পরিচ্ছেদঃ ৭৭/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘বল, ‘যে সব সৌন্দর্য-শোভামন্ডিত বস্তু ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কে তা হারাম করল’?’’সূরাহ আল-আ‘রাফ ৭ঃ ৩২)
وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كُلُوا وَاشْرَبُوا وَالْبَسُوا وَتَصَدَّقُوا فِي غَيْرِ إِسْرَافٍ وَلاَ مَخِيلَةٍ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُلْ مَا شِئْتَ وَالْبَسْ مَا شِئْتَ مَا أَخْطَأَتْكَ اثْنَتَانِ سَرَفٌ أَوْ مَخِيلَةٌ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা খাও, পান কর, পরিধান কর এবং দান কর, কোন অপচয় ও অহঙ্কার না করে।
ইবনু ’আব্বাস বলেছেন, যা খাও, যা পরিধান কর, যতক্ষণ না দু’টো জিনিস তোমাকে বিভ্রান্ত করে- অপচয় ও অহঙ্কার।
৫৭৮৩. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সে লোকের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) দেখবেন না, যে অহঙ্কারের সাথে তার পরিধেয়) পোশাক টেনে চলে। [৩৬৬৫; মুসলিম ৩৭/৮, হাঃ ২০৮৫, আহমাদ ৫৩৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৪)
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ وَعَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ يُخْبِرُونَه“ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَنْظُرُ اللهُ إِلٰى مَنْ جَرَّ ثَوْبَه“ خُيَلاَءَ
_______________________________________
[1] সূরা আ‘রাফের ২৬নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন-
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
‘হে বানী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং তাকওয়ার পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে।’
এ আয়াতে শুধু মুসলিমদেরকে সম্বোধন করা হয়নি, সমগ্র বানী- আদমকে সম্বোধন করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদন ও পোশাক মানব জাতির একটি সহজাত প্রবৃত্তি ও প্রয়োজন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এ নিয়ম পালন করে। অতঃপর এর বিশদ বিবরণে তিন প্রকার পোশাকের উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ - এখানে يُوَارِي শব্দটি مواراة থেকে উদ্ভুত। এর অর্থ আবৃত করা سوات শব্দটি سوءة এর বহুবচন। এর অর্থ মানুষের ঐসব অঙ্গ, যেগুলো খোলা রাখাকে মানুষ স্বভাবতই খারাপ ও লজ্জাকর মনে করে। উদ্দেশ্য এই যে, আমি তোমাদের মঙ্গলার্থে এমন পোশাক সৃষ্টি করেছি, যদ্দ্বারা তোমরা গুপ্তাঙ্গ আবৃত করতে পার।
এরপর বলা হয়েছেঃ وَرِيشًا সাজ-সজ্জার জন্যে মানুষ যে পোশক পরিধান করে, তাকে ريش বলা হয়। অর্থ এই যে, গুপ্তাঙ্গ আবৃত করার জন্যে তো সংক্ষিপ্ত পোশাকই যথেষ্ট হয়; কিন্তু আমি তোমাদেরকে আরও পোশাক দিয়েছি, যাতে তোমরা তদ্দ্বারা সাজ-সজ্জা করে বাহ্যিক দেহাবয়বকে সুশোভিত করতে পার।
পোশাকের বিবিধ উপকারিতাঃ আয়াতে পোশাকের দু’টি উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে। এক)- গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদিত করা এবং, দুই) শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা এবং অঙ্গ-সজ্জা। প্রথম উপকারিতাটি অগ্রে বর্ণনা করে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, গুপ্তাঙ্গ আবৃত করা পোশাকের আসল লক্ষ্য। এটাই সাধারণ জন্তু-জানোয়ার থেকে মানুষের স্বতন্ত্রতা। জন্তু-জানোয়ারের পোশাক সৃষ্টিগতভাবে তাদের দেহের অঙ্গ। আর তাদের গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনেও পোশাকের তেমন কোন ভূমিকা নেই। তবে তাদের দেহে গুপ্তাঙ্গ এমনভাবে স্থাপিত হয়েছে, যাতে সম্পূর্ণ খোলা না থাকে। কোথাও লেজ দ্বারা আবৃত করা হয়েছে এবং কোথাও অন্যভাবে।
আদম, হাওয়া এবং তাঁদের সাথে শয়তানী প্ররোচনার ঘটনা বর্ণনা করার পর পোশাকের কথা উল্লেখ করায় এদিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, উলঙ্গ হওয়া এবং গুপ্তাঙ্গ অপরের সামনে খোলা চূড়ান্ত হীনতা ও নির্লজ্জতার লক্ষণ এবং নানা প্রকার অনিষ্টের ভূমিকা বিশেষ।
মানুষের উপর শয়তানের প্রথম হামলাঃ মানুষের বিরুদ্ধে শয়তানের সর্বপ্রথম আক্রমণের [কুমন্ত্রণার] ফলে তার পোশাক খসে পড়েছিল। আজও শয়তান তার শিষ্যবর্গের মাধ্যমে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছায় সভ্যতার নামে সর্বপ্রথম তাকে উলঙ্গ বা অর্ধ-উলঙ্গ করে পথে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টায় রত। শয়তানের তথাকথিত প্রগতি নারীকে লজ্জা-শরম থেকে বঞ্চিত করে সাধারণ্যে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় নিয়ে আসা ছাড়া অর্জিতই হয় না।
ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয গুপ্তাঙ্গ আবৃত করাঃ শয়তান মানুষের এ দুর্বলতা আঁচ করে সর্বপ্রথম হামলা গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনের উপর করেছে। তাই মানুষের সর্বপ্রকার মঙ্গল বিধানকারী শারী‘য়াত গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনের প্রতি এত গুরুত্ব আরোপ করছে যে, ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয গুপ্তাঙ্গ আবৃত করাকেই স্থির করেছে। সালাত, সওম ইত্যাদি সবই এরপর।
তৃতীয় প্রকার পোশাকঃ গুপ্ত-অঙ্গ আবৃতকরণ এবং আরাম ও সাজ-সজ্জার জন্যে দু’প্রকার পোশাক বর্ণনা করার পর কুরআন তৃতীয় এক প্রকার পোশাকের কথা উল্লেখ করে বলেছেঃ وَلِبَاسُ التَّقْوى ذلِكَ خَيْرٌ কোন কোন কিরাআতে যবর দিয়ে وَلِبَاسُ التَّقْوى পড়া হয়েছে। এমতাবস্থায় انزلنا এর مفعول হয়ে অর্থ হবে এই যে, আমি একটি তৃতীয় পোশাক অর্থাৎ, তাকওয়ার পোশাক অবতীর্ণ করেছি। প্রসিদ্ধ কিরাআত অনুযায়ী অর্থ এই যে, দু’প্রকার পোশাক তো সবাই জানে। তৃতীয় একটি পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার পোশাক। এটি সর্বোত্তম পোশাক। ইবনে আববাস ও ওরওয়া ইবনে যুবায়র এর তাফসীর অনুযায়ী তাকওয়ার পোশাক বলে সৎকর্ম ও খোদাভীতিকে বোঝানো হয়েছে। রুহুল-মা‘আনী)
উদ্দেশ্য এই যে, বাহ্যিক পোশাক যেমন মানুষের গুপ্ত অঙ্গের জন্যে আবরণ এবং শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা ও সাজ-সজ্জার উপায় হয়, তেমনি সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিও একটি আধ্যাত্মিক পোশাক। এটি মানুষের চারিত্রিক দোষ ও দুর্বলতার আবরণ এবং স্থায়ী কষ্ট ও বিপদাপদ থেকে মুক্তিলাভের উপায়। এ কারণেই এটি সর্বোত্তম পোশাক।
বাহ্যিক পোশাকের আসল উদ্দেশ্য তাকওয়াঅর্জন করাঃ
وَلِبَاسُ التَّقْوىশব্দ থেকে এদিকেও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বাহ্যিক পোশাক দ্বারা গুপ্ত-অঙ্গ আবৃত করা ও সাজ-সজ্জা করার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত যেন গুপ্তাঙ্গসমূহ পুরোপুরি আবৃত হয়। পোশাক শরীরে এমন অাঁটসাটও না হওয়া চাই, যাতে এসব অঙ্গ উলঙ্গের মত দৃষ্টিগোচর হয়। পোশাকে অহঙ্কার ও গর্বের ভঙ্গিও না থাকা চাই, বরং নম্রতার চিহ্ন পরিদৃষ্ট হওয়া চাই। প্রয়োজনাতিরিক্ত অপব্যয় না হওয়া চাই, মহিলাদের জন্যে পুরুষদের এবং পুরুষদের জন্যে মহিলাদের পোশাক না হওয়া চাই, যা আল্লাহ তা‘আলার অপছন্দনীয়। অধিকন্তু পোশাকে বিজাতির অনুকরণও না হওয়া চাই, যা স্বজাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার পরিচায়ক।
এতদসঙ্গে পোশাকের আসল উদ্দেশ্য চরিত্র ও কর্মের সংশোধনও হওয়া চাই। আয়াতের শেষে বলা হয়েছেঃ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ অর্থাৎ, মানুষকে এ তিন প্রকার পোশাক দান করা আল্লাহ তা‘আলার শক্তির নিদর্শনসমূহের অন্যতম-যাতে মানুষ এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Allah will not look at the person who drags his garment (behind him) out of conceit.''
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/২. যে ব্যক্তি অহঙ্কার ব্যতীত তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে।
৫৭৮৪. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ নিজের পোশাক ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার লুঙ্গির এক পাশ ঝুলে থাকে, আমি তাতে গিরা না দিলে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ, যারা অহঙ্কারবশতঃ এমন করে তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৫)
بَاب مَنْ جَرَّ إِزَارَهু مِنْ غَيْرِ خُيَلاَءَ
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مُوسٰى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ جَرَّ ثَوْبَه“ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرْ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ أَحَدَ شِقَّيْ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِلاَّ أَنْ أَتَعَاهَدَ ذ‘لِكَ مِنْه“ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَسْتَ مِمَّنْ يَصْنَعُه“ خُيَلاَءَ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
The Prophet (ﷺ) said Allah will not look, on the Day of Resurrection at the person who drags his garment (behind him) out of conceit. On that Abu Bakr said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! One side of my Izar hangs low if I do not take care of it." The Prophet (ﷺ) said, 'You are not one of those who do that out of conceit."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/২. যে ব্যক্তি অহঙ্কার ব্যতীত তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে।
৫৭৮৫. আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ছিলাম, এমন সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হল। তখন তিনি ব্যস্ত হয়ে দাঁড়ালেন এবং কাপড় টেনে টেনে মসজিদে পৌঁছলেন। লোকজন একত্রিত হল। তিনি দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তখন সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। এরপর আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনগুলোর দু’টি নিদর্শন, যখন তোমরা তাতে কোন কিছু হতে দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু’আ করতে থাকবে, যতক্ষণ না তা উজ্জ্বল হয়ে যায়। [১০৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৬)
بَاب مَنْ جَرَّ إِزَارَهু مِنْ غَيْرِ خُيَلاَءَ
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلٰى عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ وَنَحْنُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ يَجُرُّ ثَوْبَه“ مُسْتَعْجِلاً حَتّٰى أَتَى الْمَسْجِدَ وَثَابَ النَّاسُ فَصَلّٰى رَكْعَتَيْنِ فَجُلِّيَ عَنْهَا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا وَقَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهَا شَيْئًا فَصَلُّوا وَادْعُوا اللهَ حَتّٰى يَكْشِفَهَا.
Narrated Abu Bakra:
The solar eclipse occurred while we were sitting with the Prophet (ﷺ) He got up dragging his garment (on the ground) hurriedly till he reached the mosque The people turned (to the mosque) and he offered a two-rak`at prayer whereupon the eclipse was over and he traced us and said, "The sun and the moon are two signs among the signs of Allah, so if you see a thing like this (eclipse) then offer the prayer and invoke Allah till He remove that state."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৩. কাপড়ে আবৃত থাকা।
৫৭৮৬. আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বিলাল (রাঃ)-কে দেখলাম, তিনি একটি বর্শা নিয়ে এলেন এবং তা মাটিতে পুঁতে দিলেন। তারপর সালাতের ইকামাত দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম, (একটি হুল্লা’র) দু’টি চাদরে নিজেকে আবৃত করে বেরিয়ে আসলেন এবং বর্শার দিকে ফিরে দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। আর লোকজন ও পশুকে দেখলাম, তারা তাঁর সম্মুখ দিয়ে এবং বর্শার পিছন দিয়ে চলাফেরা করছে। [১৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৭)
بَاب التَّشْمِيرِ فِي الثِّيَابِ
إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ أَخْبَرَنَا عَوْنُ بْنُ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ فَرَأَيْتُ بِلاَلاً جَاءَ بِعَنَزَةٍ فَرَكَزَهَا ثُمَّ أَقَامَ الصَّلاَةَ فَرَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ فِي حُلَّةٍ مُشَمِّرًا فَصَلّٰى رَكْعَتَيْنِ إِلَى الْعَنَزَةِ وَرَأَيْتُ النَّاسَ وَالدَّوَابَّ يَمُرُّونَ بَيْنَ يَدَيْهِ مِنْ وَرَاءِ الْعَنَزَةِ.
Narrated Abu Juhaifa:
I saw Bilal bringing a short spear (or stick) and fixing it in the ground, and then he proclaimed the Iqama of the prayer, and I saw Allah's Messenger (ﷺ) coming out, wearing a cloak with its sleeves rolled up. He then offered a two-rak`at prayer while facing the stick, and I saw the people and animals passing in front of him beyond the stick.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৪. পায়ের গোড়ালির নীচে যা থাকবে তা যাবে জাহান্নামে।
৫৭৮৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৮)
بَاب مَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ فَهُوَ فِي النَّارِ
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ مِنْ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "The part of an Izar which hangs below the ankles is in the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৫. যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।
৫৭৮৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশতঃ ইযার বা পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধান করে। [মুসলিম ৩৭/৩৯, হাঃ ২০৮৭, আহমাদ ৯০১৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৯)
بَاب مَنْ جَرَّ ثَوْبَهু مِنْ الْخُيَلاَءِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلٰى مَنْ جَرَّ إِزَارَه“ بَطَرًا.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ), "Allah will not look, on the Day of Resurrection, at a person who drags his Izar (behind him) out of pride and arrogance.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৫. যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।
৫৭৮৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অথবা আবুল কাসিম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করতঃ চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে পথ অতিক্রম করছিল; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেন। ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে। [মুসলিম ৩৭/১০, হাঃ ২০৮৮, আহমাদ ১০০৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬০)
بَاب مَنْ جَرَّ ثَوْبَهু مِنْ الْخُيَلاَءِ
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي فِي حُلَّةٍ تُعْجِبُه“ نَفْسُه“ مُرَجِّلٌ جُمَّتَه“ إِذْ خَسَفَ اللهُ بِه„ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (or 'Abul Qasim) said, "While a man was walking, clad in a two-piece garment and proud of himself with his hair well-combed, suddenly Allah made him sink into the earth and he will go on sinking into it till the Day of Resurrection.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৫. যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।
৫৭৯০. ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক লোক তার লুঙ্গি পায়ের গোড়ালির নীচে ঝুলিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। এমন সময় তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেয়া হল। ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) অবধি সে মাটির নীচে ধ্বসে যেতে থাকবে। ইউনুস, যুহরী থেকে এ হাদীস এভাবেই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ’শুআয়ব একে মারফূ’ হিসাবে যুহরী থেকে বর্ণনা করেননি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬১)
জারীর ইবনু যায়দ রাহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমারের সঙ্গে তাঁর ঘরের দরজায় ছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ -কে বলতে শুনেছি যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ রকমই বলতে শুনেছেন। [৩৪৮৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬২)
بَاب مَنْ جَرَّ ثَوْبَهু مِنْ الْخُيَلاَءِ
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ أَبَاه“ حَدَّثَه“ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَا رَجُلٌ يَجُرُّ إِزَارَه“ إِذْ خُسِفَ بِه„ فَهُوَ يَتَجَلَّلُ فِي الأَرْضِ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
تَابَعَه“ يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَرْفَعْه“ شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ.
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ أَخْبَرَنَا أَبِي عَنْ عَمِّهِ جَرِيرِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ كُنْتُ مَعَ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَلٰى بَابِ دَارِهৃ فَقَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "While a man was dragging his Izar on the ground (behind him), suddenly Allah made him sink into the earth and he will go on sinking into it till the Day of Resurrection."
Narrated Abu Huraira:
that he heard the Prophet (narrating as above)
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৫. যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।
৫৭৯১. শু’বাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুহারিব ইবনু দিসারের সাথে ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় দেখা করলাম। তখন তিনি বিচারালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, আমি তাঁকে এ হাদীসটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বললেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, তার দিকে আল্লাহ ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে তাকাবেন না। আমি বললামঃ ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) কি ইযারের উল্লেখ করেছেন? তিনি বললেনঃ তিনি ইযার বা কামিস কোনটিই নির্দিষ্টভাবে বলেননি।
জাবালাহ ইবনু সুহায়ম, যায়দ ইবনু আসলাম ও যায়দ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমারের সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন।
আর লায়স, মূসা ইবনু ’উকবাহ ও ’উমার ইবনু মুহাম্মাদ, নাফি’ (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং কুদামাহ ইবনু মূসা সালিম (রহ.)-এর সূত্রে ইবনু ’উমার থেকে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে جَرَّ ثَوْبَه” বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৩)
بَاب مَنْ جَرَّ ثَوْبَهু مِنْ الْخُيَلاَءِ
مَطَرُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ لَقِيتُ مُحَارِبَ بْنَ دِثَارٍ عَلٰى فَرَسٍ وَهُوَ يَأْتِي مَكَانَهُ الَّذِي يَقْضِي فِيهِ فَسَأَلْتُه“ عَنْ هٰذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِي فَقَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَرَّ ثَوْبَه“ مَخِيلَةً لَمْ يَنْظُرْ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقُلْتُ لِمُحَارِبٍ أَذَكَرَ إِزَارَه“ قَالَ مَا خَصَّ إِزَارًا وَلاَ قَمِيصًا تَابَعَه“ جَبَلَةُ بْنُ سُحَيْمٍ وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ وَزَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
وَقَالَ اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَه“ وَتَابَعَه“ مُوسٰىبْنُ عُقْبَةَ وَعُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَقُدَامَةُ بْنُ مُوسٰى عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever drags his clothes (on the ground) out of pride and arrogance, Allah will not look at him on the Day of Resurrection."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৬. ঝালরযুক্ত ইযার।
وَيُذْكَرُ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَأَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَحَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ وَمُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَنَّهُمْ لَبِسُوا ثِيَابًا مُهَدَّبَةً.
যুহরী, আবূ বকর ইবনু মুহাম্মাদ, হামযাহ ইবনু আবূ উসায়দ ও মু’আবিয়াহ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর হতে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ঝালরযুক্ত পোশাক পরেছেন।
৫৭৯২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রিফা’আ কুরাযির স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসল। এ সময় আমি উপবিষ্ট ছিলাম এবং আবূ বকর (রাঃ) তাঁর কাছে ছিলেন। স্ত্রীলোকটি বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি রিফা’আর অধীনে (বিবাহিতা) ছিলাম। তিনি আমাকে ত্বালাক দেন এবং তালাক চূড়ান্তভাবে দেন, এরপর আমি ’আবদুর রহমান ইবনু যুবায়রকে বিয়ে করি। কিন্তু আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসূল! তার সাথে কাপড়ের ঝালরের মত ব্যতীত কিছুই নেই। এ কথা বলার সময় স্ত্রী লোকটি তার চাদরের আঁচল ধরে দেখায়। খালিদ ইবনু সা’ঈদ যাকে (ভিতরে যেতে) অনুমতি দেয়া হয়নি, দরজার কাছে থেকে স্ত্রী লোকটির কথা শোনেন।
’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তখন খালিদ বললঃ হে আবূ বকর! এ মহিলাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে জোরে জোরে যে কথা বলছে, তাত্থেকে কেন আপনি তাকে বাধা দিচ্ছেন না? আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেবল মুচকি হাসলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রী লোকটিকে বললেনঃ মনে হয় তুমি রিফা’আর কাছে ফিরে যেতে চাও। তা হবে না, যতক্ষণ না সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং তুমি তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর এটাই বিধান হয়ে যায়। [২৬৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৪)
بَاب الإِزَارِ الْمُهَدَّبِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَتْ جَاءَتِ امْرَأَةُ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيِّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا جَالِسَةٌ وَعِنْدَهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ تَحْتَ رِفَاعَةَ فَطَلَّقَنِي فَبَتَّ طَلاَقِي، فَتَزَوَّجْتُ بَعْدَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزَّبِيرِ، وَإِنَّهُ وَاللَّهِ مَا مَعَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ مِثْلُ هَذِهِ الْهُدْبَةِ. وَأَخَذَتْ هُدْبَةً مِنْ جِلْبَابِهَا، فَسَمِعَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ قَوْلَهَا وَهْوَ بِالْبَابِ لَمْ يُؤْذَنْ لَهُ، قَالَتْ فَقَالَ خَالِدٌ يَا أَبَا بَكْرٍ أَلاَ تَنْهَى هَذِهِ عَمَّا تَجْهَرُ بِهِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ وَاللَّهِ مَا يَزِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى التَّبَسُّمِ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَعَلَّكِ تُرِيدِينَ أَنْ تَرْجِعِي إِلَى رِفَاعَةَ، لاَ، حَتَّى يَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ وَتَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ ". فَصَارَ سُنَّةً بَعْدُ.
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) The wife of Rifa`a Al-Qurazi came to Allah's Messenger (ﷺ) while I was sitting, and Abu Bakr was also there. She said, 'O Allah s Apostle! I was the wife of Rifa`a and he divorced me irrevocably. Then I married `AbdurRahman bin Az-Zubair who, by Allah, O Allah's Messenger (ﷺ), has only something like a fringe of a garment, Showing the fringe of her veil. Khalid bin Sa`id, who was standing at the door, for he had not been admitted, heard her statement and said, "O Abu Bakr! Why do you not stop this lady from saying such things openly before Allah's Messenger (ﷺ)?" No, by Allah, Allah's Messenger (ﷺ) did nothing but smiled. Then he said to the lady, "Perhaps you want to return to Rifa`a? That is impossible unless `Abdur-Rahman consummates his marriage with you." That became the tradition after him.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৭. চাদর পরিধান করা।
وَقَالَ أَنَسٌ جَبَذَ أَعْرَابِيٌّ رِدَاءَ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم.
আনাস (রাঃ) বলেনঃ এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাদর ধরে টেনেছিল।
৫৭৯৩. ’আলী (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদর আনতে বললেন। তিনি তা পরলেন, অতঃপর হেঁটে চললেন। আমি ও যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ) তাঁর পশ্চাতে চললাম। শেষ পর্যন্ত তিনি একটি ঘরের কাছে আসেন, যে ঘরে হামযাহ (রাঃ) ছিলেন। তিনি অনুমতি চাইলে তাঁরা তাঁদের অনুমতি প্রদান করলেন। [২০৮৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৫)
بَاب الأَرْدِيَة
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ أَخْبَرَه“ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِه„ ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي وَاتَّبَعْتُه“ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتّٰى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنُوا لَهُمْ.
Narrated `Ali:
The Prophet (ﷺ) asked for his Rida, put it on and set out walking. Zaid bin Haritha and I followed him till he reached the house where Harnza (bin `Abdul Muttalib) was present and asked for permission to enter, and they gave us permission.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৮. জামা পরিধান করা।
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى حِكَايَةً عَنْ يُوسُفَ: (اذْهَبُوا بِقَمِيصِي هَذَا فَأَلْقُوهُ عَلَى وَجْهِ أَبِي يَأْتِ بَصِيرًا)
মহান আল্লাহর বাণীঃ ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাঃ ’তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও আর তা আমার পিতার মুখমণ্ডল ে রাখ, তিনি দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠবেন।’ (সূরাহ ইউসুফ ১২:৯৩)
৫৭৯৪. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম কী কাপড় পরবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মুহরিম জামা, পায়জামা, টুপি এবং মোজা পরবে না। তবে যদি সে জুতা না পায়, তা হলে পায়ের গোড়ালির নীচে পর্যন্ত মোজা) পরতে পারবে। [১৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৬)
بَاب لُبْسِ الْقَمِيصِ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالٰى
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ الْقَمِيصَ وَلاَ السَّرَاوِيلَ وَلاَ الْبُرْنُسَ وَلاَ الْخُفَّيْنِ إِلاَّ أَنْ لاَ يَجِدَ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ مَا هُوَ أَسْفَلُ مِنْ الْكَعْبَيْنِ.
Narrated Ibn `Umar:
A man asked, "O Allah s Apostle What kind of clothes should a Muhrim wear?" The Prophet, said, "A Muhrim should not wear a shirt, trousers a hooded cloak, or Khuffs (socks made from thick fabric or leather) unless he cannot get sandals, in which case he should cut the part (of the Khuff) that covers the ankles."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৮. জামা পরিধান করা।
৫৭৯৫. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু উবাইকে কবরে রাখার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে এলেন। তিনি তার লাশ কবর থেকে উঠানোর নির্দেশ দিলেন। তখন লাশ কবর থেকে উঠান হল এবং তাঁর দু’হাঁটুর উপর রাখা হল। তিনি তার উপর থুথু প্রদান করলেন এবং তাকে নিজের জামা পরিয়ে দিলেন। আল্লাহই বেশি জানেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৭)
بَاب لُبْسِ الْقَمِيصِ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالٰى
عَبْدُ اللهِ بْنُ عُثْمَانَ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ أَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللهِ بْنَ أُبَيٍّ بَعْدَ مَا أُدْخِلَ قَبْرَه“ فَأَمَرَ بِه„ فَأُخْرِجَ وَوُضِعَ عَلٰى رُكْبَتَيْهِ وَنَفَثَ عَلَيْهِ مِنْ رِيقِه„ وَأَلْبَسَه“ قَمِيصَه“ فَاللهُ أَعْلَمُ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) came to visit `Abdullah bin Ubai (bin Salul) after he had been put in his grave. The Prophet (ﷺ) ordered that `Abdullah be taken out. He was taken out and was placed on the knees of the Prophet, who blew his (blessed) breath on him and dressed the body with his own shirt. And Allah knows better.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৮. জামা পরিধান করা।
৫৭৯৬. ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ’আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেল, তখন তার ছেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসল। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনার জামাটি আমাকে দিন। আমি এটা দিয়ে তাকে কাফন দিব। আর তার জানাযাহর সালাত আপনি আদায় করবেন এবং তার জন্য ইস্তিগফার করবেন। তিনি নিজের জামাটি তাকে দিয়ে দেন এবং বলেন যে, তুমি (কাফন পরানো) শেষ করে আমাকে খবর দিবে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযাহর সালাত আদায় করতে এলেন।
’উমার(রাঃ) তাঁকে টেনে ধরে বললেনঃ আল্লাহ কি আপনাকে মুনাফিকদের (জানাযাহর) সালাত আদায় করতে নিষেধ করেননি? তিনি এ আয়াতটি পড়লেনঃ ’তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর বা না কর (উভয়ই সমান), তুমি তাদের জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ কক্ষনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।’- (সূরাহ আত্-তওবা ৯/৮০)। তখন অবতীর্ণ হয়ঃ ’তাদের কেউ মারা গেলে তুমি কক্ষনো তাদের জন্য (জানাযার) সালাত পড়বে না, আর তাদের কবরের পাশে দন্ডায়মান হবে না।’- (সূরাহ আত্-তওবা ৯/৮৪)। এরপর থেকে তিনি তাদের জানাযার সালাত আদায় করা বর্জন করেন। [১২৬৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৮)
بَاب لُبْسِ الْقَمِيصِ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالٰى
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ جَاءَ ابْنُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ، وَصَلِّ عَلَيْهِ، وَاسْتَغْفِرْ لَهُ، فَأَعْطَاهُ قَمِيصَهُ، وَقَالَ " إِذَا فَرَغْتَ فَآذِنَّا ". فَلَمَّا فَرَغَ آذَنَهُ، فَجَاءَ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ، فَجَذَبَهُ عُمَرُ فَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ نَهَاكَ اللَّهُ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ (اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ). فَنَزَلَتْ (وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا) فَتَرَكَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِمْ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
When `Abdullah bin Ubdi (bin Salul) died, his son came to Allah's Messenger (ﷺ) and said ' O Allah's Apostle, give me your shirt so that I may shroud my fathers body in it. And please offer a funeral prayer for him and invoke Allah for his forgiveness." The Prophet (ﷺ) gave him his shirt and said to him 'Inform us when you finish (and the funeral procession is ready) call us. When he had finished he told the Prophet (ﷺ) and the Prophet (ﷺ) proceeded to order his funeral prayers but `Umar stopped him and said, "Didn't Allah forbid you to offer the funeral prayer for the hypocrites when He said: "Whether you (O Muhammad) ask forgiveness for them or ask not forgiveness for them: (and even) if you ask forgiveness for them seventy times. Allah will not forgive them." (9.80) Then there was revealed: "And never (O Muhammad) pray for any of them that dies, nor stand at his grave." (9.34) Thenceforth the Prophet (ﷺ) did not offer funeral prayers for the hypocrites.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/৯. মাথা বের করার জন্য জামা ও অন্য পোশাকে বুকের অংশ ফাঁক রাখা প্রসঙ্গে।
৫৭৯৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার কৃপণ ও দানশীল ব্যক্তিকে এমন দু’ব্যক্তির সাথে তুলনা করেন, যাদের পরনে লোহার দু’টি বর্ম আছে। তাদের দু’ হাতই বুক ও ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছে আছে। দানশীল ব্যক্তি যখন দান করে তখন তার বর্মটি এমনভাবে প্রশস্ত হয় যে, তার পায়ের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এবং (প্রলম্বিত বর্মটি) পদচিহ্ন মুছে ফেলে। আর কৃপণ লোক যখন দান করতে ইচ্ছে করে, তখন তার বর্মটি শক্ত হয়ে যায় ও এক অংশ অন্য অংশের সাথে মিশে থাকে এবং প্রতিটি অংশ আপন স্থানে থেকে যায়। আবূ হুরাইরাহ বলেনঃ আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কেতাঁর আঙ্গুল এভাবে বুকের দিক দিয়ে খোলা অংশের মধ্যে রেখে বলতে দেখেছি, তুমি যদি তা দেখতে যে, তিনি তা প্রশস্ত করতে চাইলেন কিন্তু প্রশস্ত হল না। [১৪৪৩]
ইবনু তাউস (রহঃ) তার পিতা থেকে এবং আবূ যিনাদ, আ’রাজ থেকে এভাবে جُبَّتَيْنِ বর্ণনা করেন। আর জা’ফর আ’রাজ এর সূত্রে جُبَّتَانِ বর্ণনা করেছেন। হানযালা (রহ.) বলেনঃ আমি তাউসকে আবূ হুরাইরাহ থেকে جُبَّتَانِ বলতে শুনেছি। আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৯)
بَاب جَيْبِ الْقَمِيصِ مِنْ عِنْدِ الصَّدْرِ وَغَيْرِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَثَلَ الْبَخِيلِ وَالْمُتَصَدِّقِ، كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا جُبَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ، قَدِ اضْطُرَّتْ أَيْدِيهِمَا إِلَى ثُدِيِّهِمَا وَتَرَاقِيهِمَا، فَجَعَلَ الْمُتَصَدِّقُ كُلَّمَا تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ انْبَسَطَتْ عَنْهُ حَتَّى تَغْشَى أَنَامِلَهُ وَتَعْفُوَ أَثَرَهُ، وَجَعَلَ الْبَخِيلُ كُلَّمَا هَمَّ بِصَدَقَةٍ قَلَصَتْ، وَأَخَذَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ بِمَكَانِهَا. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِإِصْبَعِهِ هَكَذَا فِي جَيْبِهِ، فَلَوْ رَأَيْتَهُ يُوَسِّعُهَا وَلاَ تَتَوَسَّعُ. تَابَعَهُ ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ وَأَبُو الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ فِي الْجُبَّتَيْنِ. وَقَالَ حَنْظَلَةُ سَمِعْتُ طَاوُسًا سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ جُبَّتَانِ. وَقَالَ جَعْفَرٌ عَنِ الأَعْرَجِ جُبَّتَانِ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) has set forth an example for a miser and a charitable person by comparing them to two men wearing two iron cloaks and their hands are raised to their breasts and necks. Whenever the charitable man tries to give a charitable gift, his iron cloak expands till it becomes so wide that it will cover his fingertips and obliterate his tracks And, whenever the miser wants to give a charitable gift, his cloak becomes very tight over him and every ring gets stuck to its place Abu Huraira added; I saw Allah's Messenger (ﷺ) putting his finger in the (chest) pocket of his shirt like that If you but saw him trying to widen (the opening of his shirt) but it did not widen.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/১০. যিনি সফরে সরু হাতওয়ালা জুব্বা পরেন।
৫৭৯৮. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যান এবং তারপর ফিরে আসেন। আমি তাঁর নিকট পানি নিয়ে পৌঁছি। তিনি অযু করেন। তখন তাঁর পরনে শাম দেশীয় জুব্বা ছিল। তিনি কুলি করেন, নাক পরিষ্কার করেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধৌত করেন। এরপর তিনি আস্তিন থেকে দু’হাত বের করতে থাকেন, কিন্তু আস্তিন দু’টি ছিল সরু, তাই তিনি হাত দু’টি জামার নীচ দিয়ে বের করে দু’ হাত ধৌত করেন। এরপর মাথা মাসেহ করেন এবং মোজার উপর মাসেহ করেন। [১৮২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭০)
بَاب مَنْ لَبِسَ جُبَّةً ضَيِّقَةَ الْكُمَّيْنِ فِي السَّفَر
قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الضُّحٰى قَالَ حَدَّثَنِي مَسْرُوقٌ قَالَ حَدَّثَنِي الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَالَ انْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَتِه„ ثُمَّ أَقْبَلَ فَتَلَقَّيْتُه“ بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَأْمِيَّةٌ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَه“ فَذَهَبَ يُخْرِجُ يَدَيْهِ مِنْ كُمَّيْهِ فَكَانَا ضَيِّقَيْنِ فَأَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنْ تَحْتِ الْجُبَّةِ فَغَسَلَهُمَا وَمَسَحَ بِرَأْسِه„ وَعَلٰى خُفَّيْهِ.
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
The Prophet (ﷺ) went to answer the call of nature, and when he returned, I met him with water and he performed the ablution while he was wearing a Sham, cloak. He rinsed his mouth, put the water in his nose and blew it out, washed his face and tried to take his hands out of his sleeves, but they were too narrow, so he took out his hands from under his chest and washed them and then passed his wet hands over his head and Khuffs (socks made from thick fabric or leather).
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/১১. যুদ্ধকালে পশমী জামা পরিধান প্রসঙ্গে।
৫৭৯৯. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সফরে এক রাত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার সঙ্গে পানি আছে কি? আমি বললামঃ হাঁ। তখন তিনি বাহন থেকে নামলেন এবং হেঁটে যেতে লাগলেন। তিনি এতদূর গেলেন যে, রাতের অন্ধকারে আমার নিকট থেকে অদৃশ্য হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি ফিরে এলেন। আমি পাত্র থেকে তাঁর (উযূর) পানি ঢালতে লাগলাম। তিনি মুখমণ্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তিনি পশমের জামা পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তিনি তাত্থেকে হাত বের করতে পারলেন না, তাই জামার নীচ দিয়ে বের করে দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথা মাস্হ করলেন। তারপর আমি তাঁর মোজা দু’টি খুলতে ইচ্ছে করলাম। তিনি বললেনঃ ছেড়ে দাও। কেননা, আমি পবিত্র অবস্থায় ও দু’টি পরেছি। তারপর ও দু’টির উপর মাস্হ করলেন। [১৮২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭১)
بَاب لُبْسِ جُبَّةِ الصُّوفِ فِي الْغَزْوِ
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ عَنْ عَامِرٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي سَفَرٍ فَقَالَ أَمَعَكَ مَاءٌ قُلْتُ نَعَمْ فَنَزَلَ عَنْ رَاحِلَتِه„ فَمَشٰى حَتّٰى تَوَار‘ى عَنِّي فِي سَوَادِ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَ فَأَفْرَغْتُ عَلَيْهِ الإِدَاوَةَ فَغَسَلَ وَجْهَه“ وَيَدَيْهِ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ مِنْ صُوفٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُخْرِجَ ذِرَاعَيْهِ مِنْهَا حَتّٰى أَخْرَجَهُمَا مِنْ أَسْفَلِ الْجُبَّةِ فَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِه„ ثُمَّ أَهْوَيْتُ لِأَنْزِعَ خُفَّيْهِ فَقَالَ دَعْهُمَا فَإِنِّي أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا.
Narrated Al-Mughira:
One night I was with the Prophet (ﷺ) on a journey. He asked (me), "Have you got water with you?" I replied, "Yes" So he got down from his she-camel and went away till he disappeared in the darkness of the night. Then he came back and I poured water for him from the pot (for the ablution). He washed his face and hands while he was wearing a woollen cloak (the sleeves of which were narrow), so he could not take his arms out of it. So he took them out from underneath the cloak. Then he washed his forearms and passed his wet hands over his head. Then I tried to take off his Khuffs (socks made from thick fabric or leather), but he said, "Leave them, for I have performed ablution before putting them on." And so he passed his wet hands over them.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/১২. কাবা ও রেশমী ফার্রূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পশ্চাতে ফাঁক থাকে।
৫৮০০. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি কাবা বণ্টন করেন, কিন্তু মাখরামাহকে কিছুই দিলেন না। মাখরামাহ বললঃ হে আমার প্রিয় পুত্র! আমার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চল। আমি তাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি বললেনঃ ভিতরে যাও এবং আমার জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আবেদন জানাও। মিসওয়ার বলেনঃ আমি তাঁর জন্য আবেদন জানালে তিনি মাখরামাহর উদ্দেশে বের হয়ে আসলেন। তখন তাঁর পরনে ছিল রেশমী কাবা। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এটি আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম। মিসওয়ার বলেনঃ এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন এবং বললেনঃ মাখরামাহ খুশি হয়ে গেছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭২)
بَاب الْقَبَاءِ وَفَرُّوجِ حَرِيرٍ وَهُوَ الْقَبَاءُ وَيُقَالُ هُوَ الَّذِي لَهু شَقٌّ مِنْ خَلْفِهِ.
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ قَسَمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةً وَلَمْ يُعْطِ مَخْرَمَةَ شَيْئًا فَقَالَ مَخْرَمَةُ يَا بُنَيِّ انْطَلِقْ بِنَا إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ مَعَه“ فَقَالَ ادْخُلْ فَادْعُه“ لِي قَالَ فَدَعَوْتُه“ لَه“ فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَعَلَيْهِ قَبَاءٌ مِنْهَا فَقَالَ خَبَأْتُ هٰذَا لَكَ قَالَ فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ رَضِيَ مَخْرَمَةُ.
Narrated Al-Miswar bin Makhrama:
Allah's Messenger (ﷺ) distributed some Qaba's but he did not give anything to Makhrama. Makhrama said (to me), "O my son! Let us go to Allah's Messenger (ﷺ)." So I proceeded with him and he said, "Go in and call him 'or me." So I called the Prophet (ﷺ) for him The Prophet (ﷺ) came out to him, wearing one of those Qaba's and said, (to Makhrama), "I have kept this for you " Makhrama looked at it and said, "Makhrama is satisfied now."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/১২. কাবা ও রেশমী ফার্রূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পশ্চাতে ফাঁক থাকে।
৫৮০১. ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি রেশমী কাবা হাদিয়া দেয়া হল। তিনি তা পরেন এবং তা পরে সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে তিনি তা খুব জোরে খুলে ফেললেন, যেন এটি তিনি অপছন্দ করছেন। এরপর বললেনঃ মুত্তাকীদের জন্য এটা সাজে না।
’আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ, লায়স থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। অন্যেরা বলেছেনঃ ’ফাররূজ হারীর’ হল ’রেশমী কাপড়’। [৩৭৫; মুসলিম ১/৯৪, হাঃ ২১৬, আহমাদ ৮০২২, ৮৬২২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৩)
بَاب الْقَبَاءِ وَفَرُّوجِ حَرِيرٍ وَهُوَ الْقَبَاءُ وَيُقَالُ هُوَ الَّذِي لَهু شَقٌّ مِنْ خَلْفِهِ.
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّه“ قَالَ أُهْدِيَ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرُّوجُ حَرِيرٍ فَلَبِسَه“ ثُمَّ صَلّٰى فِيهِ ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَزَعَه“ نَزْعًا شَدِيدًا كَالْكَارِه„ لَه“ ثُمَّ قَالَ لاَ يَنْبَغِي هٰذَا لِلْمُتَّقِينَ تَابَعَه“ عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ عَنْ اللَّيْثِ وَقَالَ غَيْرُه“ فَرُّوجٌ حَرِيرٌ.
Narrated `Uqba bin 'Amir:
A silken Farruj was presented to Allah's Messenger (ﷺ) and he put it on and offered the prayer in it. When he finished the prayer, he took it off violently as if he disliked it and said, "This (garment) does not befit those who fear Allah!"
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/১৩. টুপি
৫৮০২. মুসাদ্দাদ (রহ.) আমাকে বলেছেন যে, মু’তামির বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আনাস (রাঃ) এর (মাথার) উপর হলুদ রেশমী টুপি দেখেছেন।
بَاب الْبَرَانِسِ
وَقَالَ لِي مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ رَأَيْتُ عَلٰى أَنَسٍ بُرْنُسًا أَصْفَرَ مِنْ خَزٍّ.
Narrated Mu'tamir:
I heard my father saying, "I saw Anas wearing a yellow hooded cloak of Khazz."