১৭২

পরিচ্ছেদঃ

১৭২. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সর্বশেষে জাহান্নাম হতে নাজাত পেয়ে বের হয়ে আসবে, আমি তাঁকে চিনি। সে হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম হতে বের হয়ে আসবে। এরপর তাকে বলা হবে, এসো। জান্নাতে প্রবেশ করো। ঘোষণা মুতাবিক সে (জান্নাতের দিকে) যাবে এবং সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবে কোথাও ঠাঁই নাই। লোকেরা সকল স্থান অধিকার করে আছে। অতঃপর সে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক! লোকেরা তো সব স্থানই দখল করে আছে। তখন তাকে বলা হবে, তোমার সে কালের (দুনিয়ার) কথা স্মরণ আছে কি, যেখানে তুমি অবস্থান করেছিলে? সে বলবে, জি-হ্যাঁ। সবই আমার মনে পড়ে।

বর্ণনাকারী বলেন, তখন তাকে বলা হবে, তোমার মনে যা চায়, তা আকাঙ্ক্ষা করো। তিনি বলেন, তখন সে আকাঙ্ক্ষা করবে। এরপর তাকে বলা হবে, তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করলে তাই তোমার জন্য মঞ্জুর করা হলো এবং তোমাকে দশ দুনিয়ার সমান দেয়া হবে। তিনি বলেন, তখন সে বলবে, আপনি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন অথচ আপনি আমার মালিক সারা জাহানের সম্রাট! তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এমতাবস্থায় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মুচকি হাসি দিতে দেখলাম, এমনকি তাঁর দাত দেখা যাচ্ছিল।[1]

حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي لأَعْرفُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا ، رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنْهَا زَحْفًا ، فَيُقَالُ لَهُ : انْطَلِقْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ " ، قَالَ : " فَيَذْهَبُ لِيَدْخُلَ الْجَنَّةَ ، فَيَجِدُ النَّاسَ قَدْ أَخَذُوا الْمَنَازِلَ ، فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ : يَا رَبِّ ، قَدْ أَخَذَ النَّاسُ الْمَنَازِلَ ، فَيُقَالُ لَهُ : أَتَذْكُرُ الزَّمَانَ الَّذِي كُنْتَ فِيهِ ، فَيَقُولُ : نَعَمْ " ، قَالَ : " فَيُقَالُ لَهُ : تَمَنَّ " ، قَالَ : " فَيَتَمَنَّى ، فَيُقَالُ لَهُ : فَإِنَّ لَكَ الَّذِي تَمَنَّيْتَ وَعَشَرَةَ أَضْعَافِ الدُّنْيَا " ، قَالَ : " فَيَقُولُ : تَسْخَرُ بِي وَأَنْتَ الْمَلِكُ ! " قَالَ : فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ضَحِكَ , حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ .

حدثنا حدثنا هناد بن السري ، قال : حدثنا ابو معاوية ، عن الاعمش ، عن ابراهيم ، عن عبيدة السلماني ، عن عبد الله بن مسعود ، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " اني لاعرف اخر اهل النار خروجا ، رجل يخرج منها زحفا ، فيقال له : انطلق فادخل الجنة " ، قال : " فيذهب ليدخل الجنة ، فيجد الناس قد اخذوا المنازل ، فيرجع فيقول : يا رب ، قد اخذ الناس المنازل ، فيقال له : اتذكر الزمان الذي كنت فيه ، فيقول : نعم " ، قال : " فيقال له : تمن " ، قال : " فيتمنى ، فيقال له : فان لك الذي تمنيت وعشرة اضعاف الدنيا " ، قال : " فيقول : تسخر بي وانت الملك ! " قال : فلقد رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم , ضحك , حتى بدت نواجذه .


Abdullah ibn Mas’ood radiyallahu anhu said, “I know the person who will come out last from the fire. He will be such a man who will crawl out (due to the severity of the punishment of Jahannam he will not be able to walk). He will then be ordered to enter Jannah. He will go there and find that all the places therein are occupied. He will return and say, ‘O Allah the people have
taken all the places.’ It will be said to him. ‘Do you remember the places in the world?’ (That when a place gets filled, there remains no place for a newcomer. And a person that arrives first occupies as much as one pleases, there remains no place for the ones that arrive later. The elders have translated it in this manner. According to this humble servant, if the meaning of it is taken as follows, it seeems more appropriate, that do you remember the vastness and plentiness of the world and how big the world was. He is being reminded, because an announcement is going to be made that a place that is ten times greater than the world shall be given to him. After
imagining the vastness of the world once, it may be assesed how great this gift is?). He will reply, ‘O my creator, I remember well.’ It will be commanded to him. ‘Make your wish in whichever way your heart desires.’ He will put forward his desires. It shall be commanded. All your desires are fulfilled and in addition ten times the size of the world is granted to you. He will
reply, ‘Are you jesting with me O my Allah, and You are the King of the Kings? (There is no place in Jannah and You are granting me a place ten times greater than the world).” Sayyidina Ibn Mas’ood radiyallahu anhu said, “I saw Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam laugh till his mubarak teeth showed, when he related this portion of the man’s reply.

The laughing of Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam was due to his happiness on granting His Mercies and Bounties on a person who is the last to be taken out of Jahannam. From this it is clear that the person was the most sinful (Muslim). Yet he was so greatly rewarded in this manner. What about the general Muslims, and especially the pious, what great Mercies and Bounties shall be showered on them? The more bounties the Ummah will receive, the more it becomes a reason for Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam to become happy. It is possible that Sayyidina Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam laughed, because that person, who after experiencing the great hardships and punishment, came out of Jahannam. Yet he had the audacity to express his desires and also say that Allah was joking.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ শামায়েলে তিরমিযী
৩৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাসি (باب ما جاء في ضحك رسول الله ﷺ)