পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ).
এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ ’যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে তাকে সেই কাজের প্রতিফল দেয়া হবে।’ (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১২৩)
৫৬৪০. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল বিপদ-আপদ আসে এর দ্বারা আল্লাহ তার পাপ দূর করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে ফুটে এর দ্বারাও। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭২, আহমাদ ২৪৮৮২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৫)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُصِيبَةٍ تُصِيبُ الْمُسْلِمَ إِلاَّ كَفَّرَ اللَّهُ بِهَا عَنْهُ، حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا ".
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটি বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। সুতরাং প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির সামনে যতই তীব্রতর পরিস্থিতি ও অবস্থা আসুক না কেন, সে যেন সদা সর্বদা ধৈর্যধারণ করে।
২। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির উপরে দুনিয়াতে বিপদাপদ আসে তার পাপের কারণে অথবা তার মর্যাদা উচ্চ করার জন্য এবং তার পাপ মোচন করার জন্য; তাই মহান আল্লাহ তার জন্য যে সমস্ত বিপদ নির্ধারণ করবেন, তাতেই তাকে রাজি ও সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এবং জেনে রাখতে হবে যে, এই বিপদের মধ্যেই তার জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) Allah's Messenger (ﷺ) said, "No calamity befalls a Muslim but that Allah expiates some of his sins because of it, even though it were the prick he receives from a thorn."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
৫৬৪১-৫৬৪২. আবূ সা’ঈদ খুদরী ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফুটে, এ সবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৬)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ وَصَبٍ وَلاَ هَمٍّ وَلاَ حُزْنٍ وَلاَ أَذًى وَلاَ غَمٍّ حَتّٰى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلاَّ كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ.
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri and Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "No fatigue, nor disease, nor sorrow, nor sadness, nor hurt, nor distress befalls a Muslim, even if it were the prick he receives from a thorn, but that Allah expiates some of his sins for that."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
৫৬৪১-৫৬৪২. আবূ সা’ঈদ খুদরী ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফুটে, এ সবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৬)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ وَصَبٍ وَلاَ هَمٍّ وَلاَ حُزْنٍ وَلاَ أَذًى وَلاَ غَمٍّ حَتّٰى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلاَّ كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ.
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri and Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "No fatigue, nor disease, nor sorrow, nor sadness, nor hurt, nor distress befalls a Muslim, even if it were the prick he receives from a thorn, but that Allah expiates some of his sins for that."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
৫৬৪৩. কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির উদাহরণ হল শস্যক্ষেতের নরম চারা গাছের মত, যাকে বাতাস একবার কাত করে ফেলে, আরেকবার সোজা করে দেয়। আর মুনাফিকের দৃষ্টান্ত, ভূমির উপর শক্তভাবে স্থাপিত বৃক্ষ, যাকে কিছুতেই নোয়ানো যায় না। শেষে এক ঝটকায় মূলসহ তা উপড়ে যায়। যাকারিয়্যা .... কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমাদের কাছে এরকম বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৫০/১৪, হাঃ ২৮১০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৭)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سَعْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَالْخَامَةِ مِنَ الزَّرْعِ تُفَيِّئُهَا الرِّيحُ مَرَّةً وَتَعْدِلُهَا مَرَّةً وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ كَالأَرْزَةِ لاَ تَزَالُ حَتّٰى يَكُونَ انْجِعَافُهَا مَرَّةً وَاحِدَةً وَقَالَ زَكَرِيَّاءُ حَدَّثَنِي سَعْدٌ حَدَّثَنَا ابْنُ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ كَعْبٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Ka`b:
The Prophet (ﷺ) said, "The example of a believer is that of a fresh tender plant, which the wind bends lt sometimes and some other time it makes it straight. And the example of a hypocrite is that of a pine tree which keeps straight till once it is uprooted suddenly.
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
৫৬৪৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির দৃষ্টান্ত হল, শস্যক্ষেতের নরম চারাগাছের মত। যে কোন দিক থেকেই তার দিকে বাতাস আসলে বাতাস তাকে নুইয়ে দেয়। আবার যখন বাতাসের প্রবাহ বন্ধ হয় তখন তা সোজা হয়ে দাঁড়ায়। বালা মুসিবত মু’মিনকে নোয়াতে থাকে। আর ফাসিক হল শক্ত ভূমির উপর শক্তভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানো গাছের মত, যাকে আল্লাহ যখন ইচ্ছে করেন ভেঙ্গে দেন। [৭৪৬৬; মুসলিম ৫০/১৪, হাঃ ২৮০৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৮)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ
إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ الْخَامَةِ مِنَ الزَّرْعِ مِنْ حَيْثُ أَتَتْهَا الرِّيحُ كَفَأَتْهَا فَإِذَا اعْتَدَلَتْ تَكَفَّأُ بِالْبَلاَءِ وَالْفَاجِرُ كَالأَرْزَةِ صَمَّاءَ مُعْتَدِلَةً حَتّٰى يَقْصِمَهَا اللهُ إِذَا شَاءَ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The example of a believer is that of a fresh tender plant; from whatever direction the wind comes, it bends it, but when the wind becomes quiet, it becomes straight again. Similarly, a believer is afflicted with calamities (but he remains patient till Allah removes his difficulties.) And an impious wicked person is like a pine tree which keeps hard and straight till Allah cuts (breaks) it down when He wishes."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
৫৬৪৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ কামনা করেন তাকে তিনি দুঃখকষ্টে পতিত করেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৯)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ أَنَّه“ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ يَسَارٍ أَبَا الْحُبَابِ يَقُوْلُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ يُرِدْ اللهُ بِه„ خَيْرًا يُصِبْ مِنْهُ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If Allah wants to do good to somebody, He afflicts him with trials."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/২. রোগের তীব্রতা
৫৬৪৬. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে বেশী রোগ যন্ত্রণা ভোগকারী অন্য কাকেও দেখিনি।[1] [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭০, আহমাদ ২৫৪৫৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩০)
بَاب شِدَّةِ الْمَرَضِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ،. حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشَدَّ عَلَيْهِ الْوَجَعُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
অতএব কোন খাঁটি ও নেক বান্দাহদের প্রতি ‘আলিম বিদ্বেষী অযথা কটাক্ষকারীদের কথায় সাধারণ মু’মিনদের বিভ্রান্ত হওয়া ঠিক নয়। বরং কোন ‘আলিম উলামা, পরহেজগার শ্রেণীকে রোগাক্রান্ত অবস্থায় দেখা গেলে তাঁদের প্রতি গভীর ভক্তি শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা নিয়ে তাঁদের সেবা যত্নে আত্মনিয়োগ করা সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করতে হবে। পূর্ববর্তী নেককার লোকদের এবং সহাবায়েকিরামদের ‘আমল ও অভ্যাস এমনটাই ছিল নিঃসন্দেহে।
Narrated Aisha:
I never saw anybody suffering so much from sickness as Allah's Messenger (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/২. রোগের তীব্রতা
৫৬৪৭. ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুস্থ অবস্থায় তাঁর কাছে গেলাম। এ সময় তিনি ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমি বললামঃ নিশ্চয়ই আপনি ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। আমি এও বললাম যে, এটা এজন্য যে, আপনার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব। তিনি বললেনঃ হাঁ। যে কেউ রোগাক্রান্ত হয়, তাত্থেকে গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে যায়, যেভাবে গাছ হতে তার পাতাগুলো ঝরে যায়। [৫৬৪৮, ৫৬৬০, ৫৬৬১, ৫৬৬৭; মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩১)
بَاب شِدَّةِ الْمَرَضِ
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِه„ وَهُوَ يُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا وَقُلْتُ إِنَّكَ لَتُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا قُلْتُ إِنَّ ذَاكَ بِأَنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ قَالَ أَجَلْ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيبُه“ أَذًى إِلاَّ حَاتَّ اللهُ عَنْه“ خَطَايَاه“ كَمَا تَحَاتُّ وَرَقُ الشَّجَرِ.
Narrated `Abdullah:
I visited the Prophet (ﷺ) during his ailments and he was suffering from a high fever. I said, "You have a high fever. Is it because you will have a double reward for it?" He said, "Yes, for no Muslim is afflicted with any harm but that Allah will remove his sins as the leaves of a tree fall down."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৩. মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন নাবীগণ। এরপরে ক্রমশ প্রথম ব্যক্তি এবং পরবর্তী প্রথম ব্যক্তি।
৫৬৪৮. ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তখন তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। তিনি বললেনঃ হাঁ। তোমাদের দু’ব্যক্তি যতটুকু জ্বরে আক্রান্ত হয়, আমি একাই ততটুকু জ্বরে আক্রান্ত হই। আমি বললামঃ এটি এজন্য যে, আপনার জন্য আছে দ্বিগুণ সাওয়াব। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ তাই। কেননা যে কোন মুসলিম দুঃখ কষ্টে পতিত হয়, তা একটা কাঁটা কিংবা আরো ক্ষুদ্র কিছু হোক না কেন, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহগুলোকে মুছে দেন, যেমন গাছ থেকে পাতাগুলো ঝরে পড়ে। [৫৬৪৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩২)
بَاب أَشَدُّ النَّاسِ بَلاَءً الأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الأَمْثَلُ فَالأَمْثَلُ
عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ دَخَلْتُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُوعَكُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّكَ لَتُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا قَالَ أَجَلْ إِنِّي أُوعَكُ كَمَا يُوعَكُ رَجُلاَنِ مِنْكُمْ قُلْتُ ذ‘لِكَ أَنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ قَالَ أَجَلْ ذ‘لِكَ كَذ‘لِكَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيبُه“ أَذًى شَوْكَةٌ فَمَا فَوْقَهَا إِلاَّ كَفَّرَ اللهُ بِهَا سَيِّئَاتِه„ كَمَا تَحُطُّ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا.
Narrated `Abdullah:
I visited Allah's Messenger (ﷺ) while he was suffering from a high fever. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You have a high fever." He said, "Yes, I have as much fever as two men of you." I said, "Is it because you will have a double reward?" He said, "Yes, it is so. No Muslim is afflicted with any harm, even if it were the prick of a thorn, but that Allah expiates his sins because of that, as a tree sheds its leaves."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৪. রোগীর সেবা করা ওয়াজিব।
৫৬৪৯. আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও, রোগীর সেবা কর এবং কষ্টে পতিতকে উদ্ধার কর।[1][৩০৪৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৩)
بَاب وُجُوبِ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ أَبِي مُوسٰى الأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعِمُوا الْجَائِعَ وَعُودُوا الْمَرِيضَ وَفُكُّوا الْعَانِيَ.
Narrated Abu Muisa Al-Ash`ari:
The Prophet (ﷺ) said, "Feed the hungry, visit the sick, and set free the captives."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৪. রোগীর সেবা করা ওয়াজিব।
৫৬৫০. বারাআ ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি জিনিসের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নিষেধ করেছেনঃ সোনার আংটি, মোটা ও পাতলা এবং কারুকার্য খচিত রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে এবং কাস্সী ও মীসারাহ [1] কাপড় ব্যবহার করতে। আর তিনি আমাদের আদেশ করেছেনঃ আমরা যেন জানাযার পশ্চাতে যাই, পীড়িতের সেবা করি এবং সালামের প্রসার ঘটাই। [১২৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৪)
بَاب وُجُوبِ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَشْعَثُ بْنُ سُلَيْمٍ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ نَهَانَا عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ وَلُبْسِ الْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَالإِسْتَبْرَقِ وَعَنِ الْقَسِّيِّ وَالْمِيثَرَةِ وَأَمَرَنَا أَنْ نَتْبَعَ الْجَنَائِزَ وَنَعُودَ الْمَرِيضَ وَنُفْشِيَ السَّلاَمَ.
Narrated Al-Bara bin Azib:
Allah's Messenger (ﷺ) ordered us to do seven things and forbade us to do seven other things. He forbade us to wear gold rings, silk, Dibaj, Istabriq, Qissy, and Maithara; and ordered us to accompany funeral processions, visit the sick and greet everybody.
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৫. সংজ্ঞাহীন ব্যক্তির সেবা করা।
৫৬৫১. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ভীষণভাবে পীড়িত হয়ে গেলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) পায়ে হেঁটে আমার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য আমার নিকট আসলেন। তাঁরা আমাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযূ করলেন। তারপর তিনি তাঁর অবশিষ্ট পানি আমার গায়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন। ফলে আমি জ্ঞান ফিরার পর দেখলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পদের ব্যাপারে আমি কী করব? আমার সম্পদ সম্পর্কে কীভাবে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব? তিনি তখন আমাকে কোন জবাব দিলেন না। শেষে মীরাসের আয়াত অবতীর্ণ হল। [১৯৪; মুসলিম ২৩/২, হাঃ ১৬১৬, আহমাদ ১৪৩০২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৫)
بَاب عِيَادَةِ الْمُغْمٰى عَلَيْهِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُوْلُ مَرِضْتُ مَرَضًا فَأَتَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَأَبُو بَكْرٍ وَهُمَا مَاشِيَانِ فَوَجَدَانِي أُغْمِيَ عَلَيَّ فَتَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَبَّ وَضُوءَه“ عَلَيَّ فَأَفَقْتُ فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَيْفَ أَصْنَعُ فِي مَالِي كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالِي فَلَمْ يُجِبْنِي بِشَيْءٍ حَتّٰى نَزَلَتْ آيَةُ الْمِيرَاثِ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
Once I fell ill. The Prophet (ﷺ) and Abu Bakr came walking to pay me a visit and found me unconscious. The Prophet (ﷺ) performed ablution and then poured the remaining water on me, and I came to my senses to see the Prophet. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! What shall I do with my property? How shall I dispose of (distribute) my property?" He did not reply till the Verse of inheritance was revealed.
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৬. মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগীর ফযীলত।
৫৬৫২. ’আত্বা ইবনু আবূ রাবাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাব না? আমি বললামঃ অবশ্যই। তখন তিনি বললেনঃ এই কালো রঙের মহিলাটি, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসেছিল। তারপর সে বললঃ আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমার লজ্জাস্থান খুলে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যদি চাও, ধৈর্য ধারণ করতে পার। তোমার জন্য আছে জান্নাত। আর তুমি যদি চাও, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করি, যেন তোমাকে অরোগ্য করেন। স্ত্রীলোকটি বললঃ আমি ধৈর্য ধারণ করব। সে বললঃ ঐ অবস্থায় আমার লজ্জাস্থান খুলে যায়, কাজেই আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন আমার লজ্জাস্থান খুলে না যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দু’আ করলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৬)
’আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি সেই উম্মু যুফার -কে দেখেছেন কা’বার গিলাফ ধরা অবস্থায়। সে ছিল দীর্ঘ দেহী কৃষ্ণ বর্ণের এক মহিলা। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭৬, আহমাদ ৩২৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৭)
بَاب فَضْلِ مَنْ يُصْرَعُ مِنَ الرِّيحِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ عِمْرَانَ أَبِي بَكْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَلاَ أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ قُلْتُ بَلٰى قَالَ هٰذِهِ الْمَرْأَةُ السَّوْدَاءُ أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أُصْرَعُ وَإِنِّي أَتَكَشَّفُ فَادْعُ اللهَ لِي قَالَ إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللهَ أَنْ يُعَافِيَكِ فَقَالَتْ أَصْبِرُ فَقَالَتْ إِنِّي أَتَكَشَّفُ فَادْعُ اللهَ لِي أَنْ لاَ أَتَكَشَّفَ فَدَعَا لَهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّه“ رَأٰى أُمَّ زُفَرَ تِلْكَ امْرَأَةً طَوِيلَةً سَوْدَاءَ عَلٰى سِتْرِ الْكَعْبَةِ.
Narrated 'Ata bin Abi Rabah:
Ibn `Abbas said to me, "Shall I show you a woman of the people of Paradise?" I said, "Yes." He said, "This black lady came to the Prophet (ﷺ) and said, 'I get attacks of epilepsy and my body becomes uncovered; please invoke Allah for me.' The Prophet (ﷺ) said (to her), 'If you wish, be patient and you will have (enter) Paradise; and if you wish, I will invoke Allah to cure you.' She said, 'I will remain patient,' and added, 'but I become uncovered, so please invoke Allah for me that I may not become uncovered.' So he invoked Allah for her."
Narrated 'Ata:
That he had seen Um Zafar, the tall black lady, at (holding) the curtain of the Ka`ba.
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৭. যে ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি হীন হয়ে পড়েছে তার ফযীলত।
৫৬৫৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ বলেছেনঃ আমি যদি আমার কোন বান্দাকে তার অতি প্রিয় দু’টি বস্ত্ত সম্পর্কে পরীক্ষায় ফেলি, আর সে তাতে ধৈর্য ধরে, তাহলে আমি তাকে সে দু’টির বিনিময়ে জান্নাত দান করব। আনাস বলেন, দু’টি প্রিয় বস্ত্ত হল সে ব্যক্তির চক্ষুদ্বয়। এরকম বর্ণনা করেছেন আশ্’আস ইবনু জাবির ও আবূ যিলাল (রহ.) আনাস -এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে।[1] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৮)
بَاب فَضْلِ مَنْ ذَهَبَ بَصَرُهُ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ عَنْ عَمْرٍو مَوْلَى الْمُطَّلِبِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ إِنَّ اللهَ قَالَ إِذَا ابْتَلَيْتُ عَبْدِي بِحَبِيبَتَيْهِ فَصَبَرَ عَوَّضْتُه“ مِنْهُمَا الْجَنَّةَ يُرِيدُ عَيْنَيْهِ تَابَعَه“ أَشْعَثُ بْنُ جَابِرٍ وَأَبُو ظِلاَلِ بْنُ هِلاَلٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Anas bin Malik:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "Allah said, 'If I deprive my slave of his two beloved things (i.e., his eyes) and he remains patient, I will let him enter Paradise in compensation for them.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৮. মহিলাদের পুরুষ রোগীর সেবা করা।
وَعَادَتْ أُمُّ الدَّرْدَاءِ رَجُلاً مِنْ أَهْلِ الْمَسْجِدِ مِنَ الأَنْصَارِ
উম্মু দারদা (রাঃ) মসজিদে অবস্থানকারী এক আনসারের সেবা করেছিলেন।
৫৬৫৪. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা্য় আসলেন, তখন আবূ বকর ও বিলাল (রাঃ) জ্বরে আক্রান্ত হলেন। তিনি বলেনঃ আমি তাঁদের কাছে গেলাম এবং বললামঃ হে আব্বাজান! আপনাকে কেমন লাগছে? হে বিলাল, আপনাকে কেমন লাগছে? আবূ বকর (রাঃ)-এর অবস্থা ছিল, তিনি যখন জ্বরে আক্রান্ত হতেন তখন তিনি আওড়াতেনঃ
’’সব মানুষ সুপ্রভাত ভোগ করে আপন পরিবার পরিজনের মধ্যে,
আর মৃত্যু অপেক্ষা করে তার জুতার ফিতার চেয়ে নিকটে।’’
বিলাল -এর জ্বর যখন থামত তখন তিনি বলতেনঃ
’’হায়! আমি যদি লাভ করতাম একটি রাত কাটানোর সুযোগ
এমন উপত্যকায় যে আমার পাশে আছে ইযখির ও জালীল ঘাস।
যদি আমার অবতরণ হতো কোন দিন মাজিন্নার কূপের কাছে।
হায়! আমি কি কখনো দেখা পাব শামাহ্ ও ত্বফীলের।’’
’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁকে এদের অবস্থা অবগত করলাম। তখন তিনি দু’আ করে বললেনঃ হে আল্লাহ! মদিনাকে আমাদের কাছে প্রিয় করে দাও, যেমন তুমি আমাদের কাছে মক্কা প্রিয় করে দিয়েছিলে কিংবা সে অপেক্ষা আরো অধিক প্রিয় করে দাও। হে আল্লাহ! আর মদিনাকে উপযোগী করে দাও এবং মদিনার মুদ্দ ও সা’ এর ওযনে বারাকাত দান কর। আর এখানকার জ্বরকে সরিয়ে দাও জুহ্ফা এলাকায়। [১৮৮৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৯)
بَاب عِيَادَةِ النِّسَاءِ الرِّجَالَ
قُتَيْبَةُ عَنْ مَالِكٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلاَلٌ قَالَتْ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا قُلْتُ يَا أَبَتِ كَيْفَ تَجِدُكَ وَيَا بِلاَلُ كَيْفَ تَجِدُكَ قَالَتْ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمّٰى يَقُوْلُ :
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِه„ وَالْمَوْتُ أَدْنٰى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
وَكَانَ بِلاَلٌ إِذَا أَقْلَعَتْ عَنْه“ يَقُوْلُ :
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مِجَنَّةٍ وَهَلْ تَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
قَالَتْ عَائِشَةُ فَجِئْتُ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُه“ فَقَالَ اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ اللَّهُمَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّهَا وَصَاعِهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ.
Narrated `Aisha:
When Allah's Messenger (ﷺ) emigrated to Medina, Abu Bakr and Bilal got a fever. I entered upon them and asked, "O my father! How are you? O Bilal! How are you?" Whenever fever attacked Abu Bakr, he would recite the following poetic verses: 'Everybody is staying alive among his people, yet death is nearer to him than his shoe laces." And whenever the fever deserted Bilal, he would recite (two poetic lines): 'Would that I could stay overnight in a valley wherein I would be surrounded by Idhkhir and Jalil (two kinds of good smelling grass). Would that one day I would drink of the water of Majinna and would that Shama and Tafil (two mountains at Mecca) would appear to me.' Then I came and informed Allah's Messenger (ﷺ) about that, whereupon he said, "O Allah! Make us love Medina as much or more than we love Mecca. O Allah! Make it healthy and bless its Mudd and Sa for us, and take away its fever and put it in Al Juhfa."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৯. অসুস্থ শিশুদের সেবা করা।
৫৬৫৫. উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক কন্যা (যাইনাব) তাঁর কাছে খবর দিয়েছেন, এ সময় উসামাহ, সা’দ ও সম্ভবতঃ ’উবাই (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। খবর এই ছিল যে, (যায়নাব বলেছেন) আমার এক শিশুকন্যা মৃত্যুর দুয়ারে উপনীত। কাজেই আপনি আমাদের এখানে আসুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে সালাম পাঠিয়ে বলে দিলেনঃ আল্লাহ যা চান নিয়ে নেন, যা চান দিয়ে যান। তাঁর কাছে সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। কাজেই তুমি ধৈর্য ধর এবং উত্তম বিনিময়ের আশা পোষণ কর। অতঃপর পুনরায় তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কসম ও তাগিদ দিয়ে প্রেরণ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে দাঁড়ালেন। আমরাও দাঁড়িয়ে গেলাম।
এরপর শিশুটিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোলে তুলে দেয়া হল। এ সময় তার নিঃশ্বাস দ্রুত উঠানামা করছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। সা’দ (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এটা কী? তিনি উত্তর দিলেনঃ এটা হল রহমত। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছে করেন তার হৃদয়ে এটি দিয়ে দেন। আর আল্লাহ তাঁর দয়াদ্র বান্দাদের প্রতিই দয়া করে থাকেন। [১২৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৪০)
بَاب عِيَادَةِ الصِّبْيَانِ
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَاصِمٌ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّ ابْنَةً لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَتْ إِلَيْهِ وَهُوَ مَعَ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم وَسَعْدٌ وَأُبَيٌّ نَحْسِبُ أَنَّ ابْنَتِي قَدْ حُضِرَتْ فَاشْهَدْنَا فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا السَّلاَمَ وَيَقُوْلُ إِنَّ لله مَا أَخَذَ وَمَا أَعْطٰى وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَه“ مُسَمًّى فَلْتَحْتَسِبْ وَلْتَصْبِرْ فَأَرْسَلَتْ تُقْسِمُ عَلَيْهِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقُمْنَا فَرُفِعَ الصَّبِيُّ فِي حَجْرِ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم وَنَفْسُه“ جُئِّثُ فَفَاضَتْ عَيْنَا النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَه“ سَعْدٌ مَا هٰذَا يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ هٰذِه„ رَحْمَةٌ وَضَعَهَا اللهُ فِي قُلُوبِ مَنْ شَاءَ مِنْ عِبَادِه„ وَلاَ يَرْحَمُ اللهُ مِنْ عِبَادِه„ إِلاَّ الرُّحَمَاءَ.
Narrated Abu `Uthman:
Usama bin Zaid said that while he. Sa`d and Ubai bin Ka`b were with the Prophet (ﷺ) a daughter of the Prophet sent a message to him, saying. 'My daughter is dying; please come to us." The Prophet (ﷺ) sent her his greetings and added "It is for Allah what He takes, and what He gives; and everything before His sight has a limited period. So she should hope for Allah's reward and remain patient." She again sent a message, beseeching him by Allah, to come. So the Prophet (ﷺ) got up. and so did we (and went there). The child was placed on his lap while his breath was irregular. Tears flowed from the eyes of the Prophet. Sa`d said to him, "What is this, O Allah's Messenger (ﷺ)?" He said. "This Is Mercy which Allah has embedded in the hearts of whomever He wished of His slaves. And Allah does not bestow His Mercy, except on the merciful among His slaves.
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১০. অসুস্থ বেদুঈনদের সেবা করা।
৫৬৫৬. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বেদুঈনের নিকট গিয়েছিলেন, তার রোগ সম্পর্কে জানার জন্য। বর্ণনাকারী বলেন, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিয়ম ছিল, তিনি যখন কোন রোগীকে দেখতে যেতেন তখন তাকে বলতেনঃ কোন ক্ষতি নেই। ইনশাআল্লাহ তুমি তোমার গুনাহসমূহ থেকে পবিত্রতা লাভ করবে। তখন বেদুঈন বললঃ আপনি বলেছেন, এটা গুনাহ থেকে পবিত্র করে দেবে? কক্ষনো না, বরং এটা এমন এক জ্বর যা এক অতি বৃদ্ধকে গরম করছে কিংবা সে বলেছে উত্তপ্ত করছে, যা তাকে কবরে পৌঁছাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ, তাহলে তেমনই। [৩৬১৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৪১)
بَاب عِيَادَةِ الأَعْرَابِ
مُعَلّٰى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُخْتَارٍ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلٰى أَعْرَابِيٍّ يَعُودُه“ قَالَ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ عَلٰى مَرِيضٍ يَعُودُه“ فَقَالَ لَه“ لاَ بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللهُ قَالَ قُلْتَ طَهُورٌ كَلاَّ بَلْ هِيَ حُمّٰى تَفُورُ أَوْ تَثُورُ عَلٰى شَيْخٍ كَبِيرٍ تُزِيرُهُ الْقُبُورَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَعَمْ إِذًا.
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) went to visit a sick bedouin. Whenever the Prophet (ﷺ) went to a patient, he used to say to him, "Don't worry, if Allah will, it will be expiation (for your sins):" The bedouin said, "You say expiation? No, it is but a fever that is boiling or harassing an old man and will lead him to his grave without his will." The Prophet (ﷺ) said, "Then, yes, it is so."
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১১. মুশরিক রোগীর দেখাশুনা করা।
৫৬৫৭. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ইয়াহূদীর ছেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেবা করত। ছেলেটির অসুখ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অসুখের খোঁজ নিতে এলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি ইসলাম গ্রহণ কর। সে ইসলাম গ্রহণ করল। সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আবূ তালিব মারা গেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে এসেছিলেন। [১৩৫৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৪২)
بَاب عِيَادَةِ الْمُشْرِكِ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ غُلاَمًا لِيَهُودَ كَانَ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَمَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُه“ فَقَالَ أَسْلِمْ فَأَسْلَمَ وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ لَمَّا حُضِرَ أَبُو طَالِبٍ جَاءَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Anas:
A Jewish boy used to serve the Prophet (ﷺ) and became ill. The Prophet (ﷺ) went to pay him a visit and said to him, "Embrace Islam," and he did embrace Islam. Al-Musaiyab said: When Abu Talib was on his deathbed, the Prophet (ﷺ) visited him.
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১২. কোন রোগীকে দেখতে গিয়ে সালাতের সময় হলে সেখানেই উপস্থিত লোকদের নিয়ে জামা‘আতবদ্ধভাবে সালাত আদায় করা।
৫৬৫৮. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুস্থতার সময় লোকজন তাঁকে দেখার জন্য তাঁর কাছে আসলে তিনি তাঁদের নিয়ে বসা অবস্থায় সালাত আদায় করেন। লোকজন দাঁড়িয়ে সালাত শুরু করেছিল, ফলে তিনি তাদের ইঙ্গিত করলেন, বসে যাও। সালাত শেষ করে তিনি বলেনঃ ইমাম হল এমন ব্যক্তি যাকে অনুসরণ করতে হয়। সে রুকু করলে তোমরাও রুকু করবে। সে যখন মাথা উঠাবে, তোমরাও মাথা উঠাবে। সে যখন বসে সালাত আদায় করবে, তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে। হুমাইদী (রহ.) বলেছেনঃ এ হাদীসটি রহিত হয়ে গেছে। [৬৮৮]
আবূ ’আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে শেষ যে সালাত আদায় করেন তাতে তিনি নিজে বসে সালাত আদায় করেন আর লোকজন তাঁর পেছনে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৪৩)
بَاب إِذَا عَادَ مَرِيضًا فَحَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَصَلّٰى بِهِمْ جَمَاعَةً
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ يَعُودُونَهُ فِي مَرَضِهِ فَصَلَّى بِهِمْ جَالِسًا فَجَعَلُوا يُصَلُّونَ قِيَامًا، فَأَشَارَ إِلَيْهِمِ اجْلِسُوا، فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ " إِنَّ الإِمَامَ لَيُؤْتَمُّ بِهِ، فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا، وَإِنْ صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا ". قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ قَالَ الْحُمَيْدِيُّ هَذَا الْحَدِيثُ مَنْسُوخٌ لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم آخِرَ مَا صَلَّى صَلَّى قَاعِدًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامٌ.
Narrated `Aisha:
During the ailment of the Prophet (ﷺ) some people came to visits him. He led them in prayer while sitting. but they prayed standing, so he waved to them to sit down. When he had finished the prayer, he said, "An Imam is to be followed, so when he bows, you should bow. and when he raises his head, you should raise yours, and if he prays sitting. you should pray sitting." Abu `Abdullah said Al-Humaidi said, (The order of ) "This narration has been abrogated by the last action of the Prophet (ﷺ) as he led the prayer sitting, while the people prayed standing behind him.'
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/১৩. রোগীর দেহে হাত রাখা।
৫৬৫৯. ’আয়িশাহ বিনত সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তাঁর পিতা বলেছেন, আমি যখন মক্কায় ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখার জন্য আসেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমি সম্পদ রেখে যাচ্ছি। আর আমার একটি মাত্র কন্যা ব্যতীত আর কেউ নেই। এ অবস্থায় আমি কি আমার দু’তৃতীয়াংশ সম্পদ অসীয়ত করে এক-তৃতীয়াংশ রেখে যাব? তিনি উত্তর দিলেনঃ না। আমি বললামঃ তা হলে অর্ধেক রেখে দিয়ে আর অর্ধেক অসীয়ত করে যেতে পারি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তাহলে দু’তৃতীয়াংশ রেখে দিয়ে এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে যেতে পারি? তিনি উত্তর দিলেনঃ এক-তৃতীয়াংশ পার, তবে এক-তৃতীয়াংশও অনেক। তারপর তিনি আমার কপালের উপর তাঁর হাত রাখলেন এবং আমার চেহারা ও পেটের উপর তাঁর হাত বুলিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ, সা’দকে তুমি আরোগ্য কর। তাঁর হিজরত পূর্ণ করে দাও। আমি তাঁর হাতের শীতল স্পর্শ এখনও পাচ্ছি এবং মনে করি আমি তা ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত পাব। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৪৪)
بَاب وَضْعِ الْيَدِ عَلَى الْمَرِيضِ
الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا الْجُعَيْدُ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ أَنَّ أَبَاهَا قَالَ تَشَكَّيْتُ بِمَكَّةَ شَكْوًا شَدِيدًا فَجَاءَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنِّي أَتْرُكُ مَالاً وَإِنِّي لَمْ أَتْرُكْ إِلاَّ ابْنَةً وَاحِدَةً فَأُوصِي بِثُلُثَيْ مَالِي وَأَتْرُكُ الثُّلُثَ فَقَالَ لاَ قُلْتُ فَأُوصِي بِالنِّصْفِ وَأَتْرُكُ النِّصْفَ قَالَ لاَ قُلْتُ فَأُوصِي بِالثُّلُثِ وَأَتْرُكُ لَهَا الثُّلُثَيْنِ قَالَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ثُمَّ وَضَعَ يَدَه“ عَلٰى جَبْهَتِه„ ثُمَّ مَسَحَ يَدَه“ عَلٰى وَجْهِي وَبَطْنِي ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا وَأَتْمِمْ لَه“ هِجْرَتَه“ فَمَا زِلْتُ أَجِدُ بَرْدَه“ عَلٰى كَبِدِي فِيمَا يُخَالُ إِلَيَّ حَتّٰى السَّاعَةِ.
Narrated Sa`d:
I became seriously ill at Mecca and the Prophet (ﷺ) came to visit me. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I shall leave behind me a good fortune, but my heir is my only daughter; shall I bequeath two third of my property to be spent in charity and leave one third (for my heir)?" He said, "No." I said, "Shall I bequeath half and leave half?" He said, "No." I said, "Shall I bequeath one third and leave two thirds?" He said, "One third is alright, though even one third is too much." Then he placed his hand on his forehead and passed it over my face and `Abdomen and said, "O Allah! Cure Sa`d and complete his emigration." I feel as if I have been feeling the coldness of his hand on my liver ever since.