রাহে বেলায়াত তৃতীয় অধ্যায় - দৈনন্দিন যিকর ওযীফা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
প্রথম পর্বঃ সকালের যিকর-ওযীফা - ৯. বাড়ি-মসজিদ গমনাগমনের যিকর

মুমিনের জীবন তাঁর প্রভুর স্মরণ কেন্দ্রিক। সাধারণত তিনি সকালে প্রথমবার বাড়ি থেকে বের হন মসজিদে ফজরের সালাত জামাতে আদায়ের জন্য। এরপর সারাদিনের কর্মময় জীবনে আসা-যাওয়া চলতে থাকে। এখানে এ বিষয়ক কিছু যিকর উল্লেখ করছি।


যিকর নং ৬০ : বাড়ি থেকে বের হওয়ার যিকর-১

بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله


উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হি, তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি, লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ।

অর্থঃ “আল্লাহর নামে। আমি আল্লাহর উপর নির্ভর করলাম। কোনো অবলম্বন নেই এবং কোনো শক্তি নেই আল্লাহর সাহায্য ছাড়া।” আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এই কথাগুলি বলবে, তাঁকে (আল্লাহর

পক্ষ থেকে ) বলা হবে: তোমার আর কোনো চিন্তা নেই, তোমার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা হলো (তোমাকে সঠিক পথ দেখানো হলো) এবং তোমাকে হেফাযত করা হলো। আর শয়তান তার থেকে দূরে চলে যায়।” অন্য বর্ণনায় : “এক শয়তান অন্য শয়তানের সাথে সাক্ষাৎ করে বলে, সে ব্যক্তির সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে, হেফাযত করা হয়েছে এবং পথ দেখানো হয়েছে, কিভাবে আমরা তার ক্ষতি করতে পারি ?” হাদীসটি হাসান।[1]


যিকর নং ৬১ : বাড়ি থেকে বের হওয়ার যিকর-২

بسم اللَّهِ توكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعوذُ بِكَ أنْ نَزِلَّ أو نُضِلُّ أوْ نَظلِمَ أوْ نُظلَم أوْ نَجْهَلَ أو يُجهَلَ عَلَينا


উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি, তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি, আল্লা-হুম্মা, ইন্না না‘ঊযূ বিকা মিন আন নাযিল্লা, আও নাদ্বিল্লা, আও নাযলিমা আও নুযলামা, আও নাজহালা আউ ইউজহালা ‘আলাইনা।

অর্থ: “আল্লাহর নামে, আমি আল্লাহর উপর নির্ভর করছি, হে আল্লাহ আমরা আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি যে, আমরা পদস্খলিত হব বা বিভ্রান্ত হব, বা আমরা অত্যাচার করব বা অত্যাচারিত হব, অথবা আমরা কারো সাথে ক্রোধ ও মূর্খতাসুলভ আচরণ করব বা কেউ আমাদের সাথে এরূপ মূর্খতাসুলভ আচরণ করবে।”

উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় এই দু‘আ পাঠ করতেন। হাদীসটি সহীহ।[2]

দিনে রাত্রে যে কোনো সময় বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মুমিনের উচিত এই যিকরগুলি অর্থের দিকে লক্ষ্য রেখে অন্তরকে আল্লাহর দিকে রুজু করে পাঠ করা।


যিকর নং ৬২ (ক) : বাড়ি প্রবেশের যিকর-১

আমরা দেখেছি, রাসূলুল্লাহ (সা.) বাড়িতে প্রবেশের সময় আল্লাহর যিকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, আল্লাহর যিকর করে বাড়িতে প্রবেশ করলে শয়তান সেই বাড়িতে অবস্থান করতে পারে না। বাড়ি প্রবেশের মাসনূন যিকর নিম্নরূপঃ

بسم الله ولجنا , و بسم الله خرجنا , و على الله ربنا توكلنا


উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি ওয়লাজনা বিসমিল্লা-হি খারাজনা ওয়া ‘আলা রাব্বিনা- তাওয়াক্কালনা।

অর্থ: “আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বাহির হলাম এবং আমাদের প্রভুর উপর নির্ভর করলাম।”

আবু মালিক আশ’আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إذا ولج الرجل في بيته فليقل ... ثم ليسلم على أهله


“যখন কেউ তার বাড়িতে প্রবেশ করবে, তখন যেন সে এই কথাগুলি বলে। এরপর সে যেন তাঁর স্ত্রী-পরিজনদেরকে সালাম দেয়।[3]


