ধূমপানও মাদকদ্রব্যের অধীন এবং তা প্রকাশ্য গুনাহসমূহের অন্যতম। ব্যাপারটি খুবই ভয়াবহ, তবে সে অনুযায়ী এর প্রতি কোনো গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না; বরং তা বিশেষ অবহেলায় পতিত। তাই ভিন্ন করে সেটার অপকার ও হারাম হওয়ার কারণগুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি। যা নিম্নরূপ:

১. ধূমপান খুবই নিকৃষ্ট কাজ এবং বিড়ি, সিগারেট ইত্যাদি অত্যন্ত নিকৃষ্ট বস্তু। আর সকল নিকৃষ্ট বস্তুই তো শরী‘আতের দৃষ্টিতে হারাম।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ﴾ [الاعراف: ١٥٧]

“আরো তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জন্য পবিত্র ও উত্তম বস্তুসমূহ হালাল করে দেন এবং হারাম করেন নিকৃষ্ট ও অপবিত্র বস্তুসমূহ”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৭]

খ. ধূমপানে সম্পদের বিশেষ অপচয় হয়। আর সম্পদের অপচয় তো হারাম।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّ ٱلۡمُبَذِّرِينَ كَانُوٓاْ إِخۡوَٰنَ ٱلشَّيَٰطِينِۖ وَكَانَ ٱلشَّيۡطَٰنُ لِرَبِّهِۦ كَفُورٗا ٢٧﴾ [الاسراء: ٢٧]

“কিছুতেই সম্পদের অপব্যয় করো না। কারণ, অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর অত্যন্ত অকৃতজ্ঞ”। [সূরা আল-ইসরা, আযাত: ২৬-২৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَلَا تُسۡرِفُوٓاْۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُسۡرِفِينَ﴾ [الاعراف: ٣١]

“তবে তোমরা (পোশাক-পরিচ্ছদ ও পানাহারে) অপচয় ও অপব্যয় করো না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৩১]

একজন বিবেকশূন্যের হাতে নিজ সম্পদ উঠিয়ে দেওয়া যদি না জায়েয ও হারাম হতে পারে এ জন্য যে, সে উক্ত সম্পদগুলো অপচয় ও অপব্যয় করবে তা হলে আপনি নিজকে বিবেকবান মনে করে নিজেই নিজ টাকাগুলো কিভাবে ধোঁয়ায় উড়িয়ে দিতে পারেন এবং তা কিভাবে জায়েয হতে পারে? আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا تُؤۡتُواْ ٱلسُّفَهَآءَ أَمۡوَٰلَكُمُ ٱلَّتِي جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمۡ قِيَٰمٗا﴾ [النساء: ٥]

“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জীবন নির্বাহের জন্য তোমাদেরকে যে সম্পদ দিয়েছেন তা তোমরা বেউকুফদের হাতে উঠিয়ে দিও না”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫]

গ. ধূমপানের মাধ্যমে নিজ জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। আর আত্মহত্যা ও নিজ জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া মারাত্মক হারাম ও একান্ত কবীরা গুনাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا ٢٩ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ عُدۡوَٰنٗا وَظُلۡمٗا فَسَوۡفَ نُصۡلِيهِ نَارٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا ٣٠﴾ [النساء: ٢٩، ٣٠]

“তোমরা নিজেদেরকে যে কোনো পন্থায় হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াশীল। যে ব্যক্তি সীমাতিক্রম ও অত্যাচার বশত এমন কান্ড করে বসবে তাহলে অচিরেই আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো। আর এ কাজটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষে একেবারেই সহজ”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৯-৩০]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ﴾ [البقرة: ١٩٥]

“তোমরা কখনো ধ্বংসের দিকে নিজ হস্ত সম্প্রসারিত করো না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৯৫]

ঘ. বিশ্বের সকল স্বাস্থ্যবিদদের ধারণামতে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য একান্তই ক্ষতিকর। সুতরাং আপনি এরই মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য বিনাশ করতে পারেন না। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস ও উবাদাহ ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لاَ ضَرَرَ وَلاَ ضِرَارَ»

“না তুমি নিজ বা অন্যের ক্ষতি করতে পারো। আর না তোমরা পরস্পর (প্রতিশোধের ভিত্তিতে) একে অপরের ক্ষতি করতে পারো”।[1]

ঙ. ধূমপানের মাধ্যমে মুমিন পুরুষ ও মহিলাদেরকে কষ্ট দেওয়া হয়। কারণ, ধূমপায়ী যখন ধূমপান করে তখন তার আশপাশের অধূমপায়ীরা বিড়ি ও সিগারেটের ধোঁয়ায় কষ্ট পান। এমনকি নিয়মিত ধূমপায়ীরা কথা বলার সময়ও তার আশপাশের অধূমপায়ীরা কষ্ট পেয়ে থাকেন। সালাত পড়ার সময় ধূমপায়ী ব্যক্তি যিকির ও দো’আ উচ্চারণ করতে গেলে অধূমপায়ীরা তার মুখের নিকৃষ্ট দুর্গন্ধে ভীষণ কষ্ট পেয়ে থাকেন। কখনো কখনো তার জামা-কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। আর তাদেরকে কষ্ট দেওয়া তো অত্যন্ত পাপের কাজ।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ بِغَيۡرِ مَا ٱكۡتَسَبُواْ فَقَدِ ٱحۡتَمَلُواْ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٥٨﴾ [الاحزاب: ٥٨]

“যারা মু’মিন পুরুষ ও মহিলাদেরকে কষ্ট দেয় অথচ তারা কোনো অপরাধ করেনি এ জাতীয় মানুষরা নিশ্চয় অপবাদ ও স্পষ্ট গুনাহের বোঝা বহন করবে”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৭]

চ. পিয়াজ ও রসুনের মতো হালাল জিনিস খেয়ে যখন সালাতের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষেধ অথচ শরী‘আতে জামা‘আতে সালাত পড়ার বিশেষ ফযীলত রয়েছে। কারণ, ফিরিশতারা তাতে খুব কষ্ট পেয়ে থাকেন তখন ধূমপান করে কেউ মসজিদে কিভাবে যেতে পারে? অথচ তা একই সঙ্গে দুর্গন্ধ ও হারাম। তাতে কি ফিরিশতারা কষ্ট পান না? তাতে কি মুসল্লিরা কষ্ট পায় না?

জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّوْمَ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ الْـمَلَآئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُوْ آدَمَ»

“যে ব্যক্তি পিয়াজ ও রসুন খেলো সে যেন আমার মসজিদের নিকটবর্তী না হয়। কারণ, ফিরিশতারা এমন জিনিসে কষ্ট পায় যাতে কষ্ট পায় আদম সন্তান”।[2]

ছ. ধূমপানের মাধ্যমে নিজ ছেলে-সন্তানকে অঙ্গহানি ও ত্রুটিপূর্ণ বৃদ্ধির প্রতি ঠেলে দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণানুযায়ী নিকুটিন পুরুষের বীর্যকে বিষাক্ত করে দেয়। যদ্দরুন সন্তান প্রজন্মে বিশেষ ব্যাঘাত ঘটে। এমনকি কখনো কখনো প্রজনন ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপেই বিনষ্ট হয়ে যায়।

জ. ধূমপানের মাধ্যমে নিজ ছেলে-সন্তানকে চারিত্রিক অধঃপতনের দিকে বিশেষভাবে ঠেলে দেওয়া হয়। কারণ, তারা ভাগ্যক্রমে জন্মগত অঙ্গহানি থেকে বাঁচলেও পিতার ধূমপান দেখে তারা নিজেরাও ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

আরবী ভাষার প্রবাদে বলা হয়:

وَمَنْ شَابَهَ أَبَاهُ فَمَا ظَلَمَ

“যে নিজের বাপের মতো হয়েছে সে কোনো অপরাধ করেনি”।

আরেক প্রবাদে বলা হয়:

وَكُلُّ قَرِيْنٍ بِالْـمُقَارِنِ يَقْتَدِيْ

“প্রত্যেক সঙ্গী তার আরেক সঙ্গীরই অনুসরণ করে। আর পিতা তো তার বাচ্ছার দীর্ঘ সময়েরই সঙ্গী”।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَكَذَٰلِكَ مَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ فِي قَرۡيَةٖ مِّن نَّذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتۡرَفُوهَآ إِنَّا وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٖ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِم مُّقۡتَدُونَ ٢٣﴾ [الزخرف: ٢٣]

“এভাবেই তোমার পূর্বে যখনই আমরা কোনো এলাকায় কোনো ভীতি প্রদর্শনকারী (নবী) পাঠিয়েছি, তখনই সে এলাকার ঐশ্বর্যশালীরা বলেছে, আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এই একই মতাদর্শের অনুসারী পেয়েছি। আর আমরা তো তাদেরই পদাঙ্ক অনুসারী”। [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ২৩]

তিনি আরো বলেন,

﴿وَإِذَا فَعَلُواْ فَٰحِشَةٗ قَالُواْ وَجَدۡنَا عَلَيۡهَآ ءَابَآءَنَا وَٱللَّهُ أَمَرَنَا بِهَاۗ قُلۡ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَأۡمُرُ بِٱلۡفَحۡشَآءِۖ أَتَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٢٨﴾ [الاعراف: ٢٨]

“যখন তারা কোনো অশ্লীল কাজ করে বসে তখন তারা বলে: আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এমনই করতে দেখেছি এবং আল্লাহ তা‘আলাও তো আমাদেরকে এমনই করতে আদেশ করেছেন। হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তুমি ঘোষণা করে দাও যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা কখনো অশ্লীল কাজের আদেশ করেন না। তোমরা কি আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে এমন সব কথা বলছো যে বিষয়ে তোমাদের কোনো জ্ঞান নেই”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ২৮]

ঝ. ধূমপানের মাধ্যমে নিজ স্ত্রীকেও বিশেষভাবে কষ্ট দেওয়া হয়। কারণ, সে তো আপনার জীবন সঙ্গী। আপনার সবকিছুই তো তার সঙ্গে জড়িত। তাই সে আপনার মুখের দুর্গন্ধে কষ্ট পাবে অবশ্যই। আবার কখনো কখনো তো কোনো কোনো স্ত্রী অসতর্কভাবে নিজেও ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন তার ওপর যুলুম চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।

ঞ. ধূমপান সন্তানকে মাতা-পিতার অবাধ্য হতে সহযোগিতা করে। কারণ, ধূমপায়ী স্বভাবত নিজ মাতা-পিতা থেকে দূরে থাকতে চায়। যাতে তারা তার অভ্যাসের ব্যাপারটি আঁচ করতে না পারে। আর এভাবেই সে ধীরে ধীরে তাদের অবাধ্য হয়ে পড়ে।

ট. ধূমপান ধূমপায়ীর নেককার সঙ্গী একেবারেই কমিয়ে দেয়। কারণ, তারা এ জাতীয় মানুষ থেকে দূরে থাকতে চায়। এমনকি কেউ কেউ তো এ জাতীয় মানুষকে সালামও দিতে চায় না।

ঠ. ধূমপানের মাধ্যমে ইসলামের শত্রুদেরকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করা হয়। কারণ, এরই মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিন দিন বেড়ে যায় এবং তা ও তার কিয়দংশ পরবর্তীতে ইসলামেরই বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।

ড. ধূমপান ধীরে ধীরে মেধাকে বিনষ্ট করে দেয়। যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক বিরাট নিয়ামত। কারণ, তা চিন্তা শক্তিকে একেবারেই দুর্বল করে দেয়। এমনকি ধীরে ধীরে তার মধ্যে মেধাশূন্যতা দেখা দেয়। স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের মাঝে একদা এক জরিপ চালিয়ে দেখা যায় যে, ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীর তুলনায় খুবই কম মেধা সম্পন্ন এবং কোনো কিছু তাড়াতাড়ি বুঝতে অক্ষম।

ঢ. ধূমপানের মাধ্যমে হৃদয়, চোখ ও দাঁতকে ক্ষতির সম্মুখীন করা হয়। অথচ অন্তর মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রাজা। চোখ হচ্ছে জীবনের প্রতি একটি জানালা। দাঁত হচ্ছে মানুষের বিশেষ এক সৌন্দর্য। ধূমপানের কারণে হৃদয়ের শিরা-উপশিরাগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং হঠাৎ রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চোখ দিয়ে এক ধরনের পানি বের হয়। চোখের পাতাগুলো জ্বলতে থাকে। কখনো কখনো চোখ ঝাপসা ও অন্ধ হয়ে যায়। দাঁতে পোকা ধরে। দাঁত হলুদবর্ণ হয়ে যায়। দাঁতের মাড়ি জ্বলতে থাকে। জিহবা ও মুখে ঘা ও ক্ষত সৃষ্টি হয়। ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।

ণ. ধূমপান ধূমপায়ীকে তার বাধ্য গোলাম বানিয়ে রাখে। নেশা ধরলেই তার আয়োজন করতেই হবে। নতুবা সে অন্তরে এক ধরনের সঙ্কীর্ণতা ও অস্থিরতা অনুভব করবে। পুরো দুনিয়াই তার নিকট অন্ধকার মনে হবে। আর এ কথা সবারই জানা যে, একজনের গোলামীতেই শান্তি; অনেকের গোলামীতে নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ءَأَرۡبَابٞ مُّتَفَرِّقُونَ خَيۡرٌ أَمِ ٱللَّهُ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّارُ﴾ [يوسف: ٣٩]

“অনেকগুলো প্রভু ভালো না কি এমন আল্লাহ যিনি একক পরাক্রমশালী”। [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩৯]

ত. ধূমপায়ীর নিকট যে কোনো ইবাদাত ভারী মনে হয়। বিশেষ করে রোযা। কারণ, সে সাওম থাকাবস্থায় আর ধূমপান করতে পারে না। গরম মৌসুমে তো দিন বড় হয়ে যায়। তখন তার অস্থিরতার আর কোনো সীমা থাকে না। তেমনিভাবে হজও তাকে বিশেষভাবে বিব্রত করে।

থ. এ ছাড়াও ধূমপানের কারণে অনেক ধরনের ক্যান্সার জন্ম নেয়। তম্মধ্যে ফুসফুস, গলা, ঠোঁট, খাদ্য নালী, শ্বাস নালী, জিহ্বা, মুখ, মূত্রথলি, কিডনী ইত্যাদির ক্যান্সার অন্যতম। এ ছাড়াও ধূমপানের সমস্যাগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে খাদ্য-পানীয়ে রুচিহীনতা, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মাথা ব্যথা, শ্রবণ শক্তিতে দুর্বলতা, হঠাৎ মৃত্যু, যক্ষ্মা, বদ্হজমী, পাকস্থলীতে ঘা, কলিজায় ছিদ্র ও সম্পূর্ণরূপে তার বিনাশ, শারীরিক শীর্ণতা, বক্ষব্যাধি, অত্যাধিক কফ ও কাশি, স্নায়ুর দুর্বলতা, চেহারার লাবণ্য বিনষ্ট হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

>
[1] ইবন মাজাহ, হাদীস নং২৩৬৯, ২৩৭০

[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৫৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৬৪
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে