তাওয়াফের শির্ক বলতে একমাত্র কা’বা শরীফ ব্যতীত অন্য কোন বস্ত্তর তাওয়াফ করাকে বুঝানো হয়।
সাওয়াবের আশায় কোন বস্ত্তর চতুষ্পার্শ্বে তাওয়াফ করা গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত যা আল্লাহ্ তা’আলার মর্জি ছাড়া অন্য কারোর জন্য ব্যয় করা জঘন্যতম শির্ক। অতএব তা শরীয়ত সমর্থিত হতে হবে। ইচ্ছে করলেই কোন মাজার তাওয়াফ করা যাবেনা।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«وَلْيَطَّوَّفُوْا بِالْبَيْتِ الْعَتِيْقِ»
‘‘তারা যেন প্রাচীন গৃহ (কা’বা শরীফ) তাওয়াফ করে’’। (হাজ্জ : ২৯)
তিনি আরো বলেন:
«وَعَهِدْنَآ إِلَى إِبْراهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ أَنْ طَهِّرا بَيْتِيَ لِلطَّآئِفِيْنَ وَالْعَاكِفِيْنَ وَالرُّكَّعِ السُّجُوْدِ»
‘‘আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আলাইহিমাস্ সালাম) থেকে এ বলে অঙ্গীকার নিয়েছি যে, তোমরা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী এবং রুকু ও সিজ্দাহ্কারীদের জন্যে সর্বদা পবিত্র রাখো’’। (বাক্বারাহ্ : ১২৫)
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتَّى تَضْطَرِبَ أَلَيَاتُ نِسَاءِ دَوْسٍ حَوْلَ ذِيْ الْـخَلَصَةِ
‘‘কিয়ামত সংঘটিত হবেনা যতক্ষণ না দাউস্ গোত্রের মহিলারা পাছা নাচিয়ে যুল্খালাসা নামক মূর্তির তাওয়াফ করবে’’।
(বুখারী, হাদীস ৭১১৬ মুসলিম, হাদীস ২৯০৬ বাগাওয়ী, হাদীস ৪২৮৫ ইবনু হিব্বান, হাদীস ৬৭১৪ আব্দুর রাযযাক, হাদীস ২০৭৯৫)