পরিচ্ছেদঃ ২৩/১. জানাযা সম্পর্কিত এবং যার শেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’।
وَقِيلَ لِوَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَلَيْسَ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ قَالَ بَلَى وَلَكِنْ لَيْسَ مِفْتَاحٌ إِلاَّ لَهُ أَسْنَانٌ فَإِنْ جِئْتَ بِمِفْتَاحٍ لَهُ أَسْنَانٌ فُتِحَ لَكَ وَإِلاَّ لَمْ يُفْتَحْ لَكَ
ওয়াহহাব ইবনু মুনাবিবহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ কি জান্নাতের চাবি নয়? উত্তরে তিনি বললেন, অবশ্যই। তবে যে কোন চাবির দাঁত থাকে। তুমি দাঁত যুক্ত চাবি [1] আনতে পারলে তোমার জন্য (জান্নাতের) দরজা খুলে দেয়া হবে। অন্যথায় তোমার জন্য খোলা হবে না।
১২৩৭. আবূ যার্ (গিফারী) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন আগন্তুক [জিবরীল (আঃ)] আমার প্রতিপালকের নিকট হতে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেন : যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। [2] (১৪০৮, ২৩৮৮, ৩২২২, ৫৮২৭, ৬২৬৮, ৬৪৪৩ ৬৪৪৪, ৭৪৮৭, মুসলিম ১/৪০, হাঃ ৯৪, আহমাদ ২১৪৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৫)
بَاب مَا جَاءَ فِي الْجَنَائِزِ وَمَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ عَنْ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَأَخْبَرَنِي أَوْ قَالَ بَشَّرَنِي أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ
[2] কৃত কর্মের শাস্তি ভোগ অথবা ক্ষমা লাভের পরই সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। কারণ কাবীরাহ্ গুনাহে লিপ্ত হলেই মানুষ ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায় না। হাদীসটি মুসলিম নামধারী চরমপন্থী দল খারিজীদের আকীদার প্রতিবাদে একটি মযবুত দলীল। ওদের ধারণা মানুষ কাবীরাহ্ গুনাহে লিপ্ত হলেই কাফির হয়ে যায় (নাউযুবিল্লাহ)।
Narrated Abu Dhar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Someone came to me from my Lord and gave me the news (or good tidings) that if any of my followers dies worshipping none (in any way) along with Allah, he will enter Paradise." I asked, "Even if he committed illegal sexual intercourse (adultery) and theft?" He replied, "Even if he committed illegal sexual intercourse (adultery) and theft."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/১. জানাযা সম্পর্কিত এবং যার শেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’।
১২৩৮. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে আল্লাহ্র সঙ্গে শির্ক করা অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যে আল্লাহ্র সঙ্গে কোন কিছুর শির্ক না করা অবস্থায় মারা যায়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (৪৪৯৭, ৬৬৮৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৬)
بَاب مَا جَاءَ فِي الْجَنَائِزِ وَمَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ حَدَّثَنَا شَقِيقٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ وَقُلْتُ أَنَا مَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ
Narrated `Abdullah:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Anyone who dies worshipping others along with Allah will definitely enter the Fire." I said, "Anyone who dies worshipping none along with Allah will definitely enter Paradise."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/২. জানাযায় অনুগমনের আদেশ।
১২৩৯. বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতটি বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন-
১. জানাযার অনুগমন করতে,
২. রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজ-খবর নিতে,
৩. দা’ওয়াত দাতার দা’ওয়াত গ্রহণ করতে,
৪. মাযলূমকে সাহায্য করতে,
৫. কসম হতে দায়মুক্ত করতে,
৬. সালামের জবাব দিতে এবং
৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুষ্ট করতে।
আর তিনি নিষেধ করেছেন-
১. রৌপ্যের পাত্র[1],
২. স্বর্ণের আংটি,
৩. রেশম,
৪. দীবাজ,
৫. কাস্সী (কেস্ রেশম),
৬. ইস্তিব্রাক (তসর জাতীয় রেশম) ব্যবহার করতে।[2]
(২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৫, ৫৬৫০, ৫৮৩৮, ৫৮৪৯, ৫৮৬৩, ৬২২২, ৬২৩৫, ৬৬৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৭)
بَاب الأَمْرِ بِاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الأَشْعَثِ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا بِاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِي وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ وَرَدِّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَنَهَانَا عَنْ آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَالْقَسِّيِّ وَالإِسْتَبْرَقِ
[2] স্বর্ণের অলংকার ও রেশমের পোশাক পুরুষদের জন্য হারাম, নারীদের জন্যে বৈধ। তবে শরীরে চুলকানী বা ঘা ইত্যাদির কারণে পুরুষদের জন্যেও রেশমের পোশাক ব্যবহার বৈধ।
Narrated Al-Bara' bin `Azib:
Allah's Messenger (ﷺ) ordered us to do seven things and forbade us to do other seven. He ordered us: to follow the funeral procession. to visit the sick, to accept invitations, to help the oppressed, to fulfill the oaths, to return the greeting and to reply to the sneezer: (saying, "May Allah be merciful on you," provided the sneezer says, "All the praises are for Allah,"). He forbade us to use silver utensils and dishes and to wear golden rings, silk (clothes), Dibaj (pure silk cloth), Qissi and Istabraq (two kinds of silk cloths).
পরিচ্ছেদঃ ২৩/২. জানাযায় অনুগমনের আদেশ।
১২৪০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্ পাঁচটিঃ ১. সালামের জওয়াব দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, ৩. জানাযার পশ্চাদানুসরণ করা, ৪. দা’ওয়াত কবূল করা এবং ৫. হাঁচিদাতাকে খুশী করা (আল-হামদু লিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।
আবদুর রাযযাক (রহ.) ‘আমর ইবনু আবূ সালামাহ (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। আবদুর রাযযাক (রহ.) বলেন, আমাকে মা‘মার (রহ.)-এরূপ অবহিত করেছেন এবং এ হাদীস সালামাহ (রহ.) ‘উকাইল (রহ.) হতে রিওয়ায়াত করেছেন। (মুসলিম ৩৯/৩, হাঃ ২১৬২, আহমাদ ৮৪০৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৮)
بَاب الأَمْرِ بِاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ الأَوْزَاعِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ رَدُّ السَّلاَمِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ وَرَوَاهُ سَلاَمَةُ بْنُ رَوْحٍ عَنْ عُقَيْلٍ
Narrated Abu Huraira:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "The rights of a Muslim on the Muslims are five: to respond to the salaam, visiting the sick, to follow the funeral processions, to accept an invitation, and to reply to those who sneeze.
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা
১২৪১-১২৪২. আবূ সালামাহ (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী ’আয়িশাহ্ (রাযি.) আমাকে বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মৃত্যুর খবর পেয়ে) আবূ বকর (রাঃ) ’সুন্হ’-এ অবস্থিত তাঁর বাড়ি হতে ঘোড়ায় চড়ে চলে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকজনের সঙ্গে কোন কথা না বলে ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর ঘরে প্রবেশ করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ’হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদরে আবৃত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমণ্ডল
উন্মুক্ত করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, অতঃপর ক্রন্দন করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আল্লাহ্ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্র করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য অবধারিত ছিল তা তো আপনি ক্ববূল করেছেন।
قَالَ أَبُو سَلَمَةَ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ tخَرَجَ وَعُمَرُ tيُكَلِّمُ النَّاسَ فَقَالَ اجْلِسْ فَأَبَى فَقَالَ اجْلِسْ فَأَبَى فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ tفَمَالَ إِلَيْهِ النَّاسُ وَتَرَكُوا عُمَرَ فَقَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فَإِنَّ اللهَ حَيٌّ لاَ يَمُوتُ قَالَ اللهُ تَعَالَى (وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ إِلَى الشَّاكِرِينَ) وَاللهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَعْلَمُونَ أَنَّ اللهَ أَنْزَلَهَا حَتَّى تَلاَهَا أَبُو بَكْرٍ tفَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ فَمَا يُسْمَعُ بَشَرٌ إِلاَّ يَتْلُوهَا
আবূ সালামাহ (রহ.) বলেন, ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, (তারপর) আবূ বকর (রাঃ) বাহিরে এলেন। তখন ’উমার (রাঃ) লোকজনের সাথে বাক্যালাপ করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন। তিনি তা মানলেন না। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন, তিনি তা মানলেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) কালিমা-ই-শাহাদাতের দ্বারা (বক্তব্য) আরম্ভ করলেন। লোকেরা ’উমার (রাঃ)-কে ছেড়ে তাঁর দিকে আকৃষ্ট হন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন.....আম্মা বা’দু, তোমাদের মাঝে যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ইবাদাত করতে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই মারা গেছেন। আর যারা মহান আল্লাহ্র ইবাদাত করতে, নিশ্চয় আল্লাহ্ চিরঞ্জীব, অমর। মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেনঃ (যার অর্থ) মুহাম্মাদ একজন রাসূল মাত্র আর কিছু নন। তার পূর্বেও অনেক রাসূল চলে গেছেন। অতএব যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তাহলে কি তোমরা পায়ের গোড়ালিতে ভর করে পেছনে ফিরে যাবে? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ অতি সত্বর কৃতজ্ঞদের পুরস্কার দিবেন- (আলু-’ইমরানঃ ১৪৪)। আল্লাহ্র কসম, মনে হচ্ছিল যেন আবূ বকর (রাঃ)-এর তিলাওয়াত করার পূর্বে লোকদের জানাই ছিল না যে, আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেছেন। এখনই যেন লোকেরা আয়াতখানি তার কাছ থেকে পেলেন। প্রতিটি মানুষকেই তখন ঐ আয়াত তিলাওয়াত করতে শোনা গেল। (১২৪১=৩৬৬৮, ৩৬৬৯, ৪৪৫২, ৪৪৫৫, ৫৭১০) (১২৪২-৩৬৬৮, ৩৬৭০, ৪৪৫৩, ৪৪৫৪, ৪৪৫৭, ৫৭১১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৯)
بَاب الدُّخُولِ عَلَى الْمَيِّتِ بَعْدَ الْمَوْتِ إِذَا أُدْرِجَ فِي أَكْفَانِهِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ قَالَ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ وَيُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ أَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى فَرَسِهِ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمْ يُكَلِّمْ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَتَيَمَّمَ النَّبِيَّ وَهُوَ مُسَجًّى بِبُرْدِ حِبَرَةٍ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ يَا نَبِيَّ اللهِ لاَ يَجْمَعُ اللهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي صلى الله عليه وسلم كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا
Narrated `Aisha:
Abu Bakr came riding his horse from his dwelling place in As-Sunh. He got down from it, entered the Mosque and did not speak with anybody till he came to me and went direct to the Prophet, who was covered with a marked blanket. Abu Bakr uncovered his face. He knelt down and kissed him and then started weeping and said, "My father and my mother be sacrificed for you, O Allah's Prophet! Allah will not combine two deaths on you. You have died the death which was written for you." Narrated Abu Salama from Ibn `Abbas : Abu Bakr came out and `Umar , was addressing the people, and Abu Bakr told him to sit down but `Umar refused. Abu Bakr again told him to sit down but `Umar again refused. Then Abu Bakr recited the Tashah-hud (i.e. none has the right to be worshipped but Allah and Muhammad is Allah's Messenger (ﷺ)) and the people attended to Abu Bakr and left `Umar. Abu Bakr said, "Amma ba'du, whoever amongst you worshipped Muhammad, then Muhammad is dead, but whoever worshipped Allah, Allah is alive and will never die. Allah said: 'Muhammad is no more than an Apostle and indeed (many) Apostles have passed away before him ..(up to the) grateful.' " (3.144) (The narrator added, "By Allah, it was as if the people never knew that Allah had revealed this verse before till Abu Bakr recited it and then whoever heard it, started reciting it.")
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা
১২৪১ নম্বর হাদিস দেখুন।
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা
১২৪৩. আনসারী মহিলা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাই‘আতকারী উম্মুল ‘আলা (রাঃ) হতে বর্ণিত, (মাদ্বীনায় হিজরতের পর) লটারীর মাধ্যমে মুহাজিরদের বণ্টন করা হচ্ছিল। তাতে ‘উসমান ইবনু মায‘ঊন (রাঃ) আমাদের অংশে পড়লেন, আমরা (সাদরে) তাঁকে আমাদের গৃহে স্থান দিলাম। এক সময় তিনি সেই রোগে আক্রান্ত হলেন, যাতে তাঁর মৃত্যু হল। যখন তাঁর মৃত্যু হল এবং তাঁকে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরানো হল, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আবাস্-সায়িব! আপনার উপর আল্লাহ্র রহমত বর্ষিত হোক! আপনার ব্যাপারে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ আপনাকে সম্মানিত করেছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি করে জানলে যে, আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আল্লাহ্ আর কাকে সম্মানিত করবেন? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার ব্যাপার তো এই যে, নিশ্চয় তাঁর মৃত্যু হচ্ছে এবং আল্লাহ্র কসম! আমি তার জন্য কল্যাণ কামনা করি। আল্লাহ্র কসম! আমি জানি না আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে, অথচ আমি আল্লাহ্র রাসূল। সেই আনসারী মহিলা বলেন, আল্লাহ্র কসম! অতঃপর এরপর হতে কোন দিন আমি কোন ব্যক্তিকে সম্বন্ধে পবিত্র বলে মন্তব্য করব না। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭০)
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ مِثْلَهُ وَقَالَ نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ عُقَيْلٍ مَا يُفْعَلُ بِهِ وَتَابَعَهُ شُعَيْبٌ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَمَعْمَرٌ
সা‘ঈদ ইবনু ‘উফাইর (রহ.) লায়স (রহ.) সূত্রে ঐরূপ বর্ণনা করেন। আর নাফি‘ ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) ‘উকাইল (রহ.) সূত্রে বলেন। مَا يُفْعَلُ بِهِ তার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে? শু‘য়াইব, ‘আমর ইবনু দ্বীনার ও মা‘মার (রহ.) ‘উকাইল (রহ.)-কে সমর্থন করেছেন। (২৬৮৭, ৩৯২৯, ৭০০৩, ৭০০৪, ৭০১৮) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭১)
بَاب الدُّخُولِ عَلَى الْمَيِّتِ بَعْدَ الْمَوْتِ إِذَا أُدْرِجَ فِي أَكْفَانِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ أُمَّ الْعَلاَءِ امْرَأَةً مِنْ الأَنْصَارِ بَايَعَتْ النَّبِيَّ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُ اقْتُسِمَ الْمُهَاجِرُونَ قُرْعَةً فَطَارَ لَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ فَأَنْزَلْنَاهُ فِي أَبْيَاتِنَا فَوَجِعَ وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ وَغُسِّلَ وَكُفِّنَ فِي أَثْوَابِهِ دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللهُ فَقَالَ النَّبِيُّ وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللهَ قَدْ أَكْرَمَهُ فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَمَنْ يُكْرِمُهُ اللهُ فَقَالَ أَمَّا هُوَ فَقَدْ جَاءَهُ الْيَقِينُ وَاللهِ إِنِّي لأَ×رْجُو لَهُ الْخَيْرَ وَاللهِ مَا أَدْرِي وَأَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا يُفْعَلُ بِي قَالَتْ فَوَاللهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ أَبَدًا
Narrated Kharija bin Zaid bin Thabit:
Um Al-`Ala', an Ansari woman who gave the pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) said to me, "The emigrants were distributed amongst us by drawing lots and we got in our share `Uthman bin Maz'un. We made him stay with us in our house. Then he suffered from a disease which proved fatal when he died and was given a bath and was shrouded in his clothes, Allah's Messenger (ﷺ) came I said, 'May Allah be merciful to you, O Abu As-Sa'ib! I testify that Allah has honored you'. The Prophet (ﷺ) said, 'How do you know that Allah has honored him?' I replied, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Let my father be sacrificed for you! On whom else shall Allah bestow His honor?' The Prophet (ﷺ) said, 'No doubt, death came to him. By Allah, I too wish him good, but by Allah, I do not know what Allah will do with me though I am Allah's Messenger (ﷺ). ' By Allah, I never attested the piety of anyone after that."
Narrated Al-Laith as above.
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা
১২৪৪. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (উহুদ যুদ্ধে) আমার পিতা আবদুল্লাহ্ (রাঃ) শহীদ হয়ে গেলে আমি তাঁর মুখমণ্ডল হতে কাপড় সরিয়ে ক্রন্দন করতে লাগলাম। লোকজন আমাকে নিষেধ করতে লাগল। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিষেধ করেননি। আমার ফুফী ফাতিমাহ (রাঃ)ও ক্রন্দন করতে লাগলেন। এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কাঁদ বা না-ই কাঁদ (উভয় সমান) তোমরা তাকে তুলে নেয়া পর্যন্ত ফেরেশ্তাগণ তাঁদের ডানা দিয়ে ছায়া বিস্তার করে রেখেছেন। ইবনু জুরাইজ (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনু মুন্কাদির (রহ.) সূত্রে জাবির (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় শু‘বা (রাঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। (১২৯৩, ২৮১৬, ৪০৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭২)
بَاب الدُّخُولِ عَلَى الْمَيِّتِ بَعْدَ الْمَوْتِ إِذَا أُدْرِجَ فِي أَكْفَانِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا قُتِلَ أَبِي جَعَلْتُ أَكْشِفُ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ أَبْكِي وَيَنْهَوْنِي عَنْهُ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنْهَانِي فَجَعَلَتْ عَمَّتِي فَاطِمَةُ تَبْكِي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَبْكِينَ أَوْ لاَ تَبْكِينَ مَا زَالَتْ الْمَلاَئِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رَفَعْتُمُوهُ تَابَعَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابِرًا
Narrated Jabir bin `Abdullah:
When my father was martyred, I lifted the sheet from his face and wept and the people forbade me to do so but the Prophet (ﷺ) did not forbid me. Then my aunt Fatima began weeping and the Prophet (ﷺ) said, "It is all the same whether you weep or not. The angels were shading him continuously with their wings till you shifted him (from the field). "
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৪. মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনের নিকট তার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানো।
১২৪৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাজাশী যেদিন মারা যান সেদিন-ই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুর খবর দেন এবং জানাযার স্থানে গিয়ে লোকদের কাতারবন্দী করে চার তাকবীর আদায় করলেন। (১৩১৮, ১৩২৭, ১৩২৮, ১৩৩৩, ৩৮৮০, ৩৮৮১, মুসলিম ১১/২১, হাঃ ৯৫১, আহমাদ ২২৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৩)
بَاب الرَّجُلِ يَنْعَى إِلَى أَهْل الْمَيِّتِ بِنَفْسِهِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَعَى النَّجَاشِيَّ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى فَصَفَّ بِهِمْ وَكَبَّرَ أَرْبَعًا
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) informed (the people) about the death of An-Najashi on the very day he died. He went towards the Musalla (praying place) and the people stood behind him in rows. He said four Takbirs (i.e. offered the Funeral prayer).
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৪. মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনের নিকট তার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানো।
১২৪৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মূতা যুদ্ধের অবস্থা বর্ণনায়) বললেনঃ যায়দ (রাঃ) পতাকা বহন করেছে অতঃপর শহীদ হয়েছে। অতঃপর জা’ফর (রাঃ) (পতাকা) হাতে নিয়েছে, সেও শহীদ হয়। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) (পতাকা) ধারণ করে এবং সেও শহীদ হয়। এ খবর বলছিলেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দু’ চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল। অতঃপর খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) পরামর্শ ছাড়াই (পতাকা) হাতে তুলে নেন এবং তাঁর দ্বারাই বিজয় লাভ হয়। (২৭৯৮, ৩০৬৩, ৩৬৩০, ৩৭৫৭, ৪২৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৪)
بَاب الرَّجُلِ يَنْعَى إِلَى أَهْل الْمَيِّتِ بِنَفْسِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ وَإِنَّ عَيْنَيْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَتَذْرِفَانِ ثُمَّ أَخَذَهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ غَيْرِ إِمْرَةٍ فَفُتِحَ لَهُ
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet (ﷺ) said, "Zaid took over the flag and was martyred. Then it was taken by Jafar who was martyred as well. Then `Abdullah bin Rawaha took the flag but he too was martyred and at that time the eyes of Allah's Messenger (ﷺ) were full of tears. Then Khalid bin Al-Walid took the flag without being nominated as a chief (before hand) and was blessed with victory."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৫. জানাযার সংবাদ পৌঁছানো।
وَقَالَ أَبُو رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ t قَالَ قَالَ النَّبِيُّ أَلاَ آذَنْتُمُونِي
আবূ রাফি‘ (রহ.) আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমাকে কেন খবর দিলে না?
১২৪৭. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মারা গেল। যার অসুস্থতার সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোঁজ-খবর রাখতেন। তার মৃত্যু হয় এবং রাতেই লোকেরা তাঁকে দাফন করেন। সকাল হলে তাঁরা (এ বিষয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে খবর দেন। তিনি বললেনঃ আমাকে খবর দিতে তোমাদের কিসে বাধা দিল? তারা বলল, তখন ছিল রাত এবং গাঢ় অন্ধকার। তাই আপনাকে কষ্ট দেয়া আমরা পছন্দ করিনি। তিনি ঐ ব্যক্তির কবরের নিকট গেলেন এবং তাঁর জন্য সালাতে জানাযা আদায় করলেন।[1] (৮৫৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৫)
بَاب الإِذْنِ بِالْجَنَازَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَاتَ إِنْسَانٌ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَمَاتَ بِاللَّيْلِ فَدَفَنُوهُ لَيْلاً فَلَمَّا أَصْبَحَ أَخْبَرُوهُ فَقَالَ مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تُعْلِمُونِي قَالُوا كَانَ اللَّيْلُ فَكَرِهْنَا وَكَانَتْ ظُلْمَةٌ أَنْ نَشُقَّ عَلَيْكَ فَأَتَى قَبْرَهُ فَصَلَّى عَلَيْهِ
Narrated Ibn `Abbas.:
A person died and Allah's Messenger (ﷺ) used to visit him. He died at night and (the people) buried him at night. In the morning they informed the Prophet (about his death). He said, "What prevented you from informing me?" They replied, "It was night and it was a dark night and so we disliked to trouble you." The Prophet (ﷺ) went to his grave and offered the (funeral) prayer.
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৬. সন্তানের মৃত্যুতে সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণের ফযীলত।
وَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَبَشِّرْ الصَّابِرِينَ)
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘আর সবরকারীদের সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (আল-বাকরাহ ১৫৫)
১২৪৮. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কোন মুসলিমের তিনটি সন্তান সাবালিগ হবার পূর্বে মারা গেলে তাদের প্রতি তাঁর রহমত স্বরূপ অবশ্যই আল্লাহ্ তা‘আলা ঐ ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।[1] (১৩৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৬)
بَاب فَضْلِ مَنْ مَاتَ لَهُ وَلَدٌ فَاحْتَسَبَ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ النَّاسِ مِنْ مُسْلِمٍ يُتَوَفَّى لَهُ ثَلاَثٌ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "A Muslim whose three children die before the age of puberty will be granted Paradise by Allah due to his mercy for them."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৬. সন্তানের মৃত্যুতে সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণের ফযীলত।
১২৪৯. আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মহিলাগণ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট নিবেদন করলেন, আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিন। অতঃপর তিনি একদা তাদের ওয়ায-নসীহত করলেন এবং বললেনঃ যে স্ত্রী লোকের তিনটি সন্তান মারা যায়, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে। তখন এক মহিলা প্রশ্ন করলেন, দু’টি সন্তান মারা গেলে? তিনি বললেন, দু’টি সন্তান মারা গেলেও। (১০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৭)
بَاب فَضْلِ مَنْ مَاتَ لَهُ وَلَدٌ فَاحْتَسَبَ
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَصْبَهَانِيِّ عَنْ ذَكْوَانَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النِّسَاءَ قُلْنَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اجْعَلْ لَنَا يَوْمًا فَوَعَظَهُنَّ وَقَالَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَ لَهَا ثَلاَثَةٌ مِنْ الْوَلَدِ كَانُوا حِجَابًا مِنْ النَّارِ قَالَتْ امْرَأَةٌ وَاثْنَانِ قَالَ وَاثْنَانِ
Narrated Abu Sa`id:
The women requested the Prophet, "Please fix a day for us." So the Prophet (ﷺ) preached to them and said, "A woman whose three children died would be screened from the Hell Fire by them," Hearing that, a woman asked, "If two died?" The Prophet (ﷺ) replied, "Even two (would screen her from the (Hell) Fire
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৬. সন্তানের মৃত্যুতে সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণের ফযীলত।
১২৫০. আবূ সা‘ঈদ ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন, যারা বালিগ হয়নি। (১০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৯ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৭ শেষাংশ)
بَاب فَضْلِ مَنْ مَاتَ لَهُ وَلَدٌ فَاحْتَسَبَ
وَقَالَ شَرِيكٌ عَنْ ابْنِ الأَصْبَهَانِيِّ حَدَّثَنِي أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ
" And Abu Huraira added, "Those children should be below the age of puberty. "
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৬. সন্তানের মৃত্যুতে সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণের ফযীলত।
১২৫১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিমের তিনটি (নাবালিগ) সন্তান মারা গেল, তবুও সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, এমন হবে না। তবে কেবল কসম পূর্ণ হবার পরিমাণ পর্যন্ত। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন : ‘‘তোমাদের প্রত্যেককেই তা অতিক্রম করতে হবে।’’ (৬৬০৬, মুসলিম ৪৫/৪৭, হাঃ ২৬৩২, আহমাদ ৭২২৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৮)
بَاب فَضْلِ مَنْ مَاتَ لَهُ وَلَدٌ فَاحْتَسَبَ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَمُوتُ لِمُسْلِمٍ ثَلاَثَةٌ مِنْ الْوَلَدِ فَيَلِجَ النَّارَ إِلاَّ تَحِلَّةَ الْقَسَمِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ (وَإِنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا)
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "No Muslim whose three children died will go to the Fire except for Allah's oath (i.e. everyone has to pass over the bridge above the lake of fire)."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৭. ক্ববরের নিকট কোন মহিলাকে বলা, ধৈর্য ধর।
১২৫২. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কবরের নিকট উপস্থিত এক মহিলার পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে তখন ক্রন্দন করছিল। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহ্কে ভয় কর এবং ধৈর্য ধর। (১২৮৩, ১৩০২, ৭১৫৪, মুসলিম ১১/৮, হাঃ ৯২৬, আহমাদ ১২৩১৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭৯)
بَاب قَوْلِ الرَّجُلِ لِلْمَرْأَةِ عِنْدَ الْقَبْرِ اصْبِرِي
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِامْرَأَةٍ عِنْدَ قَبْرٍ وَهِيَ تَبْكِي فَقَالَ اتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet (ﷺ) passed by a woman who was sitting and weeping beside a grave and said to her, "Fear Allah and be patient."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৮. বরই পাতার পানি দিয়ে মৃতকে গোসল ও উযূ করানো।
وَحَنَّطَ ابْنُ عُمَرَ ابْنًا لِسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَحَمَلَهُ وَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْمُسْلِمُ لاَ يَنْجُسُ حَيًّا وَلاَ مَيِّتًا وَقَالَ سَعِيدٌ لَوْ كَانَ نَجِسًا مَا مَسِسْتُهُ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُؤْمِنُ لاَ يَنْجُسُ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) এক (মৃত) পুত্রকে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলেন, তাকে বহন করলেন এবং জানাযার সালাত আদায় করলেন অথচ তিনি (নতুন) উযূ করেননি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, জীবিত ও মৃত কোন অবস্থায়ই মুসলিম অপবিত্র নয়। সা‘দ (রাঃ) বলেন, (মৃতদেহ) অপবিত্র হলে আমি তা স্পর্শ করতাম না। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন অপবিত্র হয় না।
১২৫৩. উম্মু আতিয়্যাহ্ আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কন্যা যায়নাব (রাযি.) ইন্তিকাল করলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বললেন : তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে খবর দাও। আমরা শেষ করার পর তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানি আমাদেরকে দিয়ে বললেন : এটি তাঁর শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। (১৬৭, মুসলিম ১১/১২, হাঃ ৯৩৯, আহমাদ ২৭৩৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮০)
بَاب غُسْلِ الْمَيِّتِ وَوُضُوئِهِ بِالْمَاءِ وَالسَّدْرِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَتْ ابْنَتُهُ فَقَالَ اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَعْطَانَا حِقْوَهُ فَقَالَ أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ تَعْنِي إِزَارَهُ
Narrated Um 'Atiyya al-Ansariya:
Allah's Messenger (ﷺ) came to us when his daughter died and said, "Wash her thrice or five times or more, if you see it necessary, with water and Sidr and then apply camphor or some camphor at the end; and when you finish, notify me." So when we finished it, we informed him and he gave us his waist-sheet and told us to shroud the dead body in it.
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৯. বিজোড় সংখ্যায় গোসল দেয়া মুস্তাহাব।
১২৫৪. উম্মু আতিয়্যাহ্ আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কন্যা যায়নাব (রাযি.) ইন্তিকাল করলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা তাঁকে তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দ্বারা গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে জানাও। আমরা শেষ করার পর তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানি আমাদের দিকে দিয়ে বললেনঃ এটি তাঁর ভিতরের কাপড় হিসেবে পরিয়ে দাও। আইয়ুব (রহ.) বলেছেন, হাফ্সাহ (রহ.) আমাকে মুহাম্মাদ বর্ণিত হাদীসের ন্যায় হাদীস শুনিয়েছেন। তবে তাঁর হাদীসে আছে যে, তাকে বিজোড় সংখ্যায় গোসল দিবে। আরও আছে, তিনবার, পাঁচবার অথবা সাতবার করে; তাতে আরো আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমরা তার ডান দিক হতে এবং তার উযূর স্থানগুলো থেকে আরম্ভ করবে।’’ তাতে এ কথাও আছে। (বর্ণনাকারিণী) উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) বলেছেন, আমরা তার চুলগুলো আঁচড়ে তিনটি গোছা করে দিলাম। (১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮১)
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ أَنْ يُغْسَلَ وِتْرًا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ فَقَالَ اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَقَالَ أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ فَقَالَ أَيُّوبُ وَحَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ بِمِثْلِ حَدِيثِ مُحَمَّدٍ وَكَانَ فِي حَدِيثِ حَفْصَةَ اغْسِلْنَهَا وِتْرًا وَكَانَ فِيهِ ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا وَكَانَ فِيهِ أَنَّهُ قَالَ ابْدَءُوا بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا وَكَانَ فِيهِ أَنَّ أُمَّ عَطِيَّةَ قَالَتْ وَمَشَطْنَاهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ
Narrated Um 'Atiyya:
Allah's Messenger (ﷺ) came to us and we were giving a bath to his (dead) daughter and said, "Wash her three, five or more times with water and Sidr and sprinkle camphor on her at the end; and when you finish, notify me." So when we finished, we informed him and he gave us his waist-sheet and told us to shroud her in it. Aiyub said that Hafsa narrated to him a narration similar to that of Muhammad in which it was said that the bath was to be given for an odd number of times, and the numbers 3, 5 or 7 were mentioned. It was also said that they were to start with the right side and with the parts which were washed in ablution, and that Um 'Atiyya also mentioned, "We combed her hair and divided them in three braids."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/১০. মৃত ব্যক্তির (গোসল) ডান দিক হতে আরম্ভ করা।
১২৫৫. উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কন্যার গোসলের ব্যাপারে ইরশাদ করেন : তোমরা তাঁর ডান দিক হতে এবং উযূর অঙ্গসমূহ হতে শুরু করবে। (১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮২)
بَاب يُبْدَأُ بِمَيَامِنِ الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَسْلِ ابْنَتِهِ ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا
Narrated Um 'Atiyya:
Allah's Messenger (ﷺ) , concerning his (dead) daughter's bath, said, "Start with the right side, and the parts which are washed in ablution."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/১১. মৃত ব্যক্তির উযূর স্থানসমূহ।
১২৫৬. উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কন্যা [যায়নাব (রাযি.)]-এর গোসল দিতে যাচ্ছিলাম, গোসল দেয়ার সময় তিনি আমাদের বলেনঃ তোমরা তাঁর ডান দিক হতে এবং উযূর স্থানগুলো হতে শুরু করবে। (১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮৩)
بَاب مَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْ الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ لَمَّا غَسَّلْنَا بِنْتَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَنَا وَنَحْنُ نَغْسِلُهَا ابْدَءُوا بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا
Narrated Um 'Atiyya:
When we washed the deceased daughter of the Prophet, he said to us, while we were washing her, "Start the bath from the right side and from the parts which are washed in ablution."