উপদেশ ২৮. যাকাত আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ ১ টি

 عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  مَنْ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهُ مُثِّلَ لَهُ مَالُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ لَهُ زَبِيْبَتَانِ يُطَوَّقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثُمَّ يَأْخُذُ بِلِهْزِمَتَيْهِ يَعْنِى شِدْقَيْهِ ثُمَّ يَقُوْلُ أَنَا مَالُكَ أَنَا كَنْزُكَ ثُمَّ تَلاَ ( لاَ يَحْسِبَنَّ الَّذِيْنَ يَبْخَلُوْنَ ) الآيَةَ-

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, ‘যাকে আল্লাহ তা‘আলা মাল দান করেছেন, আর সে তার যাকাত দান করে না, ক্বিয়ামতের দিন তার মালকে তার জন্য একটি মাথায় টাক পড়া সাপস্বরূপ করা হবে, যার চক্ষুর উপর দু’টি কালো দাগ থাকবে, যাকে তার গলার বেড়ী স্বরূপ করা হবে। তা আপন মুখে দুই দিক দ্বারা তাকে দংশন করতে থাকবে এবং বলবে, আমি তোমার মাল, আমি তোমার সংরক্ষিত অর্থ। অতঃপর রাসূল(সা.) এই আয়াত পাঠ করলেন, ‘যারা কৃপণতা করে থাকে, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে যে মাল দান করেছেন, তা নিয়ে তারা যেন মনে না করে যে, তা তাদের জন্য উত্তম; বরং তা তাদের জন্য মন্দ। অতি শীঘ্র ক্বিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী স্বরূপ করা হবে যা তারা কৃপণতা করছে’। -বুখারী, মিশকাত হা/১৭৭৪)।

عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ رضى الله عنه عن النبى  مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُوْنُ لَهُ إِبِلٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّى حَقَّهَا إِلاَّ أُتِىَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا تَكُوْنُ وَأَسْمَنَهُ تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا وَتَنْطَحُهُ بِقُرُوْنِهَا كُلَّمَا جَازَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ.

আবু যার গিফারী (রা.) রাসূল(সা.) হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল(সা.) বলেছেন, যে কোন ব্যক্তির উট, গরু বা ছাগল, ভেড়া থাকবে। অথচ সে তার হক আদায় করবে না, ক্বিয়ামতের দিন নিশ্চয়ই তাদেরকে আনা হবে তার নিকট অতি বিরাটকায় ও অতি মোটাতাজা অবস্থায়, তারা দলে দলে তাকে মাড়াতে থাকবে নিজেদের ক্ষুর দ্বারা এবং মারতে থাকবে তাদের শিং দ্বারা। যখনই তাদের শেষ দল অতিক্রম করবে, পুনরায় প্রথম দল এসে তার সাথে এরূপ করতে থাকবে, যাবৎ না মানুষের মধ্যে বিচার-মীমাংসা শেষ হয়ে যায়’। -মুত্তাফাক্বব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৭৭৫)।

عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَكَتَمْنَا مِخْيَطًا فَمَا فَوْقَهُ كَانَ غُلُولاً يَأْتِي بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

আদী ইবনু আমিরা (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি যাকে তোমাদের কোন কাজের দায়িত্বশীল করি, অতঃপর সে সূচ পরিমাণ বস্তু বা তার চেয়ে বেশী সম্পদ আত্মসাৎ করল, সেটাই হবে খিয়ানত। ক্বিয়ামাতের দিন সেই বস্তু নিয়ে সে উপস্থিত হবে’। -মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৮০)।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا تُوُفِّىَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُوْ بَكْرٍ بَعْدَهُ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لأَبِىْ بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُوْلُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّى مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ وَاللهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُوْنِىْ عِقَالاً كَانُوْا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ  لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِىْ بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ.

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) যখন ইন্তিকাল করলেন, আবু বকর খলীফা নির্বাচিত হলেন এবং আরবদের মধ্যে যারা কাফের কাফের হয়ে গেল, তখন ওমর খলীফা আবু বকরকে বললেন, কিরূপে আপনি লোকদের সাথে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসূল(সা.) বলেছেন, আমি নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছি মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে যাবৎ না তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে। যখন কেউ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, আমার হতে তার জান ও মাল রক্ষা করল। তার হিসাব আল্লাহর কাছে। আবু বকর বললেন, আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয়ই তাদের সাথে যুদ্ধ করব যারা ছালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে। কেননা, যাকাত মালের হক। আল্লাহর কসম! যদি তারা একটি বকরীর বাচ্চা আদায় করতেও আমাকে বাধা দান করে, যা তার রাসূল(সা.) -কে প্রদান করত, তা হলেও আমি তার জন্য তাদের সাথে যুদ্ধ করব। ওমর বললেন, এখন আমি বুঝতে পারলাম যে, এছাড়া আর কিছুই নয় যে, আল্লাহ তা‘আলা যুদ্ধের জন্য আবু বকরের অন্তরকে খুলে দিয়েছেন। অতঃপর আমি উপলব্ধি করলাম যে, তা সত্য’। -বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৯০)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَكُونُ كَنْزُ أَحَدِكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَفِرُّ مِنْهُ صَاحِبُهُ وَهُوَ يَطْلُبُهُ حَتَّى يُلْقِمَهُ أَصَابِعَهُ.

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, তোমাদের কারো সংরক্ষিত মাল ক্বিয়ামতের দিন কেশহীন বিষাক্ত সাপ হবে এবং তা হতে অধিকারী পলায়ন করতে চাইবে কিন্তু তা তাকে অনুসন্ধান করতে থাকবে যাবৎ না সে (খাদ্যরূপে) তার মুখে আপন অঙ্গলীসমূহ দেয়। -আহমাদ, মিশকাত হা/১৭৯১)।