পরিচ্ছেদঃ আযানের সূচনা
৩৬৫) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মুসলিমগণ মদীনায় আগমণ করার পর অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে মসজিদে একত্রিত হতেন। সে সময় নামাযের জন্য ডাকার ব্যবস্থা ছিলনা। এ ব্যাপারে তাঁরা একদিন কথা-বার্তা বললেন। কেউ বললেনঃ নাসারাদের মত একটি ঘন্টা বানিয়ে নাও। আবার কোন কোন সাহাবী মন্তব্য করলেনঃ বরং ইহুদীদের মত একটি সিঙ্গা বানানো হোক। পরিশেষে উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা কি নামাযের দিকে মানুষকে আহবান করার জন্য একজন লোক পাঠাতে পার না? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ হে বেলাল! তুমি উঠ এবং মানুষকে নামাযের জন্য ডাকো।
باب بَدْءُ الأَذَانِ
৩৬৫ـ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا كَانَ يَقُولُ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ، يَجْتَمِعُونَ فَيَتَحَيَّنُونَ الصَّلاةَ، لَيْسَ يُنَادَى لَهَا، فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ، فَقَالَ بَعْضُهُمِ: اتَّخِذُوا نَاقُوسًا مِثلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ بُوقًا مِثلَ قَرْنِ الْيَهُودِ، فَقَالَ عُمَرُ : أَوَلا تَبْعَثونَ رَجُلا يُنَادِي بِالصَّلاةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ يَا بِلالُ قُمْ فَنَادِ بِالصَّلاةِ.
How the Adhan for Salat (Prayer) was started
Narrated Ibn `Umar:
When the Muslims arrived at Medina, they used to assemble for the prayer, and used to guess the time for it. During those days, the practice of Adhan for the prayers had not been introduced yet. Once they discussed this problem regarding the call for prayer. Some people suggested the use of a bell like the Christians, others proposed a trumpet like the horn used by the Jews, but `Umar was the first to suggest that a man should call (the people) for the prayer; so Allah's Messenger (ﷺ) ordered Bilal to get up and pronounce the Adhan for prayers.
পরিচ্ছেদঃ আযানের শব্দগুলো দু’বার দু’বার বলবে
৩৬৬) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ বেলাল (রাঃ) কে জোড়া জোড়া শব্দে আযান এবং বেজোড় শব্দে ইকামত দিতে আদেশ করা হয়েছে। কিন্তু কাদকামাতিস্ সালাহ শব্দটি দুইবার বলার আদেশ দেয়া হয়েছে।
باب الأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى
৩৬৫ ـ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: أُمِرَ بِلالٌ أَنْ يَشْفَعَ الأَذَانَ، وَأَنْ يُوتِرَ الإِقَامَةَ، إِلا الإِقَامَةَ. (بخارى:৬০৫)
Pronouncing the wording of Adhan for Salat (prayers) twice (in doubles)
Narrated Anas:
Bilal was ordered to repeat the wording of the Adhan for prayers twice, and to pronounce the wording of the Iqama once except "Qad-qamat-is-salat".
পরিচ্ছেদঃ আযান দেয়ার ফজীলত
৩৬৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যখন নামাযের আযান দেয়া হয় তখন শয়তান পশ্চাৎ বায়ু ছাড়তে ছাড়তে এত দূরে চলে যায় যেখান থেকে সে আযানের শব্দ শুনতে পায়না। আযান শেষ হলে সে আবার ফেরত আসে। আবার যখন নামাযের ইকামত দেয়া হয় তখনও সে দূরে চলে যায়। ইকামত শেষ হলে আবার এসে নামাযীর অন্তরে ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। সে নামাযীকে বলেঃ এটি স্মরণ কর, ঐটি স্মরণ কর। অথচ এ কথাগুলো ইতিপূর্বে তার স্মরণ ছিলনা। এক পর্যায়ে নামাযীর অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, সে কত রাকআত নামায আদায় করেছে তা ভুলে যায়।
باب فَضْلِ التَّأْذِينِ
৩৬৭ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاةِ، أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ ضُرَاطٌ، حَتَّى لا يَسْمَعَ التَّأْذِينَ، فَإِذَا قَضَى النِّدَاءَ أَقْبَلَ، حَتَّى إِذَا ثوِّبَ بِالصَّلاةِ أَدْبَرَ، حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثوِيبُ أَقْبَلَ، حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ، يَقُولُ: اذْكُرْ كَذَا، اذْكُرْ كَذَا، لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ، حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ لا يَدْرِي كَمْ صَلَّى. (بخارى:৬০৮)
Superiority of the Adhan
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "When the Adhan is pronounced Satan takes to his heels and passes wind with noise during his flight in order not to hear the Adhan. When the Adhan is completed he comes back and again takes to his heels when the Iqama is pronounced and after its completion he returns again till he whispers into the heart of the person (to divert his attention from his prayer) and makes him remember things which he does not recall to his mind before the prayer and that causes him to forget how much he has prayed."
পরিচ্ছেদঃ উঁচু আওয়াযে আযান দেয়া
৩৬৮) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, মুআয্যিনের আযানের ধ্বনি মানুষ, জিন বা অন্য যে কোন বস্ত্তই শুনবে সবাই কিয়ামত দিবসে তার জন্য সাক্ষ্য দিবে।
باب رَفْعِ الصَّوْتِ بِالنِّدَاءِ
৩৬৮ـ عَنْ أبي سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ الله يَقُوْلُ إِنَّهُ لا يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلا إِنْسٌ وَلا شَيْءٌ إِلا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. (بخارى:৬০৯)
Raising the voice in pronouncing the Adhan
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri
Whoever hears the Adhan, whether a human being, a jinn or any other creature, will be a witness for you on the Day of Resurrection.
পরিচ্ছেদঃ আযানের শব্দ শুনে যুদ্ধ ও রক্তপাত বন্ধ করা
৩৬৯) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন আমাদেরকে নিয়ে কোন সম্প্রদায়ের সাথে জিহাদ করতে যেতেন তখন সকাল না হওয়া পর্যন্ত এবং ভালভাবে যাচাই না করে লড়াই শুরু করতেন না। যদি আযানের আওয়ায শুনতে পেতেন তাহলে আক্রমণ করা হতে বিরত থাকতেন। আর আযানের শব্দ না শুনা গেলে তাদের উপর হামলা করতেন।
باب مَا يُحْقَنُ بِالأَذَانِ مِنَ الدِّمَاءِ
৩৬৯ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ إِذَا غَزَا بِنَا قَوْمًا، لَمْ يَكُنْ يَغْزُو بِنَا حَتَّى يُصْبِحَ وَيَنْظُرَ، فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا كَفَّ عَنْهُمْ، وَإِنْ لَمْ يَسْمَعْ أَذَانًا أَغَـارَ عَلَيْهِمْ. (بخارى:৬১০)
To suspend fighting on hearing the Adhan
Anas bin Malik said, "Whenever the Prophet (ﷺ) went out with us to fight (in Allah's cause) against any nation, he never allowed us to attack till morning and he would wait and see: if he heard Adhan he would postpone the attack and if he did not hear Adhan he would attack them."
পরিচ্ছেদঃ মুআয্যিনের আওয়ায শুনলে যা বলবে
৩৭০) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যখন তোমরা মুআয্যিনের আযান শুনবে তখন জবাবে আযানের শব্দগুলো অনুরূপভাবে মুখে উচ্চরণ করবে।
টিকাঃ হাদীছ থেকে জানা গেল, আযানের আগে ও পরে তাসবীহ, তাহ্লীল, দুরূদ, সালাম ইত্যাদি করা নাজায়েয।
باب مَا يَقُولُ إِذَا سَمِعَ الْمُنَادِي
৩৭০ـ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ، فَقُولُوا مِثلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ.
What to say on hearing the Adhan
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whenever you hear the Adhan, say what the Mu'adh-dhin is saying.
পরিচ্ছেদঃ মুআয্যিনের আওয়ায শুনলে যা বলবে
৩৭১) মুআবীয়া (রাঃ) হতে উপরোক্ত হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে। সেখানে রয়েছে যে, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার্ রাসূলুল্লাহ পর্যন্ত মুআয্যিনের মতই বলবে। আর মুআয্যিন যখন হাইয়্যা আলাস্ সালাহ, হাইয়্যা আলাল্ ফালাহ বলবে তখন শ্রোতা বলবেঃ (لاَحَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إلاَّبِاللهِ) লা-হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। মুআবীয়া বলেনঃ আমি তোমাদের নবীকে এ কথাগুলো এভাবেই বলতে শুনেছি।
باب مَا يَقُولُ إِذَا سَمِعَ الْمُنَادِي
৩৭১ـ عَنْ مُعَاوِيَةَ مِثلَهُ إِلَى قَوْلِهِ: وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. ولَمَّا قَالَ: حَيَّ عَلَى الصَّلاةِ قَالَ لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ. وَقَالَ: هَكَذَا سَمِعْنَا نَبِيَّكُمْ يَقُولُ
What to say on hearing the Adhan
"When the Mu'adh-dhin said, "Haiyi `alassala (come for the prayer)." Muawiya said, "La hawla wala quwata illa billah (There is neither might nor any power except with Allah)" and added, "We heard your Prophet saying the same."
পরিচ্ছেদঃ আযানের দু’আ
৩৭২) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু’আ পাঠ করবেঃ
اللهم رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَ الفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَهُ
‘‘হে আল্লাহ্ এই পরিপূর্ণ আহবান এবং এই প্রতিষ্ঠিত নামাযের তুমিই প্রভু। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দান কর সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা। তাকে প্রতিষ্ঠিত কর প্রশংসিত স্থানে যার অঙ্গিকার তুমি তাঁকে দিয়েছ, তার জন্য কিয়ামত দিবসে আমার শাফাআত আবশ্যক হয়ে যাবে।
باب الدُّعَاءِ عِنْدَ النِّدَاءِ
৩৭২ـ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ: اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ
Invocation at the time of Adhan
Narrated Jabir bin `Abdullah:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever after listening to the Adhan says, 'Allahumma Rabba hadhihi-dda` watit-tammah, was-salatil qa'imah, ati Muhammadan al-wasilata wal-fadilah, wa b`ath-hu maqaman mahmudan-il-ladhi wa`adtahu' [O Allah! Lord of this perfect call (perfect by not ascribing partners to You) and of the regular prayer which is going to be established, give Muhammad the right of intercession and illustriousness, and resurrect him to the best and the highest place in Paradise that You promised him (of)], then my intercession for him will be allowed on the Day of Resurrection".
পরিচ্ছেদঃ আযানের জন্য লটারী দেয়া বা লটারীর মাধ্যমে মুআয্যিন নিযুক্ত করা
৩৭৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ মানুষেরা যদি আযান দেয়া ও নামাযের প্রথম কাতারের ছাওয়াব সম্পর্কে জানতে পারত অতঃপর এও জানত যে লটারীতে অংশ গ্রহণ ব্যতীত তা অর্জন করা সম্ভব নয় তাহলে অবশ্যই তারা লটারীতে অংশ নিত। আর যদি তারা জানত যোহরের নামাযের জন্য প্রথম ওয়াক্তে আগমণের ফজীলত কত বেশী তাহলে তারা তাড়াতাড়ি করে প্রথম ওয়াক্তেই আগমণ করত। আর যদি তারা জানতে পারত ইশা ও ফজরের নামাযের ছাওয়াব কত বেশী তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ইশা এবং ফজরের জামাআতে শরীক হত।
باب الاِسْتِهَامِ فِي الأَذَانِ
৩৭৩ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا. (بخارى:৬১৫)
To draw lots for pronouncing the Adhan
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If the people knew the reward for pronouncing the Adhan and for standing in the first row (in congregational prayers) and found no other way to get that except by drawing lots they would draw lots, and if they knew the reward of the Zuhr prayer (in the early moments of its stated time) they would race for it (go early) and if they knew the reward of `Isha' and Fajr (morning) prayers in congregation, they would come to offer them even if they had to crawl."
পরিচ্ছেদঃ কেউ সময় বলে দিলে অন্ধ ব্যক্তি আযান দিতে পারে
৩৭৪) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই বেলাল (রাঃ) রাত থাকতেই আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পানাহার করতে থাক যতক্ষণ না আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম আযান দেয়। অতঃপর ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ তিনি ছিলেন একজন অন্ধ লোক। ভোর হয়েছে ভোর হয়েছে এ কথা না বলা পর্যন্ত তিনি আযান দিতেন না।
باب أَذَانِ الأَعْمَى إِذَا كَانَ لَهُ مَنْ يُخْبِرُهُ
৩৭৪ـ عَنْ ابْنِ عُمَرَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِنَّ بِلالا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ. ثمَّ قَالَ: وَكَانَ رَجُلاً أَعْمَى لا يُنَادِي حَتَّى يُقَالَ لَهُ أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ. (بخارى:৬১৭)
The Adhan pronounced by a blind man (is permissible) when there is a person to inform him about the time of the Salat (prayer)
Narrated Abdullah ibn umar:
The Prophet (ﷺ) said, "Bilal pronounces 'Adhan at night, so keep on eating and drinking (Suhur) till Ibn Um Maktum pronounces Adhan." (Salim added), "He was a blind man who would not pronounce the Adhan unless he was told that the day had dawned."
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় হলে আযান দেয়া
৩৭৫) হাফসা (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অভ্যাস ছিল যে, মুআয্যিন যখন ফজরের আযান দেয়ার জন্য দাঁড়াত এবং সকাল প্রকাশিত হয়ে যেত তখন ফজরের ফরয নামাযের পূর্বে হালকাভাবে দু’রাকআত সুন্নাত নামায পড়তেন।
باب الأَذَانِ بَعْدَ الْفَجْرِ
৩৭৫ـ عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ الله عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ إِذَا اعْتَكَفَ الْمُؤَذِّنُ لِلصُّبْحِ، وَبَدَا الصُّبْحُ، صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ تُقَامَ الصَّلاةُ. (بخارى:৬১৮)
The Adhan after Al-Fajr (dawn)
Narrated Hafsa:
When the Mu'adh-dhin pronounced the Adhan for Fajr prayer and the dawn became evident the Prophet ordered a two rak`at light prayer (Sunna) before the Iqama of the compulsory (congregational) prayer.
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সময় হওয়ার পূর্বে আযান দেয়া
৩৭৬) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কাউকে যেন বেলাল (রাঃ)এর আযান সাহুর খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কারণ তিনি রাত অবশিষ্ট থাকতেই আযান দেন। যাতে তাহাজ্জুদ নামাযরত ব্যক্তি অবসর নেয় এবং ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করেন। ফজর এরূপ নয় এই বলে তিনি আঙ্গুল দিয়ে ইঙ্গিত করে প্রথমে উপরের দিকে উঠিয়ে ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামালেন। অতঃপর বললেনঃ ফজর এরূপভাবে হয়ে থাকে এই বলে তিনি শাহাদাত অঙ্গুলীদ্বয়ের একটিকে অপরটির উপর রাখলেন। অতঃপর দু’টি আঙ্গুলকে ডান দিকে ও বাম দিকে প্রসারিত করে দিলেন।
باب الأَذَانِ قَبْلَ الْفَجْرِ
৩৭৬ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لا يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَوْ أَحَدًا مِنْكُمْ أَذَانُ بِلالٍ مِنْ سَحُورِهِ، فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ أَوْ يُنَادِي بِلَيْلٍ، لِيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ، وَلِيُنَبِّهَ نَائِمَكُمْ، وَلَيْسَ أَنْ يَقُولَ الْفَجْرُ، أَوِ الصُّبْحُ. وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ، وَرَفَعَهَا إِلَى فَوْقُ، وَطَأْطَأَ إِلَى أَسْفَلُ حَتَّى يَقُولَ هَكَذَا. قَالَ زُهَيْرٌ بِسَبَّابَتَيْهِ، إِحْدَاهُمَا فَوْقَ الأُخْرَى، ثمَّ مَدَّهَا عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ. (بخارى:৬২১)
The Adhan before Al-Fajr (dawn)
Narrated `Abdullah bin Mas`ud:
The Prophet (ﷺ) said, "The Adhan pronounced by Bilal should not stop you from taking Suhur, for he pronounces the Adhan at night, so that the one offering the late night prayer (Tahajjud) from among you might hurry up and the sleeping from among you might wake up. It does not mean that dawn or morning has started." Then he (the Prophet) pointed with his fingers and raised them up (towards the sky) and then lowered them (towards the earth) like this (Ibn Mas`ud imitated the gesture of the Prophet). Az-Zuhri gestured with his two index fingers which he put on each other and then stretched them to the right and left.
পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাঝখানে নামায আছে। তবে যে ইচ্ছা করে তার জন্য
৩৭৭) আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল আল-মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনবার বললেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাঝখানে নামায আছে। তবে যে পড়তে ইচ্ছা করে তার জন্য। অপর বর্ণনায় আছে, প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাঝখানে নামায আছে। প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাঝখানে নামায আছে। তৃতীয়বার বললেনঃ তবে যদি কেউ পড়তে ইচ্ছা করে তার জন্য।
باب بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلاَةٌ لِمَنْ شَاءَ
৩৭৭ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيِّ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلاةٌ-ثلاثا-لِمَنْ شَاءَ و في رواية بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلاةٌ، بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلاةٌ. ثم قال في الثالثة لِمَنْ شَاءَ. (بخارى: ৬২৭)
Between every two calls (Adhan and Iqama) there is a Salat (prayer) (that is optional) for the one who wants to offer it.
Narrated `Abdullah bin Mughaffal:
The prophet said, "There is a prayer between the two Adhans (Adhan and Iqama), there is a prayer between the two Adhans." And then while saying it the third time he added, "For the one who wants to (pray).
পরিচ্ছেদঃ সফরে একজন মুআয্যিনই যেন আযান দেয়
৩৭৮) মালেক বিন হুয়াইরিছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার গোত্রের একদল লোকসহ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আগমণ করলাম। তাঁর কাছে আমরা বিশদিন অবস্থান করলাম। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু এবং কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি যখন দেখলেন আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি উৎসুক হয়ে পড়েছি তখন তিনি আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা ফেরত গিয়ে তাদের সাথে বসবাস কর, তাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দাও এবং নামায কায়েম কর। যখন নামাযের সময় হবে তখন তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বড় তিনি ইমামতি করবেন।
باب مَنْ قَالَ لِيُؤَذِّنْ فِي السَّفَرِ مُؤَذِّنٌ وَاحِدٌ
৩৭৮ ـ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِث قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِي، فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكَانَ رَحِيمًا رَفِيقًا، فَلَمَّا رَأَى شَوْقَنَا إِلَى أَهَالِينَا، قَالَ ارْجِعُوا فَكُونُوا فِيهِمْ، وَعَلِّمُوهُمْ، وَصَلُّوا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ. (بخارى:৬২৮)
Whoever said that there should be one Mu'adh-dhin in the journey
Narrated Malik bin Huwairith:
I came to the Prophet (ﷺ) with some men from my tribe and stayed with him for twenty nights. He was kind and merciful to us. When he realized our longing for our families, he said to us, "Go back and stay with your families and teach them the religion, and offer the prayer and one of you should pronounce the Adhan for the prayer when its time is due and the oldest one amongst you should lead the prayer.
পরিচ্ছেদঃ সফরে একজন মুআয্যিনই যেন আযান দেয়
৩৭৯) মালেক বিন হুয়াইরিছ (রাঃ) হতে অপর বর্ণনায় এসেছে, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে দু’জন লোক আগমণ করল। তারা সফরের ইচ্ছা করেছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ যখন তোমরা সফরে বের হবে তখন নামাযের সময় হলে আযান দিবে এবং ইকামত দিবে। অতঃপর তোমাদের দু’জনের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বড় তিনি ইমামতি করবেন।
باب مَنْ قَالَ لِيُؤَذِّنْ فِي السَّفَرِ مُؤَذِّنٌ وَاحِدٌ
৩৭৯ـ و عَنهْ في رواية: أَتَى رَجُلانِ النَّبِيَّ يُرِيدَانِ السَّفَرَ، فَقَالَ النَّبِيُّ إِذَا أَنْتُمَا خَرَجْتُمَا، فَأَذِّنَا، ثمَّ أَقِيمَا، ثمَّ لِيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا. (بخارى:৬৩০)
Two men came to the Prophet (ﷺ) with the intention of a journey. The Prophet (ﷺ) said, "When (both of) you set out, pronounce Adhan and then Iqama and the oldest of you should lead the prayer.
পরিচ্ছেদঃ মুসাফিরের সংখ্যা একাধিক হলে তারা আযান ও ইকামত দিবে
৩৮০) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর অবস্থায় শীতের রাতে অথবা বৃষ্টির রাতে মুআয্যিনকে আযান দেয়ার আদেশ দিতেন এবং আযানের শেষে এ কথা বলার আদেশ দিতেন, ‘‘তোমরা নিজ নিজ অবস্থানে নামায আদায় করে নাও’’।
৩৮০ـ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يَأْمُرُ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ، ثمَّ يَقُولُ عَلَى إِثرِهِ أَلا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ، فِي اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ، أَوِ الْمَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ. (بخارى:৬৩২)
Narrated Ibn `Umar:
that the Allah's Messenger (ﷺ) asked the Mu'adh-dhin to pronounce Adhan and said "Pray at your homes" at the end of the Adhan on a rainy or a very cold night during the journey."
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির কথা, আমাদের নামায ছুটে গেছে
৩৮১) আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নামায পড়ছিলাম। এমন সময় তিনি কতিপয় লোকের শোরগোল শুনলেন। নামায শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কি হয়েছে? তারা বললঃ আমরা জামাআতে শামিল হওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করেছিলাম। তিনি বললেনঃ এরূপ করোনা। যখন তোমরা নামাযে আসবে তখন স্বভাবিক গতিতে আগমণ করবে। যতটুকু নামায পাবে তা আদায় করবে আর যতটুকু ছুটে যাবে তা পূর্ণ করে নিবে।
باب قَوْلِ الرَّجُلِ فَاتَتْنَا الصَّلاَةُ
৩৮১ـ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ إِذْ سَمِعَ جَلَبَةَ رِجَالٍ، فَلَمَّا صَلَّى قَالَ مَا شَأْنُكُمْ؟ قَالُوا: اسْتَعْجَلْنَا إِلَى الصَّلاةِ. قَالَ فَلا تَفْعَلُوا إِذَا أَتَيْتُمُ الصَّلاةَ فَعَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ، فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا، وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا. (بخارى:৬৩৫)
The saying of a person "We have missed As-Salat (the prayer)"
Narrated `Abdullah bin Abi Qatada:
My father said, "While we were praying with the Prophet (ﷺ) he heard the noise of some people. After the prayer he said, 'What is the matter?' They replied 'We were hurrying for the prayer.' He said, 'Do not make haste for the prayer, and whenever you come for the prayer, you should come with calmness, and pray whatever you get (with the people) and complete the rest which you have missed."
পরিচ্ছেদঃ ইকামতের সময় ইমামকে দেখে মুক্তাদীরা কখন দাঁড়াবে?
৩৮২) আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যখন নামাযের ইকামত দেয়া হবে তখন আমাকে না দেখে তোমরা দাঁড়াবেনা।
باب مَتَى يَقُومُ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الإِمَامَ عِنْدَ الإِقَامَةِ
৩৮২ـ وعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاةُ فَلا تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِي. (بخارى:৬৩৭)
When should the people get up for the Salat (prayer) if they see the Imam (the person leading Salat) during the Iqama?
Narrated `Abi Qatada:
"Allah's Messenger (ﷺ) said, 'If the Iqama is pronounced then do not stand for the prayer till you see me (in front of you).'
পরিচ্ছেদঃ ইকামত হয়ে যাওয়ার পর ইমামের কোন প্রয়োজন দেখা দিলে
৩৮৩) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নামাযের ইকামত হয়ে যাওয়ার পরও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদের এক পার্শ্বে একজন লোকের সাথে গোপন আলাপ করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ততক্ষণ পর্যন্ত নামাযে দাঁড়ালেন না যতক্ষণ না কতিপয় লোক নিদ্রামগ্ন হয়ে গেল।
باب الإِمَامِ تَعْرِضُ لَهُ الْحَاجَةُ بَعْدَ الإِقَامَةِ
৩৮৩ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: أُقِيمَتِ الصَّلاةُ وَالنَّبِيُّ يُنَاجِي رَجُلا فِي جَانِبِ الْمَسْجِدِ، فَمَا قَامَ إِلَى الصَّلاةِ حَتَّى نَامَ الْقَوْمُ. (بخارى:৬৪২)
If the Imam is confronted with a problem after the Iqama
Narrated Anas:
Once the Iqama was pronounced and the Prophet (ﷺ) was talking to a man (in a low voice) in a corner of the mosque and he did not lead the prayer till (some of) the people had slept (dozed in a sitting posture).
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে নামায আদায় করা ওয়াজিব
৩৮৪) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, কাঠ সংগ্রহ করার আদেশ দিব। তা সংগ্রহ করা হলে আমি নামাযের জন্য আযান দেয়ার আদেশ দিব এবং একজন লোককে নামাযের ইমামতি করার আদেশ করব। তারপর আমি ঐ সমস্ত লোকদের বাড়ীতে যাব যারা জামাআতে শরীক হয়নি। অতঃপর তাদের ঘরগুলো জ্বালিয়ে দিব। ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, তাদের কেউ যদি জানত যে, মসজিদে গোশতযুক্ত একটি হাড্ডি অথবা বকরীর ভাল দু’টি খুর পাবে তাহলে সে অবশ্যই ইশার নামাযে হাজির হত।
باب وُجُوبِ صَلاَةِ الْجَمَاعَةِ
৩৮৪ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ، ثمَّ آمُرَ بِالصَّلاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا، ثمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيَؤُمَّ النَّاسَ، ثمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَرْقًا سَمِينً،ا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ، لَشَهِدَ الْعِشَاءَ. (بخارى:৬৪৪)
Congregational Salat (prayer) is obligatory.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my soul is I was about to order for collecting firewood (fuel) and then order Someone to pronounce the Adhan for the prayer and then order someone to lead the prayer then I would go from behind and burn the houses of men who did not present themselves for the (compulsory congregational) prayer. By Him, in Whose Hands my soul is, if anyone of them had known that he would get a bone covered with good meat or two (small) pieces of meat present in between two ribs, he would have turned up for the `Isha' prayer.'