পরিচ্ছেদঃ সালাতের ওয়াক্ত।
১৪৯. হান্নাদ ইবনুুস সারী (রহঃ) .... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন জিবরীল (আঃ) বায়তুল্লাহর কাছে দুইদিন আমার ইমামমত করেছেন। এর প্রথম দিন তিনি যুহরের সালাত আদায় করেছেন যখন একটি বস্তুর ছায়া জুতার ফিতার মত সামান্য লম্বা হয় আসরের সালাত আদায় করেছেন যখন একটি বস্তুর ছাড়া তাঁর সমান হয়; মাগরিবের সালাত আদায় করেছেন যখন সূর্য ডুবে যায় এবং রোযাদার ইফতাঁর করে ইশার সালাত আদায় করেছেন যখন শাফাক বা সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর শেষ লালিমার পরবর্তী শভ্রতা মিলিয়ে যায়। ফজরের সালাত আদায় করেছেন যখন উজ্জল হয়ে সুবহে সা’দিকের উন্মোষ ঘটে এবং রোযাদারদের জন্য খাদ্য গ্রহণ হারাম হয়ে যায়।
তিনি দ্বিতীয় দিন যুহর আদায় করেছেন যখন প্রতিটি বস্তুর ছায়া তাঁর সমান হয়; অর্থাৎ গতদিনের আসরের সালাত আদায় করার সময়ে; আসরের সালাত আদায় করেছেন যখন প্রতিটি বস্ত্তর ছায়া তাঁর দ্বিগুণ হয়; মাগরিবের সালাত আদায় করেছেন প্রথম দিনের সময়েই; ইশার সালাত আদায় করেছেন যখন রাত্রির তিন ভাগের এক ভাগ অতিক্রান্ত হল; এরপর ফজর আদায় করেছেন যখন ভালভবে পৃথিবী ফর্সা হযে গেল। তাঁরপর জিবরীল (আ ) আমার দিকে ফিরলেন বললেনঃ হে মুহাম্মাদ এ হল আপনার পূর্ববর্তী নবীগনের সালাতের ওয়াক্ত। এ দুয়ের মাঝের ওয়াক্তই হল সালাতের ওয়াক্ত। - মিশকাত ৫৮৩, ইরওয়া ২৪৯, সহিহ আবু দাউদ ৪১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, বুরায়দা, আবূ মূসা, আবূ মাসঊদ আল আনসারী, আবূ সাঈদ, জাবির, আমর ইবনু হাযম, বারা, ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ، وَهُوَ ابْنُ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَمَّنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ فَصَلَّى الظُّهْرَ فِي الأُولَى مِنْهُمَا حِينَ كَانَ الْفَىْءُ مِثْلَ الشِّرَاكِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِثْلَ ظِلِّهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ وَأَفْطَرَ الصَّائِمُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ حِينَ بَرَقَ الْفَجْرُ وَحَرُمَ الطَّعَامُ عَلَى الصَّائِمِ . وَصَلَّى الْمَرَّةَ الثَّانِيَةَ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ لِوَقْتِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ أَسْفَرَتِ الأَرْضُ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَذَا وَقْتُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِكَ . وَالْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي مُوسَى وَأَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَجَابِرٍ وَعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَالْبَرَاءِ وَأَنَسٍ .
Ibn Abbas narrated that :
the Prophet said: "Jibril (peace be upon him) led me (in Salat) twice at the House. So he prayed Zuhr the first time when the shadow was similar to (the length of) the strap a sandal. Then he prayed Asr when everything was similar (to the length of) its shadow. Then he prayed Maghrib when the sun had set and the fasting person breaks fast. Then he prayed Isha when the twilight had vanished. Then he prayed Fajr when Fajr (dawn) began, and when eating is prohibited for the fasting person. The second time he prayed Zuhr when the shadow of everything was similar to (the length of) it, at the time of Asr the day before. Then he prayed Asr when the shadow of everything was about twice as long as it. Then he prayed Maghrib at the same time as he did the first time. Then he prayed Isha, the later one, when a third of the night had gone. Then he prayed Subh when the land glowed. Then Jibril turned towards me and said: "O Muhammad! These are the times of the Prophets before you, and the (best) time is what is between these two times."
পরিচ্ছেদঃ সালাতের ওয়াক্ত।
১৫০. আহমদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু মূসা (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন জিবরীল (আঃ) আমার ইমামত করেছেন বাকি হাদিসটি ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ রিওয়াত করেছেন। তবে এই রিওয়ায়াতে لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالْأَمْسِ এই বাক্যটির উল্লেখ নেই। - ইরওয়া ২৫০, সহিহ আবু দাউদ ৪১৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই হাদিসটি হাসান, সহীহ ও গরীব। আর ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। মুহাম্মাদ আল বুখারী (রহঃ) বলেন সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কিত হাদিসসমূহের মধ্যে জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হল সর্বাপেক্ষা সহীহ। সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিসটি ওয়াহাব ইবনু কায়সান জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রের মত আতা ইবন আবী রাবাহ আমর ইবনু দ্বীনার এবং আবূয যুবায়র (রহঃ)ও জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَخْبَرَنِي وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَمَّنِي جِبْرِيلُ " . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِمَعْنَاهُ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ " لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي الْمَوَاقِيتِ حَدِيثُ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَحَدِيثُ جَابِرٍ فِي الْمَوَاقِيتِ قَدْ رَوَاهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَأَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Jabir bin Abdullah narrated that :
Allah's Messenger said: "Jibril led me (in Salat)". He mentioned something similar to the Hadith of Ibn Abbas (no. 149) in meaning, but he did not mention: "At the time of Asr the day before."
পরিচ্ছেদঃ এই বিষয়ে আরো একটি অনুচ্ছেদ।
১৫১. হান্নাদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নণা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সালাতের জন্য রয়েছে শুরু এবং শেষ। সূর্য হেলে পড়ার সাথে শুরু হয় যুহরের ওয়াক্তের আর এর শেষ হয় আসরের ওয়াক্ত যখন আসে। আসরের ওয়াক্ত আসার সাথে শুরু হয আসরের ওয়াক্তের আর তাঁর শেষ হয় সূর্য কিরণ হলদে হয়ে গেলে। সূর্য ডোবরা সাথে শুরু হয় মাগরিবের ওয়াক্তের আর শেষ হয় দিগন্তের আলোর রেশ যখন মিলিয়ে যায়। দিগন্তের আলোর রেশ মিলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় ইশার ওয়াক্তের আর এর শেষ হয় রজনীর অর্ধযামে। সুবহে সাদিকের উন্মেষের সাথে শুরু হয় ফজরের ওয়াক্তের আর এর শেষ হয় সূর্য উঠার সাথে। - সহিহাহ ১৬৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন মুহাম্মদ আল বুখারী (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে মুজাহিদ থেকে বর্ণিত আ’মাশের রিওয়ায়াতটি মুহাম্মাদ ইবনু ফুযায়লের এই রিওয়ায়াতটি থেকে অধিকতর সহীহ। মুহাম্মদ ইবনু ফুযায়ালের রিওয়ায়াতটি ভুল। মুহাম্মদ ইবনু ফুযায়লই এতে ভুল করেছেন। হান্নাদ ... আমাশ মুজাদিহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, বলা হয় সালাতের জন্য রয়েছে শুরু এবং শেষ। বাকি হাদিসটি মুহাম্মাদ ইবনু ফুযায়ল বর্ণিত (১৫১ নং) হাদীছের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الظُّهْرِ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَآخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُ الْعَصْرِ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الْعَصْرِ حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُهَا وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَصْفَرُّ الشَّمْسُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْمَغْرِبِ حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْفَجْرِ حِينَ يَطْلُعُ الْفَجْرُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ حَدِيثُ الأَعْمَشِ عَنْ مُجَاهِدٍ فِي الْمَوَاقِيتِ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنِ الأَعْمَشِ وَحَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ . حَدَّثَنَا هَنَّادٌ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "Indeed for (the time of) Salat (there is a) beginning and an end. The beginning of the time for the Zuhr prayer is when the sun passes the zenith, and the end of its time is when the time for Asr enters. The beginning of the time for the Asr [prayer] is when its time enters, and the end of its time is when the sun yellows (turns pale). The beginning of the time of Maghrib is when the sun as set, and the end of its time is when the twilight has vanished (i.e., the horizon is invisible because of darkness). The beginning of the time for Isha, the later one, is when the horizon has vanished, and the end of its time is when the night is at its half. The beginning of the time for Fajr is when Fajr begins, and its end is when the sun rises."
পরিচ্ছেদঃ এই বিষয়ে আরো একটি অনুচ্ছেদ।
১৫২. আহমদ ইবনু মানী, হাসান সাববাহ আল বাযযার এবং আহমদ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু মূসা (রহঃ) ..... বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন একবার জনৈক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জানতে চাইল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন ইনশাআল্লাহ তুমি আমাদের সাথে সালাতে দাঁড়াও। পরে তিনি বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং সুবাহে সা’দিকের উন্মেষের সাথে সাথে ফজরের সালাত আদায় করলেন। সূর্য হেলে পড়ার সাথে সাথে বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং যুহরের সালাত আদায় করলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং আসরের সালাত আদায় করলেন আর সূর্য তখনও ছিল উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল; পরে মাগরিবের নির্দেশ দিলেন। যখন সূর্য অস্তমিত হল; ইশার নির্দেশ দিলেন যখন শাফাক অর্থাৎ দিগন্তের লালিমার পরবর্তী সাদা রেশও মিলিয়ে গেল।
পরবর্তী দিন তিনি বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং খুব ফর্সা হলে পর ফজরের সালাত আদায় করলেন; সূর্যের প্রখর তেজ প্রশমিত ও খুবই শীতল হলে যুহরের নির্দেশ দিলেন; আসরের ইকামতের নির্দেশ দিলেন তখন, যখন পূর্বদিনের তুলনায় সূর্য আরও বেশি নেমে গেল; পরে মাগরিবের নির্দেশ দিলেন এবং শাফাক দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়ার পূর্বে তা আদায় করলেন; ইশার ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং রাত্রির এক তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হওয়ার পর তা আদায় করলেন। তাঁরপর বললেন সালাতের ওয়াক্তের সম্পর্কে যে ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল সে কোথায়? ঐ ব্যক্তি বলল, এই যে আমি। তিনি বললেন এই দুই ওয়াক্তের মধ্যবর্তী সময়ই হল সালাতের ওয়াক্ত। - ইবনু মাজাহ ৬৬৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই হাদিসটি হাসান, গরীব সহীহ। আলকামা ইবনু মারছাদের সূত্রে শুবাও রিয়ায়াত করেছেন।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ " أَقِمْ مَعَنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ " . فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ مِنَ الْغَدِ فَنَوَّرَ بِالْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ وَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ فَأَقَامَ وَالشَّمْسُ آخِرَ وَقْتِهَا فَوْقَ مَا كَانَتْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ إِلَى قُبَيْلِ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا . فَقَالَ " مَوَاقِيتُ الصَّلاَةِ كَمَا بَيْنَ هَذَيْنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ أَيْضًا .
Sulaiman bin Buraidah narrated that his father said:
"A man came to the Prophet to ask him about the times for Salat. So he said: 'Stay with us, In sha Allah.' So he ordered Bilal to call the Iqamah when Fajr began, then he ordered him to call the Iqamah when the Sun passed the zenith, then he prayed Zuhr. Then he ordered him to call the Iqamah to pray Asr while the sun was elevated and white. Then he ordered him (to call the Iqamah for) Maghrib when the (top) edge of the sun had set. Then he ordered him to call the Iqamah for Isha when the horizon (twilight) had vanished. Then he ordered him in the morning (to give the call for Fajr prayer), when the light of Fajr glowed. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Zuhr, so he waited well until it had cooled. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Asr, so he calIed the Iqamah while the sun was later in its position than what it was (the day before). Then he ordered him to delay Maghrib until right before the twilight had disappeared. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Isha, so he called the Iqamah when a third of the night had passed. Then he said: 'Where is the one who asked about he times for the Salat?' So the man said, 'It is I.' So he said: 'The times [or the Salat are what are between these two.'"
পরিচ্ছেদঃ গালাস বা আঁধারের রেশ থাকতেই ফজর আদায় করা।
১৫৩. কুতায়বা ও আল আনসারী (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্নণা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করতেন, পরে মহিলারা চাঁদর লেপটে ঘরে ফিরে যেত কিন্তু আঁধারের কারণে তাদের চেনা যেত না। কুতায়বা তাঁর রিওয়ায়াতে مُتَلَفِّفَاتٍ এর স্থলে مُتَلَفعاتِّ উল্লেখ করেছেন। - ইবনু মাজাহ ৬৬৯, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু উমর, আনাস, কায়লা বিনত মাখরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত এই হাদিসটি হাসন ও সহীহ। যুহরী ও উরওয়া (রহঃ) আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ বকর, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহা এর মত একধিক ফকীহ সাহাবী ও পরবর্তী যুগের তাবিঈগণ এই হাদিসটির মর্মনুসারে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাকও (রহঃ) এই অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। গালাস বা আঁধারের রেশ থাকতেই ফজরের সালাত আদায় করা মুস্তাহাব বলে তাঁরা মত পোষণ করেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّغْلِيسِ بِالْفَجْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ قَالَ الأَنْصَارِيُّ فَيَمُرُّ النِّسَاءُ مُتَلَفِّفَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنَ الْغَلَسِ . وَقَالَ قُتَيْبَةُ مُتَلَفِّعَاتٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَقَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ . وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَسْتَحِبُّونَ التَّغْلِيسَ بِصَلاَةِ الْفَجْرِ .
Aishah narrated:
"Allah's Messenger would pray Subh (at such time that) the women would leave (after the prayer)" - AI-AnsarI (one of the narrators) said - the women would pass by wrapped in their Mirts and they would not be recognizable due to the darkness." And Qutaibah said: "covered." (instead of "wrapped.")
পরিচ্ছেদঃ ইসফার বা চতুর্দিকে ফর্সা হয়ে এলে ফজর আদায় করা।
১৫৪. হান্নাদ (রহঃ) ..... রাফি ইবনু খাদীজ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি তোমরা ইসফার অর্থাৎ চতুর্দিক ফর্সা হয়ে এলে ফজর আদায় করবে। কেননা এতে রয়েছে বিরাট ছওয়াব। - ইবনু মাজাহ ৬৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) এর সূত্রে শুবা এবং ছাওরী (রহঃ) ও এই হাদিসটি রিওয়ায়াত করেছেন। আসিম ইবনু উমর ইবনু কাতাদা থেকে মুহাম্মাদ ইবনু আজালানও এটির রিওয়ায়াত করেছেন। এই বিষয়ে আবূ বারযা আসলামী, জাবির ও বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ রাফি ইবনু খাদীজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। সাহাবী ও তাবিঈগণের অনেকেই চতুর্দিক ফর্সা হয়ে এলে ফজরের সালাত আদায় করার মত গ্রহণ করেছেন। সুফইয়ান ছাওরীর অভিমত এ-ই। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেন ইসফার অর্থ হল সন্দেহাতীতভাবে ফজরের উন্মেষ ঘটা। সালাত বিলম্বে আদায় করা এর মর্ম নয়।
باب مَا جَاءَ فِي الإِسْفَارِ بِالْفَجْرِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، - هُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَسْفِرُوا بِالْفَجْرِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلأَجْرِ " . قَالَ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ . قَالَ وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ أَيْضًا عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ وَجَابِرٍ وَبِلاَلٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَأَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ الإِسْفَارَ بِصَلاَةِ الْفَجْرِ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ مَعْنَى الإِسْفَارِ أَنْ يَضِحَ الْفَجْرُ فَلاَ يُشَكَّ فِيهِ وَلَمْ يَرَوْا أَنَّ مَعْنَى الإِسْفَارِ تَأْخِيرُ الصَّلاَةِ .
Rafi bin Khadlj said:
"I heard Allah's Messenger saying: 'Perform Fajr at AI-Isfar, for indeed its reward is greater.'"
পরিচ্ছেদঃ শীঘ্র যুহরের সালাত আদায় করা।
১৫৫. হান্নাদ ইবনুুস সারী (রহঃ) .... আয়িশা, রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু অপেক্ষা শীঘ্র যুহরের সালাত আদায় করতে আর কাউকে আমি দেখিনি। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির ইবনু আবদিল্লাহ, খাব্বাব, আবূ বারযা, ইবনু মাসউদ, যায়দ ইবনু ছাবিত ও জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান। সাহাবী ও পরবর্তীযুগের আলিমগণ এই হাদীছের মর্মানুসারে মত গ্রনণ করেছে। আলী ইবনু মাদিনী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন ’প্রয়োজনীয় জিনিস থাকা সত্ত্বেও যে ভিক্ষা করে’ .... সম্পর্কিত ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদিসটির প্রেক্ষেিতে হাকীম ইবনু জুবায়র সম্পর্কে শু’বা সমালোচনা করেছেন। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন সুফইয়ান ও যায়দাও হাকীম ইবনু জুবায়র থেকে হাদিস বর্ণনানা করেছেন। ইয়াহইয়া তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করায় কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। মুহাম্মদ আল বুখারী (রহঃ) বলেন হাকীম ইবনু জুবায়র সাঈদ ইবনু জুবায়র আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে যুহরের সালাত শীঘ্র আদায় করা সম্পর্কে হাদিস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعْجِيلِ بِالظُّهْرِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشَدَّ تَعْجِيلاً لِلظُّهْرِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ وَلاَ مِنْ عُمَرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَخَبَّابٍ وَأَبِي بَرْزَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ مِنْ أَجْلِ حَدِيثِهِ الَّذِي رَوَى عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ النَّاسَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ " . قَالَ يَحْيَى وَرَوَى لَهُ سُفْيَانُ وَزَائِدَةُ وَلَمْ يَرَ يَحْيَى بِحَدِيثِهِ بَأْسًا . قَالَ مُحَمَّدٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي تَعْجِيلِ الظُّهْرِ .
Aishah narrated:
"I have not seen anyone who hastened Zuhr more than Allah's Messenger nor Abu Bakr, nor Umar."
পরিচ্ছেদঃ শীঘ্র যুহরের সালাত আদায় করা।
১৫৬. হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, সূর্য হেলে পড়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায় করেছেন। - বুখারি, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই হাদিসটি সহীহ। এই বিষয়ে এই হাদিসটই সর্বাধিক উত্তম। এই বিষয়ে জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعْجِيلِ بِالظُّهْرِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ أَحْسَنُ حَدِيثٍ فِي هَذَا الْبَابِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ .
Anas bin Malik narrated:
"Allah's Messenger prayed Zuhr when the sun had passed the zenith."
পরিচ্ছেদঃ গরমের দিনে বিলম্ব করে যুহর আদায় করা।
১৫৭. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন প্রচন্ড গরম পড়লে (কিছুটা) শীতল সময়ে সালাত আদায় করবে। কারণ, জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে হয় গরমের তীব্রতা। - ইবনু মাজাহ ৬৭৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ সাঈদ, আবূ যার, ইবনু মুগীরা, কাসিম ইবনু সাফওয়ান তাঁর পিতাঁর বরাতে, আবূ মূসা, ইবনু আব্বাস এবং আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত রয়েছে। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্রেও এই বিষয়ে একটি হাদিস বর্ণিত রয়েছে কিন্তু সেটি সহীহ নয়। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান সহীহ। আলিমদের একদল তীব্র গরমের সময় যুহরের সালাত বিলম্ব করে পড়ার বিধান গ্রহণ করেছেন।
ইবন মুবারক, আহমদ এবং ইসহাকও এই অভিমত পোষণ করেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, দূর থেকে মুসল্লীদের আসতে হলে যুহরের সালাত বিলম্ব করে ঠান্ডা সময়ে পড়া যায়। মুসুল্লি যদি একা সালাত আদায় করে বা স্বীয় মহল্লার মসজিদে সালাত আদায় করে ততে তীব্র গরমের সময়ও সালাত আদায়ে বিলম্ব না করা আমার মতে পছন্দনীয়। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন তীব্র গরমের সময় যুহরের সালাত বিলম্ব করে আদায় করার অভিমতটি অধিকতর উত্তম ও অনুসরণগোয্য। যার কষ্ট হয় এবং যাকে মসজিদে দূর থেকে আসতে হয় শুধু তাঁর জন্যই বিলম্ব করার অনুমতি আছে বলে ইমাম শাফিঈ যে মত ব্যক্ত করেছেন তা আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীছের বিপরীত। আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমরা এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। বিলাল যুহরের আযান দিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে বিলাল! ঠাণ্ডা কর, আরো ঠাণ্ডা কর। ইমাম শাফিঈ যে মত ব্যক্ত করেছেন, ব্যাপার যদি আসলে তা-ই হত তবে এই ক্ষেত্রে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ঠান্ডা কর বলার কোন অর্থ থাকতনা। কেননা, সফরে তাঁরা সকলেই একত্রে ছিলেন, দূর থেকে আসার কোন প্রয়োজন ছিল না।
باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَالْمُغِيرَةِ وَالْقَاسِمِ بْنِ صَفْوَانَ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا وَلاَ يَصِحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ تَأْخِيرَ صَلاَةِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . قَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا الإِبْرَادُ بِصَلاَةِ الظُّهْرِ إِذَا كَانَ مَسْجِدًا يَنْتَابُ أَهْلُهُ مِنَ الْبُعْدِ فَأَمَّا الْمُصَلِّي وَحْدَهُ وَالَّذِي يُصَلِّي فِي مَسْجِدِ قَوْمِهِ فَالَّذِي أُحِبُّ لَهُ أَنْ لاَ يُؤَخِّرَ الصَّلاَةَ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَمَعْنَى مَنْ ذَهَبَ إِلَى تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ هُوَ أَوْلَى وَأَشْبَهُ بِالاِتِّبَاعِ وَأَمَّا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الشَّافِعِيُّ أَنَّ الرُّخْصَةَ لِمَنْ يَنْتَابُ مِنَ الْبُعْدِ وَالْمَشَقَّةِ عَلَى النَّاسِ فَإِنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلاَفِ مَا قَالَ الشَّافِعِيُّ . قَالَ أَبُو ذَرٍّ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَذَّنَ بِلاَلٌ بِصَلاَةِ الظُّهْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا بِلاَلُ أَبْرِدْ ثُمَّ أَبْرِدْ " . فَلَوْ كَانَ الأَمْرُ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الشَّافِعِيُّ لَمْ يَكُنْ لِلإِبْرَادِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ مَعْنًى لاِجْتِمَاعِهِمْ فِي السَّفَرِ وَكَانُوا لاَ يَحْتَاجُونَ أَنْ يَنْتَابُوا مِنَ الْبُعْدِ .
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "In very hot weather, delay the (Zuhr) prayer until it becomes (a bit) cooler, because the severity of heat is from the raging of the Hell."
পরিচ্ছেদঃ গরমের দিনে বিলম্ব করে যুহর আদায় করা।
১৫৮. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। যুহরের ওয়াক্তে বিলাল ইকামত দিতে চাইলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন ঠান্ডা করে পড়। পরে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু আবার ইকামত দিতে চাইলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যুহরের সালাতের বেলায় আরো ঠান্ডা করে পড়। আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন এত বিলম্ব করা হল যে, এমন কি আমরা মাটিতে নেতিয়ে থাকা বালির টিলাগুলোর ছায়া পড়তে দেখতে পেলাম। এরপর ইকামত দেয়া হল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করলেন। পরে তিনি বললেন গরমের তীব্রতা হল জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। সুতরাং তোমরা সালাত ঠান্ডা সময়ে আদায় কর। - সহিহ আবু দাউদ ৪২৯, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেন এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُهَاجِرٍ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَرَادَ بِلاَلٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ " أَبْرِدْ " . ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبْرِدْ فِي الظُّهْرِ " . قَالَ حَتَّى رَأَيْنَا فَىْءَ التُّلُولِ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abu Dharr narrated:
"Allah's Messenger was on a journey and Bilal was with him. So he wanted to call for the prayer, but he (the Prophet) said: 'Let it get cooler.' Then he wanted to call for the prayer, so Allah's Messenger said: 'Let it get to the cooler time of Zuhr.'" He (i.e., Abu Dharr) said: "Until we saw the shadows of the hillocks, then he commanded that the Iqamah be called and then led the people in prayer. Allah's Messenger said: 'The severity of heat is from the raging of Hell, so wait until it becomes cooler for the (Zuhr) prayer.'"
পরিচ্ছেদঃ আসরের সালাত জলদী আদায় করা।
১৫৯. কুতায়বা (রহঃ) ...... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত আদায় করেছেন আর তখনও সূর্যের আলো আমার কক্ষের মাঝে ছিল, আলোর ছায়া কক্ষ থেকে উঠে যায়নি। - ইবনু মাজাহ ৬৮৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আনাস, আবূ আরওয়া, জাবির, রাফি ইবনু খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। আসরের সালাত পিছিয়ে পড়া সম্পর্কে একটি হাদিস রাফি’ (রাঃ) এর বরাতেও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে, কিন্তু এটি সহিহ নয়। উমর, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ, আয়িশা, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর মত ফকীহ সাহাবীগণ এবং একাধিক তাবিঈও আসরের সালাত জলদী আদায় করার মত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা আসরের সালাত পিছিয়ে আদায় করা মাকরুহ বলে অভিমত দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক, শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত এ-ই।
باب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْعَصْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ مِنْ حُجْرَتِهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي أَرْوَى وَجَابِرٍ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ . قَالَ وَيُرْوَى عَنْ رَافِعٍ أَيْضًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي تَأْخِيرِ الْعَصْرِ وَلاَ يَصِحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةُ وَأَنَسٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ تَعْجِيلُ صَلاَةِ الْعَصْرِ وَكَرِهُوا تَأْخِيرَهَا . وَبِهِ يَقُولُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Urwah narrated from Aishah:
"Allah's Messenger prayed Asr while the sun was (shining) in her chamber, (and) no shadow appeared in her chamber."
পরিচ্ছেদঃ আসরের সালাত জলদী আদায় করা।
১৬০. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ....... আলা ইবনু আবদির রাহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একদিন যুহরের সালাত আদায় করার পর আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বসরাস্ত বাড়িতে গেলেন। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বাড়ি ছিল মসজিদের পাশেই। তিনি আমদের বললেন উঠ, আসরের সালাত আদায় করে নাও। আলা ইবনু আবদির রাহমান বলেন, আমরা উঠে সালাত আদায় করে নিলাম। সালাত শেষে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, এতো মুনাফিকের নামায , যে সূর্যের প্রতীক্ষায় বসে থাকে; শেষে শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝে যখন তা পৌছে যায় আর আস্তগমনের নিকটবর্তী হয়ে যায় তখন সে উঠে দাঁড়ায় আর চারটি ঠোকর দিয়ে দেয়। এতে সে আল্লাহর স্মরণ খুব কমই করে থাকে। - সহিহ আবু দাউদ ৪২০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْعَصْرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِي دَارِهِ بِالْبَصْرَةِ حِينَ انْصَرَفَ مِنَ الظُّهْرِ وَدَارُهُ بِجَنْبِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ قُومُوا فَصَلُّوا الْعَصْرَ . قَالَ فَقُمْنَا فَصَلَّيْنَا فَلَمَّا انْصَرَفْنَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " تِلْكَ صَلاَةُ الْمُنَافِقِ يَجْلِسُ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ قَامَ فَنَقَرَ أَرْبَعًا لاَ يَذْكُرُ اللَّهَ فِيهَا إِلاَّ قَلِيلاً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Al-Ala bin Abdur-Raman narrated that :
he visited Anas bin Malik in his home in Al Basrah after finishing Zuhr, and his home was next to the Masjid. So he said: 'Stand to pray Asr." He (Al-Ala) said: "So we stood to pray. When we were finished he (Anas) said: 'I heard Allah's Messenger saying: "That is the prayer of the hypocrite. He sits watching the sun, until when it is between the horns of the Shaitan he stands and pecks out four (units of prayer), not remembering Allah in them but a little."
পরিচ্ছেদঃ আসরের সালাত পিছেয়ে আদায় করা।
১৬১. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ...... উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের ক্ষেত্রে তোমাদের তুলনায় বেশি জলদী করতেন আর তোমরা আসরের ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে বেশি জলদী করছ। - মিশকাত ৬১৯৫ - দ্বিতীয় তাহকিক, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন ইসমাঈল ইবনু উলায়্যা ইবন জুরায়জ ইবনু আবী মুলায়কা উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা সনদেও হাদিসটি অনুরুপভাবে বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعَصْرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَشَدَّ تَعْجِيلاً لِلظُّهْرِ مِنْكُمْ وَأَنْتُمْ أَشَدُّ تَعْجِيلاً لِلْعَصْرِ مِنْهُ .
Umm Salamah narrated:
"Allah's Messenger would hasten Zuhr more than you (people), while you (people) hasten Asr more than him."
পরিচ্ছেদঃ আসরের সালাত পিছেয়ে আদায় করা।
১৬২. আমার পান্ডুলিপিতে সনদটি আলী ইবনু হুজর ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম ইবনু জুরায়জ রুপে লেখা আছে। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعَصْرِ
وَوَجَدْتُ فِي كِتَابِي أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، .
Narrator not mentioned:
[And I have in my book: "Ali bin Hujr informed me from lsma'il bin Ibrahim, from Ibn Juraij."]
পরিচ্ছেদঃ আসরের সালাত পিছেয়ে আদায় করা।
১৬৩. বিশর ইবনু মু’আয আল বাসরী (রহঃ) ...... ইসামাইল ইবনু উলায়্যা ইবনু জুরায়জ (রহঃ) এর বরাতেও উক্ত হাদিসটি বর্ণিত আছে। আর তা অধিক সহীহ। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعَصْرِ
وَحَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْبَصْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . وَهَذَا أَصَحُّ .
Similar narration is reported by Bishr ibn Mu'adh Al-Bari who said that :
Isma'il ibn Ulayyah narrated to him from Ibn Juraij. This latter chain is more correct.
পরিচ্ছেদঃ মাগরিবের ওয়াক্ত।
১৬৪. কুতায়বা (রহঃ) ..... সালামা ইবনুল আকওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা যে, সূর্য যখন ডুবে যেত এবং তা আধারের পর্দায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ত তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। - ইবনু মাজাহ ৬৮৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির, সুনাবিহী, যায়দ ইবনু খালিদ, আনাস, রাফি ইবনু খাদীজ, আবূ আয়্যূব, উম্মু হাবীবা, আব্বাস ইবনু আবূদল মুত্তালিব, ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিসটি মওকূফ রুপেও বর্ণিত আছে। আর তা-ই অধিক সহীহ। সুনাবিহী হলেন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর শাগরিদ। তিনি রাসূল (রহঃ) থেকে কোন কিছু শোনেন নি। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন সালমা ইবনুুূল আকওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। সাহাবী এবং তৎপরবর্তী তাবিঈ আলিম ও ফকীহগণের অধিকাংশের মত এ-ই। তাঁরা মাগরিবের সালাত জলদী আদায় করার মত গ্রহণ করেছেন এবং তা পিছিয়ে পড়া মাকরুহ বলে অভিমত দিয়েছেন। এমনকি কোন কোন আলিম বলেছেন মাগরিবের ওয়াক্ত হল কেবল একটই। তাঁরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে জিবরীল (আ) এর সালাত সম্পর্কিত হাদিস (১৪৯ নং হাদিস দ্রষ্টব্য) অনুসারে মত পোষন করেন। ইমাম শাফিঈ, ইবন মুবারাকের অভিমত এ-ই।
باب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ الْمَغْرِبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَتَوَارَتْ بِالْحِجَابِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَالصُّنَابِحِيِّ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَأَنَسٍ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأُمِّ حَبِيبَةَ وَعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَحَدِيثُ الْعَبَّاسِ قَدْ رُوِيَ مَوْقُوفًا عَنْهُ وَهُوَ أَصَحُّ . وَالصُّنَابِحِيُّ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَاحِبُ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ اخْتَارُوا تَعْجِيلَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ وَكَرِهُوا تَأْخِيرَهَا حَتَّى قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ لِصَلاَةِ الْمَغْرِبِ إِلاَّ وَقْتٌ وَاحِدٌ وَذَهَبُوا إِلَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ صَلَّى بِهِ جِبْرِيلُ . وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ .
Salmah bin AI-Akwa narrated:
"Allah's Messenger prayed Maghrib when the sun had set and it (the sun) had hidden in the veil (of darkness)."
পরিচ্ছেদঃ 'ইশার ওয়াক্ত।
১৬৫. মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল মালিক ইবনু আবীশ শাওয়ারিব (রহঃ) ...... নুমান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন আমি এই সালাত (ইশা) এর ওয়াক্ত সম্পর্কে বেশি জানি। চন্দ্র মাসের তৃতীয় চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ওয়াক্তের সালাত আদায় করতেন। - মিশকাত ৬১৩, সহিহ আবু দাউদ ৪৪৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ، بِوَقْتِ هَذِهِ الصَّلاَةِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ " .
An-Nu'man bin Bashir said:
"I am the most knowledgeable among the people about the prescribed time of this prayer: Allah's Messenger would pray it when the moon set on the third (of the month)."
পরিচ্ছেদঃ 'ইশার ওয়াক্ত।
১৬৬. আবূ বকর মুহাম্মাদ ইবনু আবান ..... আবূ আওয়ানা থেকে উক্ত সনদে হাদিসটি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আবূ বিশরের সনদে হুশায়মও এই হাদিসটি রিওয়ায়াত করেছেন, তবে তিনি সনদে আবূ বিশরের পর বশীর ইবনু ছাবিতের কথা উল্লেখ করেননি, যেমন আবূ আওয়ানা তাঁর সনদে করেছেন। আবূ আওয়ানার সনদই আমাদেরে নিকট অধিকতর সহীহ। কেননা ইয়াযীদ ইবনু হুরনও শুবা আবূ বিশর সনদে আবূ আওয়ানার রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ، هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ هُشَيْمٌ عَنْ بَشِيرِ بْنِ ثَابِتٍ، . وَحَدِيثُ أَبِي عَوَانَةَ أَصَحُّ عِنْدَنَا لأَنَّ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ رَوَى عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، نَحْوَ رِوَايَةِ أَبِي عَوَانَةَ .
An-Nu'man bin Bashir said:
A similar narration (from another chain linking to) this chain is also reported.
পরিচ্ছেদঃ 'ইশার সালাত বিলম্বে আদায় করা।
১৬৭. হান্নাদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্টকর না হত তবে আমি রাত্রির তৃতীয়াংশ বা মধ্যরাত্রিতে ইশার সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৯১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির ইবনু সামুরা, জাবির ইবন আবদিল্লাহ, আবূ বারযা, ইবনু আব্বাস, আবূ সাঈদ আল খুদরী, যায়দ ইবনু খালিদ, ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। সাহাবী ও তাবিঈগণের অধিকাংশ আলিম ও ফকীহ এই মতটি গ্রহণ করেছেন। ইশার সালাত বিলম্বে আদায় করা জায়েয বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইমাম আহমদ ও ইসহাকের অভিমতও এ-ই।
باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي بَرْزَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ رَأَوْا تَأْخِيرَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "If it were not that it would be a hardship on my Ummah, then I would have ordered you to delay Isha until the third of the night, or its half."
পরিচ্ছেদঃ ইশার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং ইশার পর গল্প-সল্প করা মাকরূহ।
১৬৮. আহমদ ইবনু মানী (রহঃ) ..... আবূ বারযা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং এর পরে কথা বলা অপছন্দ করতেন। - ইবনু মাজাহ ৭০১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আয়িশা, আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ এবং আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আবূ বরাযা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। আলিমদের কেউ কেউ ইশার পূর্বে ঘামানো এবং ইশার পর কথা বলা মাকরুহ বলে অভিমত দিয়েছেন; আর কেউ কেউ এই বিষয়ে অনুমতি আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু মুাবরাক বলেন অধিকাংশ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, এই কাজ মাকরূহ। আলিমদরে অনেকেই রমযান মাসে ইশার পূর্বে শয়নের অনুমতি আছে বলে মত দিয়েছেন। রাবী সায়্যার ইবনু সালমা হলেন আবূল মিনহাল রিয়াহী।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّوْمِ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالسَّمَرِ بَعْدَهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَوْفٌ، قَالَ أَحْمَدُ وَحَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، هُوَ الْمُهَلَّبِيُّ وَإِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ جَمِيعًا عَنْ عَوْفٍ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، هُوَ أَبُو الْمِنْهَالِ الرِّيَاحِيُّ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي بَرْزَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَرِهَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ النَّوْمَ قَبْلَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ بَعْضُهُمْ . وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ أَكْثَرُ الأَحَادِيثِ عَلَى الْكَرَاهِيَةِ . وَرَخَّصَ بَعْضُهُمْ فِي النَّوْمِ قَبْلَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ فِي رَمَضَانَ . وَسَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ هُوَ أَبُو الْمِنْهَالِ الرِّيَاحِيُّ .
Abu Barzah narrated:
"The Prophet would dislike to sleep before Isha and to talk after it."