পরিচ্ছেদঃ ৯৭। পবিত্রতা ছাড়া সালাত কবুল হয় না
পরিচ্ছেদ ৯৬. উযুর বর্ণনা
আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ (হে মুমিনগণ!) তোমরা যখন সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধুবে ও তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গিরা পর্যন্ত ধুয়ে নিবে। (৫ঃ ৬)।
আবূ ’আবদুল্লাহ্ বুখারী (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উযূর ফরয হ’ল এক-একবার ধোয়া। তিনি দু’-দু’বার করে এবং তিন-তিনবার করেও উযূ করেছেন, কিন্তু তিনবারের অধিক ধৌত করেন নি। পানির অপচয় করা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ’আমলের সীমা অতিক্রম করাকে ’উলামায়ে কিরাম মাকরূহ বলেছেন।
১৩৭। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল-হানযালী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তির হাদস হয় তাঁর সালাত (নামায/নামাজ) কবুল হবে না, যতক্ষন না সে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে। হাযরা-মাওতের এক ব্যাক্তি বলেন, হে আবূ হুরায়রা! হাদস কী? তিনি বলেন, নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া।
باب لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ ". قَالَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ مَا الْحَدَثُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ فُسَاءٌ أَوْ ضُرَاطٌ.
Chapter. No Salat (prayer) Is Accepted Without Ablution (i.e, To Remove, The Small Hadath By Ablution Or The Big Hadath By Taking A Bath)
Narrated Abu Huraira: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "The prayer of a person who does Hadath (passes urine, stool or wind) is not accepted till he performs the ablution." A person from Hadaramout asked Abu Huraira, "What is 'Hadath'?" Abu Huraira replied, " 'Hadath' means the passing of wind."
পরিচ্ছেদঃ ৯৮। উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযুর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে
১৩৮। ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) .... নু’আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেনঃ ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল থাকবে উজ্জ্বল। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ، وَالْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَقِيتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ، فَتَوَضَّأَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ ".
The Superiority Of Ablution. And Al-ghurr-ul-muhajjalun (the Parts Of The Body Of The Muslims Washed In Ablution Will Shine On The Day Of Ressurrection And The Angels Will Call Them By That Name) From The Traces Of Ablution
Narrated Nu`am Al-Mujmir: Once I went up the roof of the mosque, along with Abu Huraira. He perform ablution and said, "I heard the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) saying, "On the Day of Resurrection, my followers will be called "Al-Ghurr-ul- Muhajjalun" from the trace of ablution and whoever can increase the area of his radiance should do so (i.e. by performing ablution regularly).' "
পরিচ্ছেদঃ ৯৯। সন্দেহের কারনে উযূ করতে হয় না যতক্ষণ না (উযূ ভঙ্গের) নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মে
১৩৯। ’আলী (রহঃ) .... ’আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা গন্ধ পায়।
باب لاَ يَتَوَضَّأُ مِنَ الشَّكِّ حَتَّى يَسْتَيْقِنَ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّجُلُ الَّذِي يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلاَةِ. فَقَالَ " لاَ يَنْفَتِلْ ـ أَوْ لاَ يَنْصَرِفْ ـ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا ".
One should not repeat ablution if in doubt unless and until he is convinced (that he has lost his ablution by having Hadath)
Narrated `Abbas bin Tamim: My uncle asked Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) about a person who imagined to have passed wind during the prayer. Allah' Apostle replied: "He should not leave his prayers unless he hears sound or smells something."
পরিচ্ছেদঃ ১০০। হালকাভাবে উযূ করা
১৪০। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সুফিয়ান (রহঃ) আবার কখনো বলেছেন, তিনি শুয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন।
অন্য সূত্রে সুফিয়ান (রহঃ) ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমি এক রাতে আমার খালা মায়মূনা (রাঃ) এর কাছে রাত কাটালাম। রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে উঠলেন এবং রাতের কিছু অংশ চলে যাবার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ঝুলন্ত মশক থেকে হাল্কা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। রাবী ’আমর (রহঃ) বলেন, তখন তিনি যেভাবে উযূ করেছেন আমিও সেভাবে উযূ করলাম এবং এসে তাঁর বাঁয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। সুফিয়ান (রহঃ) কখনো يسار (বাম) শব্দের স্থলে شمال বলতেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ঘুরিয়ে তাঁর ডান দিকে দাঁড় করালেন। এরপর আল্লাহর যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এরপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকতে থাকল।
এরপর মুয়াযযিন এসে তাঁকে সালাতের কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে সালাত এর জন্য রওয়ানা হলেন এবং সালাত আদায় করলেন, কিন্তু উযূ করলেন না। আমরা ’আমর–কে বললামঃ লোকে বলে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখ ঘুমায় কিন্তু তাঁর অন্তর ঘুমায় না। তখন ’আমর (রহঃ) বলেন, ’আমি উবায়দ ইবনু ’উমায়র (রহঃ)–কে বলতে শুনেছি, নবীগনের স্বপ্ন ওহী। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ) ’ আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে যবেহ করছি। (৩৭ : ১০২)
باب التَّخْفِيفِ فِي الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَامَ حَتَّى نَفَخَ ثُمَّ صَلَّى ـ وَرُبَّمَا قَالَ اضْطَجَعَ حَتَّى نَفَخَ ـ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى. ثُمَّ حَدَّثَنَا بِهِ سُفْيَانُ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ لَيْلَةً، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ اللَّيْلِ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَتَوَضَّأَ مِنْ شَنٍّ مُعَلَّقٍ وُضُوءًا خَفِيفًا ـ يُخَفِّفُهُ عَمْرٌو وَيُقَلِّلُهُ ـ وَقَامَ يُصَلِّي فَتَوَضَّأْتُ نَحْوًا مِمَّا تَوَضَّأَ، ثُمَّ جِئْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ ـ وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ عَنْ شِمَالِهِ ـ فَحَوَّلَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ، ثُمَّ صَلَّى مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ اضْطَجَعَ، فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ، ثُمَّ أَتَاهُ الْمُنَادِي فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ، فَقَامَ مَعَهُ إِلَى الصَّلاَةِ، فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ. قُلْنَا لِعَمْرٍو إِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَنَامُ عَيْنُهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ. قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ رُؤْيَا الأَنْبِيَاءِ وَحْىٌ، ثُمَّ قَرَأَ (إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ).
To perform a light ablution
Narrated Kuraib: Ibn `Abbas said, "The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) slept till he snored and then prayed (or probably lay till his breath sounds were heard and then got up and prayed)." Ibn `Abbas added: "I stayed overnight in the house of my aunt, Maimuna, the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) slept for a part of the night, (See Fath-al-Bari page 249, Vol. 1), and late in the night, he got up and performed ablution from a hanging water skin, a light (perfect) ablution and stood up for the prayer. I, too, performed a similar ablution, then I went and stood on his left. He drew me to his right and prayed as much as Allah wished, and again lay and slept till his breath sounds were heard. Later on the Mu'adh-dhin (call maker for the prayer) came to him and informed him that it was time for Prayer.
The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) went with him for the prayer without performing a new ablution." (Sufyan said to `Amr that some people said, "The eyes of Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) sleep but his heart does not sleep." `Amr replied, "I heard `Ubaid bin `Umar saying that the dreams of Prophets were Divine Inspiration, and then he recited the verse: 'I (Abraham) see in a dream, (O my son) that I offer you in sacrifice (to Allah)." (37.102)
পরিচ্ছেদঃ ১০১। পূর্ণরূপে উযূ করা।
وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ الإِنْقَاءُ
ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, ভালভাবে পরিস্কার করাই হল পূর্ণরূপে উযূ করা।
১৪১। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) .... উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আরাফার ময়দান থেকে রওয়ানা হলেন। গিরিপথে গিয়ে তিনি সওয়ারি থেকে নেমে পেশাব করলেন। এরপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন কিন্তু উত্তমরূপে করলেন না। আমি বললাম, ’ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন কি?’ তিনি বললেনঃ সালাতের স্থান তোমার সামনে। তারপর তিনি আবার সওয়ার হলেন। এরপর মুযদালিফায় এসে সওয়ারি থেকে নেমে উযূ করলেন। এবার পূর্ণরূপে উযূ করলেন। তখন সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হল। তিনি মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। তারপর সকলে তাঁদের অবতরণ স্থলে নিজ নিজ উট বসিয়ে দিল। পুনরায় ঈশার ইকামাত দেওয়া হল। তিনি ঈশার সালাত আদায় করলেন এবং উভয় সালাতের মধ্য অন্য কোন সালাত আদায় করলেন না।
باب إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَةَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالشِّعْبِ نَزَلَ فَبَالَ، ثُمَّ تَوَضَّأَ وَلَمْ يُسْبِغِ الْوُضُوءَ. فَقُلْتُ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ " الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ". فَرَكِبَ، فَلَمَّا جَاءَ الْمُزْدَلِفَةَ نَزَلَ فَتَوَضَّأَ، فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَنَاخَ كُلُّ إِنْسَانٍ بَعِيرَهُ فِي مَنْزِلِهِ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الْعِشَاءُ فَصَلَّى وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا.
The completion (or perfection) of ablution (one should wash all the parts perfectly)
Narrated Usama bin Zaid: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) proceeded from `Arafat till when he reached the mountain pass, he dismounted, urinated and then performed ablution but not a perfect one. I said to him, ("Is it the time for) the prayer, O Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam)?" He said, "The (place of) prayer is ahead of you." He rode till when he reached Al-Muzdalifa, he dismounted and performed ablution and a perfect one, The (call for) Iqama was pronounced and he led the Maghrib prayer. Then everybody made his camel kneel down at its place. Then the Iqama was pronounced for the `Isha' prayer which the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) led and no prayer was offered in between the two . prayers (`Isha' and Maghrib).
পরিচ্ছেদঃ ১০২। এক আঁজলা পানি দিয়ে দু'হাতে মুখমণ্ডল ধোয়া
১৪২। মুহাম্মদ ইবনু ’আবদুর রহীম (রহঃ) .... ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে এরূপ করলেন অর্থাৎ আরেক হাতের সাথে মিলিয়ে মুখমণ্ডল ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান হাত ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম হাত ধুলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান পায়ের উপর ঢেলে দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম পা ধুলেন। তারপর বললেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবে উযূ করতে দেখেছি’।
باب غَسْلِ الْوَجْهِ بِالْيَدَيْنِ مِنْ غَرْفَةٍ وَاحِدَةٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْخُزَاعِيُّ، مَنْصُورُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ بِلاَلٍ ـ يَعْنِي سُلَيْمَانَ ـ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَمَضْمَضَ بِهَا وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَجَعَلَ بِهَا هَكَذَا، أَضَافَهَا إِلَى يَدِهِ الأُخْرَى، فَغَسَلَ بِهِمَا وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى حَتَّى غَسَلَهَا، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً أُخْرَى، فَغَسَلَ بِهَا رِجْلَهُ ـ يَعْنِي الْيُسْرَى ـ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ.
To wash the face with both hands by a handful of water
Narrated `Ata' bin Yasar: Ibn `Abbas performed ablution and washed his face (in the following way): He ladled out a handful of water, rinsed his mouth and washed his nose with it by putting in water and then blowing it out. He then, took another handful (of water) and did like this (gesturing) joining both hands, and washed his face, took another handful of water and washed his right forearm. He again took another handful of water and washed his left forearm, and passed wet hands over his head and took another handful of water and poured it over his right foot (up to his ankles) and washed it thoroughly and similarly took another handful of water and washed thoroughly his left foot (up to the ankles) and said, "I saw Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) performing ablution in this way."
পরিচ্ছেদঃ ১০৩। সর্বাবস্থায়, এমনকি সহবাসের সময়েও বিসমিল্লাহ বলা
১৪৩। আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বলে, بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখ)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
باب التَّسْمِيَةِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَعِنْدَ الْوِقَاعِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا. فَقُضِيَ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ، لَمْ يَضُرَّهُ ".
To recite "In the name of Allah," during every action and on having sexual relations with one's wife
Narrated Ibn `Abbas: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "If anyone of you on having sexual relations with his wife said (and he must say it before starting) 'In the name of Allah. O Allah! Protect us from Satan and also protect what you bestow upon us (i.e. the coming offspring) from Satan, and if it is destined that they should have a child then, Satan will never be able to harm that offspring."
পরিচ্ছেদঃ ১০৪। শৌচাগারে কি বলতে হয়?
১৪৪। আদম (রহঃ) ..... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রকৃতির ডাকে শৌচাগারে যেতেন তখন বলতেন, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ” (হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার স্মরণ নিচ্ছি।)
ইবনু ’আর’আরা (রহঃ) শু’বা (রহঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেন। গুনদার (রহঃ) শু’বা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ (যখন শৌচাগারে যেতেন)। মূসা (রহঃ) হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا دَخَلَ (যখন প্রবেশ করতেন)। সাঈদ ইবন যায়দ (রহঃ) আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যখন প্রবেশ করার ইচ্ছা করতেন।
باب مَا يَقُولُ عِنْدَ الْخَلاَءِ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ". تَابَعَهُ ابْنُ عَرْعَرَةَ عَنْ شُعْبَةَ. وَقَالَ غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ. وَقَالَ مُوسَى عَنْ حَمَّادٍ إِذَا دَخَلَ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْخُلَ.
হাদীসের শিক্ষা
১. বাথরুমে পায়খানা ব্যবহার করার জন্য গেলে উপরোক্ত দো'আ পাঠ করা সুন্নাত।
২. আলেমগণ বলেছেন, এর মাধ্যমে শয়তানের ওয়াসওয়াসা, কুমন্ত্রণা ও বিভিন্ন প্রকার ধোকা থেকে হিফাযত থাকা যায়। শয়তান ওযূতে সমস্যা করে, সালাত বিনষ্ট করতে চেষ্টা চালায় এসব থেকে বাঁচার জন্য এ দোআ করা উচিত।
৩. শয়তানের অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে মানুষকে ময়লা, পায়খানা ইত্যাদির মাধ্যমে অশুচি করে ফেলবে। তাই শয়তানদের থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া জরুরী।
৪. ময়লা ও অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকা ফরয: অনুরূপভাবে যা মানুষকে এসব থেকে বাঁচাতে পারবে তা অবলম্বন করাও জরুরী; কারণ হাদীসে পেশাব থেকে না বাঁচার কারণে কবরে শাস্তি হওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত হয়েছে।
৫. 'ইস্তেআযাহ' হচ্ছে অদৃশ্য শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় চাওয়া। এটি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে চাওয়ার অর্থ হচ্ছে শির্ক করা। সুতরাং ইস্তেআযাহ কেবল আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে।
What to say while going to the lavatory (water closet)
Narrated Anas: Whenever the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) went to answer the call of nature, he used to say, "Allah-umma inni a`udhu bika minal khubuthi wal khaba'ith i.e. O Allah, I seek Refuge with You from all offensive and wicked things (evil deeds and evil spirits).
পরিচ্ছেদঃ ১০৫। শৌচাগারের কাছে পানি রাখা
১৪৫। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) .... ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে গেলেন, তখন আমি তাঁর জন্য উযূর পানি রাখলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কে রেখেছে? তাঁকে জানানো হলে তিনি বলেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করুন।
باب وَضْعِ الْمَاءِ عِنْدَ الْخَلاَءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْخَلاَءَ، فَوَضَعْتُ لَهُ وَضُوءًا قَالَ " مَنْ وَضَعَ هَذَا ". فَأُخْبِرَ فَقَالَ " اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّينِ ".
Providing water at lavatories (for washing the private parts after answering the call of nature)
Narrated Ibn `Abbas: Once the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) entered a lavatory and I placed water for his ablution. He asked, "Who placed it?" He was informed accordingly and so he said, "O Allah! Make him (Ibn `Abbas) a learned scholar in religion (Islam).
পরিচ্ছেদঃ ১০৬। মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখি হবে না, তবে ঘরের মধ্যে দেয়াল অথবা তেমন কোন আড়াল থাকলে ভিন্ন কথা।
১৪৬। আদম (রহঃ) .... আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন শৌচাগারে যায়, তখন সে যেন কিবলার দিকে মুখ না করে এবং তার পিঠও না করে, বরং তোমরা পূর্ব দিক এবং পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে (এই নির্দেশ মদিনার বাসিন্দাদের জন্য)।
اب لاَ تُسْتَقْبَلُ الْقِبْلَةُ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ إِلاَّ عِنْدَ الْبِنَاءِ جِدَارٍ أَوْ نَحْوِهِ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلاَ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ يُوَلِّهَا ظَهْرَهُ، شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا ".
While urinating or defecating, never face the Qiblah except when you are screened by a building or a wall or something like that
Narrated Abu Aiyub Al-Ansari: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "If anyone of you goes to an open space for answering the call of nature he should neither face nor turn his back towards the Qibla; he should either face the east or the west."
পরিচ্ছেদঃ ১০৭। দুই ইটের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করা
১৪৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) .... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকে বলে মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে বসবে না। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) বলেন, ’আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুটি ইটের উপর তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন। তিনি [ওয়াসি (রহঃ)-কে] বললেন, তুমি বোধ হয় তাদের মধ্যে শামিল, যারা নিতম্বের ওপর ভর করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি জানিনা। মালিক (রহঃ) বলেন, (নিতম্বের উপর ভর করার অর্থ হল) যারা সালাত আদায় করে এবং মাটি থেকে নিতম্ব না তুলে সিজদা করে।
باب مَنْ تَبَرَّزَ عَلَى لَبِنَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ إِذَا قَعَدْتَ عَلَى حَاجَتِكَ، فَلاَ تَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَقَدِ ارْتَقَيْتُ يَوْمًا عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَنَا، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلاً بَيْتَ الْمَقْدِسِ لِحَاجَتِهِ. وَقَالَ لَعَلَّكَ مِنَ الَّذِينَ يُصَلُّونَ عَلَى أَوْرَاكِهِمْ، فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي وَاللَّهِ. قَالَ مَالِكٌ يَعْنِي الَّذِي يُصَلِّي وَلاَ يَرْتَفِعُ عَنِ الأَرْضِ، يَسْجُدُ وَهُوَ لاَصِقٌ بِالأَرْضِ.
Defecating while sitting over two bricks
Narrated `Abdullah bin `Umar: People say, "Whenever you sit for answering the call of nature, you should not face the Qibla or Baitul-Maqdis (Jerusalem)." I told them. "Once I went up the roof of our house and I saw Allah's Apostle answering the call of nature while sitting on two bricks facing Baitul-Maqdis (Jerusalem) (but there was a screen covering him.
পরিচ্ছেদঃ ১০৮। মহিলাদের বাইরে যাওয়া
১৪৮। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নীগণ রাতের বেলায় প্রাকৃতিক প্রয়োজনে খোলা ময়দানে যেতেন। আর ’উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে বলতেন, আপনার সহধর্মিণীগণকে পর্দায় রাখুন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। এক রাতে ঈশার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নী সাওদা বিনত যাম’আ (রাঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘকায়া। ’উমর (রাঃ) তাঁকে ডেকে বললেন, হে সাওদা! আমি কিন্তু আপনাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর আল্লাহ তা’আলা পর্দার হুকুম নাযিল করেন।
باب خُرُوجِ النِّسَاءِ إِلَى الْبَرَازِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم كُنَّ يَخْرُجْنَ بِاللَّيْلِ إِذَا تَبَرَّزْنَ إِلَى الْمَنَاصِعِ ـ وَهُوَ صَعِيدٌ أَفْيَحُ ـ فَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْجُبْ نِسَاءَكَ. فَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ، فَخَرَجَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي عِشَاءً، وَكَانَتِ امْرَأَةً طَوِيلَةً، فَنَادَاهَا عُمَرُ أَلاَ قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا سَوْدَةُ. حِرْصًا عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْحِجَابُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ.
The going out of women for answering the call of nature
Narrated `Aisha: The wives of the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) used to go to Al-Manasi, a vast open place (near Baqi` at Medina) to answer the call of nature at night. `Umar used to say to the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) "Let your wives be veiled," but Allah's Apostle did not do so. One night Sauda bint Zam`a the wife of the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) went out at `Isha' time and she was a tall lady. `Umar addressed her and said, "I have recognized you, O Sauda." He said so, as he desired eagerly that the verses of Al-Hijab (the observing of veils by the Muslim women) may be revealed. So Allah revealed the verses of "Al-Hijab" (A complete body cover excluding the eyes).
পরিচ্ছেদঃ ১০৮। মহিলাদের বাইরে যাওয়া
১৪৯। যাকারিয়্যা (রহঃ) ... ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের প্রয়োজনের জন্য বের হবার অনুমতি দেয়া হয়েছে। হিশাম (রহঃ) বলেন, অর্থ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে।
باب خُرُوجِ النِّسَاءِ إِلَى الْبَرَازِ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَدْ أُذِنَ أَنْ تَخْرُجْنَ فِي حَاجَتِكُنَّ ". قَالَ هِشَامٌ يَعْنِي الْبَرَازَ.
The going out of women for answering the call of nature
Narrated `Aisha: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said to his wives, "You are allowed to go out to answer the call of nature. "
পরিচ্ছেদঃ ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
১৫০। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) .... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বিশেষ এক প্রয়োজনে হাফসা (রাঃ) এর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন।
باب التَّبَرُّزِ فِي الْبُيُوتِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ ارْتَقَيْتُ فَوْقَ ظَهْرِ بَيْتِ حَفْصَةَ لِبَعْضِ حَاجَتِي، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْضِي حَاجَتَهُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ.
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
হাদীসের বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে, বাধা দিবে না এমন হলে, কারো ঘরের ছাদে উঠা জায়েজ। প্রয়োজন বলতে হাদীসে পায়খানা সারার কথা বুঝানো হয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, যা বলা অসুন্দর তা ভিন্নভাবে তুলে ধরাই শ্রেয়।
বাহ্যিক দৃষ্টিতে উক্ত হাদীস দু'টিকে পরস্পর বিরোধী মনে হলেও আসলে তা পরস্পর বিরোধী নয়। এ ব্যাপারে আলেমগণের কয়েকটি মত পাওয়া যায়-
(১) আলেমগণের কেউ কেউ উভয় হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য সাধনে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরের মধ্যে প্রাকৃতিক কাজ করছিলেন, আর পূর্বোক্ত হাদীসের নির্দেশনা হচ্ছে ঘরের বাইরের স্থানের জন্য।
(২) অপর দল বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য এটা বিশেষ ব্যতিক্রম ছিল।
(৩) কেউ বলেছেন, ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার উপরোক্ত ঘটনাটি সম্ভবত নিষেধ করার পূর্বে ছিল।
To defecate in houses
Narrated `Abdullah bin `Umar: I went up to the roof of Hafsa's house for some job and I saw Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) answering the call of nature facing Sham (Syria, Jordan, Palestine and Lebanon regarded as one country) with his back towards the Qibla.
পরিচ্ছেদঃ ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
১৫১। ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদিন আমি আমাদের ঘরের উপর উঠলাম। আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি ইটের উপর বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বসেছেন।
باب التَّبَرُّزِ فِي الْبُيُوتِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، أَنَّ عَمَّهُ، وَاسِعَ بْنَ حَبَّانَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ قَالَ لَقَدْ ظَهَرْتُ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى ظَهْرِ بَيْتِنَا، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
To defecate in houses
Narrated `Abdullah bin `Umar: Once I went up the roof of our house and saw Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) answering the call of nature while sitting over two bricks facing Baitul-Maqdis (Jerusalem).
পরিচ্ছেদঃ ১১০। পানি দ্বারা ইসতিনজা করা
১৫২। আবূল ওলীদ হিশাম ইবনু ’আবদুল মালিক (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানির পাত্র নিয়ে আসতাম। অর্থাৎ তিনি তা দিয়ে ইসতিনজা করতেন।
باب الاِسْتِنْجَاءِ بِالْمَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي مُعَاذٍ ـ وَاسْمُهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ أَجِيءُ أَنَا وَغُلاَمٌ مَعَنَا إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ. يَعْنِي يَسْتَنْجِي بِهِ.
To wash the private parts with water after answering the call of nature
Narrated Anas bin Malik: Whenever Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) went to answer the call of nature, I along with another boy used to accompany him with a tumbler full of water. (Hisham commented, "So that he might wash his private parts with it.)"
পরিচ্ছেদঃ ১১১। পবিত্রতা হাসিলের জন্য কারো সাথে পানি নিয়ে যাওয়া।
وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: أَلَيْسَ فِيكُمْ صَاحِبُ النَّعْلَيْنِ وَالطَّهُورِ وَالْوِسَادِ
আবুদ-দারদা (রাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে কি জুতা, পানি ও বালিশ বহনকারী ব্যক্তি [আবদুল্লাহ ইবন মাস’ঊদ (রা)] নেই?
১৫৩। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে তাঁর পিছনে পানির পাত্র নিয়ে যেতাম।
باب مَنْ حُمِلَ مَعَهُ الْمَاءُ لِطُهُورِهِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي مُعَاذٍ ـ هُوَ عَطَاءُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلاَمٌ مِنَّا مَعَنَا إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ.
Getting water carried by somebody else for purification (washing one's private parts).
Narrated Anas: Whenever Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) went to answer the call of nature, I along with another boy from us used to go behind him with a tumbler full of water.
পরিচ্ছেদঃ ১১২। ইসতিনজার জন্য পানির সাথে (লৌহ ফলকযুক্ত) লাঠি নিয়ে যাওয়া
১৫৪। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শৌচাগারে যেতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানির পাত্র এবং ’আনাযা’ নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইসতিনজা করতেন।
নাযর (রহঃ) ও শাযান (রহঃ) শু’বা (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। হাদীসে বর্ণিত (عَنَزَة) ’আনাযা’ শব্দের অর্থ এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে।
باب حَمْلِ الْعَنَزَةِ مَعَ الْمَاءِ فِي الاِسْتِنْجَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ الْخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ، وَعَنَزَةً، يَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ. تَابَعَهُ النَّضْرُ وَشَاذَانُ عَنْ شُعْبَةَ. الْعَنَزَةُ عَصًا عَلَيْهِ زُجٌّ.
To carry an 'Anaza (spear-headed stick) along with the waer for washing the private parts after answering the call of nature.
Narrated Anas bin Malik: Whenever Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) went to answer the call of nature, I along with another boy used to carry a tumbler full of water (for cleaning the private parts) and a short spear (or stick).
পরিচ্ছেদঃ ১১৩। ডান হাতে ইসতিনজা করার নিষেধাজ্ঞা
১৫৫। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরূষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাতে ইস্তিঞ্জা না করে।
باب النَّهْىِ عَنْ الاِسْتِنْجَاءِ، بِالْيَمِينِ
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ ـ هُوَ الدَّسْتَوَائِيُّ ـ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَفَّسْ فِي الإِنَاءِ، وَإِذَا أَتَى الْخَلاَءَ فَلاَ يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ، وَلاَ يَتَمَسَّحْ بِيَمِينِهِ ".
It is forbidden to clean the private parts with the right hand
Narrated Abu Qatada: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Whenever anyone of you drinks water, he should not breathe in the drinking utensil, and whenever anyone of you goes to a lavatory, he should neither touch his penis nor clean his private parts with his right hand."
পরিচ্ছেদঃ ১১৪। প্রস্রাব করার সময় ডান হাত দিয়ে পুরূষাঙ্গ ধরবে না
১৫৬। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) .... আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন পেশাব করে তখন সে যেন কখনো ডান হাত দিয়ে তার পুরূষাঙ্গ না ধরে এবং ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা না করে এবং পান করার সময় যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ফেলে।
باب لاَ يُمْسِكُ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ إِذَا بَالَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَأْخُذَنَّ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ، وَلاَ يَسْتَنْجِي بِيَمِينِهِ، وَلاَ يَتَنَفَّسْ فِي الإِنَاءِ ".
While passing urine one should not hold his penis with his right hand.
Narrated Abu Qatada: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Whenever anyone of you makes water he should not hold his penis or clean his private parts with his right hand. (And while drinking) one should not breathe in the drinking utensil ."