যিকর নং ৬২ (খ) বাড়ি প্রবেশের যিকর-২ (সালাম)

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته


উচ্চারণ: আস-সালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রা’হমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ।

অর্থঃ আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত।


বাড়িতে প্রবেশের সময় উপরের দু’আ পাঠের পরে বাড়ির যার সাথেই দেখা হবে তাকে সালাম দিতে হবে। উপরের হাদীসেই আমরা সেই নির্দেশনা পেয়েছি। সালাম ইসলামের অন্যতম ইবাদত। সালাম প্রদানকারী ও উত্তর প্রদানকারী উভয়েই অগণিত সাওয়াবের অধিকারী হন। উপরন্তু সালাম মানব জীবনের অন্যতম দু‘আ। এতে শান্তি, রহমত ও বরকতের দু‘আ করা হয়। একটিবারের সালমও যদি কবুল হয়ে যায় তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে আর কিছুই অপূর্ণ থাকবে না। জীবনে শান্তি, রহমত ও বরকত পাওয়ার পর আর কী বাকি থাকে?


আমাদের সমাজে স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, ছেলে-মেয়েরা পিতা-মাতাকে ও পিতা-মাতা ছেলে-মেয়েকে সালাম দেন না। এক ধরনের শয়তানী ওয়াসওয়াসা মুসলিমগণকে এই অতুলনীয় কল্যাণকর ও অগণিত সাওয়াবের কর্ম থেকে বিরত রাখে, যে ওয়াসওয়াসাকে অনেকে ‘লজ্জা’ নাম দেন। সাধারণ জ্ঞানেই আমরা বুঝতে পারি যে, একজন মানুষের দু‘আর সবচেয়ে বড় হকদার তার স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানগণ। অথচ আমরা অন্যান্য মানুষকে সালাম প্রদান করি, তাদেরকে সাওয়াব অর্জনের সুযোগ ও দু‘আ প্রদান করি কিন্তু আপনজনদেরকে বঞ্চিত করি। সাধারণভাবে সবাইকে সালাম প্রদান সুন্নাত। আর স্বামী, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যগণকে সালাম দেওয়া অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।

হাদীস শরীফে বিশেষভাবে এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত ও বিশেষ সাওয়াব ও বরকতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, নবীয়ে মুসতাফা (সা.) বলেছেন :

ثلاثة كلهم ضامن على الله إن عاش وكفي وإن مات دخل الجنة من دخل بيته بسلام فهو ضامن على الله عز وجل


“তিন ব্যক্তি আল্লাহ তাদের প্রত্যেকের জামিন ও সংরক্ষক, যদি বেচে থাকে তাহলে তার সকল দায়িত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে রক্ষা করা হবে এবং যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে ব্যক্তি সালাম প্রদান করে তার বাড়িতে প্রবেশ করল সে আল্লাহর জামিনদারীতে ও তার জিম্মায় চলে গেল ...।”[4]

অন্য হাদীসে আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

إذا دخلت على أهلك فسلم فتكون بركة عليك وعلى أهل بيتك. وفي لفظ: إذا دخلت بيتك فسلم على أهلك يكثر خير بيتك


“যখন তুমি তোমার বাড়িতে প্রবেশ করবে তখন তোমার স্ত্রী-সন্তানগণকে সালাম দেবে। এই সালাম তোমার ও তোমার পরিবারের সদস্যগণের বরকত ও কল্যাণ বৃদ্ধি করবে।” হাদীসটি হাসান।[5]

দিনে বা রাত্রে যে কোনো সময়ে বাড়ি প্রবেশের সময় এ সকল মাসনূন বাক্য দ্বারা আল্লাহর যিকর করা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য।


যিকর নং ৬৩ : মসজিদে গমনকালীন সময়ের যিকর

রাসূলুল্লাহ (সা.) বাড়ি থেকে সালাতের জন্য মসজিদে গমনের সময়, তাহাজ্জুদের সালাতে সাজদা-রত অবস্থায়, তাহজ্জুদ সালাতের পরে ও অন্যান্য সময়ে নিম্নের বাক্যগুলি বলতেনঃ

اللهم اجعل في قلبي نورا وفي لساني نورا وفي بصري نورا وفي سمعي نورا وعن يميني نورا وعن يساري نورا وفوقي نورا وتحتي نورا وأمامي نورا وخلفي نورا وفي عصبي نورا وفي لحمي نورا وفي دمي نورا وفي شعري نورا وفي بشري نورا وَآجُعل في نفسي نورا وأعظم لي نورا وعظم لي نورا واجعل لي نورا واجعلني نورا اللهم أعطني نورا


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাজ- ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়াফী লিসানী নূরান, ওয়াফী বাস্বারী নূরান, ওয়াফী সাম‘য়ী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়াসা-রী নূরান, ওয়া ফাওক্বী নূরান, ওয়া তা‘হতী নূরান, ওয়া আমা-মী নূরান, ওয়া খালফী নূরান, ওয়া ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়াফী লা‘হমী নূরান, ওয়াফী দামী নূরান, ওয়াফী শা‘অ্রী নূরান, ওয়াফী বাশারী নূরান, ওয়াজ- ‘আল ফী নাফসী নূরান, ওয়া আ‘অ্যিম লী নূরান, ওয়া আ‘যযিম লী নূরান, ওয়াজ- ‘আল লী নূরান, ওয়াজ- ‘আলনী নূরান। আল্লাহুম্মা, আ‘অ্তিনী নূরান।


অর্থ: “হে আল্লাহ আপনি প্রদান করুন আমার অন্তরে নূর, আমার জবানে নূর, আমার চোখে নূর, আমার কানে নূর, আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নিচে নূর, আমার সামনে নূর, আমার পিছনে নূর, আমার স্নায়ুতন্ত্রে নূর, আমার মাংসে নূর, আমার রক্তে নূর, আমার চুল-পশমে নূর, আমার চামড়ায় নূর, আপনি প্রদান করুন আমার নফসে নূর, আপনি বৃদ্ধি করুন আমার নূর, আপনি মহান করুন আমার নূরকে, আপনি প্রদান করুন, আপনি বানিয়ে দিন আমার মধ্যে নূর, আপনি আমাকে নূর বানিয়ে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাকে নূর প্রদান করুন।”[6]


যিকর নং ৬৪ : মসজিদে প্রবেশের যিকর-১

أعوذ بالله العظيم وبوجهه الكريم وسلطانه القديم من الشيطان الرجيم


উচ্চারণ: আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বি ওয়াজহিহিল কারীম, ওয়া সুলতা-নিহিল কাদীম মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।

অর্থ: “আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহর এবং তাঁর সম্মানিত চেহারার এবং তাঁর অনাদি ক্ষমতার, বিতাড়িত শয়তান থেকে।” আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন তখন এই বাক্যগুলি বলতেন এবং তিনি বলেছেন,

“যদি কেউ তা বলে তাহলে শয়তান বলে, সারাদিনের জন্য এই ব্যক্তিকে আমার খপ্পর থেকে রক্ষা করা হলো।” হাদীসটি সহীহ।[7]


যিকর নং ৬৫ : মসজিদে প্রবেশের যিকর-২

بسم الله والصلاة والسلام على رسول الله اللهم افتح لي ابواب رحمتك


উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হি ওয়াস-স্বালা-তু ওয়াস-সালা-মু ‘আলা- রাসূলিল্লাহ। আল্লা-হুম্মাফ্ তা‘হ্ লী আবওয়া-বা রাহমাতিকা।

অর্থ: “আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর রাসূলের উপর সালাত ও সালাম। হে আল্লাহ, আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলি খুলে দিন।”[8]


অন্য বর্ণনায় এই যিকরটি নিম্নরূপঃ

اللهم اغفر لي وافتح لي أبواب رحمتك


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়াফতা’হ লী আবওয়া-বা রাহমাতিক।

অর্থঃ “হে আল্লাহ্‌ আমাকে ক্ষমা এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলি খুলে দিন।”

অন্য বর্ণনায় যিকরটি নিম্নরূপঃ

بسم الله والحمد لله اللهم صل على محمد وسلم اللهم اغفر لي وسهل لي أبواب رحمتك


উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হ, ওয়াল ‘হামদুলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা স্বালিল ‘আলা- মুহাম্মাদিন ওয়া স্বাল্লিম, আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়া সাহ্‌হিল লী আবওয়া-বা রা‘হমাতিক।

অর্থঃ আল্লাহর নামে, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর। হে আল্লাহ মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম প্রদান করুন। হে আল্লাহ,

আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার করুণার দরজাগুলি সহজ করুন।”[9]


যিকর নং ৬৬ : মসজিদ থেকে বের হওয়ার যিকর-১

بسم الله والصلاة والسلام على رسول الله اللهم افتح لي ابواب فضلك


উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হি ওয়াস-স্বালা-তু ওয়াস-সালা-মু ‘আলা- রাসূলিল্লাহ। আল্লা-হুম্মাফ্ তা‘হ্ লী আবওয়া-বা ফাদ্বলিকা।

অর্থঃ “আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর রাসূলের উপর সালাত ও সালাম। হে আল্লাহ, আমার জন্য আপনার রিযিক-বরকতের দরজাগুলি খুলে দিন।”

দ্বিতীয় বর্ণনায় যিকরটি নিম্নরূপ :

اللهم اغفر لي وافتح لي أبواب فضلك


উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়াফতা‘হ লী আবওয়া-বা ফাদ্বলিকা।

অর্থঃ “হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার রিযিক-বরকতের দরজাগুলি খুলে দিন।”

তৃতীয় বর্ণনায় :

بسم الله والحمد لله اللهم صل على محمد وسلم اللهم اغفر لي وسهل لي أبواب فضلك


উচ্চারণ: বিসমিল্লা-হ, ওয়াল ‘হামদুলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা স্বালিল ‘আলা- মুহাম্মাদিন ওয়া স্বাল্লিম, আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়া সাহ্‌হিল লী আবওয়া-বা ফাদ্বলিক।

অর্থঃ আল্লাহর নামে, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর। হে আল্লাহ মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম প্রদান করুন। হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার রিযিক-বরকতের দরজাগুলি সহজ করুন।[10]

যিকর নং ৬৭ : মসজিদ থেকে বের হওয়ার যিকর-২

اللهم أجرني من الشيطان الرجيم


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আজির নী মিনাশ শায়তা-নির রাজীম।

অর্থঃ “হে আল্লাহ আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্ষা করুন।”

আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় এই যিকর পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।[11]

[1] সুনানুত তিরমিযী ৫/৪৯০, নং ৩৪২৫, সুনানু আবী দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১০৪, মাকদিসী, আল-আহাদীসুল মুখতারাহ ৪/৩৭২, মাওয়ারুদুয যামআন ৭/৪১০-৪১২, সহীহুল জামিয়িস সাগীর ২/৮৫৯, আত-তারগীব ২/৪৫৬।

[2] সুনানুত তিরমিযী ৫/৪৯০, নং ৩৪২৭, নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ৬/২৬, সুনানু আবী দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৪, সহীহুল জামিয়িস সাগীর ২/৮৫৯, নং ৪৭০৮, ৪৭০৯।

[3] সুনানু আবী দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৬, যাকারিয়্যা, আল-ইখবার, পৃ. ২৪৭।

[4] ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, সহীহুল আদাবিল মুফরাদ, পৃ. ৪২২, নং ৮৩২/১০৯৪।

[5] সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৯, নং ২৬৯৮, বাইহাকী, শু’আবুল ঈমান ৬/৪২৭, ৪২৯, ৪৪৫, আত-তারগীব ২/৪৫৯, সহীহুল আদাবিল মুফরাদ, পৃ. ৪২৩।

[6] সহীহ বুখারী ৫/২৩২৭, নং ৫৯৫৭, সহীহ মুসলিম ১/৫২৮, ৫২৯, ৫৩০, নং ৭৬৩।

[7] সুনানু আবী দাউদ ১/১২৭, নং ৪৬৬, সহীহুল জামিয়িস সাগীর ২/৮৬০, নং ৪৭১৫।

[8] বিভিন্ন সহীহ বর্ণনা একত্রে। সহীহ মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩, সুনানু আবী দাউদ ১/১২৬, নং ৪৬৫।

[9] সুনানুত তিরমিযী, নং ৩১৪, ইবনুল কাইয়েম, জালাউল আউহাম, ৪৬-৪৭ পৃ.।

[10] সুনানুত তিরমিযী, নং ৩১৪, ইবনুল কাইয়েম, জালাউল আউহাম, ৪৬-৪৭ পৃ.।

[11] সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১/২৩১, ৪/২১০, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৯৬, ৩৯৯, মুসতাদরাক হাকিম ১/৩২৫, জালাউল আউহাম, ৪৬-৪৭ পৃ.।