আল্লাহর কিতাবের কথা স্ব-স্থান হতে বিকৃতি ও ভাষা পরিবর্তন করা।

ব্যাখ্যা: কিতাবের কথা স্ব-স্থান হতে পরিবর্তন করা বলতে ভাষার বর্ণের পরিবর্তন অথবা অর্থের বিকৃতি সাধন। আহলে কিতাবদের জঘন্য স্বভাব হলো তারা কিতাবের কথাকে স্ব-স্থান হতে পরিবর্তন করে। ফলে শব্দাবলী ও অর্থের পরিবর্তন এবং অপব্যাখ্যার মাধ্যমে এ বিকৃতি ঘটে। তাই যারাই আল্লাহর কালামের বিকৃতি সাধন করে, তারাই জাহিলী রীতির উপর বিদ্যমান। আর ইসলামের দিকে সম্পৃক্তকারী বাতিলপন্থী ও ইসলাম বিরোধী ভ্রষ্টদল তাদের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন ও মাযহাবের অনুসরণের জন্য আল্লাহর কিতাবের (نص) নছ্ব-মূল অংশ পরিবর্তন করে। আর শব্দের পরিবর্তন অথবা অর্থের বিকৃতি সাধন অথবা অপব্যাখ্যার মাধ্যমে যাই তারা তা করুক না কেন তা জাহিলদের উত্তরাধীকার হিসাবে গণ্য হবে।

আল্লাহ তা‘আলা শব্দ-অর্থসহ যা নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান আনা এবং কোন পরিবর্তন ও বিকৃতি ছাড়াই বিধান অনুসারে আমল করা ওয়াজীব। চাই তা প্রবৃত্তি ও আকাঙ্খার অনুকূল অথবা প্রতিকূলে হোক। (তা মেনে নেয়া আবশ্যক)।

বর্তমানে নিকৃষ্ট পথ অবলম্বনকারী ও মিথ্যা মাযহাবীরা কুরআনের (نص) নছ্ব-মূল রচনা ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত ছহীহ হাদীছের (متن) মতন-মূলপাঠ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা প্রতিহত ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে অক্ষম হয়ে পরিবর্তন করেছে এবং মূল তাফসীর বাদ দিয়ে অপব্যাখ্যা করছে। এটাই হলো জাহিলী ও ইয়াহুদীদের রীতি।

আল্লাহর কিতাব ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহকে সম্মান করা মুমিনের উপর ওয়াজীব। তাই আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল যেভাবে চেয়েছেন সেরূপেই শব্দ ও অর্থ উভয় দিক থেকে মুমিন এ দু’টিকে বিশ্বাস করবে। আর (نص) নছ্ব-মূল অংশের অর্থ পরিবর্তন করবে না এবং শব্দের সাথে অতিরিক্ত সংযোজন অথবা বিয়োজনের মাধ্যমে পরিবর্তনও করবে না, অথবা মিথ্যা কিছু যোগও করবে না।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে