পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসি হাসতেন:
১৬৮. আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি।[1]
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ ، أَنَّهُ قَالَ : " مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ تَبَسُّمًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " .
Abdullah ibn Haarith radiyallahu anhu reports, “I did not see anyone who smiled more than Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam.”
পূর্বের অধ্যায়ের এক হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সর্বদা চিন্তিত থাকতেন। আর এ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বেশি বেশি মুচকি হাসতেন। এ দু’হাদীসের সমন্বয় হলো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অন্তর সর্বদা চিন্তিত থাকত। কিন্তু লোকদের তিনি বুঝতে দিতেন না তাই তাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন। এটা ছিল তাঁর উন্নত চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
A question arises from this hadith, that in that last hadith of the previous chapter, it is stated that Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam always remained in deep thought and sorrow. This seems to contradict that hadith. Two explanations are given to the hadith. The first is that the meaning of the hadith is that Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam smiled more than he laughed. No other person was seen, whose smile was more than his laugh. In a further hadith which is reported from that same Sahaabi, this has been clearly elucidated. The second explanation is that Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam besides being naturally worried, smiled and appeared cheerful so that the Sahaabah radiyallahu anhum might feel at ease and comfortable. This is the pinnacle of humbleness and good character. In the fifth and sixth hadith of this chapter, Sayyidina Jarir radiyallahu anhu says that whenever Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam saw me, he met me with a cheerful smile. There now remains no contradiction with the first hadith. Many times it so happens that a person is sad and worried, but to keep others happy, or for some other reason one has the opportunity to meet them cheerfully. Those who have in their hearts a mark of love, experience this many times.
পরিচ্ছেদঃ
১৬৯. আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময় মুচকী হাসতেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْخَلالُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّالِحِينِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ ، قَالَ : " مَا كَانَ ضَحِكُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلا تَبَسُّمًا "
Abdullah ibn Haarith radiyallahu anhu relates, “The laugh of Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam was but a smile.”
That means he smiled more often. There were fewer occasions where he laughed.
পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসার সময় দাঁত দেখা যেত:
১৭০. আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আমি সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিকে ভালোভাবে জানি। আর যে ব্যক্তি সর্বশেষ জাহান্নাম হতে নাজাত পাবে, তাকেও জানি। কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে (আল্লাহর নিকট উপস্থিত করে) বলা হবে, এর সগীরা গুনাহগুলো উপস্থাপন করো এবং কবীরা গুনাহগুলো গোপন করে রাখো। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি অমুক অমুক দিনে এই এই গুনাহ করেছ। তখন সে ব্যক্তি সবগুলো স্বীকার করবে এবং একটিও অস্বীকার করবে না। এরপর সে তাঁর কবীরা গুনাহসমূহ সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তখন ঘোষণা দেয়া হবে যে, তাঁর প্রতিটি মন্দ কাজের বিনিময়ে একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করো। এরপর সে বলবে, নিশ্চয় এখনও আমার অনেক গুনাহ বাকী আছে, যা দেখতে পাচ্ছি না। আবু যর (রাঃ) বলেন, তখন আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসছেন; এমনকি তাঁর সাদা দাতগুলো দেখা যাচ্ছিল।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي لأَعْلَمُ أَوَّلَ رَجُلٍ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ , وَآخَرَ رَجُلٍ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ ، يُؤْتَى بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ , فَيُقَالُ : اعْرِضُوا عَلَيْهِ صِغَارَ ذُنُوبِهِ وَيُخَبَّأُ عَنْهُ كِبَارُهَا ، فَيُقَالُ لَهُ : عَمِلْتَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا , كَذَا ، وَهُوَ مُقِرٌّ , لا يُنْكِرُ ، وَهُوَ مُشْفِقٌ مِنْ كِبَارِهَا , فَيُقَالُ : أَعْطُوهُ مَكَانَ كُلِّ سَيِّئَةٍ عَمِلَهَا حَسَنَةً ، فَيَقُولُ : إِنَّ لِي ذُنُوبًا مَا أَرَاهَا هَهُنَا " ، قَالَ أَبُو ذَرٍّ : فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ .
Abu Dhar radiyallahu anhu says, “Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam said, “I know that person well who will enter Jannah first and also that person who will be the last one to be taken out of Jahannam. On the Day of Qiyaamah a person will be brought forward to the court of Almighty Allah. It shall be commanded that all the minor sins of that person be put forward to him and the major sisn be concealed. When the minor sins are disclosed to that person, he will
accept that he had committed them, as there will be no room for refuting them. (He will begin to tremble and say in his heart that these are only the minor sins, what will happen when the major sins are exposed.) During this happening it shall be commanded that for every sin of that person he be given the ajr (thawaab-reward) of a good deed. Upon hearing this person himself will say I
still have many sins left to account for, that are not seen here.” Abu Dhar radiyallahu anhu says, “Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam while narrating the words of that person began laughing until his mubarak teeth began to show.” (The reason being that the person himself disclosed the very sins he was frightened of.)
This person whose case is being narrated in detail is the same person of whom it was first described in brief that he will be the last one to enter Jannah, or it may be another person. The person who will enter Jannah last is the one whose incident is mentioned in the seventh hadith of this chapter.
পরিচ্ছেদঃ
১৭১. জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ইসলাম গ্রহণের পর হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (তাঁর কাছে আসতে) বাধা দেননি। আর আমাকে দেখা মাত্রই তিনি হাসতেন।[1]
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو ، قَالَ : حَدَّثَنَا زَائِدَةُ ، عَنْ بَيَانٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : " مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ أَسْلَمْتُ , وَلا رَآنِي إِلا ضَحِكَ " .
Jabir ibn Abdullah radiyallahu anhu says, “After I accepted Islam, Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam never prohibited me from attending his assemblies. Whenever he saw me he laughed.” In the second narration it is stated that he smiled.
পরিচ্ছেদঃ
১৭২. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সর্বশেষে জাহান্নাম হতে নাজাত পেয়ে বের হয়ে আসবে, আমি তাঁকে চিনি। সে হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম হতে বের হয়ে আসবে। এরপর তাকে বলা হবে, এসো। জান্নাতে প্রবেশ করো। ঘোষণা মুতাবিক সে (জান্নাতের দিকে) যাবে এবং সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবে কোথাও ঠাঁই নাই। লোকেরা সকল স্থান অধিকার করে আছে। অতঃপর সে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক! লোকেরা তো সব স্থানই দখল করে আছে। তখন তাকে বলা হবে, তোমার সে কালের (দুনিয়ার) কথা স্মরণ আছে কি, যেখানে তুমি অবস্থান করেছিলে? সে বলবে, জি-হ্যাঁ। সবই আমার মনে পড়ে।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন তাকে বলা হবে, তোমার মনে যা চায়, তা আকাঙ্ক্ষা করো। তিনি বলেন, তখন সে আকাঙ্ক্ষা করবে। এরপর তাকে বলা হবে, তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করলে তাই তোমার জন্য মঞ্জুর করা হলো এবং তোমাকে দশ দুনিয়ার সমান দেয়া হবে। তিনি বলেন, তখন সে বলবে, আপনি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন অথচ আপনি আমার মালিক সারা জাহানের সম্রাট! তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এমতাবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মুচকি হাসি দিতে দেখলাম, এমনকি তাঁর দাত দেখা যাচ্ছিল।[1]
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي لأَعْرفُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا ، رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنْهَا زَحْفًا ، فَيُقَالُ لَهُ : انْطَلِقْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ " ، قَالَ : " فَيَذْهَبُ لِيَدْخُلَ الْجَنَّةَ ، فَيَجِدُ النَّاسَ قَدْ أَخَذُوا الْمَنَازِلَ ، فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ : يَا رَبِّ ، قَدْ أَخَذَ النَّاسُ الْمَنَازِلَ ، فَيُقَالُ لَهُ : أَتَذْكُرُ الزَّمَانَ الَّذِي كُنْتَ فِيهِ ، فَيَقُولُ : نَعَمْ " ، قَالَ : " فَيُقَالُ لَهُ : تَمَنَّ " ، قَالَ : " فَيَتَمَنَّى ، فَيُقَالُ لَهُ : فَإِنَّ لَكَ الَّذِي تَمَنَّيْتَ وَعَشَرَةَ أَضْعَافِ الدُّنْيَا " ، قَالَ : " فَيَقُولُ : تَسْخَرُ بِي وَأَنْتَ الْمَلِكُ ! " قَالَ : فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ضَحِكَ , حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ .
Abdullah ibn Mas’ood radiyallahu anhu said, “I know the person who will come out last from the fire. He will be such a man who will crawl out (due to the severity of the punishment of Jahannam he will not be able to walk). He will then be ordered to enter Jannah. He will go there and find that all the places therein are occupied. He will return and say, ‘O Allah the people have
taken all the places.’ It will be said to him. ‘Do you remember the places in the world?’ (That when a place gets filled, there remains no place for a newcomer. And a person that arrives first occupies as much as one pleases, there remains no place for the ones that arrive later. The elders have translated it in this manner. According to this humble servant, if the meaning of it is taken as follows, it seeems more appropriate, that do you remember the vastness and plentiness of the world and how big the world was. He is being reminded, because an announcement is going to be made that a place that is ten times greater than the world shall be given to him. After
imagining the vastness of the world once, it may be assesed how great this gift is?). He will reply, ‘O my creator, I remember well.’ It will be commanded to him. ‘Make your wish in whichever way your heart desires.’ He will put forward his desires. It shall be commanded. All your desires are fulfilled and in addition ten times the size of the world is granted to you. He will
reply, ‘Are you jesting with me O my Allah, and You are the King of the Kings? (There is no place in Jannah and You are granting me a place ten times greater than the world).” Sayyidina Ibn Mas’ood radiyallahu anhu said, “I saw Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam laugh till his mubarak teeth showed, when he related this portion of the man’s reply.
