অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদি আপনার আত্মাকে শক্তিশালী বা আপনার মনকে শক্ত করবে, এতে আপনার পাপ মাফ হবে এবং এটা আপনার অহংকার ও ঔদ্ধত্যকে দমন করতে সাহায্য করবে। আপনার স্মরণ হতে পারে যে, সঙ্কটের সময় আপনি বাজে কথা বাদ দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করেছেন। যখন আপনি দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছিলেন, অন্যেরা তখন আপনার দিকে ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং আপনি ধাৰ্মিকদের দোয়ার বরকতে ধন্য হয়েছেন। এমন সময়ে আপনি স্বেচ্ছায় এবং বিনীতভাবে নিজেকে তার ইচ্ছা ও আদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

দুঃখ-কষ্ট সতর্কতা বয়ে আনে এবং সঙ্কট কেবলি ব্যক্তিকে শয়তানের পথ অনুসরণ করার বিরুদ্ধে পূর্ব সতর্কতা যোগায়। যার উপর বিপদ এসেছে অথচ ধৈর্যের সাথে সাহসিকতা প্রদর্শন করতে পারে; তার অবস্থা তার মতো নয়- যে না-কি পার্থিব আমোদে মত্ত আছে, বরং তার অবস্থা তাকে তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সহায়তা করে। তিনি নিরপেক্ষভাবে এ দুনিয়াকে বিচার করে দেখতে সক্ষম এবং এভাবে তিনি জানতে পারেন যে, এটা এমন কিছু নয় যার দিকে ঝুঁকে পড়তে হবে বা যার লোভ করতে হবে। মাঝে মাঝে সঙ্কটের মোকাবেলায় প্রজ্ঞা ও কল্যাণ লাভ করা যায়। যদিও আমরা তা না বুঝতে পারি বা যদি তা আমাদের বুঝে নাও আসতে পারে তবুও তা নিশ্চিতভাবেই আছে এবং সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের তা জানা আছে।