ব্যাখ্যা: জাহিলী সমস্যা হচ্ছে জাহিলরা কুফরী কর্ম ও কাফিরদেরকে ভালবাসে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বনী ইসরাঈল সম্পর্কে উল্লেখ করেন যে, তারা কাফিরদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

تَرَى كَثِيراً مِنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ الَّذِينَ كَفَرُوا

তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করে (সূরা আল-মায়েদা ৫:৮০)।

কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা আল্লাহ তা‘আলা হারাম করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ) [المائدة: 51]

হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না। (সূরা আল মায়িদা ৫:৫১)

আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদীদের মত কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন করতে মুসলিমদেরকে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(لا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَنْ تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً) [آل عمران: 28]

মুমিনরা যেন মুমিনদের ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে (সূরা আলে-ইমরান ৩:২৮)। এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ হলো কাফিরদের সাথে শত্রুতা করা, তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা, তাদের দীন থেকে মুক্ত থাকা ওয়াজীব-আবশ্যক। ইসলামে আবশ্যকীয় বিষয়ের সর্বোত্তম হচ্ছে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা করা।[1]

>
[1]. মাকতাবাতুস সুন্নাহ প্রকাশিত, অলা (ভালবাসা) ও বারা (শত্রুতা পোষণ করা) বইটি দেখুন।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে