‘আম তথা ব্যাপক অর্থবোধক দলিল দ্বারা শরী‘আতে যে সকল ইবাদাতকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে সেগুলোকে কোনো নির্দিষ্ট সময় কিংবা নির্দিষ্ট স্থান অথবা অন্য কিছুর সাথে এমনভাবে সীমাবদ্ধ করা বিদ‘আত বলে গণ্য হবে যদ্দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ইবাদাতের এ সীমাবদ্ধ করণ প্রক্রিয়া শরী‘আতসম্মত, অথচ পূর্বোক্ত ‘আম দলীলের মধ্যে এ সীমাবদ্ধ করণের ওপর কোনো প্রমাণ ও দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় না।

এ নীতির মোদ্দাকথা হচ্ছে কোনো উন্মুক্ত ইবাদাতকে শরী‘আতের সহীহ দলীল ছাড়া কোনো স্থান, কাল বা সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ করা বিদ‘আত হিসেবে বিবেচিত।

উদাহরণ:

১। যে দিনগুলোতে শরী‘আত রোযা বা সাওম রাখার বিষয়টি সাধারণভাবে উন্মুক্ত রেখেছে যেমন মঙ্গল বার, বুধবার কিংবা মাসের ৭, ৮ ও ৯ ইত্যাদি তারিখসমূহ, সে দিনগুলোর কোনো এক বা একাধিক দিন বা বারকে বিশেষ ফযীলত আছে বলে সাওম পালনের জন্য যদি কেউ খাস ও সীমাবদ্ধ করে অথচ খাস করার কোনো দলীল শরী‘আতে নেই। যেমন, ফাতিহা-ই-ইয়াযদাহমের দিন সাওম পালন করা, তাহলে শরী‘আতের দৃষ্টিতে তা হবে বিদ‘আত, কেননা দলীল ছাড়া শরী‘আতের কোনো হুকুমকে খাস ও সীমাবদ্ধ করা জায়েয নেই।

২। ফযীলাতপূর্ণ দিনগুলোতে শরী‘আত যে সকল ইবাদাতকে উন্মুক্ত রেখেছে সেগুলোকে কোনো সংখ্যা, পদ্ধতি বা বিশেষ ইবাদাতের সাথে খাস করা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। যেমন, প্রতি শুক্রবার নির্দিষ্ট করে চল্লিশ রাক‘আত নফল সালাত পড়া, প্রতি বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট পরিমাণ সদকা করা, অনুরূপভাবে কোনো নির্দিষ্ট রাতকে নির্দিষ্ট সালাত ও কুরআন খতম বা অন্য কোনো ইবাদাতের জন্য খাস করা।