‘‘শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, সাহাবী, উত্তমভাবে তাদের অনুসরণকারী এবং উম্মতের সমস্ত সালাফ ও সুন্নাতের ইমামগণের মতে রূহ স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি সত্তা। এটি দেহ থেকে আলাদা হয়, নিয়ামতপ্রাপ্ত হয়, কষ্ট পায়। দেহ এবং রূহ একই সত্তা নয়, রূহ শরীরের কোনো অংশও নয়। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ এবং অন্যান্য ইমাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কথা বলেছেন। ইমামের অনুসারীগণ এ বিষয়ে কোনো মতভেদ করেন নি।
শাইখুল ইসলাম আরো বলেন, সঠিক কথা হলো রূহ মূল্যবান কিংবা সাধারণ কোনো ধাতু যেমন মণি-মুক্তা বা অন্য কিছু দ্বারা গঠিত নয় এবং এর কোনো কায়াও নেই। সেই সঙ্গে রূহ আমাদের পরিচিত দেহগুলোর মতো বিশেষ স্বভাব-প্রকৃতি সম্পন্ন কোনো সৃষ্টি নয়। রূহ এর দিকে ইঙ্গিত করার ব্যাপারে কথা হলো এর দিকে ইঙ্গিত করা যায়, রূহ উপরে উঠে, অবতরণ করে, দেহ থেকে বের হয় এবং তাতে চলাচল করে। শরী‘আতের দলীল-প্রমাণ দ্বারা এটি যেমন প্রমাণিত, তেমনি বিবেক-বুদ্ধির দলীল দ্বারাও সাব্যস্ত।
কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে যে, রূহ দেহের কোথায় অবস্থান করে? তার জবাবে বলা হবে যে, রূহএর জন্য দেহের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। বরং এটি দেহের মধ্যে চলাচল করে যেমন হায়াত বা জীবনী শক্তি শরীরের সবখানেই বিদ্যমান থাকে। সুতরাং রূহ বিদ্যমান থাকার শর্তে প্রাণীর হায়াত বিদ্যমান থাকে। শরীরে রূহ থাকলে সেটাতে হায়াত থাকে। শরীর থেকে রূহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে হায়াতও শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।