ইসলামী আকীদায় কাশফ বা ইলহাম কোনো কিছুর সঠিকত্ব জানার মাপকাঠি নয়। ৬ষ্ঠ শতকের অন্যতম হানাফী আলিম উমার ইবনু মুহাম্মাদ আন-নাসাফী (৫৩৭ হি) তাঁর ‘‘আল-আকাইদ আন নাসাফিয়্যাহ’’ ও ৮ম শতকের প্রখ্যাত আলিম সা’দ উদ্দীন মাসঊদ ইবনু উমার আত-তাফতাযানী (৭৯১ হি.) তাঁর ‘‘শারহুল আকাইদ আন নাসাফিয়্যাহ’’ -তে লিখেছেন :
اَلإِلْهَامُ الْمُفَسَّرُ بِإِلْقَاءِ مَعْنًى فِيْ الْقَلْبِ بِطَرِيْقِ الْفَيْضِ لَيْسَ مِنْ أَسْبَابِ الْمَعْرِفَةِ بِصِحَّةِ الشَّيْءِ عِنْدَ أَهْلِ الْحَقِّ
‘‘হক্কপন্থীগণের কাছে ‘ইলহাম’ যা ‘ফয়েযরূপে প্রদত্ত ইলকা’ নামে পরিচিত তা কোনো কিছুর সঠিকত্ব জানার কোনো মাধ্যম নয়।’’[1]
কোনো কোনো অনভিজ্ঞ বুযুর্গ স্বপ্ন, কাশফ, ইলহাম ইত্যাদির ভিত্তিতে ‘হাদীসের’ বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের দাবি করলেও অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ বুযুর্গগণ এর কঠিন বিরোধিতা করেছেন। ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ট বুযুর্গ ও সংস্কারক মুজাদ্দিদ-ই আলফ-ই সানী (রাহ) হক্ক-বাতিল বা বিশুদ্ধতা ও অশুদ্ধতা জানার ক্ষেত্রে কাশফ, ইলহাম ইত্যাদির উপর নির্ভর করার কঠিন আপত্তি ও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বারংবার উল্লেখ করেছেন যে, কুরআন-হাদীসই কাশফ, ইলহাম ইত্যাদির সঠিক বা বেঠিক হওয়ার মানদন্ড। কাশফ কখনোই হাদীস বা বা কোনো মতের সঠিকত্ব জানার মাধ্যম নয়।[2]
[2] মুজাদ্দিদ আলফ সানী, মাকতুবাত শরীফ ১/১, পৃ. ৮৮, ১৭৮, ১৯৫, ১৯৬, ২১০, ১/২ পৃ. ৬৯, ১১০, ১১১, ১৩৩ (মাকতুব নং ৪১, ১০০, ১১২, ১৩১, ১৯১, ২০৯, ২১৭)