পরিচ্ছেদঃ যাকাত প্ৰদান ওয়াজিব হওয়ার দলীল
৫৯৯. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয (রাঃ)-কে ইয়ামান দেশে (শাসক হিসেবে) প্রেরণ করেন। অতঃপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছে, আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে সাদাকা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে আর দরিদ্রদের মাঝে প্রদান করা হবে।[1] শব্দ বিন্যাস বুখারীর।[2]
عَنِ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - بَعَثَ مُعَاذًا - رضي الله عنه - إِلَى الْيَمَنِ ... فَذَكَرَ الْحَدِيثَ, وَفِيهِ: أَنَّ اللَّهَ قَدِ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ, تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ, فَتُرَدُّ فِي فُقَرَائِهِمْ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَّفْظُ لِلْبُخَارِيِّ
-
صحيح. رواه البخاري (1395)، ومسلم (19)، ولفظه: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث معاذا إلى اليمن، فقال له: «إنك تأتي قوما أهل كتاب، فادعهم إلى شهادة أن لا إله إلا الله وأني رسول الله، فإن هم أطاعوا لذلك، فأعلمهم أن الله افترض عليهم صدقة في أموالهم، تؤخذ من أغنيائهم وترد على فقرائهم، فإن هم أطاعوا لذلك، فإياك وكرائن أمولهم، واتق دعوة المظلوم؛ فإنها ليس بينها وبين الله حجاب
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث معاذا إلى اليمن، فقال له: «إنك تأتي قوما أهل كتاب، فادعهم إلى شهادة أن لا إله إلا الله وأني رسول الله، فإن هم أطاعوا لذلك، فأعلمهم أن الله افترض عليهم صدقة في أموالهم، تؤخذ من أغنيائهم وترد على فقرائهم، فإن هم أطاعوا لذلك، فإياك وكرائن أمولهم، واتق دعوة المظلوم؛ فإنها ليس بينها وبين الله حجاب
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয (রাঃ)-কে ইয়ামান দেশে (শাসক হিসেবে) প্রেরণ করেন। অতঃপর বললেন, সেখানকার অধিবাসীদেরকে এ সাক্ষ্য দানের প্রতি আহবান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল। যদি সেটা তারা মেনে নেয়। তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে সদাকাহ (যাকাত) ফার্য করেছেন। যেটা ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে। আর দরিদ্রদের মাঝে প্রদান করা হবে। যদি সেটা তারা মেনে নেয়। তবে তুমি তাদের কেবল ভাল ভাল সম্পদ যাকাত হিসেবে গ্রহণ করা হতে সাবধান থেকো। আর মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা, তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না।
[2] বুখারী ১৪৫৮, ১৪৯৬, ২৪৪৮, মুসলিম ১৯, তিরমিযী ৬২৫, ২০১৪, নাসায়ী ২৪২৫, আবূ দাউদ ১৫৮৪, ইবনু মাজাহ ১৭৮৩, আহমাদ ২০৭২, দারেমী ১৬১৪।
Ibn 'Abbas (RAA) narrated that when the Prophet (ﷺ) sent Mu'adh Ibn Jabal to Yemen (as governor), he said to him:
“You are going to a people who are People of the Scripture. Invite them to testify that none has the right to be worshipped but Allah and that l am His Messenger. If they obey you in this, then teach them that Allah, the Glorious One, has enjoined five prayers upon them in every day and night (in twenty-four hours), and if they obey you in this, then tell them that Allah has made it obligatory for them to pay Zakah upon their assets and it is to be taken from the wealthy among them and given to the poor among them.” Related by Al-Bukhari
পরিচ্ছেদঃ উট ও ছাগলের যাকাত
৬০০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) আনাস (রাঃ)-এর কাছে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আল্লাহ তা’আলা যাকাত সম্পর্কে যে বিধান দিয়েছেন সে সম্পর্কে লিখে জানালেন, যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলকে নির্দেশ দিয়েছেন। তা হচ্ছে, চব্বিশ ও তার চেয়ে কম সংখ্যক উটের যাকাত বকরী দ্বারা আদায় করা হবে। প্রতিটি পাঁচটি উটে একটি বকরী এবং উটের সংখ্যা পচিশ হতে পয়ত্ৰিশ পর্যন্ত হলে একটি মাদী বিনতে মাখায।[1] ছত্রিশ হতে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত একটি মাদী বিনতে লাবূন।[2] ছয়চল্লিশ হতে ষাট পর্যন্ত ষাড়ের পালযোগ্য একটি হিককা[3], একষট্টি হতে পঁচাত্তর পর্যন্ত একটি জাযা’আ[4], ছিয়াত্তর হতে নব্বই পর্যন্ত দু’টি বিনতে লাবূন, একানব্বইটি হতে একশ’ বিশ পর্যন্ত ষাঁড়ের পালযোগ্য দু’টি হিককা আর একশ’ বিশের অধিক হলে (অতিরিক্ত) প্রতি চল্লিশটিতে একটি করে বিনতে লাবূন এবং (অতিরিক্ত) প্রতি পঞ্চাশটিতে একটি করে হিককা। যার চারটির বেশি উট নেই, সেগুলোর উপর কোন যাকাত নেই, তবে মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিতে চাইলে দিতে পারবে।[5]
আর বকরীর যাকাত সম্পর্কে : গৃহপালিত বকরী চল্লিশটি হতে একশ বিশটি পর্যন্ত একটি বকরী। এর বেশি হলে দু’শটি পর্যন্ত দু’টি বকরী। দু’শর অধিক হলে তিনশ’ পর্যন্ত তিনটি বকরী। তিনশ’র অধিক হলে প্রতি একশ’-তে একটি করে বকরী। কারো গৃহপালিত বকরীর সংখ্যা চল্লিশ হতে একটিও কম হলে তার উপর যাকাত নেই। তবে স্বেচ্ছায় দান করলে তা করতে পারে।
যাকাতের ভয়ে বিচ্ছিন্ন পশুকে (পালের বকরীকে) একত্র করা যাবে না। আর (যাকাত না দেয়ার বা কম দেয়ার উদ্দেশে) একত্রিত দলকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। পশুপালের শরীকদের মধ্যে হলে নায্যভাবে যাকাত আদায়ের হিসাব আপোষে মিল করে নেবে। যাকাতে দাঁত পড়া[6], বয়স্ক পশু দেয়া চলবে না। ত্রুটিযুক্ত পশু ও পাঠা যাকাত দেয়া যাবে না, তবে যদি সাদাকা গ্ৰহণকারী সেচ্ছায় নেয়। তবে ভিন্ন কথা। চাদির জন্য ওশরের চারভাগের একভাগ (অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের একভাগ)। যদি একশত নব্বই দিরহাম বা তার কম থাকে। তবে-তবে যাকাত দিতে হবে না, তবে যদি মালিক ইচ্ছা করে দিতে পারে।
যদি কারো উট এমন পর্যায়ে পৌছায় যাকে একটি জাযা’আহ (পঞ্চম বর্ষে পতিত উটনী) সাদাকা দিতে হবে, আর যদি তার নিকট না থাকে। বরং হিক্কা থাকে তাহলে তার নিকট হতে হিক্কা নেয়া হবে। আর তার সাথে দু’টি ছাগল গ্রহণ করা হবে। যদি কারো উট এমন পর্যায়ে পৌছায় যাকে একটি হিক্কা (চতুর্থ বর্ষে পতিত উটনী) সাদাকা দিতে হবে, অথচ যদি তার নিকট না থাকে। বরং জাযা’আহ থাকে তাহলে তার নিকট হতে জায"আহ নেয়া হবে। আর আদায়কারী তাকে কুড়িটি দিরহাম অথবা দু’টি ছাগল ফিরিয়ে দিবে। [7]
وَعَنْ أَنَسٍ - رضي الله عنه - أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ - رضي الله عنه - كَتَبَ لَهُ - هَذِهِ فَرِيضَةُ الصَّدَقَةِ الَّتِي فَرَضَهَا رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى الْمُسْلِمِينَ, وَالَّتِي أَمَرَ اللَّهُ بِهَا رَسُولَهُ: «فِي أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ مِنَ الْإِبِلِ فَمَا دُونَهَا الْغَنَمُ فِي كُلِّ خَمْسٍ شَاةٌ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ إِلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ فَفِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ أُنْثَى فَإِنْ لَمْ تَكُنْ فَابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٍ، فَإِذَا بَلَغَتْ سِتًّا وَثَلَاثِينَ إِلَى خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ فَفِيهَا بِنْتُ لَبُونٍ أُنْثَى, فَإِذَا بَلَغَتْ سِتًّا وَأَرْبَعِينَ إِلَى سِتِّينَ فَفِيهَا حِقَّةٌ طَرُوقَةُ الْجَمَلِ، فَإِذَا بَلَغَتْ وَاحِدَةً وَسِتِّينَ إِلَى خَمْسٍ وَسَبْعِينَ فَفِيهَا جَذَعَةٌ، فَإِذَا بَلَغَتْ سِتًّا وَسَبْعِينَ إِلَى تِسْعِينَ فَفِيهَا بِنْتَا لَبُونٍ, فَإِذَا بَلَغَتْ إِحْدَى وَتِسْعِينَ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَفِيهَا حِقَّتَانِ طَرُوقَتَا الْجَمَلِ, فَإِذَا زَادَتْ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ, وَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ
وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ إِلَّا أَرْبَعٌ مِنَ الْإِبِلِ فَلَيْسَ فِيهَا صَدَقَةٌ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّهَا
وَفِي صَدَقَةِ الْغَنَمِ سَائِمَتِهَا إِذَا كَانَتْ أَرْبَعِينَ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةِ شَاةٍ شَاةٌ, فَإِذَا زَادَتْ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ إِلَى مِائَتَيْنِ فَفِيهَا شَاتَانِ, فَإِذَا زَادَتْ عَلَى مِائَتَيْنِ إِلَى ثَلَاثمِائَةٍ فَفِيهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ، فَإِذَا زَادَتْ عَلَى ثَلَاثِمِائَةٍ فَفِي كُلِّ مِائَةٍ شَاةٌ، فَإِذَا كَانَتْ سَائِمَةُ الرَّجُلِ نَاقِصَةً مِنْ أَرْبَعِينَ شَاةٍ شَاةً وَاحِدَةً فَلَيْسَ فِيهَا صَدَقَةٌ, إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّهَا وَلَا يُجْمَعُ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، وَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ, وَمَا كَانَ مِنْ خَلِيطَيْنِ فَإِنَّهُمَا يَتَرَاجَعَانِ بَيْنَهُمَا بِالسَّوِيَّةِ
وَلَا يُخْرَجُ فِي الصَّدَقَةِ هَرِمَةٌ وَلَا ذَاتُ عَوَارٍ, إِلَّا أَنْ يَشَاءَ الْمُصَّدِّقُ، وَفِي الرِّقَةِ رُبُعُ الْعُشْرِ, فَإِنْ لَمْ تَكُنْ إِلَّا تِسْعِينَ وَمِائَةً فَلَيْسَ فِيهَا صَدَقَةٌ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّهَا, وَمَنْ بَلَغَتْ عِنْدَهُ مِنَ الْإِبِلِ صَدَقَةُ الْجَذَعَةِ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ جَذَعَةٌ وَعِنْدَهُ حِقَّةٌ, فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْحِقَّةُ, وَيَجْعَلُ مَعَهَا شَاتَيْنِ إِنِ اِسْتَيْسَرَتَا لَهُ, أَوْ عِشْرِينَ دِرْهَمًا, وَمَنْ بَلَغَتْ عِنْدَهُ صَدَقَةُ الْحِقَّةِ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ الْحِقَّةُ, وَعِنْدَهُ الْجَذَعَةُ, فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْجَذَعَةُ, وَيُعْطِيهِ الْمُصَّدِّقُ عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (1454) ومما تجدر الإشارة إليه أنه لا توجد رواية واحدة في البخاري بهذا السياق، ولكن الحافظ جمع بين روايات الحديث، وانظر البخاري رقم (1448)، لتقف على أطراف الحديث
[2] যে উটনীর দু’বছর পূর্ণ হয়ে তৃতীয় বছরে পড়েছে।
[3] হিক্কাহ বলা হয় এমন উটনীকে যার তিন বছর পূর্ণ হয়ে চতুৰ্থ বছরে উপনীত হয়েছে।
[4] যে উটনীর চার বছর পূর্ণ হয়ে পঞ্চম বছরে প্রবেশ করেছে তাকে “জাযায়া” বলা হয়।
[5] رَبُّهَا এর অর্থ হচ্ছে: صاحبها এখানে এর দ্বারা যাকাতদাতাকে বুঝানো হচ্ছে।
[6] هرمة শব্দের অর্থ যার দাঁত পড়ে যায়। অর্থাৎ শেষ বয়সে উপনীত হওয়া জন্তু যাকাতের মাল হিসেবে দেয়া যাবে না।
[7] বুখারী ১৪৪৮, ১৪৫০, নাসায়ী ২৪৪৭, ২৪৫৫, ৫২০১, আবূ দাউদ ১৫৬৭, ইবনু মাজাহ ১৮০০, আহমাদ ১১৬৭৮, ১২২২৬, ১২২০৯।
Anas (RAA) narrated that Abu Bakr As-Siddiq (RAA) wrote him this letter, “This is the obligatory Zakah, which the Messenger of Allah (ﷺ) made obligatory for every Muslim, and which Allah, the Almighty had commanded him to observe. ‘For each twenty-four camels, or less, their Zakah is to be paid as sheep; for every live camels, their Zakah is one sheep. When the amount of camels is between twenty -five to thirty- five, the due Zakah is one she-camel ‘bint makhad’ (a camel which is one year old and just starting the second year) or a male camel ‘ibn labun’(a young male camel which is two years old and already starting the third year). However, when the amount of camels reaches thirty-six, the due Zakah is a young she-camel 'bint labun’ (a young female camel, which is two years old and already starting the third year). When they reach forty six to sixty camels, their due Zakah is a she camel ‘hiqqah’ (which is three years old and starting the fourth).
When they reach sixty-one to seventy-five, one ‘Jaz'ah’ (a four year old camel already starting its fifth year). When their number is between seventy-six to ninety camels, their due Zakah is two young she camels ‘bint labun’. When they are in the range between ninety-one to one hundred and twenty camels, the Zakah is two young she camels 'hiqqah’. If they are over a hundred and twenty camels, on every forty camels, one 'bint labun’ is due. And for every fifty camels (over one hundred and twenty) a young she-camel ‘hiqqah’ is due, And anyone, who has got only four camels, does not have to pay Zakah unless he (the owner of the camels) wants to give something voluntarily. Regarding the Zakah of grazing sheep, if they are between forty and one hundred and twenty, one sheep is due as Zakah. lf they are between 120 and 200, two sheep are due. If they are between 200 and 300, three sheep are due. If they exceed three hundred sheep, then one sheep is due for every extra hundred grazing heads. If the grazing sheep are less than forty, (even if they are 39) then no Zakah is due on them, unless he (the owner of the camels) wants to give something voluntarily. One should not combine (i.e. gather young animals together) or separate them for fear of paying Zakah.
When there is a mixture of cattle shared between two partners, and Zakah is paid jointly between them, then they have to calculate it equally among them (depending on the share of each). Neither an old or a defective animal nor a male goat (a ram used for breeding) may be taken as Zakah, unless the Zakah collector wishes to do so. Concerning silver, the Zakah paid is a quarter of a tenth for each 200 Dirhams. If the amount of silver is less than two hundred Dirhams (even if it is 190) then no Zakah is to be paid for it, unless the owner wishes to do so. If the number of camels reaches the number on which a jaz'ah (a four year old camel already starting its fifth year) is due as Zakah, but he only has a ‘hiqqah’ (a she camel which is three years old and starting the fourth), it should be accepted from him along with two sheep if they were available (to compensate for the difference) or twenty Dirhams. If on the other hand he has to offer a ‘hiqqah’ as Zakah, but he only has a jaz'ah, it is accepted from him, and the Zakah collector will then pay him the difference, which is twenty Dirhams or two female sheep.’ Related by AI-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ গরুর যাকাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৬০১. মু’আয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতি ৩০টি গরুর জন্য ১টি তাবী’ (১ বছর বয়সের বকনা বাছুর) গ্রহণ করতে আর প্রতি ৪০টি গরুতে একটি মুসিন্না বা দু-বছরের গাভী অথবা বলদ গ্ৰহণ করতে বলেছেন। আর প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক অমুসলিমের নিকট হতে এক দিনার বা তার সমমূল্যের মু’আফিরী কাপড় নিতে আদেশ দিয়েছিলেন। -পাঁচজনে (আহমাদ, আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ), শব্দ বিন্যাস আহমাদের, তিরমিযী এটিকে হাসান বলেছেন এবং এর মাওসুল হওয়ার ব্যাপারে মতভেদের কথা ইঙ্গিত করেছেন; ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ - رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ, فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ كُلِّ ثَلَاثِينَ بَقَرَةً تَبِيعًا أَوْ تَبِيعَةً, وَمِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ مُسِنَّةً, وَمِنْ كُلِّ حَالِمٍ دِينَارًا أَوْ عَدْلَهُ مُعَافِرَ. رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَاللَّفْظُ لِأَحْمَدَ, وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَشَارَ إِلَى اِخْتِلَافٍ فِي وَصْلِهِ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أبو داود (1576)، والترمذي (623)، والنسائي (5/ 25 - 26)، وابن ماجه (1803)، وأحمد (5/ 230)، وصححه ابن حبان (7/ 195)، والحاكم (1/ 398) وقال الترمذي: «هذا حديث حسن. وروى بعضهم هذا الحديث عن سفيان، عن الأعمش، عن أبي وائل، عن مسروق! أن النبي صلى الله عليه وسلم: بعث معاذا إلى اليمن، فأمره أن يأخذ. وهذا أصح». قلت: لا يؤثر هذا الخلاف في صحة الحديث، والترمذي نفسه أخذ بهذا، فضلا عن وجود ما يشهد للحديث. و «التبيع»: هو ذو الحول. و «المسن»: هو ذو الحولين. و «معافر»: على وزن «مساجد» حي في اليمن تنسب الثياب المعافرية إليهم
Mu’adh bin Jabal (RAA) narrated, ‘When the Messenger of Allah (ﷺ) sent him to Yemen, he commanded him to take a ‘tabi’(young bull) or ‘tabi'ah’ (young cow, which is one year old), as Zakah for every 30 cows. And for every forty cows, a musinnah (two year old cow) is due. Every non-Muslim who attained the age of puberty should pay one Dinar or the equivalent from the Mu'afiri clothes (made in a town in Yemen called Ma'afir).’ Related by the Five Imams and the wording is from Ahmad.
পরিচ্ছেদঃ যাকাত গ্রহনের জন্য দূত পাঠানো শরীয়তসম্মত
৬০২. ’আমর বিন শুআইব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি (তার দাদা) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “মুসলিমের (পশু সম্পদের) সাদাকা আদায় করা হবে পশুর পানি পানের স্থান থেকে।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ, عَنْ أَبِيهِ, عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «تُؤْخَذُ صَدَقَاتُ الْمُسْلِمِينَ عَلَى مِيَاهِهِمْ». رَوَاهُ أَحْمَدُ
-
حسن. رواه أحمد (6730)
'Amro bin Shu'aib narrated on the authority of his father, who reported on the authority of his grandfather (RAA) that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The Zakah of the Muslims should be collected by their water trough.” Related by Ahmad.
পরিচ্ছেদঃ যাকাত গ্রহনের জন্য দূত পাঠানো শরীয়তসম্মত
৬০৩. আর আবূ দাউদে আছে “মুসলিমদের যাকাত তাদের ঘর থেকেই গ্রহণ করা হবে।[1]
وَلِأَبِي دَاوُدَ: «وَلَا تُؤْخَذُ صَدَقَاتُهُمْ إِلَّا فِي دُورِهِمْ
-
حسن. رواه أبو داود (1591)، وأوله: «لا جلب، ولا جنب،، ولا تؤخذ
Abu Dawud also has the narration, “Their Zakah should only be collected by their dwellings.”
পরিচ্ছেদঃ গোলাম ও ঘোড়ার যাকাতের বিধান
৬০৪. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের উপর তার গোলাম ও ঘোড়ার কোন যাকাত নেই।[1]
মুসলিমে আছে: সদাকাতুল ফিৎর ব্যতীত দাসের কোন সাদাকা (যাকাত) নেই।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِ فِي عَبْدِهِ وَلَا [فِي] فَرَسِهِ صَدَقَةٌ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَلِمُسْلِمٍ: لَيْسَ فِي الْعَبْدِ صَدَقَةٌ إِلَّا صَدَقَةُ الْفِطْرِ
-
صحيح. رواه البخاري (1464)، وله في لفظ: «غلامه» بدل «عبده» (1463) «تنبيه»: كان من الأولى عزو الحديث إلى البخاري ومسلم، إذ في صنيع الحافظ ما يشعر أن هذا اللفظ للبخاري دون مسلم، بينما الحديث متفق عليه، بل اللفظ الذي ذكره الحافظ هو لمسلم (982) دون البخاري
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“No Zakah is to be paid on one’s horse (that he rides) or one’s slave.” Related by Al-Bukhari. Muslim also has the narration, “There is no Zakah to be paid on one’s slave, except for Zakat-ul-Fitr (which is paid at the end of Ramadan, and a Muslim must pay it on behalf of all of those he is responsible for).”
পরিচ্ছেদঃ যাকাত অস্বীকারকারীর বিধান
৬০৫. বাহয ইবনু হাকীম তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মাঠে প্রতিপালিত প্রতি ৪০টি উটের জন্য একটি দু’ বছরের উটনী (বিনতু লাবুন)। যাকাতের হিসাবের সময় কোন উট পথক করা যাবে না। যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় যাকাত দিবে তার জন্য রয়েছে নেকী। আর যে অস্বীকৃতি জানাবে তার নিকট হতে আমরা অবশ্যই তা আদায় করে নেব। এবং তার সম্পদের একটি বিশেষ অংশও নিব যা আমাদের প্রতিপালকের সম্পদ বলে পরিগণিত। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরের জন্য সে সম্পদ হতে বিন্দুমাত্রও হালাল করা হয়নি। আহমাদ, আবূ দাউদ ও নাসায়ী। হাকিম একে সহীহ বলেছেন। শাফি’ঈ (রহঃ) বিষয়টিকে প্রামাণিকতা ভিত্তিতে তার পক্ষাবলম্বন করবেন বলে বলেছেন।[1]
وَعَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ, عَنْ أَبِيهِ, عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «فِي كُلِّ سَائِمَةِ إِبِلٍ: فِي أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ, لَا تُفَرَّقُ إِبِلٌ عَنْ حِسَابِهَا, مَنْ أَعْطَاهَا مُؤْتَجِرًا بِهَا فَلَهُ أَجْرُهُ, وَمَنْ مَنَعَهَا فَإِنَّا آخِذُوهَا وَشَطْرَ مَالِهِ, عَزْمَةً مِنْ عَزَمَاتِ رَبِّنَا, لَا يَحِلُّ لِآلِ مُحَمَّدٍ مِنْهَا شَيْءٌ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ, وَعَلَّقَ الشَّافِعِيُّ الْقَوْلَ بِهِ عَلَى ثُبُوتِهِ
-
حسن. رواه أبو داود (1575)، والنسائي (5/ 15 - 17 و 25)، وأحمد (5/ 2 و4)، وصححه الحاكم (1/ 398) قلت: وأما تعليق الشافعي القول به على صحته، فقد رواه البيهقي في «السنن الكبرى» وذلك لرأيه في بهز، ولكن لا عبرة بذلك مع توثيق ابن معين، وابن المديني، والنسائي لبهز، وهم أئمة هذا الشأن. وأما ابن حبان فقد هول في كلامه عنه فقال في «المجروحين» (1/ 194): «كان يخطئ كثيرا، فأما أحمد بن حنبل وإسحاق بن إبراهيم رحمهما الله فهما يحتجان به، ويرويان عنه، وتركه جماعة من أئمتنا، ولولا حديث: «إنا آخذوه وشطر إبله عزمة من عزمات ربنا» لأدخلناه في «الثقات» وهو ممن استخير الله عز وجل فيه». وقد تعقب الذهبي -كعادته- ابن حبان، فقال في: «التاريخ» (9/ 80 - 81): «قلت: على أبي حاتم البستي في قوله هذا مؤاخذات، إحداها: قوله: كان يخطئ كثيرا. وإنما يعرف خطأ الرجل بمخالفة رفاقه له، وهذا فانفرد بالنسخة المذكورة، وما شاركه فيها ولا له في عامتها رفيق، فمن أين لك أنه أخطأ؟! الثاني: قولك: تركه جماعة، فما علمت أحدا تركه أبدا، بل قد يتركون الاحتجاج بخبره، فهلا أفصحت بالحق؟! الثالث: ولولا حديث: «إنا آخذوها .... » فهو حديث انفرد به أصلا ورأسا، وقال بعض المجتهدين .... وحديثه قريب من الصحة
আবূ দাউদ সুনানু আবী দাউদে (১৫৭৫) সাকাতা আনহু বলেছেন, এবং তিনি বলেন প্রত্যেক সাকাতু আনহু সহীহ। ইবনু হাযাম মুহাল্লা (৬/৫৭) গ্রন্থে সহীহ নয় বলেছেন। আল খাতীবুল বাগদাদী তার খুল বাগদাদ ৯/৪৫৪) গ্রন্থে তাতে আব্দুল্লাহ ইবনু হাযির রয়েছেন, দারাকুতনী বলেন, শক্তিশালী নয়। যাহাবী তানকীহুত তাহকীক (১/৩৫৭) গ্রন্থে বাহায নামক রাবীকে মুনকার করেছেন। আল আইনী উমদাতুল কারী (৯/১৯) গ্রন্থে তার সানাদ সহীহ বলেছেন। শাওকানী নাইলুল আওতার (৪/১৭৯) গ্রন্থে তাতে বাহায্য নামে একজন রাবী আছে, তার মধ্যে ইখতিলাফ রয়েছে। আহমাদ শাকির মুহাল্লা (৬/৫৭) গ্রন্থে বলেন, তাতে বাহায ইবনু হাকীম রয়েছে, তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, ইবনু হাযাম বলেন, বাহায্য ইবনু হাকীম আদালাতের ক্ষেত্রে মাশকুর নয় এবং তার পিতা হাকীম অনুরূপ, (আমি বলছি)। বরং বাহয ও তার পিতা সিকাহ। আলবানী নাকদুন নুসূস (৫৯) গ্রন্থে বলেছেন তার সানাদ হাসান। আলবানী সহীহ আল জামি' (৪২৬৫) গ্রন্থে হাসান বলেছেন।
Bahz bin Hakam narrated on the authority of his father, who reported on the authority of his grandfather (RAA) that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“For every forty camels, one ‘bint labun’ (a young female camel which is two years old and already starting the third year), is due as Zakah. No camel is to be separated from the rest of the camels (i.e. the jointly owned live stock as mentioned above). Whoever gives it willingly, seeking his reward from Allah, will be rewarded. (However) if someone refrains from paying it, it will be taken from him (by force) along with part of his property (as punishment), for it is a right of Allah. None of it is lawful for the family of Muhammad = (ﷺ).” Related by Ahmad, An-Nasa’i, Abu Dawud and Al-Hakim rendered it Sahih.
পরিচ্ছেদঃ যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য একবছর অতিক্রম হওয়া শর্ত
৬০৬. ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—তোমার নিকট দুইশত দিরহাম জমা হবার পর গচ্ছিত থাকার মেয়াদ বছর পূর্ণ হলে তার জন্য-পাঁচ দিরহাম (যাকাত)। আর বিশটি দিনার এক বছর যাবত জমা থাকলে তার জন্য অর্ধ দিনার (যাকাত)। তার চেয়ে কমে যাকাত নেই। আর বেশি হলে তার হিসাব অনুপাতে (যাকাত দিতে) হবে। নিসাব পরিমাণ কোন সম্পদের (গচ্ছিত থাকার) মেয়াদ এক বছর অতিবাহিত না হলে যাকাত নেই। -এটার সানাদ হাসান। এর সানাদের মারফূ’ হওয়া সম্বন্ধে ইমামগণের মতানৈক্য রয়েছে।[1] (স্বর্ণমুদ্রা হচ্ছে দিনার আর রৌপ্যমুদ্রা হচ্ছে দিরহাম)[2]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا كَانَتْ لَكَ مِائَتَا دِرْهَمٍ - وَحَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ - فَفِيهَا خَمْسَةُ دَرَاهِمَ, وَلَيْسَ عَلَيْكَ شَيْءٌ حَتَّى يَكُونَ لَكَ عِشْرُونَ دِينَارًا, وَحَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ, فَفِيهَا نِصْفُ دِينَارٍ, فَمَا زَادَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ, وَلَيْسَ فِي مَالٍ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَهُوَ حَسَنٌ, وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي رَفْعِهِ
-
صحيح. رواه أبو داود (1573)، وإن كان الدارقطني أعله بالوقف، فلقد صححه البخاري
[2] আবূ দাউদ ১৫৭৩, ১৫৭৪, তিরমিযী ৬২০, নাসায়ী ২৪৭৭, ২৪৭৮, ইবনু মাজাহ ১৭৯০, আহমাদ ৭১৩, ৯১৫, ১২৭০, দারেমী ১৬২৯।
Ali (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When you possess two hundred Dirhams at the end of the year (if you still have all of them), five Dirhams are levied on them as Zakah. There is nothing upon you (to be paid) in gold, until it reaches (the value of) twenty Dinars. When you possess twenty Dinars, at the end of the year, then there is half a Dinar levied on it (as Zakah). Any additional amount will be calculated in the same manner. No Zakah is to be paid on monetary holdings, until they have been owned for one year.” Related by Abu Dawud, who rendered it Hasan.
পরিচ্ছেদঃ যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য একবছর অতিক্রম হওয়া শর্ত
৬০৭. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে তিরমিযীতে আছে-কারো কোন সম্পদ সঞ্চিত হলে তার গচ্ছিত অবস্থার উপর একটি বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য যাকাত ফরয হয় না। এর সানাদের মাওকুফ হওয়াটাই অগ্রগণ্য।[1]
وَلِلتِّرْمِذِيِّ; عَنِ ابْنِ عُمَرَ: «مَنِ اسْتَفَادَ مَالًا, فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ حَتَّى يَحُولَ الْحَوْلُ». وَالرَّاجِحُ وَقْفُهُ
-
رواه الترمذي (3/ 25 - 26) مرفوعا وموقوفا، وصحح الموقوف. قلت: المرفوع صحيح بما له من شواهد، حديث علي رضي الله عنه الماضي (606) أحدها. والموقوف في حكم المرفوع. والله أعلم
Ibn Umar (RAA) narrated, ‘Whoever earns any money, he is not liable to pay Zakah, until the period of a year has passed (while still possessing the same amount of money).’ Related by At-Tirmidhi.
পরিচ্ছেদঃ যে সকল গৃহপালিত পশু দ্বারা কাজ করানো হয় তাতে কোন যাকাত নেই
৬০৮. ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন-কাজে নিয়োজিত গরুর কোন যাকাত নেই। —আবূ দাউদ, দারাকুৎনী। এরও মাওকুফ হওয়াটা বেশি অগ্রগণ্য।[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: «لَيْسَ فِي الْبَقَرِ الْعَوَامِلِ صَدَقَةٌ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالدَّارَقُطْنِيُّ, وَالرَّاجِحُ وَقْفُهُ أَيْضًا
-
صحيح. رواه أبو داود (1573)، والدارقطني (2/ 103) بلفظ: «شيء» بدل «صدقة» وصححه ابن حبان وابن القطان مرفوعا. وأما اللفظ الذي نسبه الحافظ هنا لعلي، فهو لابن عباس، ولم يخرجه أبو داود، وهذا من أوهامه رحمه الله، ولم يقع له في «التلخيص» (2/ 157) ما وقع له هنا
Ali (RAA) narrated that, ‘There is no Zakah to be paid on working cattle.’ Related by Abu Dawud and Ad-Daraqutni.
পরিচ্ছেদঃ ইয়াতিমের সম্পদের যাকাত
৬০৯. ’আমর বিন শু’আইব তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা আবদুল্লাহ বিন ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কেউ সম্পদশালী ইয়াতীমের তত্ত্বাবধায়ক হয় তবে সে যেন তা ব্যবসায় খাটায়। উক্ত সম্পদকে এমনি ফেলে রাখবে না যাতে সাদাকা (যাকাত) উক্ত মালকে খেয়ে (নিঃশেষ করে দেয়) ফেলে। তিরমিযী ও দারাকুৎনী দুর্বল সানাদে।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ, عَنْ أَبِيهِ, عَنْ جَدِّهِ; عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِوٍ; أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ وَلِيَ يَتِيمًا لَهُ مَالٌ, فَلْيَتَّجِرْ لَهُ, وَلَا يَتْرُكْهُ حَتَّى تَأْكُلَهُ الصَّدَقَةُ». رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ, وَالدَّارَقُطْنِيُّ, وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ
-
ضعيف. رواه الترمذي (641)، وضعفه، والدارقطني (2/ 109 - 110)
ইবনু কাসীর ইরশাদুল ফাকীহ (১/২৪৩), ইবনু হাজার আসকালানী দিরায়্যাহ (১/২৪৯) গ্রন্থে বলেন, তাতে দুর্বলতা রয়েছে।
রুবায়ী ফাতহুল গাফফার (২/৮১৭) গ্রন্থে বলেছেন, তার সানাদ দুর্বল। আলবানী যঈফুত তিরমিযী (৬৪১) গ্রন্থে বলেন, দুর্বল।
ইমাম তিরমিযী সুনানুত তিরমিযী (৬৪১) গ্রন্থে তার সানাদে সমালোচনা রয়েছে।
ইবনু হাজার আসকালানী বুলুগুল মারাম (১৭১) গ্রন্থে বলেন, তার সানাদ দুর্বল।
আল আইনী উমদাতুল কারী (৮/৩৪১) গ্রন্থে বলেন, দুর্বল। আলবানী যঈফুল জামি’ (২১৭৯) গ্রন্থে বলেন, যঈফ।
Amro bin Shu’aib narrated on the authority of his father who reported on the authority of his grandfather, on the authority of Abdullah bin 'Amro(RAA) that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“One who becomes the guardian of an orphan, who owns property, must trade on his behalf and not leave it (saved and unused) until it is all eaten up by Zakah (which is paid yearly).” Related by At-Tirmidhi and Ad-Daraqutni with a weak chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ইয়াতিমের সম্পদের যাকাত
৬১০. এর সমার্থক একটি হাদীস শাফি’ঈ মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।[1]
وَلَهُ شَاهِدٌ مُرْسَلٌ عِنْدَ الشَّافِعِيِّ
-
ضعيف. رواه الشافعي في «المسند» (1/ 224 / 614) من طريق ابن جريج -وهو مدلس- عن يوسف بن ماهك؛ أن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «ابتغوا في مال اليتيم، أو في مال اليتامى، لا تذهبها ولا تستأصلها الزكاة». أقول: وللحديث شاهد آخر، لكن في سنده كذاب، فيبقى الحديث على الضعف
পরিচ্ছেদঃ যাকাত প্ৰদানকারীদের জন্য দু’আ করা মুস্তাহাব
৬১১. ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, লোকজন যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিজেদের সাদাকা নিয়ে উপস্থিত হতো তখন তিনি বলতেন: হে আল্লাহ! তুমি তাদের উপর রহমত বর্ষণ কর।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا أَتَاهُ قَوْمٌ بِصَدَقَتِهِمْ قَالَ: «اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِمْ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (1497)، ومسلم (1078)، عن ابن أبي أوفى، قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا أتاه قوم بصدقتهم قال: «اللهم صل على آل فلان» فأتاه أبي بصدقته، فقال: «اللهم صلى على آل أبي أوفى». والمراد بقوله: «اللهم صل على آل أبي أوفى». هو: اللهم صل على أبي أوفى نفسه؛ لأن الأمر كما قال الطحاوي في «المشكل»: «العرب تجعل آل الرجل نفسه» ثم احتج بهذا الحديث
বুখারী এবং মুসলিমে রয়েছে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, লোকজন যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিজেদের সদাকাহ নিয়ে উপস্থিত হতো তখন তিনি বললেন, : আল্লাহ! অমুকের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন। একদা আমার পিতা সদাকাহ নিয়ে হাযির হলে তিনি বললেন, : হে আল্লাহ! আবূ আওফা’র বংশধরের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন।
Abdullah bin Abi Aufa (RAA) narrated, ‘Whenever a person came to the Messenger of Allah (ﷺ) with their Zakah, he would say, “O Allah! Send your blessings upon them” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ওয়াজিব হওয়ার পূর্বে যাকাত আদায় করার বিধান
৬১২. ’আলী (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। ’আব্বাস (রাঃ) তার মালের বর্ষপূর্তির পূর্বে যাকাত প্রদানের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি দেন।[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه: أَنَّ الْعَبَّاسَ - رضي الله عنه - سَأَلَ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - فِي تَعْجِيلِ صَدَقَتِهِ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ, فَرَخَّصَ لَهُ فِي ذَلِكَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ, وَالْحَاكِمُ
-
حسن. رواه الترمذي (678)، والحاكم (3/ 332)، والحديث وإن كان اختلف في سنده إلا أن له شواهد تقويه، وتفصيل ذلك بالأصل. «تنبيه»: الحديث رواه أيضا أبو داود (1624)، وابن ماجه (1795)، وأحمد (1/ 104)، ولا أدري لماذا اقتصر الحافظ في عزوه على الترمذي
Ali (RAA) narrated that al-Abbas (RAA) asked the Messenger of Allah (ﷺ) to allow him to pay his Zakah before its due date, and he gave him permission to do so.’ Related by At-Tirmidhi and Al-Hakim.
পরিচ্ছেদঃ শস্য ও ফলের যাকাতের নেসাব
৬১৩. জাবির বিন ’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- চাঁদিতে ৫ উকিয়ার কমে সাদাকা (যাকাত) ওয়াজিব নয়। এবং উটে পাঁচ যাওদের কমে যাকাত নেই। এবং খেজুরে ৫ অসাকের কমে যাকাত নেই।[1]
(৫ উকিয়া ৭৩৫ গ্রাম, ৫ যাওদ = ৩ থেকে ১০টি উটের একটি পাল, ৫ ওয়াসাক = সাড়ে ১২ কেজি)
وَعَنْ جَابِرِ [بْنِ عَبْدِ اللَّهِ]- رضي الله عنه - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنَ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ, وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسٍ ذَوْدٍ مِنَ الْإِبِلِ صَدَقَةٌ, وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ مِنَ التَّمْرِ صَدَقَةٌ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (980)
Jabir (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There is no Zakah to be paid on less than five ounces of silver, less than five camels or less than five Awsuq of dates.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ শস্য ও ফলের যাকাতের নেসাব
৬১৪. মুসলিমে আবূ সাঈদের রিওয়ায়াতকৃত হাদীসে রয়েছে : খেজুর ও শস্যে ৫ অসাকের কমে যাকাত (ফরয) নেই।[1] আবূ সাঈদের মূল হাদীসটি বুখারী, মুসলিমে রয়েছে।[2]
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ: «لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسَاقٍ مِنْ تَمْرٍ وَلَا حَبٍّ صَدَقَةٌ
وَأَصْلُ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه مسلم (979) (4) وفي لفظ له: ليس في حب ولا تمر صدقة، حتى يبلغ خمسة أوسق
البخاري (1447)، ومسلم (979) بلفظ: ليس فيما دون خمسة أوسق صدقة، ولا فيما دون خمسة ذود صدقة، ولا فيما دون خمس أواقي صدقة
[2] মুসলিম ৯৭৯, বুখারী ১৪০৫, ১৪৪৭, ১৪৫৯, তিরমিযী ৬২৬, নাসায়ী ২৪৪৮, ২৪৪৬, , আবূ দাউদ ১৫৫৮, ১৫৫৯, ইবনু মাজাহ ১৭৯৯, ১৭৯৩, আহমাদ ১১০১২, ১১১৭০, ১১৫২০, মুওয়াত্তা মালেক ৫৭৫, ৫৭৬, দারেমী ১৬২৩, ১৬২৪
বুখারীতে রয়েছে, ليس فيما دون خمسة أوسق صدقة، ولا فيما دون خمسة ذود صدقة، ولا فيما دون خمس أواقي صدقة পাঁচের কম সংখ্যক উটের উপর যাকাত নেই, পাচ উকিয়া-এর কম পরিমাণ রূপার উপর যাকাত নেই এবং পাঁচ ওয়াসক এর কম পরিমাণ উৎপন্ন দ্রব্যের উপর সদাকাহ (উশর) নেই।
Abu Said Al-Khudri (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There is no Zakah to be paid on any amount of dates or grain less than five Awsuq.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ শস্য ও ফলে যাকাতের পরিমাণ
৬১৫. সালিম বিন আবদুল্লাহ্ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- বৃষ্টি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমিতে উৎপাদিত ফসল বা সেচ ব্যতীত উর্বরতার ফলে উৎপন্ন ফসলের উপর (দশমাংশ) ’উশর ওয়াজিব হয়। আর সেচ দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর অর্ধ (বিশ ভাগের এক ভাগ) ’উশর। বুখারী; আর আবূ দাউদে আছে, যদি মাটি সিক্ত হয় তাহলে দশমাংশ ’উশর। আর পশু বা সেচযন্ত্রের সাহায্যে সেচকৃত উৎপাদিত ফসলে বিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে।[1]
وَعَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ, عَنْ أَبِيهِ, عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ, أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا: الْعُشْرُ, وَفِيمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ: نِصْفُ الْعُشْرِ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
وَلِأَبِي دَاوُدَ: أَوْ كَانَ بَعْلًا: الْعُشْرُ, وَفِيمَا سُقِيَ بِالسَّوَانِي أَوِ النَّضْحِ: نِصْفُ الْعُشْرِ
-
صحيح. رواه البخاري (1483) والعثري: هو الذي يشرب بعروقه من غير سقي
أبو داود (1596)
Salim bin ’Abdullah narrated on the authority of his father (RAA) that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A tithe is due as Zakah, on every plant watered by heaven (rain water), springs, or underground water (i.e. watered without effort).While half a tithe is paid on what is watered by irrigation (i.e. machines are used).” Related by Al-Bukhari. Abu Dawud added in his narration, “When it is watered by underground water (close to the surface and keeping the land wet), a tithe is paid, but half a tithe is paid when the land is watered by wheels or animals.”
পরিচ্ছেদঃ যে পরিমাণ শস্য ও ফলে যাকাত ওয়াজিব
৬১৬. আবূ মূসা আল আশ’আরী ও মু’আয (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বলেছিলেন, শুধুমাত্র চার প্রকার জিনিস হতে সাদাকা গ্ৰহণ করবে: বার্লি, গম, কিশমিশ ও খেজুর।[1]
وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ; وَمُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ لَهُمَا: «لَا تَأْخُذَا فِي الصَّدَقَةِ إِلَّا مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ الْأَرْبَعَةِ: الشَّعِيرِ, وَالْحِنْطَةِ, وَالزَّبِيبِ, وَالتَّمْرِ». رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ, وَالْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه الدارقطني (2/ 98 / 15)، والحاكم في «المستدرك» (4/ 401) وقال الحاكم: «إسناده صحيح» ووافقه الذهبي، وهو كما قالا. وقد أعله ابن دقيق العيد بما لا يقدح، وقد أجبت عليه في الأصل
Abu Musa Al-Ash’ari and Mu'adh (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said to them, “Do not take any Zakah except on these four crops:
barley, wheat, raisins and dates.”Related by At-Tabarani and Al-Hakim.
পরিচ্ছেদঃ যে পরিমাণ শস্য ও ফলে যাকাত ওয়াজিব
৬১৭. দারাকুৎনীতে মু’আয থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শশা-খিরা, তরমুজ, আনার ও আখ জাতীয় জিনিসের যাকাত (’উশর) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাফ করে দিয়েছেন। এর সানাদটি দুর্বল।[1]
وَلِلدَّارَقُطْنِيِّ, عَنْ مُعَاذٍ: فَأَمَّا الْقِثَّاءُ, وَالْبِطِّيخُ, وَالرُّمَّانُ, وَالْقَصَبُ, فَقَدْ عَفَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم. وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ
-
ضعيف جدا. رواه الدارقطني (2/ 97 / 9) في سنده انقطاع وأحد المتروكين. وضعفه الحافظ في «التلخيص» (2/ 165)
Imam Ad-Daraqutni related on the authority of Mu’adh (RAA), ‘As for cucumbers, watermelons, pomegranates, and sugar-cane, the Messenger of Allah (ﷺ) has exempted them from Zakah.’ It is transmitted with a weak chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ফলের অনুমান করা ও চাষির জন্য যা ছেড়ে দেয়া হবে
৬১৮. সাহল বিন আবূ হাসমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন, যখন তোমরা হিসাব করবে (খেজুর জাতীয় ফলের যাকাত) তখন তা হতে এক তৃতীয়াংশ বাদ দিয়ে হিসেব করবে; যদি এক তৃতীয়াংশ ছাড়তে না পার তাহলে এক চতুর্থাংশ ছাড়বে। -ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا خَرَصْتُمْ, فَخُذُوا, وَدَعُوا الثُّلُثَ, فَإِنْ لَمْ تَدَعُوا الثُّلُثَ, فَدَعُوا الرُّبُعَ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ إِلَّا اِبْنَ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
-
ضعيف. رواه أبو داود (1605)، والنسائي (5/ 42)، والترمذي (643)، وأحمد (3/ 448 و 4/ 2 - 3 و 3)، وابن حبان (798 موارد)، والحاكم (1/ 402) من طريق عبد الرحمن بن نيار، عن سهل به. قلت: وابن نيار «لا يعرف» كما قال ابن القطان، والذهبي
বিন বায বুলুগুল মারামের শারাহ (৩৮১) গ্রন্থে এর সানাদকে হাসান বলেছেন। শাইখ আলবানী সিলসিলা যঈফা (২৫৫৬), যঈফুল জামে (৪৭৬), আবূ দাউদ (১৬০৫), তিরমিযী (৬৪৩) গ্রন্থসমূহে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বাযযার আল বাহরুয যিখার (৬/২৭৯) গ্রন্থে বলেন, এ হাদীসের রাবী আবদুর রহমান বিন নাইয়্যার পরিচিত। ইবনুল কাইয়্যিম আলামুল মুআক্কিয়ীন (২/২৬৬) গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইবনু হাজার আত্-তালখীসুল হাবীর (২/৭৫৫) গ্রন্থে বলেন, যদিও এর সানাদে আবদুর রহমান বিন মাস’উদ রয়েছে তার পরও এর শাহেদ হাদীস রয়েছে। সানআনী সুবুলুস সালাম (২/২২১) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদ হচ্ছে মাজহুল হাল। ইমাম শাওকানী নাইলুল আওত্বার (৪/২০৫) গ্রন্থে বলেন, আব্দুর রহমান বিন মাস’উদ বিন নাইয়্যার সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা জানা যায় না। এর শাহেদ রয়েছে আর তাতে রয়েছে ইবনু লাহীআহ।
Sahl bin Abi Hathmah (RAA) narrated, “We were commanded by the Messenger of Allah (ﷺ), ‘Whenever you assess the amount of something, estimate the [Zakah] and ignore one-third. If you do not, then leave (at least) one fourth.” Related by the five Imams, except for Ibn Majah.