মুয়াত্তা মালিক ৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر)
১৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ

রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, আদম ও মূসা (আঃ)-এর মধ্যে তর্ক হইয়াছিল। অবশেষে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর জয়ী হইয়াছিলেন। মূসা (আঃ) বলিয়াছিলেন, আপনি ঐ আদম যিনি বহু লোককে পথভ্রষ্ট করিয়াছেন। আর তাহাদেরকে বেহেশত হইতে বাহির করিয়াছেন। আদম (আঃ) বলিলেন, তুমি ঐ মূসাই তো, তোমাকে আল্লাহ্ সর্বপ্রকার ইলম দান করিয়াছিলেন, তোমাকে নবী বানাইয়াছিলেন। মূসা (আঃ) বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর আদম (আঃ) বললেন, তা সত্ত্বেও তুমি আমাকে এমন কাজের ব্যাপারে দোষারোপ করিতেছ যাহা আমার সৃষ্টির পূর্বেই আমার তকদীরে লেখা ছিল।

باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَحَاجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى قَالَ لَهُ مُوسَى أَنْتَ آدَمُ الَّذِي أَغْوَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنْ الْجَنَّةِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ أَنْتَ مُوسَى الَّذِي أَعْطَاهُ اللَّهُ عِلْمَ كُلِّ شَيْءٍ وَاصْطَفَاهُ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَتِهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ أَفَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِّرَ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ

وحدثني عن مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال تحاج ادم وموسى فحج ادم موسى قال له موسى انت ادم الذي اغويت الناس واخرجتهم من الجنة فقال له ادم انت موسى الذي اعطاه الله علم كل شيء واصطفاه على الناس برسالته قال نعم قال افتلومني على امر قد قدر علي قبل ان اخلق


Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Adam and Musa argued and Adam got the better of Musa. Musa rebuked Adam, 'You are Adam who led people astray and brought them out of the Garden.' Adam said to him, 'You are Musa to whom Allah gave knowledge of everything and whom he chose above people with His message.' He said, 'Yes.' He said, 'Do you then censure me for a matter which was decreed for me before I was created?' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬০

পরিচ্ছেদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ

রেওয়ায়ত ২. মুসলিম ইবন ইয়াসার জুহানী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর (রাঃ)-এর নিকট (‏وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ) (সূরা আ’রাফঃ ১৭২) আয়াত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হইল। তিনি বলিলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হইয়াছিল। তিনি বলিয়াছিলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করিলেন এবং তাহার পৃষ্ঠে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা মুসেহ করিলেন, অতঃপর আদমের পৃষ্ঠদেশ হইতে তাহার সন্তানদেরকে বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা বেহেশতের কাজ করবে। অতঃপর পুনরায় তাহার পৃষ্ঠদেশে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত বুলাইলেন এবং তাহার আর কিছু সংখ্যক সন্তান বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা দোযখের কাজ করবে। এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহা হইলে আমল করায় লাভ কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহু পাক যখন কোন বান্দাকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাহার দ্বারা বেহেশতীদের কাজ করান আর মৃত্যুর সময়েও সে নেক কাজ করিয়া মৃত্যুবরণ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইয়া থাকেন। আর যখন কোন বান্দাকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তাহার দ্বারা দোযখীদের কাজ করাইয়া থাকেন। অতঃপর মৃত্যুর সময়েও তাহাকে খারাপ কাজ করাইয়াই মৃত্যুবরণ করান। আর আল্লাহ তখন তাহাকে দোযখে প্রবেশ করাইয়া থাকেন।

باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْأَلُ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلُهُ رَبُّهُ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلُهُ رَبُّهُ النَّارَ

وحدثني يحيى عن مالك عن زيد بن ابي انيسة عن عبد الحميد بن عبد الرحمن بن زيد بن الخطاب انه اخبره عن مسلم بن يسار الجهني ان عمر بن الخطاب سىل عن هذه الاية واذ اخذ ربك من بني ادم من ظهورهم ذريتهم واشهدهم على انفسهم الست بربكم قالوا بلى شهدنا ان تقولوا يوم القيامة انا كنا عن هذا غافلين فقال عمر بن الخطاب سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يسال عنها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله تبارك وتعالى خلق ادم ثم مسح ظهره بيمينه فاستخرج منه ذرية فقال خلقت هولاء للجنة وبعمل اهل الجنة يعملون ثم مسح ظهره فاستخرج منه ذرية فقال خلقت هولاء للنار وبعمل اهل النار يعملون فقال رجل يا رسول الله ففيم العمل قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله اذا خلق العبد للجنة استعمله بعمل اهل الجنة حتى يموت على عمل من اعمال اهل الجنة فيدخله ربه الجنة واذا خلق العبد للنار استعمله بعمل اهل النار حتى يموت على عمل من اعمال اهل النار فيدخله ربه النار


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Abi Unaysa that Abd al-Hamid ibn Abd ar-Rahman ibn Zayd ibn al-Khattab informed him from Muslim ibn Yasar al-Juhani that Umar ibn al-Khattab was asked about this ayat - "When your Lord took their progeny from the Banu Adam from their backs and made them testify against themselves. 'Am I not your Lord?' They said, 'Yes, we bear witness'

Lest you should say on the Day of Rising, 'We were heedless of that.'" (Sura 7 ayat 172) Umar ibn al-Khattab said, "I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, being asked about it. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Allah, the Blessed, the Exalted, created Adam. Then He stroked his back with His right hand, and progeny issued from it. He said, "I created these for the Garden and they will act with the behaviour of the people of the Garden." Then He stroked his back again and brought forth progeny from him. He said, "I created these for the Fire and they will act with the behaviour of the people of the Fire." 'A man said, 'Messenger of Allah! Then of what value are deeds?' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, answered, 'When Allah creates a slave for the Garden, he makes him use the behaviour of the people of the Garden, so that he dies on one of the actions of the people of the Garden and by it He brings him into the Garden. When He creates a slave for the Fire, He makes him use the behaviour of the people of the Fire, so that he dies on one of the actions of the people of the Fire, and by it, He brings him into the Fire.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬১

পরিচ্ছেদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ

রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, আমি তোমাদের নিকট দুইটি বস্তু ছাড়িয়া যাইতেছি। তোমরা যতক্ষণ উহাকে ধরিয়া থাকিবে পথভ্রষ্ট হইবে না। উহা হইল আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নত।

باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ

وحدثني عن مالك انه بلغه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة نبيه


Yahya related to me from Malik that he heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "I have left two matters with you. As long as you hold to them, you will not go the wrong way. They are the Book of Allah and the Sunna of His Prophet."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬২

পরিচ্ছেদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ

রেওয়ায়ত ৪. তাউস ইয়ামানী (রহঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের কয়েকজন সাহাবীকে পাইয়াছি যাহারা বলিতেন, প্রতিটি বস্তুই তকদীরের লিখন অনুসারে হইয়া থাকে। তাউস বলেন, আর আমি ইবনে উমর (রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিতেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলিতেন, প্রতিটি ব্যাপারই তকদীর অনুযায়ী হইয়া থাকে, এমন কি মানুষের দুর্বল হওয়া এবং বুদ্ধিমান হওয়াও।

باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ الْيَمَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ أَدْرَكْتُ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ كُلُّ شَيْءٍ بِقَدَرٍ قَالَ طَاوُسٌ وَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ شَيْءٍ بِقَدَرٍ حَتَّى الْعَجْزِ وَالْكَيْسِ أَوْ الْكَيْسِ وَالْعَجْزِ

وحدثني يحيى عن مالك عن زياد بن سعد عن عمرو بن مسلم عن طاوس اليماني انه قال ادركت ناسا من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يقولون كل شيء بقدر قال طاوس وسمعت عبد الله بن عمر يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل شيء بقدر حتى العجز والكيس او الكيس والعجز


Yahya related to me from Malik from Ziyad ibn Sad from Amr ibn Muslim that Tawus al-Yamani said, "I found some of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, saying 'Everything is by decree.' " Tawus added, "I heard Abdullah ibn Umar say that The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. said, 'Everything is by decree - even incapacity and ability,' (or 'ability and incapacity')."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ

রেওয়ায়ত ৫. আমর ইবন দীনার (রহঃ) বলেন, আমি ইবন যুবাইর (রহঃ)-এর নিকট শুনিয়াছি, তিনি স্বীয় খুৎবা দেওয়ার সময় বলিতেন, আল্লাহ তা’আলাই মানুষকে সৎপথ প্রদর্শনকারী, আর তিনিই পথভ্রষ্টকারী। (কুরআন মাজীদেও বলা হইয়াছে, আল্লাহ্ তা’আলা যাহাকে ইচ্ছা হিদায়ত দান করেন, যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। সুতরাং ভাল-মন্দ সমস্ত কাজ আল্লাহই সৃষ্টি করিয়া থাকেন, কিন্তু মানুষকে ভাল-মন্দ কাজ বলিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং উহা হইতে বাছিয়া লওয়ার ইখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে। এই স্বাধীনতার উপরই তাহার সওয়াব ও আযাব হইবে। কদরীয়া[1] ও শীয়া দলের মতে মানুষ নিজের কাজের নিজেই সৃষ্টিকর্তা। এই মতবাদ কুরআন ও হাদীসের বিপরীত।)

باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْهَادِي وَالْفَاتِنُ

وحدثني مالك عن زياد بن سعد عن عمرو بن دينار انه قال سمعت عبد الله بن الزبير يقول في خطبته ان الله هو الهادي والفاتن


Malik related to me from Ziyad ibn Sad that Amr ibn Dinar said, "I heard Abdullah ibn az-Zubayr say in a khutba, 'Allah - He is the Guider and the One Who Tempts Away.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ

রেওয়ায়ত ৬. আবূ সুহাইল ইবনে মালিক (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি উমর আবদুল আযীয (রহঃ)-এর সহিত কোথাও যাইতেছিলেন। তিনি আবু সুহাইলকে বলিলেন, কদরিয়া সম্বন্ধে তোমার মত কি ? আমি বলিলাম, আমার মত এই যে, তাহাদেরকে তওবা করানো উচিত। যদি তাহারা তওবা করিয়া ফেলে তবে তো ভাল, না হয় তাহাদেরকে হত্যা করা যাইতে পারে। উমর (রহঃ) বলেন, তাহদের সম্বন্ধে আমার মতও ইহাই।

মালিক (রহঃ) বলেন, তাহাদের সম্বন্ধে আমারও মত ইহাই।

باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَسِيرُ مَعَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ مَا رَأْيُكَ فِي هَؤُلَاءِ الْقَدَرِيَّةِ فَقُلْتُ رَأْيِي أَنْ تَسْتَتِيبَهُمْ فَإِنْ تَابُوا وَإِلَّا عَرَضْتَهُمْ عَلَى السَّيْفِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَذَلِكَ رَأْيِي قَالَ مَالِك وَذَلِكَ رَأْيِي

وحدثني عن مالك عن عمه ابي سهيل بن مالك انه قال كنت اسير مع عمر بن عبد العزيز فقال ما رايك في هولاء القدرية فقلت رايي ان تستتيبهم فان تابوا والا عرضتهم على السيف فقال عمر بن عبد العزيز وذلك رايي قال مالك وذلك رايي


Yahya related to me from Malik that his paternal uncle, Abu Suhayl ibn Malik said, "I was a prisoner with Umar ibn Abd al-Aziz. He said, 'What do you think about these Qadariyya (fatalists)?' I said, 'My opinion is that one should ask them to turn from wrong action, if they will do so. If not, subject them to the sword.' Umar ibn Abd al- Aziz said, 'That is my opinion.

Malik added, "That is my opinion also."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬৫

পরিচ্ছেদঃ ২. তকদীর সম্বন্ধে বিভিন্ন রেওয়ায়ত

রেওয়ায়ত ৭. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, কোন স্ত্রীলোক যেন তাহার বোনের তালাক কামনা না করে এই উদ্দশ্যে যে, তাহার পাত্র খালি করিয়া দিবে, বরং তাহার বিবাহ হইবে। কারণ যাহা তাহার ভাগ্যে রহিয়াছে উহাই সে পাইবে।

باب ما جاء اهل القدر

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَسْأَلْ الْمَرْأَةُ طَلَاقَ أُخْتِهَا لِتَسْتَفْرِغَ صَحْفَتَهَا وَلِتَنْكِحَ فَإِنَّمَا لَهَا مَا قُدِّرَ لَهَا

وحدثني عن مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا تسال المراة طلاق اختها لتستفرغ صحفتها ولتنكح فانما لها ما قدر لها


Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "A woman should not ask for the divorce of her sister to make her plate empty and in order to marry. She has what is decreed for her."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬৬

পরিচ্ছেদঃ ২. তকদীর সম্বন্ধে বিভিন্ন রেওয়ায়ত

রেওয়ায়ত ৮. মুহম্মদ ইবনে কাব কুরাযী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মুয়াবিয়া (রাঃ) মিস্বরে দাঁড়াইয়া বলিয়াছেন, হে মানুষ! তোমরা জানিয়া রাখ, যাহা আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে দান করিবেন কেহই তাহা বাধা দিতে পারিবে না। আর তিনি যাহা দান না করিবেন উহা কেহই দান করিতে পারবে না। আর কোন মালদারকে তাহার মাল আল্লাহর আযাব হইতে রক্ষা করিতে পারিবে না। আল্লাহ তা’আলা যাহার ভাল চান তাহাকে দীনের জ্ঞান দান করেন। অতঃপর বলিলেন, আমি এই কথাগুলি এই কাঠের (মিম্বর) উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি।

باب ما جاء اهل القدر

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ قَالَ قَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَى اللَّهُ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعَ اللَّهُ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْهُ الْجَدُّ مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى هَذِهِ الْأَعْوَادِ

وحدثني عن مالك عن يزيد بن زياد عن محمد بن كعب القرظي قال قال معاوية بن ابي سفيان وهو على المنبر ايها الناس انه لا مانع لما اعطى الله ولا معطي لما منع الله ولا ينفع ذا الجد منه الجد من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين ثم قال معاوية سمعت هولاء الكلمات من رسول الله صلى الله عليه وسلم على هذه الاعواد


Yahya related to me from Malik from Yazid ibn Ziyad that Muhammad ibn Kab al-Quradhi said, ''Muawiya ibn Abi Sufyan said from the mimbar, 'O people! Nothing keeps away what Allah gives and nothing gives what Allah keeps away. The earnestness of the earnest one does not profit him. When Allah desires good for him, he gives him understanding in the deen.' Then Muawiya said, 'I heard these words from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, on these blocks of wood.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬৭

পরিচ্ছেদঃ ২. তকদীর সম্বন্ধে বিভিন্ন রেওয়ায়ত

রেওয়ায়ত ৯. মালিক (রহঃ) বলেন, আমার নিকট এই মর্মে রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাহাবীদের যুগে বলা হইত, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি প্রতিটি বস্তু যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহা দ্বারা যে সময় নির্দিষ্ট হইয়াছে উহার পূর্বে কিছুই হইতে পারে না। আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট। যে ব্যক্তি আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহ্ তাহার কথা শুনিয়া থাকেন। আল্লাহ ব্যতীত এমন কেহ নাই যাহার নিকট দুআ করা যাইতে পারে, যাহার নিকট কিছু আশা করা যাইতে পারে।

باب ما جاء اهل القدر

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ كَانَ يُقَالُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ كَمَا يَنْبَغِي الَّذِي لَا يَعْجَلُ شَيْءٌ أَنَاهُ وَقَدَّرَهُ حَسْبِيَ اللَّهُ وَكَفَى سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ دَعَا لَيْسَ وَرَاءَ اللَّهِ مَرْمَى

وحدثني يحيى عن مالك انه بلغه انه كان يقال الحمد لله الذي خلق كل شيء كما ينبغي الذي لا يعجل شيء اناه وقدره حسبي الله وكفى سمع الله لمن دعا ليس وراء الله مرمى


Yahya related to me from Malik that he had heard that this was said "Praise be to Allah who created everything as is necessary, who does not hasten anything He defers and determines. Allah is enough for me and sufficient. Allah hears whoever makes dua to him. Allah does not have a goal."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
১৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ ২. তকদীর সম্বন্ধে বিভিন্ন রেওয়ায়ত

রেওয়ায়ত ১০. মালিক (রহঃ)-এর নিকট এই হাদীস পৌছিয়াছে যে, সাহাবীদের যুগে বলা হইত, স্বীয় রিযিক পূর্ণ করার পূর্বে কোন ব্যক্তির মৃত্যু হইতে পারে না। অতএব ধৈর্য সহকারে জীবিকা অন্বেষণ কর অর্থাৎ এই ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিও না।

জীবিকা অন্বেষণে এত লাগিয়া যাইও না যাহাতে আল্লাহকেও ভুলিয়া যাইতে হয়, হালাল হারামের পার্থক্য থাকে না। যাহা নির্দিষ্ট আছে তাহাই পাইবে।

باب ما جاء اهل القدر

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ كَانَ يُقَالُ إِنَّ أَحَدًا لَنْ يَمُوتَ حَتَّى يَسْتَكْمِلَ رِزْقَهُ فَأَجْمِلُوا فِي الطَّلَبِ

وحدثني عن مالك انه بلغه انه كان يقال ان احدا لن يموت حتى يستكمل رزقه فاجملوا في الطلب


Yahya related to me from Malik that he heard that this was said "No one will die until his provision is completed for him, so behave correctly in your seeking it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬. তকদীর অধ্যায় (كتاب القدر) 46/ The Decree
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে