লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৮. বিয়ের ব্যাপারে কুমারী (বিকর) ও অকুমারীর (সায়্যিব) অনুমতি নেয়া
১১০৮। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিজের (বিয়ের) ব্যাপারে প্রাপ্তবয়স্কা নারী (আয়্যিম) তার অভিভাবক হতে বেশি কর্তৃত্বশীল। কুমারীর (বিকর, বিয়ের) ব্যাপারে তার মতামত নেয়া আবশ্যক। তার নীরবতাই তার সম্মতি।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৭০) মুসলিম
এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ইমাম মালিকের সূত্রে শুবা ও সাওরী বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে একদল লোক বলেছেন, অভিভাবকের অনুপস্থিতিতেও বিয়ে জায়িয। কিন্তু এ হাদীসে তাদের জন্য দলীল নেই। কেননা, একাধিকসূত্রে ইবনু আব্বাসের নিকট হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না।” ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা যাবার পর এ ফাতাওয়াই দিয়েছেন যে, অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না। “বয়স্কা (আয়্যিম) নারী তার বিয়ের ব্যাপারে তার অভিভাবকের চেয়ে বেশি কর্তৃত্বশীল", বেশিরভাগ আলিমের মতে এ হাদীসের তাৎপর্য হলঃ বয়স্কা মহিলার অভিভাবক তার মতামত এবং সম্মতি না নিয়ে তাকে বিয়ে দিতে পারে না, যদি দেয় তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে, খিযামের কন্যা খানাসার হাদীসের ভিত্তিতে। তিনি বয়স্কা ছিলেন। তার বাবা তাকে বিয়ে দিলে তিনি তা অপছন্দ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এ বিয়ে বাতিল করে দেন।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا احْتَجُّوا بِهِ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " وَهَكَذَا أَفْتَى بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ . وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا " . عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْوَلِيَّ لاَ يُزَوِّجُهَا إِلاَّ بِرِضَاهَا وَأَمْرِهَا فَإِنْ زَوَّجَهَا فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ عَلَى حَدِيثِ خَنْسَاءَ بِنْتِ خِذَامٍ حَيْثُ زَوَّجَهَا أَبُوهَا وَهِيَ ثَيِّبٌ فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَرَدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِكَاحَهُ .
Ibn Abbas narrated that:
The Messenger of Allah said: "The matron has more right to herself than her Wali, and the virgin is to give permission for herself, and her silence is her permission."