পরিচ্ছেদঃ ১. কি ধরনের এবং কি পরিমাণ সম্পদে যাকাত দেওয়া ওয়াজিব
রেওয়ায়ত ১. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ পাঁচটির কম উটে যাকাত ওয়াজিব হয় না। পাঁচ উকিয়া হইতে কম রৌপ্য এবং পাঁচ অছক হইতে কম পরিমাণ শস্যেও যাকাত (উশর) ফরয হয় না।[1]
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ
Yahya related to me from Malik from Amr ibn Yahya al-Mazini that his father said that he had heard Abu Said al-Khudri say that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "There is no zakat on less than five camels, there is no zakat on less than five awaq (two hundred dirhams of pure silver) and there is no zakat on less than five awsuq (three hundred sa)."
পরিচ্ছেদঃ ১. কি ধরনের এবং কি পরিমাণ সম্পদে যাকাত দেওয়া ওয়াজিব
রেওয়ায়ত ২. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ পাঁচ আছক হইতে কম পরিমাণ খেজুরে যাকাত (উশর) নাই। পাচ উকিয়া হইতে কম পরিমাণ রৌপ্যে এবং পাঁচটির কম উটে যাকাত ফরয হয় না।
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ مِنْ التَّمْرِ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقِيَّ مِنْ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ مِنْ الْإِبِلِ صَدَقَةٌ
Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn Abdullah ibn Abd arRahman ibn Abi Sasaca al-Ansari from al-Mazini from his father from Abu Said al-Khudri that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "There is no zakat on less than five awsuq of dates, there is no zakat on less than five awaq of silver and there is no zakat on less than five camels."
পরিচ্ছেদঃ ১. কি ধরনের এবং কি পরিমাণ সম্পদে যাকাত দেওয়া ওয়াজিব
রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) দামেশকে নিযুক্ত শাসনকর্তাকে লিখিয়া পাঠাইলেন-স্বর্ণ, রৌপ্য, শস্য এবং পশুপালে যাকাত ধার্য করা হইয়া থাকে
মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিন প্রকার বস্তুতে যাকাত ধার্য হয়-ক্ষেতের শস্য, স্বর্ণ-রৌপ্য এবং পশুপালে।
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى عَامِلِهِ عَلَى دِمَشْقَ فِي الصَّدَقَةِ إِنَّمَا الصَّدَقَةُ فِي الْحَرْثِ وَالْعَيْنِ وَالْمَاشِيَةِ قَالَ مَالِك وَلَا تَكُونُ الصَّدَقَةُ إِلَّا فِي ثَلَاثَةِ أَشْيَاءَ فِي الْحَرْثِ وَالْعَيْنِ وَالْمَاشِيَةِ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn Abd al-Aziz wrote to his governor in Damascus about zakat saying, "Zakat is paid on the produce of ploughed land, on gold and silver, and on livestock."
Malik said, "Zakat is only paid on three things:
the produce of ploughed land, gold and silver, and livestock."
পরিচ্ছেদঃ ২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৪. মুহাম্মদ ইবন উকবা (রহঃ) কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ আমার মুকাতাব[1] চুক্তিকৃত দাসের সঙ্গে একটি বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে মুকতাআ[2] করিয়া ফেলিয়াছি। ইহাতেও কি যাকাত দিতে হইবে?
কাসিম (রহঃ) উত্তরে বললেন, পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) কোন মালের যাকাত লইতেন না। কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, কাহাকেও সরকারী ভাতা প্রদানের সময় আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) জিজ্ঞাসা করিয়া নিতেন, আপনার এমন ধন-সম্পদ আছে কি যাহাতে যাকাত দেওয়া ওয়াজিব হয়? ঐ ব্যক্তি স্বীকারোক্তি করিলে তিনি দেয় ভাতা হইতে ইহা কাটিয়া রাখতেন। স্বীকার না করিলে ভাতা সম্পূর্ণটাই দিয়া যেতেন। কিছুই রাখিয়া দিতেন না।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ مُكَاتَبٍ لَهُ قَاطَعَهُ بِمَالٍ عَظِيمٍ هَلْ عَلَيْهِ فِيهِ زَكَاةٌ فَقَالَ الْقَاسِمُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ لَمْ يَكُنْ يَأْخُذُ مِنْ مَالٍ زَكَاةً حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ قَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَعْطَى النَّاسَ أَعْطِيَاتِهِمْ يَسْأَلُ الرَّجُلَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِذَا قَالَ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِهِ زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قَالَ لَا أَسْلَمَ إِلَيْهِ عَطَاءَهُ وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا
[2] চুক্তি করার সময় কিস্তিবন্দী অনুসারে টাকা দেওয়ার শর্ত হইয়াছিল কিন্তু পরে মালিকের সম্মতিতে মুকাতিব-কে দেয় মোট অংক হইতে কমে এককালীন টাকা আদায় করিয়া আযাদ হইয়া গেলে ইহাকে মুকতাআ বলা হয়।
Yahya related to me from Malik that Muhammad ibn Uqba, the mawla of az Zubayr, asked al-Qasim ibn Muhammad whether he had to pay any zakat on a large sum given to him by his slave to buy his freedom. Al- Qasim said, "Abu Bakr as-Siddiq did not take zakat from anyone's property until it had been in his possession for a year."
Al- Qasim ibn Muhammad continued, "When Abu Bakr gave men their allowances he would ask them, 'Do you have any property on which zakat is due?' If they said, 'Yes,' he would take the zakat on that property out of their allowances. If they said, 'No,' he would hand over their allowances to them without deducting anything from them."
পরিচ্ছেদঃ ২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৫. আয়েশা বিনত কোদামা (রাঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ বাৎসরিক ভাতা নেওয়ার জন্য উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর নিকট যখন আসিতাম তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিতেনঃ যাকাত ধার্য হওয়ার মত কোন সম্পদ আপনার নিকট রহিয়াছে কি?
আমি হ্যাঁ-সূচক জবাব প্ৰদান করিলে তিনি এই ভাতা হইতে যাকাত পরিমাণ অংক কাটিয়া রাখতেন, আর না বলিলে সম্পূর্ণ ভাতা দিয়া দিতেন।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ قُدَامَةَ عَنْ أَبِيهَا أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ إِذَا جِئْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَقْبِضُ عَطَائِي سَأَلَنِي هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ قَالَ فَإِنْ قُلْتُ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِي زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قُلْتُ لَا دَفَعَ إِلَيَّ عَطَائِي
Yahya related to me from Malik from Urwa ibn Husayn from A'isha bint Qudama that her father said, "When I used to come to Uthman ibn Affan to collect my allowance he would ask me, 'Do you have any property on which zakat is due? 'If I said, 'Yes,' he would deduct the zakat on that property from my allowance, and if I said, 'No,' he would pay me my allowance (in full)."
পরিচ্ছেদঃ ২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রহঃ) বর্ণনা করেন- আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বলতেনঃ সম্পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন সম্পদে যাকাত ফরয হয় না।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ لَا تَجِبُ فِي مَالٍ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say, "Zakat does not have to be paid on property until a year has elapsed over it."
পরিচ্ছেদঃ ২. স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৭. ইবন শিহাব (রহঃ) বলেনঃ সর্বপ্রথম মুয়াবিয়া (রাঃ)-ই বেতন হইতে যাকাত আদায় করেন। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত প্রচলিত পদ্ধতি হইল- দুই শত দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) পরিমাণ অংকে যেমন যাকাত ধার্য করা হইয়া থাকে তেমনি বিশ দীনার[1] (স্বর্ণমুদ্রা) পরিমাণ অংকেও যাকাত ফরয হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, দীনার ওজনে কম হইলে এবং প্রকৃত মূল্য বিশ দীনার না হইলে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। অনুরূপ বিশ দীনারের বেশি হইলে এবং প্রকৃত মূল্য বিশ দীনার পরিমাণ হইলে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, বিশ দীনার হইতে কম পরিমাণ অংকে যাকাত ফরয হয় না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুই শত দিরহাম পরিমাণ অংক ওজনে হালকা হইলে এবং প্রকৃত মূল্য দুইশত দিরহাম না হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। সংখ্যায় দুই শতের বেশি হইলেও যদি প্রকৃত মূল্য দুইশত দিরহামের হয়, তবে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কাহারও নিকট যদি এক শত ষাট দিরহাম থাকে এবং সে যে অঞ্চলে বসবাস করে সেই শহরে এক দীনার সমান আট দিরহাম হিসেবে হইলেও (যদি সেই অনুপাতে একশত ষাট দিরহাম সমান বিশ দীনার হইয়া যায় তবুও) ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। কেননা যাকাত ফরয হওয়ার জন্য কাহারও নিকট বিশ দীনার বা দুইশত দিরহাম থাকিতে হইবে।[2]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ পাঁচ দীনার পরিমাণ অর্থ নিয়া একজন ব্যবসা শুরু করিল। বৎসর শেষ হইতে না হইতেই সে যাকাত পরিমাণ দীনারের মালিক হইয়া পড়িলে তাহাকে যাকাত আদায় করিতে হইবে। বৎসর সম্পূর্ণ হওয়ার একদিন পূর্বে বা পরে ঐ পরিমাণ দীনারের মালিক হইলেও যাকাত দিতে হইবে। পরে এই যাকাত প্রদানের দিন হইতে দ্বিতীয় এক বৎসর পূর্ণ অতিক্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আর তাহাকে যাকাত দিতে হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেহ দশ দীনার নিয়া ব্যবসা শুরু করিল, পূর্ণ বৎসর অতিক্রান্ত হইতে না হইতে সে বিশ দীনারের মালিক হইল। তাহার উপর যাকাত ধার্য করা হইবে। যেদিন হইতে বিশ দীনারের মালিক হইল সেইদিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রাপ্ত হইতে হইবে, এরূপ নয়। কেননা বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় সে বিশ দীনারের মালিক। পরে দ্বিতীয় এক বৎসর পূর্ণ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর তাহার উপর যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হইল, ক্রীতদাস কর্তৃক উপার্জিত মজুরি, ভাড়া এবং কিতাবত-চুক্তির বিনিময়ে প্রদত্ত অর্থ বা সম্পদে কম হউক বা বেশি হউক যাকাত ধার্য হইবে না, যতদিন মালিক কর্তৃক অর্থপ্রাপ্তির দিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্বর্ণ বা রৌপ্যে যদি কয়েকজনের হিস্যা থাকে তবে যাহার হিস্যা বিশ দীনার (স্বর্ণ হইলে) বা দুইশত দিরহাম (রৌপ্য হইলে) পরিমাণ হইবে তাহার উপর যাকাত ধার্য হইবে। যাহার হিস্যা ইহার চেয়ে কম হইবে তাহার উপর যাকাত ফরয হইবে না। সকলের হিস্যাই যদি নিসাব পরিমাণ হয় কিন্তু কাহারও কম আর কাহারও বেশি হয় তবে প্রত্যেকের উপরই নিজ নিজ হিস্যানুসারে যাকাত ফরয হইবে। উহা এই জন্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ রৌপ্য পাঁচ উকিয়ার কম হইলে যাকাত ওয়াজিব নহে।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমি এ বিষয়ে যাহা কিছু শুনিয়াছি উহাদের মধ্যে উল্লিখিত ফয়সালাটি আমার পছন্দনীয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, কাহারও মালিকানাধীন স্বর্ণ ও রৌপ্য বিভিন্নজনের নিকট বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িয়া থাকিলে সাকল্য টাকা হিসাব করিয়া যাকাত দিতে হইবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্বর্ণ বা রৌপ্য যদি কেহ প্রাপ্ত হয়, তবে প্রাপ্তির দিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَوَّلُ مَنْ أَخَذَ مِنْ الْأَعْطِيَةِ الزَّكَاةَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ
قَالَ مَالِك السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا أَنَّ الزَّكَاةَ تَجِبُ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا كَمَا تَجِبُ فِي مِائَتَيْ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك لَيْسَ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا نَاقِصَةً بَيِّنَةَ النُّقْصَانِ زَكَاةٌ فَإِنْ زَادَتْ حَتَّى تَبْلُغَ بِزِيَادَتِهَا عِشْرِينَ دِينَارًا وَازِنَةً فَفِيهَا الزَّكَاةُ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا الزَّكَاةُ وَلَيْسَ فِي مِائَتَيْ دِرْهَمٍ نَاقِصَةً بَيِّنَةَ النُّقْصَانِ زَكَاةٌ فَإِنْ زَادَتْ حَتَّى تَبْلُغَ بِزِيَادَتِهَا مِائَتَيْ دِرْهَمٍ وَافِيَةً فَفِيهَا الزَّكَاةُ فَإِنْ كَانَتْ تَجُوزُ بِجَوَازِ الْوَازِنَةِ رَأَيْتُ فِيهَا الزَّكَاةَ دَنَانِيرَ كَانَتْ أَوْ دَرَاهِمَ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ عِنْدَهُ سِتُّونَ وَمِائَةُ دِرْهَمٍ وَازِنَةً وَصَرْفُ الدَّرَاهِمِ بِبَلَدِهِ ثَمَانِيَةُ دَرَاهِمَ بِدِينَارٍ أَنَّهَا لَا تَجِبُ فِيهَا الزَّكَاةُ وَإِنَّمَا تَجِبُ الزَّكَاةُ فِي عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ خَمْسَةُ دَنَانِيرَ مِنْ فَائِدَةٍ أَوْ غَيْرِهَا فَتَجَرَ فِيهَا فَلَمْ يَأْتِ الْحَوْلُ حَتَّى بَلَغَتْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ أَنَّهُ يُزَكِّيهَا وَإِنْ لَمْ تَتِمَّ إِلَّا قَبْلَ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ أَوْ بَعْدَ مَا يَحُولُ عَلَيْهَا الْحَوْلُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ ثُمَّ لَا زَكَاةَ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ زُكِّيَتْ وَقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَانَتْ لَهُ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَتَجَرَ فِيهَا فَحَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ وَقَدْ بَلَغَتْ عِشْرِينَ دِينَارًا أَنَّهُ يُزَكِّيهَا مَكَانَهَا وَلَا يَنْتَظِرُ بِهَا أَنْ يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ بَلَغَتْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ لِأَنَّ الْحَوْلَ قَدْ حَالَ عَلَيْهَا وَهِيَ عِنْدَهُ عِشْرُونَ ثُمَّ لَا زَكَاةَ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ زُكِّيَتْ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي إِجَارَةِ الْعَبِيدِ وَخَرَاجِهِمْ وَكِرَاءِ الْمَسَاكِينِ وَكِتَابَةِ الْمُكَاتَبِ أَنَّهُ لَا تَجِبُ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الزَّكَاةُ قَلَّ ذَلِكَ أَوْ كَثُرَ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمِ يَقْبِضُهُ صَاحِبُهُ وَقَالَ مَالِك فِي الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ يَكُونُ بَيْنَ الشُّرَكَاءِ إِنَّ مَنْ بَلَغَتْ حِصَّتُهُ مِنْهُمْ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَعَلَيْهِ فِيهَا الزَّكَاةُ وَمَنْ نَقَصَتْ حِصَّتُهُ عَمَّا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ وَإِنْ بَلَغَتْ حِصَصُهُمْ جَمِيعًا مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَكَانَ بَعْضُهُمْ فِي ذَلِكَ أَفْضَلَ نَصِيبًا مِنْ بَعْضٍ أُخِذَ مِنْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ إِذَا كَانَ فِي حِصَّةِ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنْ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَإِذَا كَانَتْ لِرَجُلٍ ذَهَبٌ أَوْ وَرِقٌ مُتَفَرِّقَةٌ بِأَيْدِي أُنَاسٍ شَتَّى فَإِنَّهُ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُحْصِيَهَا جَمِيعًا ثُمَّ يُخْرِجَ مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ زَكَاتِهَا كُلِّهَا قَالَ مَالِك وَمَنْ أَفَادَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا إِنَّهُ لَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ أَفَادَهَا
[2] উল্লেখ্য, যদি এই কম ওজন সমান দিরহাম বা দীনার যথার্থ ওজনের দিরহাম বা দীনারের মতই চালু থাকে তবে ইহাতেও যাকাত ধার্য হইবে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. খনিজ দ্রব্যের যাকাত
রেওয়ায়ত ৮. রবীআ ইবন আবু আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে একাধিকজন বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’ফুরআ’ অঞ্চলে অবস্থিত কাবালিয়া খনিসমূহ বিলাল ইবন হারিস মুযানীকে জায়গীর হিসাবে দিয়াছিলেন। এইগুলি হইতে আজ পর্যন্ত যাকাত ব্যতীত আর কিছুই লওয়া হয় না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ খনি হইতে উত্তোলিত দ্রব্যের মূল্য দুইশত দিরহাম বা বিশ দীনারের পরিমাণ না হওয়া পর্যন্ত উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। কিন্তু ঐ পরিমাণ হইলে উহাতে যাকাত ধার্য করা হইবে। ইহার বেশি হইলে সেই অনুপাতে যাকাত নেওয়া হইবে। খনি মাঝখানে বন্ধ হইয়া যাওয়ার পর যদি আবার চালু হয় তবে সর্বপ্রথম চালু হওয়ার সময় যেমন যাকাত ধার্য করা হইয়াছিল তেমনি ইহাতে পুনরায় যাকাত ধার্য করা হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ খনি শস্যক্ষেত্রের মতই, শস্যক্ষেত্রে যেমন ফসল উৎপন্ন হইলে উহাতে যাকাত ধার্য হয়, তেমনি খনি হইতে খনিজ দ্ৰব্য উত্তোলিত হইলে ইহা হইতে যাকাত নেওয়া হইবে। পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার অপেক্ষা করা হইবে না।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الْمَعَادِنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطَعَ لِبِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُزَنِيِّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ وَهِيَ مِنْ نَاحِيَةِ الْفُرُعِ فَتِلْكَ الْمَعَادِنُ لَا يُؤْخَذُ مِنْهَا إِلَى الْيَوْمِ إِلَّا الزَّكَاةُ
قَالَ مَالِك أَرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّهُ لَا يُؤْخَذُ مِنْ الْمَعَادِنِ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا شَيْءٌ حَتَّى يَبْلُغَ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا قَدْرَ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ فَفِيهِ الزَّكَاةُ مَكَانَهُ وَمَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ أُخِذَ بِحِسَابِ ذَلِكَ مَا دَامَ فِي الْمَعْدِنِ نَيْلٌ فَإِذَا انْقَطَعَ عِرْقُهُ ثُمَّ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ نَيْلٌ فَهُوَ مِثْلُ الْأَوَّلِ يُبْتَدَأُ فِيهِ الزَّكَاةُ كَمَا ابْتُدِئَتْ فِي الْأَوَّلِ قَالَ مَالِك وَالْمَعْدِنُ بِمَنْزِلَةِ الزَّرْعِ يُؤْخَذُ مِنْهُ مِثْلُ مَا يُؤْخَذُ مِنْ الزَّرْعِ يُؤْخَذُ مِنْهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ الْمَعْدِنِ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ وَلَا يُنْتَظَرُ بِهِ الْحَوْلُ كَمَا يُؤْخَذُ مِنْ الزَّرْعِ إِذَا حُصِدَ الْعُشْرُ وَلَا يُنْتَظَرُ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman from more than one source that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, assigned the mines of al Qabaliyya, which is in the direction of al-Fur, to Bilal ibn Harith al-Mazini, and nothing has been taken from them up to this day except zakat.
Malik said, "In my opinion, and Allah knows best, nothing is taken from what comes out of mines until what comes out of them reaches a value of twenty gold dinars or two hundred silver dirhams. When it reaches that amount there is zakat to pay on it where it is on the spot. Zakat is levied on anything over that, according to how much of it there is as long as there continues to be a supply from the mine. If the vein runs out, and then after a while more becomes obtainable, the new supply is dealt with in the same way as the first, and payment of zakat on it is begun on it as it was begun on the first.
Malik said, "Mines are dealt with like crops, and the same procedure is applied to both. Zakat is deducted from what comes out of a mine on the day it comes out, without waiting for a year, just as a tenth is taken from a crop at the time it is harvested, without waiting for a year to elapse over it."
পরিচ্ছেদঃ ৪. রিকায বা ভূগর্তে প্রোথিত গুপ্তধনের যাকাত
রেওয়ায়ত ৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদে এক-পঞ্চমাংশ যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ বিজ্ঞ আলিমদের নিকট যাহা শুনিয়াছি এবং যাহাতে কোন দ্বিমত নাই তাহা এই— তাহারা বলিতেনঃ রিকায হইল পরিশ্রম ও টাকা ব্যয় ব্যতিরেকে হস্তগত অমুসলিম কর্তৃক ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদ। ইহা হস্তগত করিতে বিরাট শ্রম ও টাকার প্রয়োজন হইলে এবং কখনও কৃতকার্য কখনও অকৃতকার্য হইলে আর ইহা রিকায বলিয়া গণ্য হইবে না। ইহাতে তখন হিসাবানুসারে কেবল যাকাত ধার্য হইবে।
بَاب زَكَاةِ الرِّكَازِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي سَمِعْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ يَقُولُونَهُ إِنَّ الرِّكَازَ إِنَّمَا هُوَ دِفْنٌ يُوجَدُ مِنْ دِفْنِ الْجَاهِلِيَّةِ مَا لَمْ يُطْلَبْ بِمَالٍ وَلَمْ يُتَكَلَّفْ فِيهِ نَفَقَةٌ وَلَا كَبِيرُ عَمَلٍ وَلَا مَئُونَةٍ فَأَمَّا مَا طُلِبَ بِمَالٍ وَتُكُلِّفَ فِيهِ كَبِيرُ عَمَلٍ فَأُصِيبَ مَرَّةً وَأُخْطِئَ مَرَّةً فَلَيْسَ بِرِكَازٍ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Said ibn al- Musayyab and from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace ,said, "There is a tax of a fifth on buried treasure."
Malik said, "The position which we are agreed upon, and which I have heard the people of knowledge mentioning, is that rikaz refers to treasure which has been found which was buried during the jahiliyya, as long as neither capital is required, nor expense, great labour or inconvenience incurred in recovering it. If capital is required or great labour is incurred, or on one occasion the mark is hit and on another it is missed, then it is not rikaz."
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ধরনের দ্রব্যে যাকাত ধার্য করা হয় না
রেওয়ায়ত ১০. আবদুর রহমান ইবন কাসিম (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নী আয়েশা (রাঃ) তাহার ভ্রাতা মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রাঃ)-এর ইয়াতীম ছেলে-মেয়েদের লালন-পালন করিতেন। ইহাদের অনেকেরই অলংকার ছিল। কিন্তু আয়েশা (রাঃ) এইগুলির যাকাত আদায় করিতেন না।
بَاب مَا لَا زَكَاةَ فِيهِ مِنْ الْحُلِيِّ وَالتِّبْرِ وَالْعَنْبَرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تَلِي بَنَاتَ أَخِيهَا يَتَامَى فِي حَجْرِهَا لَهُنَّ الْحَلْيُ فَلَا تُخْرِجُ مِنْ حُلِيِّهِنَّ الزَّكَاةَ
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim from his father that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, used to look after the orphaned daughters of her brother in her house. They had jewellery (which they wore) and she did not take zakat from this jewellery of theirs.
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ধরনের দ্রব্যে যাকাত ধার্য করা হয় না
রেওয়ায়ত ১১ নাফি’ (রহঃ) বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) স্বীয় কন্যা ও ক্রীতদাসীদেরকে স্বর্ণের অলংকার পরাইতেন। তিনি সমস্ত অলংকারের যাকাত দিতেন না।[1]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কাহারও নিকট যদি স্বর্ণ বা রৌপ্যের পিণ্ড থাকে এবং ইহা কাজে না লাগায় তবে নিসাব পরিমাণ হইলে ইহাতে বাৎসরিক চল্লিশ ভাগের এক ভাগ হারে যাকাত ধার্য হইবে। অলংকার তৈয়ারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত পিণ্ড বা মেরামতের উদ্দেশ্যে রক্ষিত ভগ্ন অলংকার গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মাল আসবাবের মত। ইহাতে যাকাত ফরয হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মোতি, কস্তুরী, আম্বর ইত্যাদি সুগন্ধি দ্রব্যে যাকাত ফরয হয় না।
بَاب مَا لَا زَكَاةَ فِيهِ مِنْ الْحُلِيِّ وَالتِّبْرِ وَالْعَنْبَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُحَلِّي بَنَاتَهُ وَجَوَارِيَهُ الذَّهَبَ ثُمَّ لَا يُخْرِجُ مِنْ حُلِيِّهِنَّ الزَّكَاةَ
قَالَ مَالِك مَنْ كَانَ عِنْدَهُ تِبْرٌ أَوْ حَلْيٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ لَا يُنْتَفَعُ بِهِ لِلُبْسٍ فَإِنَّ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةَ فِي كُلِّ عَامٍ يُوزَنُ فَيُؤْخَذُ رُبُعُ عُشْرِهِ إِلَّا أَنْ يَنْقُصَ مِنْ وَزْنِ عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَإِنْ نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَلَيْسَ فِيهِ زَكَاةٌ وَإِنَّمَا تَكُونُ فِيهِ الزَّكَاةُ إِذَا كَانَ إِنَّمَا يُمْسِكُهُ لِغَيْرِ اللُّبْسِ فَأَمَّا التِّبْرُ وَالْحُلِيُّ الْمَكْسُورُ الَّذِي يُرِيدُ أَهْلُهُ إِصْلَاحَهُ وَلُبْسَهُ فَإِنَّمَا هُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمَتَاعِ الَّذِي يَكُونُ عِنْدَ أَهْلِهِ فَلَيْسَ عَلَى أَهْلِهِ فِيهِ زَكَاةٌ قَالَ مَالِك لَيْسَ فِي اللُّؤْلُؤِ وَلَا فِي الْمِسْكِ وَلَا الْعَنْبَرِ زَكَاةٌ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to adorn his daughters and slave-girls with gold jewellery and he did not take any zakat from their jewellery.
Malik said, "Anyone who has unminted gold or silver, or gold and silver jewellery which is not used for wearing, must pay zakat on it every year. It is weighed and one-fortieth is taken, unless it falls short of twenty dinars of gold or two hundred dirhams of silver, in which case there is no zakat to pay. Zakat is paid only when jewellery is kept for purposes other than wearing. Bits of gold and silver or broken jewellery which the owner intends to mend to wear are in the same position as goods which are worn by their owner - no zakat has to be paid on them by the owner."
Malik said, "There is no zakat (to pay) on pearls, musk or amber."
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইয়াতীমদের সম্পত্তির যাকাত এবং ইহা ব্যবসায়ে খাটান
রেওয়ায়ত ১২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ ইয়াতীম পিতৃহারাদের ধন-সম্পত্তি ব্যবসায়ে খাটাও। যাকাত যেন ইহাকে গ্রাস না করিয়া ফেলে।[1]
بَاب زَكَاةِ أَمْوَالِ الْيَتَامَى وَالتِّجَارَةِ لَهُمْ فِيهَا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ اتَّجِرُوا فِي أَمْوَالِ الْيَتَامَى لَا تَأْكُلُهَا الزَّكَاةُ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn al-Khattab said, "Trade with the property of orphans and then it will not be eaten away by zakat."
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইয়াতীমদের সম্পত্তির যাকাত এবং ইহা ব্যবসায়ে খাটান
রেওয়ায়ত ১৩. কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) বলেনঃ আয়েশা (রাঃ) আমার ও আমার ভ্রাতাকে লালন-পালন করিতেন। আমরা উভয়েই ছিলাম ইয়াতীম। আয়েশা (রাঃ) আমাদের ধন-সম্পত্তিরও যাকাত প্রদান করিতেন।
بَاب زَكَاةِ أَمْوَالِ الْيَتَامَى وَالتِّجَارَةِ لَهُمْ فِيهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ كَانَتْ عَائِشَةُ تَلِينِي وَأَخًا لِي يَتِيمَيْنِ فِي حَجْرِهَا فَكَانَتْ تُخْرِجُ مِنْ أَمْوَالِنَا الزَّكَاةَ
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim that his father said, ''A'isha used to look after me and one of my brothers - we were orphans - in her house, and she would take the zakat from our property."
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইয়াতীমদের সম্পত্তির যাকাত এবং ইহা ব্যবসায়ে খাটান
রেওয়ায়ত ১৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আয়েশা (রাঃ) ব্যবসায়ীদেরকে তেজারতের জন্য ইয়াতীমদের মাল দিয়া দিতেন।
بَاب زَكَاةِ أَمْوَالِ الْيَتَامَى وَالتِّجَارَةِ لَهُمْ فِيهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تُعْطِي أَمْوَالَ الْيَتَامَى الَّذِينَ فِي حَجْرِهَا مَنْ يَتَّجِرُ لَهُمْ فِيهَا
Yahya related to me from Malik that he had heard that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, used to give the property of the orphans that were in her house to whoever would use it to trade with on their behalf.
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইয়াতীমদের সম্পত্তির যাকাত এবং ইহা ব্যবসায়ে খাটান
রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রহঃ) বর্ণনা করেনঃ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) তাহার ইয়াতীম ভ্রাতুষ্পপুত্রদের নিমিত্ত কিছু ক্রয় করিয়াছিলেন। পরে অতি উচ্চ মূল্যে ইহা বিক্রয় করা হইয়াছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইয়াতীমদের ওলী বা তত্ত্বাবধায়ক যদি আস্থাভাজন এবং আমানতদার হন তবে ইয়াতীমদের সম্পত্তি দ্বারা ব্যবসা করায় খারাপ কিছু নাই। ব্যবসায়ে ঘাটতি দেখা দিলে ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব তাহার উপর বর্তাইবে না।
بَاب زَكَاةِ أَمْوَالِ الْيَتَامَى وَالتِّجَارَةِ لَهُمْ فِيهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ اشْتَرَى لِبَنِي أَخِيهِ - يَتَامَى فِي حَجْرِهِ - مَالاً فَبِيعَ ذَلِكَ الْمَالُ بَعْدُ بِمَالٍ كَثِيرٍ . قَالَ مَالِكٌ لاَ بَأْسَ بِالتِّجَارَةِ فِي أَمْوَالِ الْيَتَامَى لَهُمْ إِذَا كَانَ الْوَلِيُّ مَأْذُونًا فَلاَ أَرَى عَلَيْهِ ضَمَانًا
Yahya related to me from Malik that Yahya ibn Said bought some property on behalf of his brother's sons who were orphans in his house, and that that property was sold afterwards for a great deal of profit.
Malik said, "There is no harm in using the property of orphans to trade with on their behalf if the one in charge of them has permission. Furthermore, I do not think that he is under any liability."
পরিচ্ছেদঃ ৭. উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের যাকাত
রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেহ যদি যাকাত ফরয হওযা সত্ত্বেও তাহা আদায় না করিয়া মারা যায় তবে তাহার সাকল্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হইতে ঐ যাকাত উসুল করা হইবে। মৃতের অসীয়ত পূরণের উপরও এই যাকাত উসুলকে প্রাধান্য দেওয়া হইবে। কেননা ইহা ঋণের মতই। আর ঋণ অসীয়ত পূরণের পূর্বে আদায় হইয়া থাকে। মৃত ব্যক্তি যাকাত আদায় করার অসীয়ত করিয়া গেলেই কেবল উল্লিখিত হুকুম হইবে। অসীয়ত না করিয়া গেলেও ওয়ারিসান যদি স্বতঃপ্রণোদিত হইয়া তাহা আদায় করিয়া দেয় তবে ভালই। কিন্তু তাহাদের জন্য ইহা করা জরুরী নহে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা হইল, ওয়ারাসাত সূত্রে প্রাপ্ত ধন-সম্পত্তি, দাস-দাসী, ঘর-বাড়ি কোন কিছুরই যাকাত ওয়ারিসের উপর ধার্য হইবে না। কিন্তু কেহ যদি ঐ সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া দেয়, তবে বিক্রয়ের মূল্য হস্তগত হওয়ার পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ইহার মূল্যে যাকাত ধার্য হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট গৃহীত পদ্ধতি এই যে, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ধন-সম্পত্তিতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত যাকাত ওরাজিব হইবে না।
بَاب زَكَاةِ الْمِيرَاثِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ قَالَ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا هَلَكَ وَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ مَالِهِ إِنِّي أَرَى أَنْ يُؤْخَذَ ذَلِكَ مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ وَلَا يُجَاوَزُ بِهَا الثُّلُثُ وَتُبَدَّى عَلَى الْوَصَايَا وَأَرَاهَا بِمَنْزِلَةِ الدَّيْنِ عَلَيْهِ فَلِذَلِكَ رَأَيْتُ أَنْ تُبَدَّى عَلَى الْوَصَايَا قَالَ وَذَلِكَ إِذَا أَوْصَى بِهَا الْمَيِّتُ قَالَ فَإِنْ لَمْ يُوصِ بِذَلِكَ الْمَيِّتُ فَفَعَلَ ذَلِكَ أَهْلُهُ فَذَلِكَ حَسَنٌ وَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ أَهْلُهُ لَمْ يَلْزَمْهُمْ ذَلِكَ قَالَ وَالسُّنَّةُ عِنْدَنَا الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّهُ لَا يَجِبُ عَلَى وَارِثٍ زَكَاةٌ فِي مَالٍ وَرِثَهُ فِي دَيْنٍ وَلَا عَرْضٍ وَلَا دَارٍ وَلَا عَبْدٍ وَلَا وَلِيدَةٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَى ثَمَنِ مَا بَاعَ مِنْ ذَلِكَ أَوْ اقْتَضَى الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ بَاعَهُ وَقَبَضَهُ وَقَالَ مَالِك السُّنَّةُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا تَجِبُ عَلَى وَارِثٍ فِي مَالٍ وَرِثَهُ الزَّكَاةُ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ
Yahya related to me that Malik said, "I consider that if a man dies and he has not paid zakat on his property, then zakat is taken from the third of his property (from which he can make bequests), and the third is not exceeded and the zakat is given priority over bequests. In my opinion it is the same as if he had a debt, which is why I think it should be given priority over bequests."
Malik continued, "This applies if the deceased has asked for the zakat to be deducted. If the deceased has not asked for it to be deducted but his family do so then that is good, but it is not binding upon them if they do not do it."
Malik continued, "The sunna which we are all agreed upon is that zakat is not due from someone who inherits a debt (i.e. wealth that was owed to the deceased), or goods, or a house, or a male or female slave, until a year has elapsed over the price realised from whatever he sells (i.e. slaves or a house, which are not zakatable) or over the wealth he inherits, from the day he sold the things, or took possession of them."
Malik said, "The sunna with us is that zakat does not have to be paid on wealth that is inherited until a year has elapsed over it."
পরিচ্ছেদঃ ৮. ঋণের যাকাত
রেওয়ায়ত ১৭. সায়িব ইবন ইয়াযিদ (রহঃ) বর্ণনা করেন, উসমান ইবন আফফান (রাঃ) বলিতেনঃ এই মাস (মাহে রমযান) যাকাত আদায়ের মাস। ঋণগ্রস্তদের উচিত তাহাদের ঋণ শোধ করিয়া দেওয়া, যাহাতে অবশিষ্ট সম্পদের যাকাত আদায় করিয়া নেওয়া যায়।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الدَّيْنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ يَقُولُ هَذَا شَهْرُ زَكَاتِكُمْ فَمَنْ كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ فَلْيُؤَدِّ دَيْنَهُ حَتَّى تَحْصُلَ أَمْوَالُكُمْ فَتُؤَدُّونَ مِنْهُ الزَّكَاةَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from as-Sa'ib ibn Yazid that Uthman ibn Affan used to say, "This is the month for you to pay your zakat. If you have any debts then pay them off so that you can sort out your wealth and take the zakat from it."
পরিচ্ছেদঃ ৮. ঋণের যাকাত
রেওয়ায়ত ১৮. আইয়ুব ইবন আবি তামীম সুখতিয়ানী (রহঃ) বর্ণনা করেন, উমাইয়া শাসকগণ অবৈধভাবে যে সমস্ত মাল কবজা করিয়া নিয়াছিলেন সে সম্পর্কে নির্দেশ দিতে যাইয়া উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) লিখিয়াছেন- প্রকৃত মালিকদের নিকট ঐগুলি ফিরাইয়া দেওয়া হউক এবং যে কয় বৎসর অতিবাহিত হইয়াছে হিসাব করিয়া সেই কয় বৎসরের যাকাত ইহা হইতে আদায় করিয়া নেওয়া হউক।পরে আরেকটি পত্রে লিখেন- এই কয় বৎসরের যাকাত যেন উসুল না করা হয়, কেননা ইহা মাল-ই-যিমারের অন্তর্ভুক্ত।[1]
بَاب الزَّكَاةِ فِي الدَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ فِي مَالٍ قَبَضَهُ بَعْضُ الْوُلَاةِ ظُلْمًا يَأْمُرُ بِرَدِّهِ إِلَى أَهْلِهِ وَيُؤْخَذُ زَكَاتُهُ لِمَا مَضَى مِنْ السِّنِينَ ثُمَّ عَقَّبَ بَعْدَ ذَلِكَ بِكِتَابٍ أَنْ لَا يُؤْخَذَ مِنْهُ إِلَّا زَكَاةٌ وَاحِدَةٌ فَإِنَّهُ كَانَ ضِمَارًا
Yahya related to me from Malik from Ayyub ibn Abi Tamima as- Sakhtayani that Umar ibn Abd al-Aziz, when writing about wealth that one of his governors had collected unjustly, ordered it to be returned to its owner and zakat to be taken from it for the years that had passed. Then shortly afterwards he revised his order with a message that zakat should only be taken from it once, since it was not wealth in hand.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ঋণের যাকাত
রেওয়ায়ত ১৯. ইয়াযিদ ইবন খুসায়ফা (রহঃ) সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ)-কে বলেনঃ এক ব্যক্তি, যাহার মাল আছে বটে কিন্তু তাহার সকল কিছুই ঋণে আবদ্ধ, তাহার কি যাকাত দিতে হইবে? সুলায়মান (রহঃ) জবাব দিলেনঃ তাহার উপর যাকাত ধার্য হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হইল, উসুল না হওয়া পর্যন্ত কর্জের মধ্যে যাকাত আসে না। কয়েক বৎসর অতিবাহিত হইয়া যাওয়ার পর যদি কর্জ আদায় হইয়া আসে, তবে ইহাতে শুধু এক বৎসরের যাকাত ওয়াজিব হইবে। আদায়কৃত টাকা নিসাব পরিমাণ হইতে কম হইলে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। তবে যাকাতযোগ্য অন্য ধরনের কোন মাল-সম্পত্তি যদি তাহার থাকে তবে উহার সঙ্গে মিলিত হইয়া ইহাতেও যাকাত আসিবে। যাকাতযোগ্য অন্য কোন মাল তাহার নিকট থাকিলে আদায়কৃত টাকার হিসাব রাখা হইবে এবং দ্বিতীয়বার যাহা আদায় হইবে উহার সঙ্গে মিলিয়া যদি নিসাব পরিমাণ হয় তবে উহাতে যাকাত ধার্য হইবে। প্রথমবারে আদায়কৃত টাকা যদি বিনষ্ট হইয়া যায় আর পরে নিসাব পরিমাণ টাকা যদি উসুল হইয়া আসে তবে ইহাতেও যাকাত ধার্য হইবে। ইহার পর কম বেশি যাহাই আদায় হইবে সেই অনুপাতে যাকাতের পরিমাণও বাড়িতে থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কয়েক বৎসরে যতটুকু পরিমাণ কর্জ উসুল হয় ইহাতে শুধু এক বৎসরেরই যাকাত দিতে হইবে। কারণ একজনের নিকট তাহার ব্যবসায়ের মাল অনেক দিন পর্যন্ত থাকে, কিন্তু যখন উহা বিক্রয় করে তখন উহার মূল্যে একবারই যাকাত ধার্য হয়। কেননা সম্পদের মালিক বা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য অন্য সম্পদ হইতে যাকাত দিতে হয় না। এই ব্যাপারে মূলনীতি হইল, যে ধরনের সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হইয়াছে সেই ধরনের সম্পদ যাকাতে প্রদান করা।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট ইহা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে, কাহারও ঋণ শোধ হইয়া যাওয়ার মত সম্পদ ছাড়াও যদি অতিরিক্ত আরও নগদ টাকা-পয়সা থাকে তবে তাহাকে উক্ত টাকার যাকাত দিতে হইবে।
টাকা এবং আসবাবপত্র মিলাইয়া যদি শুধু ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হয় তবে ইহাতে যাকাত ওয়াজিব হইবে না। ঋণ পরিশোধের অর্থের পর যদি অতিরিক্ত আরও নগদ টাকা-পয়সা এই পরিমাণ থাকে, যে পরিমাণে যাকাত ওয়াজিব হয় তবে যাকাত দিতে হইবে।
بَاب الزَّكَاةِ فِي الدَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ أَنَّهُ سَأَلَ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ عَنْ رَجُلٍ لَهُ مَالٌ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مِثْلُهُ أَعَلَيْهِ زَكَاةٌ فَقَالَ لَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا فِي الدَّيْنِ أَنَّ صَاحِبَهُ لَا يُزَكِّيهِ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَإِنْ أَقَامَ عِنْدَ الَّذِي هُوَ عَلَيْهِ سِنِينَ ذَوَاتِ عَدَدٍ ثُمَّ قَبَضَهُ صَاحِبُهُ لَمْ تَجِبْ عَلَيْهِ إِلَّا زَكَاةٌ وَاحِدَةٌ فَإِنْ قَبَضَ مِنْهُ شَيْئًا لَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنَّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ سِوَى الَّذِي قُبِضَ تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنَّهُ يُزَكَّى مَعَ مَا قَبَضَ مِنْ دَيْنِهِ ذَلِكَ قَالَ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ نَاضٌّ غَيْرُ الَّذِي اقْتَضَى مِنْ دَيْنِهِ وَكَانَ الَّذِي اقْتَضَى مِنْ دَيْنِهِ لَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيهِ وَلَكِنْ لِيَحْفَظْ عَدَدَ مَا اقْتَضَى فَإِنْ اقْتَضَى بَعْدَ ذَلِكَ عَدَدَ مَا تَتِمُّ بِهِ الزَّكَاةُ مَعَ مَا قَبَضَ قَبْلَ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ قَالَ فَإِنْ كَانَ قَدْ اسْتَهْلَكَ مَا اقْتَضَى أَوَّلًا أَوْ لَمْ يَسْتَهْلِكْهُ فَالزَّكَاةُ وَاجِبَةٌ عَلَيْهِ مَعَ مَا اقْتَضَى مِنْ دَيْنِهِ فَإِذَا بَلَغَ مَا اقْتَضَى عِشْرِينَ دِينَارًا عَيْنًا أَوْ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَعَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ ثُمَّ مَا اقْتَضَى بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ قَلِيلٍ أَوْ كَثِيرٍ فَعَلَيْهِ الزَّكَاةُ بِحَسَبِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَالدَّلِيلُ عَلَى الدَّيْنِ يَغِيبُ أَعْوَامًا ثُمَّ يُقْتَضَى فَلَا يَكُونُ فِيهِ إِلَّا زَكَاةٌ وَاحِدَةٌ أَنَّ الْعُرُوضَ تَكُونُ عِنْدَ الرَّجُلِ لِلتِّجَارَةِ أَعْوَامًا ثُمَّ يَبِيعُهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِي أَثْمَانِهَا إِلَّا زَكَاةٌ وَاحِدَةٌ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى صَاحِبِ الدَّيْنِ أَوْ الْعُرُوضِ أَنْ يُخْرِجَ زَكَاةَ ذَلِكَ الدَّيْنِ أَوْ الْعُرُوضِ مِنْ مَالٍ سِوَاهُ وَإِنَّمَا يُخْرِجُ زَكَاةَ كُلِّ شَيْءٍ مِنْهُ وَلَا يُخْرِجُ الزَّكَاةَ مِنْ شَيْءٍ عَنْ شَيْءٍ غَيْرِهِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَكُونُ عَلَيْهِ دَيْنٌ وَعِنْدَهُ مِنْ الْعُرُوضِ مَا فِيهِ وَفَاءٌ لِمَا عَلَيْهِ مِنْ الدَّيْنِ وَيَكُونُ عِنْدَهُ مِنْ النَّاضِّ سِوَى ذَلِكَ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنَّهُ يُزَكِّي مَا بِيَدِهِ مِنْ نَاضٍّ تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ مِنْ الْعُرُوضِ وَالنَّقْدِ إِلَّا وَفَاءُ دَيْنِهِ فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ حَتَّى يَكُونَ عِنْدَهُ مِنْ النَّاضِّ فَضْلٌ عَنْ دَيْنِهِ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَعَلَيْهِ أَنْ يُزَكِّيَهُ
Yahya related to me from Malik from Yazid ibn Khusayfa that he had asked Sulayman ibn Yasar whether zakat was due from a man who had wealth in hand but also owed a debt for the same amount, and he replied, "No."
Malik said, "The position that we are agreed upon concerning a debt is that the lender of it does not pay zakat on it until he gets it back. Even if it stays with the borrower for a number of years before the lender collects it, the lender only has to pay zakat on it once. If he collects an amount of the debt which is not zakatable, and has other wealth which is zakatable, then what he has collected of the debt is added to the rest of his wealth and he pays zakat on the total sum."
Malik continued, "If he has no ready money other than that which he has collected from his debt, and that does not reach a zakatable amount, then he does not have to pay any zakat. He must, however, keep a record of the amount that he has collected and if, later, he collects another amount which, when added to what he has already collected, brings zakat into effect, then he has to pay zakat on it."
Malik continued, "Zakat is due on this first amount, together with what he has further collected of the debt owed to him, regardless of whether or not he has used up what he first collected. If what he takes back reaches twenty dinars of gold, or two hundred dirhams of silver he pays zakat on it. He pays zakat on anything else he takes back afte rthat, whether it be a large or small amount, according to the amount."
Malik said, "What shows that zakat is only taken once from a debt which is out of hand for some years before it is recovered is that if goods remain with a man for trading purposes for some years before he sells them, he only has to pay zakat on their prices once. This is because the one who is owed the debt, or owns the goods, should not have to take the zakat on the debt, or the goods, from anything else, since the zakat on anything is only taken from the thing itself, and not from anything else."
Malik said, "Our position regarding some onewho owes a debt, and has goods which are worth enough to pay off the debt, and also has an amount of ready money which is zakatable, is that he pays the zakat on the ready money which he has to hand. If, however, he only has enough goods and ready money to pay off the debt, then he does not have to pay any zakat. But if the ready money that he has reaches a zakatable amount over and above the amount of the debt that he owes, then he must pay zakat on it."
পরিচ্ছেদঃ ৯. বাণিজ্যিক সম্পদের যাকাত
রেওয়ায়ত ২০. যুরায়ক ইবন হাইয়ান (রহঃ) বর্ণনা করেন - যুরায়ক ছিলেন মিসরের পথে গমনকারী যাত্রীদের নিকট হইতে কর আদায়কারী কর্মচারী। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) তাঁহাকে লিখিয়াছিলেন, তোমার এই এলাকা দিয়া কোন মুসলিম ব্যবসায়ী পথ অতিক্রম করিলে, তাহার বাণিজ্যিক সম্পদ হইতে প্রতি চল্লিশ দীনারে এক দীনার আদায় করিয়া নিও। চল্লিশ দীনার হইতে কম হইলে সেই অনুপাতে বিশ দীনার পর্যন্ত হইতে আদায় করিবে। বিশ দীনার হইতে এক-তৃতীয়াংশ দীনারও যদি কম হয় তবে তাহা ছাড়িয়া দিও। আর কোন যিম্মী বাসিন্দা ঐ পথ অতিক্রম করিলে তাহার বাণিজ্যিক সম্পদ হইতে প্রতি বিশ দীনারে এক দীনার উসুল করিবে। বিশের কম দশ দীনার পর্যন্ত হইতে সেই অনুপাতে উসুল করবে। দশ দীনার হইতে এক-তৃতীয়াংশ দীনারও কম হইলে উহা ছাড়িয়া দিবে। সম্পূর্ণ বৎসরের জন্য উসুলকৃত পরিমাণের একটা রসিদ করদাতাকে লিখিয়া দিবে যাহাতে এই কর এক বৎসরের মধ্যে তাহাকে পুনরায় দিতে না হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট হুকুম হইল, কোন ব্যবসায়ী একবার যাকাত প্রদান করার পর ইহা দ্বারা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে কোন বস্তু অথবা গোলাম অথবা তদ্রুপ কিছু খরিদ করিয়া যাকাত প্রদান করার তারিখ হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে উহা বিক্রয় করিয়া দিলে, পূর্ণ বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইহাতে যাকাত ওয়াজিব হইবে না। কয়েক বৎসর পর্যন্ত যদি এই মাল বিক্রয় না করিয়া রাখিয়া দেয় তবে যখন বিক্রয় করিবে তখন শুধু ইহাতে এক বৎসরেরই যাকাত দিতে হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই- কেহ যদি ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে গম বা খেজুর খরিদ করিয়া রাখিয়া দেয় এবং ইহাতে এক বৎসর অতিক্রান্ত হইয়া যায়, তবে যখন মাল বিক্রয় হইবে তখন নিসাব পরিমাণ হইলে ইহাতে যাকাত ওয়াজিব হইবে। ফল বা ফসলের মত ইহার হুকুম হইবে না।[1]মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যবসায়ীর কাছে বাণিজ্যিক মাল আছে বটে কিন্তু নগদ এত পরিমাণ টাকা তাহার হয় না যাহাতে যাকাত ধার্য হইতে পারে, বাণিজ্যিক মালের মূল্য ও নগদ অর্থ মিলাইয়া নিসাব পরিমাণ হইলে ইহাতে যাকাত ধার্য হইবে নতুবা ধার্য হইবে না। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ব্যবসায়ে খাটান হউক বা না হউক সম্পদে বৎসরে একবারই যাকাত ধার্য হইয়া থাকে।
بَاب زَكَاةِ الْعُرُوضِ
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زُرَيْقِ بْنِ حَيَّانَ وَكَانَ زُرَيْقٌ عَلَى جَوَازِ مِصْرَ فِي زَمَانِ الْوَلِيدِ وَسُلَيْمَانَ وَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَذَكَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ انْظُرْ مَنْ مَرَّ بِكَ مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَخُذْ مِمَّا ظَهَرَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ مِمَّا يُدِيرُونَ مِنْ التِّجَارَاتِ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا فَمَا نَقَصَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ حَتَّى يَبْلُغَ عِشْرِينَ دِينَارًا فَإِنْ نَقَصَتْ ثُلُثَ دِينَارٍ فَدَعْهَا وَلَا تَأْخُذْ مِنْهَا شَيْئًا وَمَنْ مَرَّ بِكَ مِنْ أَهْلِ الذِّمَّةِ فَخُذْ مِمَّا يُدِيرُونَ مِنْ التِّجَارَاتِ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا دِينَارًا فَمَا نَقَصَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ حَتَّى يَبْلُغَ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ فَإِنْ نَقَصَتْ ثُلُثَ دِينَارٍ فَدَعْهَا وَلَا تَأْخُذْ مِنْهَا شَيْئًا وَاكْتُبْ لَهُمْ بِمَا تَأْخُذُ مِنْهُمْ كِتَابًا إِلَى مِثْلِهِ مِنْ الْحَوْلِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا يُدَارُ مِنْ الْعُرُوضِ لِلتِّجَارَاتِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَدَّقَ مَالَهُ ثُمَّ اشْتَرَى بِهِ عَرْضًا بَزًّا أَوْ رَقِيقًا أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ ثُمَّ بَاعَهُ قَبْلَ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ فَإِنَّهُ لَا يُؤَدِّي مِنْ ذَلِكَ الْمَالِ زَكَاةً حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ صَدَّقَهُ وَأَنَّهُ إِنْ لَمْ يَبِعْ ذَلِكَ الْعَرْضَ سِنِينَ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الْعَرْضِ زَكَاةٌ وَإِنْ طَالَ زَمَانُهُ فَإِذَا بَاعَهُ فَلَيْسَ فِيهِ إِلَّا زَكَاةٌ وَاحِدَةٌ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي بِالذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ حِنْطَةً أَوْ تَمْرًا أَوْ غَيْرَهُمَا لِلتِّجَارَةِ ثُمَّ يُمْسِكُهَا حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ ثُمَّ يَبِيعُهَا أَنَّ عَلَيْهِ فِيهَا الزَّكَاةَ حِينَ يَبِيعُهَا إِذَا بَلَغَ ثَمَنُهَا مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ وَلَيْسَ ذَلِكَ مِثْلَ الْحَصَادِ يَحْصُدُهُ الرَّجُلُ مِنْ أَرْضِهِ وَلَا مِثْلَ الْجِدَادِ قَالَ مَالِك وَمَا كَانَ مِنْ مَالٍ عِنْدَ رَجُلٍ يُدِيرُهُ لِلتِّجَارَةِ وَلَا يَنِضُّ لِصَاحِبِهِ مِنْهُ شَيْءٌ تَجِبُ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنَّهُ يَجْعَلُ لَهُ شَهْرًا مِنْ السَّنَةِ يُقَوِّمُ فِيهِ مَا كَانَ عِنْدَهُ مِنْ عَرْضٍ لِلتِّجَارَةِ وَيُحْصِي فِيهِ مَا كَانَ عِنْدَهُ مِنْ نَقْدٍ أَوْ عَيْنٍ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِنَّهُ يُزَكِّيهِ وَقَالَ مَالِك وَمَنْ تَجَرَ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَمَنْ لَمْ يَتْجُرْ سَوَاءٌ لَيْسَ عَلَيْهِمْ إِلَّا صَدَقَةٌ وَاحِدَةٌ فِي كُلِّ عَامٍ تَجَرُوا فِيهِ أَوْ لَمْ يَتْجُرُوا
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Zurayq ibn Hayyan, who was in charge of Egypt in the time of al-Walid, Sulayman, and Umar ibn Abd al-'Aziz, mentioned that Umar ibn Abd al- Aziz had written to him saying, "Assess the muslims that you come across and take from what is apparent of their wealth and whatever merchandise is in their charge, one dinar for every forty dinars, and the same proportion from what is less than that down to twenty dinars, and if the amount falls short of that by one third of a dinar then leave it and do not take anything from it. As for the people of the Book that you come across, take from the merchandise in their charge one dinar for every twenty dinars, and the same proportion from what is less than that down to ten dinars, and if the amount falls short by one third of a dinar leave it and do not take anything from it. Give them a receipt for what you have taken f rom them until the same time next year."
Malik said, "The position among us (in Madina) concerning goods which are being managed for trading purposes is that if a man pays zakat on his wealth, and then buys goods with it, whether cloth, slaves or something similar, and then sells them before a year has elapsed over them, he does not pay zakat on that wealth until a year elapses over it from the day he paid zakat on it. He does not have to pay zakat on any of the goods if he does not sell them for some years, and even if he keeps them for a very long time he still only has to pay zakat on them once when he sells them."
Malik said, "The position among us concerning a man who uses gold or silver to buy wheat, dates, or whatever, for trading purposes and keeps it until a year has elapsed over it and then sells it, is that he only has to pay zakat on it if and when he sells it, if the price reaches a zakatable amount. This is therefore not the same as the harvest crops that a man reaps from his land, or the dates that he harvests from his palms."
Malik said, "A man who has wealth which he invests in trade, but which does not realise a zakatable profit for him, fixes a month in the year when he takes stock of what goods he has for trading, and counts the gold and silver that he has in ready money, and if all of it comes to a zakatable amount he pays zakat on it."
Malik said, "The position is the same for muslims who trade and muslims who do not. They only have to pay zakat once in any one year, whether they trade in that year or not."