পরিচ্ছেদঃ সুন্নাহ অনুযায়ী তালাক।
১১৭৬. কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইউনুস ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, কেউ যদি হায়য অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয় সেই সম্পর্কে ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, তুমি কি আবদুল্লাহ ইবনু উমার কে চেন? সে তার স্ত্রীকে হায়যপ্রাপ্ত অবস্থায় তালাক দিয়েছিল। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে উক্ত স্ত্রীর সঙ্গে রাজ’আত করার নির্দেশ দেন। ইউনুস ইবনু জুবায়র বলেন, আমি বললাম, সে তালাকটিকে গণনা করা হবে কি? তিনি বললেনঃ থাম। তুমি কি মনে কর কোন ব্যক্তি যদি অক্ষম হয়ে পড়ে বা বোকামী করে (তবে কি তার তালাক বাতিল হয়ে যাবে)? - ইবনু মাজাহ ২০২২, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي طَلاَقِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ رَجُلٍ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ فَقَالَ هَلْ تَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا . قَالَ قُلْتُ فَيُعْتَدُّ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ قَالَ فَمَهْ أَرَأَيْتَ إِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ
Yunus bin Jubair said:
"I asked Ibn Umar about a man who divorced his wife while she was menstruating. So he said: 'Don't you know Abdullah bin Umar?' Indeed he divorced his wife while she was menstruating, so Umar asked the Prophet about that, and he ordered him to take her back.'" He said: "I said: And that divorce is counted? He said: And that divorce is counted? He said: 'What else would you think if he was helpless and foolish?'"
পরিচ্ছেদঃ সুন্নাহ অনুযায়ী তালাক।
১১৭৭. হান্নাদ (রহঃ) .... সালিম তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এই সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তাকে স্ত্রীর সঙ্গে রাজ’আত করার নির্দেশ দাও। এরপর যেন সে তার স্ত্রীকে পাক অবস্থায় বা গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়। - ইবনু মাজাহ ২০২৩, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৭৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ইউনুস ইবনু জুবায়র বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সাহীহ। ইবনু উমার থেকে সালিম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত রিওয়ায়াতটিও তদ্রূপ। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই হাদীসটি একাধিক সনদে বর্ণিত আছে। সাহাবী ও অন্যান্য আলিমদের মধ্যে এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে যে, সুন্নাত তালাক হল সঙ্গম ব্যতীত পবিত্রতার কালে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া। কেউ কেউ বলেন, তহুর অবস্থায় যদি কেউ তিন তালাক দিয়ে দেয় তবুও তা সুন্নাত তালাক হবে। এ হলো ইমাম শাফিঈ ও আহমাদ (রহঃ) এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, একত্রে তিন তালাক সুন্নাত তালাক হবে না, যদি না তা এক এক করে (তিন তহুরে) দেওয়া হয়। এ হল ইমাম ছাওরী ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত। গর্ভাবস্থায় তালাক দেওয়া সম্পর্কে আলিমগণ বলেন যে, স্বামী (প্রয়োজনে) যখন ইচ্ছা তাকে তালাক দিতে পারে। এ হলো ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, গর্ভাবস্থায় প্রতি মাসে একটি তালাক দিবে।
باب مَا جَاءَ فِي طَلاَقِ السُّنَّةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فِي الْحَيْضِ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا أَوْ حَامِلاً " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَكَذَلِكَ حَدِيثُ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ طَلاَقَ السُّنَّةِ أَنْ يُطَلِّقَهَا طَاهِرًا مِنْ غَيْرِ جِمَاعٍ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنْ طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَهِيَ طَاهِرٌ فَإِنَّهُ يَكُونُ لِلسُّنَّةِ أَيْضًا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَكُونُ ثَلاَثًا لِلسُّنَّةِ إِلاَّ أَنْ يُطَلِّقَهَا وَاحِدَةً وَاحِدَةً . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَإِسْحَاقَ . وَقَالُوا فِي طَلاَقِ الْحَامِلِ يُطَلِّقُهَا مَتَى شَاءَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُطَلِّقُهَا عِنْدَ كُلِّ شَهْرٍ تَطْلِيقَةً .
Salim narrated that:
His father divorced his wife during her menses, so Umar asked the Prophet about that and he said: "Tell him to take her back, then let him divorce her while she is pure or pregnant."
পরিচ্ছেদঃ কেউ যদি স্ত্রীকে ‘‘আলবাত্তা" (অকাট্য) শব্দে তালাক দেয়।
১১৭৮. হান্নাদ (রহঃ) ....... রুকানা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার স্ত্রীকে ’আল বাত্তা’ শব্দে তালাক দিয়েছি। তিনি বললেনঃ এতে তুমি কয় তালাকের নিয়াত করেছ? আমি বললামঃ এক তালাকের। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম? আমি বললামঃ আল্লাহর কসম। তিনি বললেনঃ তবে তুমি যা নিয়্যাত করেছ তাই। - ইবনু মাজাহ ২০৫১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসটি এই সূত্র ছাড়া আমরা অবহিত নয়। সাহাবী ও অপরাপর আলিমদের মধ্যে আলবত্তা শব্দে তালাক সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে। উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি আলবত্তা তালাককে এক তালাক বলে গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি এটিকে তিন তালাক বলে গণ্য করেছেন। কোন কোন আলিম বলেন, এতে স্বামীর নিয়্যত গ্রহনীয়। সে যদি একের নিয়্যত করে তবে এক হবে আর তিনের নিয়্যত করলে তিন হবে। কিন্তু দুইয়ের নিয়্যত করলে একই হবে। এ হলো ইমাম ছাওরী ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত। ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) বলেন, যে স্ত্রীকে ’আল-বাত্তা’ শব্দে তালাক দেওয়া হয়েছে তার সাথে সঙ্গম হয়ে থাকলে তা তিন তালাক বলে গণ্য হবে। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, যদি সে এক তালাকের নিয়্যত করে তবে এক তালাক রাজঈ হবে এবং সে আবার তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে। আর দুই তালাকের নিয়ত করলে দুই-ই হবে এবং তিনের নিয়্যত করলে তিন-ই হবে।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي الْبَتَّةَ . فَقَالَ " مَا أَرَدْتَ بِهَا " . قُلْتُ وَاحِدَةً . قَالَ " وَاللَّهِ " . قُلْتُ وَاللَّهِ . قَالَ " فَهُوَ مَا أَرَدْتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ فِيهِ اضْطِرَابٌ . وَيُرْوَى عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رُكَانَةَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا . - وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ فِي طَلاَقِ الْبَتَّةِ فَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ جَعَلَ الْبَتَّةَ وَاحِدَةً وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ جَعَلَهَا ثَلاَثًا . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِيهِ نِيَّةُ الرَّجُلِ إِنْ نَوَى وَاحِدَةً فَوَاحِدَةٌ وَإِنْ نَوَى ثَلاَثًا فَثَلاَثٌ وَإِنْ نَوَى ثِنْتَيْنِ لَمْ تَكُنْ إِلاَّ وَاحِدَةً . وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فِي الْبَتَّةِ إِنْ كَانَ قَدْ دَخَلَ بِهَا فَهِيَ ثَلاَثُ تَطْلِيقَاتٍ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ إِنْ نَوَى وَاحِدَةً فَوَاحِدَةٌ يَمْلِكُ الرَّجْعَةَ وَإِنْ نَوَى ثِنْتَيْنِ فَثِنْتَانِ وَإِنْ نَوَى ثَلاَثًا فَثَلاَثٌ .
Abdullah bin Yazid bin Rukanah narrated from his father, from his grandfather who said:
'O Messenger of Allah! I irrevocably divorced my wife.' So he said: 'What did you intend by that?' I said: 'One (divorce).' He said: '(Do you swear) By Allah?' I said: 'By Allah.' He said: 'Then it is as you intended.'"
পরিচ্ছেদঃ তোমার ব্যাপার তোমার হাতে বলা প্রসঙ্গে।
১১৭৯. আলী ইবনু নাসর ইবনু আলী (রহঃ) ..... হাম্মাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়্যূব (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি হাসান ব্যতীত অন্য কাউকে জানেন যে, ’’তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ বললে তা তিন তালাক বলে তিনি গন্য করেছেন? তিনি বললেন, না। কেবল হাসানই (এমত পোষন করেন)। আল্লাহ্ ক্ষমা করুন, কাতাদা (রহঃ) আমাকে বানূ সামূরার আযাদকৃত দাস কাছীর-আবূ সালামা-আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এতে তিন তালাক বলে গণ্য হবে। আয়্যূব বলেন, পরে আমি ইবনু সামূরার আযাদকৃত দাস কাছীরের সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তিনি এটি চিনতে পারেননি। অনন্তর কাতাদার কাছে এসে এই সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলে তিনি বললেন, কাছীর এটি ভুলে গেছেন। - যইফ আবু আউদ ৩৭৯, বিবৃতিটি হাসানের এটাই সহিহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। সুলায়মান ইবনু হারব-হাম্মাদ ইবনু যায়দ ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা তা অবহিত হইনি। আমি মুহাম্মাদ (আল-বুখারী) (রহঃ)-কে এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি বললেন, সুলায়মান ইবনু হারব এটিকে হাম্মাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। এটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মওকুফ হিসেবে বর্ণিত আছে। তিনি এটিকে আবূ হুরায়রা (রা্) থেকে মারফূ’ হিসেবে জানেননা। রাবী আলী ইবনু নাসর ছিলেন, হাদীস বিশারদ এবং হাফিজুল হাদীস। ’’তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ স্ত্রীকে এই কথা বললে কি হবে এতদ্বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। উমার ইবনুল খাত্তাব ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সহ কতক সাহাবী বলেন, এতে এক তালাক গণ্য হবে। এ হলো তাবিঈন ও পরবর্তী যুগের অন্যান্য আলিমগেদর অভিমত।
উছমান ইবনু আফফান ও যায়দ ইবনু ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, স্ত্রী যা নিয়্যত করবে তার উপর ফায়সালা হবে। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যদি কেউ তার স্ত্রীকে তার ব্যাপার তার হাতেই ন্যস্ত করে দেয় এমতাবস্থায় সে নিজেকে তিন তালাক দিয়ে দেয় এবং স্বামী যদি তা স্বীকার না করে বরং বলে আমি তার হাতে মাত্র এক তালাকের অধিকার ন্যাস্ত করেছিলাম তবে স্বামীর নিকট থেকে কসম লওয়া হবে। এই বিষয়ে কসম সহ স্বামীর কথাই গ্রহণীয় হবে। ইমাম সুফইয়ান ও কূফাবাসী ফকীহগণ এই বিষয়ে উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর মতামত গ্রহন করেছেন। ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) বলেন, স্ত্রী যা করবে তার উপরই ফায়সালা হবে। ইমাম আহমদ (রহঃ) এরও এ অভিমত। আর ইমাম ইসহাক (রহঃ) ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মত গ্রহণ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ لأَيُّوبَ هَلْ عَلِمْتَ أَنَّ أَحَدًا قَالَ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ أَنَّهَا ثَلاَثٌ إِلاَّ الْحَسَنَ فَقَالَ لاَ إِلاَّ الْحَسَنَ . ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ غَفْرًا إِلاَّ مَا حَدَّثَنِي قَتَادَةُ عَنْ كَثِيرٍ مَوْلَى ابْنِ سَمُرَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثٌ " . قَالَ أَيُّوبُ فَلَقِيتُ كَثِيرًا - مَوْلَى ابْنِ سَمُرَةَ فَسَأَلْتُهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ فَرَجَعْتُ إِلَى قَتَادَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ نَسِيَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، بِهَذَا وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، مَوْقُوفٌ . وَلَمْ يُعْرَفْ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا . وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ حَافِظًا صَاحِبَ حَدِيثٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ هِيَ وَاحِدَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ . وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا جَعَلَ أَمْرَهَا بِيَدِهَا وَطَلَّقَتْ نَفْسَهَا ثَلاَثًا وَأَنْكَرَ الزَّوْجُ وَقَالَ لَمْ أَجْعَلْ أَمْرَهَا بِيَدِهَا إِلاَّ فِي وَاحِدَةٍ اسْتُحْلِفَ الزَّوْجُ وَكَانَ الْقَوْلُ قَوْلَهُ مَعَ يَمِينِهِ . وَذَهَبَ سُفْيَانُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ إِلَى قَوْلِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ . وَأَمَّا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فَقَالَ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ . وَأَمَّا إِسْحَاقُ فَذَهَبَ إِلَى قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ .
Hammad bin Yazid said:
"I said to Abu Ayyub: 'Do you know of anyone who said that: "Your case is up to you?" counts as three besides Al-Hasan?' He said: "No, not besides Al-Hasan.' Then he said: 'O Allah forgive me - except for what has been narrated to me by Qatadah, from Kathir the freed slave of Banu Samurah, from Abu Salamah, from Abu Hurairah, that the Prophet said: "Three.'"Abu Ayyub said: 'So I met Kathir the freed slave of Banu Samurah and asked him about it, but he was not aware of it. So I returned to Qatadah and informed him about that and he said: "He forgot."
পরিচ্ছেদঃ ইখতিয়ার দান প্রসঙ্গে।
১১৮০. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ইখতিয়ার দিয়েছিলেন। অনন্তর আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কেই গ্রহণ করলাম। এতে কি তালাক হয়ে গেল? - ইবনু মাজাহ ২০৫২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদানের বিষয়ে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা বলেছেন, এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি (স্বামীকে গ্রহণ না করে) নিজকে গ্রহণ করে তবে এক তালাক বাইন প্রযোজ্য হবে। তাঁদের থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে, তারা বলেছেন, এমতাবস্থায় এক তালাক হবে। স্বামীর রাজআতের অধিকার থাকবে। আর যদি স্বামীকে গ্রহণ করে তবে কিছুই আরোপিত হবে না। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি নিজেকে গ্রহণ করে তবে এক তালাক বাইন হবে আর যদি স্বামীকে গ্রহণ করে তবে এক তালাক হবে কিন্তু (ইদ্দতের মাঝে) রাজ’আত করার অধিকার স্বামীর থাকবে। যায়দ ইবনু ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, যদি স্ত্রী স্বামীকে গ্রহণ তবে এক তালাক আর যদি নিজেকে গ্রহণ করে তবে তিন তালাক আরোপিত হবে। অধিকাংশ ফকীহ সাহাবী ও পরবর্তী যুগের আলিমগণ এই বিষয়ে উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর বক্তব্যানুসারে অভিমত গ্রহণ করেছেন। এ হলো সুফইয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমগণের অভিমত। পক্ষান্তরে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মহ গ্রহণ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرْنَاهُ أَفَكَانَ طَلاَقًا؟
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، بِمِثْلِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْخِيَارِ فَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُمَا قَالاَ إِنِ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَوَاحِدَةٌ بَائِنَةٌ . وَرُوِيَ عَنْهُمَا أَنَّهُمَا قَالاَ أَيْضًا وَاحِدَةٌ يَمْلِكُ الرَّجْعَةَ وَإِنِ اخْتَارَتْ زَوْجَهَا فَلاَ شَىْءَ . وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ إِنِ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَوَاحِدَةٌ بَائِنَةٌ وَإِنِ اخْتَارَتْ زَوْجَهَا فَوَاحِدَةٌ يَمْلِكُ الرَّجْعَةَ . وَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ إِنِ اخْتَارَتْ زَوْجَهَا فَوَاحِدَةٌ وَإِنِ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَثَلاَثٌ . وَذَهَبَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ فِي هَذَا الْبَابِ إِلَى قَوْلِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَمَّا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فَذَهَبَ إِلَى قَوْلِ عَلِيٍّ رضى الله عنه .
Aishah said:
"The Messenger of Allah gave us the choice, so we chose him. So was that a divorce?"
পরিচ্ছেদঃ তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী (স্বামীর পক্ষ থেকে ) বাসস্থান পাবে না খোরপোষও পাবে না।
১১৮১. হান্নাদ (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনত কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আমাকে আমার স্বামী তিন তালাক দিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, তোমার জন্য বাসবাসের ঘরও নেই এবং খোরপোষও নেই। রাবী মুগীরা বলেন, আমি ইবরাহীমের নিকট এই রিওয়ায়াতটি উল্লেখ করলে তিনি বললেন, এই বিষয়ে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, একজন মহিলার কথায় এই ক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর কিতাব ও নবীজীর সুন্নাহ পরিত্যাগ করতে পারি না। জানিনা এই মহিলা যথাযথভাবে স্মরণ রাখতে পেরেছে না ভূলে গিয়েছে। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এই ক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ সাব্যস্ত করেছেন।
আহমদ ইবনু মানী’ (রহঃ) শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ফাতিমা বিনত কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা এর কাছে গেলাম এবং তাঁর বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ফায়সালা দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন যে, তাঁর স্বামী তাঁকে চুড়ান্ত (তিন) তালাক দিলে তিনি (ইদ্দতকালে) বাসস্থান ও খোরপোষ প্রদানের জন্য দাবী জানান। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষের ফায়সালা দেননি। আবূ দাউদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে যে, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইবনু উম্মি মাকতূমের গৃহে ইদ্দত পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। - ইবনু মাজাহ ২০৩৫, ২০৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। হাসান বাসরী, আতা ইবনু আবূ রাবাহ, শা’বী (রহঃ) সহ কতক আলিম এই অভিমত পোষণ করেন। ইমাম আহমাদ ও ইসাহাক (রহঃ) এরও অভিমত ত-ই। তাঁরা বলেন স্বামী যদি তালাকের পর ইদ্দতের মধ্যে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার মালিক না থাকেন তবে এই ধরণের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী (স্বামীর পক্ষ থেকে ইদ্দতকালে) বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে না। উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সহ কতক ফকীহ সাহাবী বলেন, তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী (ইদ্দতকালে) বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে। এ হলো সুফইয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমগণের অভিমত। কতক আলিম বলেন, সে (ইদ্দতকালে) বাসস্থান পাবে কিন্তু খোরপোষ পাবে না। এ হলো ইমাম মালিক ইবনু আনাস, লায়ছ ইবনু সা’দ ও শাফিঈ (রহঃ)-এর অভিমত।
ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ
لاَ تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلاَ يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ
তাদের ঘর থেকে বের করে দিবেনা এবং তারাও বের হবেনা। যে পর্যন্ত না সুষ্পুষ্ট কোন অশ্লীলতায় তারা লিপ্ত হয়। (সূরা তালাক ৬৫:১)
এই আয়াতের কারণে আমরা এই ধরনের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীদের জন্য বাসস্থানের অধিকারের অভিমত প্রদান করি। আলিমগণ বলেন, এখানে فَاحِشَةٍ (অশ্লীলতা) এর অর্থ হলো অশ্লীল কথাবার্তা অর্থাৎ সে তার পরিবারের লোকদের সাথে গালিগালাজ করে। ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-এর মতে ফাতিফা বিনত কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বাসস্থানের সুযোগ না দেওয়ার কারণ হলো ফাতিমা পরিবারের লোকদের সঙ্গে কটূভাষী ছিলেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, কিন্তু এই (তিন তালাকপ্রাপ্ত) মহিলার মহিলার জন্য (ইদ্দতকালে) খোরপোষের বিধান না দেওয়ার কারণ হলো ফাতিমা বিনত কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর ঘটনা সম্পর্কিত এ হাদীসটি।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُطَلَّقَةِ ثَلاَثًا لاَ سُكْنَى لَهَا وَلاَ نَفَقَةَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ طَلَّقَنِي زَوْجِي ثَلاَثًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ سُكْنَى لَكِ وَلاَ نَفَقَةَ " . قَالَ مُغِيرَةُ فَذَكَرْتُهُ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ قَالَ عُمَرُ لاَ نَدَعُ كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّنَا صلى الله عليه وسلم لِقَوْلِ امْرَأَةٍ لاَ نَدْرِي أَحَفِظَتْ أَمْ نَسِيَتْ . وَكَانَ عُمَرُ يَجْعَلُ لَهَا السُّكْنَى وَالنَّفَقَةَ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا حُصَيْنٌ، وَإِسْمَاعِيلُ، وَمُجَالِدٌ، قَالَ هُشَيْمٌ وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ، أَيْضًا عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فَسَأَلْتُهَا عَنْ قَضَاءِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقَالَتْ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا الْبَتَّةَ فَخَاصَمَتْهُ فِي السُّكْنَى وَالنَّفَقَةِ فَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةً . وَفِي حَدِيثِ دَاوُدَ قَالَتْ وَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَدَّ فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَعَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ وَالشَّعْبِيُّ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالُوا لَيْسَ لِلْمُطَلَّقَةِ سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةٌ إِذَا لَمْ يَمْلِكْ زَوْجُهَا الرَّجْعَةَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ وَعَبْدُ اللَّهِ إِنَّ الْمُطَلَّقَةَ ثَلاَثًا لَهَا السُّكْنَى وَالنَّفَقَةُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَهَا السُّكْنَى وَلاَ نَفَقَةَ لَهَا . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَاللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا جَعَلْنَا لَهَا السُّكْنَى بِكِتَابِ اللَّهِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (لاَ تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلاَ يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ ) قَالُوا هُوَ الْبَذَاءُ أَنْ تَبْذُوَ عَلَى أَهْلِهَا . وَاعْتَلَّ بِأَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ لَمْ يَجْعَلْ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّكْنَى لِمَا كَانَتْ تَبْذُو عَلَى أَهْلِهَا . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَلاَ نَفَقَةَ لَهَا لِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قِصَّةِ حَدِيثِ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ .
Fatimah bint Qais said:
"My husband divorced me three times during the time of the Prophet. So the Messenger of Allah said: 'There is no housing for you nor maintenance.'" Al-Mughirah (one of the narrators) said: "I mentioned that to Ibrahim and he said: Umar said: "We do not leave the Book of Allah and the Sunnah of our Prophet for the saying of a woman, and we do not know if she remembered or forgot." And Umar used to give her (the divorced woman) housing and maintenance.'"
পরিচ্ছেদঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নেই।
১১৮২. আহমাদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ...... আমার ইবনু শুআয়ব তাঁর পিতা তাঁর পিতামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে বস্তু স্বীয় মালিকানায় নেই সেই বস্তুতে আদম সন্তানের মান্নত হয় না। যে (দাস) স্বীয় মালিকানায় নেই তাকে আযাদ করা যায় না। যে (স্ত্রীলোক) স্বীয় অধিকারে নেই তাকে তালাক দেওয়া যায় না। - ইবনু মাজাহ ২০৪৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আলী, মুআয, জাবির, ইবনু আব্বাস ও আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। এই বিষয়ে বর্ণিত হাদীস সমূহের মাঝে এই রিওয়ায়তটই সর্বোত্তম। এ হলো অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের অভিমত। আলী ইবনু আবী তালিব, ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুম ও সাঈদ ইবনুল মূসায়্যাব, হাসান, সাঈদ ইবনু জুবায়র, আলী ইবনু হুসায়ন, শুরায়হ, জাবির ইবনু যায়দ (রহঃ) প্রমূখ একাধিক সাহাবী ও ফকীহ তাবিঈ থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-এর বক্তব্যও এ-ই।
ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট মহিলাকে বিবাহ সাপেক্ষে তালাক বললে তালাক পড়বে। ইব্রাহীম নাখঈ, শা’বী (রহঃ) প্রমূখ আলিমদের সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা বলেছেন, যদি কোন সময় নির্দ্ধারিত করে তালাক উচ্চারণ করে (আর সে সময়ের ভিতর ঐ মহিলাকে বিবাহ করে) তবে তালাক পড়বে। এ হলো সুফইয়ান ছাওরী ও মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-এর অভিমত। তাঁরা বলেন, যদি নির্দিষ্ট কোন স্ত্রীলোকের নাম নেয় বা সময় নির্দ্ধারণ করে কিংবা বলে, অমুক স্থানের মেয়েটি বিয়ে করলে সে তালাক এবং এরপর যদি তাকে বিয়ে করে তবে তালাক হয়ে যাবে।
ইবনু মুবারক (রহঃ) এই বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করেছেন করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এমতাবস্থায় সে যদি বিবাহ করে তবে আমি বলিনা যে, ঐ মহিলা তার জন্য হারাম হয়ে গেল। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় সে যদি বিয়ে করে ফেলে তবে আমি তার স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করতে বলব না। ইমাম ইসহাক (রহঃ) বলেন, ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রিওয়ায়াত অনুসারে নির্দিষ্ট মহিলার ক্ষেত্রে আমি তালাকের বিধান প্রয়োগ করার পক্ষপাতি; কিন্তু কেউ যদি বিয়ে করেই ফেলে তবে ঐ স্ত্রীলোক তার জন্য হারাম হয়ে গেছে বলে বলিনা। আর অনির্দিষ্ট মহিলার ক্ষেত্রে ইসহাক (রহঃ) আরও উদার মতামত অবলম্বন করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক থেকে উল্লেখ করা হয় যে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এক ব্যক্তি কসম করে যে, বিবাহ করবে না। করলে (স্ত্রী) তালাক হয়ে যাবে। পরে তার বিবাহ করার মত হয়। এমতাবস্থায় সে কি এই বিষয়ে যে ফকীহ বিবাহের অবকাশ রেখেছেন তাদের মত অবলম্বন করে বিবাহ করতে পারবে? ইবনু মুবারক বললেন, এই বিষয়ে কার্যকর হওয়ার পূর্ব থেকে যদি এই ফকীহদের মত সত্য বলে বিশ্বাস করে থাকে তবে এখন সে তাদের মত অবলম্বন করতে পারবে। কিন্তু পূর্ব থেকে যদি কেউ এই মতে সন্তুষ্ট না থাকে বরং এই বিষয়ে নিপতিত হওয়ার পর যদি ঐ ফকিহগণের মত গ্রহণ করতে চায় তবে আমার মতে সে আর তাঁদের মত গ্রহণ করতে পারবে না।
باب مَا جَاءَ لاَ طَلاَقَ قَبْلَ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نَذْرَ لاِبْنِ آدَمَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ وَلاَ عِتْقَ لَهُ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ وَلاَ طَلاَقَ لَهُ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَالْحَسَنِ وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ وَشُرَيْحٍ وَجَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ فِي الْمَنْصُوبَةِ إِنَّهَا تَطْلُقُ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَالشَّعْبِيِّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ قَالُوا إِذَا وَقَّتَ نُزِّلَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ إِذَا سَمَّى امْرَأَةً بِعَيْنِهَا أَوْ وَقَّتَ وَقْتًا أَوْ قَالَ إِنْ تَزَوَّجْتُ مِنْ كُورَةِ كَذَا فَإِنَّهُ إِنْ تَزَوَّجَ فَإِنَّهَا تَطْلُقُ . وَأَمَّا ابْنُ الْمُبَارَكِ فَشَدَّدَ فِي هَذَا الْبَابِ وَقَالَ إِنْ فَعَلَ لاَ أَقُولُ هِيَ حَرَامٌ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِنْ تَزَوَّجَ لاَ آمُرُهُ أَنْ يُفَارِقَ امْرَأَتَهُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ أَنَا أُجِيزُ فِي الْمَنْصُوبَةِ لِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَإِنْ تَزَوَّجَهَا لاَ أَقُولُ تَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ . وَوَسَّعَ إِسْحَاقُ فِي غَيْرِ الْمَنْصُوبَةِ . وَذُكِرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ حَلَفَ بِالطَّلاَقِ أَنَّهُ لاَ يَتَزَوَّجُ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ هَلْ لَهُ رُخْصَةٌ بِأَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِ الْفُقَهَاءِ الَّذِينَ رَخَّصُوا فِي هَذَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ إِنْ كَانَ يَرَى هَذَا الْقَوْلَ حَقًّا مِنْ قَبْلِ أَنْ يُبْتَلَى بِهَذِهِ الْمَسْأَلَةِ فَلَهُ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِهِمْ فَأَمَّا مَنْ لَمْ يَرْضَ بِهَذَا فَلَمَّا ابْتُلِيَ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِهِمْ فَلاَ أَرَى لَهُ ذَلِكَ .
Amr bin Shu'aib narrated from his grandfather, from his father, that:
The Messenger of Allah said: "There is no vow for the son of Adam over what he has no control, and there is no emancipating he can do for one whom he does not own, and there is no divorce for him regarding that which he has no control over."
পরিচ্ছেদঃ দাসীদের তালাকের সীমা দুই তালাক।
১১৮৩. মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া নীসাপুরী (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাসীদের তালাকের সীমা হল দুই তালাক আর তাদের ইদ্দত হলো দুই হায়য। - ইবনু মাজাহ ২০৮০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, আবূ আসিম সরাসরি মুজাহের থেকেও এ হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত এই হাদীসটি গারীব। মুজাহির ইবনু আসলাম ছাড়া আর কারো সূত্রে এটি মারফূরূপে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। হাদীস শাস্ত্রে মুজাহির সূত্রে এটি ছাড়া অন্য কোন হাদীস আমাদের জানা নেই। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। এ হলো ইমাম সুফইয়ান ছাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ أَنَّ طَلاَقَ الأَمَةِ تَطْلِيقَتَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُظَاهِرُ بْنُ أَسْلَمَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " طَلاَقُ الأَمَةِ تَطْلِيقَتَانِ وَعِدَّتُهَا حَيْضَتَانِ " .
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى وَحَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَنْبَأَنَا مُظَاهِرٌ، بِهَذَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُظَاهِرِ بْنِ أَسْلَمَ وَمُظَاهِرٌ لاَ نَعْرِفُ لَهُ فِي الْعِلْمِ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
Muzahir bin Aslam narrated that Al-Qasim narrated from Aishah that:
The Messenger of Allah said: "The divorce for a slave woman is two divorces, and her Iddah is two menstruations."
পরিচ্ছেদঃ কেউ যদি মনে মনে স্ত্রীকে তালাক দেয়।
১১৮৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা আমার উম্মতের মনোকথন ক্ষমা করে দিয়েছেন যতক্ষণ না তারা তা উচ্চারণ করেছেন বা আমলে রূপায়িত করেছে। - ইবনু মাজাহ ২০৪০, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। এ হাদীস অনুসারে আলিমগণের আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন তালাকের কথা মুখে উচ্চারণ করেছে ততক্ষণ মনে মনে তালাকের কথা বললেও তাতে কিছুই হবে না।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ بِطَلاَقِ امْرَأَتِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَجَاوَزَ اللَّهُ لأُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَكَلَّمْ بِهِ أَوْ تَعْمَلْ بِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا حَدَّثَ نَفْسَهُ بِالطَّلاَقِ لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ حَتَّى يَتَكَلَّمَ بِهِ .
Abu Hurairah narraed that:
The Messenger of Allah said: "Allah has permitted my Ummah what occurs in their mines, as long as it is not spoken or acted upon."
পরিচ্ছেদঃ যথার্থভাবে বা কৌতুকার্থে ‘তালাক’ উচ্চারণ করা।
১১৮৫. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের আমল এ হাদীস অনুসারে রয়েছে। রাবী আবদুর রহমান হলেন ইবনু হাবীব ইবনু আদরাক আল-মাদানী। আমার মতে (এই সনদের) ইবনু মাহাক হলেন ইউসূফ ইবনু মাহাক।
باب مَا جَاءَ فِي الْجِدِّ وَالْهَزْلِ فِي الطَّلاَقِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَرْدَكَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ مَاهَكَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ حَبِيبِ بْنِ أَرْدَكَ الْمَدَنِيُّ وَابْنُ مَاهَكَ هُوَ عِنْدِي يُوسُفُ بْنُ مَاهَكَ .
Abu Hurairah narrated that:
The Messenger of Allah said: "Three are serious when they are serious, and serious when they are in jest: Marriage, divorce, and return."
পরিচ্ছেদঃ খুলা তালাক।
১১৮৬. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... রুবায়্যি’ বিনত মুআওবিয ইবনু আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ’খুলা’ করেছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা কার্যকরী করেন এবং তাঁকে এক হায়য দ্বারা ইদ্দত পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। - ইবনু মাজাহ ২০৫৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫/১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) রুবায়্যি’ বিনত মু’আওবিয-এর হাদীস সম্পর্কে বলেন যে, তাকে এক হায়য দ্বারা ইদ্দত পালনের নির্দেশই সাহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْخُلْعِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سُفْيَانَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ، أَنَّهَا اخْتَلَعَتْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم - أَوْ أُمِرَتْ - أَنْ تَعْتَدَّ بِحَيْضَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الرُّبَيِّعِ الصَّحِيحُ أَنَّهَا أُمِرَتْ أَنْ تَعْتَدَّ بِحَيْضَةٍ .
AR-Rubayyi bint Mu'awwidh bin Al-Afra narrated:
that she got a Khul during the time of the Prophet. So the Prophet ordered her - or: she was ordered - that she observe an Iddah of a menstruation."
পরিচ্ছেদঃ খুলা তালাক।
১১৮৭. মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রহীম বাগদাদী (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ছাবিত ইবনু কায়স-এর স্ত্রী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমলে তার স্বামী থেকে ’খুলা’ তালাক গ্রহণ করেছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এক হায়য সময় ইদ্দত পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫/২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। খুলাপ্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত সম্পর্কে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিম বলেন, তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের ইদ্দতের অনুরূপই হলো খুলা প্রাপ্তা মহিলাদের ইদ্দত। এ হলো সুফইয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমগণের অভিমত। আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এরও বক্তব্য এ-ই। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম বলেন, খুলাপ্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত হলো এক হায়য। ইসহাক (রহঃ) বলেন, কেউ যদি এ মাযহাব গ্রহণ করে, তবে তা একটি মযবুত মাযহাব।
باب مَا جَاءَ فِي الْخُلْعِ
أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ الْبَغْدَادِيُّ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةَ، ثَابِتِ بْنِ قَيْسٍ اخْتَلَعَتْ مِنْ زَوْجِهَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَعْتَدَّ بِحَيْضَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي عِدَّةِ الْمُخْتَلِعَةِ فَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِنَّ عِدَّةَ الْمُخْتَلِعَةِ عِدَّةُ الْمُطَلَّقَةِ ثَلاَثُ حِيَضٍ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِنَّ عِدَّةَ الْمُخْتَلِعَةِ حَيْضَةٌ . قَالَ إِسْحَاقُ وَإِنْ ذَهَبَ ذَاهِبٌ إِلَى هَذَا فَهُوَ مَذْهَبٌ قَوِيٌّ .
Ibn Abbas narrated that :
The wife of Thabit bin Qais was granted a Khul from her husband during the time of the Prophet. So the Prophet ordered her to observe an Iddah of a menstruation.
পরিচ্ছেদঃ খুলা তালাক দাবীকারিনী।
১১৮৮. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খুলা তালাক দাবীকারিনী হলো মুনাফিক। - সহিহাহ ৬৩৩, মিশকাত - তাহকিক ছানী ৩২৯০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি গারীব। এটির সনদ শক্তিশালী নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি ইরশাদ করেছেন কোনরূপ কষ্টে পতিত না হওয়া ব্যতিরেকে যে মহিলা তার স্বামী থেকে খুলা তালাক নেয় সে জান্নাতের গন্ধও পাবে না।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُخْتَلِعَاتِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُزَاحِمُ بْنُ ذَوَّادِ بْنِ عُلْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُخْتَلِعَاتُ هُنَّ الْمُنَافِقَاتُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَيُّمَا امْرَأَةٍ اخْتَلَعَتْ مِنْ زَوْجِهَا مِنْ غَيْرِ بَأْسٍ لَمْ تَرِحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ "
Thawban narrated that:
The Prophet said: "The women who seek a Khul are hypocrites."
পরিচ্ছেদঃ খুলা তালাক দাবীকারিনী।
১১৮৯. বুনদার (রহঃ) ...... ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনরূপ কষ্টের সম্মুখীন না হয়ে যে মহিলা তার স্বামীর নিকট তালাক চায়। তার জন্য জান্নাতের গন্ধও হারাম। - ইবনু মাজাহ ২০৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। এই হাদীসটি আয়্যূব-আবূ কিলাবা- আবূ আসমা-ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রেও বর্ণিত আছে। কেউ কেউ আয়্যূব (রহঃ) থেকে এই সনদে এটি রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তারা এটি মারফূ’ হিসেবে করেন নি।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُخْتَلِعَاتِ
أَنْبَأَنَا بِذَلِكَ بُنْدَارٌ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ أَنْبَأَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلاَقًا مِنْ غَيْرِ بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ أَيُّوبَ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
Thawban narrated that :
The Messenger of Allah said: "Whichever woman seeks a Khul from her husband without harm (cause), then the scent of Paradise will be unlawful for her."
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সঙ্গে উদার ব্যবহার করা।
১১৯০. আবদুল্লাহ ইবনু আবূ যিয়াদ (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলারা হলো পাজরের হাড়ের ন্যায়। যদি তাকে তুমি সোজা করতে যাও তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর স্বাভাবিক ভাবে ছেড়ে রাখলে বক্রতাসহই তার থেকে তুমি উপকার ভোগ করতে পারবে। - তা’লীকুর রাগীব ৩/৭২-৭৩, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ যার, সামূরা ও আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-সাহীহ-গারীব। এর সনদও উত্তম।
باب مَا جَاءَ فِي مُدَارَاةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَرْأَةَ كَالضِّلَعِ إِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهَا كَسَرْتَهَا وَإِنْ تَرَكْتَهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا عَلَى عِوَجٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَسَمُرَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Abu Hurairah narrated that:
The Messenger of Allah said: "Indeed the woman is like a rib, if you try to straighten her you will break her, and if you leave her, what you enjoy from her will be with the crookedness."
পরিচ্ছেদঃ পিতা যদি কাউকে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বলে।
১১৯১. আহমদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ..... ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আমার এক স্ত্রী ছিল। তাকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা তাকে অপছন্দ করতেন। তাই তিনি আমাকে আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আমি তা করতে অস্বীকার করি। পরে আমি বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উল্লেখ করি। তিনি বলেন, হে আবদুল্লাহ ইবনু উমার, তোমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দাও। - ইবনু মাজাহ ২০৮৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। এটির সঙ্গে আমরা কেবল ইবনু আবী যিব-এর সনদে ই পরিচিত।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَسْأَلُهُ أَبُوهُ أَنْ يُطَلِّقَ زَوْجَتَهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَتْ تَحْتِي امْرَأَةٌ أُحِبُّهَا وَكَانَ أَبِي يَكْرَهُهَا فَأَمَرَنِي أَبِي أَنْ أُطَلِّقَهَا فَأَبَيْتُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ طَلِّقِ امْرَأَتَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ .
Ibn Umar narrated:
"I had a wife whom I loved, but my father disliked her, so he ordered me to divorce her but I refused. I mentioned that to the Prophet and he said: 'O Abdullah bin Umar! Divorce your wife.'"
পরিচ্ছেদঃ কোন মহিলা যেন তার (আরেক দীনী) ভগ্নীর তালাক প্রার্থনা না করে।
১১৯২. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মহিলা যেন পেয়ালার সবটুকু জিনিস কাছে টেনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তার অপর এক ভগ্নীর (সতীনের) তালাক না চায়। - সহিহ আবু দাউদ ১৮৯১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
باب مَا جَاءَ لاَ تَسْأَلُ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَسْأَلُ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا لِتَكْتَفِئَ مَا فِي إِنَائِهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abu Hurairah narrated that:
The Prophet said: "No woman should ask for the divorce of her sister (in religion) in order to spill what is in her container."
পরিচ্ছেদঃ বুদ্ধিভ্রষ্ট ব্যাক্তির তালাক।
১১৯৩. মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ....... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সকলের তালাকই প্রযোজ্য কিন্তু মাতুহ অর্থাৎ যে ব্যক্তি বুদ্ধি ভ্রষ্ট তার তালাক প্রযোজ্য নয়। - ইরওয়া ২০৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ’আতা ইবনু ’আজলান-এর সনদ ছাড়া এই হাদীসটি মারফূ’রূপে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নাই। আর ’আতা ইবনু আজলান হলেন যঈফ। হাদিস বিস্মৃতির শিকার। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, মা’তূহের অর্থাৎ বুদ্ধি ভ্রষ্ট লোকের তালাক কার্যকর নয়। কিন্তু যদি মা’তূহ এমন হয় যে, মাঝে মাঝে তার বুদ্ধি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তবে তার সূস্থতার সময়ের তালাক কার্যকর হবে।
باب مَا جَاءَ فِي طَلاَقِ الْمَعْتُوهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، أَنْبَأَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ طَلاَقٍ جَائِزٌ إِلاَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ عَجْلاَنَ . وَعَطَاءُ بْنُ عَجْلاَنَ ضَعِيفٌ ذَاهِبُ الْحَدِيثِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ لاَ يَجُوزُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ مَعْتُوهًا يُفِيقُ الأَحْيَانَ فَيُطَلِّقُ فِي حَالِ إِفَاقَتِهِ .
Abu Hurairah narrated that :
The Messenger of Allah said: "Every divorce is valid except the divorce of the Ma'tuh person whose reason is overcome." (Da'if Jiddan)
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১১৯৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদের অবস্থা এমন ছিল যে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যেমন ইচ্ছা তালাক দিয়ে দিত। যদি একশ বা ততোধিক তালাকও দিত তবুও ইদ্দতের ভিতর ফিরিয়ে আনলে এই মহিলা তার স্ত্রী হিসাবেই গণ্য হতো। এমনটি একবার জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল, আল্লাহর কসম, তোমাকে আমি এমনভাবে তালাক দিব না যে, তুমি আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাও, আর কখনো তোমাকে আশ্রয় দিব না। মহিলা বলল, কেমন করে? স্বামী বলল, তোমাকে তালাক দিব আর যখনই তোমার ইদ্দত শেষ হওয়ার উপক্রম হবে তখন আমি তোমার সহিত রাজআত করে নিব। উক্ত মহিলা তখন আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা -এর কাছে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করল। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তা শুনে চুপ রইলেন। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলে তাঁকে তিনি ঘটনাটি জানালেন। তা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামচুপ করে রইলেন। এরপর কুরআনের আয়াত নাযিল হলোঃ الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ
এই তালাক দুইবার, অনন্তর স্ত্রীকে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। [সূরা বাকরা ২ঃ২২৫) আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এরপর লোকেরা, যারা তালাক দিয়েছিল বা তালাক দেয়নি সবাই পরবর্তীতে নতুন করে এ তালাকের অীধকার প্রাপ্ত হলো। - ইরওয়া ৭/১৬২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা (রহঃ) উরওয়া (রহঃ) থেকে উক্ত মর্মে এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তবে এই রিওয়ায়াতে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা -এর উল্লেখ নেই। এই রিওয়ায়াতটি ইয়া’লা ইবনু শাবীব (রহঃ) এর রিওয়ায়াত (১১৯৪ নং) থেকে অধিকতর সাহীহ।
باب
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ شَبِيبٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ وَالرَّجُلُ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ مَا شَاءَ أَنْ يُطَلِّقَهَا وَهِيَ امْرَأَتُهُ إِذَا ارْتَجَعَهَا وَهِيَ فِي الْعِدَّةِ وَإِنْ طَلَّقَهَا مِائَةَ مَرَّةٍ أَوْ أَكْثَرَ حَتَّى قَالَ رَجُلٌ لاِمْرَأَتِهِ وَاللَّهِ لاَ أُطَلِّقُكِ فَتَبِينِي مِنِّي وَلاَ آوِيكِ أَبَدًا . قَالَتْ وَكَيْفَ ذَاكَ قَالَ أُطَلِّقُكِ فَكُلَّمَا هَمَّتْ عِدَّتُكِ أَنْ تَنْقَضِيَ رَاجَعْتُكِ . فَذَهَبَتِ الْمَرْأَةُ حَتَّى دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ فَأَخْبَرَتْهَا فَسَكَتَتْ عَائِشَةُ حَتَّى جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نَزَلَ الْقُرْآنُ : ( الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ ) قَالَتْ عَائِشَةُ فَاسْتَأْنَفَ النَّاسُ الطَّلاَقَ مُسْتَقْبَلاً مَنْ كَانَ طَلَّقَ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ طَلَّقَ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ يَعْلَى بْنِ شَبِيبٍ .
Hisham bin Urwah narrated from his father, from Aishah that she said:
"The people were such that a man would divorce his wife when he wanted to divorce her, and she remained his wife when he wanted to take her back while she was in her Iddah, and he could divorce a hundred times, or even more, such that a man could say to his wife: 'By Allah! I will neither divorce you irrevocably, nor give you residence ever!' She would say: 'And how is that?' He would say: 'I will divorce you, and whenever your Iddah is just about to end I will take you back. So a woman went to Aishah to inform her about that, and Aishah was silent until the Prophet came. So she told him and the Prophet was silent, until the Qur'an was revealed: Divorce is two times, after that, retain her on reasonable terms or release her with kindness.'" So Aishah said: "So the people could carry on with divorce in the future, (knowing) who was divorced, and who was not divorced."
পরিচ্ছেদঃ গর্ভবর্তী মহিলার স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান ভুমিষ্ট হলে।
১১৯৫. আহমাদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ...... আবূস সানাবিল ইবনু বা’কাক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, স্বামীর ওফাতের তেইশ দিন বা পঁচিশ দিন পর সুবাইআ সন্তান প্রসব করে। নিফাস থেকে পাক হওয়ার পর সে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু তার এই আগ্রহ কেউ কেউ না পছন্দ করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বিষয়টি উত্থাপন করা হলে তিনি বললেন, তার ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেছে। - ইবনু মাজাহ ২০২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আহমাদ ইবনু মানী’ (রহঃ) মানসূর (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এই বিষয়ে উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূস-সানাবিল রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীসটি এই সূত্রে মাশহুর। আবূস-সানাবিল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আসওয়াদ (রহঃ) কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মুহাম্মাদ (আল-বুখারী) (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী-এর ওয়াফাতের পরও আবূস-সানাবিল রাদিয়াল্লাহু আনহু যে জীবিত ছিলেন তা আমি জানি না। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে যে, গর্ভবর্তী মহিলার স্বামী মারা যাওয়ার পর যদি সে সন্তান প্রসব করে তবে তার জন্য বিবাহ করা হালাল। যদিও তার (চার মাসের) ইদ্দত পূর্ণ না হয়। এ হলো সুফইয়ান ছাওরী, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম বলেন, এই মহিলা শেষের মুদ্দত পালন করবে। প্রথমোক্ত অভিমতটই অধিকতর সাহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْحَامِلِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا تَضَعُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِي السَّنَابِلِ بْنِ بَعْكَكٍ، قَالَ وَضَعَتْ سُبَيْعَةُ بَعْدَ وَفَاةِ زَوْجِهَا بِثَلاَثَةٍ وَعِشْرِينَ أَوْ خَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ يَوْمًا فَلَمَّا تَعَلَّتْ تَشَوَّفَتْ لِلنِّكَاحِ فَأُنْكِرَ عَلَيْهَا ذَلِكَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنْ تَفْعَلْ فَقَدْ حَلَّ أَجَلُهَا " .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، نَحْوَهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي السَّنَابِلِ حَدِيثٌ مَشْهُورٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَلاَ نَعْرِفُ لِلأَسْوَدِ سَمَاعًا مِنْ أَبِي السَّنَابِلِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ لاَ أَعْرِفُ أَنَّ أَبَا السَّنَابِلِ عَاشَ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الْحَامِلَ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا إِذَا وَضَعَتْ فَقَدْ حَلَّ التَّزْوِيجُ لَهَا وَإِنْ لَمْ تَكُنِ انْقَضَتْ عِدَّتُهَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ تَعْتَدُّ آخِرَ الأَجَلَيْنِ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .
Al-Aswad narrated from Abu As-Sanabil bin Ba'kak who said:
"Subai'ah delivered twenty-three or twenty-five days after her husband had died. So when she was ready (finished post-natal bleeding) she adorned herself for marriage, but she was rebuked for doing that, so it was mentioned to the Prophet and he said: "If she has done that then her time has come.'"