পরিচ্ছেদঃ ১১/১. জুম্মা ফরয হবার বিবরণ
لِقَوْلِ اللهِ تَعَالَى )إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ(
فاسعوا : فامضوا
এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘জুমু‘আহর দিনে যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের প্রতি ধাবিত হও এবং বন্ধ করে দাও বেচা- কেনা। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।’’ فاسعوا অর্থ ধাবিত হও। (সূরাহ্ আল-জুমু‘আহ ৬২/৯)
৮৭৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা মর্যাদার ব্যাপারে সবার পূর্বে। ব্যতিক্রম এই যে, আমাদের পূর্বে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে। অতঃপর তাদের সে দিন যে দিন তাদের জন্য ইবাদত ফরজ করা হয়েছিল তারা এ বিষয়ে মতভেদ করেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আল্লাহ্ আমাদের হিদায়াত করেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে লোকেরা আমাদের পশ্চাদ্বর্তী। ইয়াহূদীদের (সম্মানীয় দিন হচ্ছে) আগামী কাল (শনিবার) এবং নাসারাদের আগামী পরশু (রোববার)। (২৩৮; মুসলিম ৭/৫, হাঃ ৮৫৫, আহমাদ ৭৩১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩২)
بَاب فَرْضِ الْجُمُعَةِ.
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ هُرْمُزَ الْأَعْرَجَ مَوْلَى رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَأَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ نَحْنُ الآخِرُونَ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بَيْدَ أَنَّهُمْ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِنَا ثُمَّ هَذَا يَوْمُهُمْ الَّذِي فُرِضَ عَلَيْهِمْ فَاخْتَلَفُوا فِيهِ فَهَدَانَا اللهُ فَالنَّاسُ لَنَا فِيهِ تَبَعٌ الْيَهُودُ غَدًا وَالنَّصَارَى بَعْدَ غَدٍ.
Narrated Abu Huraira:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) saying, "We (Muslims) are the last (to come) but (will be) the foremost on the Day of Resurrection though the former nations were given the Holy Scriptures before us. And this was their day (Friday) the celebration of which was made compulsory for them but they differed about it. So Allah gave us the guidance for it (Friday) and all the other people are behind us in this respect: the Jews' (holy day is) tomorrow (i.e. Saturday) and the Christians' (is) the day after tomorrow (i.e. Sunday)."
পরিচ্ছেদঃ ১১/২. জুমু‘আহর দিন গোসল করার তাৎপর্য। জুমু‘আহর দিবসে শিশু কিংবা নারীদের (সালাতের জন্য) উপস্থিতি কি প্রয়োজন?
৮৭৭. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ জুমু‘আহর সালাতে আসলে সে যেন গোসল করে। (৮৯৪, ৯১৯ মুসলিম ৭/৭, হাঃ ৮৪৪, ৪৫৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৮২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৩)
بَاب فَضْلِ الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهَلْ عَلَى الصَّبِيِّ شُهُودُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَوْ عَلَى النِّسَاءِ.
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) said, "Anyone of you attending the Friday (prayers) should take a bath."
পরিচ্ছেদঃ ১১/২. জুমু‘আহর দিন গোসল করার তাৎপর্য। জুমু‘আহর দিবসে শিশু কিংবা নারীদের (সালাতের জন্য) উপস্থিতি কি প্রয়োজন?
৮৭৮. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.) জুমু‘আহর দিন দাঁড়িয়ে খুত্বা দিচ্ছিলেন, এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রথম যুগের একজন মুহাজির সাহাবা এলেন। ‘উমার (রাযি.) তাঁকে ডেকে বললেন, এখন সময় কত? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম, তাই ঘরে ফিরে আসতে পারিনি। এমন সময় আযান শুনে কেবল উযূ করে নিলাম। ‘উমার (রাযি.) বললেন, কেবল উযূই? অথচ আপনি জানেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের নির্দেশ দিতেন। (৮৮২; মুসলিম ৬/৫১, হাঃ ৮৪৫, আহমাদ ৫০৮৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৪)
بَاب فَضْلِ الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهَلْ عَلَى الصَّبِيِّ شُهُودُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَوْ عَلَى النِّسَاءِ.
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ قَالَ أَخْبَرَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ فِي الْخُطْبَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَادَاهُ عُمَرُ أَيَّةُ سَاعَةٍ هَذِهِ قَالَ إِنِّي شُغِلْتُ فَلَمْ أَنْقَلِبْ إِلَى أَهْلِي حَتَّى سَمِعْتُ التَّأْذِينَ فَلَمْ أَزِدْ أَنْ تَوَضَّأْتُ فَقَالَ وَالْوُضُوءُ أَيْضًا وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ بِالْغُسْلِ.
Narrated Ibn `Umar:
While `Umar bin Al-Khattab was standing and delivering the sermon on a Friday, one of the companions of the Prophet, who was one of the foremost Muhajirs (emigrants) came. `Umar said to him, "What is the time now?" He replied, "I was busy and could not go back to my house till I heard the Adhan. I did not perform more than the ablution." Thereupon `Umar said to him, "Did you perform only the ablution although you know that Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) used to order us to take a bath (on Fridays)?"
পরিচ্ছেদঃ ১১/২. জুমু‘আহর দিন গোসল করার তাৎপর্য। জুমু‘আহর দিবসে শিশু কিংবা নারীদের (সালাতের জন্য) উপস্থিতি কি প্রয়োজন?
৮৭৯. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু‘আহর দিনে প্রত্যেক সাবালকের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। (৮৫৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৫)
بَاب فَضْلِ الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهَلْ عَلَى الصَّبِيِّ شُهُودُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَوْ عَلَى النِّسَاءِ.
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ.
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) said, "The taking of a bath on Friday is compulsory for every male (Muslim) who has attained the age of puberty."
পরিচ্ছেদঃ ১১/৩. জুমু‘আহর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার।
৮৮০. ‘আমর ইবনু সুলাইম আনসারী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) বলেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু‘আহর দিন প্রত্যেক বালিগের জন্য গোসল করা কর্তব্য। আর মিস্ওয়াক করবে এবং সুগন্ধি পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করবে।
‘আমর (ইবনু সুলায়ম) (রহ.) বলেন, গোসল সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তা ওয়াজিব। কিন্তু মিস্ওয়াক ও সুগন্ধি ওয়াজিব কিনা তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন। তবে হাদীসে এ রকমই আছে।
আবূ ‘আবদুল্লাহ্ বুখারী (রহ.) বলেন, আবূ বকর ইবনু মুনকাদির (রহ.) হলেন মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদির (রহ.)-এর ভাই। কিন্তু তিনি আবূ বকর হিসেবেই পরিচিত নন। বুকায়র ইবনু আশাজ্জ, সা‘ঈদ ইবনু আবূ হিলাল সহ অনেকে তাঁর হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদির (রহ.)-এর কুনিয়াত (উপনাম) ছিল আবূ বকর ও আবূ ‘আবদুল্লাহ্। (মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৬, আহমাদ ১১২৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৬)
بَاب الطِّيبِ لِلْجُمُعَةِ.
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ سُلَيْمٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ قَالَ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْغُسْلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ، وَأَنْ يَسْتَنَّ وَأَنْ يَمَسَّ طِيبًا إِنْ وَجَدَ ". قَالَ عَمْرٌو أَمَّا الْغُسْلُ فَأَشْهَدُ أَنَّهُ وَاجِبٌ، وَأَمَّا الاِسْتِنَانُ وَالطِّيبُ فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَوَاجِبٌ هُوَ أَمْ لاَ، وَلَكِنْ هَكَذَا فِي الْحَدِيثِ. قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هُوَ أَخُو مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَلَمْ يُسَمَّ أَبُو بَكْرٍ هَذَا. رَوَاهُ عَنْهُ بُكَيْرُ بْنُ الأَشَجِّ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ وَعِدَّةٌ. وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ يُكْنَى بِأَبِي بَكْرٍ وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ.
Narrated Abu Sa`id:
I testify that Allah's Messenger (ﷺ) said, "The taking of a bath on Friday is compulsory for every male Muslim who has attained the age of puberty and (also) the cleaning of his teeth with Siwak, and the using of perfume if it is available." `Amr (a sub-narrator) said, "I confirm that the taking of a bath is compulsory, but as for the Siwak and the using of perfume, Allah knows better whether it is obligatory or not, but according to the Hadith it is as above.")
পরিচ্ছেদঃ ১১/৪. জুমু‘আহর মর্যাদা।
৮৮১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আহর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুৎবা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকাহ যিকর শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে। (মুসলিম ৭/২, হাঃ ৮৫০, আহমাদ ৯৯৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৭)
بَاب فَضْلِ الْجُمُعَةِ.
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ كَبْشًا أَقْرَنَ وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الْخَامِسَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً فَإِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ حَضَرَتْ الْمَلَائِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) said, "Any person who takes a bath on Friday like the bath of Janaba and then goes for the prayer (in the first hour i.e. early), it is as if he had sacrificed a camel (in Allah's cause); and whoever goes in the second hour it is as if he had sacrificed a cow; and whoever goes in the third hour, then it is as if he had sacrificed a horned ram; and if one goes in the fourth hour, then it is as if he had sacrificed a hen; and whoever goes in the fifth hour then it is as if he had offered an egg. When the Imam comes out (i.e. starts delivering the Khutba), the angels present themselves to listen to the Khutba."
পরিচ্ছেদঃ ১১/৫. পরিচ্ছেদ নেই।
৮৮২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। জুমু‘আহর দিন ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.) খুত্বা দিচ্ছিলেন, এ সময় এক ব্যক্তি মসজিদে আসলে ‘উমার (রাযি.) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, সালাতে সময় মত আসতে তোমরা কেন বাধাগ্রস্ত হও? তিনি বললেন, আযান শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি উযূ করেছি। তখন ‘উমার (রাযি.) বললেন, তোমরা কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ কথা বলতে শোননি যে, যখন তোমাদের কেউ জুমু‘আহর সালাতে রওয়ানা দেয়, তখন সে যেন গোসল করে নেয়। (৮৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৮)
بَاب
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ بَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَقَالَ عُمَرُ لِمَ تَحْتَبِسُونَ عَنِ الصَّلاَةِ فَقَالَ الرَّجُلُ مَا هُوَ إِلاَّ سَمِعْتُ النِّدَاءَ تَوَضَّأْتُ. فَقَالَ أَلَمْ تَسْمَعُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا رَاحَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ ".
Narrated Abu Huraira:
While `Umar (bin Al-Khattab) was delivering the Khutba on a Friday, a man entered (the mosque). `Umar asked him, "What has detained you from the prayer?" The man said, "It was only that when I heard the Adhan I performed ablution (for the prayer)." On that `Umar said, "Did you not hear the Prophet saying: 'Anyone of you going out for the Jumua prayer should take a bath'?".
পরিচ্ছেদঃ ১১/৬. জুমু‘আহর জন্য তৈল ব্যবহার করা।
৮৮৩. সালমান ফারিসী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আহর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল হতে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে, অতঃপর বের হয় এবং দু’ জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, অতঃপর তার নির্ধারিত সালাত আদায় করে এবং ইমামের খুৎবা দেয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমু‘আহ হতে আরেক জুমু‘আহ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (৯১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩২ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৩৯)
بَاب الدُّهْنِ لِلْجُمُعَةِ.
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ وَدِيعَةَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ، فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى ".
Narrated Salman-Al-Farsi:
The Prophet (p.b.u.h) said, "Whoever takes a bath on Friday, purifies himself as much as he can, then uses his (hair) oil or perfumes himself with the scent of his house, then proceeds (for the Jumua prayer) and does not separate two persons sitting together (in the mosque), then prays as much as (Allah has) written for him and then remains silent while the Imam is delivering the Khutba, his sins in-between the present and the last Friday would be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ ১১/৬. জুমু‘আহর জন্য তৈল ব্যবহার করা।
৮৮৪. তাঊস (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.)-কে বললাম, সাহাবীগণ বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু‘আহর দিন গোসল কর এবং মাথা ধুয়ে ফেল যদিও তোমরা জুনুবী না হয়ে থাক এবং সুগন্ধি ব্যবহার কর। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বললেন, গোসল সম্পর্কে নির্দেশ ঠিকই আছে, কিন্তু সুগন্ধি সম্পর্কে আমি জানি না। (৮৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪০)
بَاب الدُّهْنِ لِلْجُمُعَةِ.
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ طَاوُسٌ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ ذَكَرُوا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اغْتَسِلُوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْسِلُوا رُءُوسَكُمْ وَإِنْ لَمْ تَكُونُوا جُنُبًا، وَأَصِيبُوا مِنَ الطِّيبِ ". قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَّا الْغُسْلُ فَنَعَمْ، وَأَمَّا الطِّيبُ فَلاَ أَدْرِي.
Narrated Tawus:
I said to Ibn `Abbas, "The people are narrating that the Prophet (ﷺ) said, 'Take a bath on Friday and wash your heads (i.e. take a thorough bath) even though you were not Junub and use perfume'." On that Ibn `Abbas replied, "I know about the bath, (i.e. it is essential) but I do not know about the perfume (i.e. whether it is essential or not.)
পরিচ্ছেদঃ ১১/৬. জুমু‘আহর জন্য তৈল ব্যবহার করা।
৮৮৫. তাঊস (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন, জুমু‘আহর দিন গোসল সম্বন্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বাণীর উল্লেখ করেন তখন আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পরিবার পরিজনের সঙ্গে অবস্থান করতেন তখনও কি তিনি সুগন্ধি বা তেল ব্যবহার করতেন? তিনি বললেন, আমি তা জানি না। (৮৮৫; মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৮, আহমাদ ৩০৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪১)
بَاب الدُّهْنِ لِلْجُمُعَةِ.
إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ ذَكَرَ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ أَيَمَسُّ طِيبًا أَوْ دُهْنًا إِنْ كَانَ عِنْدَ أَهْلِهِ فَقَالَ لاَ أَعْلَمُهُ.
Narrated Tawus:
Ibn `Abbas mentioned the statement of the Prophet (ﷺ) regarding the taking of a bath on Friday and then I asked him whether the Prophet (p.b.u.h) had ordered perfume or (hair) oil to be used if they could be found in one's house. He (Ibn `Abbas) replied that he did not know about it.
পরিচ্ছেদঃ ১১/৭. জুমু‘আহর দিন যখন সূর্যের উত্তাপ প্রখর হয়।
৮৮৬. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.) মসজিদে নববীর দরজার নিকটে এক জোড়া রেশমী পোষাক (বিক্রি হতে) দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি এটি আপনি খরিদ করতেন আর জুমু‘আহর দিন এবং যখন আপনার নিকট প্রতিনিধি দল আসে তখন আপনি তা পরিধান করতেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা তো সে ব্যক্তিই পরিধান করে, আখিরাতে যার (মঙ্গলের) কোন অংশ নেই। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এ ধরনের কয়েক জোড়া পোষাক আসে, তখন তার এক জোড়া তিনি ‘উমার (রাযি.)-কে প্রদান করেন। ‘উমার (রাযি.) আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এটি পরতে দিলেন অথচ আপনি উতারিদের (রেশম) পোষাক সম্পর্কে যা বলার তা তো বলেছিলেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাকে এটি নিজের পরার জন্য দেইনি। ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.) তখন এটি মক্কা্য় তাঁর এক ভাইকে দিয়ে দেন, যে তখন মুশরিক ছিল।
(৯৪৮,২১০৪, ২৬১২, ২৬১৯, ৩০৫৪, ৫৮৪১, ৫৯৮১, ৬০৮১ মুসলিম ৩৭/ আওয়ালুল কিতাব?, হাঃ ২০৬৮, আহমাদ ৫৮০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪২)
بَاب إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَأَى حُلَّةَ سِيَرَاءَ عِنْدَ باب الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ اشْتَرَيْتَ هَذِهِ فَلَبِسْتَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلِلْوَفْدِ إِذَا قَدِمُوا عَلَيْكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِي الآخِرَةِ ". ثُمَّ جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا حُلَلٌ، فَأَعْطَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ مِنْهَا حُلَّةً فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَسَوْتَنِيهَا وَقَدْ قُلْتَ فِي حُلَّةِ عُطَارِدٍ مَا قُلْتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لَمْ أَكْسُكَهَا لِتَلْبَسَهَا ". فَكَسَاهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ أَخًا لَهُ بِمَكَّةَ مُشْرِكًا.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
`Umar bin Al-Khattab saw a silken cloak (being sold) at the gate of the Mosque and said to Allah's Apostle, "I wish you would buy this to wear on Fridays and also on occasions of the arrivals of the delegations." Allah's Messenger (ﷺ) replied, "This will be worn by a person who will have no share (reward) in the Hereafter." Later on similar cloaks were given to Allah's Messenger (ﷺ) and he gave one of them to `Umar bin Al-Khattab. On that `Umar said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You have given me this cloak although on the cloak of Atarid (a cloak merchant who was selling that silken cloak at the gate of the mosque) you passed such and such a remark." Allah's Messenger (ﷺ) replied, "I have not given you this to wear". And so `Umar bin Al-Khattab gave it to his pagan brother in Mecca to wear.
পরিচ্ছেদঃ ১১/৮. জুমু‘আহর দিন মিসওয়াক করা।
وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَنُّ.
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি মিস্ওয়াক করতেন।
৮৮৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য বা তিনি বলেছেন, লোকদের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক সালাতের সাথে তাদের মিস্ওয়াক করার হুকুম করতাম। (৭২৪০; মুসলিম ২/১৫, হাঃ ২৫২, আহমাদ ৭৪১৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৩)
بَاب السِّوَاكِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاَةٍ.
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
মিসওয়াক উম্মতের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। ফরয হওয়া থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে কিন্তু সুন্নাত হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।
হাদীসের শিক্ষা
১. উম্মতের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ মায়া মহব্বত ও দয়া। যা তাদের কষ্ট দিবে তা থেকে তিনি প্রবর্তন করা থেকে সর্বদা দূরে থাকতেন।
২. মিসওয়াকের ফযীলত ও মুস্তাহাব হওয়া প্রমাণিত হলো।
৩. সালাতের সময় মিসওয়াক করার বিষয়টি অত্যধিক তাগিদপূর্ণ হওয়া। আর তা প্রতিটি সালাতের জন্যই, চাই তা ফরয সালাত হোক কিংবা নফল সালাত অথবা জানাযার সালাত হোক।
৪. ইসলামী শরীআত সহজ ও আমলযোগ্য হওয়ার প্রমাণ। এতে এমন কিছু নেই যা করা অসম্ভব বা প্রাণান্তকর।
৫. কল্যাণ আহরণের চেয়ে ক্ষতি নিরোধ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৬. হাদীসের দাবির ব্যাপকতা থেকে বুঝা যায় যে, সাওম পালনকারীগণের জন্যও তা ফযীলতপূর্ণ জিনিস, যদিও সূর্য পশ্চিম দিগন্তে চলে যাওয়ার পর হয়। যেমন, যোহর কিংবা আসরের সময়।
৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ থাকলে তার সাধারণ দাবি হচ্ছে বাধ্যতামূলক হওয়া।
৮. সালাতের বিষয়টি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত হওয়া। কারণ, সালাতের জন্য বিশেষ করে মিসওয়াক করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত মানুষ তখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন করে। সুতরাং তার মুখ দুর্গন্ধমুক্ত হোক এটা একজন ঈমানদার সর্বদা কামনা করে।
৯. এ হাদীসের কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, “প্রত্যেক সালাতের ওযূর সময়" যা ইমাম আহমাদ, নাসায়ী ও মালিক রাহিমাহুমুল্লাহ বর্ণনা করেছেন। এর দ্বারা কেউ কেউ বলেছেন, আলোচ্য হাদীসের প্রয়োগক্ষেত্র হচ্ছে সালাতের ওযূর সময়ে।
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If I had not found it hard for my followers or the people, I would have ordered them to clean their teeth with Siwak for every prayer."
পরিচ্ছেদঃ ১১/৮. জুমু‘আহর দিন মিসওয়াক করা।
৮৮৮. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি মিস্ওয়াক সম্পর্কে তোমাদের যথেষ্ট বলেছি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৭ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৪)
بَاب السِّوَاكِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ الْحَبْحَابِ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَكْثَرْتُ عَلَيْكُمْ فِي السِّوَاكِ ".
Narrated Anas:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "I have told you repeatedly to use the Siwak. (The Prophet (ﷺ) put emphasis on the use of the Siwak.)
পরিচ্ছেদঃ ১১/৮. জুমু‘আহর দিন মিসওয়াক করা।
৮৮৯. হুযাইফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে সালাতের জন্য উঠতেন তখন দাঁত মেজে মুখ পরিষ্কার করে নিতেন। (২৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৫)
بَاب السِّوَاكِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَحُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ.
Narrated Hudhaifa:
When the Prophet (p.b.u.h) got up at night (for the night prayer), he used to clean his mouth .
পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. অন্যের মিস্ওয়াক দিয়ে মিস্ওয়াক করা।
৮৯০. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাযি.) একটি মিস্ওয়াক হাতে নিয়ে দাঁত ঘষতে ঘষতে প্রবেশ করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -তার দিকে তাকালেন। আমি তাঁকে বললাম, হে ‘আবদুর রহমান! মিস্ওয়াকটি আমাকে দাও। সে তা আমাকে দিল। আমি ব্যবহৃত অংশ ভেঙ্গে ফেললাম এবং তা চিবিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দিলাম। তিনি আমার বুকে হেলান দিয়ে তা দিয়ে মিস্ওয়াক করলেন। (১৩৮৯, ৩১০০, ৩৭৭৪, ৪৪৩৮, ৪৪৪৬, ৪৪৪৯, ৪৪৫০, ৪৪৫১, ৫২১৭, ৬৫১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৬)
بَاب مَنْ تَسَوَّكَ بِسِوَاكِ غَيْرِهِ.
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، قَالَ قَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ دَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَمَعَهُ سِوَاكٌ يَسْتَنُّ بِهِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ أَعْطِنِي هَذَا السِّوَاكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ. فَأَعْطَانِيهِ فَقَصَمْتُهُ ثُمَّ مَضَغْتُهُ، فَأَعْطَيْتُهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَنَّ بِهِ وَهْوَ مُسْتَسْنِدٌ إِلَى صَدْرِي.
Narrated `Aisha:
`Abdur-Rahman bin Abi Bakr came holding a Siwak with which he was cleaning his teeth. Allah's Apostle looked at him. I requested `Abdur-Rahman to give the Siwak to me and after he gave it to me I divided it, chewed it and gave it to Allah's Messenger (ﷺ). Then he cleaned his teeth with it and (at that time) he was resting against my chest.
পরিচ্ছেদঃ ১১/১০. জুমু‘আহর দিন ফজরের সালাতে কী পড়তে হবে?
৮৯১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আহর দিন ফজরের সালাতে الم تَنْزِيلُ এবং وَهَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنْ الدَّهْرِ দু’টি সূরাহ্ তিলাওয়াত করতেন। (১০৬৮; মুসলিম ৭/৬৪, হাঃ ৮৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৭)
بَاب مَا يُقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ.
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ـ هُوَ ابْنُ هُرْمُزَ ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْجُمُعَةِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ (الم * تَنْزِيلُ) السَّجْدَةَ وَ(هَلْ أَتَى عَلَى الإِنْسَانِ)
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) used to recite the following in the Fajr prayer of Friday, "Alif, Lam, Mim, Tanzil" (Suratas- Sajda #32) and "Hal-ata-ala-l-Insani" (i.e. Surah-Ad-Dahr #76).
পরিচ্ছেদঃ ১১/১১. গ্রামে ও শহরে জুমু‘আহর সালাত।
৮৯২. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে জুমু‘আহর সালাত অনুষ্ঠিত হবার পর প্রথম জুমু‘আহর সালাত অনুষ্ঠিত হয় বাহরাইনে জুওয়াসা নামক স্থানে অবস্থিত আবদুল কায়স গোত্রের মসজিদে। (৪৩৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪১ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৮)
بَاب الْجُمُعَةِ فِي الْقُرَى وَالْمُدُنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ أَوَّلَ جُمُعَةٍ جُمِّعَتْ بَعْدَ جُمُعَةٍ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَسْجِدِ عَبْدِ الْقَيْسِ بِجُوَاثَى مِنَ الْبَحْرَيْنِ.
Narrated Ibn `Abbas:
The first Jumua prayer which was offered after a Jumua prayer offered at the mosque of Allah's Apostle took place in the mosque of the tribe of `Abdul Qais at Jawathi in Bahrain.
পরিচ্ছেদঃ ১১/১১. গ্রামে ও শহরে জুমু‘আহর সালাত।
৮৯৩. ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল। লায়স ইবনু সা‘দ (রাযি.) আরো অতিরিক্ত বলেন, (পরবর্তী রাবী) ইউনুস (রহ.) বলেছেন, আমি একদা ইবনু শিহাব (রহ.)-এর সঙ্গে ওয়াদিউল কুরা নামক স্থানে ছিলাম। তখন রুযাইক (ইবনু হুকায়ম (রহ.) ইবনু শিহাব (রহ.)-এর নিকট লিখলেন, আপনি কী মনে করেন, আমি কি (এখানে) জুমু‘আহর সালাত আদায় করব? রুযায়ক (রহ.) তখন সেখানে তাঁর জমির কৃষি কাজের তত্ত্বাবধান করতেন। সেখানে একদল সুদানী ও অন্যান্য লোক বাস করত। রুযায়ক (রহ.) সে সময় আইলা শহরের (আমীর) ছিলেন। ইবনু শিহাব (রহ.) তাঁকে জুমু‘আহ কায়িম করার নির্দেশ দিয়ে লিখেছিলেন এবং আমি তাকে এ নির্দেশ দিতে শুনলাম। সালিম (রহ.) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে। ইমাম* একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তাঁকে তাঁর অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবার বর্গের অভিভাবক, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। নারী তার স্বামী-গৃহের কর্ত্রী, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। খাদিম তার মনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক, তাকেও তার মনিবের ধন-সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, আমার মনে হয়, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ পুত্র তার পিতার ধন-সম্পদের রক্ষক এবং এগুলো সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। তোমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং সবাইকে তাদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। (২৪০৯, ২৫৫৪, ২৫৫৮, ২৭৫১, ৫১৮৮, ৫৬০০, ৭১৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৪৯)
بَاب الْجُمُعَةِ فِي الْقُرَى وَالْمُدُنِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّكُمْ رَاعٍ ". وَزَادَ اللَّيْثُ قَالَ يُونُسُ كَتَبَ رُزَيْقُ بْنُ حُكَيْمٍ إِلَى ابْنِ شِهَابٍ ـ وَأَنَا مَعَهُ يَوْمَئِذٍ بِوَادِي الْقُرَى ـ هَلْ تَرَى أَنْ أُجَمِّعَ. وَرُزَيْقٌ عَامِلٌ عَلَى أَرْضٍ يَعْمَلُهَا، وَفِيهَا جَمَاعَةٌ مِنَ السُّودَانِ وَغَيْرِهِمْ، وَرُزَيْقٌ يَوْمَئِذٍ عَلَى أَيْلَةَ، فَكَتَبَ ابْنُ شِهَابٍ ـ وَأَنَا أَسْمَعُ ـ يَأْمُرُهُ أَنْ يُجَمِّعَ، يُخْبِرُهُ أَنَّ سَالِمًا حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالْخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ـ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنْ قَدْ قَالَ ـ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي مَالِ أَبِيهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ".
Narrated Ibn `Umar:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "All of you are Guardians." Yunis said: Ruzaiq bin Hukaim wrote to Ibn Shihab while I was with him at Wadi-al-Qura saying, "Shall I lead the Jumua prayer?" Ruzaiq was working on the land (i.e. farming) and there was a group of Sudanese people and some others with him; Ruzaiq was then the Governor of Aila. Ibn Shihab wrote (to Ruzaiq) ordering him to lead the Jumua prayer and telling him that Salim told him that `Abdullah bin `Umar had said, "I heard Allah's Apostle saying, 'All of you are guardians and responsible for your wards and the things under your care. The Imam (i.e. ruler) is the guardian of his subjects and is responsible for them and a man is the guardian of his family and is responsible for them. A woman is the guardian of her husband's house and is responsible for it. A servant is the guardian of his master's belongings and is responsible for them.' I thought that he also said, 'A man is the guardian of his father's property and is responsible for it. All of you are guardians and responsible for your wards and the things under your care."
পরিচ্ছেদঃ ১১/১২. মহিলা, বালক-বালিকা এবং অন্য যারা জুমু‘আয় উপস্থিত হয় না, তাদের কি গোসল করা জরুরী?
وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِنَّمَا الْغُسْلُ عَلَى مَنْ تَجِبُ عَلَيْهِ الْجُمُعَةُ.
ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেছেন, যাদের উপর জুমু‘আহর সালাত ওয়াজিব, শুধু তাদের গোসল করা প্রয়োজন।
৮৯৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তি জুমু‘আহর সালাতে আসবে সে যেন গোসল করে।’’ (৮৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৫০)
بَاب هَلْ عَلَى مَنْ لَمْ يَشْهَدْ الْجُمُعَةَ غُسْلٌ مِنْ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ وَغَيْرِهِمْ
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ جَاءَ مِنْكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "Anyone of you coming for the Jumua prayer should take a bath."
পরিচ্ছেদঃ ১১/১২. মহিলা, বালক-বালিকা এবং অন্য যারা জুমু‘আয় উপস্থিত হয় না, তাদের কি গোসল করা জরুরী?
৮৯৫. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -বলেছেনঃ প্রত্যেক সাবালকের জন্য জুমু‘আহর দিন গোসল করা ওয়াজিব। (৮৫৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৫১)
بَاب هَلْ عَلَى مَنْ لَمْ يَشْهَدْ الْجُمُعَةَ غُسْلٌ مِنْ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ وَغَيْرِهِمْ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ.
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The taking of a bath on Friday is compulsory for every Muslim who has attained the age of puberty."