(১১) লাল বাতি জ্বললে সুন্নাতের নিয়ত করবেন না :
উক্ত সতর্কতা মুছল্লীকে ছালাত ও তার নেকী থেকে বঞ্চিত করেছে। কারণ সুন্নাত ছালাত আদায়কালীন যদি ইক্বামত হয়ে যায় তাহলে হাদীছের নির্দেশ, সে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং ফরয ছালাতে শরীক হতে হবে। এতে করে সে উক্ত ছালাতের পূর্ণ নেকী পেয়ে যাবে।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً وَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَعَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ...
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করার ইচ্ছা করল কিন্তু তা করল না, তার জন্য একটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হল। কিন্তু যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করার ইচ্ছা করল এবং তা করে ফেলল তার জন্য দশ থেকে সাতশ’ গুণ নেকী লিপিবদ্ধ করা হল ...’।[1]
উল্লেখ্য যে, লাল বাতির গুরুত্ব কিন্তু ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাতের সময় থাকে না। কারণ বহু মসজিদে ফজরের জামা‘আত চললেও আগে সুন্নাত পড়তে দেখা যায়। অথচ হাদীছের নির্দেশ হল, ছালাতের ইক্বামত হয়ে গেলে আর কোন ছালাত চলবে না। ফরয ছালাতে অংশগ্রহণ করতে হবে।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ إِذَا أُقِيْمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْمَكْتُوْبَةُ.
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হবে তখন ফরয ছালাত ছাড়া অন্য কোন ছালাত নেই’।[2] ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, ফজরের ছালাতের পরে সুন্নাত পড়া যাবে না। অথচ কেউ পূর্বে সুন্নাত পড়তে না পারলে ছালাতের পরেই পড়ে নিতে পারবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।[3]
[2]. ছহীহ মুসলিম হা/১৬৭৮-১৬৭৯ ও ১৬৮৪, ১/২৪৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৫১৪ ও ১৫২১) ‘মুসাফিরদের ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৩, ১/৯১ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬৩০, ২/৬৪ পৃঃ) ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৮; মিশকাত হা/১০৫৮, পৃঃ ৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৯১, ৩/৪৬ পৃঃ, ‘জামা‘আত ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ।
[3]. আবুদাঊদ হা/১২৬৭, ১/১৮০ পৃঃ; মিশকাত হা/১০৪৪, পৃঃ ৯৫ সনদ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৭, ৩/৪০ পৃঃ, ‘ছালাতের নিষিদ্ধ সময়’ অনুচ্ছেদ।