নিজের অবস্থার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে এবং আল্লাহর সম্পর্কে অযৌক্তিক চিন্তা-ভাবনা করে নিজের দুশ্চিন্তা ও দুঃখের দ্বার খোলা হয় মাত্র। অপর পক্ষে নিজের অবস্থার প্রতি এবং আল্লাহর বিধানের (তকদীর-এর) প্রতি সন্তুষ্টি এমনকি আখেরাতের আগে দুনিয়াতেই বেহেশতের দুয়ার খুলে দেয়। যা ভাগ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে তা নিয়ে প্রশ্ন ও অভিযোগ আত্মতৃপ্তি ও মনের শান্তি দেয় না। বরং আত্মসমর্পণ ও গ্রহণের (মেনে নেয়ার বা কবুল করে নেওয়ার) মাধ্যমেই আমরা সেসব শুভ পরিণতি ঘটাতে পারি। কারণ, যিনি সব কিছুর রিযিক দেন তিনি যা বিধান করেছেন তা নিয়ে কখনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা উচিত নয়।

আমার এখনও প্রসিদ্ধ নাস্তিক দার্শনিক ইবনে রাওয়ান্দির কথা মনে পড়ে। সে এক সাধারণ মূৰ্খ লোককে দেখল যে, সে প্রাসাদসমূহে বাস করে ও খুব ধনী। ইবনে রাওয়ান্দি আকাশ পানে তাকিয়ে চিৎকার করে বলল, “আমি হলাম আমার জাতির দার্শনিক, তবুও আমি দরিদ্র জীবন যাপন করি, অথচ এ মূৰ্খ সাধারণ লোকটি ধনী। এটা এলোমেলো ও অদ্ভুত বণ্টন।” আল্লাহ তারপর ইবনে রাওয়ান্দির দুঃখ-দুর্দশা, অপমান ও দারিদ্র বৃদ্ধি করে দিলেন। (আল্লাহর বিধানে তার ঔদ্ধত্য প্রদর্শন ও নাক গলানের কারণেই আল্লাহ আরো ক্রদ্ধ হয়ে এমনটি করলেন। অনুবাদক)

“আর অবশ্যই আখেরাতের শাস্তি অধিকতর অপমানকর হবে অথচ তাদের কখনও কোনরূপ সাহায্য করা হবে না।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস-সাজদাহঃ আয়াত-১৬)