নিজেদের পেশা নিয়ে অন্যদের উপর গর্ব-অহংকার করা

কৃতিত্বের মাধ্যমে অহংকার করা। যেমন (শীত ও গ্রীষ্ম কালীন) এ দু‘মৌসুমে ব্যবসা নিয়ে চাষীদের সাথে সফররত ব্যবসায়ীর অহংকার করা।

ব্যাখ্যা: ব্যবসায়ী তার ব্যবসা নিয়ে পেশাজীবি, কাঠ মিস্ত্রি ও কামারের সাথে দাম্ভিকতা দেখায়। আর চাকুরীজীবি তার চাকুরী নিয়ে চাকুরীহীনদের সাথে অহংকার করে। মুসলিম কখনো অন্যকে অবহেলা করে না। কোন মানুষই সাধারণভাবে কাউকে অবজ্ঞা করতে পারে না। মুসলিম কিভাবে তার পেশা নিয়ে অপরকে অবহেলা করতে পারে, তার পেশা ছাড়া কি আর পেশা নেই? এটাই জাহিলী কর্ম।

যেমন আল্লাহ তা‘আলা দু’মৌসুমে ভ্রমণরত কুরাইশ ব্যবসায়ীদের কথা (সূরা কুরাইশে) উল্লেখ করেন। আল্লাহ তা‘আলা সফররত দু‘দল কুরাইশ ব্যবসায়ীর উপর অনুগ্রহ করেছিলেন। একটি হলো শীত কালীন সময়ে ইয়ামানের দিকে ভ্রমণরত ব্যবসায়ী দল, অপরটি গ্রীষ্ম কালীন সময়ে সিরিয়ার ব্যবসায়ী দল। সফরকারী ব্যবসায়ী হওয়ায় এ দু‘দলই মানুষের প্রতি দাম্ভিকতা প্রদর্শন করতো। ফসল উৎপাদনকারী চাষীদের সাথে তারা অহংকার করতো। আর যারাই তাদের কৃতিত্ব ও চাকুরী নিয়ে অন্যদের সাথে অহংকার করবে তারাই জাহিল হিসাবে গণ্য হবে। মানুষ দাম্ভিক হতে পারে না। যাদের পেশা-কর্ম সম্মানজনক নয় এ দাম্ভিকতার কারণে তাদেরকে ছোট করা হয়। যেমন কামার ও কাঠমিস্ত্রি। এ অহমিকার বদস্বভাব কিছু মানুষের মাঝে থেকেই গেছে। এভাবে যারা মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে অবহেলা করে তারাও জাহিলদের অন্তর্ভুক্ত। ইমামতির দায়িত্ব উত্তম চাকুরী, যা ছিল রসূল এর কাজ। অনুরূপভাবে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বও উত্তম চাকুরী। সুতরাং ইমামতি ও মুয়াজ্জিনী সম্মানজনক পেশা। এ পেশা দু’টি মন্ত্রির দায়িত্ব ও সকল পেশার চেয়েও সম্মানজনক।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে