পরিচ্ছেদঃ ১. জ্ঞানার্জনের ফযীলত
৩৬৪১। কাসীর ইবনু কায়স (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ দারদা (রাঃ)-এর সঙ্গে দামেশকের মসজিদে বসা ছিলাম। তখন তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবূ দারদা! আমি একটি হাদীসের জন্য সুদূর মদীনাতুর রাসূল থেকে এসেছি। জানতে পারলাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন। এ ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আমি আসিনি। আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার পরিবর্তে তাকে জান্নাতের পথসমূহের মধ্যে কোনো একটি পথে পৌঁছে দেন।
ফিরিশতারা জ্ঞান অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও দু’আ প্রার্থনা করে, এমন কি পানির গভীরে বসবাসকারী মাছও। আবেদ (সাধারণ ইবাদাতগুজারী) ব্যক্তির উপর ’আলিমের ফাযীলাত হলো যেমন সমস্ত তারকার উপর পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা। জ্ঞানীরা হলেন নবীদের উত্তরসুরি। নবীগণ কোনো দীনার বা দিরহাম মীরাসরূপে রেখে যান না; তারা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে যান শুধু ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করেছে।[1]
সহীহ।
بَابُ الْحَثِّ عَلَى طَلَبِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ دَاوُدَ بْنِ جَمِيلٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي الدَّرْدَاءِ، فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ: إِنِّي جِئْتُكَ مِنْ مَدِينَةِ الرَّسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَدِيثٍ بَلَغَنِي، أَنَّكَ تُحَدِّثُهُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا جِئْتُ لِحَاجَةٍ، قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا مِنْ طُرُقِ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ، وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ، وَمَنْ فِي الْأَرْضِ، وَالْحِيتَانُ فِي جَوْفِ الْمَاءِ، وَإِنَّ فَضْلَ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ، كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ، وَإِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ، وَإِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا، وَلَا دِرْهَمًا وَرَّثُوا الْعِلْمَ، فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ
صحيح
Narrated Kathir ibn Qays:
Kathir ibn Qays said: I was sitting with AbudDarda' in the mosque of Damascus.
A man came to him and said: AbudDarda, I have come to you from the town of the Messenger of Allah (ﷺ) for a tradition that I have heard you relate from the Messenger of Allah (ﷺ). I have come for no other purpose.
He said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: If anyone travels on a road in search of knowledge, Allah will cause him to travel on one of the roads of Paradise. The angels will lower their wings in their great pleasure with one who seeks knowledge, the inhabitants of the heavens and the Earth and the fish in the deep waters will ask forgiveness for the learned man. The superiority of the learned man over the devout is like that of the moon, on the night when it is full, over the rest of the stars. The learned are the heirs of the Prophets, and the Prophets leave neither dinar nor dirham, leaving only knowledge, and he who takes it takes an abundant portion.
পরিচ্ছেদঃ ১. জ্ঞানার্জনের ফযীলত
৩৬৪২। আবূ দারদা (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে উপরোল্লিখিত হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[1]
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
بَابُ الْحَثِّ عَلَى طَلَبِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَزِيرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ: لَقِيتُ شَبِيبَ بْنَ شَيْبَةَ، فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سَوْدَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، يَعْنِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَعْنَاهُ
لم أجده في الصحيح و لا في الضعيف
The tradition mentioned above has also been transmitted by Abu al-Darda through a different chain of narrators to the same effect from the Holy Prophet (ﷺ)
পরিচ্ছেদঃ ১. জ্ঞানার্জনের ফযীলত
৩৬৪৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করলে তার বিনিময়ে আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সুগম করে দেন। যার আমল তাকে পিছিয়ে রেখেছে, তার বংশ গৌরব তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।[1]
সহীহ।
بَابُ الْحَثِّ عَلَى طَلَبِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ رَجُلٍ يَسْلُكُ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا، إِلَّا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ بِهِ طَرِيقَ الْجَنَّةِ، وَمَنْ أَبْطَأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ
صحيح
Abu Hurairah reported the Prophet (ﷺ) as saying:
If anyone pursues a path in search of knowledge, Allah will thereby make easy for him a path to paradise; and he who is made slow by his actions will not be speeded by his genealogy.
পরিচ্ছেদঃ ২. আহলে কিতাবের হাদীস বর্ণনা করা
৩৬৪৪। ইবনু আবূ নামলাহ আল-আনসারী (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। একদা আবূ নামলাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলেন। এ সময় এক ইয়াহুদীও তাঁর নিকট বসা ছিলো। তাঁর সামনে দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হলো। ইয়াহুদী বললো, হে মুহাম্মাদ! এই জানাযা (লাশ) কি কথা বলতে পারে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। ইয়াহুদী বললো, সে (কবরে) কথা বলবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কিতাবধারীরা তোমাদেরকে যেসব কথাবার্তা বলে তা তোমরা বিশ্বাসও করো না এবং মিথ্যাও ভেবো না। তোমরা বলো, আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের প্রতি ঈমান এনেছি। তাদের কথা যদি বাতিল হয় তাহলে তা বিশ্বাস করলে না আর যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তোমরা মিথ্যাও মনে করলে না।[1]
দুর্বলঃ যঈফাহ (১৯৯১)
بَابُ رِوَايَةِ حَدِيثِ أَهْلِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي نَمْلَةَ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ رَجُلٌ، مِنَ الْيَهُودِ مُرَّ بِجَنَازَةٍ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَتَكَلَّمُ هَذِهِ الْجَنَازَةُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُ أَعْلَمُ، فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: إِنَّهَا تَتَكَلَّمُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا حَدَّثَكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَلَا تُصَدِّقُوهُمْ، وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ، وَقُولُوا: آمَنَّا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ، فَإِنْ كَانَ بَاطِلًا لَمْ تُصَدِّقُوهُ، وَإِنْ كَانَ حَقًّا لَمْ تُكَذِّبُوهُ
ضعيف، الضعيفة (١٩٩١)
Narrated AbuNamlah al-Ansari:
When he was sitting with the Messenger of Allah (ﷺ) and a Jew was also with him, a funeral passed by him. He (the Jew) asked (Him): Muhammad, does this funeral speak? The Prophet (ﷺ) said: Allah has more knowledge. The Jew said: It speaks.
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Whatever the people of the Book tell you, do not verify them, nor falsify them, but say: We believe in Allah and His Apostle. If it is false, do not confirm it, and if it is right, do not falsify it.
পরিচ্ছেদঃ ২. আহলে কিতাবের হাদীস বর্ণনা করা
৩৬৪৫। যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়াহুদীদের লেখা (ভাষা) শিখার আদেশ দিলেন। আমি তদনুযায়ী ইয়াহুদীদের লেখা শিখলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! ইয়াহুদীরা আমার পক্ষ থেকে সঠিক লিখবে বলে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। বর্ণনাকারী বলেন, পনেরো দিন যেতে না যেতেই আমি তাদের লেখা আয়ত্ত করে ফেললাম। তিনি চিঠি পত্র লেখানোর ইচ্ছা করলে আমি লিখে দিতাম এবং তার নিকট চিঠিপত্র এলে আমি তা তাঁকে পড়ে শুনাতাম।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ رِوَايَةِ حَدِيثِ أَهْلِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ يَعْنِي ابْنَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَعَلَّمْتُ لَهُ كِتَابَ يَهُودَ، وَقَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُ يَهُودَ عَلَى كِتَابِي فَتَعَلَّمْتُهُ، فَلَمْ يَمُرَّ بِي إِلَّا نِصْفُ شَهْرٍ حَتَّى حَذَقْتُهُ، فَكُنْتُ أَكْتُبُ لَهُ إِذَا كَتَبَ وَأَقْرَأُ لَهُ، إِذَا كُتِبَ إِلَيْهِ
حسن صحيح
Narrated Zayd ibn Thabit:
The Messenger of Allah (ﷺ) ordered me (to learn the writing of the Jews), so I learnt for him the writing of the Jews. He said: I swear by Allah, I do not trust Jews in respect of writing for me. So I learnt it, and only a fortnight passed before I mastered it. I would write for him when he wrote (to them), and read to him when something was written to him.
পরিচ্ছেদঃ ৩. জ্ঞানের কথা লিখে রাখা
৩৬৪৬। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যা কিছু শুনতাম লিখে রাখতাম। মনে রাখার জন্যই আমি এরূপ করতাম। কুরাইশরা আমাকে সবকিছু লিখতে বারণ করলেন এবং বললেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে শোনা সবকিছুকেই লিখে রাখো? তিনি তো একজন মানুষ, রাগ ও শান্ত উভয় অবস্থায় কথা বলে থাকেন। সুতরাং আমি লেখা স্থগিত রাখলাম। আমি এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি আঙ্গুল দিয়ে তাঁর মুখের দিকে ইশারা করে বললেনঃ তুমি লিখে রাখো, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, এ মুখ থেকে সর্বাবস্থায় সত্য ব্যতীত অন্য কিছু বের হয় না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي كِتَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُغِيثٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: كُنْتُ أَكْتُبُ كُلَّ شَيْءٍ أَسْمَعُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيدُ حِفْظَهُ، فَنَهَتْنِي قُرَيْشٌ وَقَالُوا: أَتَكْتُبُ كُلَّ شَيْءٍ تَسْمَعُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَرٌ يَتَكَلَّمُ فِي الْغَضَبِ، وَالرِّضَا، فَأَمْسَكْتُ عَنِ الْكِتَابِ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَوْمَأَ بِأُصْبُعِهِ إِلَى فِيهِ، فَقَالَ: اكْتُبْ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا يَخْرُجُ مِنْهُ إِلَّا حَقٌّ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:
I used to write everything which I heard from the Messenger of Allah (ﷺ). I intended (by it) to memorise it. The Quraysh prohibited me saying: Do you write everything that you hear from him while the Messenger of Allah (ﷺ) is a human being: he speaks in anger and pleasure? So I stopped writing, and mentioned it to the Messenger of Allah (ﷺ). He signalled with his finger to him mouth and said: Write, by Him in Whose hand my soul lies, only right comes out from it.
পরিচ্ছেদঃ ৩. জ্ঞানের কথা লিখে রাখা
৩৬৪৭। আল-মুত্তালিব ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু হানতাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) মু’আবিয়াহ (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। মু’আবিয়াহ (রাঃ) তাকে একটি হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন এবং এক ব্যক্তিকে তা লিখে রাখার আদেশ দিলেন। যায়িদ (রাঃ) তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হাদীস না লিখতে আদেশ দিয়েছেন এবং যা লেখা হয়েছিল তাও মুছে দিলেন।[1]
সনদ দুর্বল।
بَابٌ فِي كِتَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، قَالَ: دَخَلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَسَأَلَهُ عَنْ حَدِيثٍ فَأَمَرَ إِنْسَانًا يَكْتُبُهُ، فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَنَا أَنْ لَا نَكْتُبَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ فَمَحَاهُ
ضعيف الإسناد
Narrated Al-Muttalib bin 'Abd Allah bin Hantab:
Al-Muttalib ibn Abdullah ibn Hantab said: Zayd ibn Thabit entered upon Mu'awiyah and asked him about a tradition. He ordered a man to write it. Zayd said: The Messenger of Allah (ﷺ) ordered us not to write any of his traditions. So he erased it.
পরিচ্ছেদঃ ৩. জ্ঞানের কথা লিখে রাখা
৩৬৪৮। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) বলেনঃ আমরা তাশাহুদ ও আল-কুরআন ছাড়া আর কিছু লিখতাম না।[1]
শায।
بَابٌ فِي كِتَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: مَا كُنَّا نَكْتُبُ غَيْرَ التَّشَهُّدِ، وَالْقُرْآنِ
شاذ
It was narrated that Abu Saeed Al-Khudri said:
"We used not to write anything but the Tasha-hud and the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ৩. জ্ঞানের কথা লিখে রাখা
৩৬৪৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয় হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষণ উল্লেখ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ শাহ নামক ইয়ামেনের এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনারা আমাকে লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেনঃ তোমরা আবূ শাহকে লিখে দাও।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي كِتَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، ح وحَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ: لَمَّا فُتِحَتْ مَكَّةُ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْخُطْبَةَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو شَاهَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اكْتُبُوا لِي، فَقَالَ: اكْتُبُوا لِأَبِي شَاهَ
صحيح
Abu Hurairah said :
When Mecca was conquered, the Holy Prophet (peace be upon him) stood up. He (Abu Hurairah) then mentioned the sermon of the Holy Prophet (ﷺ). He said: A man of the Yemen, who was called Abu Shah, got up and said: Messenger of Allah! Write it for me. He said: Write it for Abu Shah.
পরিচ্ছেদঃ ৩. জ্ঞানের কথা লিখে রাখা
৩৬৫০। আল-ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমি আবূ আমর (রহঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, তারা কি লিখেছেন? তিনি বললেন, সে সময় তিনি তাঁর যে ভাষণ শুনেছিলেন তা।[1]
সহীহ মাকতূ।
بَابٌ فِي كِتَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي عَمْرٍو مَا يَكْتُبُوهُ، قَالَ: الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا يَوْمَئِذٍ مِنْهُ
صحيح مقطوع
Al-Walid said :
I asked Abu `Amr: What are they writing? He said: The sermon which he heard that day.
পরিচ্ছেদঃ ৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি মিথ্যারোপ করা সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারী
৩৬৫১। আব্দুল্লাহ ইবনুস যুবায়র (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি যুবায়র (রাঃ)-কে বললাম, আপনি অন্যান্য সাহাবীদের মতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস বর্ণনা করেন না কেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তাঁর নৈকট্য লাভ করেছি, তাঁর সাহচর্যে থেকেছি। কিন্তু আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো, সে (জাহান্নামের) আগুনে তার বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي التَّشْدِيدِ فِي الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْمَعْنَى، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، قَالَ: مُسَدَّدٌ أَبُو بِشْرٍ: عَنْ وَبَرَةُ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُحَدِّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا يُحَدِّثُ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ لِي مِنْهُ وَجْهٌ وَمَنْزِلَةٌ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
صحيح
`Abd Allah bin al-Zubair said on the authority of the father :
I asked al-Zubair : What prevents you from narrating traditions from the Messenger of Allah (ﷺ) as his Companions narrate from him? He said: By Allah I was very close to him. But I heard him (ﷺ) say: He who lies about me deliberately will certainly come to his abode in Hell.
পরিচ্ছেদঃ ৫. না জেনে আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে আলোচনা করা
৩৬৫২। যুনদুব (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনের ব্যাখ্যায় নিজ মনগড়া কথা বলে, তার কথা সঠিক হয়ে গেলেও সে ভুল করেছে।[1]
দুর্বল।
بَابُ الْكَلَامِ فِي كِتَابِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُقْرِئُ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ مِهْرَانَ، أَخِي حَزْمٍ الْقُطَعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ، عَنْ جُنْدُبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ: فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِرَأْيِهِ فَأَصَابَ، فَقَدْ أَخْطَأَ
ضعيف
Narrated Jundub:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone interprets the Book of Allah in the light of his opinion even if he is right, he has erred.
পরিচ্ছেদঃ ৬. কথায় পুনরাবৃত্তি প্রসঙ্গ
৩৬৫৩। আবূ সাল্লাম (রহঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক খাদেমের সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কথা বললে তা তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন।[1]
সনদ দুর্বল।
بَابُ تَكْرِيرِ الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَقِيلٍ هَاشِمِ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ سَابِقِ بْنِ نَاجِيَةَ، عَنْ أَبِي سَلَّامٍ، عَنْ رَجُلٍ، خَدَمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا حَدَّثَ حَدِيثًا، أَعَادَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
ضعيف الإسناد
AbuSallam said on the authority of a man who served the Holy Prophet (ﷺ) that whenever he talked, he repeated it three times.
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্রুত কথা বলা ঠিক নয়
৩৬৫৪। উরওয়াহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরের পাশে এসে বসলেন। তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) দু’ বার বললেন, হে ঘরের বাসিনী! শুনুন। আয়িশাহ (রাঃ) সালাত শেষ করে উরওয়াহকে বললেন, তুমি কি এ ব্যক্তি ও তার কথায় অবাক হচ্ছ না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কথা বললে এত স্পষ্ট ও ধীরস্থিরভাবে বলতেন যে, কোনো গণনাকারী তা গণনা করতে চাইলে অনায়াশে তা গণনা করতে পারত।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي سَرْدِ الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: جَلَسَ أَبُو هُرَيْرَةَ، إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَهِيَ تُصَلِّي، فَجَعَلَ يَقُولُ: اسْمَعِي يَا رَبَّةَ الْحُجْرَةِ، مَرَّتَيْنِ فَلَمَّا قَضَتْ صَلَاتَهَا، قَالَتْ: أَلَا تَعْجَبُ إِلَى هَذَا، وَحَدِيثِهِ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُحَدِّثُ الْحَدِيثَ لَوْ شَاءَ الْعَادُّ أَنْ يُحْصِيَهُ أَحْصَاهُ
صحيح
`Urwah said:
Abu Hurairah sat beside the apartment of `A’ishah while she was praying. He then began to say: Listen, O lady of the apartment, saying it twice (in quick succession). When she finished her prayer, she said: Are you not surprised at him and the way he narrates traditions from the Apostle of the Allah (ﷺ). When the Apostle of the Allah (ﷺ) gave a talk, a man could count his words if he wished to count.
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্রুত কথা বলা ঠিক নয়
৩৬৫৫। উরওয়াহ ইবনুয যুবায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আবূ হুরাইরাহর আচরণ তোমাকে কি অবাক করে না? সে এসে আমার ঘরের এক পাশে বসে আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি হাদীস পড়ে শুনাতে লাগলো। আমি তখন সালাতরত ছিলাম। আমার সালাত শেষ হওয়ার পূর্বেই সে উঠে চলে গেলো। আমি যদি তাকে পেতাম তবে তাকে বলতাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের ন্যায় তাড়াহুড়া করে কথা বলতেন না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي سَرْدِ الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: أَلَا يُعْجِبُكَ أَبُو هُرَيْرَةَ جَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِ حُجْرَتِي يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُسْمِعُنِي ذَلِكَ وَكُنْتُ أُسَبِّحُ، فَقَامَ، قَبْلَ أَنْ أَقْضِيَ سُبْحَتِي وَلَوْ أَدْرَكْتُهُ لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيثَ مِثْلَ سَرْدِكُمْ
صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Are you not surprised at AbuHurayrah? He came and sat beside my apartment, and began to narrate traditions from the Messenger of Allah (ﷺ) making me hear them. I was saying supererogatory prayer. He got up (and went away) before I finished my prayer. Had I found him, I would have replied to him. The Messenger of Allah (ﷺ) did not narrate traditions quickly one after another as you narrate quickly.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ফাতাওয়াহ্ প্রদানে সাবধানতা অবলম্বন
৩৬৫৬। মু’আবিয়াহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করতে আমাদের বারণ করেছেন।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (২৪৩)।
بَابُ التَّوَقِّي فِي الْفُتْيَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ الصُّنَابِحِيّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الغُلُوطَاتِ
ضعيف، المشكاة (٢٤٣)
Narrated Mu'awiyah:
The Holy Prophet (ﷺ) forbade the discussion of thorny questions.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ফাতাওয়াহ্ প্রদানে সাবধানতা অবলম্বন
৩৬৫৭। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। সুলাইমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ যে ব্যক্তি তার ভাইকে ক্ষতিকর পরামর্শ দেয়, অথচ সে জানে যে, কল্যাণ তার বিপরীতে রয়েছে তাহলে সে তার ভাইয়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকাত করলো।[1]
হাসান।
بَابُ التَّوَقِّي فِي الْفُتْيَا
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ» زَادَ سُلَيْمَانُ الْمَهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ، وَمَنْ أَشَارَ عَلَى أَخِيهِ بِأَمْرٍ يَعْلَمُ أَنَّ الرُّشْدَ فِي غَيْرِهِ فَقَدْ خَانَهُ وَهَذَا لَفْظُ سُلَيْمَانَ
حسن
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone is given a legal decision ignorantly, the sin rests on the one who gave it. Sulayman al-Mahri added in his version: If anyone advises his brother, knowing that guidance lies in another direction, he has deceived him. These are the wordings of Sulayman.
পরিচ্ছেদঃ ৯. জ্ঞানের কথা গোপন করা অপছন্দনীয়
৩৬৫৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জানা ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে তা গোপন করলো, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাকে আগুনের লাগাম পরিয়ে দিবেন।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ كَرَاهِيَةِ مَنْعِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ فَكَتَمَهُ أَلْجَمَهُ اللَّهُ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حسن صحيح
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: He who is asked something he knows and conceals it will have a bridle of fire put on him on the Day of Resurrection.
পরিচ্ছেদঃ ১০. জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার ফযীলত
৩৬৫৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভালভাবে জ্ঞানের কথা শুনে রাখো। কেননা লোকেরা তোমাদের কাছ থেকে তা শুনবে। অতঃপর তোমাদের কাছ থেকে যারা শুনবে তাদের কাছ থেকেও পরবর্তীরা শুনবে।[1]
সহীহ।
بَابُ فَضْلِ نَشْرِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَسْمَعُونَ وَيُسْمَعُ مِنْكُمْ وَيُسْمَعُ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْكُمْ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) said: You hear (from me), and others will hear from you; and people will hear from them who heard from you.
পরিচ্ছেদঃ ১০. জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার ফযীলত
৩৬৬০। যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমার নিকট থেকে হাদিস শুনে তা মুখস্থ রাখলো এবং অন্যের নিকটও তা পৌঁছে দিলো, আল্লাহ তাকে চিরউজ্জ্বল করে রাখবেন। জ্ঞানের অনেক বাহক তার চেয়ে অধিক সমঝদার লোকের নিকট তার বহন নিয়ে যায়; যদিও জ্ঞানের বহু বাহক নিজেরা জ্ঞানী নয়।[1]
সহীহ।
بَابُ فَضْلِ نَشْرِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، مِنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا، فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ، فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ، وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ
صحيح
Narrated Zayd ibn Thabit:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: May Allah brighten a man who hears a tradition from us, gets it by heart and passes it on to others. Many a bearer of knowledge conveys it to one who is more versed than he is; and many a bearer of knowledge is not versed in it.