The laughing of Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam was due to his happiness on granting His Mercies and Bounties on a person who is the last to be taken out of Jahannam. From this it is clear that the person was the most sinful (Muslim). Yet he was so greatly rewarded in this manner. What about the general Muslims, and especially the pious, what great Mercies and Bounties shall be showered on them? The more bounties the Ummah will receive, the more it becomes a reason for Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam to become happy. It is possible that Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam laughed, because that person, who after experiencing the great hardships and punishment, came out of Jahannam. Yet he had the audacity to express his desires and also say that Allah was joking.
পরিচ্ছেদঃ
১৭৩. আলী ইবনে রবী’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আলী (রাঃ) এর সামনে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে একটি জানোয়ারকে আরোহণের জন্য আনা হলো। যখন তিনি সে পশুটির পাদানীতে পা রাখলেন এবং বললেন, “বিসমিল্লা-হ”। অতঃপর জানোয়ারের পিঠে যখন সোজা হয়ে বসলেন তখন বললেন, “আলহামদু লিল্লা-হ” (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) অতঃপর বললেনঃ
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ
“সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লানা- হা-যা- ওয়ামা- কুন্না- লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না-ইলা- রব্বিনা-লামুনক্বালিবূন”
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মহান সত্তার পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি, যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করেছেন। আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম নই। বস্তুত আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করছি।[1]
এরপর তিনি ৩ বার “আলহামদু লিল্লাহ” এবং ৩ বার “আল্লাহু আকবর” পাঠ করলেন। এরপর এ দু’আ পড়লেনঃ
سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ، فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ
“সুবহা-নাকা ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা”।
অর্থাৎ আল্লাহ পবিত্র! নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপর সীমালঙ্ঘন করেছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কারণ, আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই।
এরপর তিনি হাসলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার হাসি পেল? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এমনভাবে দেখেছি যেভাবে আমি এইমাত্র কথা ও কাজ সম্পন্ন করলাম। এরপর তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন জিনিস আপনাকে হাসাল? তিনি বললেন, তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দার এ কথা খুবই পছন্দ করেন যখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও, এ বিশ্বাস রেখে যে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।[2]
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ ، قَالَ : شَهِدْتُ عَلِيًّا ، أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ ، قَالَ : بِسْمِ اللَّهِ ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا ، قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ ، ثُمَّ قَالَ : سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ ( 13 ) وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ سورة الزخرف آية 13-14 ، ثُمَّ قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلاثًا ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلاثًا ، سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ، فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ ، ثُمَّ ضَحِكَ . فَقُلْتُ لَهُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ؟ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَعَ كَمَا صَنَعْتُ ثُمَّ ضَحِكَ ، فَقُلْتُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ : " إِنَّ رَبَّكَ لَيَعْجَبُ مِنْ عَبْدِهِ , إِذَا قَالَ : رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي ، إِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرُكَ " .
[2] মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৩; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/১৩৪; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/৮৭৪৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৪৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/২৬৯৮।
Ali ibn Rabiah radiyallahu anhu says, “I was present when a conveyance (A horse or something) was brought to Hazrat Ali radiyallahu anhu (in the period of his khilafah). He recited Bismillah and put his leg in the stirrup. After he had mounted he said Alhamdulillah and recited this dua:
Translation: Glorified be He Who hath sudued those unto us, and we were not capable (Of subduing them); And lo! Unto our Lord we are returning. (Surah Zukhruf 13-14)
Ali radiyallahu anhu then said Alhamdulillah three times, Allahu Akbar three times, then recited:
Translation: Glorified be Thou! Behold, I have wronged myself. So forgive thou me. Indeed, non forgiveth sins but Thou.
Then (Sayyidina Ali radiyallahu anhu) laughed (smiled). I said to him, ‘What is the reason for laughing, O Ameerul Mumineen?’ He replied, ‘Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam also recited these duas in this manner and thereafter laughed (smiled). I also inquired from Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam the reason for laughing (smiling) as you have asked me.
Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam said, ‘Allah Ta’ala becomes happy when His servants say, ‘No one can forgive me save You.’ My servant knows that no one forgives sins besides Me.