“(হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন, আল্লাহ তোমাদেরকে তা হতে এবং (অন্যান্য) প্রত্যেক দুঃখ কষ্ট হতে উদ্ধার করেন।” (৬-সূরা আল আনআমঃ আয়াত-৬৪)

أَلَيْسَ اللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُ

আল্লাহ কি তার বান্দার জন্য যথেষ্ট নয়?” (৩৯-সূরা আয যুমারঃ আয়াত-৩৬)

“(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলুন, কে তোমাদেরকে স্থলভাগ ও সাগরের অন্ধকার হতে উদ্ধার করেন?” (৬-সূরা আল আন’আমঃ আয়াত-৬৩)

“এবং দেশে যাদেরকে দুর্বল করা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে আমি ইচ্ছা করলাম।” (২৮-সূরা আল কাছাছঃ আয়াত-৫)

মহান আল্লাহ আদম (আঃ) সম্বন্ধে বলেছেনঃ “অতঃপর তার প্রভু তাকে মনোনীত করলেন, তার তওবা কবুল করলেন (তার প্রতি দয়াপরবশ হলেন বা তাকে ক্ষমা প্রদর্শন করলেন) এবং তাকে পথ-নির্দেশ দান করলেন।” (২০-সূরা ত্বাহাঃ আয়াত-১২২)

وَنُوحًا إِذْ نَادَىٰ مِن قَبْلُ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ

এবং নবী নূহ (আঃ) সম্বন্ধে (আল্লাহ বলেছেন): “আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তাকে এবং তার পরিবারকে মহাসংকট বা ভীষণ দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দিলাম।” (২১-সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত-৭৬)

এবং ইব্রাহীম নবী (আঃ) সম্বন্ধে (বলেছেন)

“আমি (আল্লাহ) বললাম, হে আগুন! তুমি ইব্রাহীমের জন্য শীতল ও শান্তিদায়ক হয়ে যাও!” (২১-সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত-৬৯)

এবং নবী ইয়াকুব (আঃ) সম্বন্ধেঃ “হয়তোবা আল্লাহ তাদেরকে একসঙ্গে আমার নিকট এনে দিবেন।” (১২-সূরা ইউসুফঃ আয়াত-৮৩)

এবং নবী ইউসূফ (আঃ) সম্বন্ধেঃ “তিনি (আল্লাহ) অবশ্যই আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, কেননা তিনি আমাকে জেলখানা থেকে বের করে এনেছেন এবং আপনাদেরকে মরু অঞ্চল (বা বেদুঈন জীবন) হতে নিয়ে এসেছেন।” (১২-সূরা ইউসুফঃ আয়াত-১০০)

এবং নবী দাউদ (আঃ) সম্বন্ধে আল্লাহ বলেছেনঃ “অতএব আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং আমার নিকট তার জন্য রয়েছে নৈকট্য ও সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল (জান্নাত)”। (৩৮-সূরা ছোয়াদঃ আয়াত- ২৫)

এবং আইয়ুব নবী (আঃ) সম্বন্ধেঃ “আর তার যে কষ্ট ছিল আমি তা দূর করে দিলাম।” (২১-সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত-৮৪)

এবং নবী ইউনুস (আঃ) সম্বন্ধেঃ “আর আমি তাকে দুশ্চিন্তা (দুঃখ-কষ্ট ও সংকট) হতে মুক্তি দিলাম।” (২১ -সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত-৮৮)

এবং মুসা (আঃ) সম্বন্ধেঃ “কিন্তু আমি তোমাকে মনোকষ্ট থেকে মুক্তি দিলাম।” (২০-সূরা ত্বাহাঃ আয়াত-৪০)

এবং নবী (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্বন্ধে (আল্লাহ বলেছেন): “যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর (তাতে কিছু যায় আসে না) কারণ, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সাহায্য করেছেন।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত-৪০)

“তিনি কি তোমাকে এতিম পেয়ে আশ্রয় দেননি? এবং তিনি কি তোমাকে পথসন্ধানী পেয়ে পথের সন্ধান দেননি? এবং তিনি কি তোমাকে দরিদ্র পেয়ে (আত্মতুষ্টি দিয়ে স্বনির্ভর করে) ধনী করেননি?” (৯৩-সূরা আদ দোহাঃ আয়াত-৬-৮)

“সর্বক্ষণ তিনি (কাউকে সম্মানিত করা, কাউকে অপমান করা, কাউকে জীবন দান, কাউকে মৃত্যুদান ইত্যাদি) কাজে ব্যস্ত থাকেন।” (৫৫-সূরা আর রহমানঃ আয়াত-২৯)

প্রায়ই (দেখা যায় যে) সংকট কেবলমাত্র মেঘ (অর্থাৎ মেঘের মতো) যা দ্রুত সরে যায়।

“আল্লাহ ছাড়া কেউ এটাকে মুক্ত করতে পারে না।” (৫৩-সূরা আন নাজমঃ আয়াত-৫৮)।