একটি শান্ত, দৃঢ় ও সুখী মনই হলো সবচেয়ে বড় নেয়ামত। কেননা, সুখের মাঝে মন থাকে পরিচ্ছন্ন, সুখ মানুষকে উৎপাদনশীল ব্যক্তি হতে শক্তি যোগায়। বলা হয়েছে যে, সুখ এমন একটি কলা (শিল্প) যা শিক্ষা করা দরকার। যদি আপনি এটা শিখেন তবে আপনি ইহজীবনে ধন্য হবেন। কিন্তু কীভাবে এটা শেখা যায়? সুখ লাভের মূলনীতি হলো, পরিস্থিতিকে সহ্য করার ও তাকে সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করার ক্ষমতা থাকা। সুতরাং জটিল পরিস্থিতিতে আপনাকে টলমলে হওয়া চলবে না, এর শিকার হওয়াও চলবে না আর তুচ্ছ বিষয়ে বিরক্ত হওয়াও চলবে না। আত্মার বিশুদ্ধতা ও একে মহৎ করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে মানুষ জীবনে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

আপনি যখন নিজেকে ধৈর্যশীল ও সহনশীল হওয়ার শিক্ষা দিবেন, তখন দুঃখ-কষ্ট-অভাব-অনটন ও দুর্যোগ-দুর্বিপাক-দুর্ঘটনা সহ্য করা আপনার জন্য সহজ হবে। পরিতৃপ্ত হওয়ার বিপরীত হলো অদূরদর্শী হওয়া, স্বার্থপর হওয়া এবং পৃথিবীকেও এর সবকিছুকে ভুলে থাকা। আল্লাহ তার শক্রদের বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন-

“(অন্যদেরকে ও নবীকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রক্ষা করার চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেদেরকে কীভাবে রক্ষা করা যায় এ চিন্তায়) তারা নিজেরাই নিজেদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৫৪)

বিষয়টি এমন যে, এ ধরনের লোকেরা যেন নিজেদেরকে গোটা বিশ্ব মনে করে বা কমপক্ষে এর কেন্দ্রবিন্দু মনে করে। তারা অন্যদের কথা চিন্তাও করে না, নিজেদের ছাড়া অন্যদের জন্য বেঁচে থাকে না। শুধুমাত্র আমাদের নিজেদের জন্য চিন্তা না করে বরং অন্যদেরকে নিয়ে চিন্তা করার জন্য সময় বের করা এবং আমাদের আঘাত ও ক্ষতের কথা ভুলে থাকার জন্য নিজেদের সমস্যাবলী থেকে আমাদেরকে মাঝে মাঝে দূরে রাখা আমার আপনার সবারই দায়িত্ব। এ কাজ করে আমরা দুটি জিনিস অর্জন করতে পারি

১. আমরা আমাদেরকে সুখী করতে পারি,

২. এবং আমরা অন্যদেরকে আনন্দ দিতে পারি।