আল্লাহ তা‘আলা তখনো প্রতিপালন করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো প্রতিপালিত সৃষ্টি ছিল না। তিনি তখনো সৃষ্টি করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো সৃষ্ট ছিল না।

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

لَهُ مَعْنَى الرُّبُوبِيَّةِ وَلَا مَرْبُوبَ وَمَعْنَى الْخَالِقِ وَلَا مَخْلُوقَ

আল্লাহ তা‘আলা তখনো প্রতিপালন করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো প্রতিপালিত সৃষ্টি ছিল না। তিনি তখনো সৃষ্টি করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো সৃষ্ট ছিল না।

..........................................................

ব্যাখ্যা: অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা রব বা প্রতিপালক হিসাবে বিশেষিত। যাদেরকে তিনি প্রতিপালন করেন, তাদেরকে সৃষ্টি করার পূর্ব থেকেই তিনি এ বিশেষণে বিশেষিত। সে সঙ্গে মাখলুক সৃষ্টি করার পূর্ব থেকেই তিনি স্রষ্টা এবং অনাদি থেকেই তিনি সৃষ্টি করার বিশেষণে বিশেষিত।

আকীদায়ে ত্বহাবীয়ার কোনো কোনো ভাষ্যকার বলেছেন, ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ الخالقية না বলে لَهُ مَعْنَى الرُّبُوبِيَّةِ وَمَعْنَى الْخَالِقِ বলেছেন। কারণ الخالق অর্থ হলো ঐ সত্তা, যিনি অস্তিত্বহীনতা থেকে কেবল কোনো জিনিসকে অস্তিত্বে নিয়ে আসেন। الخالق শব্দ দ্বারা এ ব্যতীত আর কিছু বুঝায় না।

কিন্তু রব শব্দটি বহু অর্থ প্রকাশ করে। যেমন রাজত্ব পরিচালনা করা, হেফাযত করা এবং তদবীর করা ইত্যাদি। الرب বা التربية শব্দের অর্থ হলো কোনো জিনিসকে ধীরে ধীরে প্রতিপালন ও পরিচর্যা করে পূর্ণতার স্তরে পৌঁছিয়ে দেয়া।

সুতরাং ইমাম ত্বহাবী এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা দ্বারা উপরোক্ত সবগুলো অর্থই বুঝায়। আর তা হলো الربوبية। ভাষ্যকারের কথা এখানেই শেষ। তবে এ কথার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। কেননা الخلق শব্দটিও তাকদীর তথা নির্ধারণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে