেছেন, সর্বনিম্ন পরিমাণ মোহর এক দীনারের এক-চতুর্থাংশের কম হতে পারবে না। কুফাবাসী একদল আলিম বলেছেন, সর্বনিম্ন পরিমাণ মোহর দশ দিরহাম।

باب مَا جَاءَ فِي مُهُورِ النِّسَاءِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ بَنِي فَزَارَةَ تَزَوَّجَتْ عَلَى نَعْلَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَرَضِيتِ مِنْ نَفْسِكِ وَمَالِكِ بِنَعْلَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَأَجَازَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَنَسٍ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَبِي حَدْرَدٍ الأَسْلَمِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْمَهْرِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْمَهْرُ عَلَى مَا تَرَاضَوْا عَلَيْهِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لاَ يَكُونُ الْمَهْرُ أَقَلَّ مِنْ رُبْعِ دِينَارٍ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْكُوفَةِ لاَ يَكُونُ الْمَهْرُ أَقَلَّ مِنْ عَشْرَةِ دَرَاهِمَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار حدثنا يحيى بن سعيد وعبد الرحمن بن مهدي ومحمد بن جعفر قالوا حدثنا شعبة عن عاصم بن عبيد الله قال سمعت عبد الله بن عامر بن ربيعة عن ابيه ان امراة من بني فزارة تزوجت على نعلين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ارضيت من نفسك ومالك بنعلين قالت نعم قال فاجازه قال وفي الباب عن عمر وابي هريرة وسهل بن سعد وابي سعيد وانس وعاىشة وجابر وابي حدرد الاسلمي قال ابو عيسى حديث عامر بن ربيعة حديث حسن صحيح واختلف اهل العلم في المهر فقال بعض اهل العلم المهر على ما تراضوا عليه وهو قول سفيان الثوري والشافعي واحمد واسحاق وقال مالك بن انس لا يكون المهر اقل من ربع دينار وقال بعض اهل الكوفة لا يكون المهر اقل من عشرة دراهم


Abdullah bin Amr bin Rabi'ah narrated from his father:
"A woman from Banu Fazarah was married for (the dowry of) two sandals. So the Messenger of Allah said to her: 'Do you approve of (exchanging) yourself and your wealth for two sandals?' She said: 'Yes.'" He said: "So he permitted it."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৪

পরিচ্ছেদঃ ২৩. (মহিলাদের মোহরানার বর্ণনা)

১১১৪/১। সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে একজন স্ত্রীলোক বলল, আমি আপনার জন্য নিজেকে দান (হেবা) করলাম। (একথা বলে) সে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার যদি তাকে প্রয়োজন না হয় তবে আমার সাথে তার বিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তার মোহর আদায়ের মত তোমার নিকট কিছু আছে কি? সে বলল, আমার এ কাপড়টি ব্যতীত আমার নিকট আর কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে যদি তোমার কাপড়টি দাও তবে তোমাকে তো (ঘরে) বসে থাকতে হবে এবং তোমার কাপড় বলতে আর কিছু থাকবে না। অন্য কিছু খুঁজে নিয়ে আস।

(কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে) সে বলল, কিছুই খুঁজে পাইনি। তিনি বললেনঃ একটি লোহার আংটি হলেও খুঁজে আন। বর্ণনাকারী বলেন, সে কিছুই খুঁজে পেল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কুরআনের কিছু জানা আছে কি তোমার? সে বলল, হ্যাঁ, অমুক অমুক সূরা জানি। সে সূরাগুলোর নামও বলল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কুরআনের যেটুকু অংশ তোমার জানা আছে তার বিনিময়ে তোমার সাথে তার বিয়ে দিলাম। – সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮৯), বুখারী, মুসলিম

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী ইমাম শাফিঈ মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিয়ের জন্য কোন লোকের নিকটে যদি মোহর আদায়ের মত কিছু না থাকে এবং যদি সে লোক কোন নারিকে কুরআনের কোন সুরার বিনিময়ে বিয়ে করে তবে তা জায়িয হবে। তার কর্তব্য হবে ঐ মহিলাকে সে সূরাটি শিখিয়ে দেয়া। কুফাবাসী আলিমগণ এবং আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, বিয়ে জায়িয হবে ঠিকই, কিন্তু তাকে ’মোহরে মিসাল পরিশোধ করতে হবে।


১১১৪/২। আবুল আজফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, সাবধান! তোমরা নারীদের মোহরানা উচ্চহারে বাড়িয়ে দিও না। কেননা, তা দুনিয়াতে যদি সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট তাকওয়ার বস্তু হত তবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের চেয়ে বেশি উদ্যোগী হতেন। কিন্তু বার উকিয়ার বেশি পরিমাণ মোহরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন অথবা তার কোন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮৭)

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবুল আজফার নাম হারিম। আলিমদের মতে চল্লিশ দিরহামের সমান এক উকিয়া এবং চারশত আশি দিরহামের সমান বার উকিয়া।

باب مِنْهُ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ إِنِّي وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ ‏.‏ فَقَامَتْ طَوِيلاً فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَزَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلاَّ إِزَارِي هَذَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِزَارَكَ إِنْ أَعْطَيْتَهَا جَلَسْتَ وَلاَ إِزَارَ لَكَ فَالْتَمِسْ شَيْئًا ‏"‏ قَالَ مَا أَجِدُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَالْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْءٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا ‏.‏ لِسُوَرٍ سَمَّاهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ زَوَّجْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ الشَّافِعِيُّ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ شَيْءٌ يُصْدِقُهَا وَتَزَوَّجَهَا عَلَى سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَيُعَلِّمُهَا سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ النِّكَاحُ جَائِزٌ وَيَجْعَلُ لَهَا صَدَاقَ مِثْلِهَا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلاَ لاَ تُغَالُوا صَدُقَةَ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ لَكَانَ أَوْلاَكُمْ بِهَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عَلِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَكَحَ شَيْئًا مِنْ نِسَائِهِ وَلاَ أَنْكَحَ شَيْئًا مِنْ بَنَاتِهِ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيُّ اسْمُهُ هَرَمٌ ‏.‏ وَالأُوقِيَّةُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا وَثِنْتَا عَشْرَةَ أُوقِيَّةً أَرْبَعُمِائَةٍ وَثَمَانُونَ دِرْهَمًا ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا اسحاق بن عيسى وعبد الله بن نافع الصاىغ قالا اخبرنا مالك بن انس عن ابي حازم بن دينار عن سهل بن سعد الساعدي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم جاءته امراة فقالت اني وهبت نفسي لك فقامت طويلا فقال رجل يا رسول الله فزوجنيها ان لم تكن لك بها حاجة فقال هل عندك من شيء تصدقها فقال ما عندي الا ازاري هذا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ازارك ان اعطيتها جلست ولا ازار لك فالتمس شيىا قال ما اجد قال فالتمس ولو خاتما من حديد قال فالتمس فلم يجد شيىا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هل معك من القران شيء قال نعم سورة كذا وسورة كذا لسور سماها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم زوجتكها بما معك من القران قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد ذهب الشافعي الى هذا الحديث فقال ان لم يكن له شيء يصدقها وتزوجها على سورة من القران فالنكاح جاىز ويعلمها سورة من القران وقال بعض اهل العلم النكاح جاىز ويجعل لها صداق مثلها وهو قول اهل الكوفة واحمد واسحاق حدثنا ابن ابي عمر حدثنا سفيان بن عيينة عن ايوب عن ابن سيرين عن ابي العجفاء السلمي قال قال عمر بن الخطاب الا لا تغالوا صدقة النساء فانها لو كانت مكرمة في الدنيا او تقوى عند الله لكان اولاكم بها نبي الله صلى الله عليه وسلم ما علمت رسول الله صلى الله عليه وسلم نكح شيىا من نساىه ولا انكح شيىا من بناته على اكثر من ثنتى عشرة اوقية قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وابو العجفاء السلمي اسمه هرم والاوقية عند اهل العلم اربعون درهما وثنتا عشرة اوقية اربعماىة وثمانون درهما


Abu Al-Ajfa (As-Salami) said:
"Umar bin Al-Khattab said: 'Do not exaggerate in the dowries of women. If doing so was honorable in the world or Taqwa before Allah then Allah's Prophet would have been the first of you to do it. I do not know of the Messenger of Allah marrying any of his women, nor giving any of his daughters in marriage, for more than twelve Uqiyah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৫

পরিচ্ছেদঃ ২৪. নিজের দাসীকে আযাদ করে বিয়ে করা

১১১৫। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যাকে বিয়ে করেন তাকে আযাদ করে এবং তার মোহর নির্ধারণ করেন এই দাসত্ব মুক্তিকে।

– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৭), বুখারী, মুসলিম

সাফিয়া (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তাবিঈ আমল করেছেন। এই মত দিয়েছেন ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও। আযাদ করে তা মোহর হিসেবে গণ্য করাকে একদল আলিম মাকরূহ বলেছেন। এক্ষেত্রে তারা মোহর নির্ধারণের পক্ষপাতী। কিন্তু প্রথম মতই অনেক বেশি সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَعْتِقُ الأَمَةَ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ صَفِيَّةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَكَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُجْعَلَ عِتْقُهَا صَدَاقَهَا حَتَّى يَجْعَلَ لَهَا مَهْرًا سِوَى الْعِتْقِ ‏.‏ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا ابو عوانة عن قتادة وعبد العزيز بن صهيب عن انس بن مالك ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اعتق صفية وجعل عتقها صداقها قال وفي الباب عن صفية قال ابو عيسى حديث انس حديث حسن صحيح والعمل على هذا عند بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم وهو قول الشافعي واحمد واسحاق وكره بعض اهل العلم ان يجعل عتقها صداقها حتى يجعل لها مهرا سوى العتق والقول الاول اصح


Anas bin Malik narrated:
"The Messenger of Allah emancipated Safiyyah and he made her emancipation her dowry."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৬

পরিচ্ছেদঃ ২৫. দাসীকে আযাদ করে তাকে বিয়ে করার ফযীলত

১১১৬। আবু বুরদা ইবনু আবূ মূসা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (আবু মূসা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন প্রকার লোকের সাওয়াব দ্বিগুণ করা হবে। যে গোলাম আল্লাহ ও তার মনিবের হাক সঠিকভাবে আদায় করেছে। তার সাওয়াব দ্বিগুণ করা হবে। যে লোকের সুন্দরী বাদী ছিল, সে তাকে উত্তম আচরণ ও আদব-কায়দা শিখিয়েছে এবং তাকে পরবর্তীতে মুক্ত করে বিয়ে করেছে শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য। তার সাওয়াবও দ্বিগুণ করা হবে। পূর্ববর্তী কিতাবের প্রতি যে লোক ঈমান এনেছে, তারপর পরবর্তী কিতাব (কুরআন) আসার পর তার উপরও ঈমান এনেছে, তাকেও দ্বিগুণ সাওয়াব প্রদান করা হবে।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৬)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরোক্ত হাদীসের মত হাদীস আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন ইবনু আবু উমার সুফিয়ান হতে, তিনি সালিহ ইবনু সালিহ হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি আবূ বুরদাহ হতে। আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবূ বুরদার নাম আমির, পিতা আবদুল্লাহ, দাদা কাইস। শুবা ও সুফিয়ান সাওরী এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন সালিহ ইবনু সালিহ এর সূত্রে। সালিহ ইবনু সালিহ হলেন আল-হাসান ইবনু সালিহের পিতা।

باب مَا جَاءَ فِي الْفَضْلِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ثَلاَثَةٌ يُؤْتَوْنَ أَجْرَهُمْ مَرَّتَيْنِ عَبْدٌ أَدَّى حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ فَذَلِكَ يُؤْتَى أَجْرَهُ مَرَّتَيْنِ وَرَجُلٌ كَانَتْ عِنْدَهُ جَارِيَةٌ وَضِيئَةٌ فَأَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ أَدَبَهَا ثُمَّ أَعْتَقَهَا ثُمَّ تَزَوَّجَهَا يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ فَذَلِكَ يُؤْتَى أَجْرَهُ مَرَّتَيْنِ وَرَجُلٌ آمَنَ بِالْكِتَابِ الأَوَّلِ ثُمَّ جَاءَ الْكِتَابُ الآخَرُ فَآمَنَ بِهِ فَذَلِكَ يُؤْتَى أَجْرَهُ مَرَّتَيْنِ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَالِحِ بْنِ صَالِحٍ، وَهُوَ ابْنُ حَىٍّ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي مُوسَى حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ صَالِحِ بْنِ صَالِحِ بْنِ حَىٍّ ‏.‏ وَصَالِحُ بْنُ صَالِحِ بْنِ حَىٍّ هُوَ وَالِدُ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحِ بْنِ حَىٍّ ‏.‏

حدثنا هناد حدثنا علي بن مسهر عن الفضل بن يزيد عن الشعبي عن ابي بردة بن ابي موسى عن ابيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثة يوتون اجرهم مرتين عبد ادى حق الله وحق مواليه فذلك يوتى اجره مرتين ورجل كانت عنده جارية وضيىة فادبها فاحسن ادبها ثم اعتقها ثم تزوجها يبتغي بذلك وجه الله فذلك يوتى اجره مرتين ورجل امن بالكتاب الاول ثم جاء الكتاب الاخر فامن به فذلك يوتى اجره مرتين حدثنا ابن ابي عمر حدثنا سفيان عن صالح بن صالح وهو ابن حى عن الشعبي عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه قال ابو عيسى حديث ابي موسى حديث حسن صحيح وابو بردة بن ابي موسى اسمه عامر بن عبد الله بن قيس وروى شعبة وسفيان الثوري هذا الحديث عن صالح بن صالح بن حى وصالح بن صالح بن حى هو والد الحسن بن صالح بن حى


Abu Burdah bin Abi Musa narrated from his father that the Messenger of Allah said:
"Three will receive their reward twice: A slave who fulfills the rights of Allah and the rights of his owners, then he will be given his reward twice. And a man who has a beautiful slave girl, so he teaches her good manners, then he frees her, then he married her seeking the Face of Allah by that; then he will be given his reward twice. And a man who believed in an earlier Book, then another Book came to him and he believed in it; then he will be given his reward twice."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৭

পরিচ্ছেদঃ ২৬. সহবাসের পূর্বে তালাক দেয়া স্ত্রীর কন্যাকে বিয়ে কয়া যায় কি-না?

১১১৭। আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন লোক কোন নারীকে বিয়ে করে তার সাথে সহবাস করলে তার সাথে ঐ নারীর মেয়ের বিয়ে বৈধ নয়। সে যদি তার সাথে সহবাস না করে থাকে তবে সে তার কন্যাকে বিয়ে করতে পারে। যে কোন লোক কোন নারীকে বিয়ে করার পর তার সাথে সহবাস করুক বা না করুক, তার মায়ের সাথে তার বিয়ে বৈধ নয়। যঈফ, ইরওয়া (১৮৭৯)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সনদের দিক হতে সহীহ নয়। আমর ইবনু শুআইব (রাহঃ) হতে ইবনু লাহিয়া ও মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীস শাস্ত্রে তারা উভয়ে যঈফ (দুর্বল)।

বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তারা বলেছেন, কোন ব্যক্তি কোন নারীকে বিয়ে করার পর এবং সহবাস করার আগে তালাক দিলে তার কন্যাকে তার বিয়ে করা বৈধ। এ লোক তার কন্যাকে বিয়ে করার পর এবং সহবাস করার আগে তাকে তালাক দিলে তার মাকে নতুন করে বিয়ে করা তার জন্য বৈধ হবে না। যেহেতু আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “এবং তোমাদের স্ত্রীদের মায়েদেরকে” (বিয়ে করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়)। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও এই মত দিয়েছেন।

باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ ثُمَّ يُطَلِّقُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا هَلْ يَتَزَوَّجُ ابْنَتَهَا أَمْ لاَ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَيُّمَا رَجُلٍ نَكَحَ امْرَأَةً فَدَخَلَ بِهَا فَلاَ يَحِلُّ لَهُ نِكَاحُ ابْنَتِهَا فَإِنْ لَمْ يَكُنْ دَخَلَ بِهَا فَلْيَنْكِحِ ابْنَتَهَا وَأَيُّمَا رَجُلٍ نَكَحَ امْرَأَةً فَدَخَلَ بِهَا أَوْ لَمْ يَدْخُلْ بِهَا فَلاَ يَحِلُّ لَهُ نِكَاحُ أُمِّهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ يَصِحُّ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ وَإِنَّمَا رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ وَالْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ ‏.‏ وَالْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ وَابْنُ لَهِيعَةَ يُضَعَّفَانِ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ امْرَأَةً ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا حَلَّ لَهُ أَنْ يَنْكِحَ ابْنَتَهَا وَإِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ الاِبْنَةَ فَطَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا لَمْ يَحِلَّ لَهُ نِكَاحُ أُمِّهَا لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏(‏وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ ‏)‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا قتيبة حدثنا ابن لهيعة عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ايما رجل نكح امراة فدخل بها فلا يحل له نكاح ابنتها فان لم يكن دخل بها فلينكح ابنتها وايما رجل نكح امراة فدخل بها او لم يدخل بها فلا يحل له نكاح امها قال ابو عيسى هذا حديث لا يصح من قبل اسناده وانما رواه ابن لهيعة والمثنى بن الصباح عن عمرو بن شعيب والمثنى بن الصباح وابن لهيعة يضعفان في الحديث والعمل على هذا عند اكثر اهل العلم قالوا اذا تزوج الرجل امراة ثم طلقها قبل ان يدخل بها حل له ان ينكح ابنتها واذا تزوج الرجل الابنة فطلقها قبل ان يدخل بها لم يحل له نكاح امها لقول الله تعالى وامهات نساىكم وهو قول الشافعي واحمد واسحاق


Amr bin Shu'aib narrated from his father, from his grandfather that:
The Prophet said: "Whichever man married a woman and entered into her, then it is not lawful for him to marry her daughter. If he did not enter into her then he may marry her daughter. And whichever man married a woman and he entered into her, or he did not enter into her, then it is not lawful for him to marry her mother."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৮

পরিচ্ছেদঃ ২৭. কোন লোক তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার পর সে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করলে এবং সহবাসের পূর্বে সেও তাকে তালাক দিলে

১১১৮। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে রিফাআ আল-কুরায়ীর স্ত্রী এসে বললো, আমি রিফাআর স্ত্রী ছিলাম। সে আমাকে বাত্তা তালাক অর্থাৎ তিন তালাক দেয়। তারপর আমি বিয়ে করি আবদুর রাহমান ইবনু যুবাইরকে কিন্তু তার সাথে কাপড়ের পাড়ের মত (অকেজো পুরুষাঙ্গ) ব্যতীত আর কিছুই নেই। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি রিফাআর নিকটে আবার ফিরে যেতে চাও? কিন্তু তা হবে না, তুমি যতক্ষণ না তার মধু আস্বাদন করবে এবং সে তোমার মধু আস্বাদন করবে (তারপর তালাক দিবে)।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৩৪), নাসা-ঈ

ইবনু উমার, আনাস, রুমাইসা অথবা গুমাইসা ও আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিম মত দিয়েছেন। কোন লোক তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার পর সে অন্য স্বামী গ্রহণ করলে এবং তার সাথে সহবাসের পূর্বেই এই দ্বিতীয় স্বামী তাকে তালাক দিলে সে পূর্ব স্বামীর জন্য হালাল হবে না, দ্বিতীয় স্বামীর সাথে যে পর্যন্ত না তার সহবাস হবে।

باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا فَيَتَزَوَّجُهَا آخَرُ فَيُطَلِّقُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةُ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيِّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي كُنْتُ عِنْدَ رِفَاعَةَ فَطَلَّقَنِي فَبَتَّ طَلاَقِي فَتَزَوَّجْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَمَا مَعَهُ إِلاَّ مِثْلُ هُدْبَةِ الثَّوْبِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ أَتُرِيدِينَ أَنْ تَرْجِعِي إِلَى رِفَاعَةَ لاَ حَتَّى تَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ وَيَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَالرُّمَيْصَاءِ أَوِ الْغُمَيْصَاءِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ زَوْجًا غَيْرَهُ فَطَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا أَنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِلزَّوْجِ الأَوَّلِ إِذَا لَمْ يَكُنْ جَامَعَ الزَّوْجُ الآخَرُ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر واسحاق بن منصور قالا حدثنا سفيان بن عيينة عن الزهري عن عروة عن عاىشة قالت جاءت امراة رفاعة القرظي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت اني كنت عند رفاعة فطلقني فبت طلاقي فتزوجت عبد الرحمن بن الزبير وما معه الا مثل هدبة الثوب فقال اتريدين ان ترجعي الى رفاعة لا حتى تذوقي عسيلته ويذوق عسيلتك قال وفي الباب عن ابن عمر وانس والرميصاء او الغميصاء وابي هريرة قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح والعمل على هذا عند عامة اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم ان الرجل اذا طلق امراته ثلاثا فتزوجت زوجا غيره فطلقها قبل ان يدخل بها انها لا تحل للزوج الاول اذا لم يكن جامع الزوج الاخر


Aishah narrated:
"The wife of Rifa'ah Al-Qurzi came to the Messenger of Allah and said: 'I was with Rifa'ah and he divorced me irrevocably. Then I married Abdur-Rahman bin Az-Zubair, but he only has the likes of the fringe of a garment.' So he said: 'Perhaps you want me to return to Rifa'ah? No, not until you taste his sweetness, and he tastes your sweetness.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
১১১৯

পরিচ্ছেদঃ ২৮. যে লোক হিলা করে এবং যে লোক হিলা করায়

১১১৯। আলী (রাঃ) ও জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তারা উভয়ে বলেছেন, যে লোক হিলা করে এবং যে লোকের জন্য হিলা করা হয় তাদের উভয়ের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৩৫)

ইবনু মাসউদ, আবু হুরাইরা, উকবা ইবনু আমির ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা মা’লুল (সনদে সূক্ষ্ম ক্রটি আছে) বলেছেন। আর এভাবে বর্ণনা করেছেন আল-হারিস হতে, তিনি আলী ও আমির হতে, তিনি আলী ও আমির হতে, তারা জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, এ হাদীসের সনদ প্রতিষ্ঠিত নয়। কেননা, মুজালিদ ইবনু সাঈদকে ইমাম আহমাদ ও অন্যরা যঈফ বলেছেন।

মুজালিদ-আমির হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি আলী (রাঃ)-এর সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনু নুমাইর এই হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাতে ইবনু নুমাইর বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। প্রথম সূত্রটিই অনেক বেশি সহীহ। এ হাদীসটি মুগীরা, ইবনু আবু খালিদ ও অন্যরা শাবী হতে, তিনি হারিস হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي الْمُحِلِّ وَالْمُحَلَّلِ لَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زُبَيْدٍ الأَيَامِيُّ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابِنْ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ وَجَابِرٍ حَدِيثٌ مَعْلُولٌ ‏.‏ هَكَذَا رَوَى أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ هُوَ الشَّعْبِيُّ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَامِرٌ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَائِمِ لأَنَّ مُجَالِدَ بْنَ سَعِيدٍ قَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ ‏.‏ وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ وَهَذَا قَدْ وَهِمَ فِيهِ ابْنُ نُمَيْرٍ وَالْحَدِيثُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ مُغِيرَةُ وَابْنُ أَبِي خَالِدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج حدثنا اشعث بن عبد الرحمن بن زبيد الايامي حدثنا مجالد عن الشعبي عن جابر بن عبد الله وعن الحارث عن علي قالا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لعن المحل والمحلل له قال وفي الباب عن ابن مسعود وابي هريرة وعقبة بن عامر وابن عباس قال ابو عيسى حديث علي وجابر حديث معلول هكذا روى اشعث بن عبد الرحمن عن مجالد عن عامر هو الشعبي عن الحارث عن علي وعامر عن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم وهذا حديث ليس اسناده بالقاىم لان مجالد بن سعيد قد ضعفه بعض اهل العلم منهم احمد بن حنبل وروى عبد الله بن نمير هذا الحديث عن مجالد عن عامر عن جابر بن عبد الله عن علي وهذا قد وهم فيه ابن نمير والحديث الاول اصح وقد رواه مغيرة وابن ابي خالد وغير واحد عن الشعبي عن الحارث عن علي


Jabir bin Abdullah and Ali narrated:
"The Messenger of Allah cursed the Muhill and the one the Muhallal was done for."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯/ বিবাহ (كتاب النكاح عن رسول الله ﷺ) 9. The Book on Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ ২১ থেকে ৪০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »